Blog

  • West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জেলা কিংবা কলকাতা, একাধিক সরকারি হাসপাতালের করিডরে পড়ে আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার চিকিৎসার যন্ত্র। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ! তার জেরেই চিকিৎসা পরিষেবা পান না সাধারণ মানুষ। ছুটতে হয় ভিন রাজ্যে! রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) আটকে রয়েছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়েই, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    সমস্যা ঠিক কোথায়? 

    জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম, ছবিটা সর্বত্র এক! স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যন্ত্রও কেনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই যন্ত্র একবারও ব্যবহার হয়নি। বরং পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। যেমন, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে গামা রে মেশিন। এই মেশিন কিনতে একশো কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে তা খারাপ হয়ে যায়। ফের কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু রোগী পরিষেবায় সেই মেশিন ব্যবহার করা যায়নি। থাইরয়েড ক্যানসার সহ একাধিক চিকিৎসার গামা রে মেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে (West Bengal Health) এই মেশিন থাকা সত্ত্বেও তা রোগী পরিষেবায় কাজে লাগে না। কারণ, এই মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান। যার নিয়োগ স্বাস্থ্য দফতর করে না। ফলে রোগীকে বাধ্য হয়ে যেতে হয় ভিন রাজ্যে। 

    একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (West Bengal Health)। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, কয়েক’শো কোটি টাকা খরচ হয়ে ওই সব হাসপাতালে স্নায়ু চিকিৎসার একাধিক যন্ত্র বসানো হয়। কিন্তু ওই সব হাসপাতালে নেই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ! তাই রোগীরা পরিষেবা পান না। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের জেলা থেকে শহর ঘুরে বেড়াতে হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য তাঁরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন।
    এমনকী স্বাস্থ্য ভবনের বারান্দাতেও পড়ে আছে একাধিক যন্ত্র, যা কোটি কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিন্তু কোন হাসপাতালে তার প্রয়োজন, কোথায় সেগুলো বসানো হবে, তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা হয়নি। ফলে, নষ্ট হচ্ছে সেসব যন্ত্র!

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, যন্ত্র চালানোর জন্য উপযুক্ত কর্মী পর্যাপ্ত নেই। বিশেষত রেডিয়েশন যন্ত্র যেগুলো থাইরয়েড, বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের রোগ নির্মূল করতে প্রয়োজন হয়, সেই যন্ত্র পরিচালনা করার জন্য দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিকাঠামো গড়ে তুলে রোগী পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত কী? 

    পরিকল্পনা ও সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরিকাঠামো নিয়ে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। রাজ্যে স্নায়ু-শল্য, প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগে রোগীদের পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো ও কর্মী প্রয়োজন, তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মী। কিন্তু রাজ্য সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে না। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী স্বল্প বেতনে এই কাজ অধিকাংশ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি করতে নারাজ। কারণ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের কাজের জন্য অনেক বেশি বেতন ও সুবিধা এই প্রশিক্ষিত কর্মীরা পান। তাই কর্মীর অভাবে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। পাশপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পর্যাপ্ত নেই। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    পেটের সমস্যা, স্নায়ু কিংবা ক্যানসার-যে কোনও রোগের চিকিৎসার (West Bengal Health) জন্য এ রাজ্যের মানুষকে কখনও মুম্বই আবার কখনও দক্ষিণ ভারতে ছুটতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বারবার বিজ্ঞাপন দেয়, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে! সব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। কিন্তু রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুব খারাপ। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, বিজ্ঞাপনের চেয়ে কবে পরিষেবা বেশি গুরুত্ব পাবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    PM Modi: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করে এসেছে কংগ্রেস সরকার, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভূত উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে বিগত ৯ বছরে। মোদি সরকারের উত্তর-পূর্ব ভারতের নীতির ফলে সেখানকার দুর্গম অঞ্চলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ট্রেন ব্যবস্থা চালু করা গেছে। আর্থিকভাবে উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের। স্থানীয় সংস্কৃতিকে দেশ জুড়ে তুলে ধরা হয়েছে মোদি জমানায়। বিগত নয় বছর ধরে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি মানুষের দরজায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা বার বার পৌঁছেছেন সেখানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের সঙ্গে মিশে তাঁদের সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছেন। তাঁদের মতো করে পোশাক পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেন উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্রান্ড-অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠতে পেরেছেন।

    বিগত ৯ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের আর্থিক উন্নতি উল্লেখযোগ্য ভাবে হয়েছে। ৩,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে মোট ১৫৫টি প্রকল্পে। নর্থ ইস্ট স্পেশাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টস-এর অধীনে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই বরাদ্দ হয়েছে। অন্যদিকে ১,৩৫০ টি বিভিন্ন প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৮৬৭ কোটি টাকা। এই হিসাব ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে বাজেটেরও অনেকখানি অংশ বরাদ্দ হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে। উত্তর-পূর্ব ভারতে বোগিবেল ব্রিজ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) উদ্বোধন করেন ২০১৮ সালে। উদ্বোধনের ষোলো বছর আগে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলপথ সম্প্রসারণের কাজও চোখে পড়ার মতো হয়েছে। সেখানে ৭টি নতুন এয়ারপোর্ট স্থাপন করা গেছে। নতুন মেডিক্যাল কলেজও হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম এইমস স্থাপন করা গেছে অসমে। সেখানে দিনের পর দিন বেড়ে চলা পর্যটকদের ভিড় প্রমাণ করে এই উন্নতির কথা। উত্তর-পূর্ব ভারত বিভিন্ন সময়ে সাক্ষী থেকেছে নানা অভ্যন্তরীণ সংকটের। এই সমস্যার সমাধানের জন্য মোদি সরকার বেশ কতগুলি শান্তি চুক্তিও করেছে। ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নতির জন্য নেওয়া হয়েছে জাতীয় বাম্বু মিশন প্রকল্প। বাঁশ উৎপাদন এবং তা থেকে ঘর সাজানোর উপকরণের সামগ্রী সেখানে ভালই তৈরি হচ্ছে। জৈব চাষেও মিলেছে নজরকাড়া সাফল্য। দেশের সিকিম রাজ্য হয়ে উঠেছে বিশ্বের মধ্যে প্রথম ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক চাষের রাজ্য। মোদি সরকারের এই সাফল্য দেখে মনে হয় যে ভারতবর্ষের উন্নয়নের ইঞ্জিন হতে চলেছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল।

    বিগত ৯ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মোদি সরকারের (PM Modi) সাফল্য এক নজরে 

     ১) ১৬ বছর পর সম্পূর্ণ হয়েছে বোগিবেল ব্রিজ।

    ২) ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়েছে আদিবাসী অসম শান্তি চুক্তি, সেখানকার স্থানীয় বোরো, নাগা, এনএলএফটিদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে।

    ৩) উত্তর-পূর্ব ভারতে বিগত ৯ বছরে স্থাপিত হয়েছে সাতটি বিমানবন্দর। ২০১৪ সালের আগে সেখানে ছিল ৯টি বিমানবন্দর।

    ৪) ব্রডগেজ রেলওয়ে ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যের রাজধানীকে সংযুক্ত করা গেছে। 

    ৫) জৈব চাষের জন্য সেখানকার ১.৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ চলছে মোদি সরকারের উদ্যোগে।

    ৬) বর্তমানে চলছে ৪,০১৬ কিলোমিটার সড়ক পথ নির্মাণের কাজ। 

    ৭) ২০০০ এরও বেশি প্রকল্পের বরাদ্দ হয়েছে ২২,০০০ কোটি টাকা।

    ৮) সেখানকার বাঁশের শিল্পের উন্নতির জন্য বিশেষ নজর দিয়েছে মোদি সরকার।

    ৯) অসমে ১২টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা গেছে।

    ১০) স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে মণিপুরে ২০২২ সালে এবং মেঘালয়ে ২০২৩ সালে পণ্য ট্রেন চালু করা গেছে। 

    ১১) সাতটি ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হয়েছে ডিব্রুগড়, কোকরাঝোড়, তেজপুর, লক্ষীপুর এবং জোড়হাটে।

    ১২) উত্তর-পূর্ব ভারতের মহান বীর লাচিত বরফুকনের ৪০০ তম জন্মজয়ন্তী দেশজুড়ে পালন করেছে মোদি সরকার।

     

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

  • Heat Wave: অসহ্য গরমে বাড়ছে সান স্ট্রোকের আশঙ্কা! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?  

    Heat Wave: অসহ্য গরমে বাড়ছে সান স্ট্রোকের আশঙ্কা! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরমের দাপট অব্যাহত! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে (Heat Wave)। আর তার জেরেই বাড়ছে অস্বস্তি! সান স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। দিন কয়েক আগে হলদিয়ায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক পড়ুয়া সান স্ট্রোকে মারা যান। বহু মানুষ প্রতিদিন বাইরে সান স্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। 

    কীভাবে বুঝবেন সান স্ট্রোকের (Heat Wave) ঝুঁকি বাড়ছে? 

    তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেই সান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যে সব দিন তাপমাত্রার পারদ ৪০-এর চৌকাঠ পার করবে (Heat Wave), সেদিন বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ জ্ঞান হারানো সান স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরমে অনেকের রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। তাদের সান স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত ঘামের জেরে ডিহাইড্রেশন হয়। তাই সান স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। মানসিক অস্থিরতা, কথা জড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ হঠাৎ দেখা দিলে, তা সান স্ট্রোকের ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বার বার বমি হওয়া কিংবা শরীরের উত্তাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়াও সান স্ট্রোকের উপসর্গ।

    গরমে কীভাবে মোকাবিলা করবেন সান স্ট্রোক? 

    গরমে সান স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, বেশি পরিমাণ জল ও ফলের রস খাওয়া দরকার। বাজারের প্যাকেটজাত পানীয় নয়। তরমুজ, ডাবের সরবত নিয়ম করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া জলের সঙ্গে নুন-চিনি মিশিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতির ওআরএস-ও ভালো।
    রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে বেলা ১১ থেকে ৩ টের মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বা বন্ধ গাড়িতে না থাকাই ভালো। কারণ, বন্ধ গাড়িতে গরম বেশি হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেক সময় তৈরি হয়। আবার, গাড়ির ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তা টের পাওয়া যায় না। মদ্যপান গরমে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।  তাঁদের মতে, অতিরিক্ত ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ, তাতে ঘাম বেশি হয় (Heat Wave)। আর বেশি ঘাম হলেই সান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। 
    তবে, সবচেয়ে জরুরি, বাইরে কোনও রকম শারীরিক অসুবিধা মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আর কেউ হঠাৎ জ্ঞান হারালে সরাসরি জল না দিয়ে ভিজে কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ পরিষ্কার করা। আশপাশ ফাঁকা রাখা, যাতে অক্সিজেনের অভাব না হয়। এসবই খেয়াল রাখা দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    Panchayat Election: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বহু তৃণমূল নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এবার এই বিদ্রোহের আঁচে দগ্ধ হলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনেই কয়েকশো তৃণমূল কর্মী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। পরে, পুলিশ গিয়ে সামাল দেয়।

    কী বক্তব্য বিক্ষোভকারীদের?

    মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়িতে জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) প্রার্থীদের নাম সহ মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি-২ নম্বর ব্লকের সাপটিবাড়ি ১ ও ২,পদমতি ১ ও ২, ধর্মপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ময়নাগুড়ি-২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত সাদা কাগজে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের বেশিরভাগের  তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী অনেকেই প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। ময়নাগুড়ি -২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি টাকার বিনিময়ে অযোগ্য এবং বিজেপি মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের তৃণমূলের টিকিট দিয়েছেন। আর এই কারণে জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী?

    তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বিক্ষুব্ধ কর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে এখনও নাম চূড়ান্ত হয়নি। প্রার্থীদের শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয়। জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ রীতিমতো মাইক হাতে কর্মীদের আশ্বস্ত করেন এবং তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। রাত প্রায় ১টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা সভানেত্রী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী নিয়ে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। কেননা এখনও প্রার্থীর নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা’কে গাড়ির মধ্যেই খুন (Raju Jha Murder) করা হয়। এবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও সময়সীমা এদিন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় রাজু ঝাও ছিলেন ইডির রেডারে। বীরভূমের আবদুল লতিফ নামে ওই গাড়িতে থাকা আর এক জনের নাম ইতিমধ্যেই মিলেছে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে। কয়লা পাচার মামলা এবং এই খুনের ঘটনায় যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিচারপতি তাই হয়তো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই তদন্তভার তুলে দিলেন। রাজ্যকে ইতিমধ্যে কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না গেলে ধাক্কা খাবে কয়লা পাচার তদন্ত।

    ইডি দফতরে হাজিরার ২ দিন আগেই খুন হন রাজু (Raju Jha Murder)

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজু ঝা-র চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক একদিন আগে  ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। রাত পৌনে আটটা নাগাদ রাজুর সাদা গাড়ি শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা। পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝার সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। গাড়ি দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজু ঝার শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাজুর পিছনের সিটে বসে থাকা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের হাতেও গুলি লাগে। এই হামলার সময়েই বেপাত্তা হয়ে যান আব্দুল লতিফ।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতি

    রাজু ঝার গাড়ির চালক নূর হোসেন খুনের (Raju Jha Murder) পর পরই শক্তিগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে ও ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিন পরে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে। অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ির চালক বলে জানা যায়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, খুনের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি সরবরাহ করেছিল ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমার নামের দুই ব্যক্তি। এর পরে মে মাসের ৩ তারিখে রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ ও লালবাবুকে গ্রেফতার করে সিট। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের নাম পায় পুলিশ। জুন মাসের ১৪ তারিখে ঘটনার তদন্তভার গেল সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাল (Jalpaiguri), রাজগঞ্জ এবং ধূপগুড়ি ব্লকের অনেকেই তৃণমূল ছাড়লেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলিতে বড় চমকের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রীনা বরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। আবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার সহ শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে ফিরলেন। একই সঙ্গে ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। জলপাইগুড়ি জেলায় সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক এবং অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জেলার রাজনীতি বেশ সরগরম।

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেন তৃণমূল ছাড়লেন?

    তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত (Jalpaiguri) সমিতির জন্য দলের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে গত সোমবার সরাসরি এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীনা বরা বলেন, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, অনশন-ধর্নায় বসেছিলাম, দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে সুশীল প্রসাদকে সরিয়ে দিলেও আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! বিচার না পেয়ে আমি তৃণমূল ছেড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

    ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৫ টি পরিবারের বিজেপিতে যোগদান

    ধূপগুড়ি ব্লকের (Jalpaiguri) ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এদিনই তৃণমূল দল ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায়। তাঁর সঙ্গে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান হিসেবে রঞ্জিতা রায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে শিকারপুর অঞ্চলে। আর যার কারণে সোমবার তিনি তৃণমূল দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

    মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন মেটেলি (Jalpaiguri) বাজারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মেটেলি বাজার হাটখোলায় ওই যোগদান সভা হয়। মেটেলি বাজারের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মাহাতো, ইনডং মাটিয়ালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মনোজ মন্ডল, তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজেন লোহার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এদিন বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেন বলে জানা গেছে।

    খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লিতে শতাধিক ‘ঘর ওয়াপসি’

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার, তাঁর স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ শতাধিক মানুষ বিজেপিতে ফিরলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন অঞ্জলি সরকার। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ সেই চাপ দূরে সরিয়ে রেখে অনুগামীদের নিয়ে ঘর ওয়াপসি করলেন তাঁরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ, জীবেশ দাস, অলীক দত্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অভূতপূর্ব যোগদানে এই জেলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই অস্ত্র উদ্ধার মালদায়, নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    Panchayat Election 2023: মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই অস্ত্র উদ্ধার মালদায়, নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে আবার অস্ত্র উদ্ধার মালদায়। রতুয়ার নূরপুর ব্রিজ এলাকায় হানা দিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মালদারই ভুতনির বাসিন্দা রূপকুমার মাহাত নামে এক ব্যক্তিকে।

    কোথায় কী অস্ত্র উদ্ধার?

    পুলিশ সূত্রে খবর, রতুয়াতে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র সমেত আটক করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি .৩০৩ এমএম পাইপগান, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল এবং তা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়কে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাচ্ছেন রতুয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) এই অস্ত্র ব্যবহার করা হত কি না,  তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন ঘোষণা হয়েছে। মনোনয়নের পঞ্চম দিন চলছে। এত অল্প সময়ে এতবড় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন! কমিশন কতটা প্রস্তুত? এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা সরব হয়েছেন। মনোনয়নকে ঘিরে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল, সালার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়, ক্যানিং সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতি। কোথাও গুলি চলছে আবার কোথাও মুড়ি-মুরকির মতো বোমাবাজি। শাসক বনাম বিরোধী মনোনয়নকে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। ঠিক এর মধ্যে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা, মনোনয়ন জমা, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মনে বেশ আশঙ্কার মেঘ জমতে দেখা যাচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতিতে যখন মালদায় বোমা, পিস্তল, বন্দুক উদ্ধার হয়, তখন গ্রাম বাংলার মানুষ কতটা সুরক্ষিত ভাবে ভোট প্রদান করবেন? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের জীবনের সুরক্ষার জায়গা থেকে রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক মহল।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই ক্যানিংয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রক্ত ঝরেছিল বিজেপি প্রার্থীর। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের (TMC) দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শাসক দল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুরু হয় বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    তৃণমূলের (TMC) একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর অনুগামীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাঁদের ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুষ্কৃতীরা আটকে দেয়। স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই দু’দলের মধ্যে ইটবৃষ্টি এবং বোমাবাজি হয়। গুলিও চলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে অনুগামীদের নিয়ে অবরোধ শুরু করেন ব্লক সভাপতি। তাঁর হুঁশিয়ারি, পরেশরামের অনুগামীদের জমায়েত না সরালে অবরোধ চলবে। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় বড়ালি থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ওই সংঘর্ষে কারা জড়িত রয়েছে জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ ফের শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ক্যানিংয়ের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। বিধায়কের লোকজন এসব করেছে। তা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। হয়েছে রাস্তা অবরোধ। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, মনোনয়নে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। ব্লক সভাপতি যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয়।

    ফের উত্তপ্ত ভাঙড়!

    মঙ্গলবারের পর বুধবারও মনোনয় জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এদিনও সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল এলাকা। এদিন ভাঙড়-১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল নেতা শাজাহান মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল থেকে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। নারায়ণপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ। হামলায় আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share