Blog

  • TMC: ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৯, তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা ৩১টি!

    TMC: ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৯, তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা ৩১টি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামেও গোঁজ নিয়ে অস্থির অবস্থা তৃণমূলের (TMC)। দলের টিকিট না পেয়ে জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, দলের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান, এসটি সেলের নেতার মতো অনেকেই জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়ে গিয়েছেন। একাধিক আসনে এক বা একাধিক কুড়মি নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন। সূত্রের খবর, দলে সম্মানজনক পদ কিংবা জেলা পরিষদের মেন্টরের মতো আলঙ্কারিক পদ দেওয়ার টোপেও কাজ হচ্ছে না। ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ছিল ১৬। সেবার ১৩টি আসনে জিতে জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। এই জেলা পরিষদে এবার আসন সংখ্যা ১৯। তবে তৃণমূলের হয়ে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩১টি। শেষ পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে এবার জেলা পরিষদের ১২টি আসনেই তৃণমূলের গোঁজ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় গোঁজ প্রার্থী (TMC)?

    ৩ নম্বর আসনে তৃণমূলের ‘অফিসিয়াল’ প্রার্থীর সঙ্গে দলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুজলা তরাই। ৫ নম্বর আসনে তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক নির্দলকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের এক বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ। ৬ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছেন নির্দল কুড়মি প্রার্থী। ৭ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিদায়ী বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীননাথ সিংও ওই আসনে দলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ৮ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কমল মাহাতোর অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদয়শঙ্কর সেন। দু’জনেই ওই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তপন জেলা পরিষদের বিদায়ী কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আর উদয়শঙ্কর চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান।

    উদয়শঙ্করের কথায়, “তৃণমূল যাঁকে প্রার্থী করেছে, এলাকায় তাঁর ২১০টি আসনে গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই প্রার্থী হয়েছি।” ওই আসনে দু’জন নির্দল কুড়মি প্রার্থীও আছেন। ১২ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন যিনি, সেই কার্তিক শিট কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ছিলেন। ওই আসনেই মনোনয়ন দিয়েছেন বিদায়ী সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস। তৃণমূলের হয়েই মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। ১৭ নম্বর আসনে তৃণমূলের (TMC) হয়েই মনোনয়ন দিয়েছেন বিদায়ী মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয়া মাহাতো। যদিও তিনি টিকিট পাননি। ১৮ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী কুনামি হাঁসদা। তৃণমূলের জেলা এসটি সেলের সভাপতি অর্জুন হাঁসদাও ওই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৯ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ মাহাতোর বিপক্ষে আবার দাঁড়িয়ে পড়েছেন তিনজন নির্দল কুড়মি প্রার্থী। এই জেলায় ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীর সংখ্যা ১১০ জন। ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০৭টি আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী আছেন ৩০৯ জন। জেলার একাধিক প্রবীণ তৃণমূল নেতাকে বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি (TMC)?

    রবিবার বিকেলে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দলের গোঁজ প্রার্থীদের উদ্দেশে জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “দলের আদর্শে বিশ্বাসী হলে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা উচিত।” না হলে দলে আর ফেরা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুলাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) বিডিও অফিসে বিজেপির পঞ্চায়েত স্তরের এক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। চাপ দিয়ে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শেষে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে জানা যায়।

    কীভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার?

    বিজেপি সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিনে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রার্থীকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জোর করে ব্লক (Dakshin Dinajpur) অফিসে নিয়ে আসে। তারপর তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসে গিয়ে বাধা দেয়। এরপর সেখান থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। গোলমাল শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছায়। এনিয়ে বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, গতকাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ১৪৪ নম্বর পাঠন বুথে (Dakshin Dinajpur) আমাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তৃণমূল এই ভাবে অত্যাচার করে যে বিজেপির যারা প্রার্থী হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মীদের আজ মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আজ নন্দনপুরের ৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে নিয়ে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে এবং আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়।

    তৃণমূল এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    অপর দিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বিডিও অফিসে আসে, তাহলে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি উল্টে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও বলেন, বিজেপিই বলেছিল তারা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে। অথচ বিজেপি তৃণমূলকে দোষারোপ করছে! এর মধ্যে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। যদিও গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) বিডিও দেওয়া শেরপা বলেন, একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছিল! তবে বড় কিছু হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে বিজেপির (BJP) দুই মহিলা প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার চাকদা চৌমাথা মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। যতক্ষণ না অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মনোনয়ন বাতিল করার কাজ। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, এখানেও শাসকদলের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। নদিয়ার চাকদহ থানার ছাতিমতলা ২০২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে ওই বুথের মহিলা প্রার্থীকে জোরপূর্বক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে চাকদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় অবশেষে চাকদা চৌমাথা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদীয়া দক্ষিণ বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এবং চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির (BJP) বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়নন জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নদিয়ার একাধিক জায়গায় এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রবিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়ে দুই বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই বিক্ষোভ। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ বলেন, পর পর দু রাত ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি মহিলা প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীদের তৈরি করা গল্প। রাজ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সামনে রেখে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে। আমরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছি। সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা নাটক করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের উত্তর ইমামনগর বিডিও মোড় সংলগ্ন একটি আমবাগানে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত বেশ কয়েকজন শিশু। অপরদিকে রানীনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বোমার আতঙ্কে গ্রাম বাংলা কতটা সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    ফরাক্কায় কীভাবে আহত হল শিশু?

    সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। গুরুতর ভাবে যে শিশুরা আহত হয়, তারা হল, আরিয়ান শেখ (৮), দাউদ শেখ (১০), আসাদুল সেখ (৭), সুভান শেখ (১১), ইমরান শেখ (৯)। এরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এলাকার আমবাগানে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে এই শিশুরা আহত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে শিশুদের উদ্ধার করে এবং এরপর ফরাক্কা (Murshidabad) বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এইভাবে আমবাগানের মধ্যে বোমা পড়ে থাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ভাবে কারা বোমাগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছিল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।

    রানীনগরে বোমা বিস্ফোরণ

    এবার বিস্ফোরণ হল রানীনগর (Murshidabad) থানার নবীরমোড় এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মফিজুল মোল্লার বাড়ির সামনে গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, সোমবার দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গোয়াল ঘরে প্রচুর বোমা মজুত করা ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গোয়াল ঘরের টালির চাল পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নের সময় থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং, মথুরাপুর, চোপড়া, খানকুল, পিংলা, নানুর, সাহেবগঞ্জ, বকচা ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। ড্রামে ড্রামে ভর্তি করা বোমা পাটক্ষেত বা আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিন এই অবৈধ বোমার ব্যবহার করা হবে কিনা, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বিরোধীরা এই বোমাবাজি, বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই সরব হচ্ছেন। এখন এই বোমার বোঝায় নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি জমানায় নির্মাণ হচ্ছে রাম মন্দির! প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায়

    PM Modi: মোদি জমানায় নির্মাণ হচ্ছে রাম মন্দির! প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায়

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা, পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতিকে পুনরায় বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার কাজ বিগত ৯ বছর ধরে করে চলেছে মোদি সরকার (PM Modi)। স্বাধীনতা পরবর্তী ৭০ বছরে ভারতবর্ষের সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রাচীন ঐতিহ্য এবং পরম্পরাকে অবহেলা করা হত কংগ্রেস জমানায়। অভিযোগ, শুধুমাত্র অবহেলা নয়, ভারতবর্ষের প্রাচীন গৌরবকে লুকিয়েও রাখা হত তোষণের কারণে। প্রচার করা হত শুধুমাত্র মধ্যযুগীয় ইসলামি শাসনকে। কিন্তু মোদি জমানায় সে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। সনাতন সংস্কৃতির প্রচার এখন বিশ্বজুড়ে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডর নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরও নানা রকমের প্রকল্পের দ্বারা বারাণসী নগরীর ধাঁচ বদলে দেওয়া হয়েছে। নতুন এই বারাণসী নগরকে দেখলে যেন চেনাই যায় না। রাস্তাঘাট, অলিগলি সব কিছুরই খোলনলচে বদলানো হয়েছে।

    একই কথা প্রযোজ্য মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীর ক্ষেত্রেও। সেখানে নেওয়া হয়েছে মহাকাল লোক প্রকল্প। অসমের মা কামাখ্যা মন্দিরের করিডর একই ভাবে নতুন ভাবে সেজে উঠেছে। সেখানে আগত ভক্তদের জন্য বিশ্বমানের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যা পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি সাধন ঘটিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিরও বিকাশ ঘটেছে। ৯০০ কিলোমিটার চারধাম সড়ক যোজনার নির্মাণ কাজ চলছে, যা যে কোনও বিরূপ আবহাওয়াতেও অক্ষত থাকবে। এই প্রকল্পে জুড়বে চারটি ধাম। প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্যক্তিগতভাবে কেদারনাথ মন্দিরের পুনর্গঠন দেখাশোনা করছেন। মন্দির সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত হয়েছে ভগবান আদি শংকরাচার্যের মূর্তি, যা ভারতের শাশ্বত সংস্কৃতির প্রতীক।

    ২০২০ সালের অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন। আধুনিক ভারতের ইতিহাসে যা এক স্মরণীয় ঘটনা। ঔপনিবেশিক পরাধীনতার প্রতীককে দেশ থেকে মুছে দিতে প্রধানমন্ত্রী রাজপথের নামকরণ করেন কর্তব্যপথ, যা ভারতীয় জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতীক। দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কাজ মোদি সরকারের আমলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভারত থেকে চুরি যাওয়া তথা পাচার হওয়া নানা রকমের মূর্তি পুনরায় আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। এ নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গত ৯ বছরে অমূল্য অনেক কিছুই দেশে ফেরত এসেছে।

    মোদি সরকারের প্রাথমিক নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল জাতির পুনর্গঠন। গুজরাটে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি তৈরি হয়েছে মোদির আমলে, যা পরিচিত স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নামে। এটি বিশ্বের সব থেকে উঁচু স্ট্যাচু। বিগত ৯ বছরে মোদি সরকার দেশের সমস্ত বীরদের সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছে। কংগ্রেস জমানায় গান্ধী-নেহরু পরিবারকেই শুধুমাত্র দেশের হিরো বানানো হয়েছিল। কিন্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে স্থাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ে দেশের বীরদের অবদান এবং কৃতিত্বের ইতিহাসকে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন জাতীয় যুদ্ধ মেমোরিয়াল। দেশের জন্য চরম আত্মত্যাগ করেছেন যাঁরা, তাঁদের জীবনী সংরক্ষিত রয়েছে এখানে।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, দেশের প্রাচীন গৌরবকে তুলে ধরতে মোদি সরকারের গত ৯ বছরের প্রয়াসগুলি

    ১) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং উজ্জয়নীর মহাকাল প্রকল্পকে বিশ্বমানের করে তোলা হয়েছে, যা তীর্থযাত্রীদের কাছে নতুন আকর্ষণ।

    ২) প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা।

    ৩) ২৩১ টি চুরি যাওয়া এবং বিদেশে পাচার হওয়া মূল্যবান জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বিগত ৯ বছরে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৩টি জিনিস ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল ইউপিএ সরকার।

    ৪) কেদারনাথ মন্দিরকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০৭.৩০ কোটি টাকা।

    ৫) চারধাম যাত্রা সংযোগকারী সড়ক যোজনা নেওয়া হয়েছে।

    ৬) গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩.৫ কোটি টাকা। 

    ৭) ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল তৈরি করা হয়েছে।

    ৮) বারোটি ঐতিহ্যগত হেরিটেজ সাইটের উন্নয়ন করা হয়েছে।

    ৯) হৃদয় প্রকল্পের মাধ্যমে তফশিলি জাতি এবং উপজাতি যোদ্ধাদের জন্য দশটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। খরচ হয়েছে ১৫৮৬ কোটি টাকা।
     
    ১০) শিখ তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে কর্তারপুর সাহিব করিডর।

     

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

  • Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী ময়নার একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। ময়না (Purba Medinipur) ব্লকের গোজিনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২১৫ নম্বর বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এঁরা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন তৃণমূলের হয়ে। হেঁশেলের সুসম্পর্ক রাজনীতির উঠোনে এসে কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে।

    কারা এই প্রার্থী

    গোজিনা (Purba Medinipur) গ্রামের ২১৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী মন্দিরা পাল এবং তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পাল। তাঁরা দুজনে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনই গৃহবধূ। এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নামলেন। প্রসঙ্গত, পরিবারের কর্তা ঈশ্বর মুরারীমোহন পালের ছয় ছেলে। তাঁর পরিবারেই মোট ভোট রয়েছে ১৫টি। যদিও প্রত্যেকে পৃথক বাড়ি করে আলাদা রয়েছেন। তবে এই পরিবারের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। পরিবারের দুই বৌমা হলেন নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী।

    প্রার্থীদের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পালের স্বামীর নাম সুশান্ত পাল এবং বিজেপি প্রার্থী মন্দিরা পালের স্বামীর নাম প্রশান্ত পাল। দুই জা বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। রাজনৈতিক লড়াই যাই হোক না কেন, দুই জায়ের সম্পর্ক ভালোই থাকবে বলে জানান তাঁরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Purba Medinipur) বড় ভাই কৃষ্ণপ্রসাদ পাল জানিয়েছেন, আমাদের চোখে দুই ভাই কিংবা দুই বৌমা সমান। আমরা সবার সাফল্য কামনা করি। পরিবারের ভোট আমরা ভাগ করে দুজনকেই দেওয়ার চেষ্টা করব।

    গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ময়না (Purba Medinipur) খবরের শিরোনামে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে দূরে সরিয়ে রেখে, সাংসারিক সম্পর্ককে অক্ষুন্ন রেখে কীভাবে এই লড়াই লড়বেন এই দুই জা, এটা দেখায় বিষয়। রাজনীতির ময়দানে কোন জা জয়লাভ করে সাধারণ জনগণের আশীর্বাদ লাভ করেন, সেটাও দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জয়েন্টে অষ্টম স্থান পেয়ে খানিকটা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ার সাগ্নিক নন্দীর। তবে, এবার জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা অর্থাৎ আইআইটি জয়েন্টে সর্ব ভারতীয় স্তরে ৩৯ এবং রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়ে সেই আক্ষেপ আর নেই তাঁর। তাঁর এই সাফল্যে বেজায় খুশি বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া এলাকার তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পাড়ার ছেলের এই নজরকাড়া রেজাল্টের কথা এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে।

    কী বললেন সাগ্নিক?

    বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক নন্দী। এই স্কুলেই তিনি ছোট থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। মাধ্যমিকে তিনি ৯৪.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৯৬.৬০ শতাংশ নম্বর এবং জেইই মেইন পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ২৮৯। আর এরপরই বড় সাফল্য মিলল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় তাঁর সর্ব ভারতীয় র‍্যাঙ্ক ৩৯। যার নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাগ্নিক। এখন বাঁকুড়ার বাইরে রাজস্থানের কোটায় রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে ফোনে সাগ্নিক বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম দেশে প্রথম ১০০ এর মধ্যে আমার র‍্যাঙ্ক থাকবে। তবে তা যে ৩৯ নম্বরে উঠে আসবে, এতটা ভাবিনি। ভালো লাগছে।’ এবার মুম্বইয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।

    সাগ্নিকের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন তাঁর স্কুলের শিক্ষক?

    বাঁকুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণধন ঘোষ বলেন, খুবই মেধাবী এবং শান্ত প্রকৃতির ছাত্র সাগ্নিক। ঠান্ডা মাথার ছেলে। বরাবর পড়াশোনাটা ভালোভাবে করে আসছে। ছোট থেকে এই স্কুলে পড়েছে। জেইই  অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। আগামীতে ও আরও বড় হোক, এই কামনা করি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    সাগ্নিকের বাবা আনন্দরঞ্জন নন্দী বলেন, ছেলের ইচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার। আমরা চাইছি সে তার নিজের ইচ্ছে মতো পড়ুক। জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় ছেলে ভালো ফল করবে জানতাম। তবে, এত ভালো র‍্যাঙ্ক করায় আমরা খুশি। সাগ্নিকের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর মা মন্দিরা নন্দী বলেন, রাজ্যে ছেলে সেরা হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে। তবে ও পরিশ্রমও কম করেনি। রোজ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়ত। আর অবসর সময় পেলে একটু আধটু গল্পের বই পড়েছে। ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ার নেশা সাগ্নিকের। ছেলের ইচ্ছে মুম্বইয়ে পড়াশোনা করার। আমরা চাই, তার স্বপ্ন পূরণ হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Metro Rail: গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গপথে ছুটবে মেট্রো, পরিকল্পনা হয়েছিল ১০০ বছর আগেই!

    Metro Rail: গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গপথে ছুটবে মেট্রো, পরিকল্পনা হয়েছিল ১০০ বছর আগেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রথম বার গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গ পথে ছুটবে মেট্রো রেল (Metro Rail)। ভারতের ইতিহাসে এ এক নতুন মাইল ফলক বলা যেতেই পারে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শহরবাসী এই সুবিধা পেতে চলেছেন। ইতিমধ্যে গঙ্গার তলা দিয়ে পরীক্ষমূলক ভাবে চালানো হয়েছে মেট্রো রেল। কিন্তু অনেকেরই হয়তো অজানা, প্রায় ১০০ বছর আগেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। আর তা করেছিলেন একজন বাঙালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার স্যার হার্লে ডালরিম্পল।

    কে এই হার্লে ডালরিম্পল?

    হার্লে ডালরিম্পল ছিলেন একজন বাঙালি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ার, যিনি ১৮৬১ সালে রাজ্যেরই বীরভূম জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কারিগরি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন যুক্তরাজ্যের এডিনবরায়। এর পর তিনি লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড নামের একটি পরিবহণ সংস্থায় কাজ শুরু করেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, কলকাতার মাটির নিচ দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটারের কাছাকাছি একটি রেলপথ তৈরি করবেন। এটি হুগলি নদীর নিচ দিয়ে যাবে এবং হাওড়াকে সরাসরি কলকাতার সাথে যুক্ত করবে। এর সাথে যুক্ত মোট ১০টি স্টেশন (Metro Rail) রাখার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, তাঁর পরিকল্পনা আরও বহুদূর বিস্তৃত ছিল। তিনি কলকাতার জন্য সম্পূর্ণ আন্ডারগ্রাউন্ড একটি নকশা তৈরি করেছিলেন, যা কলকাতার  উত্তর ও দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। হার্লে এই পরিকল্পনা যখন তৈরি করেন, তখন আগে থেকেই লন্ডন, প্যারিস এবং নিউইয়র্কে ভূগর্ভস্থ রেলপথ চালু ছিল।

    কী উদ্দেশ্য (Metro Rail) ছিল এই টানেলের?

    ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল মূল কেন্দ্রবিন্দু। আর হাওড়া ছিল বিভিন্ন কলকারখানার মূল জায়গা। তাই কলকাতা ও হাওড়াতে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ কাজ করতে আসতেন। তখন হাওড়া থেকে কলকাতা যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল হুগলির ওপর নির্মিত একটি সেতু। তাছাড়া নৌকাতেও যাতায়াত করতেন মানুষ। এই সব পর্যবেক্ষণ করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, লন্ডনের মতো টিউব রেলপথ নির্মাণ করার, যা ভূগর্ভ পথে কলকাতা-হাওড়াকে সরাসরি যুক্ত করবে (Metro Rail)। তিনি কলকাতাতে না এসেই সুদূর বিদেশে বসে শহরের জন্য টিউবের নকশা তৈরি করেন। এমনকী সব বিষয়ে তথ্য পেতে এক সহকারীকের কলকাতায় পাঠান।
    তাঁর প্রথম উদ্দেশ্য ছিল, হাওড়ার বাগমারি নামক এক জায়গাকে বেনারস রোড নামক আরেক জায়গার সাথে যুক্ত করা (Metro Rail)। একশো বছর আগে এই পরিকল্পনার জন্য বাজেট নির্ধারণ করা হয় ৩৫ লাখ পাউন্ড, যা ছিল তখন অনেক ব্যয় বহুল। তাই এই প্রজেক্ট অসম্পূর্ণই থেকে যায়। কিন্তু হার্লে কলকাতায় তাঁর এই পরিকল্পনার ছোঁয়া রেখে যান। ১৯২৮ সালে শহরের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সিইএসসি হার্লেকে কলকাতা থেকে হাওড়ায় বৈদ্যুতিক তার পরিবহণের জন্য টানেল বানানোর দায়িত্ব দেয়। ১৯৩১ সালে কলকাতায় এই আন্ডার ওয়াটার টানেলটি স্থাপিত হয়, যা আজও আছে। এটি দিয়ে এখনও বৈদ্যুতিক তার পরিবহণ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই দল বদলের চিত্র দেখা যায়। যেমনটা দেখা গেল মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর এলাকার ১১৪ নম্বর বুথে। শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করায় জেলায় দল আরও মজবুত বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার রাতে এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মহিষাদল বিধানসভার বিজেপি কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ ব্যানার্জি এবং বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস। মোদিজির কাজে খুশি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যোগদান করায় লড়াইয়ে পথ অনেকটাই শক্ত হল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে, দাবি বিজেপির। বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে স্বচ্ছ  ও সুন্দর গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, জানান বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও এই ভাবে বিজেপিতে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, বুথ, পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতারা কেউ কেউ সামজিক সম্মান চান, সমাজের কাছে স্যার স্যার শুনতে চান! কিন্তু আমাদের দল নবজোয়ারের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা করে যোগ্য ব্যক্তিদেরই টিকিট দিয়েছে। এখানে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা হয়তো নির্দলে মনোনয়ন করেছেন। কিন্তু দল তাঁদের পাশে নেই। তাছাড়া ব্লকের অধিকাংশ আসনে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। সুতরাং শাসক দলের কর্মীদের তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা অত্যন্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ কাদের সঙ্গে আছেন, তা ১১ ই জুলাই পরিস্কার হয়ে যাবে। তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lord Jagannath: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    Lord Jagannath: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের জন্য মাসির বাড়ি বেড়াতে যাবেন প্রভু জগন্নাথ। সঙ্গী হবেন বলরাম ও সুভদ্রা। রথযাত্রার তিথি হিন্দু ধর্মে এক পুণ্য ও পবিত্র উৎসব। ভক্তরা এদিন ভক্তি সহকারে প্রভু জগন্নাথের উপাসনা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, রথের দড়ি টানলে সংসারের সকল অমঙ্গল দূর হয়। সারা দেশের সঙ্গে বিদেশেও সাদরে এবং ভক্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় রথযাত্রা।

    প্রায় সাতশো বছর আগে পুরীতে শুরু হয় রথযাত্রা

    আনুমানিক সাতশো বছরের পুরনো পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath yatra) উৎসব। এই বিশেষ উৎসব ঘোষাযাত্রা বলেও পরিচিত। রথযাত্রার দিন এই তিন দেবতাকে গুণ্ডিচা মন্দিরে (Gundicha Temple) জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথযাত্রা পালিত হয়। মোট ১১ দিন ধরে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে উৎসর্গ করে আরাধনা করা হয়। রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে একাধিক আচার-অনুষ্ঠান। রয়েছে একাধিক পুজোবিধি।

    রথযাত্রার নির্ঘণ্ট আমরা দেখে নেব একনজরে

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে

    তৃতীয়া তিথি আরম্ভ

    বাংলার–৫ আষাঢ়, মঙ্গলবার।

    ইং–২০ জুন, মঙ্গলবার।

    সময়–দিবা ১ টা ৯ মিনিট।

    গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে

    তৃতীয়া তিথি আরম্ভ

    বাংলার–৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার।

    ইং–২০ জুন, মঙ্গলবার।

    সময়–ঘ ১১ টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ড।

    তৃতীয়া তিথি শেষ

    বাংলার–৬ আষাঢ়, বুধবার।

    ইং–২১ জুন, বুধবার।

    সময়–দিবা ৩ টে ১০ মিনিট।

    রথযাত্রা উৎসবের বিভিন্ন পবিত্র অনুষ্ঠান 

    আনসারী-স্নানযাত্রার পর অর্থাৎ পূর্ণিমার পরে কাঠের মূর্তিগুলি শোভাযাত্রার (রথযাত্রা) তারিখ অবধি গর্ভগৃহের একটি ঘরে রাখা হয়।

    চেরা পাহারা-মন্দিরের সিংহদ্বারের উত্তর দিকে পাশাপাশি রেখে দেওয়া হয়। এদিন ওড়িশার রাজা সোনার হাতলের ঝাড়ু দিয়ে রথটি পরিষ্কার করেন, পথও পরিষ্কার করেন এবং চন্দন ছিটিয়ে দেন।

    রথযাত্রা-মূল উৎসব। রথযাত্রা শুরু হয় এদিন। গুণ্ডিচাতে মাসির বাড়িতে যাওয়ার প্রথা জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার।

    হেরা পঞ্চমী-প্রথম পাঁচ দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে থাকেন তিন ভাই-বোন। পঞ্চম দিন ভগবান জগন্নাথের স্ত্রী দেবী লক্ষ্মীর এক অনুষ্ঠান ও পুজো করা হয়।

    সন্ধ্যা দর্শন-এই দিনে জগন্নাথ দর্শন করা ১০ বছর ধরে শ্রী হরির পুজো করার সমান পুণ্য লাভ হয়। 

    বহুদা যাত্রা-অর্থাৎ উল্টো রথযাত্রা। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার ঘরে প্রত্যাবর্তন। 

    সুনা বেসা-রথযাত্রা শেষে যখন নিজের বাড়িতে জগন্নাথ ফিরে আসেন, তখন নিয়ম মেনে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে ফের নতুন পোশাক পরানো হয়। সুন্দর সাজে সজ্জিত করা হয়।

    আধার পানা-আষাঢ়ের শুক্ল দ্বাদশীতে দিব্য এই রথে একটি বিশেষ পানীয় নিবেদন করা হয়। একে পানা বলা হয়, যা দুধ, পনির, চিনি এবং শুকনো ফল দিয়ে তৈরি হয়।

    নীলাদ্রি বিজে- জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণীয় আচার হল নীলাদ্রি বিজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share