Blog

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম অনুব্রতহীন পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে বীরভূমে। গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল। সেখানে ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি। জেলায় একাধিক ব্লকেই নির্দল প্রার্থী এখন তৃণমূলের পথের কাঁটা। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় রবিবার বীরভূমে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসে ঝড় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কোথায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    আগামী ৮ জুলাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন হাতে সময় খুবই কম। এমনকী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রার্থীদের সমর্থনে এলাকায় যাচ্ছেন এবং তাঁদের দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদনও করছেন। এদিন দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি পঞ্চায়েত এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামে ভোট প্রচারে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি প্রথমে গ্রামের একটি মন্দিরে প্রণাম করে প্রচার শুরু করেন। পরে, দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন তিনি। পাশাপাশি দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাছাড়াও দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, সেই জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।

    ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। গত ৯ বছরে কেন্দ্রে বিজেপির উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ লিফলেট ভোটারদের হাতে তুলে দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে। সকলের কাছে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানান। তিনি ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, জেলার সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

    বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

    অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

    এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

    বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: উত্তপ্ত বারাকপুরের পাতুলিয়া, ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ২

    BJP: উত্তপ্ত বারাকপুরের পাতুলিয়া, ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বারাকপুর-২ ব্লকের পাতুলিয়া এলাকা। রবিবার এখানে বিজেপি (BJP)-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মোট দুজন জখম হয়েছেন। দুই দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মহেশলাল প্রজাপতিকে মারধর এবং প্রার্থীর মা-বাবার উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শম্ভু সাউ নামে এক তৃণমূল কর্মী পাম্পে কাজ করছিলেন। তখনই বিজেপি প্রার্থী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। তাতে শম্ভু সাউ জখম হন। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী মহেশলাল প্রজাপতি বলেন, সকাল বেলা আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় শম্ভু সাউ নামে এক তৃণমূল কর্মী আমাকে রাস্তায় আটকায়। আমার মা, বাবার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে, প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে। এর আগেও ওই তৃণমূল কর্মী হুমকি দিয়েছিলেন। বেশ কিছু দিন আগে রহড়া থানায় গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে আমি নালিশ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। তাই, এদিন আমার উপর হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কিশোর বৈশ্য বলেন, এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের প্রচার চলছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বিজেপির ওই প্রার্থী দল বেঁধে এসে আমাদের দলীয় কর্মীকে পাম্প হাউসে এসে মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর দাপটের স্মৃতি এখনও তরতাজা! এর মধ্যেই আরেক আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশেষত শিশুদের জন্যই এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া এই বিপদ আটকানো যাবে না বলেও তারা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)?

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাম, মিজেলস ও রুবেলা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক দেশে কয়েক লাখ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ভারতের জন্যও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিশ্ব জুড়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের সুস্থ রাখতে এই তিন রোগ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন হচ্ছে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর ন’মাস বয়সের পরে এমএমআর ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক। তাহলেই এই বিপদ কমানো যাবে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে। আর আক্রান্ত হলেও বড় বিপদ হয় না। তাই ভ্যাকসিনকেই রোগ মোকাবিলার সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    কেন বাড়লো এই রোগের প্রকোপ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে একাধিক বিপর্যয় চলেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যু বিপর্যয় হয়নি। যারা সদ্যোজাত, তাদের জন্যও নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল করোনা। সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ বাবা-মা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। ফলে, তাদের অনেককে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়ে যে প্রচার হয়, সেটাও বন্ধ ছিল। অনেক সময়ই শিশুর ন’মাস বয়সে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। করোনার জেরে এক দিকে সদ্যোজাতদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তেমনি স্কুলেও ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বন্ধ ছিল। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীর ৮০ কোটি শিশু ২০২০-২২ সালের মধ্যে এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন হবে প্রথম হাতিয়ার। কিন্তু তার পরেও আক্রান্ত হলে, অযথা ভয় নয়। বরং সচেতনতার মাধ্যমে শিশু দ্রুত সুস্থ হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট হয়। যেমন, জ্বর, সর্দি-কাশি। মুখের ভিতরে সাদা গুটি দেখা যায়। দেহের একাধিক জায়গায় লাল গুটি স্পষ্ট হয়। বিশেষত, কানের পিছনে লাল গুটি দেখা যায়। এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (WHO)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে থাকা মজুত বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির প্রাচীর। এছাড়াও সকেট বোমা উদ্ধার হল ডোমকলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৩ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ এবং সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে, তাতে জেলা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

    কোথায় বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    রবিবার দুপুর নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার জয়কৃষ্ণপুর মাঠপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই কংগ্রেস কর্মী জাহাঙ্গির শেখ। আপাতত বোমা বিস্ফোরণের স্থান এবং বাড়িটিকে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বাড়ির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে। বোমা রাখার উদ্দেশ্য কী ছিল? কোন কাজে ব্যবহার করতে বোমা রাখা হয়েছিল? সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কোথায় সকেট বোমা উদ্ধার হল

    এবার ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার তাজা সকেট বোমা। ডোমকলের ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় বোমগুলি। শনিবার সকালে বোমার ব্যাগ ও বালতি দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় ডোমকল থানার পুলিশকে। সেইমতো খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ পিস তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। বোমা উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল ঘিরে খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারপরে বিকেলের দিকে তারা এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। তবে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে তাজা সকেট বোমা উদ্ধারে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন! এই নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মীরা। যেভাবে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর, ডোমকল, সালার, সামসেগঞ্জ, নিমতিতা, ভরতপুর, বেলডাঙ্গায় পরপর নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণের কথা উঠে এসেছে, তাতে আগামী ৮ই জুলাই কেমন ভোট হয়, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    BJP: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানার জে কে নগর এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। বিজেপি নেতা ব্রিজমোহন, মহিলা নেত্রী সিন্টু বাউরি, মিঠু মাঝি নামে বিজেপির কর্মীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রবিবার জে কে নগর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করছিলেন। মূলত ভোটারদের বাড়়ি বা়ড়ি গিয়ে বিজেপির পক্ষে জনগণের সমর্থন চাইছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। এমন সময় এলাকার তৃণমূল নেতা বিনোদ নোনিয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এমনকী বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক মিলে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলাম। তখনই ওরা আমাদের উপর হামলা চালাল। ওদের হামলার জেরে আমাদের প্রচার ভেস্তে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই হামলার খবর শুনে আসানসোলের দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল জে কে নগর এলাকায় যান। দলীয় প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্নায় বসেন। তিনি বলেন, বিজেপিকে তৃণমূল এতটাই ভয় পাচ্ছে যে এলাকায় প্রচার পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। এসব চলতে পারে না। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা বিনোদ নোনিয়া বলেন, এই এলাকায় বিজেপির (BJP) কোনও জায়গা নেই। এখানে উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভোট দেবে। বিজেপি অকাণে বাজার গরম করতে এসেছিল। দলনেত্রীকে চোর চোর বলছিল। মানুষ প্রতিবাদ করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও হামলা চালানো হয়নি। ওরা অকারণে আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠ (Birbhum) এলাকায় “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিলীপ ঘোষ বিজেপির কর্মী এবং প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন। আর সেখান থেকেই শাসক দল তথা তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। ছাড় পাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপালের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

    রাজ্যাপাল নিয়ে কী বললেন (Birbhum)?

    বীরভূমে (Birbhum) দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে ১২ হাজার নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ওরাও তো তৃণমূল! তৃণমূল দলটা চোরে ভর্তি। তাই নিজেদের মধ্যে “খুনোখুনি” করে চলেছে। আরও হত্যালীলা দেখতে পাবেন। কারণ পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ রাজ্যপাল প্রসঙ্গে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাজটা গভর্নর করছেন! নিহত ও আহতদের বাড়িতে যাচ্ছেন। এমন দিন এসেছে যে বাংলার রাস্তায় বোমা-বন্দুক পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আইএসএফ ও তৃণমূল সংর্ঘষ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ দুই দলকেই কটাক্ষ করেন।

    ছাপ্পা ভোট প্রসঙ্গে কী বললেন?

    নির্বাচনে হবে বিজেপির জয়। কিন্তু তৃণমূল ভুয়ো কাগজপত্র আর বল প্রয়োগ করে নির্বাচনে জয়ী হাওয়ার কৌশল করছে। ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস অতিরিক্ত ব্যালট ছাপিয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারাপীঠে (Birbhum) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বুথে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করবেই। সরকারি কর্মচারীরা ভয়ে ভোট করতে যাবে না। এক্সট্রা ব্যালট যেগুলি ছাপানো হয়েছে, সেগুলি ঢোকানো হবে। আর এভাবেই জিততে চাইছে তৃণমূল।

    নির্বাচনী প্রচারে দিলীপ বীরভূমে (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের ভোট প্রচারে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। সকাল থেকেই সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সকাল ন’টায় তারাপীঠ (Birbhum) কড়কড়িয়া মোড়ে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে এক হাত নেন শাসকদল তৃণমূলকে। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও দুষ্কৃতী নেই, কোনও আশ্রিত নেই। তৃণমূলের এত ভালো ছাতা থাকতে আমাদের কাছে আশ্রয় নেবে কেন? সব গুন্ডারা তৃণমূলের আশ্রয়েই আছে। তারাই আলাদা আলাদা দল হয়ে মারামারি করছে। সব জায়গায় তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি, মারামারি করছে, ভয় দেখানো হচ্ছে সর্বত্র। ভয় না দেখিয়ে তৃণমূল জিততে পারবে না! তবে তৃণমূল এবার হারবে। তাই হারার ভয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ajit Pawar: ভাঙন এনসিপিতে! ৯ জন বিধায়ক নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি জোটে অজিত পাওয়ার

    Ajit Pawar: ভাঙন এনসিপিতে! ৯ জন বিধায়ক নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি জোটে অজিত পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই, তা সত্যিও হল। কাকা-ভাইপোর সংঘাতে ভাঙন এনসিপিতে। শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিলেন তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। জানা গিয়েছে, অজিতের সঙ্গে রয়েছেন দলের ২৯ জন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা হল ৫৩। এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অনেক নতুন সমীকরণ তৈরি করল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। গত বছরেই শিবসেনা ভেঙে এনডিএ-তে সামিল হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এবার অজিত পাওয়ার সেই একই পথে হাঁটলেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে এনডিএ শিবির বাড়তি মাইলেজ পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বেশি থাকলেও শিবসেনাকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ তারা ছেড়ে দেয়। দলত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, এনসিপিতে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছিলেন শরদ পাওয়ার। এমনকী, পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগদান করার সিদ্ধান্ত একাই নিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার।

    রবিবার রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত

    রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অজিত। এদিন তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন অন্য এনসিপি নেতারাও। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে দেখা যায় প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবলকেও। জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন অন্য এনসিপি বিধায়করাও।

    সকালেই নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন অজিত (Ajit Pawar)

    মহারাষ্ট্র রাজনীতির অন্দরের খবর, রবিবার নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অজিত পওয়ার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়। এনসিপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই বিধায়কদের প্রত্যেকেই দলের অন্দরে ‘অজিত অনুগামী’ বলে পরিচিত। অজিতের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রবিবারই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে ভোট না দিলে লক্ষ্ণীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে এরকম দেওয়াল লিখন ঘিরে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই একই কথা শোনা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়কের গৌতম পালের গলায়। তিনি বলেন, একটা ভোটও নির্দলকে আর জোটকে দেবেন না। কারণ সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সাগর দিঘিতে বায়রন জিতেছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেন। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ঠিক কী বলেছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক গৌতম পালের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি উদাহরণ হিসেবে, সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে বিরোধীদের ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, নির্দল হিসেবে যারা নির্বাচনে লড়াই করছে। ভোটের পরে তাদের ‘হিসেব’ নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের মুখে। ভিডিও টিতে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল বলেছেন, নির্দল যারা করে তাদের ইতিহাস জানা আছে। আমরা সব হিসেব লিখে রেখেছি। ভোটের পরে হিসেব হবে। যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পরেছে গোটা জেলা জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারির পর নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত বিরোধী দলগুলি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আসলে রাজবংশী সহজ সরল মানুষদের এসব মিথ্যা বলে ভোটের আগে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট দিতে পারলে তৃণমূলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহারের (Cooch Behar) সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল ১১ টায় সিতাইয়ে যাওয়ার সময় ৭৫ নম্বর বিএসএফ বিওপিতে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সীমান্তের চোরাচালান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণের জেলাগুলির মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও ভোটের মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের চোপড়া এবং দিনহাটাতে শাসকচ-বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃতের নাম ছিল মহঃ আব্দুর রহমান। ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারীদের বিষয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের বিষয় নিয়ে হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনও করছেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

    ভোট নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান

    শাসক দলের নেতারা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল কেবল মাত্র বিরোধীদের বাড়িতে যাচ্ছেন! কিন্তু রাজ্যপাল গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এমনকী হাসপাতালেও গিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল কোচবিহার (Cooch Behar) সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, হিংসার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে আইনের শাসন কার্যকর করার কথা বলেন। হাইকোর্টের আদেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর কথাও বলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share