Blog

  • Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ফুরোলেই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোট। এই বছর নতুন ভোটার হিসাবে ভোটদান করবেন, এমন অনেকেই আছেন। আবার যাঁরা শহরে থাকেন, পঞ্চায়েত ভোট সম্পর্কে তাঁদের অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা নেই। একটা কথা শুরুতেই বলা যায়, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের থেকে অনেকাংশেই আলাদা। এখানে থাকে না কোনও ইভিএম মেশিন, থাকে তিনটি বড় বাক্স যা ব্যালট বাক্স নামে পরিচিত। আর সঙ্গে থাকে তিনটি আলাদা রঙের ব্যালট পেপার। ভারতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমতি ও জেলা পরিষদ। তাই এখানে ভোটাররা তিনটি জায়গার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করে থাকেন।

    পঞ্চায়েতে ভোট প্রদানের (Panchayat Election 2023) পদ্ধতি কী?

    ভোট কেন্দ্রে ভোটার প্রবেশ করলে প্রাথমিক কাগজপত্র এবং ভোটার তালিকা পরীক্ষার পর সেখানে উপস্থিত ভোটকর্মীরা তাঁকে হাতে তিনটি আলাদা রঙের কাগজ ধরিয়ে দেন। এই তিনটি কাগজকেই ব্যালট পেপার বলা হয়। এই ব্যালট পেপারের মধ্যে প্রার্থীর নাম, দলের নাম ও চিহ্ন ছাপা থাকে। এই কাগজগুলি নিয়ে যেখানে ব্যালট বক্স থাকে, সেই স্থানে নিজের পছন্দসই পার্থীকে নির্বাচন করে ছাপ দিতে হয়। তার পর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারগুলি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সতে ফেলতে হয়। এইভাবেই ভোট প্রদান (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

    তিনটি আলাদা ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) কোন কোন রঙের?

    পঞ্চায়েতে ভোটদাতাদের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়। সেই রংগুলি যথাক্রমে গোলাপি, সাদা এবং হলুদ। পঞ্চায়েতে তিনটি স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করতে হয় এবং আলাদা আলদা প্রার্থীও থাকে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটি জায়গায় তিনটি স্তরে প্রার্থী নাও থাকতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে নির্দল প্রার্থী, বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। এবার তিনটি স্তরের ক্ষেত্রে যদি একই রঙের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) ব্যবহৃত হয়, তাহলে ভোটারদের সমস্যা হতে পারে। আবার ভোট গণনার সময়ও নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তার জন্যই প্রত্যেকটি ইউনিটে আলাদা আলাদা বাক্স এবং আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়।

    কোন রং কীসের জন্য (Panchayat Election 2023)?

    পঞ্চায়েত স্তরের জন্য সাধারণত থাকে সাদা রঙের পেপার, পঞ্চায়েত সমিতির জন্য থাকে গোলাপি ব্যালট পেপার, আর জেলা পরিষদের জন্য থাকে হলুদ পেপার। এই পেপারগুলির মধ্যেই যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা (Panchayat Election 2023) করছেন, তাঁদের নাম এবং দলের চিহ্ন উল্লেখ করা থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৭/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৭/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করবেন, এর ফলে লাভান্বিত হবেন।   

    ২) সন্তান সংক্রান্ত কোনও কারণে মনে হতাশা জাগবে। 

    বৃষ

    ১) পারিবারিক জীবনে জটিলতা হতে পারে। জীবনসঙ্গী ও নিকটাত্মীয়ের ইচ্ছাপূরণের জন্য সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

    ২) প্রেম জীবনে আজকের দিনটি আপনাদের অনুকূল।    

    মিথুন

    ১) বাবার আশীর্বাদ ও আধিকারিকদের সাহায্যে লাভ অর্জন করতে পারবেন। আপনার কোনও বহুপ্রতীক্ষিত ইচ্ছা পূর্ণ হবে। 

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে পারেন।    

    কর্কট

    ১) তাড়াহুড়োয় কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ তাড়াহুড়োয় নিয়ে থাকা সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।  

    সিংহ 

    ১) কর্মক্ষেত্রের অবসাদ পরিবারের সদস্যদের সামনে প্রকাশ করবেন না। তা না-হলে পরিবারের পরিবেশ প্রভাবিত হবে। 

    ২) মা আপনার ওপর রেগে থাকতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) শিক্ষা ক্ষেত্রে যে চেষ্টা করবেন, তাতে সফল হবেন এঁরা। সন্তানের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন। 

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।   

    তুলা 

    ১)  কোথাও যাত্রা করলে স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, তা না-হলে অসুস্থত হতে পারেন। আকস্মিক পরিস্থিতির কারণে আপনার কাজ আটকে যেতে পারে।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে মতভেদ হতে পারে। 

    বৃশ্চিক

    ১) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হবে। আপনার যশ-কীর্তি বৃদ্ধি পাবে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।    

    ধনু

    ১) পারিবারিক জিনিসের কেনাকাটায় অর্থ ব্যয় হতে পারে। 
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও ধর্মীয় স্থানে যাবেন। 

    মকর

    ১)  আজ কোনও কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা পুরো করার প্রচেষ্টা করবেন।   

    ২) ছাত্রছাত্রীরা কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে তাতে সাফল্য লাভ করবেন।  

    কুম্ভ

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।     

    মীন

    ১) ব্যবসায় বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ করার জন্য নিকট ও দূরের যাত্রা করতে হবে।  
     
    ২) ছাত্রছাত্রীরা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।      

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে। এসব মানুষ যদি সাধারণ মানুষের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে তাহলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। দক্ষিণ দিনাজপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। আদতে কোনও বদল হয়নি, পরিবর্তন হয়নি। বোমা, গুলির ভোট এখনও রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আরও কত মানুষের প্রাণ যাবে সেটাই আমাদের চিন্তা।  

    দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে শেষ প্রচারে ঝ়ড় তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত ভোট হাতে গোনা আর ৪৮ ঘন্টা বাকী। আর তার আগেই তপনের বাদ সনকৈর এলাকায়  বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের বাদ সনকৈর এলাকার স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পথসভার শেষে সুকান্ত মজুমদার প্রার্থীদেরকে নিয়ে একটি মিছিল করেন। এদিন সভায় সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা। পাশাপাশি এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠেঙ্গাপাড়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে একটি র‍্যালি করেন।

    দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    প্রচারের শেষ দিনে তপনের বাদ সনকৈর  গ্রামে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দণ্ডি কাণ্ডের নির্যাতিতাদের টাকা ও ভোটে প্রার্থী করার লোভ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ওদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। অপমানিত হয়েও ওরা কোর্টের সামনে চুপ করে থাকল, বিচার চাইল না। যদি বিচার চাইতো বিজেপি দাঁড়িয়ে থেকে মূল অভিযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাঁচাতে পারতো না। কিন্তু, যে অত্যাচারিত হয়েছে তিনি  অভিযোগ দিলেন না কেন, তাঁকে টাকার লোভ দেখানো হল, তাঁকে পঞ্চায়েতের আসনের লোভ দেখানো হলো। আসনের লোভে তিনি বিক্রি হয়ে গেলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Poll: জোট প্রার্থীকে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Poll: জোট প্রার্থীকে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন পরই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll)। তার আগেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাদিকপুরে এক জোট  প্রার্থীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর ছেলে মকবুল শেখকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জোট প্রার্থীর নাম বদর শেখ। তিনি সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য ও রঘুনাথগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমতিরি এবারের জোট প্রার্থী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) নিয়ে এলাকা সরগরম। বৃহস্পতিবার জোট প্রার্থী বদরসাহেব  হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই তৃণমূলের লোকজন পথ আটকায়। প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রার্থী ছেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আক্রান্ত হন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। এরপরই জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, এদিন সাদিকপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জোট প্রার্থী সাহিদা খাতুন বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায়ের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। দুষ্কৃতীরা প্রথমে দলীয় প্রার্থী বদরের পরিবারের লোকজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। তারপর ওই প্রার্থীর উপর হামলা চালায়। এলাকায় পঞ্চায়েতের প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ওরা ভাবছে এসব করে মানুষকে আতঙ্কিত করবে। ভয়ে কেউ ভোট দিতে যাবে না। আর ওরা ভোট লুট করবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, হামলা চালানো বা  বোমাবাজি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে জোট প্রার্থীদের এলাকায় কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই, এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার জেলার টাকাগাছ রাজারহাট অঞ্চলের  শুনশুনি বাজার এলাকায় এসেছিলেন ভোটের প্রচারে। সেখানে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৩/২১০ নম্বর বুথে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গেছেন। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাদের (Bjp) দলীয় পতাকা জলে ফেলে দিয়েছে এবং অস্থায়ী পার্টি অফিসের কাপড় ছিড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটের ঠিক মুখে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

    কীভাবে আক্রমণ চালাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতা (Bjp) আব্দুল কাদের এন্টনি বলেন, গতকাল দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক আমাদের এলাকায় পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করে যান। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অঙ্গুলি হেলনে দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে আমাদের পার্টি অফিসে কাপড়গুলোকে ছিড়ে দেয়। সেই সাথে আমাদের পতাকাগুলো নিয়ে জলে ফেলে দেয়। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই তারা এমন নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এভাবে অত্যাচার করে বিরোধীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ভোটেই এর যোগ্য জবাব তারা পাবে।

    অন্যত্রও একই ধরনের হামলা (Bjp)

    অন্যদিকে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠিরের দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯ এবং ১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে এবং সেই সাথে দলীয় (Bjp) পতাকাগুলি নিয়ে তারা জলে ফেলে দেয়। স্থানীয় বিজেপির অঞ্চল কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস বলেন, পুরো এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে তাদের ফল ভালো হবে না। তাই তারা গতকাল গভীর রাতে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠির দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯,১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস ভেঙে বিজেপির দলীয় পতাকা সব জলে ফেলে দেয়। বিজেপির বক্তব্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এই ধরনের হামলা এবং আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। আর সবই চলছে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। ফলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার একাধিক জায়গায় তৃণমূলেরই (TMC) বিক্ষুব্ধরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই নির্দলরা এখন মন্তবড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, ভোটের দুদিন আগেই এলাকায় চলছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ঘর ছাড়া নির্দল প্রার্থী সহ বেশ কয়েকটি পরিবার। এমনটাই অভিযোগ নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের পরিবার। বুধবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের চাঁদকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলীদের হামলায় ভাঙচুর করা হয় নির্দল প্রার্থীর বাড়ি। আতঙ্কে ঘরছাড়া নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীদের পরিবারের লোকজন?

    বান্টি খাতুন বিবি আগে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি তিনি। তাই, তাঁর দেওর বিশু শেখ এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর তারপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের বউদি বান্টি খাতুন বিবি বলেন, আমার দেওর বিশু শেখ নির্দলে দাঁড়ানোর পর থেকেই তৃণমূলরা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর ভয় দেখাচ্ছে। এদিন সকালেও তৃণমূলীরা গ্রামে ঢুকে একাধিক নির্দল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে লুটপাট চালাই তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গ্রামে ঢুকতে পারছি না। অনেক পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।

    হবিবপুরেও নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর

    নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হবিবপুর পঞ্চায়েতের এলাকায়। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের বাবা সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমার ছেলে এই পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কুড়ি বছরের তৃণমূল সদস্য ছিল। কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটে দলের থেকে টিকিট না দেওয়ার কারণে সেই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন ছেলে ছাড়াও কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকী আমাকেও তাঁরা মেরেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা দল করি। আমি নিজে তৃণমূল পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েতের কুড়ি বছরের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাকেও ওরা মারধর করতে ছাড়েনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া গোটা পরিবার। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের। খোঁজ নেই নির্দল প্রার্থীর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল নির্দল প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি করছেন নির্দল প্রার্থীর পরিবার।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, নির্দলদের কোথাও হামলা চালানো হয়নি। বরং,ওরা অশান্তি পাকাচ্ছে। শান্তিপুরে আমাদের কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath: কেদারনাথ প্রাঙ্গণে করা যাবে না রিল বা ভিডিও! কড়া বার্তা প্রশাসনের

    Kedarnath: কেদারনাথ প্রাঙ্গণে করা যাবে না রিল বা ভিডিও! কড়া বার্তা প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথ (Kedarnath) মন্দির প্রাঙ্গণে কোনও ভিডিও বা রিল বানালেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল মন্দির কমিটি ও প্রশাসন। দিনকয়েক আগেই হলুদ পোশাক পরা প্রেমী যুগলের প্রোপোজের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। নেটাগরিকরা সরব হন, মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে বলে প্রতিবাদ চলতে থাকে নেটপাড়ায়। এই ঘটনায় আপত্তি জানায় বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (বিকেটিসি) এবং সেই মতো প্রশাসনকে চিঠিও লেখে তারা। 

    মন্দির কমিটির চিঠি

    চারধামের অন্যতম হল কেদারনাথ (Kedarnath)। ভক্তদের ভিড়ে চারধাম যাত্রার সময় এখানে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। পুণ্যার্থীদের বিশ্বাস, সাক্ষাৎ দেবাদিদেব মহাদেব বিরাজ করেন এই স্থানে। ভক্তির ভাব, আধ্যাত্মিকতার টানে বহু তীর্থযাত্রী এখানে এলেও, ইদানিং মন্দির চত্বরে অনেককেই, ভিডিও বা রিল বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়েই বিতর্ক।

    ধর্মীয় স্থানকে এভাবে পিকনিক স্পট বানানো যাবেনা, এই বলে সরব হতে দেখা গিয়েছে বহু স্থানীয় মানুষকে। তাঁরাও ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই কেদারনাথের পবিত্রতা নষ্ট হতে দেওয়া যাবেনা। অন্যদিকে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘মন্দির চত্বরে এ ভাবে ভিডিয়ো বা রিল তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করায় বহু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’’ জানা গিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে পুলিশের বক্তব্য, ‘‘কেদারনাথ মন্দির চত্বরে কোনও ভিডিও বা রিল বানানো যাবে না। কড়া নজরদারি চালানো হবে। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডিও বা রিল বানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

    তরুণ তরুণীর রিল

    কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এক যুগলের ভিডিও। ভিডিও এর চিত্রনাট্য অনেকটা এরকম, হলুদ পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ প্রার্থনা করছেন মন্দিরের দিকে তাকিয়ে। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন হলুদ শাড়ি পরা এক তরুণী। চোখ বন্ধ তরুণ চোখ খুলেই দেখেন তাঁর প্রেমিকা হাঁটু মুড়ে বসে আংটি হাতে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। এরপরেই পরস্পর গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয় ধর্মীয় স্থানে এহেন আচরণ নিয়ে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Vishakha Fulsunge || India🇮🇳 (@ridergirlvishakha)

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাল বিজেপি (Bjp)। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ৪ (চার) নং জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সরকার। মৃণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। এই অভিযোগ তুলেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। যদিও ভোটের মাত্র দুদিন আগে এই অভিযোগের পরিণতি কী হবে, সে ব্যাপারে বিজেপি সন্দিহান। 

    বিজেপির (Bjp) অভিযোগ ঠিক কী?

    প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, সাতটি ক্রিমিন্যাল কেসের আসামি মৃণাল সরকার কী করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের নামে মনোনয়ন জমা করতে পারেন। ক্রিমিন্যাল কোনও কেসের আসামি হলে নির্বাচন কমিশনের  নিয়ম অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বিজেপির (Bjp) অভিযোগ, মৃণাল সরকার তথ্য গোপন করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুরে।

    কী জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেডপি ৪ নম্বর আসনের প্রার্থী মৃণাল সরকারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি (Bjp) আনছে, তা মিথ্যা। যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, সে সবই তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলো সবই মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অনেকগুলিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। যে অভিযোগ বিজেপি করছে তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। কারণ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার ক্ষমতা বিজেপির নেই। সেই কারণেই পুরনো বিভিন্ন কেসকে হাতিয়ার করে তারা তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকদের উপর আচমকা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর বিনপাড়ার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কীভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় প্রচার করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে বিজেপি প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভানেত্রী পূর্ণিমা দত্ত বলেন, ঘটনার পরে পুলিশ প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। উপরন্ত দলীয় প্রার্থী, কর্মী সমর্থকদের হয়রানি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল করছে। আসলে ওরা বিজেপিকে ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, ভোটের আগে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন বিন বলেন, নির্দল ও বিজেপি (BJP) একত্রিত হয়ে তৃণমূলের নাম কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল না, তাহলে তৃণমূল কী করে তাদের উপর হামলা করবে। সম্পূর্ণই দোষ চাপানো হচ্ছে তৃণমূলের উপর। আসলে তৃণমূল সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সেটা বিজেপির কাছে আতঙ্কের। আর সেই জন্যই আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share