Blog

  • Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যে দু’জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হলেন। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাবর আলি। অন্যদিকে, রেজিনগর থানার নাজিরপুরে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইয়াসিন সেখ। পাশাপাশি কোচবিহারের ওকড়াড়ির মহেশ্বর এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর নাম রফিকুল ইসলাম ব্যাপারি। তিনি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  শুক্রবার রাতে গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন বাবর আলি। তখনই দুষ্কৃতীরা এসে ফুলচাঁদ শেখ ও বাবর আলিকে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দুজন তৃণমূল কর্মীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বাবর আলির মৃত্যু হয়।  

    তৃণমূল ও বাম কংগ্রেস জোট কর্মীদের সংঘর্ষ

    ভোটের (Panchayat Poll) কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুর। তৃণমূল ও  বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের একাধিক কর্মী জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মুর্শিদাবাদের রানিনগর-১ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর থানার লোচনপুর পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় বাম-কংগ্রেস জোট কর্মীরা। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও পাল্টা বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, জোটের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। চারজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকা ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। একইসঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জের সুলিতলা। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি। দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার ঘটনা। ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৮/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৮/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও আধিকারিকের সঙ্গে বিবাদ হলে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। তা না-হলে আদালত পর্যন্ত এই মামলা গড়াতে পারে।   

    ২) সন্ধ্যাবেলা আপনার বাড়িতে কোনও কাজ আসতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়ি ও অফিসে নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

    ২) সুখ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য অর্থ ব্যয় হবে। এর ফলে আপনার লাভ হবে।   

    মিথুন

    ১) পুরনো ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। 

    ২) ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ করবেন।   

    কর্কট

    ১) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ হলে জীবনসঙ্গীর সঙ্গ লাভ করবেন।

    ২) আজ ভালই অর্থ ব্যয় হবে। 

    সিংহ 

    ১) চাকরিতে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকলে তার সমাধান হবে। 

    ২) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সময় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যয় করবেন।

    কন্যা

    ১) সন্ধ্যাবেলা কোনও শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করবেন। 

    ২) প্রেম জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রেমীর সাক্ষাৎ করাবেন।  

    তুলা 

    ১) বাড়িতে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

    ২) বিদেশি আত্মীয়দের কাছ থেকে ভালো সংবাদ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কোথাও যাত্রার সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে ধন লাভ সম্ভব।   

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ সমাপ্ত হবে। 
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করতে যাবেন।

    মকর

    ১) নিজের মনের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তা না হলে ভবিষ্যতে হতাশ হতে পারেন। 

    ২) কাউকে টাকা ধার দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করুন।।

    কুম্ভ

    ১) আয়ের কথা মাথায় রেখে ব্যয় করুন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।    

    মীন

    ১) ব্যবসায় লগ্নি করলে ভবিষ্যতে ভাল মুনাফা হবে।
     
    ২) ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় আগত বাধা দূর হবে।     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

    Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মুখ পুড়ল সিআইডির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলা কাণ্ডে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত সহ সকলেই জামিন পেলেন। রাজেশ মাহাত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেলেন কুড়মি নেতারা।

    কেন কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল?

    ২৬ মে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  কনভয়ের উপর হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সুয়োমুটো মামলা রুজু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার রাতেই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারপরের দিন ওড়িশা সীমানা লাগোয়া এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাত সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ঘটনা তদন্তে নেমে সিআইডি আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট গ্রেফতার হন ১১ জন। সিআইডি রাজেশ মাহাত, শিবাজী মাহাতকে একাধিকবার নিজেদের হেফাজতে চেয়েও তাদের হেফাজতে পায়নি। এই প্রভাবশালী কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনির ঘটনায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি চালক এবং ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি নবু গোয়ালা ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলাতে ধৃত কুড়মি নেতাদের শোন অ্যারেস্ট এর জন্য ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। অপরদিকে জামবনি থানার আরও দু’টি মামলাতেও যুক্ত করা হয়েছিল কুড়মি নেতাদের। এছাড়াও খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনাতেও খড়গপুর লোকাল থানার মামলাতেও যুক্ত করা হয় কুড়মি নেতাদের। সিআইডি-র মামলাটি ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালতে চলছিল। কয়েকদিন আগে রাজেশ মাহাত ও শিবাজী  মাহাত ছাড়া সবাই জামিন পেয়েছিলেন।

    জামিনে ছাড়া পেয়ে কী বললেন কুড়মি নেতা?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন কুড়মি আন্দোলনের দুই নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত। গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা। এর আগে ঝাড়গ্রাম জেলার ছয়টি মামলায় জেলবন্দি কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত জামিন পেয়েও জেল থেকে বের হতে পারেননি। কারণ, খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক  অবরোধের পুরানো মামলা থাকায় তাঁদেরকে জেলে থাকতে হয়েছিল। এদিন মেদিনীপুর আদালত থেকে দুই নেতার জামিনের কাগজপত্র আসে ঝাড়গ্রাম জেলে। তারপর সেই নথি খতিয়ে দেখে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ছাড়েন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক (Abhishek Banerjee) কনভয়কাণ্ডে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত বলেন,’আমরা আইনের উপর বিশ্বাস ভরসা রেখেছিলাম এবং ন্যায় বিচার আমরা পেয়েছি। আমাদের আন্দোলন  শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। নির্বাচন পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমস্ত প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাই। জঙ্গলমহলের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। সকলে শান্তি, মৈত্রী বজায় রাখবেন।’ তারপরেই হিন্দিতে রাজেশ বলেন,’সওয়াল বনগর ফির আঙ্গুয়া/ জবাব তেয়ার রাখনা/ জেল মে বিতে হুয়ে এদিন/ বেকার নেহি জায়েগা/ ফের এক এক দিনকা হিসাব রাখনা।’ তাঁর এই কথা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) রতুয়ার-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী‌ ও কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে পরানপুরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার (Malda) রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাদপুর চাঁদপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা নিজেদের প্রচার ক্যাম্পে বসেছিলেন ওই এলাকার বাম কংগ্রেস সমর্থিত কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থী শারিফুল শেখ ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, ওই সময় হঠাৎ করেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ শাহজাহান ১২ থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় জোট প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর। মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি জোট প্রার্থী ও কর্মীদের ব্যাপক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর ও টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে  মোট ৯ জন জোট কর্মী সমর্থক জখম হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন জোটের নেতৃত্ব?

     জোট প্রার্থী শারিফুল শেখ বলেন, পঞ্চায়েতে মালদা (Malda) জেলা জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য আমাদের উপর পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবল। আমরা আক্রমনের পরেও চুপ রয়েছি। কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা কংগ্রেসের সদস্য আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন,  পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা না দিলেও তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোট বানচাল করে দেওয়া। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     যদিও জোটের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জোট প্রার্থী ও তাঁর দলবল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবারেও তারাই আমাদের কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে রাজ্যের পিথোরাগড় জেলায় একটি আস্ত সেতু জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ওই এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। বর্ষা শুরু হতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। 

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভাঙল সেতু

    দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ধামি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নির্দেশ দেন সতর্ক থাকতে। জেলায় জেলায় খোলা হয় ত্রাণ শিবির। কারণ ভারতবর্ষের এই রাজ্যে (Uttarakhand) বর্ষার সময় হড়পা বান, ধস এগুলো হয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে একনাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছিল বলে খবর। মেঘভাঙা বৃষ্টির দাপটে যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেটিই ছিল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম। পার্বত্য এলাকা এমনিতেই দুর্গম, একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ভেঙে পড়ায় জীবন জীবিকার রশদ ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে। ওই গ্রাম এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলছে, ‘‘সেতু ভাঙার পর তার ধ্বংসাবশেষ ভেজা মাটির সঙ্গে মিশে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। ফলে ওই অংশে পৌঁছতে পারছেন না কেউই।’’

    প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনাস্থলের ভিডিও

    ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করার কাজ করছেন স্থানীয়রাই।

    এমন বিপত্তির মাঝেও অবশ্য রেহাই আপাতত মিলবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচদিন ধরে। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সমেত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাতের বেশ কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসের মুখোমুখি হতে পারেন মানুষ। সেই কারণে আগে থেকেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ। আর অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার পন্ডিতপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থীর নাম সঙ্গীতা মণ্ডল। তাঁর দেওর অষ্টম মণ্ডল এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবছর তাঁর বউদি বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূল অপহরণ করেছে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ জুলাই রেশন তুলে অষ্টমবাবু সন্ধ্যা নাগাদ দলীয় প্রচারে বের হয়েছিলেন। তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেনি। এরপরে ই পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই বিজেপি কর্মীর। তাই চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    কী বললেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    এই বিষয়ে এলাকারই এক বিজেপি (BJP) কর্মী পরিমল মণ্ডল বলেন, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোষপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচার শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। আমাদের ধারণা, এই এলাকায় বিজেপি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তাই, দলীয় প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।  

    কী বললেন নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মীর মা?

     নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মী অষ্টম মন্ডলের মা উরফি মণ্ডল বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে, সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। আমাদের দাবি, আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় প্রশাসন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। ওই এলাকায় বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। সেটা বুঝতে পেরেই নির্বাচনের আগের দিন নাটক করছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলেই বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগেও উত্তপ্ত রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় ৩ জন বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পরে, ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের গড়াইমারি পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস দুবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ভোটের প্রচার করছিলেন। আচমকাই দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। পরে, তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল কর্মী বলেন, প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথেই হামলা চালানো হয়। হঠাৎ আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপরে আমরা ছুটে পালিয়ে গিয়ে পাটের জমিতে আশ্রয় নিই। দলীয় প্রার্থীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তারপর হামলাকারীরা পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, সাইফুলসাহেব এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দুবার জয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি জিতবেন। এটা এই এলাকার সিপিএম তথা জোটের কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই, পরিকল্পিতভাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, বোমা, গুলির কারবার তৃণমূলরাই (TMC) শুধু করছে। গোটা রাজ্যে তারা বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই জড়িত নয়। এটা ওদের নিজেদের গণ্ডগোল। এরসঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে আবারও বিতর্কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। ‘‘আমার প্রার্থী না জিতলে আগামী পাঁচ বছর এই এলাকায় না হবে রাস্তা, না হবে লাইট, না হবে জলের ব্যবস্থা।’’ এমনই হুঁশিয়ারী দিতে শোনা গেল সত্যজিৎ বর্মনকে। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর… 

    নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে। ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিয়ম মতো বৃহস্পতিবারই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিনই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট না দিলে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেবেন। এলাকার রাস্তা, জল, আলো সব বন্ধ করে দেবেন।

    স্ত্রীর হারের আশঙ্কায় কী এমন হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন বিরোধীদের

    উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের স্ত্রীকে জেতাতে কার্যত এলাকায় এলাকায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি পাইলট ও লালবাতির গাড়ি  ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ জানাতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ সেদিন দিয়েছিলেন সত্যজিৎ বর্মন। 

    কী বলছে বিজেপি?

    ভোটারদের (Panchayat Vote) হুমকি এবং প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ জমা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হেমতাবাদের এমএলএ বিদ্যুৎ চোর। এখনও মামলা চলছে তাঁর নামে। পুরো খানদানি চোরকে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে।’’

    কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর প্রচারে হুমকি দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সত্যজিৎ বাবুর দুটি সত্ত্বা রয়েছে। প্রশাসনিক সত্ত্বা নয় তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি তার রাজনৈতিক সত্ত্বা। আর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী বলে থাকেন। বিরোধীরা গোটা বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share