Blog

  • TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক গৃহবধূকে দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান। সকাল থেকেই এই সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। বিরোধীদের নিশানায় শাসক শিবির। অডিও-র সত্যতা প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূলের সভাপতির।

    ঘটনা কী হয়েছে?

    সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক গণ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড। ফোনের এক প্রান্তে রয়েছেন এক মহিলা, অপর প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে এক পুরুষ (TMC) কণ্ঠস্বর। দাবি করা হয়েছে, পুরুষ কন্ঠস্বরটি দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের গৌরা ১১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূলের উপ প্রধান সুশান্ত রায়ের।

    ফোনের অডিওতে কী কথা রয়েছে?

    অডিও কলে শোনা যাচ্ছে, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মহিলাকে দিঘায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায় (TMC)। ‘ম্যানেজ’ করে রাত কাটানোর প্রস্তাবও দিচ্ছেন তিনি। যদিও মহিলা কন্ঠের দাবি, তিনি মেয়ের সমতুল্য, তাই এই প্রস্তাব অত্যন্ত অসম্মানজনক। প্রায় ছয় মিনিটের কল রেকর্ড রীতিমতো ভাইরাল সামজিক গণমাধ্যমে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজেপির বক্তব্য

    কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর রীতিমতো সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সম্পাদক প্রশান্ত বেরা বলেন, এভাবেই তৃণমূল (TMC) নেতারা গ্রামের মেয়েদের সাথে প্রতারণা করে। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের সাথে এই ধরনের আচরণ করছে ওরা। সবেমাত্র একটা রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। একটু খুঁজলে এই ধরনের আরও অনেক কল রেকর্ড পাওয়া যাবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দলের নেতার নাম জড়ানোয় রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির তৃণমূল। জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত (TMC) বলেন, এখনও পর্যন্ত এই অডিওর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে এই অডিওর সত্যতা প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ করবে দল। এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দাসপুরের তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও ভাবেই তা সম্ভব হয়নি। তবে আর যাই হোক, ভাইরাল হওয়া এই অডিও রীতিমতো মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে দাসপুরের অলিতে গলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    Calcutta High Court: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে হিংসা। সব ঘটনাতেই জড়িয়েছে শাসক দলের নাম। এনিয়ে দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একাধিক মামলা। তবে এবার অন্যরকম মামলা দায়ের হল। বসিরহাটের শাসকদলের প্রার্থী রয়েছেন বিদেশে, অথচ তাঁর নমিনেশন হয়ে গেছে। এই অভিযোগেই সরব বিরোধীরা।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    এবার বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজুলির শাসক দলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদেশে থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই মামলার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কুমারজুলির তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

    সেখানে আদালত কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, যেখানে প্রার্থীরা সশরীরে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে একজন প্রার্থী বিদেশে থেকে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি খাড়া করেন, আইন মেনে ওই প্রার্থীর প্রস্তাবক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখানেও প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি যখন বিদেশ রয়েছেন, তখন তাঁর সই কে করল? এসব বিষয়েই কমিশনকে জানানোর নির্দেশ এদিন দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও ওই ব্যক্তির বিদেশে থাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে। 

    কী বলছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা?

    মামলাকারীদের আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদের দাবি, হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৪ জুন সৌদি আরবে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন। আগামী ১৬ জুলাই তাঁর রাজ্যে ফেরার কথা। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূল প্রার্থী বিদেশে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, মিনাখাঁর কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মইনুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। তাঁরা এও আবেদন জানিয়েছেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিক আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি বাতিল করা হোক মনোনয়ন।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের এত বেশি মামলায় বিরক্ত হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলা চলছেই বিভিন্ন ইস্যুতে। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া রয়েছে প্রায় দুই লাখের বেশি মামলা। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার চাপে অন্যান্য মামলা শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টকে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিও পিছিয়ে যাচ্ছে এই কারণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে! দেশ জুড়ে ক্যান্সার অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এ রাজ্যে বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে! আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। অধিকাংশ সময়ই খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধরন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর তার উপরে রয়েছে অসচেতনতা। যার জেরেও বিপদ বাড়ছে। আক্রান্তের (Cancer) রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা, সবটাই অনেক দেরিতে হচ্ছে!

    কী জানাচ্ছে সমীক্ষার (Cancer) রিপোর্ট? 

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শহরের পাশপাশি গ্রামেও মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত তিনটি ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার। আইসিএমআর-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের হার ২৪.৮%, জরায়ু ক্যান্সারের হার ৯.৯% এবং ওভারির ক্যান্সারের হার ৭.৬%।

    ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী? 

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের ধরনে বড় বদল হয়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক ব্যস্ত জীবন অনেক ক্ষেত্রেই সুস্বাস্থ্যের পক্ষে নয়। ফলে, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এখন ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত মানুষ। খুব কম বয়স থেকেই সকলে পিৎজা, বার্গার থেকে বিরিয়ানির মতো খাবারে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছেন। এই ধরনের খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনে। যা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা তৈরি করে। এগুলোই অনেক সময় ওভারি, জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অধিকাংশ মানুষ এখন নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন না। নিয়ম করে হাঁটাচলা করেন না। ফলে শরীরে নানা পেশির কার্যকারিতা কমে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে জরায়ু, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    দেরিতে রোগ (Cancer) নির্ণয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ! 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ ক্যান্সার আক্রান্তের অনেক দেরিতে রোগ নির্ণয় হয়। বিশেষত মহিলাদের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। যার ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। প্রাণনাশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপসর্গ দেখা দিলেও তাকে অবহেলা করা হয়। রোগীর অসচেতনতা এর সবচেয়ে বড় কারণ। ক্যান্সার (Cancer) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঋতুস্রাবের পরেও রক্তপাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে যন্ত্রণা, স্তন থেকে রক্তপাত বা দেহের কোনও অংশ অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এইসব উপসর্গ অবহেলা করেন। তাই রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।

    সরকারি তরফে পদক্ষেপ কতখানি? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সচেতনতা জরুরি। যে হারে রাজ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, তাতে সর্বত্র সচেতনতা কর্মশালা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্কুল স্তর থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। তবে, সরকারকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য কর্তারা এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে ক্যান্সার আক্রান্তও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন। তাই সরকারি উদ্যোগ একান্ত জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ শে জুন মনোনয়নের প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর ২১ তারিখ প্রতীক চিহ্ন নিতে গিয়ে অবাক প্রার্থী। দেখলেন, তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরপর বিডিও অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন চিন্তা কুমারী নামের ওই নির্দল প্রার্থী।

    কোথায় ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ (Paschim Bardhaman) বিডিও অফিসে। নির্দল পদপ্রার্থী চিন্তা কুমারীর অভিযোগ, তিনি গতকাল পর্যন্ত তাঁর নমিনেশন জমা পড়েছে বলে তালিকায় নাম দেখে গেছেন। আজ প্রতীক চিহ্ন আনতে এলে তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে জানতে পারেন। তিনি রানিগঞ্জের টিরাট পঞ্চায়েত থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। স্থানীয় এক যুবক বিট্টু বিশ্বকর্মা নিজেকে সমাজসেবী পরিচয় দিয়ে বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমরা বিডিও সাহেবের কাছে তা জানতে চাই। আর যদি সন্তোষজনক জবাব না পাই, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের দফতরে জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    নির্বাচনে প্রার্থী চিন্তাদেবী (Paschim Bardhaman) বলেন, আমি মূলত তৃণমূল দল করি। কিন্তু নির্বাচনে দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করি। বিডিও সাহেব আমাকে বলেন, আমি নাকি অফিসে এসে আমার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলাম। বিডিও সাহেব আরও বলেন, আমি নাকি বিশেষ কাগজে সই করে আমার নাম প্রত্যাহার করেছি! পাল্টা আমার স্বাক্ষর দেখতে চাইলে উনি আমায় কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি বলে দাবি করেন চিন্তাদেবী। তিনি আরও বলেন, একজন তফশিলি সমাজের মহিলা প্রার্থী হিসাবে বিডিও আমার সঙ্গে অন্যায় করছেন। এই ঘটনা নির্বাচনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছে বলে বিডিও অফিসের সামনে সমর্থকদের নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে ধর্নায়ও বসেছিলেন। এরপর চিন্তাদেবীর সমর্থনে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুর ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায়ের ব্লক কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) শাসকদলের মধ্যেই বেলাগাম গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে নিজেদের দলের গোঁজ প্রার্থীরাই ভয় ধরাচ্ছে শাসক শিবিরে।

    কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) কারা গোঁজ প্রার্থী

    তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি কুমারগঞ্জ (Dakshin Dinajpur) ব্লকে। প্রার্থী ঘোষণার পর এই ব্লকেই তৃণমূলে বেলাগাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জে তিনটি, হিলিতে দুটি সহ কুশমণ্ডি, হরিরামপুর সর্বত্রই তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল। বালুরঘাট মহকুমায় অবশ্য গোঁজ প্রার্থী মফিজউদ্দিন মিয়াঁ, সুধীরচন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে কুমারগঞ্জের গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে পারেনি তৃণমূল। ওই আসনে ধেনা টুডুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী দলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা। তাই গোঁজের কাঁটা নিয়েই সেখানে শাসকদলকে ভোটের ময়দানে নামতে হবে।

    দলের প্রতীক না পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর অঞ্চলে ১৭টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। প্রধানের স্বামী বাবুন টিগ্গাও দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। প্রধান অঞ্জলি টিগ্গা আবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। ওই অঞ্চলের উপ প্রধান জান্নাতুন বিবি মণ্ডল সহ পুরোনো তৃণমূলের সদস্যরাও এবার নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোঁওড় অঞ্চলের ১৪টি আসনের সাতটিতেও নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ছ’জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। হরিরামপুর ও কুশমণ্ডিতে নির্দলের সংখ্যা অনেক।

    হরিরামপুরে কারা গোঁজ প্রার্থী

    মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুরে (Dakshin Dinajpur) এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে নির্দল কাঁটা রয়েছে তৃণমূলের। এই ব্লকের শিরশি, পুগুরি, গোকর্ণ, সৈয়দপুর সহ সর্বত্র তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমনকী বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূলের চারজন প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দলের নির্দল প্রার্থীদেরই লড়াই হতে চলেছে। কুশমণ্ডি ব্লকের উদয়পুর, মালিগাঁও সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে।

    জেলা তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে লিফলেট বিলি করিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানোর কথা চলছে।” এদিকে দলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “যারা নির্দলের হয়ে লড়াই করছে, তাদের কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের প্রতীক দেখেই ভোট দেবে। তবে যেসব নির্দল প্রার্থীর জন্য দলের ক্ষতি হবে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটপ্রচারে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুরালী গ্রামে ভোটপ্রচার (Panchayat Election) একটু অন্য রকম। এই গ্রামে প্রার্থীদের মধ্যে নেই ভোট নিয়ে হিংসা, বিবাদ কিংবা প্রার্থীদের মধ্যে ভোটপ্রচার নিয়ে টক্কর। এই আসনটি ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় গ্রামের একটি পরিবারেরই তিনজন প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে নামতে বাধ্য হন। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থী নির্বাচিত হয় আশুরালী গ্রামের পাল পরিবার থেকেই। এক কথায়, পরিবারের কাকা ও দুই ভাইপো লড়ছেন আশুরালী গ্রাম থেকে। কাকা সন্ন্যাসী পাল লড়ছেন সিপিআইএম থেকে, ভাইপো শান্তনু পাল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এবং অপর ভাইপো উত্তম পাল লড়ছেন বিজেপি থেকে।

    তিনজনেরই রাজনীতিতে (Panchayat Election) হাতেখড়ি

    পেশায় তিনজনেরই ছোটখাট ব্যবসা। কাকা সন্ন্যাসী পালের দোকান রয়েছে কোলাঘাটে খড়িচক মোড়ে, তৃণমূল প্রার্থী (Panchayat Election) শান্তনু পালের ফুলের ব্যবসা এবং বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের বাড়ির সামনে ছোটখাট একটি দোকান। তিনজনই রাজনীতিতে সক্রিয় নন। বলা যেতে পারে, রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ভোট যেহেতু সামনে, তাই প্রাথমিক ভোটপ্রচার হিসেবে তিনপক্ষই দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। গত নির্বাচনে এই বুথটি বামেদের দখলে ছিল। তাই এবারেও জেতার ব্যপারে আশাবাদী পরিবারের কাকু অর্থাৎ সিপিআইএম প্রার্থী সন্ন্যাসী পাল। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী শান্তনু পালের দাবি, দিদির উন্নয়নের জোয়ারে জয় মিলবে তাঁর। অন্যদিকে অপর ভাইপো বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের দাবি, রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, বেকারত্বই তাঁদের জয় এনে দেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

    সবাই চান শান্তিতে নির্বাচন (Panchayat Election) সম্পন্ন হোক

    তিন প্রার্থীই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন ব্যবসার ফাঁকে। তবে তিন প্রার্থীই একই বাড়িতে বসবাস। নেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা হিংসা। তিন প্রার্থীরই একটাই বক্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। রাজনীতির ময়দানে যেই জিতুক, কোনওভাবেই হিংসার রেশ পরিবার বা গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতে না পড়ে, সেই আবেদনই করছেন তিন দলেরই প্রার্থী। তবে ভোটের পর ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ। কে শেষ হাসি হাসবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই করিম চৌধুরী গোষ্ঠীর নির্দল সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছঘরিয়া এলাকায়।

    কী ঘটেছে?

    মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী করিম ও কানাইয়া পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় ৩ জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্তমানে ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আহতদের অভিযোগ, তাঁরা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সমর্থক। বুধবার রাতে হঠাৎই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের লোকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সানজুর আলম, লাল মহঃ এবং নুর আলম নামে তিন জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হন। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    করিম গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আহত লাল মহঃ জানিয়েছেন, তাঁরা দু-তিন জন বসে গল্প করছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই করিম চৌধুরির (Uttar Dinajpur) সমর্থক। হঠাৎ আসারুল হক, সাকাওয়াতরা পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু করে কোনও কারণ ছাড়াই। আবার করিম গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী লাল বানুর ছেলে মহঃ খইবুল আলম জানিয়েছেন, “তৃণমূলের প্রতীকে যারা দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনও সংগঠন নেই। তাদের পায়ের নিচের জমি সরে যাচ্ছে। তাই তারা ভয় দেখানোর জন্য আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়েছে। ওরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন করিম গোষ্ঠীর খইবুল।

    করিম চৌধুরীর বক্তব্য

    উল্লেখ্য, বুধবার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ টি আসনে, জেলা পরিষদের ২ টি আসনে, এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪ টি আসনে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তারপরই রাতের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।

    কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য

    অপরদিকে তৃণমূলের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল টেলিফোনে জানিয়েছেন, করিম সাহেব নিজের মতো কাজ করুক। গোটা ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে। মাটিকুন্ডা হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা, কোথাও কোনও গন্ডগোল হতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    এখন নির্বাচন কীভাবে কাটে এলাকায়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার ভাঙন তৃণমূলে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ঝুলন মোড় এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে (BJP) যোগদান করে। সন্ধ্যায় সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি বাড়ল। আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি ভালো ফলাফল করবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে মানুষ বিজেপির পতাকার নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এদিনের এই যোগদান কর্মসূচি সেই প্রবণতারই জ্বলন্ত প্রমাণ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    কী বলছেন যোগদানকারীরা (BJP)?

    এই বিষয়ে যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দল দুর্নীতির দল। তাই ওই পরিবেশে তাঁরা আর থাকতে পারছিলেন না। চাইছিলেন পরিবর্তন। তাই দুর্নীতির দল থেকে বেরিয়ে আজ ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) ফল ভালো হবে বলে তাঁরা প্রত্যেকেই আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কুমারগঞ্জে এদিন ২৫ টি পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। এরা বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির (BJP) আরও বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভালো ফলাফল করবে।

    কী বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আজ কুমারগঞ্জের সাফানগরে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গিয়েছিলেন। ৫০০ লোক বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিজেপির লোক, বিজেপিতে যোগদান করেছে। তারা কেউ তৃণমূল করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নো টিএমসি ওনলি নির্দল’। শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) আগে ফের বিস্ফোরক ইসলামপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তৃণমূলের রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে জেলার নেতাদেরও এদিন এক হাত নেন ইসলামপুরের বিধায়ক। বুধবার উত্তর দিনাজপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।  নির্বাচনে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। ইসলামপুর জেলা পরিষদের ২টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এবং ইসলামপুরের তৃণমূল  ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

    কী বললেন আব্দুল করিম চৌধুরি?

    তিনি বলেন, ‘‘আমি ন্যায্য কথা বলি বলে, আমি বিদ্রোহী বিধায়ক।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা ব্যানার্জিকে বলেছিলাম যে আপনার লোকগুলো আমার লোকগুলোকে মারছে। খুন করছে। কানাইলাল আগরওয়াল এবং জাকির হোসেনকে ব্যাকিং করছে তৃণমূল ভবন থেকে।’’ করিম চৌধুরির আক্ষেপ, ‘‘উপ নির্বাচনের সময় অনেকেই চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে বিশ্বাস করেননি। তৎকালীন জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছিলেন, করিমদাকে ফিরিয়ে আনো। আমি তখন ‘বাংলা বিকাশ কংগ্রেস’ নামে একটি দল শুরু করেছিলাম। তখন আমি আবার নির্বাচনে দাঁড়াই এবং প্রায় ৩৭ হাজার ভোটে জয়ী হই।’’ জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ও ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সম্পর্কে তাঁর মত, ‘‘ওরা টাকাপয়সা, বন্দুকবাজদের নিয়ে খেলা করে বেড়াচ্ছে। এবার যদি কোনও বন্দুকবাজের খেলা হয়, তবে আমি নিজে গাড়ি নিয়ে চলে যাব ওই বন্দুকবাজের কাছে।’’

    শাসকদলের বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

    পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নীরব থেকে যায়। ভয় পেয়ে যায়। পুলিশকে বলেছি, আপনারা যখন চাকরিতে জয়েন করেছেন, তখন শপথ নিয়েছিলেন সৎভাবে কাজ করবেন।কোনও পক্ষপাতিত্ব করবেন না।  প্রশাসনকে বলব নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার  কর্মীরা ভয় পাচ্ছে যে ভোট তো হয়ে যাবে। কিন্তু কাউন্টিংয়ে স্লিপ কেড়ে নেবে এবং সার্টিফিকেট অন্য লোককে দিয়ে দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ambubachi: অম্বুবাচী কেন পালন করা হয়? কোন কাজগুলি এই সময় করবেন না জেনে নিন

    Ambubachi: অম্বুবাচী কেন পালন করা হয়? কোন কাজগুলি এই সময় করবেন না জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় প্রবাদ রয়েছে, ‘কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi)। লোককথা অনুসারে, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় চরণ শেষ হলে ধরিত্রী মাতা ঋতুমতী হন। এই সময়ই পালন করা হয় অম্বুবাচী। আমরা জানি কোনও নারী রজঃস্বলা হলে, তখন তিনি সন্তান ধারণের উপযুক্ত হন। ঠিক তেমনই মনে করা হয়, বর্ষার আগমনে ধরিত্রী মাতা রজঃস্বলা হন। এরপরই ফলে ফুলে ভরে যায় পৃথিবী। এই সময় মাটি কাটা, জমিতে লাঙ্গল চালানো যায় না। এই সময় সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। যে কোনও শুভ কাজ যেমন, গৃহপ্রবেশ এসবও বন্ধ রাখা হয়। অম্বুবাচী ব্রতের সময় নিত্য পূজা সম্পন্ন হলেও মন্দিরের দরজা কখনও জনসাধারণের জন্য খোলা হয় না। আঞ্চলিক ভাষায় অম্বুবাচীর হরেক নাম রয়েছে। যেমন ভারতের কিছু জায়গায় অমাবতী বলেও পরিচিত এই উৎসব। আবার একাধিক স্থানে এই উৎসব, রজঃ উৎসব নামেও পালিত হয়। অম্বুবাচী শুরুর পর তিন দিন চলে এই উৎসব।

    বৃহস্পতিবার ২২ জুন অম্বুবাচী শুরু (Ambubachi)

    চলতি বছরে অম্বুবাচী শুরু হয়েছে ২২ জুন, বৃহস্পতিবার (বাংলা ৬ আষাঢ়) ভোর রাত ২ টো ৩২ মিনিটে। চলবে ২৬ জুন, সোমবার (বাংলা ১০ আষাঢ়) দুপুর ২ টো ৫৬ মিনিট পর্যন্ত।

    কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী 

    প্রতি বছর অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দিরে খুব ধুমধাম হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই সময় দেবী কামাখ্যা রজঃস্বলা বা ঋতুস্রাব অবস্থায় থাকেন। প্রসঙ্গত, ৫১ সতীপীঠের অন্যতম হল অসমের কামাখ্যা। যেখানে মাতা সতীর যোনি রয়েছে বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কথিত আছে, যখন দেবীর এই দিন থেকে ঋতুস্রাব শুরু হয়, সেইদিন থেকে গর্ভগৃহের দরজা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় কাউকে ভিতরে গিয়ে দর্শন করতে দেওয়া হয় না। রজঃস্বলা শেষে দেবীকে স্নান করিয়ে, সাজিয়ে তারপর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, অম্বুবাচীর চতুর্থ দিনে দেবী কামাখ্যা দর্শন করলে ভক্তরা সকল প্রকার পাপ থেকে মুক্তি লাভ করেন।

    অম্বুবাচীর (Ambubachi) ব্রত পালনের কিছু বিশেষ নিয়ম!

    ১) অম্বুবাচী চলাকালীন বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ির ঠাকুরঘরের মাতৃ শক্তি যেমন কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর প্রতিমা বা ছবি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া উচিত। অম্বুবাচী শেষ হওয়ার পর দেবীর আসন পাল্টে নিন। তার পর স্নান করিয়ে পুজো শুরু করতে পারেন।

    ২) অম্বুবাচী চলাকালীন পুজো করার সময় মন্ত্রপাঠ করা উচিত না। শুধুমাত্র ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করতে হয়। 

    ৩) অম্বুবাচীতে গুরুপুজো করতে কোনও বাধা নেই। এমনকী গুরু প্রদত্ত মন্ত্রও অনায়াসে জপ করতে পারবেন। 

    ৪) বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে তার গোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখতে ভুলবেন না।

    ৫) কোনও শুভ কাজও এই কয়েকদিন নিষিদ্ধ থাকে। এমনকী কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়। অম্বুবাচীর তিনদিন পর, ফের কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়।

    ৭) প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকেন। একই ভাবে মনে করা হয়, পৃথিবীও এই সময়কালে অশুচি থাকে। সেজন্যই এই তিন দিন ব্রহ্মচারী, সাধু, সন্ন্যাসী, যোগীপুরুষ এবং বিধবা মহিলারা ‘অশুচি’ পৃথিবীর উপর আগুনের রান্না করে কিছু খান না। বিভিন্ন ফলমূল খেয়ে এই তিনদিন কাটাতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share