Blog

  • TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    শুক্রবার ভরতপুর বিধানসভার একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। দলীয় এই কর্মসূচিতে কোথাও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে সালারের সোনারুন্দিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দল বিরোধী কাজ করতে করতে বিধায়ক খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন। জনগণকে দলবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করবেন না। যদি শক্তি থাকে তৃণমূলের (TMC) পতাকা ছেড়ে, নৌকো বা বাস নিয়ে চলুন। কেউ ফুটো নৌকা পেয়েছে, কেউ পেয়েছে ভাঙা সাইকেল কেউ আবার চিহ্ন পেয়েছে ভাঙা বাস। কেউ পেয়েছে মোমবাতি, কেউ পেয়েছে টর্চ, দেখবেন আগামীদিনে ওরা কেউ থাকবে না। ভাঙা বাস যেমন রাস্তায় চলে না, ছোট নৌকাও তেমনি নদীতে চলে না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও বিতর্ক নয়, দেখবেন জনসমর্থন আপনাদেরই থাকবে।’

    দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দিলেন  মন্ত্রী?

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের শালু গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কর্মী সভায় যোগদান করে তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদে যাবেন না। একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানকে পেটাবেন না। মাথায় হাত বুলিয়ে পায়ে হাত দিয়ে গ্রামের লোককে বুঝিয়ে ভোট ভিক্ষা করে তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করুন। পরে, আমি কলকাতায় গিয়ে ৯০ ডিগ্রির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তাবিজ কবজ সবকিছুই করে দেব।’ এদিনের সভায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর- ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ বহু তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, কোথাও বিধায়কের দেখা মেলেনি। হুমায়ুন কবীরকে বার বার ফোন করার পরও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coffee: মধ্যপ্রাচ্যের কফি ভারতে এল কীভাবে? জানুন সেই চমকপ্রদ ইতিহাস

    Coffee: মধ্যপ্রাচ্যের কফি ভারতে এল কীভাবে? জানুন সেই চমকপ্রদ ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফি এমন এক পানীয়, যা অবসর সময় হোক বা কর্মব্যস্ততা, সব কিছুরই সঙ্গী। মুহূর্তের মধ্যে রিফ্রেশমেন্ট নিয়ে আসার ক্ষমতা আছে এর। কফিকে সহজ ভাষায় একটি এনার্জি ড্রিংকও বলা যেতে পারে। কারণ এতে থাকে ক্যাফেনাইন নামক পদার্থ, যা আমাদের এনার্জিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাঙালির চা-এর আড্ডা কখনও কখনও কফির (Coffee) আড্ডাতেও পরিণত হয়। সেই কারণেই তো অনেকে ছুটে যান কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে।

    ভারতে কফি উৎপাদনের অবস্থান কী?

    ভারতে কিন্তু এই কফির (Coffee) আগমনের এক ইতিহাস আছে, যা অনেকেরই অজানা। আসলে এই পানীয় একটি মধ্যপ্রাচ্যের আভিজাত্য পানীয় হিসাবেই পরিচিত ছিল, যা আস্তে আস্তে সমগ্র বিশ্বে ও আমদের ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে সব থেকে বেশি কফি উৎপন্ন হয় দক্ষিণ ভারতে। মূলত পৃথিবীর সব থেকে বেশি কফি উৎপাদনকারী দেশ গুলি হল ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, কলম্বো, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া। এই দেশগুলির মধ্যে বাদ যায় না ভারতও। কারণ কফি উৎপাদনের দিক থেকে ভারতও অনেক বড় স্থান দখল করেছে বিশ্ব দরবারে। ২০১৫ অর্থবর্ষতে ভারতে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন ব্যাগ কফি উৎপাদন হয়েছিল। প্রত্যেক বছর ভারত থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কফি রফতানি হয় বিদেশের মাটিতে। ভারতে এই কফির প্রচলন কীভাবে শুরু হয়?

    ভারতে কীভাবে কফি উৎপাদন শুরু হয়? কী এর ইতিহাস?

    অনেক তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রথম ভারতে কফির আগমন হয়। এর আগে কফি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের একটি পানীয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে তুরস্ক এবং আশপাশের বিভিন্ন দেশে এই কফির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। 
    ভারতে কফির আগমন হয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে, যা শুনলে অনেকেই অবাক হন। শোনা যায়,১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে বাবাবুুদান নামক এক মুসলিম হজ যাত্রী মক্কা থেকে ফেরত আসার সময় নিজের দাড়িতে লুকিয়ে মোট সাতটি কফির (Coffee) বীজ ভারতে নিয়ে আসেন। এইভাবে নিয়ে আসার কারণ ছিল তখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কাঁচা কফির বীজ আনা ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ।  তাই ওই ব্যক্তি আরব থেকে এইভাবে কফি বীজ ভারতে নিয়ে  আসেন। ভারতে আসার পর কর্নাটকের চন্দ্রগিরি পাহাড় এলাকায় এগুলি রোপন করেন।  সেই সময় থেকে শুরু হয় ভারতের মাটিতে এই কফির চাষ।

    কফির বাণিজ্যিক বিক্রি কবে ও কারা শুরু করেন?

    ভারতে এই কফি জনপ্রিয় হওয়া এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন ওলন্দাজরা। ওলন্দাজরা সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারত দখল করেছিল। সেই সময় তারাই ভারতে কমার্শিয়াল ভাবে কফি (Coffee) বীজ রফতানি ও বিক্রি শুরু করে।

    ব্রিটিশ আমলেও কফি উৎপাদন থেমে থাকেনি, বরং পায় আরও বেশি জনপ্রিয়তা

    ব্রিটিশরা ওলন্দাজদের মতো কফির জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলতে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। উনবিংশ শতাব্দীর সময় ভারতে কফি চাষ আরও বেশি করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ভারতে কফি চাষের শুরু থেকে আরবিকা কফির উৎপাদন সব থেকে বেশি ছিল। কিন্তু এই কফি (Coffee) প্রচুর ব্যয়বহুল এবং উৎপাদনে পরিশ্রম ছিল অনেক বেশি। তাই ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকল এই আরবিকা কফি।  তাই উৎপাদন হতে শুরু করল রোবাস্টা কফি। এটি খেতেও যেমন স্ট্রং তেমন জনপ্রিয়তাও অর্জন করে বেশি।

    কফি বোর্ডের ইতিহাস

    এরপর ১৯০৭ সালে তৈরি হয় ভারতীয় কফি বোর্ড।  কফি নিয়ে শুরু হয় নানান গবেষণা।  ভারতীয়দের জন্য কফি (Coffee) কিভাবে আরও সস্তায় রফতানি করা যেতে পারে, তা নিয়েও শুরু হয় অনেক গবেষণা। ১৯৯৫ সালে কফির জনপ্রিয়তা যখন শীর্ষে পৌঁছে যায় তখন এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করে ভারতীয় কফি বোর্ড।  ভারতে অনেক কফি ব্র্যান্ড জন্ম নেয় এই সময়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই দল ছাড়লেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তাঁর মতো দাপুটে নেতা ভোটের মুখে দল ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূল চরম বেকায়দায় পড়়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কেন দল ছাড়লেন?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম একা দল ছেড়েছেন, এমন নয়। তিনি ছাড়াও কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীনাক্ষি মণ্ডল, মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক হায়দার আলি বিশ্বাস, বুথ সভাপতি সোহেল রানা সহ একাধিক পদাধিকারীই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই রাজ্যের মন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ এনে তাঁরা সকলে দলত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সহ বহু পদাধিকারী গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে, তাঁরা দলত্যাগ করেননি। দলে থেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। কিন্তু, এবার দলত্যাগ করলেন সংখ্যালঘু‌ সেলের চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারী।

    কী বললেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোবেসেই তৃণমূল করতে এসেছিলাম। কিন্তু, দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। আর কিছুদিন এই দল করলে আমাদেরকেও সাধারণ মানুষ চোর চোর বলে ডাকবে। আর মোথাবাড়়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দল করা যায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে যে সব কথা বলে গিয়েছেন তা দলের কেউ মানছেন না। ফলে, এই দলের নীতি, আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই, আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এই দল করা সম্ভব নয়। তাই, পদ ছাড়ার পাশাপাশি দলও আমরা ত্যাগ করলাম।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে  হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।

    মালদার চিত্র

    মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় পুরী যাওয়ার ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) টিকিটের চাহিদা ভালোই। তবে পুজোয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন মূলত এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে। কারণ উত্তরবঙ্গে যাওয়ার অনেকগুলি ট্রেন রয়েছে। সেইসব ট্রেনের মধ্যে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেসে টিকিটের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। উত্তরবঙ্গের পর দ্বিতীয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন দিল্লি ও সিমলাকে। দিল্লি ও সিমলার ট্রেনেও টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলিতে টিকিট এখনও পর্যন্ত কনফার্ম পাওয়া গেলেও সিমলাগামী কালকা মেল বা নেতাজি এক্সপ্রেসে এখন থেকেই টিকিট ওয়েটিং লিস্ট চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাভেল এজেন্টরা।

    রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার খোলা

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ এবং দিল্লি ও সিমলার টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। তাই যাত্রীদের কথা ভেবে রবিবারেও রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন শারদীয়া উৎসবে যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার ২৫ জুন, ২, ৯, ও ১৬ ই জুলাই সকাল ৮ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে। বারাকপুর, নৈহাটি, যাদবপুর, সোনারপুর, বারাসত, বারুইপুর, টালিগঞ্জ সহ শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩৪ টি রিজার্ভেশন কাউন্টার এবং হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত রিজার্ভেশন কাউন্টার এই সময়ে খোলা থাকবে। তিনি বলেন, ষষ্ঠীর বুকিং বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে।

    কী জানাচ্ছেন ট্রাভেল এজেন্ট ও যাত্রীরা?

    উত্তর হাওড়ার এক ট্রাভেল এজেন্ট অভিজিৎ মণ্ডল জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিং রয়েছে বাঙালির পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় প্রথম স্থানে। তারপরে রয়েছে অন্যান্য পর্যটন স্থলগুলি। তবে দিল্লি ও সিমলার ক্ষেত্রেও টিকিটের চাহিদা বেশি। কিন্তু সিমলার ক্ষেত্রে তাঁরা টিকিট পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠীর বুকিং শুরু হলেও একদিনের মধ্যেই দার্জিলিংয়ের সমস্ত রিজার্ভেশন টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যাতে ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং কোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাই শুক্রবারই ষষ্ঠী ও সপ্তমীর বুকিং ক্লোজ করে দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁরা ওয়েটিং লিস্ট টিকিটও কাটতে পারছেন না। হাওড়ার এক বাসিন্দা নয়না সাহা জানান, সম্প্রতি দক্ষিণের ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) কয়েক মাস ধরেই ট্রেন বাতিল ও ট্রেন লেট হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সর্বোপরি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাঁদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তাই এবারের পুজোর গন্তব্য হিসেবে তাঁরা উত্তরবঙ্গকেই বেছে নিয়েছেন। এদিকে পুজোর বুকিং চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে টিকিটের কালোবাজারিও। আরপিএফ বৃহস্পতিবারই এক টিকিট দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে টিকিট কাটতে পারে্‌ তার জন্য রেল পুলিশ যথেষ্ট তৎপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    Child Health: যক্ষ্মা থেকে রক্তাল্পতা, শিশু স্বাস্থ্যের খতিয়ান জানার কমিটিতে নেই শিশু চিকিৎসক!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কৃমি, ক্ষীণদৃষ্টি কিংবা রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা, ভিটামিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। শৈশব থেকেই যত্ন নিলে সুস্থ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের সেই কাজে (Child Health) সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!

    কী পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Child Health)? 

    ভারতে রক্তাল্পতা, ভিটমিনের অভাবের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। যার জেরে পরবর্তী কালে নানান শারীরিক সমস্যায় ভোগান্তিও বাড়ছে। তাই শিশুকাল (Child Health) থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। তাছাড়া শিশুরা কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য থাকলে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ করা সহজ হবে। তাই এই নজরদারির জন্য রাজ্য, জেলা, ব্লক স্তরে কমিটি গড়ে ওঠা দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজবে এই কমিটি। সম্প্রতি এমনই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কৃমি, ভিটামিনের অভাব, রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, সেই সব সমস্যা্র সমাধান করাই কমিটির কাজ হবে।

    বিতর্ক কোথায় (Child Health)? 

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতো রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিশু স্বাস্থ্যের (Child Health) জন্য তৈরি কমিটিতে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। প্রশ্ন উঠছে, শিশুরোগ চিকিৎসক ছাড়া, এই পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? চিকিৎসক ছাড়া, রোগ বিশ্লেষণ, কতখানি রোগের প্রকোপ হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি কিংবা কীভাবে সমাধান করা যায়, সেই আলোচনা কি বাস্তব সম্মত হতে পারে? চিকিৎসক ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

    রাজ্যের তৈরি স্কুল হেলথ কমিটিতে কারা আছেন? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের তৈরি কমিটিতে আছেন আমলারা। যেমন, এই কমিটির রাজ্য স্তরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এছাড়াও রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের সচিব। মূলত সরকারের অধীনস্থ কর্মীদের দিয়েই কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কমিটিতে কোনও শিশু-স্বাস্থ্য (Child Health) বিশেষজ্ঞের জায়গা নেই।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    রাজ্য সরকারের এরকম কমিটি তৈরি আসলে সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল (Child Health)। তারা জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিজ্ঞাপনের কাজেই লাগাচ্ছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে, এমন পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম-এর সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “শিশুরোগ চিকিৎসক অবশ্যই এই কমিটিতে থাকা জরুরি। তা না হলে, বাস্তবে কোনও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আসলে, সরকার পছন্দের আমলা দিয়েই সব কিছু চালাতে চাইছে। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে না।” আরেক চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর নেতা পূণ্যব্রত গুণ বলেন, “স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কি এই কাজ সম্ভব? বাস্তবে চিকিৎসক ছাড়া এই ধরনের কমিটি কীভাবে কাজ করতে পারে, তা জানা নেই! তবে এখন তো অনেক কিছুই হচ্ছে! সবটাই সরকারের পছন্দ মতো চলছে! কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২৪/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২৪/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) রোজগারের চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা আজ ভালো সুযোগ পাবেন। 

    ২) গাড়ি-বাড়ির সমস্যা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। 

    বৃষ

    ১) আর্থিক দিক দিয়ে অবসাদপূর্ণ পরিস্থিতি। 

    ২) ছাত্রছাত্রীদের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    মিথুন

    ১) দিনের শুরুতে ব্যবসার জন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবেন। 

    ২) দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণে অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) বিদেশে বসবাসকারী আত্মীয়দের কারণে কোনও শুভ সংবাদ পাবেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সেবায় সময় কাটাবেন।

    সিংহ 

    ১) পরিবারে কোনও বিবাদ চললে ধৈর্য সহকারে তার সমাধান বের করতে সফল হবেন। 

    ২) বন্ধুর সঙ্গে কথা কাটাকাটির কারণে সম্পর্কে তিক্ততা আসতে পারে। 

    কন্যা

    ১) অর্থাগম কম হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ লাভ করতে পারবেন না। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ পুরো করতে সময় কাটাবেন।

    তুলা 

    ১) বাড়ির অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ করতে হবে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে মন্দিরে যাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) বিদেশি ও বহিরাগত কাজের ফলে অধিক লাভবান হতে পারেন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে হই-হুল্লোড়ে অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    ধনু

    ১) স্বাস্থ্য দুর্বল থাকতে পারে।
     
    ২) বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে অবসাদের কারণে পরিবারে কলহ উৎপন্ন হতে পারে।

    মকর

    ১) দাম্পত্য জীবন সুখে থাকবে। 

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য উপহার কিনতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) চাকরিজীবীরা সহকর্মীদের সাহায্যে অন্য রোজগারের সন্ধান চালাবেন।

    ২) অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ করার পর অন্য কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না। 

    মীন

    ১)  জীবনসঙ্গীর পরামর্শ কার্যকর হবে। 
     
    ২) আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা! কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা! কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা করেছে কমিশন। এই মর্মে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী ও মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেমের করা  মামলার শুনানিতে কমিশনকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৭ জুন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই হলফনামা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

    হলফনামায় কী কী জানাতে হবে কমিশনকে?

    আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো হলফনামায় কমিশনকে জানাতে হবে, পঞ্চায়েত ভোটে কেন ২০ হাজারের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার হল? ক্যানিং-১ ব্লকের ২৭৪টি আসনে একটি দলের প্রার্থী কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তারও উল্লেখ করতে হবে এই হলফনামায়। একইসঙ্গে মিনাখাঁর মইনুদ্দিন গাজী সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন জমা দেন, কীভাবে বিদেশে থেকে প্রার্থীপদে তিনি মনোনয়ন দিলেন তারও উল্লেখ করতে হবে হলফনামায়। এছাড়া চারিদিকে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার রিপোর্টও জমা দিতে হবে।

    হলফনামা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত (Calcutta High Court)

    সূত্রের খবর, হলফনামা দেখে তারপরেই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে এই বাহিনী মামলায় স্বাধীন পর্যবেক্ষক (অবসর প্রারপ্ত বিচারপতি) নিয়োগ করা হবে কি না। এছাড়া মামলাকারীরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৪টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর আবেদনও করেছেন। তা নিয়েও উল্লখ থাকবে কমিশনের হলফনামায়।

    ভোটের দফা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের আইনজীবীর

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানোর পক্ষে এদিন হাইকোর্টে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী। শুক্রবার হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে সেটা দিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। এবারও পঞ্চায়েত সেই একই মডেলে হলে ৮২ হাজার বাহিনী দিতে সমস্যা হবে না।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের  নির্বাচনী সভায় লাগল কালিয়াগঞ্জের রাজবংশী কিশোরী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আঁচ। প্রকাশ্য জনসভায় সকলের সামনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এক গৃহবধূ। যা দেখে সভায় উপস্থিত হওয়া কর্মী, সমর্থকরা হতবাক হয়ে যান। পরে, স্থানীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শুক্রবার বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আচমকা  সংঘমিত্রা অধিকারী নামে এক গৃহবধূ সন্তান কোলে নিয়ে জনসভায় হাজির হবন। তিনি নিজেকে রাজবংশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের বিচার চেয়ে সায়ন্তিকার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন, তিনি বলেন, দোষীরা যেন শাস্তি পায়। সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সায়ন্তিকার কাছে তিনি আর্জিও জানান। সায়ন্তিকা নির্বাচনী বক্তব্য থামিয়ে ওই গৃহবধূকে এই ঘটনায় সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। রাজবংশী ওই গৃহবধূ তবুও থামেননি।আরও জোর গলায় ছেড়ে তিনি তাঁর দাবিতে সরব হন। এই সময় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী তথা ছাতনার জেলা পরিষদ প্রার্থী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। তিনি সেই গৃহবধূর কাছে গিয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তাঁকে অনেক বুঝিয়ে তিনি তাঁকে শান্ত করেন।

    কী বললেন রাজবংশী ওই বধূ?

    সভা শেষ হওয়ার পর পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজবংশী ওই গৃহবধূ বলেন, আমার বাড়ি কোচবিহার। আমি এখন এখানে থাকি। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশের পোশাকে খুন করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এখানকার চুনোপুঁটি তৃণমূল (TMC) নেতাদের বলে কিছু হবে না। তাই, সায়ন্তিকাকে সামনে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমার এই দাবি দিদির কাছে পৌঁছে দেবেন সায়ন্তিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের রবিউল ইসলাম, ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর, হুগলির মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তাঁর তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী করেনি দল। এমনটাই অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার। আর তাঁর পছন্দমতো সব প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধায়কের বেসুরো মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এসেছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক দাপুটে নেতা মুখ খুলেছেন দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মগরাহাটের গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন,” যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন এবার, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী মার্ডার কেসের আসামিও টিকিট পেয়েছে। আমি ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী হয়েছে ৫০-৫০। অর্থাৎ আমার প্রার্থী ৫০ শতাংশ। বাকি অন্যদের।” এর আগেও একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করেছেন তিনি। কখনও দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে  দলের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, আবার কখনও বা এসডিপিও  এবং পুলিশ কর্মীকে দু পয়সার চাকর বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর এদিন অভিমানের সুরে গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমার উপর হয়তো দল আর ভরসা করতে পারছে না। আমি তালিকা দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সেখানে ৫০ শতাংশ প্রার্থীর নাম রয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদের দল টিকিট দিয়েছে।” তবে, এবার তাঁর তালিকার বাইরে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের হয়ে প্রচারে যাবেন কি না তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কোনও কিছু মন্তব্য করেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share