Blog

  • Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।

    যোগদানকারীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিকায় নাম আসার পরেও দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার চালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা ১ নম্বর বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু  এবং ২ নম্বর বুথের  প্রার্থী রেজা আলির নাম তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই তাঁরা দলের নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু, শনিবার স্ক্রুটিনির পর তাঁরা জানতে পারেন, দল থেকে তাঁদের কোনও প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজা আলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন তাঁরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলে তবেই মিলছে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বলল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাসকে ধরা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, টাকা ছাড়া তৃণমূলে (TMC) পদ, প্রার্থী কোনও কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে, মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক, এটা পুরোপুরি বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল আর কিছু চেনে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Landslide: সিকিমে ভূমি ধস! আটকে পড়া ৩৫০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা

    Sikkim Landslide: সিকিমে ভূমি ধস! আটকে পড়া ৩৫০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ ধস নামল সিকিমে (Sikkim Landslide)। ভূমিধসের কারণে বহু স্থানীয় পর্যটক আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, ৩০০ পর্যটককে উদ্ধার করা গেছে রবিবার। এর আগের দিন, শনিবার প্রায় ৩,৫০০ আটকে পড়া পর্যটককে উদ্ধার করে সেনা। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সেনার ত্রিশক্তি কোর এবং স্ট্রাইকিং লায়ন ডিভিশনের কর্মীরা। উদ্ধার করা পর্যটকদের খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসা সমেত অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট মহেন্দ্র রাওয়াত।

    কী বলছে সেনা?

    এদিন সেনার তরফে মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘‘পর্যটকদের উদ্ধার করে খাবার ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’’

    রাস্তা ভেসে যায় ভারী বৃষ্টিতে…..

    জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে সিকিমের চুংথাংয়ের কাছে রাস্তা ভেসে যায়। এর ফলে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েন ৩ হাজারের বেশি পর্যটক। পর্যটকদের উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা। রাতভর রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলে। শনিবার বিকেলে ৩৫০০ পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রিশক্তি কর্পস, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থার কর্মীরা পর্যটকদের উদ্ধার করে। রাতভর ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্রসিং তৈরির কাজ করে। পর্যটকদের নদী পার করানো হয়। দেওয়া হয় গরম খাবার। প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।

     

    আরও পড়ুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মতো বাংলার বিখ্যাত হল মহিষাদলের রথযাত্রা (Mahishadal Rathayatra)। বাংলা থেকে স্বয়ং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পুরীতে গিয়ে রথাযাত্রা উৎসবে যোগদান করেছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীর নীলাচলে আত্মলীন হয়েছিলেন বলে জানা যায়। বাংলায় প্রাচীন রথযাত্রাগুলির মধ্যে মহিষাদলের রথযাত্রা হল অত্যন্ত সুপ্রাচীন।

    ইতিহাসে রথযাত্রা

    রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরীর নাম। কিন্তু মাহেশের রথের (Mahishadal Rathayatra) কথা জানেন কি? পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথের বয়স ২৪৭ বছর। এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মহিষাদল রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই রথের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এই রাজপরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজা হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে তিনি মারা গেলে, তাঁর স্ত্রী রানী জানকী এই রথের দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা শুরু করেন।

    কেমন হয় রথযাত্রা?

    সেই সময় এই রথে (Mahishadal Rathayatra) ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমে ১৩টি করা হয়। ২০১৭ সালে এই রথকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়, তখন খরচ হয়েছিল ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজ পরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা চলে। এই মেলায় হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া, সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।

    এলাকার বিধায়কের বক্তব্য

    এলাকার বিধায়ক বলেন, এই রথ (Mahishadal Rathayatra) অনেক পুরানো ঐতিহ্যবাহী। প্রশাসনের তরফ থেকে আগত সকল ভক্তবৃন্দের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি, ড্রোন ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু ক্ষেত্রে পোস্টার হোক বা কোনও সচেতনতামূলক বোর্ড। সব জায়গাতেই কিছু বিশেষ রঙের ব্যবহার দেখা যায়, যেগুলি মানুষকে আকর্ষণ করে। যেমন সিগন্যালে লাল ও সবুজ রং মানুষকে সচেতন করে। প্রত্যেকটি রং বিশেষ বার্তা এবং মানেও বহন করে। এই বিশেষ কোনও একটি রঙের ব্যবহার নিয়ে আবার অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, কেন সেই জায়গায় শুধু ওই একটি রংই ব্যবহার করা হয়? অন্য রং কেন ব্যবহৃত হয় না? আজ আমরা যে রংটি নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করব, সেটি হল হলুদ (Yellow Colour)। রেল স্টেশনের বোর্ড থেকে শুরু করে স্কুল বাস, সবেতেই কেন হলুদ রং ব্যবহার করা হয়? এর পিছনে কি আছে বিজ্ঞান?

    সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং (Yellow Colour) ব্যবহার করা হয়?

    বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর অন্যতম কারণ হল, হলুদ রঙের (Yellow Colour) বোর্ডের ওপর কালো কালিতে লেখা জায়গার নাম সহজেই ট্রেনের ড্রাইভার দূর থেকে বুঝতে পারেন। সামনে কোনও স্টেশনের উপস্থিতি দূর থেকেই তাই জানতে পারেন তাঁরা। এটি অন্য কোনও রঙের দ্বারা সম্ভব নয়। 

    স্কুল বাসগুলিতেও কেন হলুদ রং (Yellow Colour) করা হয়?

    এর পিছনেও আছে বিজ্ঞান। কারণ হলুদ রং (Yellow Colour) বাচ্চাদের মস্তিষ্কে খুব ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। হলুদ রং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। আর নিরাপত্তার দিক থেকে ভাবলে দেখা যায়, আগের কারণটির মতোই হলুদ রং খুব দূর থেকে লক্ষ্য করা যায় এবং তা সহজেই চোখে পড়ে। স্কুল বাসে উপস্থিত বাচ্চাদের পথ দুর্ঘটনা থেকে এড়াতে এই রঙের ব্যবহার করা হয়। এমনকী কুয়াশা থাকেলও সহজেই এই রং ধরা দেয় চোখে। হলুদের পেরিফেরাল দৃষ্টি লাল রঙের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। দুর্ঘটনার প্রবণতা কমাতে তাই স্কুল বাসে হলুদ রংই বেশি করা হয়।

    অনেক খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টের বোর্ড হলুদ (Yellow Colour) ও লাল হয়, কারণ কী?

    এর পিছনে আছে এক মনস্তাত্ত্বিক কারণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাল রঙের মধ্যে এমন এক গুণ আছে, যা মানুষের খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। আর তার সাথে হলুদ রং (Yellow Colour) মস্তিষ্কের নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে বাড়িয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং ভালোলাগার অনুভূতিগুলো জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই অনেক রেস্তোরাঁ কোম্পানি যেমন ডোমিনোজ, ম্যাকডোনাল্ড, বার্গার কিং, পিৎজা হাট, কেএফসি বরাবর এই লাল ও হলুদ রঙের ব্যবহার বেশি করে থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: রবিবার প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষার রেজাল্ট। পরীক্ষার ১৪ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) গুয়াহাটি। পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে jeeadv.ac.in ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবেন। এই বছর জেইই অ্যাডভান্সড-এর ফলাফল অনুযায়ী দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ভাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি। ভাভিলালা আইআইটি হায়দরাবাদ জোনের অন্তর্গত। ৩৬০ নম্বরের পরীক্ষায় ভাভিলালার প্রাপ্ত নম্বর ৩৪১। মেয়েদের প্রথম নয়কান্তি মোট ৩৬০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ২৯৮। এ বছর জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ১৮০৩৭২ জন পড়ুয়া। যার মধ্যে পাশ করেছেন ৪৩৭৭৩ জন। এঁদের মধ‍্যে ৩৬২৬৪ জন পুরুষ এবং ৭৫০৯ জন মহিলা।

    আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম ৪ জনের ২ জন কলকাতার

    রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন বাঁকুড়ার সাগ্নিক নন্দী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলকাতার মহম্মদ সাহিল আখতার ও সোহম দাস। রাজ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন মেদিনীপুরের সৌহার্দ্য দণ্ডপাট।

    বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে সাহিল দেশে প্রথম

    বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গোটা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাহিল। আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করে উত্তীর্ণ হলেও, আইআইটিতে পড়তেই চান না তিনি। সারা ভারতে প্রথম ১০০ জনের তালিকায় থাকার পাশাপাশি রাজ্যেও দ্বিতীয় হয়েছেন সাহিল।

    আইআইটিতে না পড়ে আমেরিকার MIT তে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে গবেষণা করতে চান সাহিল। ইতিমধ্যেই এমআইটির তরফে স্কলারশিপ অফার করা হয়েছে সাহিলকে। শুধুমাত্র উচ্চ বেতনের চাকরির জন্যই পড়াশুনা নয়, বরং জীবনে বিভিন্ন রকম প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও যাঁরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশেই পরবর্তীতে দাঁড়াতে চান সাহিল।

    এক নজরে দেখে নিন সেরাদের তালিকা

    ভ্যাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি (আইআইটি হায়দরাবাদ জোন)
    রমেশ সূর্য থেজা (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ঋষি কালরা (আইআইটি, রুরকি)
    রাঘব গোয়াল (আইআইটি, রুরকি)
    আদ্দগাদা ভেঙ্কটা শিভারম (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    প্রভব খান্দেলওয়াল (আইআইটি, দিল্লি)
    বিক্কিনা অভিনব চৌধুরী (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    মালয় কেডিয়া (আইআইটি, দিল্লি)
    নাগিরেড্ডি বালাজি রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ইয়াকান্তি পানি ভেঙ্কটা মানেন্দর রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৯/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৯/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পরিজনদের ব্যবহার আপনার প্রতিকূলে থাকবে। 

    ২) সকলে আপনার সমালোচনা করবে। ব্যবসার গতি কম হবে।

    বৃষ

    ১) ধৈর্য ধরুন। চাকরিজীবীরা কর্মক্ষেত্র থেকে অধিক প্রত্যাশা করবেন না। 

    ২) কোনও না কোনও ভাবে আকস্মিক লাভের ফলে সঞ্চয় বাড়বে। 

    মিথুন

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও কারণে কথা কাটাকাটি হতে পারে। তবে কোনও বিষয়কে অধিক গম্ভীর হতে দেবেন না। 

    ২) ব্যবসায়িক যাত্রার ফলে ধন লাভ সম্ভব।  

    কর্কট

    ১) ঝামেলার কাজ থেকে দূরে থাকুন। 

    ২) স্বামী-স্ত্রীর কোনও গোপন ইচ্ছা পূর্ণ না হওয়ায় মনে তিক্ততা দেখা দেবে।

    সিংহ 

    ১) বুক বা বুকের ওপরের অংশে সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে। 

    ২) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে মনের মিল না ঘটায় কষ্ট হবে। 

    কন্যা

    ১) বাড়িতে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে পারে। 

    ২) কারও সঙ্গে বিবাদ সম্ভব। ঝুঁকি নেবেন না, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    তুলা 

    ১) ছোটখাট কথায় বিতর্ক হতে পারে। স্বাস্থ্য দুর্বল হবে।

    ২) কাজ ও ব্যবসায় আর্থিক স্থায়িত্ব থাকবে না। মহিলারা ভেবেচিন্তে কথা বলুন। 

    বৃশ্চিক

    ১) ধর্মীয় কাজে আস্থা থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন না। 

    ২) পুরনো অসম্পূর্ণ কাজের ফলে সমস্যায় পড়বেন।

    ধনু

    ১) দৌড়ঝাপ সত্ত্বেও বিশেষ আয় সম্ভব নয়। 
     
    ২) সহকর্মীরা নিজের কাজ আপনার ওপর জোর করে চাপিয়ে দেবেন।

    মকর

    ১) নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মীয় কাজ করবেন। 

    ২) পরিজনদের সময় দিন।

    কুম্ভ

    ১) কাজ ও ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও কোনও বাধা আসবে না। 

    ২) অতীতের পরিকল্পনা কার্যকর হবে।

    মীন

    ১) বাড়ির পরিবেশ শান্ত থাকবে। 
     
    ২) ব্যবসা বা অন্যান্য পারিবারিক কারণে বিবাদ হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

  • RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে চলা হিংসার ঘটনায় নিন্দা জানাল আরএসএস (RSS)। পাশাপাশি সে রাজ্যের প্রশাসন, নিরাপত্তা আধিকারিক সমেত রাজ্য সরকারের কাছে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। আর্ত এবং দুর্গতদের মধ্যে সেবাকাজও শুরু করেছে সঙ্ঘ (RSS)। প্রসঙ্গত,সেখানকার মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। হিংসায় প্রায় ১০০ এর বেশি মানুষ নিহত হন। ১১টি জেলাতে জারি করতে হয় কার্ফু। বন্ধ রাখতে হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানে  শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে দিন কয়েক আগেই পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণা করেন ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ।

    আরএসএস-এর প্রেস বিবৃতি…  

    রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান, বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পারস্পরিক ঘৃণা এবং হিংসার কোনও স্থান নেই। কুকি এবং মেইতেই  দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য পারস্পরিক আলোচনার আবেদনও জানিয়েছে সঙ্ঘ। মণিপুরের সাধারণ নাগরিক, বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও সঙ্ঘ আর্জি জানিয়েছে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। ওই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সঙ্ঘ। সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, বিগত ৪৫ দিন ধরে মণিপুরে যা চলছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেখানে শান্তি স্থাপন করতে হবে।

    গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে ফের শুরু হয়েছে হিংসা

    শুক্রবার রাত থেকে আবারও অশান্তির আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। লাগানো হয়েছে আগুন। গুলি চালানোর খবরও মিলেছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাওয়াকতা ও কাঙ্গভাইয়ে গুলি চলে। আজ, শনিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি চলেছে বলে পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লাগানো হয়েছে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share