Blog

  • Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পুরুলিয়ার (Purulia) পুঞ্চায় মহা মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন পুঞ্চার দলহা মোড় থেকে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডি পর্যন্ত এই মহা মিছিল হয়। এদিন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিবেক রাঙা সহ দলের নেতৃত্ব। এদিন মিছিল শেষে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডির পাশে একটি পথসভায় যোগদান করেন সুকান্তবাবু।

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা পরিষদ নিয়ে কী বললেন?

    পুরুলিয়া (Purulia) পৌঁছে ট্রেন থেকে নেমে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বলেন, এই পুরুলিয়ার এসপি আগে ডায়মন্ডহারবারে ছিলেন। কয়লা চোর ভাইপো পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ভোট লুটের জন্য পাঠিয়েছেন এই দলদাস পুলিশকে। কিন্তু লাভ হবে না। পুরুলিয়ার মানুষ ভোটের মাধ্যমে তৃণমূল সরকারকে বহিষ্কার করবেন। এখানকার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের ভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কুড়মি সমাজের ভোট বিজেপিই পাবে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের ইডি দফতরে হাজিরা প্রসঙ্গে বলেন, সব চোর জেলে যাবে। কয়েকদিন পরেই ‘সায়নীর অন্তর্ধান রহস্য’ সিনেমা প্রকাশিত হবে বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    সভা মঞ্চ থেকে কী বললেন সুকান্ত

    এদিন মঞ্চ (Purulia) থেকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। শাসক ভেবেছিল, বিজেপি হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু মনোনয়নের প্রথম দু’ দিনেই আমরা আমাদের প্রার্থীদের অধিকাংশ মনোনয়ন করে দিয়েছি। বিরোধীদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মনোনয়ন জমা করেছে একা বিজেপিই। শাসক দল বিজেপির মনোনয়ন দেখে ভয় পেয়ে গেছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াই গণতন্ত্র মেনেই করব। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বাহিনী প্রয়োগের যথাযথ রিপোর্ট পাঠায়নি। যে ৩২২ কোম্পানি নিয়ে আসা হয়েছে, তাকে কীভাবে বুথ স্তর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শাসক এবং নির্বাচন কমিশন যে কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন চায় না, সেই বিষয়েও তিনি সুনিশ্চিত! 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের কথা ভাবলে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার, জোর-জুলুমের কথাই বেশি মাথায় আসে। কিন্তু তাদের শাসিত ভারতে ব্রিটিশরা এমন সব স্থাপত্য দিয়ে গিয়েছে, যেগুলির ভূমিকাও উপেক্ষা করার নয়। ব্রিটিশদের এই ধরনের কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় অবস্থিত ‘টালা ট্যাঙ্ক’। এই সুবিশাল ওভারহেড রিজার্ভারটি শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank)। এটি কোনও সাধারণ ট্যাঙ্ক নয়। এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস।

    কী উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই ট্যাঙ্ক (Tala Tank)?

    ব্রিটিশ আমলে ধীরে ধীরে কলকাতা যখন একটি পূর্ণ শহরে পরিণত হচ্ছে, সেই সময় পরিষেবা বাড়ানো ছিল ব্রিটিশদের মূল লক্ষ্য। তার মধ্যে সব থেকে বেশি যেটির প্রয়োজন ছিল, তা হল নাগরিকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। আর সেই উদ্দেশ্যেই কয়েকটি পুকুর খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হেদুয়া, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, ভবানীপুরের পুকুর থেকে সেই সময় কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, শহর আরও বাড়তে থাকলে পানীয় জলের প্রয়োজনও বাড়তে থাকে। এই সমস্যাকে মাথায় রেখে তৎকালীন পৌর ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার ডেভেরাল তাঁর সহকারী মিস্টার পিয়ার্স-এর সাথে মিলিতভাবে ১৯০১ সালে একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক (Tala Tank) তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই প্রস্তাবটি ১৯০২ সালে গ্রহণ করা হয়। 

    কত খরচ হয় এই ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank) নির্মাণে?

    ১৯০৩ সালে পুরসভায় নিযুক্ত হন নতুন ইঞ্জিনিয়ার ডব্লু বি ম্যাকক্যাবে। তিনি এই প্রস্তাব দেখেন এবং কিছু রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে কলকাতার মানুষ আরও উন্নত জল পরিষেবা পেতে পারে। আর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় সমস্ত পৌরসভা। এই সময় ট্যাঙ্কটি (Tala Tank) নির্মাণ করতে তিনি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা খরচ ধার্য করেন, যা ছিল আগের অঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এতে পূর্ণ সমর্থন ছিল সবার।

    কোথায় এবং কীভাবে নির্মিত হয় এই ট্যাঙ্কটি (Tala Tank)?

    ১৯০৯ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার এই ট্যাঙ্ক নির্মাণের (Tala Tank) সূচনা করেন। ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে টি সি মুখার্জি অ্যান্ড কোম্পানি। কংক্রিট ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে স্যার রাজেন্দ্রলাল মুখার্জির মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি। আর তার সাথে বাকি কাজে যুক্ত ছিল লিডসের ক্লেটন কোম্পানি। 
    প্রথমে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হবে, সেখানে পুকুরগুলি বোজানোর কাজ শুরু হয়। পুকুরগুলিকে জলশূন্য করে চারদিকে শালবল্লার খুঁটি দিয়ে ২০-২৫ ফুট পাইল করে খোয়া দিয়ে ভর্তি করে স্টিম রোলার দিয়ে সমান করা হয়। এর ওপর বোল্ড স্টিল জয়েন্টের ওপর স্তম্ভগুলিকে দাঁড় করানো হয়। ১৯১১-র ১২ জানুয়ারি এর কাজ শেষ হয় এবং এই বছরেই ১৬ই মে এটি চালু করা হয়। এটি ছিল ১১০ ফুট উঁচু, ১৬ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট, ১ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের। এর জলধারণ ক্ষমতা  ৯ লক্ষ গ্যালন। গোটাটা চারটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা হয়, যাতে জল পরিষেবা বন্ধ না রেখেই অন্য একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। 

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল টালা ট্যাঙ্ক (Tala Tank) ধ্বংস করা

    ভারতীয় ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী অতীত বহন করে চলেছে এই টালা ট্যাঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে জাপানিরা পর পর অনেকগুলি বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি একে। মাত্র নয়টি বোমার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধেও চিন ও পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল এই ট্যাঙ্ক। কিন্তু তারাও কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই টালা ট্যাঙ্ক। আজও তা (Tala Tank) কলকাতার জল পরিষেবার একমাত্র আধার হিসাবে জল পৌঁছে দিচ্ছে গোটা শহর জুড়ে।

    আর বর্তমানে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভোট দেবেন না”। এই বার্তা দিয়ে প্রচার করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর আসনের নির্দল প্রার্থী মদনকুমার মণ্ডল। রীতিমতো এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে তিনি প্রচার করছেন। নিজেকে ভোট না দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। রাজ্যে শাসক দলের টিকিট না পেয়ে বহু তৃণমূল কর্মী নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলকে হারানোর জন্য নির্দলরা রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছেন। জেলায় জেলায় তৃণমূল-নির্দলদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নির্দল প্রার্থীর এই উদ্যোগকে গেরুয়া শিবির কুর্ণিশ জানিয়েছে।

    ফ্লেক্সে এভাবে প্রচার নিয়ে কী বললেন নির্দল প্রার্থী?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনবাবু দীর্ঘদিনের বিজেপি (BJP) কর্মী। কোলাঘাট মণ্ডল ৪ এর সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র পার্টির অনুমতি নিয়েই জমা করেন তিনি। তবে, শেষ মুহূর্তে অজ্ঞাত কোনও কারণে দলের টিকিট তিনি পাননি। সেই জায়গায় কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর সিটে বিজেপির টিকিট পান বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তবে, এই ঘটনার পরই মদনবাবু নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। মদনবাবু বলেন, শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সুযোগ হয়নি আমার। পাশাপাশি টোটো চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হই। কোলাঘাটের কুশাড়, যোগীবেড়, পয়াগ, ধর্মবেড়, ক্ষেত্রহাট, পারুলিয়া ও পাথুরিয়া বুথ এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে আমাকে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করছি। তিনি ফ্লেক্সের মাধ্যমে এই বার্তাই দিচ্ছেন, তাঁকে যেন ভোট না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। 

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    মদনবাবুর এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির কোলাঘাট ব্লক কনভেনর তথা বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি তুষার দোলই। তিনি বলেন, মদনবাবু দলের সক্রিয় কর্মী। তিনি দলের স্বার্থে যে ভাবে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি দলের অন্য কর্মীদের কাছে কার্যত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গড় হল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)। গত লোকসভা ও বিধানসভায় এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসক দল। তাই এবার জেলা পরিষদ দখল করাই গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে শাসক দলের কোন্দলকেই হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। তাই জেলা জুড়ে প্রচারে আসছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কীভাবে সুবিধা পাবে বিজেপি (Alipurduar)?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা ব্লকে বিজেপির দাপট এতটাই যে, সেখানে শাসক শিবিরের তৃণমূল প্রার্থীরা রীতিমতো চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আলিপুরদুয়ার ১, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকেও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে বেশ জোরদার। তবে এখানে বিজেপির কাছে প্লাস পয়েন্ট হল শাসক শিবিরের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল। যার বাড়তি সুবিধা পাবে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এরপর শুভেন্দুর সভা হতে চলেছে। আর তাঁকে ঘিরেই রীতিমতো টগবগ করে ফুটছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Alipurduar) ভূষণ মোদক বলেন, ২ জুলাই শুভেন্দু অধিকারী আলিপুরদুয়ার জেলার তিনটি জায়গায় নির্বাচনী সভা করবেন। এছাড়াও ৪ জুলাই রাজু বিস্তা নির্বাচনী সভায় আলিপুরদুয়ারে আসছেন। তিনি জেলার তিনটি জায়গায় ওইদিন সভা করবেন। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী বীরপাড়ার জুবিলি মাঠ, কালচিনি সুভাষিনী টি গার্ডেন মাঠ, কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে ওইদিন তিনটি জনসভা করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তাঁর এই নির্বাচনী সভাগুলিকে কেন্দ্র করে সেই তাপ-উত্তাপ অনেকটাই আমজনতার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বিজেপি দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল এই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায়। নির্বাচন ঘোষণা হতেই সব আসনে মনোনয়ন জমা করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভের কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। এমনকি যাঁদের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার কথা ছিল, তাঁদের নাম শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতা শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে। এই সুযোগে ভোটে বিজেপি নিজেদের প্রচার অভিযান চালিয়ে জেলায় বাজিমাত করতে চাইছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করছেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল তৃণমূলের ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, এমন অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়া ধুবুলিয়ায় (Nadia)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মনোনয়নের পর থেকেই একমাত্র শাসক দলের বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় এইরকম অতাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

    কী ঘটেছে (Nadia)?

    বেশ কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিথ্যা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত খাজুরি পুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। ভোটের আগে বাড়িতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেছেন এই বিরোধী কর্মীরা। কিন্তু কিছু ফল হয়নি। গত বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর (Nadia) ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার বিরোধী কর্মীদের দাবি, আমরা কংগ্রেস করি। তাই আমাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকেরা। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। তাই প্রশাসন এবং বিডিওর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে, একটা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে চাইছি।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    এলাকায় (Nadia) কংগ্রেস করেন সুনিতা বিবি। তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে ঘরছাড়া। কংগ্রেস দল করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গেলেই বলে, দেখে নেব, খুন করে দেব এবং বাড়িঘর লুটপাটেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়ির পুরুষদের খুনের হুমকি মিলছে রোজ। শুধু তাই নই, প্রথমে শাসক দল আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেয় এবং এর পর আমদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে আমরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হই। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। বাড়িতে গেলেই রোজ মিলছে খুনের হুমকি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো! নিজের বাড়ি থাকতেই আমরা আজ গৃহহীন! এই প্রসঙ্গে সুনীতা বিবি পুলিশের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। তার আগেই তৃণমূলে ফের ভাঙন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি এলাকা থেকে ৪৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা এলাকা ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা এলাকায় বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তপনের বিজেপির বিধায়ক বুধরাই টুডু ও জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    যোগদানকারীদের কী বক্তব্য?

    মূলত এলাকার অনুন্নয়নের কারণেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে ভোটের কয়েক দিন আগে বালুরঘাটে বিজেপিতে (BJP) বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসলাম। আমরা তৃণমূলে থেকে শুধু বঞ্চনা ভোগ করেছি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। দলটা সুবিধাবাদী আর দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনে ভরে গিয়েছে। তাই আমরা সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা গ্রামে ২০ টি পরিবার ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা গ্রামে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগাদান কর। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করত। কিন্তু, তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে না। তাই তারা এদিন বিজেপিতে যোগদান করল। এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ভালো হবে বলে আশা করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বালুরঘাট ব্লকের সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, যারা যোগদান করেছে তারা কেউ তৃণমূলের নয়। বিজেপি (BJP) দেখানোর জন্য নিজেরাই নিজেদের লোককে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে। বরং জলঘর গ্রাঞ্চায়েতের চককাশিতে বিজেপি ছেড়ে ২৩ টি পরিবার তৃণমূলে এসেছে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তার কারণ ক্যান্সার। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা ইত্যাদির জেরে ক্যান্সার বিপদ বাড়ায়! তবে, আধুনিক জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই ক্যান্সার রুখতে তাঁরা খাবারের উপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হচ্ছে, ভারত সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মোট মৃত্যুহারের বড় অংশের কারণ ক্যান্সার। গলা, মুখ, ফুসফুস, অন্ত্র সহ দেহের একাধিক জায়গায় ক্যান্সারের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। কারণ, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, কত পরিমাণে তা শরীরে যাচ্ছে, এসবের জন্য নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়।

    কোন ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের প্রিজারভেটিভ ফুড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন পিৎজা, বার্গার, হটডগ জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রিজারভেটিভ খাবারে মাংস বা মাছের যে পুর দেওয়া হয়, সেখানে যে রাসায়নিক মেশানো হয়, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    এছাড়া অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন জাতীয় ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে, সেটাও শরীরে নানা রোগের কারণ হয়। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরে স্থূলতা বাড়ে। তাছাড়া, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ায়! তাই এই ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন দশ খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে? 

    ওই আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার হলে এই খাবার খেলেই সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে, এ ধারণা ভুল। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যার পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
    নিয়মিত কিসমিস কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিসমিসে যে ধরনের মিনারেল থাকে, তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত তাঁরা শিশুদের নিয়মিত অন্তত পাঁচটি কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে শিশুদের হজম ক্ষমতা বাড়বে ও অন্ত্র সুস্থ থাকবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    সব্জি বিশেষত পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন। তাই এই ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
    ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখা আপেল ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। 
    যে কোনও রান্নায় রসুন ও হলুদ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই দুই মশলা শরীরে একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত, হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। তাই হলুদ বিশেষ উপকারী। 
    যে কোনো ধরনের লেবু যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু নিয়মিত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম যা ত্বক ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 
    রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে ওই গবেষণা। তবে, তেল খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, নারকেল তেলের বেশি ব্যবহার আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া অলিভ অয়েলের ব্যবহার শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেও ওই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 
    ভুট্টা (কর্ন) বা ওটস জাতীয় দানাশস্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে শরীরের ওজন বাড়ে না। আবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট শরীর পায়। তাই এই ধরনের দানাশস্য খুব উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস! জানুন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস

    Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস! জানুন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ শক্তির ভিত কেঁপে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের ধ্বনি ছিল ‘হুল’ (Hul Diwas), যার আক্ষরিক অর্থ বিদ্রোহ। ফি বছর ৩০ জুন পালিত হয় ‘হুল দিবস’। একই পরিবারের ছয় ভাইবোনের (সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, আর দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মু ) নেতৃত্বে এই জনজাতি আন্দোলন শুধুমাত্র ভারত নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ এক দৃষ্টান্তও বটে। শাসকের শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে অধিকার চাওয়ার এই সংগ্রাম আজও প্রেরণার স্রোত। সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। তার আগে ১৮৫৫ তে এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক।

    কেন অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সহজ, সরল সাঁওতালরা?

    সহজ, সরল জনজাতিদের জল-জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভূমির ওপর কর চাপায় তারা। যা আদায় করত কোম্পানির লেঠেল বাহিনী। এছাড়া সাঁওতাল রমণীদেরও খারাপ নজরে দেখা হত। যা কখনও মেনে নিতে পারেনি সাঁওতালরা। বঞ্চিত ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হতে হতে তা বিদ্রোহের আকার নেয়। বর্তমান ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার ভাগনাদিহির মাঠে শুরু হয় জমায়েত। গবেষকদের মতে, আশপাশের চারশোর বেশি গ্রামের সাঁওতাল সেদিন জড়ো হয়েছিলেন অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, সেদিন জমায়েত হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি জনজাতি সমাজের মানুষজন। শুধুমাত্র ইংরেজ নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জমিদার ও মহাজনরাও সাঁওতালিদের ওপর জোর-জুলুম ও অত্যাচার চালাত। সেখানেই প্রাপ্য দাবি ছিনিয়ে নিতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন জনজাতির বীর সন্তানরা। এরপরেই শুরু হয় যুদ্ধ। বিদ্রোহের থেকে যুদ্ধ বলাই ভালো। কারণ ব্রিটিশ সেনাকে সেদিন নামতে হয়েছিল বীর জনজাতিদের বিরুদ্ধে লড়তে। ‘হুল’ ‘হুল’ ধ্বনিতে সেদিন আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছিল বর্তমান ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকার।

    ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে সশস্ত্র পদযাত্রা

    সিধু-কানুর নেতৃত্বে ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল। পরবর্তীকালে দেশ অনেক গণপদযাত্রার সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু আজ থেকে ১৬৮ বছর আগে অধিকারের দাবিতে এমন পদযাত্রা যে কোনও স্বাধীনতাকামী মানুষের মনকে নাড়া দেয়। ঐতিহাসিকদের মতে, পদযাত্রার সময় অত্যাচারী দারোগা মহেশাল দত্ত ছয়-সাতজন সাঁওতাল নেতাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে। এরপর ব্রিটিশ পুলিশ সিধু ও কানুকে গ্রেফতার করতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্ধ সাঁওতাল বিপ্লবীরা ৭ জুলাই পাঁচকাঠিয়া নামক স্থানে মহাজন কেনারাম ভগত, মহেশাল দত্ত সহ ইংরেজ পক্ষের ১৯ জনকে হত্যা করেন এবং সেখানেই সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত হয়। গবেষকরা বলছেন, এরপর টানা আট মাস ধরে চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ। দাপট, শৌর্য, বীরত্বে তখন ওই অঞ্চলগুলিতে শেষ হয় ব্রিটিশ আধিপত্য। ২১ জুলাই কাতনা গ্রামে ইংরেজ বাহিনী বিপ্লবীদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে। রণে ভঙ্গ দেয় ব্রিটিশরা।

    জুলাই মাসেই বীরভূম জেলার তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা। অভিযোগ, সেখানে সাঁওতাল জনগণকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেওয়ার পরিবর্তে অত্যাচার করা হত। ১৮৫৫ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিধু-কানুর বিরুদ্ধে ইংরেজ সরকার ‘অস্বা সামরিক আইন’ (অস্ত্রশস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা) জারি করে। কিন্তু আন্দোলনের সামনে এখানেও পিছু হঠতে হয় ব্রিটিশদের। ১৮৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে তারা। আট মাসব্যাপী বিদ্রোহের শেষ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে সিধু নিহত হন এবং বিপ্লব সংগঠিত করার অপরাধে কানু মুর্মুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিদ্রোহের অন্যতম বীরাঙ্গনা ফুলমণি মুর্মুকে ব্রিটিশ সেপাইরা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়, এমনটাই মত কোনও কোনও গবেষকদের। আজও এই বীরাঙ্গনা জনজাতি সমাজে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

    সাঁওতাল বিদ্রোহ (Hul Diwas) আমাদের সামনে এক দৃষ্টান্ত। যা স্মরণ করায় অন্যায়ের শিকার হয়ে সারাজীবন মাথা নিচু করার থেকে, মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ অনেক সম্মানের, অনেক মর্যাদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলী তাণ্ডব শুরু হয়েছে। রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী শক্তি হচ্ছে বিজেপি। সেই বিজেপির (BJP) প্রার্থী এবং দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটছে জেলায় জেলায়। এবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার বামুনের চক ১২৭ নম্বর বুথে। জখম বিজেপি কর্মীর নাম দেবাশিস হালদার। ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়াপাড়া এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিস হালদার। সেই সময় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে প্রথমে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে জখম ওই বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পর এলাকা ছেড়ে পালায় হামলাকারীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের ছেলেরা আমাকে ঘিরে ধরে। বিজেপি না করার জন্য চাপ দেয় তারা। পঞ্চায়েতে হারলে বা জয়ী হলেও হামলা চালানো হবে এবং স্ত্রীর শাঁখা ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়। আমি আপত্তি করলেই ওরা আমায় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হাতে, পায়ে গুরুতর চোট লাগে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) প্রার্থী বিভাস কাজি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। ওরা সেটা বুঝে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষেই এবার জনমত যাবে, এই আশঙ্কা করেই ওরা আমাদের দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যুব তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপি হালদার বলেন, বিজেপি (BJP) নাটক করছে। এই ধরনের হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিজেরা হারবে জেনে আগাম এসব সন্ত্রাসএর মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরিকে ছুটিতে পাঠাল রাজ্য। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা ডিআইবি দফতরের কাশীনাথ চৌধুরিকে। আজই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরি ১৫ দিনের ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাশীনাথ চৌধুরি আগেও নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    ভোটের আগে আইসি বদলে প্রশ্ন

    ভোটের আগেই এই আইসি বদলকে ঘিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলেও পড়ে গিয়েছে শোরগোল। এক্ষেত্রে নির্বাচন শান্তিতে সম্পন্ন হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে। এখানেই পরাস্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
    এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইভোল্টেজ এলাকা বলে চিহ্নিত নন্দীগ্রাম। বিরোধীদের উপর হামলার বার বার অভিযোগ আসছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্য সরকার পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে চলেছে। বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও সরব শুভেন্দু। শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন জানাচ্ছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিশের এই পরিবর্তনে কি শান্তিতে ভোট হবে বাংলা তথা নন্দীগ্রামে।

    আইসি বদল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কোনও লাভ হবে না। এই আইসি ওদের ক্যাডার ছিল। এগুলো করে কোনও লাভ নেই। থানার টেবিল-চেয়ার-কম্পিউটার সব আমার সঙ্গে আছে। থানার প্রতিটা ইট আমার সঙ্গে আছে। ফলে কোনও একজন ব্যক্তিকে বদলে, এখানে কেন, কোথাও কোনও সুবিধা হবে না। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করি না। পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করে চোর তোলামূল। তাদের লাগে পুলিশ। আমাদের লাগে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share