Blog

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে প্রশাসনের অব্যবস্থায় মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে প্রশাসনের অব্যবস্থায় মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৮ই জুলাই এক দফায় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্‌হা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিও লাগু হয়েছে। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা করার প্রথম দিন। নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) বিজেপির ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করলেন এদিন। ইতিমধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েতের প্রায় ৭৪ হাজার আসনে কেবলমাত্র ৬ দিনের মধ্যে মনোনয়ন জমা করতে হবে বলে সময় নির্ধারিত হয়েছে। এত কম সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে লোকসভার বিরোধী নেতা কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা করছেন।

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) কীভাবে মনোনয়ন জমা হল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনই নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) হরিপুর অঞ্চলে ১৪ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করেন। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা রীতিমতো মন্দিরে পুজো দিয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা করেন। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর ব্লকে এই মনোনয়ন জমা করা খুব সহজ হয়নি। বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেননি বলে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতি এদিন লক্ষ্য করা যায়নি। যথা সময়ে ডিসিআর দফতরে এসে পৌঁছাননি বলে বিশেষ অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।সমস্যার কথা কার কাছে জানানো হবে, সেই জন্য কোনও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি ছিলেন না ঘটনা স্থলে। সোমবার বাকি আসনে মনোনয়ন জমা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। 

    বিরোধী দলনেতা কী বলেছিলেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur) রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল! কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক হল না, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা হল না। অথচ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১০/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১০/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পাওনা টাকা সহজেই পেয়ে যাবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি শুভ। 

    ২) সবার সঙ্গে মিশতে পারার স্বভাবের জন্য সামাজিক সম্মানবৃদ্ধি পাবে।

    বৃষ

    ১) ভালবাসার মানুষদের সান্নিধ্য পাবেন আজ। এতে আপনার জীবন সুখময় হয়ে উঠবে।

    ২) জমি বিক্রিতে আর্থিক লাভ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) আজকে আপনার স্বাস্থ্য ভাল যাবে। বিবাহিত জীবনে অশান্তির আশঙ্কা।

    ২) নিজের জন্য কিছু পোশাক কেনাকাটা করতে পারেন। 

    কর্কট

    ১) নিজের সখগুলি পূরণ করার দিন আপনার। বিবাহিত জীবন ভাল কাটবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটুন। 

    সিংহ 

    ১) আর্থিক দিক থেকে দিনটি বিশেষ খারাপ যাবে।

    ২) পাখিকে সাত রকমের শস্য খাওয়ালে তা আপনার প্রেম জীবনের জন্য লাভদায়ক হবে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রতে আপনার নাম ছড়িয়ে পড়বে।

    ২) অত্যধিক কাজের কারণে আপনার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে আজ।

    তুলা 

    ১) দাম্পত্য জীবন খুবই ভাল কাটবে। তবে স্বাস্থ্য ভাল যাবেনা আজ

    ২) আর্থিকলাভের যোগ রয়েছে আজ।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকে আপনার ভ্রমণযোগ রয়েছে।

    ২) বৃশ্চিক রাশির জাতকরা আজ শ্রীকৃষ্ণের পুজো করতে পারেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই ভাল যাবে। দাম্পত্য জীবন খুবই আনন্দে কাটবে।
     
    ২) গরিব দুঃখীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে পারেন আজ।

    মকর

    ১) দিনটি খুব আনন্দে কাটাবেন। মনে সবসময় খুশি বিরাজ করবে।

    ২) বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে ভাল বোঝাপড়া গড়ে উঠবে।

    কুম্ভ

    ১) পরিবারকে সময় দিন আজ। কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ করবেন।

    ২) আর্থিক প্রাপ্তি হবে।

    মীন

    ১) বিগত কয়েকদিন ধরে আপনার স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছেনা।
     
    ২) তেঁতুলগাছে রোজ সকালে উঠে জল দিন, ভাল স্বাস্থ্য পাবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যেকোনও পরামর্শ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BJP:  অনুব্রতের গড়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না শতাধিক বিজেপি প্রার্থী, কেন জানেন?

    BJP: অনুব্রতের গড়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না শতাধিক বিজেপি প্রার্থী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ ব্লক অফিসে কোনও ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী দলের বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের রামপুরহাট-২ ব্লকেও একই ঘটনা ঘটে। সেখানেও ব্লক অফিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপির শতাধিক প্রার্থী। যদিও এর পিছনে শাসক দলের চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই ঘটল বিপত্তি। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দিয়ে রশিদ কেটে ফর্ম তুলেও জমা দিতে পারলেন না রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের শতাধিক বিজেপি (BJP) প্রার্থী। বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী স্বাত্তিক দাস, সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথ লেট বলেন, “আমরা বিডিও অফিসে গিয়ে রশিদ কেটে টাকা জমা দিই। এরপর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে গেলে আধিকারিকরা নিতে অস্বীকার করেন। ফর্ম যাচাই করার প্রশিক্ষণ নেই বলে তাঁরা আমাদের জানান। তাই মনোনয়নপত্র জমা নেননি। রাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর ফর্ম জমা নেওয়ার কথা তাঁরা বলেন”।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপি (BJP) নেতা তারক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার কথা শুনে আমরা বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম। দেখলাম তিনি ঠান্ডা ঘরে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে গল্প করছেন। অনেকক্ষণ পর আমরা অফিসে ঢুকে বিডিওর সঙ্গে কথা বলি। তিনিও বলেন ‘তাঁর কাছে কোনও ডেমো ফর্ম নেই। ফর্ম পূরণের জন্য তিনি কখনও দোতলায় আবার কখনও তিনতলায় পাঠান। সারাদিন ধরে হয়রানি করেও ফর্ম জমা দেওয়া গেল না। কেউ কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। আমরা এর পিছনে চক্রান্তের হাত দেখছি। আমরা এনিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাব”।

    প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    রামপুরহাট-২ ব্লকের বিডিও রাজীব পোদ্দার বলেন, “এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার মহকুমা শাসক বলবেন”। মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “প্রার্থীরা ডেমো ফর্ম চাইছিলেন। সেটা আমাদের কাছে নেই। প্রশিক্ষণ নেই এটা ঠিক নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি করা হয়েছিল বিশাল প্যান্ডেল। নীল-সাদা কাপড়ে সভাস্থলে ঢোকার রাস্তার দুপাশ মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। একেবারে এলাহি আয়োজন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য শুনবেন বলে অনেক কর্মী-সমর্থকও সভাস্থলে এসে গিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তায় ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। সভার শুরুতেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। ত্রিপলের শেড ভেঙে মাথায় পড়ে জখম হলেন দুজন। তাঁরা ডেকরেটরের কর্মী। ঝড়ে ভেঙে পড়ার আতঙ্কে মঞ্চ ছেড়ে পালান তৃণমূল নেতারা। ভেঙে যায় তোরণ। বন্ধ হয়ে যায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিন নদীয়ার বাদকুল্লায় বেলা তিনটেয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ছিল। বাদকুল্লার অনামী ক্লাবের মাঠে ত্রিপলের শেড করা হয়েছিল। আচমকাই কালো মেঘে গোটা এলাকা ঢেকে যায়। তখনও সভাস্থলে কর্মী, সমর্থকরা ঢুকছেন। প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছেন। মঞ্চে জেলা স্তরের সব নেতা রয়েছেন। আচমকাই শুরু হয় প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি। দমকা হাওয়ায় রীতিমতো দুলছিল ত্রিপলের শেড। দমকা হাওয়ায় শেডের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখনও মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতানেত্রীরা। মঞ্চের পিছনের ত্রিপল ছিঁড়ে যেতেই মঞ্চ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তাঁরা। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিনই প্রথম জনসভা ছিল। সমস্ত রকম প্রস্তুতি ছিল। প্রচুর কর্মী, সমর্থক চলে এসেছিলেন। রাস্তাতে অনেকে ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মূলত বন্ধ হয়ে গেল জনসভা কর্মসূচি। দলীয় নেতার সঙ্গে কথাও হয়েছে। এই অবস্থায় আর সভা করা সম্ভব নয়। তবে, রাস্তায় মিছিল করে জনসংযোগ কর্মসূচি করা হবে। জানা গিয়েছে, পরে, গাড়ি থেকেই তিনি কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও আরামবাগ সহ একাধিক জায়গায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ঝড়বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল নদীয়ার বাদকুল্লায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Dinajpur: “ভোট লুটতে এলে তৃণমূল গুন্ডাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করবে সাধারণ মানুষ”

    Uttar Dinajpur: “ভোট লুটতে এলে তৃণমূল গুন্ডাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করবে সাধারণ মানুষ”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা ভোট লুট করতে এলে এবছর সাধারণ মানুষ লাঠি নিয়ে তাড়া করবে।” ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার বিজেপি সভাপতির।

    জেলা সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর শুক্রবার দেওয়াল লিখন আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি ২ অঞ্চলের ১৯১ নম্বর বুথে দেওয়াল লিখন করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। বাসুদেববাবু জানিয়েছেন, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বত্র দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের চাইতে এবারের ফলাফল অনেক ভাল হবে। গত বছর আমাদের ২১টি পঞ্চায়েত হাতে এসেছিল, এই বছর আমাদের তিনগুণ ভাল ফলাফল হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি তৃণমূল ভোটদানে ঝামেলা পাকাবে। আমরা এই বাধা অতিক্রম করে সবরকম ভাবে মত প্রকাশের চেষ্টা করব। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আমরা এই বছর আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি।

    তিনি আরও বলেন, গত এগারো বছরে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ সজাগ হয়ে উঠেছেন। সাধারণ মানুষ এই চোরেদের অপশাসন থেকে মুক্তি চায়। বাসুদেববাবু আরও বলেন, জেলা পরিষদে এবার গেরুয়া আবিরের খেলা হবে। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যে জেলায় ১০০ শতাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা মনোনোয়ন পত্র দাখিলের কাজ শেষ করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে করতে হবে বলে বিশেষ দাবি রাখেন তিনি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইলে বিজেপি সমর্থকরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান। শাসক দল বিরোধীদের নির্বাচনে বাধা দিলে, লাঠি নিয়ে তাড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Illegal Coal Mine: ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধস! মৃত্যু ৩ জনের

    Illegal Coal Mine: ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধস! মৃত্যু ৩ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি কয়লাখনির ধসে শুক্রবার অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ধানবাদে। এখনও ওই কয়লাখনিতে (Illegal Coal Mine) অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানবাদ শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে ভারত কোকিং কোল লিমিটেড কোলিয়ারি এলাকায় একটি বেআইনি (Illegal Coal Mine) খনিতে শুরু হয়েছিল কয়লার খননকাজ। হঠাৎই সেখানে ধসের ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার বিবরণ

    ধসের ঘটনা ঘটতেই সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধসের সময় খনিতে কতজন মানুষ আটকে ছিলেন, তা এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেননি ধানবাদের পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

    কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা 

    এক প্রত্যক্ষদর্শী এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “ওই খনিতে (Illegal Coal Mine) বহু লোক কয়লা তোলার কাজে নিয়োজিত ছিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল এই খনন। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে সময়।” বেআইনি কয়লা খননের ঘটনা বেড়ে চলায় ক্ষোভ দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    কয়লাখনিতে ধসের (Illegal Coal Mine) ঘটনা চলছেই

    প্রসঙ্গত, এভাবে কয়লা খনির ধসে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ধানবাদে নতুন কিছু নয়। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও ধানবাদের একটি পরিত্যক্ত খনিতে এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ৫০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা যায়। আবার গত বছরেই ধানবাদের অন্য একটি খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। ১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ব্লকে কোনও ব্যবস্থাই নেই, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    Panchayat Election: ব্লকে কোনও ব্যবস্থাই নেই, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে এবং কোনও পরিকাঠামো তৈরি না করেই আচমকা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছেন।” পরিকাঠামো তৈরি না করে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে বলে অন্য বিরোধীরাও অভিযোগ করেছে। এই অভিযোগ যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণিত হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকে। এদিন বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে এসেও ফিরে গিয়েছেন। বলা ভালো, ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    আগামী ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীদের ৯ ই জুন থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়। হাতে সময় কম বলে এদিন  বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফের প্রার্থীরা ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা করতে যান। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বাধ্য হয়ে সকলেই মনোনয়নপত্র জমা না করে শূন্য হাতেই ফিরে যান।

    কী বললেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা?

    বিজেপি নেতা কুণাল হালদার বলেন, “আমি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। আমার সঙ্গে বহু দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন। কিন্তু, মনোনয়ন জমা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই নেই। ফলে, আমরা প্রস্তুতি নিয়েও প্রশাসনের গাফিলতির জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারলাম না।” সিপিএমের ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। প্রশাসনও তাদের সঙ্গে যুক্ত। আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানাব।”

    ব্লক প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবীর দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Election) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ব্যবস্থা করতে একটু সময় দরকার। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনোনয়নপত্র জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    PM Modi: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলে অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ ঘটে, এমন কথাই শোনা যায় বিশেষজ্ঞদের মুখে। বিগত ৯ বছরে ভারতবর্ষ বিশ্বের অর্থনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi) পরিকাঠামোগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিগত ইউপিএ সরকারের আমলে দেখা যেত, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে দীর্ঘসূত্রিতা কাজ করত। প্রকল্পের শিলান্যাস হত, কিন্তু বাস্তবায়ন হত না। বিগত ৯ বছরে কোনও রকমের দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়াই একের পর এক প্রকল্পের শিলান্যাস ও বাস্তবায়ন হয়েছে। সড়কপথ নির্মাণে রেকর্ড তৈরি করেছে সরকার। প্রতিদিন হাইওয়ে নির্মাণে সর্বোচ্চ রেকর্ড দেখা গিয়েছে বিগত ৯ বছরে। গ্রামীণ সড়কপথ নির্মাণও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হয়েছে মোদি জমানায় (PM Modi)।

    শুধু তাই নয়, দেশের লাইফ লাইন বলে পরিচিত রেলওয়ে ট্র্যাক সম্প্রসারণের কাজও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে।। ইতিমধ্যে অজস্র বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা গেছে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, উড়ানপথেও জোয়ার এসেছে মোদি জমানায়। ৭৪টি নতুন অপারেশনাল এয়ারপোর্ট তৈরি করা গেছে। ২০১৪ এর আগে পর্যন্ত মেট্রো রেল দেশের কয়েকটি শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বিগত ৯ বছরে কুড়িটিরও বেশি শহর মেট্রো রেলের সুবিধা পেয়েছে। শহর এবং শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে উন্নত হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। দেশের পরিকাঠামোগত এই উন্নয়নে ব্যাপক বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। যার ফলেই মিলেছে সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতাতেই সম্ভব হয়েছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, যা দেশকে জিডিপি ক্ষেত্রে বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনসাধারণের জীবনমানেরও উন্নতি ঘটেছে। দেশের নানা প্রান্তে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মোদি সরকারের আমলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন

    ১) ২০১৪ সালের পরবর্তীকাল থেকে হাইওয়ে নির্মাণের বাজেট পাঁচশো শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    ২) ৪০০ র উপর বিশ্বমানের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৭টি ট্রেন বর্তমানে চলছে।

    ৩) প্রতিদিন ৩৭ কিলোমিটার করে নতুন সড়কপথ সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

    ৪) গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ৯৯% কাজ হয়েছে।

    ৫) ২০১৪ সালে দেশে মেট্রো রেলপথ যেখানে মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার ছিল, সেখানে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৮৬০ কিলোমিটার।

    ৬) ৭৪ টি নতুন অপারেশনাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে।

    ৭) পরিকাঠামগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে অমৃত যোজনায় ৪,৮৩২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

    ৮) ৩.২৮ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে।

    ৯) ১১১ টি নতুন জলপথ তৈরি হয়েছে ন্যাশনাল ওয়েটার ওয়ে প্রকল্পে।

    ১০) উত্তরপ্রদেশের সরজু নাহার জলসেচ প্রকল্প, যা শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৭৮ সালে, মোদি জমানায় তা সম্পূর্ণতা পেয়েছে।

    ১১) বিহারের কোশিরেল মহাসেতু, যার শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৩-০৪ সালে, দু দশক পরে মোদি জমানায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।

    ১২) কেরলের কল্লাম বাইপাস প্রজেক্ট, যা শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, ৫০ বছর পরে তা বাস্তবায়িত হল মোদি জমানায়।

    ১৩) বোগিবেল রেল কাম রোড ব্রিজ, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপরে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয় ১৯৯৭ সালে। ২ দশক পরে তা বাস্তবায়িত হয়েছে মোদি জমানায়।

    ১৪) দেশের দীর্ঘতম অটল টানেলের (১০,০০০ ফুট) শিলান্যাস হয় ২০০০ সালে। সম্পূর্ণ হল মোদি জমানায়।

    ১৫) বিশ্বের বৃহত্তম উচ্চ রেল ব্রিজ কাশ্মীরের চেনাব ব্রিজ তৈরি হয়েছে মোদি জমানায়।

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

     
  • Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ঘটনায় আহত প্রায় ১৪ জন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই ব্লকের অন্তর্গত সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল আবার। পুরো এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কারা হবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় এবং আহত প্রায় ১৪ জন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল সালারে। সেই সময় এলাকার শিরিষতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তারপরই তা ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সালারের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাদ বাধে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সালার ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা এসে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই সালারে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

    কী বলেন বিধায়ক

    সালারের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মিটিং-এ গিয়েছিলাম। যতটা সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। দলের জন্য কোন্দল কাম্য নয়, আমাদের দলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সকল কর্মীকে বলব এই সময়ে নিজেদের সংযত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সকলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধা হবে না কারও। আইনশৃঙ্খলা ঠিক যাতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। অপর দিকে সালার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছন, বক্ল অফিসে মিটিং-এর পরে আমি চলে আসি, বিধায়কের সঙ্গে আমার কোনও মতভেদ নেই। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান। 

    তৃণমূলই যদি তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতটা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশ করতে সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বৃহস্পতিবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সোমবার হবে এই মামলার শুনানি।

    বৃহস্পতিবার কী নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা? 

    প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। সিটকে রাজ্য পুলিশ অসহযোগিতা করছে, একথাও বলতে শোনা যায় বিচারপতিকে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশনে বেঞ্চে গেল রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ, সিটে যাঁদের রাখা হয়েছে, অতীতে তাঁদের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। 

    সিটে কারা রয়েছেন?

    কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ছিলেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। এই সিটকে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। যা শুনে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে বলতে হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট আকারে বৃহস্পতিবারই চেয়ে পাঠান বিচারপতি মান্থা।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন বৃহস্পতিবার

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে গতকালই জানান তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share