Blog

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডের জের! বদলি করা হল মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডের জের! বদলি করা হল মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত সহ ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এবার কনভয়কাণ্ডে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে অনুপ জয়সওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হল। অনুপবাবু রায়গঞ্জ রেঞ্জের দায়িত্বে ছিলেন। যদিও এটি রুটিন বদলি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২৬ মে বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন। তবে, যে জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ধরনের বিক্ষোভের আগাম কোনও খবর ছিল না। স্বাভাবিকভাবে ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিনের ডিআইজি বদলির মধ্য দিয়ে সেই ঘটনাকে মান্যতা দেওয়া হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ছয় এর এক বাচ্চা মেয়েকে শ্বাস রোধ করে খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনা ঘটেছে মালদা (Malda) রতুয়া দুই ব্লকের সম্বলপুর এলাকায়। মৃত মেয়ের নাম আসিফা আক্তার জাহান। কীসের জন্য হল এই খুন? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।   

    মালদায় (Malda) কীভাবে খুন?

    মৃতা আসিফার বাবা আব্দুল খালেক বলেন, গতকাল আমি, মেয়ে এবং তার মা মিলে ওর দাদুর বাড়ি ঘুরতে যাই। আজকে ঠিক দুপুর ১১ টার পর থেকে আসিফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা এদিক ওদিক অনেক খুঁজেও পাইনি তাঁকে। এরপর আশেপাশের বাড়ি (Malda) গুলিতে খোঁজাখুঁজি করি। তখনই রুমা নামের এক মহিলার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে সেখানে আমার মেয়েকে বিছানায় লেপচাপা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আমার মেয়ের গলায় এবং কানে সোনার গয়না ছিল। কিন্তু সেগুলিও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেকবাবু। আসিফাকে বিছানায় লেপচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আব্দুল খালেক। তবে আসিফার বাবা প্রাথমিকভাবে রুমাকেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর আসিফার বাবা আরও বলেন, আমি চাই পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।

    মৃতা আসিফার দাদুর বক্তব্য

    আসিফার দাদু হলেন মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি আসিফার হত্যা সম্পর্কে বলেন, আমার বাড়িতে (Malda) আজ দুপুর থেকে নাতনিকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশেই রুমা খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে আমার নাতনিকে মৃত অবস্থায় পাই। তিনি আরও বলেন, আমার নাতনির পরিধানরত সোনা আর রুপোর গয়নাকে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই আমার নাতনিকে মেরেছে ওই মহিলা। আমি ওই মহিলার ফাঁসি চাই। এরপর পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিই আমরা। বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। কে বা কারা এই বাচ্চা মেয়েকে খুন করল, তাই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতার সহরারহাটে মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে সাজা ঘোষণা করলেন ডায়মন্ড হারবারের এডিজি জয়প্রকাশ সিংহ। অভিযুক্ত ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) এবং ১ জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন তিনি।

    কী ঘটনা ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ শে মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার সহরারহাটের একটি মিষ্টির দোকানের মালিক কার্তিক ঘোষকে দোকানে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর মোট ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দুজন ফেরার থাকলেও ৯ জনকে গ্রেফতার করে ফলতা থানার পুলিশ। এরই মাঝে জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক বন্দির মৃত্যু হয়। 
    গত সোমবার ডায়মন্ড হারবার এডিজি আদালতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে অভিযুক্ত রাজা খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক জয়প্রকাশ সিংহ। অন্যদিকে বাকি সাতজন অভিযুক্ত মুজফফর মিস্ত্রী, উত্তম দোলুই, সবেদ আলি সেখ, সাহাজাদা পাইক, আক্তার উদ্দিন মোল্লা, কাদের সেখ এবং সাইদুল সেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) নির্দেশ দেন বিচারক।

    খুশি নন নিহতের মেয়ে

    অবশ্য নিজের বাবার খুনিদের সাজা ঘোষণার পর নিহত কার্তিক ঘোষের মেয়ে বলেন, তাঁর মৃত বাবা বিচার পেল না। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজা খানের মাত্র ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আগামী দিনে মূল অভিযুক্ত রাজা খানের সর্বোচ্চ শাস্তির (Life Imprisonment) দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা। অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। এডিজি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী স্বপনকুমার কপাট বলেন, ২০১৪  থেকে কার্তিক ঘোষ খুনের মামলা চলছিল। এই মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী ছিলেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর বিচারক মঙ্গলবার সাজা (Life Imprisonment) ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রেলপথ সম্প্রসারণে উচ্ছেদের আশঙ্কা! অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি

    BJP: রেলপথ সম্প্রসারণে উচ্ছেদের আশঙ্কা! অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলপথ সম্প্রসারণে গৃহহীন হ‌ওয়ার আশঙ্কায় থাকা অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি (BJP)। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জেলা শাসকের দফতরে অসহায় পরিবারগুলির দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে উচ্ছেদ হওয়া অসহায় গ্রামবাসীদের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণে গৃহহীন হতে চলেছে ডুম‌ইর এলাকার একটি কলোনির প্রায় ৫০টি পরিবার। বালুরঘাট ব্লকের দৌল্লা এলাকার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ কলোনির প্রায় ৫০টি বাড়ি এবং দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিতকরণের খুঁটি বসানো হয়েছে। রেলের জমির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে রেল লাইনের খুঁটি বসানো হয়েছে। রেলের জমির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের কোনও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, আমরা জমির দাম পাব না। বাড়ি থেকে উৎখাত করে দিলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব? আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। উন্নয়নের প্রয়োজনে জমি ছাড়তে রাজি আছি। তবে, আমাদের মতো অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে খুব ভাল হয়। তাই আমরা পুনর্বাসনের দাবিতে জেলা শাসকের কাছে দরবার করেছি।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব? 

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “ডুমইর গ্রামের চক আমোদ এলাকায় পঞ্চাশটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। কিন্তু তাদের নিজের জমি বলে কোনও কাগজপত্র নেই। আর সেই বাড়িগুলোর উপর বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের জমি পড়েছে। তাই বাড়ির লোকেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। যদি তাঁদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হতে হয়, তাহলে তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কারণ, তাঁদের জমির কোনও কাগজ নেই। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবিতে জেলাশাসকের কাছে এসেছিলাম। আমরা তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Spices: রান্নায় অবশ্যই রাখুন এলাচ! কোন পাঁচ রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে এই মশলা? 

    Spices: রান্নায় অবশ্যই রাখুন এলাচ! কোন পাঁচ রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে এই মশলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিরামিষ ঘরোয়া রান্না হোক, কিংবা জন্মদিনের পায়েস বা বিরিয়ানি, গরম মশলার (Spices) উপাদান হিসাবে রান্নায় অবশ্যই থাকে এলাচ। এই উপকরণটি রান্নায় আলাদা সুন্দর গন্ধ যোগ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু গন্ধ আর স্বাদেই এর গুণ আটকে নেই। এলাচের উপকারিতা অনেক। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হৃদরোগ হোক কিংবা শ্বাসকষ্ট বা পেশিতে টানের মতো সমস্যা। একাধিক রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে এলাচ। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত সঙ্গী হোক এলাচ।

    কোন রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এলাচ (Spices)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে এলাচ (Spices) খুব কার্যকর। নিয়মিত মধু আর লেবুর রসের সঙ্গে একটা এলাচ দিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমে যায়। ফুসফুস সুস্থ রাখতে এলাচ খুব উপকারী। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও এলাচকেই সঙ্গী করতে বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে এলাচ সাহায্য করে। কারণ, এলাচ রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই নিয়মিত এলাচ খেলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। তাতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে। এলাচে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতেও এলাচ খুব উপকারী। 
    পেটের সমস্যা কমাতেও এলাচ সাহায্য করে। হজমে সাহায্য করে এলাচ (Spices)। তাই অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরে যদি হজমের অসুবিধা হয় বা বমি বমি ভাব হয়, তাহলে একটা এলাচ চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হজম দ্রুত হয়। তাছাড়া, পেশির টানের কষ্ট দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। অনেক সময়ই ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে হাত, পা বা পিঠের পেশিতে টান লাগে। যন্ত্রণা হয়। গরম জলে এলাচ ফুটিয়ে খেলে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। যন্ত্রণা কমে। 
    ত্বকের জন্যও এলাচ খুব উপকারী। যেহেতু এলাচে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে ও দেহের টক্সিন পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, তাই নিয়মিত এলাচ খেলে ত্বক ভালো থাকে। পাশাপশি মুখে দুর্গন্ধ হলেও এলাচ সাহায্য করে। এলাচে সুন্দর গন্ধ রয়েছে। তাই এলাচ চিবিয়ে খেলে দুর্গন্ধ যাবে। 

    কীভাবে নিয়মিত এলাচ Spices খাবেন? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রান্না করা তরকারিতে এলাচ (Spices) সব সময় ব্যবহার হয় না। যদি দিনের যে কোনও একটি পদে এলাচের ব্যবহার হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। যে কোনও তরকারিতে এলাচ দিলে সেই গুণ শরীরে যায়। তবে, কেউ যদি খাওয়ার পরে মুখশুদ্ধি হিসাবে একটা এলাচ খান, তবে হজম, পেটের সমস্যা, সর্দি-কাশি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে যায়। তবে, অনেকেই শুকনো এলাচ চিবিয়ে খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা লেবুর সরবতে একটা এলাচ ফেলে খেতে পারেন। কিংবা গরম জলে এলাচ ভিজিয়েও খেতে পারেন। এতেও উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agriculture: কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড পানের বরজ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

    Agriculture: কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড পানের বরজ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মুচিয়া বাড়ুইপাড়া গ্রামের পানচাষিরা (Agriculture)। মালদা জেলার পানচাষের অন্যতম জায়গা হল এই মুচিয়া গ্রাম। কয়েকদিন আগের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পানের বরজ। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। এই এলাকায় প্রায় ৭০ টি পরিবার পান চাষের সাথে যুক্ত এবং এটাই এদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান পথ। অনেকেই সুদে টাকা ধার নিয়ে পান চাষ করেছিলেন। এখন টাকা কীভাবে শোধ করবেন, তা নিয়ে তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। এমন অবস্থায় পড়ে তাঁরা দাবি তুলেছেন, সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, না হলে তাঁদের মৃত্যুর দিকে এগতে হবে। কিন্তু তাঁদের আক্ষেপ, বিভিন্ন মহলে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে সোমবার ওই গ্রামে  বিক্ষোভ দেখান অসহায় পানচাষিরা। যদিও এতে প্রশাসনের কতটা টনক নড়বে, তা নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট সন্দিহান।

    কী বলছেন বিরোধী দলের নেতারা?

    পানচাষিদের (Agriculture) পাশে দাঁড়িয়েছেন পুরাতন মালদার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন হালদার। তিনি বলেন, অবিলম্বে সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। একই দাবি করেন বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি তাপস গুপ্ত। পানচাষিদের নিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন সারা ভারত কৃষক সভার মালদা জেলার সভাপতি প্রণব চৌধুরী।

    কী আশ্বাস দিলেন তৃণমূল নেতা?

    পানচাষিদের (Agriculture) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু। চাষিদের এই ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কৃষি দফতরে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরে আবেদন করলে তারা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে। একইসঙ্গে তিনি কৃষকদের কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং কৃষি বিমা করিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কৃষি ভাতা সম্প্রতি দিয়েছেন, তা দিয়েও খানিকটা ক্ষতিপূরণ হতে পারে পান চাষিদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পুলিশের গুলিতে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পৌঁছাল। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য শুনলেন কমিশনের সদস্যরা। পরিবারের দাবি পুলিশের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। আর তাই দোষীদের ফাঁসি দিতে কমিশনের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার।

    কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পৌঁছে কী করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন?

    সোমবারেই কমিশনের সদস্যরা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুরে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে গিয়ে, স্ত্রী গৌরি বর্মনের সঙ্গে দেখা করে, মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বিষদ তথ্য সংগ্রহ করলেন বলে জানা গেছে। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা মৃণাল কান্তি বর্মন এবং খুড়তুতো দাদা বিষ্ণু বর্মনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। শুধু বয়ান রেকর্ডই নয়, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পরিবারের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ডের পর প্রত্যেকের কাছেই স্বাক্ষর করে নিয়েছে বলে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য দাদা বিষ্ণু বর্মন জানিয়েছেন। এরপর ওই দিন রাতেই নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী দলটি। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তদন্তকারী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দলের সদস্যরা। 

    কীভাবে হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু?

    উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের সাহেবঘাটা এলাকার গাঙ্গুয়া গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষন করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধোর এবং থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। গত ২৬ এপ্রিল রাতে বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়ি চাঁদগাঁ গ্রামে যায় পুলিশ। পুলিশ বিষ্ণু বর্মনকে না পেয়ে, তাঁর বাবা এবং জামাইকে গ্রেফতার করতে গেলে, পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসিরা পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ বেগতিক দেখে গুলি চালালে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। পরে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত্যঞ্জয়ের (Kaliaganj) বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এখানকার থানার পুলিশ অফিসার নিজে মাথায় ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে শুয়ে নাটক করছেন। প্রকৃত দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সিআইডি তদন্তের নামে রোজ বিরক্ত করছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, যদি পুলিশের গুলিতে মৃত্যঞ্জয়ের মৃত্যু না হয়ে অন্য কিছু দিয়ে হতো, তাহলে আমাদের পরিবারের মানুষকে আগে গ্রেফতার করত পুলিশ। মৃত্যঞ্জয়ের বাবার একটাই দাবি, আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। মৃত্যঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরি বর্মন বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। মৃত্যুর তদন্ত সিবিআই করবে বলেই আশা রাখি। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূল দোষীর ফাঁসি চাই। মৃত্যুঞ্জয়ের খুনীদের শাস্তি কবে হয়, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও দুজন। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। আহত পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ।

    নদিয়ার (Nadia) কোথায় এবং কী ঘটেছে?

    চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। মানুষের দাবি এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল গরু চুরির ঘটনা। গতকাল রাতে এক চোরকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে, আর সেই চোরকে উদ্ধার করতে গেলে জনরোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ পুলিশ তখন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশের গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক বালকের এবং আরও দুজন আহত অবস্থায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কুলগাছি (Nadia) এলাকর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগে পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। অপর দিকে পুলিশ চোর ধরতে এসে কীভাবে উপস্থিত মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে, এক বাচ্চাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল, সেই বিষয় নিয়েও এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    কুলগাছি (Nadia) উত্তরের তৃণমূল বহিরগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ বর্মন বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখ জনক, ঘটনা অপ্রীতিকর। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। তবে এই এলাকায় মাঝে মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে এবং এই কিছু দিন আগেই গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পুলিশ ঠিক মতন চোরদের ধরতে পারে না বলে, এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাইব, ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, যে দোষী তার শাস্তি হোক। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। চোর ধরতে এসে পুলিশের গাড়িতে কেন প্রাণ গেল! সেই প্রশ্নেই বিক্ষোভ করছে এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Groundwater: ভূগর্ভস্থ জলস্তর ঠিক রাখতে বিশেষ প্রকল্প কেন্দ্রের, রূপায়ণের নির্দেশ রাজ্যকে

    Groundwater: ভূগর্ভস্থ জলস্তর ঠিক রাখতে বিশেষ প্রকল্প কেন্দ্রের, রূপায়ণের নির্দেশ রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূগর্ভস্থ জলস্তর (Groundwater) যাতে ঠিক জায়গায় থাকে, তার জন্য অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রের। বৃষ্টির জল বিশেষ মাধ্যমে পুনরায় মাটির নিচে পাঠানোর পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আরবান ও পলিউশন কন্ট্রোল বিভাগ। মূলত শহরাঞ্চলে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে। রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি মালদা জেলাতেও গরমের সময় জলের তীব্র সংকট দেখা যায়। পুরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জল সেভাবে মেলে না। যার জন্য শহর থেকে দূরে গিয়ে পুরসভা এলাকার নাগরিকদের জল আনতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বৃদ্ধি করতে এবার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকেও এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নির্দেশ রাজ্য সরকার প্রতিটি পুরসভাকে পাঠিয়ে দিয়েছে।

    কী পদক্ষেপ নেবে পুরসভা (Groundwater)?

    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে, বড় বড় ভবন, আবাসন ও বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির যে জল জমা হয়, তা বিশেষ পদ্ধতিতে পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে (Groundwater) পাঠাতে হবে। এমনকী শহরের ড্রেনের জলকেও একটি চৌবাচ্চায় ধরে পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে পাঠাতে হবে। মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা পেয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    গরমের সময় ইংরেজবাজার শহর তথা মালদা জেলা জুড়ে জলের তীব্র সংকট দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই যে প্রকল্প এবং যে পদ্ধতিতে এই কাজ করা হচ্ছে, তাতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তরে (Groundwater) আর কোনও ঘাটতি হবে না। এই পদ্ধতি ইংরেজবাজার পুরসভাকেও সঠিক ভাবে রূপায়ণ করতে হবে। তাহলেই জলের সংকট থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ, এমনটাই জানাচ্ছেন ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলার অম্লান ভাদুড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share