Blog

  • TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে তৃণমূলের (TMC) ভরতপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে বিশাল জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে, সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের হারানোর জন্য কোনও প্রস্তুতি সভা নয়। এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই। দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগেই এই জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধায়ক নিজের বিধানসভার চেয়ারম্যান। অথচ এই নির্বাচনে আমার কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আহ্বায়ক হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করছি। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ প্রধান বক্তা। আর জলঙ্গির বিধায়ক ছাড়াও অনেকে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই আমরা আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আরও ভালোভাবে তুলে ধরব। জমায়েতে প্রচুর কর্মী, সমর্থকের যে ভিড় হবে তার তিনি আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই ধরনের সভা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বেশ বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছে। এতে দলের আখের ক্ষতি হবে বলে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু, এই ধরনের দল বিরোধী সভা বন্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই জেনে দলের কর্মীরাও হতবাক। তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় বলেন, যে যা খুশি করতেই পারে। তাতে আমার কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    Emergency: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ১৯৭৫, কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতান্ত্রিকতার চরম নজির সেদিন দেখেছিলেন ভারতবাসী। দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যা চলেছিল ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। রবিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৪৮ তম বর্ষপূর্তি। মিশর সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এদিন সেই অন্ধকারময় দিনগুলির কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এ দিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতিহাসের অবিস্মরণীয় সময় ছিল জরুরি অবস্থার (Emergency) দিনগুলি।”

    তাঁর আরও সংযোজন, “জরুরি অবস্থার যারা বিরোধিতা করেছিলেন এবং আমাদের গণতন্ত্রের অন্তরাত্মাকে ধরে রাখতে লড়াই করেছিলেন, সেই সমস্ত সাহসী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। জরুরি অবস্থার অন্ধকারময় দিনগুলি ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত।”

    বিজেপি নেতৃত্বেরও একাধিক পোস্ট এদিন সামনে আসে

    বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব জরুরি অবস্থার (Emergency) ৪৮ তম বর্ষপূর্তিতে নিন্দা করেন কংগ্রেস স্বৈরতান্ত্রিকতার।

    কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, “গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। বিচার ব্যবস্থার হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। অত্যাচার, গ্রেফতার, খুন- ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দিনটি এই সমস্ত শব্দের সমার্থক। জরুরি অবস্থার অন্ধকারময় দিনগুলি ভুলবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যুদ্ধে জোর লড়াই শ্বশুর ও জামাইয়ের। শেষ হাসি কে হাসবে, শশুর নাকি জামাই, তা সময়ই বলবে। মথুরাপুর (South 24 Parganas) ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৩ নম্বর বুথে শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে মজেছেন এলাকার মানুষজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও নেই পারিবারিক বিরোধ। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেমন নির্বাচনী লড়াই

    বর্তমানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডল, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী শ্বশুর পালান পাইক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারপুরের (South 24 Parganas)  এই বুথের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মূলত বাম ঘেঁষা। আজ পর্যন্ত সিপিএমের হাতছাড়া হয়নি বলে জানা গেছে। সিপিএমের বিগত দুবারের প্রাক্তন প্রধান পালান পাইক, বর্তমানে দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নিজের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। একই বুথে তাই সকাল থেকে জামাই-শশুরের প্রচার চলছে জোর কদমে।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী পালান পাইক (South 24 Parganas) বলেন, বর্তমানে শাসক দল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ পাশে নেই। সেই কারণে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে এলাকার মানুষ তাঁর সাথে আছেন। তিনিই জিতবেন বলে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। তবে রাজনীতির বাইরে গিয়ে শশুর-জামাই-মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। এক্ষেত্রে সম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না, জানিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী (South 24 Parganas) জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডলের দাবি, বর্তমানে দিদির যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তিনি জিতবেন। এলাকার মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন বলে ব্যাপক আশাবাদী তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শশুরের সঙ্গেও সম্পর্ক ঠিকই থাকবে। তবে বিজেপির প্রার্থী পালনবাবুর মেয়ে তথা তৃণমূলের প্রার্থীর স্ত্রী, আপাতত স্বামীর পাশেই আছেন বলে জানিয়েছেন। ৮ই জুলাই নির্বাচনের পর গণনা হলে শেষ হাসি এখন কে হাসেন, সেটা ভবিষ্যতই বলবে। নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে উভয় পক্ষ প্রচার অভিযানে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর পরিবর্তে সেখানে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। তাই, এই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে।

    কেন তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি?

    সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শুনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয়। গ্রেফতার হন সুকুমার। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। তাই মনোনয়ন জমা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে তমলুকের পদুমপুরের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। লড়াইয়ে আছেন বিজেপির লক্ষ্মণ গুড়িয়া, সিপিএমের শ্রীকান্ত পাল, আম প্রতীকের নির্মল কুইল্যা এবং বটগাছ চিহ্নে পূর্ণচন্দ্র তুঙ্গ। প্রসঙ্গত, এই বুথের ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে তার ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজি নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে, তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ‘ সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইলা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে, ভোটে কোন অসুবিধা হবে না। গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।’ তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি এটা ঠিক নয়। আসলে দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একজন প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের নির্দল প্রার্থী রয়েছে। দল তাকে সমর্থন করবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। প্রকৃত ভোট (Panchayat Election) হলে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মিশরে মোদি! সাক্ষাৎ গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে, যাবেন আল হাকিম মসজিদে

    Narendra Modi: মিশরে মোদি! সাক্ষাৎ গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে, যাবেন আল হাকিম মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২৬ বছর পর প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে। জানা গিয়েছে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফতেহ-এল-সিসি এর আমন্ত্রণেই মোদির এই সফর। মার্কিন সফর শেষ করে ২৪ জুন, শনিবারই মিশর উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এটাই তাঁর প্রথম মিশর (Egypt) সফর। আর প্রথম সফরেই কায়রোয় অবস্থিত ১১ শতকের পুরোনো আল হাকিম মসজিদ পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যা ভারতের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়কে এক বিশেষ বার্তা দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মিশরে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    মোদি কায়রো বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবাউলি। প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি পরে এক মহিলা ভারতীয় হিন্দি সিনেমার গান গেয়ে মোদিকে স্বাগত জানান। যা শুনে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন কায়রো বিমানবন্দরে ‘গার্ড অফ অনার’ নেওয়ার পর প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    নরেন্দ্র মোদি পরিদর্শন করবেন মিশরের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের আল হাকিম মসজিদ

    জানা গিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যিক তথা অন্যান্য ইস্যুতে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে মিশরের প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি পরিদর্শন করবেন মিশরের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের আল হাকিম মসজিদ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ২০১১ সালে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের প্রধান সিইদনা বুরহানুদ্দিনের ১০০ তম জন্মদিনেও নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর ২০১৪ সালে বুরহানুদ্দিনের প্রয়াণে তাঁর ছেলে সইদনা মুফাদ্দাল সইফুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নরেন্দ্র মোদি মুম্বইয়ে যান এবং শোকজ্ঞাপন করেন।

    শনিবারই প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন গ্র্যান্ড মুফতি আব্দেল করিম আলেম এর সঙ্গে

    শনিবার মিশরে পা রেখেই গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সহ মৌলবাদ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এবিষয়ে গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘‘ প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে আমি সম্মানিত। এর আগেও দিল্লিতে সুফি সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়।’’

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাতের অন্ধকারে বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর এলাকার। নির্বাচনের প্রচার কাজের জন্য তৈরি হয়েছিল এই অস্থায়ী কার্যালয়। নির্বাচনের প্রচার কার্য থেকে বিজেপিকে আটকাতে এমন কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি জেলার নেতৃত্ব।

    কী সমস্যা হয়েছে (Dakshin Dinajpur)?

    দলীয় অস্থায়ী পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই তুলেছে বিজেপি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। এদিকে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইদিন বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গারামপুরে (Dakshin Dinajpur)।

    আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা রাজ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে অস্থায়ী কার্যালয় করা হচ্ছে। নির্বাচনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েতে জিততে পারবে না তৃণমূল। তাই ভয় পেয়ে এই ধরনের কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভাবে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি এই রাজ্যে নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে নির্বাচনের প্রার্থী এবং দলীয় কার্যালয় কোনওটাই বর্তমানে সুরক্ষিত নয়। আমরা এই বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব, জানিয়েছেন জেলার বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, তৃণমূল এধরনের কাজ করে না। বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপির, তাই এমন অপপ্রচার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে শূন্য করার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়ার কল্যাণী বিধানসভার ঘোড়াগাছা স্কুল মাঠে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির জনসভায় যোগ দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেয়। কিন্তু, তৃণমূল পঞ্চায়েতে সেই উন্নয়ন থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাই, এবার প়ঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে হবে।

    তৃণমূলের বহিষ্কার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল থেকে নির্দলে দাঁড়ানো প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করলে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, তৃণমূলের আবার বহিষ্কার! স্যান্ডো গেঞ্জির আবার পকেট, যেদিন গরুর গাড়িতে হেডলাইট ব্যবহার হবে আর স্যান্ডো গেঞ্জিতে পকেট ব্যবহার হবে সেদিনই দলটার অস্তিত্ব থাকবে। যে দলটা দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছে, গরু চোর, কয়লা চোর, চাকরি চোর সেই দলটার অস্তিত্ব আছে কি না সেটাই প্রশ্ন। এই পশ্চিমবাংলায় এই সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করবে সে নওশাদ সিদ্দিকি হোক বা অম্বিকা রায় হোক তাঁর জীবনে সংশয় তৈরি হবে। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদেরকেও নিশানা করেন শুভেন্দু।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক সংখ্যালঘু পরিবারের যুবকের। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন, সংখ্যালঘু ভাইদের এইভাবে প্রাণ দিতে হবে। তবে, সংখ্যালঘুরা আসতে আসতে সেটা বুঝতে পারছেন। কারণ, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর সেটা বুঝতে পেরেই তারা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কালো দিন!

    Emergency: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কালো দিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ২৫ জুন ১৯৭৫, কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতান্ত্রিকতার চরম নজির সেদিন দেখেছিলেন ভারতবাসী। দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যা চলেছিল ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না। সংবাদপত্রগুলির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। আরও অভিযোগ, দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। বন্ধ হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন। 
    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ব্রিটেনে গিয়ে বলেছেন, “মোদি জমানায় দেশে গণতন্ত্র নেই।” অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জরুরি অবস্থার সময় যাঁর পূর্বসূরীরা লোকতন্ত্রকে জেলের ভিতরে রেখেছিলেন, তাঁর মুখে গণতন্ত্র বিপন্নতার কথা মানায় কি? এবার জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপট, ঘটনাক্রম, গণতন্ত্র হরণ নিয়ে এই প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হল।

    জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণার কথা জানতো না মন্ত্রিসভাও!

    রাত তখন ৩ টে হবে। দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর বাসভবনে উপস্থিত তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি দেবকান্ত বড়ুয়া, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে। ইতিমধ্যে ২৫ জুন মধ্যরাতে জরুরি অবস্থা জারি হয়ে গিয়েছে। সই করেছেন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার।
    ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারলেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। তৎকালীন বিশিষ্ট সাংবাদিক ইন্দ্র মলহোত্রা ক্যাবিনেটে উপস্থিত সকল মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। সাংবাদিকের অভিমত, “মন্ত্রীরা সেদিনের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অসম্ভব রকমের আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন।” এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন সঞ্জয় গান্ধী। অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা, সমস্ত সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আসবে! তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে।

    কেমন ছিল জরুরি অবস্থার দিনগুলি?

    ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। ভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য নাম জর্জ ফার্নান্ডেজ। জরুরি অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইন্দিরা সরকার। হাতে পায়ে শিকল বাঁধা হয় জর্জ সমেত তাঁর ২৪ সহযোগীকে। সেই অবস্থায় তাঁদের রাস্তা দিয়ে হাঁটানো হত। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে পুলিশি অত্যাচার! জরুরি অবস্থায় কেরলের কালিকট ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র রাজেনের মৃত্যু ঘটে পুলিশ হেফাজতে। অকথ্য অত্যাচার করা তাঁর উপর উপর। সদ্য ২০ পার হওয়া ছাত্রের জীবন সেদিন কেড়ে নেয় ইন্দিরা সরকার। তারপর দেহ লোপাট করে ফেলে পুলিশ। শোনা যায়, এরপর থেকেই রাজেনের মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এমন অজস্র ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। অন্যদিকে বিহারের ১৬ বছরের কিশোর দিলীপ শর্মা। যাকে ১১ মাস ধরে বন্দি রাখে ইন্দিরা সরকার। অপরাধ তো একটাই ইন্দিরার স্বৈরতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। সেসময় জনসঙ্ঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    ১২ জুন ১৯৭৫, কেন ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা?

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। তাঁর দায়ের করা মামলায় রাজনারায়ণ ইন্দিরার বিরুদ্ধে ৬ টি অভিযোগ আনেন। রাজনারায়ণের অভিযোগগুলি ছিল
    ১) ভোটে ইন্দিরা গান্ধী অসাংবিধানিকভাবে ভারত সরকারের এক আধিকারিক  যশপাল কাপুরকে নির্বাচনী এজেন্ট করেন। কাপুরের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেননি, তারপরেও তাঁকে নির্বাচনী এজেন্ট করেন ইন্দিরা।

    ২) রায়বেরিলি থেকে ভোট লড়ার জন্য ইন্দিরা গান্ধী, স্বামী অদ্বৈতানন্দ নামের একজনকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন, যাতে রাজনারায়ণের ভোট কাটা যায়। 

    ৩) নির্বাচনী প্রচারে ইন্দিরা গান্ধী বায়ুসেনার বিমানগুলির যথেষ্ট অপব্যবহার করেন।

    ৪) ভোটে জিততে এলাহাবাদের পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের সাহায্য নেন ইন্দিরা, যা বেআইনি।

    ৫) ভোটারদের প্রভাবিত করতে ইন্দিরা গান্ধী আগের রাতে কম্বল এবং মদ বিলি করেন।

    ৬) নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া খরচের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ বিলি করেন ইন্দিরা।

    ১২ জুন ১৯৭৫ সালে এই মামলার রায় দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সাংসদ পদ তো খারিজ হয়, পাশাপাশি ওই রায়ে ৬ বছর পর্যন্ত তিনি কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। এই অবস্থায় তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তেই হতো। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ইন্দিরা তখন দিশাহারা, দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ২৩ জুন, ১৯৭৫ সালে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। ক্ষমতা হারানোর ভয় তাড়া করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার ১ দিন পরেই জারি হয় জরুরি অবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে কখনও প্রচণ্ড গরম, আবার কখনও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বর্ষা এক সপ্তাহ আগে ঢুকে গেলেও এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। গাছেই সবজি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে দাম বাড়ছে সবজির (Vegetables)। ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে। গত এক সপ্তাহে টমেটো, ঝিঙে, ঢেঁড়স বেগুন সহ বিভিন্ন সবজির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে।

    কী পরিস্থিতি হাওড়ার পাইকারি বাজারের (Vegetables)?

    হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, দাম আকাশছোঁয়া। খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হাওড়া সবজি বাজারের (Vegetables) পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে সবজি গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে অনেকটাই। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এই পাইকারি সবজি বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো ব্যবসায়ী কাঁচা আনাজ সহ বিভিন্ন সবজি নিয়ে আসেন। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে সবজি ব্যবসায়ীরা হরেক রকম সবজি এই পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। এখান থেকে সবজি সরাসরি চলে যায় কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির বড় বড় বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড গরমে অনাবৃষ্টির কারণে সবজি গাছ মাঠেই শুকিয়ে গেছে। এর ফলে ঝিঙে, ঢেঁড়স, শসা, বেগুন, লাউ, করোলা, বরবটি, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে সবজির দাম কিলো প্রতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাওড়া ভেজিটেবল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিনয় শোনকার জানিয়েছেন, এ বছরে বর্ষা পিছিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ না থাকায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে সবজির দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।  বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে যে দামে কেনা তার থেকে গড়ে ১০ থেকে  ৩০ টাকা বেশি দরে তাঁরা খুচরো বাজারে বিক্রি করবেন। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। বাজারে বিক্রিবাটা কমেছে। তাই আপাতত সবজি ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। কখন মুষলধারে নামবে বর্ষার বৃষ্টি।

    সবজি (Vegetables) বিক্রেতারা কী জানাচ্ছেন?

    এক সবজি বিক্রেতা মন্টু সাউ হাওড়া সবজি বাজারে এসেছিলেন সবজি (Vegetables) কিনতে। তিনি বলেন, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও কুঁদরি ছিল ৫০ টাকা পাল্লা, লোকে খেত না৷ এখন সেই কুঁদরি ১৫০ টাকা পাল্লা। ২০ টাকা কিলো এক সপ্তাহ আগে ছিল। সেটা ৬০ টাকা কিলতে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢেঁড়স যেখানে এক সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৩৫০ টাকা পাল্লা। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ঢেঁড়শ শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে করলা আগে যেখানে ২০০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৪০০ টাকা পাল্লা। বিনয় সাউ নামে আর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্ষায় এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তাই সবজি গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিটা ঠিকঠাক হলে আবার দাম কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • E Passport: খুব শীঘ্রই চালু হবে ই-পাসপোর্ট! বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রীর

    E Passport: খুব শীঘ্রই চালু হবে ই-পাসপোর্ট! বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশযাত্রা আগামীদিনে আরও সহজ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট (E-Passport)। শনিবার ২৪ জুন ছিল পাসপোর্ট সেবা দিবস। এদিনই নয়াদিল্লিতে আয়োজিত পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত শীঘ্রই ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’র (PSP-সংস্করণ ২.০) দ্বিতীয় ধাপে যাত্রা শুরু করবে। যার মধ্যে নতুন এবং আপগ্রেড করা ই-পাসপোর্ট রয়েছে।” এদিন পাসপোর্ট সেবা দিবসে বিদেশমন্ত্রী ভারত ও বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষকে জনগণকে ‘সময়মতো, নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং দক্ষ পরিষেবা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

    নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে ‘EASE’ নামক বিশেষ উদ্যোগ

    এদিন বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘EASE’ নামক এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। যার অর্থ হল, E: ডিজিটাল ইকো-সিস্টেম ব্যবহার করে নাগরিকদের পাসপোর্ট পরিষেবা উন্নত করা। A: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত পরিষেবা সরবরাহ। S: চিপ-নির্ভর ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণ সহজ করা এবং E: ​​উন্নত ডেটা নিরাপত্তা।”

    বিদেশ সচিবের ট্যুইট

    এদিনই ই পাসপোর্ট (E-Passport) নিয়ে ট্যুইট করেন বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচি।

    ৭ গুণ বেড়েছে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র

    ভারতকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’ একটি বড় পদক্ষেপ বলেও জানান এস জয়শঙ্কর। সমস্ত রাজ্যের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে কিনা জানতে তিনি স্বয়ং পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে দেশে ৭৭টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) ছিল। এই সংখ্যা ৭ গুণ বেড়েছে বর্তমানে ৫২৩ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share