Blog

  • Panchayat Vote: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    Panchayat Vote: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হুমকি দিতে আসে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। খবর পেয়েই ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধাওয়া করেন দুষ্কৃতীদের। চম্পট দেয় তারা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহিরাগতরা পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই এলাকায় অস্ত্র হাতে দাপাচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি বয়ে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এদিন বিডিও অফিসেও যান সুকান্ত। অভিযোগ, শাসক দলের কর্মীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে জোর করে তুলে এনে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায়।

    কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী (Panchayat Vote) হয়েছেন রূপালী রায়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো এদিনই মনোনয়ন তোলার শেষ দিন। এদিন রূপালী রায়ের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী মনোনয়ন তোলার জন্য হুমকি দিতে আসে। তারা নম্বরহীন গাড়ি ও বাইকে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ দলের লোকজন। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সুকদেবপুর অঞ্চলে দিনে রাতে দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালাচ্ছে। আমরা খবর পেয়ে আসি। এসে দেখি কিছু দুষ্কৃতী হাতে লাঠি নিয়ে আছে। পাশাপাশি তারা একটি চারচাকা গাড়ি ও দুটি মোটর বাইক নিয়ে আসে। যার মধ্যে একটির নাম্বার নেই। দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থীর স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয় ও মনোনয়ন তুলে নেবার জন্য জোর করে। আমরা ওদেরকে ধরার জন্য ধাওয়া করি। ওরা আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ সময়মতো আসেনি। আমরা পুলিশকে বলছি এই গাড়িটিকে চেক করতে।’’ অন্যদিকে বিডিও অফিসে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলের হার্মাদরা আমাদের প্রার্থীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তারা নিজেই আমাদের প্রার্থীদের গাড়ি করে তুলে নিয়ে এসে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিডিও অফিসে ঢুকে মনোনোয়ন প্রত্যাহার করাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। হাতেনাতে ধরেছিলাম এক তৃণমূল নেতাকে। সেই নেতা ক্যামেরার সামনে বলেছে, আমি তৃণমূলের যুব সভাপতি, আমি ১৪৪ ধারার মধ্যে ঢুকতে পারি। আমরা আজ বিডিওকে বলেছি, যদি এর উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী রূপালী রায়?

    এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী রুপালি রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে এসে ভয় দেখাচ্ছে আমাকে প্রার্থী হতে দেবে না। ভোট হবার পর আমাদের বাড়িতে থাকতে দেবে না বলছে। মনোনয়ন তোলার জন্য তারা জোর করছে।’’ অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীর স্বামী রতন রায় বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে, একারণে দিনে-রাতে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের এসে  হুমকি দিচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে যেভাবে প্রাণনাশের হুমিক দেওয়া হত, ঠিক তেমনই ঘটনার প্রতিফলন এবার পুর্ব মেদিনীপুরে। অভিযোগের তীর এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নীলিমা দত্ত। কাঁথি (Purba Medinipur) ১ নম্বর ব্লক এলাকার সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ বুথের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তিনি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠানে একটা সাদা থান এবং সঙ্গে মিষ্টি, ফল, ফুলের মালা। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট চিরকূট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘স্বামীর ভালো চাইলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া’… । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির প্রার্থী নীলিমা দত্ত বলেন, আমরা রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরবেলা আমার শ্বশুরমশাই বাইরে বের হলে দেখেন, কারা যেন বাড়ির (Purba Medinipur) উঠানে এই সাদা থান এবং একটি চিরকূট রেখে গেছে। তিনি খুব স্পষ্ট বলেন, তৃণমূলের হার্মাদরাই এই কাজ করেছে! আগে সিপিএমের লোকেরা এই কাজ করত, এখন তৃণমূল করছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। মানুষ নিজের পছন্দ এবং মতামত প্রকাশ করলেই এভাবে বিরোধীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই থান এবং চিরকূটের মাধ্যমে তাঁকে বিধবা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নীলিমা দেবী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই, লড়াই করব। তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করব।

    কতটা সুরক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন?

    কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে মানুষের অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছেন। মিনাখাঁ, ভাঙড়ে যে সব বিরোধীরা মনোনয়ন করতে পারেননি, তাঁদের সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? যে কোনও রকম হিংসা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন? হিংসার আগে-পরে কী কী ঘটেছে? কত জন গ্রেফতার হয়েছে! সেইসব কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের দিনে বিরোধী রাজনৈতিক দল কতটা সুরক্ষিত! তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। ৮ই জুলাই নির্বাচনের দিন কাঁথিতে (Purba Medinipur) কেমন নিরাপত্তা বলয় থাকে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছেই। এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) প্রার্থী না হতে পারায় ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দুধকুমার ধাড়া। সিঙ্গুর (Singur) পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে দলীয় তালিকায় নাম ছিল দুধকুমার ধাড়ার। সেই মতো মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপর দলের প্রতীক অন্য একজন পেয়ে যায়। এ নিয়ে দুধকুমার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিও খেলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের এই কৃষক নেতা।

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কী লিখলেন দুধকুমার?

    ফেসবুকে দুধকুমার ধাড়া লেখেন, ‘‘এই নির্বাচনে আমাকে বেড়াবেড়ি পিএস ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়। সেই মতো নমিনেশন জমা দিই। কিন্তু জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। কারণ জানতে বেচারাম মান্নার কাছে যাই। আমার অপরাধ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনও অপরাধ নেই’। ‘এত বড় অপমান সহ্য করতে পারছি না।’’ দুধকুমারের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০০৩ সাল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কাজ করার পরও কেন তিনি টিকিট পেলেন না?’’ দুধকুমারের এই পোস্ট নিয়ে জোর শোরগোল ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুধকুমার বলেন, “এই পোস্ট আমার অপমানের পোস্ট। আমাকে যে অপমান করা হল তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছি।”

    দুধকুমারের পরিবর্তে কে প্রার্থী হলেন?  

    জানা গিয়েছে, দুধকুমার ধাড়ার আসনে যিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও সিঙ্গুর জমি আন্দোলনেরই অন্যতম আরেক মুখ তথা হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। মানিক বলেন, “উনি টিকিট পেয়েছিলেন তা আমার জানা ছিল না। আগে থেকে কেউই জানত না, কে কোথায় টিকিট পাবে। দল যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে। আমিও ভেবেছিলাম জেলা পরিষদে টিকিট পাব কিন্তু দল দেয়নি। তাতে আমার কিছু বলারও নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • South 24 Parganas: দেখা নেই ইলিশের! ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েও নিরাশ মৎস্যজীবীরা

    South 24 Parganas: দেখা নেই ইলিশের! ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েও নিরাশ মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম ইলিশের ট্রলার কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) ঘাটে ফিরলেও সেভাবে দেখা মিলল না ইলিশের। গত দুমাস বন্ধ থাকার পর ১৪ জুন উঠে গিয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপরই ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু আশা নিরাশায় পরিণত হল।

    কেন কম মিলেছে ইলিশ?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের (South 24 Parganas) জালে সেভাবে উঠে এল না ইলিশ। হাতে গোনা দু-একটি উঠল জালে, তাও আবার ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে। আর বেশিরভাগই দেখা গেল বিভিন্ন ধরনের মাছ। এফ বি দুর্গা, এফ বি মহামায়া সহ যে সমস্ত ট্রলার পাড়ি দিয়েছিল, তারা কিছু পরিমাণ ইলিশ নিয়েই ফিরে এসেছে ঘাটে। তবে মৎস্যজীবীদের দাবি, যথাযথ বৃষ্টির পরিবেশ না থাকার কারণেই মরশুমের প্রথম ইলিশ সেভাবে মিলল না। তাঁদের মতে, পরবর্তী সময়ে আদর্শ পরিবেশ হলে অবশ্যই জালে উঠবে রূপালি শস্য ইলিশ। বঙ্গে বর্ষা কিছুটা দেরিতে প্রবেশ করার কারণেই মরশুমের প্রথম ইলিশের দেখা মিলল না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঙালির পাতে চিংড়ি, ভোলার মাঝে ইলিশ এখন দিশাহীন।

    মৎস্যজীবীদের বক্তব্য

    বনদুর্গা ট্রলারের (South 24 Parganas) মৎস্যজীবী কেশব দাস বলেন, এই বছর ইলিশের খবর ভালো নয়! কোনও রকমে খরচের টাকা হয়তো উঠবে। রাজেশ ১ ট্রলারের আরেক মৎস্যজীবী রঞ্জিত সর্দার বলেন, মাত্র এক ক্যারেট ইলিশ মাছ নিয়ে নিজের খরচায় ট্রলার নিয়ে এসেছি। বৃষ্টি না হলে আমদের আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হবে।

    কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) ফিশার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এক মৎস্য ব্যবসায়ী বিজন মাইতি বলেন, এই বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় এখনও সেভাবে ইলিশ পড়েনি। চিংড়ি, ভোলা, পমফ্রেট, ম্যাগনেট, বোমলা মাছ বেশি এসেছে। ইলিশ তুলনামূলক অনেক কম। একটা ট্রলার তৈরি করতে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু যদি ট্রলারে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কেজি মাছ আসে, তাতে খরচই উঠে আসবে না। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া দফতর বলছে, মৌসুমি বায়ু বঙ্গের সাগরে আরেকটু প্রবল হলে বৃষ্টিপাত বাড়বে। আরও বৃষ্টি হলে ইলিশ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Thyroid: শরীরে ক্লান্তি, হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা! সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান

    Thyroid: শরীরে ক্লান্তি, হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা! সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। যার প্রভাবে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে যায়। কিন্তু একটু সতর্কতাই এড়াতে পারে বড় বিপদ! কিছু ইঙ্গিত স্পষ্ট জানান দেয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে যায়। তেমনই হল থাইরয়েড (Thyroid)! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা হলে শরীরে তার একাধিক ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। কিন্তু অসচেতনতার জন্য চিকিৎসা শুরু করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়।

    কাদের ঝুঁকি বেশি (Thyroid)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুরুষ বা নারী, যে কোনও বয়সে, যে কেউ এই সমস্যার (Thyroid) শিকার হতে পারেন। তবে, ভারতে মহিলারা বেশি থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি থাইরয়েডের সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষত, ৩৫ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। তবে, খুব কম বয়স থেকেই অনেক মেয়ে এই সমস্যায় জর্জরিত।

    থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা কী? 

    থাইরয়েড হল মানুষের শরীরে একটি গ্রন্থি। গলার কাছে এই গ্রন্থি (Thyroid) থাকে। এর থেকে হরমোন বেরোয়। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তাদের এই গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ হয়। যার ফলে, দেহের শক্তি দ্রুত ক্ষয় হয়। বিপাক ক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে। কোলেস্টেরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। একাধিক অঙ্গহানির ঝুঁকি তৈরি হয়।

    কীভাবে বুঝবেন থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা রয়েছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট করে থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা রয়েছে কিনা। যেমন, শরীরে ক্লান্তি খুব বেশি হবে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে যে কোনও কাজ করলে, খুব অল্প সময়েই ক্লান্তি অনুভব হবে। পাশপাশি হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা অনুভব হয়। 
    থাইরয়েডের সমস্যা হলে মহিলাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। 
    চুল পড়া থাইরয়েডের অন্যতম সমস্যা। অতিরিক্ত চুল পড়লে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। 
    ওজন বৃদ্ধি থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া কিংবা মনে রাখার সমস্যাও থাইরয়েডের লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তাছাড়া চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই সমস্যার (Thyroid)? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, লক্ষণ বুঝলে সতর্ক হতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে, থাইরয়েডের (Thyroid) মাত্রা কত? অর্থাৎ, দেহে কতখানি অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ হচ্ছে। সেই মতো চিকিৎসা শুরু করা হবে। 
    তবে, খাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়োডিন যুক্ত খাবার থাইরয়েড মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই পাতে থাকুক নুন। তাছাড়া, ডিম, দুধ, পনির, মাছ নিয়মিত খেলে থাইরয়েডের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের শুরু থেকেই শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং প্রার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। মনোনয়ন জমার পর এবার মনোনয়ন প্রত‍্যাহারের চাপ দিয়ে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত হলেন পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) এক বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ‍ের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    বারাবনি (Paschim Bardhaman) বিধানসভার সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিষাডি গ্রামের বাসিন্দা চিন্ময় তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী সিঙ্কু তিওয়ারি। তাঁরা যথাক্রমে বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। অন‍্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জয় সুকুলের স্ত্রী নবনীতা সুকুল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীদের নাম প্রত‍্যাহারে চাপ দিতে সোমবার রাতে চিন্ময় তিওয়ারিকে ফোন করা হয়। এরপর বচসার সৃষ্টি হওয়ায়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চিন্ময়ের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধর করে। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর কাকা সজল তিওয়ারিও আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসন এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ

    মনোনয়ন প্রত্যহার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ইতিমধ‍্যে রূপনারায়ণপুর (Paschim Bardhaman) ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ‍্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এইভাবেই এই রাজ্যে বিরোধীরা বারবার রাজনৈতিক ভাবে হিংসার শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতী হরেরাম তিওয়ারি, সঞ্জয় সুকুল ও পল্লব তিওয়ারিরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সালানপুর ব্লকের (Paschim Bardhaman) তৃণমূলের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, দোকান ও ব‍্যবসা সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও ঘটনার সাথে কোনও রাজনীতির সংযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবেন উভয় পক্ষের সাথে একযোগে বৈঠক করে সমস‍্যার সমাধান করতে। অন‍্যদিকে সঞ্জয় সুকুল দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলেই তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির অন্ধ ভক্ত। স্বামীও এক সময় সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি করায় জোটেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। তবুও থেমে থাকেননি। ৮৫ বছর বয়সে পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কাঁকসার আমলাজোড়ার (Durgapur) উমারানী। এই বয়সে প্রার্থী হয়ে যেমন দলের যুব কর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তেমনই পঞ্চায়েত ভোটে নতুন চমক বিজেপির।

    কে এই উমারানী মিশ্র (Durgapur)?

    বয়স ৮৫। বয়সের ভারে শ্রবণশক্তি কমেছে। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের ধোবাঘাট গ্রামের বাসিন্দা। দুই ছেলের মধ্যে বছর কয়েক আগে এক ছেলে মারা গেছেন। স্বামীরও মৃত্যু হয়েছে। অনটনের সংসার। বার্ধ্যকভাতা যেটুকু পান, তাতে কোনওভাবে সংসার চলে। স্বামী কুবীর মিশ্র বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সময় সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির অন্ধ ভক্ত উমারানী। বছর কুড়ি আগে আমলাজোড়ার বিহারপুর গ্রাম থেকে (Durgapur) বিজেপির হয়ে প্রথম প্রার্থী হয়েছিলেন। ৮৫ বছর বয়সেও সাহস ও ইচ্ছাশক্তি প্রবল এবং সক্রিয় বিজেপি কর্মী। নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপি করার অপরাধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িটুকুও জোটেনি বলে অভিযোগ উমাদেবীর। সম্প্রতি রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব উমাদেবীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে।

    কী বলছেন ৮৫ বছরের এই প্রার্থী (Durgapur)?

    কাঁকসার আমলাজোড়া অঞ্চলের ২৭৬ নং গ্রাম সংসদে বিজেপি প্রার্থী উমারানী মিশ্র। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রচারও (Durgapur) শুরু করেছেন। এই বয়সে কেন প্রার্থী হয়েছেন? প্রশ্ন করতেই উমাদেবীর সপাটে জবাব, “স্বামী একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী ছিলেন। আমি বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। করোনা আবহে লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। উজ্বালা যোজনায় গ্যাস। প্রত্যেকের পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ড, যেটা রাজ্যে চালু করতে দেয়নি তৃণমূল, তার জন্য আমাদের মতো গরিব মানুষকে চিকিৎসা করাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে আপ্লুত। তাই নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপিই একমাত্র গরিব মানুষের সাহারা। তাই এই বয়সে প্রার্থী হয়েছি।” তিনি আরও বলেন,” গ্রামের মানুষের চাপে বার্ধক্যভাতাটুকু চালু করেছে। বিজেপি করায় আমাকে  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেয়নি তৃণমূল সরকার। তাই রাজ্য থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নামক জগদ্দল পাথরটাকে সরাতে প্রার্থী হয়েছি।” জেতার বিষয়ে উমাদেবী বলেন,” আমাদের মতো অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্য কাজ করব। গ্রামের মানুষ খুব ভালোবাসে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই জিতব।”

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Durgapur)?

    উমাদেবীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় Durgapur তৃণমূল নেতৃত্ব। আমলাজোড়া পঞ্চায়েত প্রধান চয়নিকা পাল বলেন, “উমাদেবীর দুই ছেলে। এক ছেলে মারা গেছেন। দুই ছেলের পরিবারের দুটি জব কার্ড। উমাদেবীর আলাদা কোনও জবকার্ড নেই। উমাদেবীর নাম এক বৌমা লক্ষ্মী মিশ্রর জবকার্ডে সংযুক্ত রয়েছে। দুটি পরিবারের দুটি জবকার্ডে আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে। জবকার্ড অনুযায়ী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে।”

    কী বলছে বিজেপি (Durgapur)?

    প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভার নিরিখে আমলাজোড়া অঞ্চলের ধোবাঘাট গ্রামে (Durgapur) বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। তাই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও উমাদেবীর জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী। স্থানীয় বিজেপিকর্মী অসীম ঘড়ুই, প্রসেঞ্জিত বাগদী বলেন,” ঠাকুমা এবারে জিতবে। গ্রামের মানুষ তৃণমূলের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চাইছে। দু হাত তুলে সমর্থন করছে বিজেপিকে।” উল্লেখ্য, বিজেপির প্রত্যেক নির্বাচনে প্রার্থী পদে চমক রাখে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার শালতোড়া আসনে রাজমিস্ত্রির পরিবার থেকে চন্দনা বাউরীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। এছাড়াও আউশগ্রাম বিধানসভায় পরিচারিকা কলিতা মাজিকে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছিল। চন্দনা বাউরী বিপুল ভোটে জয়ীও হয়েছেন। তবে কলিতা মাজি টক্কর দিয়ে কয়েক হাজার ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন,” উমারানী আমাদের গর্ব। বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সম প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন তৃণমূলের অত্যাচার থেকে গ্রামবাসীকে পরিত্রাণ দিতে প্রার্থী হয়েছেন। উমাদেবীর সাহসিকতা বিজেপির অনুপ্রেরণা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতের নির্বাচনে রক্তপাত, গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, এমনকী প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur)। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মনে ভেসে ওঠে এমন সব আতঙ্কের কথা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসকদলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর, সুখদেবপুর ও বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ওই পঞ্চায়েতের এক বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের হাতে প্রাণহানির ভয়ে আপাতত বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন দলীয় প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। নমিনেশন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই নিজেদের এলাকায় ফিরবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি পদপ্রার্থী খগেশ্বর বর্মন এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এই এলাকায় ভোট দিতে পারিনি। এবারে ভোটে বিজেপির টিকিটে মনোনয়ন দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা বাইক বাহিনী নিয়ে গোটা এলাকা শাসিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা সেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পার্টি (Dakshin Dinajpur) অফিসে আশ্রয় নিয়েছি। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীও দাবি করেছেন, গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী প্রাণে মেরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘শাসক দল ও প্রশাসন যৌথভাবে এমনটা করছে।’

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলার (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকী। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি জিততে পারবে না বলেই এত নাটক করছে। সব জায়গাতেই স্বেচ্ছায় মানুষ মনোনয়ন প্রত্যাহার করছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ২০/০৬/২০২৩) | Madhyom

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ২০/০৬/২০২৩) | Madhyom

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কাজ ও ব্যবসায় প্রতিযোগীদের পরাজিত করে লাভ অর্জন করবেন। 

    ২) সাফল্যের জন্য অধিক পরিশ্রম করুন। 

    বৃষ

    ১) জমি, বাড়ি ও স্থাবর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করতে হবে। 

    ২) চাকরিজীবীরা কাজকর্মে অধিক সময় দিতে পারবেন না।

    মিথুন

    ১) দুপুরের পর কাজের গতি বাড়ায় নিজের বহুদিনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন। 

    ২) দৈনন্দিন ব্যয় থেকে সতর্ক থাকুন।  

    কর্কট

    ১)  বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন। 

    ২) ছাত্রদের পড়াশোনায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। 

    সিংহ 

    ১) পেশাগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে সকলে আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করবে। তা উপেক্ষা করে যাওয়াই শ্রেয়।  

    ২) মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসবে, যার ফলে আপনার ক্ষতি হবে।

    কন্যা

    ১) দিনের শুরুতে আলস্য থাকবে। 

    ২) অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়ির জরুরি কাজ করতে হবে।

    তুলা 

    ১) পরিজনদের সহযোগিতায় সন্তান সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। 

    ২) আজ ব্যবসায় লাভ কম হবে। 

    বৃশ্চিক

    ১) কাজ ও ব্যবসায় পরিশ্রমের পর লাভ অর্জন করতে পারবেন। 

    ২) আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি তেমন হবে না। 

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। 
     
    ২) প্রয়োজনের সময় সহযোগিতা লাভ না করায় মেজাজ বিগড়ে যাবে।  

    মকর

    ১) ধর্মীয় আবেগ বৃদ্ধি পাবে। 

    ২) ধর্মীয় স্থানে যাত্রা করবেন।

    কুম্ভ

    ১) বাবা বা বয়স্ক ব্যক্তির স্বাস্থ্যে ব্যয়। 

    ২) ছোটখাট কোনও স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন।

    মীন

    ১) দুপুরে ব্যয় বাড়বে। 
     
    ২) পারিবারিক কাজ পূর্ণ করতে কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না। তা না হলে ঝগড়া হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Climate Change: বৃষ্টিতে পারদ-পতন! আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনে বিপদের আশঙ্কা?

    Climate Change: বৃষ্টিতে পারদ-পতন! আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনে বিপদের আশঙ্কা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি বদলে দিয়েছে আবহাওয়া (Climate Change)। সাময়িক স্বস্তি বঙ্গবাসীর। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    আশঙ্কা কোথায়? 

    রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে অবস্থার পরিবর্তন (Climate Change) হয়েছে। আর এত দ্রুত তাপমাত্রার পরিবর্তনে নানা ভাইরাসঘটিত রোগের হানার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সিজিনাল ফ্লু-র আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষত সর্দি-কাশিতে ভোগান্তি বাড়ে। তবে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি শিশুদের। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন তারা মানিয়ে নিতে পারে না। আর তার জেরেই তাদের ভাইরাসঘটিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। 
    করোনার ঝুঁকি কয়েক মাস আগেও ছিল। চিন্তায় ফেলেছিল নতুন প্রজাতি। তারপরে আবার শিশুদের উপর ছিল অ্যাডিনা ভাইরাসের প্রকোপ। তাদের জন্য এই ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এমনিতেই তাদের শরীর দুর্বল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই যে কোনও ভাইরাসঘটিত অসুখে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। তাই তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কীভাবে সুস্থ থাকবে (Climate Change)? 

    আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, স্বস্তি সাময়িক। তাপমাত্রার পারদ ফের বাড়বে (Climate Change)। চিকিৎসকরা তাই বলছেন, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। আর প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে এসির ব্যবহার নিয়ে। তাপমাত্রার এই রকমফেরে বাড়ির ছোটরা কতক্ষণ এসিতে থাকছে, এসির তাপমাত্রা কত, এইসব বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকার জেরে নানা ভাইরাসঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। আবার, এসির তাপমাত্রা যাতে ২৬-২৭ ডিগ্রির কম না হয়, সেটাও দেখা জরুরি। এসিতে ঘুমোলে অবশ্যই গায়ে চাদর ঢাকা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সর্দি-কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর সর্দি-কাশি হলে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। কারণ, স্কুলে গেলে একদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকে, আরেকদিকে পরিশ্রম বেশি হওয়ায় ক্লান্তি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি থাকে। 
    শিশুদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। যে কোনও সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচাতে ও বড় বিপদ এড়াতে এই টিকা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    আবহাওয়ার এই রকমফেরে রাশ থাকুক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়ে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনের (Climate Change) সময় আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খেলে, সহজেই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তার থেকে জ্বর-কাশির ঝুঁকি বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share