Blog

  • Peasant Economy:  কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    Peasant Economy: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিপ্রধান রাজ্য নামেই পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতেও (Peasant Economy) অনেক পিছিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের কৃষি নীতির জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েছেই পাশাপাশি সরকারি সদিচ্ছারও অভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিখ্যাত ছিল ধান উৎপাদনের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, সেখানেও পিছনের সারিতে চলে গেছে বাংলা। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে  সারাদেশের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ নেমে গিয়েছে পঞ্চমস্থানে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির (Peasant Economy) অবদান বেশি- কতটা সত্য? 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির অবদান বেশি একথা সর্বাংশে সত্য নয়। এটা সত্য ছিল ষাটের দশকে। পরবর্তীকালে বামফ্রন্ট জমানায় ভূমি সংস্কার আন্দোলন হলেও কৃষির ওপর নজর দেয়নি তারাও। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কৃষকরা ফসলের দাম পেয়ে আত্মহত্যাও করছেন, এমন নজিরও দেখা গিয়েছে। শিল্পতো বিশ বাঁও জলে! তার সঙ্গে রাজ্যের কৃষির অবস্থাও খুব খারাপ। অন্তত, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    ধান উৎপাদনে বিশ্বের গড়মানের অনেক নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ

    ধান উৎপাদনে গ্লোবাল অ্যাভারেজ হল হেক্টর প্রতি ৪,২৫০ কেজি। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে রয়েছে। বাংলায় হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন ২,৯৬২। তালিকায় শীর্ষে থাকা পঞ্জাব হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন (Peasant Economy) করে ৪,৩৬৬ কেজি। এতেই উঠছে প্রশ্ন। ধান চাষের (Peasant Economy) সমস্ত অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে ভুল সরকারি নীতির কারণেই রাজ্যের আজ এই অবস্থা। একটা সময় ছিল  যখন বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলা হতো।  রাজ্য সরকার যাই বলুক, কৃষি নিয়ে যতই গর্ব করুক। বাস্তব রিপোর্ট কিন্তু অন্য ধরা পড়ছে।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    West Bengal: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরপরই আমাদের পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সারাদেশের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করত। আর বর্তমানে তার স্থান শেষের দিক থেকে সাত নম্বরে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, ১৯৬১ সালে রাজ্যগুলির মাথা পিছু আয়ের নিরিখে শীর্ষস্থান পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এবং ওই বছরে সবথেকে নিচে স্থান ছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার। এখন ওড়িশাও পশ্চিমবঙ্গকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ১৪। ঠিক ছত্তিশগড়ের নীচে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘৩৪ বছরের বামপন্থী শাসন এবং তার পরবর্তীকালে ১২ বছরের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে এ রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়নের মুখোশ খুলে দিয়েছে ‘দ্য মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন।’ রাজ্যের মেধা অথবা শ্রমিক প্রত্যেককে কর্মসংস্থানের তাগিদে আজকের রাজ্য ছাড়তে হয়। এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি এবং তাদের দাবি যে মিথ্যা নয় তাতেই সিলমোহর দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান। 

    কী দেখা যাচ্ছে ওই পরিসংখ্যানে?

    ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) যা কখনও ছিল মহারাষ্ট্রের থেকেও ধনী। ২০১৮-১৯ সালে সেই পশ্চিমবঙ্গ ছত্তিশগড়ের থেকেও দরিদ্র রাজ্য হিসেবে তলায় নেমে গেছে। ওয়াকিবহাল মতে, দলতন্ত্রের জন্যই রাজ্যে গড়ে উঠতে পারেনি কোনও বড় শিল্প বা আগ্রহ দেখায়নি শিল্পপতিরা, যার ফলে কর্মসংস্থান মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং রাজ্যের মেধাকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছে। এই দলতন্ত্র কায়েমের রাজনীতিই মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে এত নীচে নামিয়েছে।

    এক নজরে…

    কেন্দ্রীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৯৬১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল ৪৪২ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মহারাষ্ট্র যাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৪০৩ টাকা। এভাবে সব শেষে ছিল ওড়িশা যাদের মাথাপিছু আয় ছিল ২৫ টাকা।

    অন্যদিকে ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে হরিয়ানা, যাদের মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৯ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৯৫ টাকা, পশ্চিমবঙ্গ ১৪ তম স্থান অধিকার করেছে মাথাপিছু আয় ৬৭ হাজার ৩০০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে ছত্তিশগড় যাদের মাথাপিছু আয় ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। ১৯৬১ সালে যে ওড়িশা সবথেকে নিচে ছিল মাথাপিছু আয় এর তালিকাতে। তারাও পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) থেকে দু’ ধাপ এগিয়েছে তাদের মাথাপিছু ইনকাম ৭৬ হাজার ৪১৭ টাকা।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার দোকানে খুন সহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সোমবার বিকেলে। আর তাকে কেন্দ্র করে বারাকপুরে (Barrackpore) ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে পাঁচজন বিজেপি কর্মী জখম হন। যদিও এই ঘটনার পর বিজেপির জেলা নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল কমিশনারেটের কর্তাদের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মূলত বারাকপুর (Barrackpore) এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে এদিন বিকেলে পুলিশ কমিশনারেটে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। আনন্দপুরীর ওল্ড ক্যালকাটা রোডে সেই সোনার দোকানের সামনে থেকে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিতে আসেন। পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে দুটি ব্যারিকেড করা হয়। কমিশনারেট অফিস থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রথম ব্যারিকেড করা হয়। আর দ্বিতীয় ব্যারিকেড করা হয় কমিশনারেটের ঠিক সামনেই। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে আসতেই ১০০ মিটার দূরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে কমিশনারেটের অফিসের সামনে চলে যান। সেই সময় তাঁদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। কমিশনারেট অফিসের সামনে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির রাজ্য নেত্রী ফাল্গুনি পাত্র বলেন, মিছিল আটকানোর জন্য কমিশনারেটের কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে আমরা নালিশ জানাব। বিজেপির বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত টাকা খরচ করে কমিশনারেট তৈরি করা হল, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হল না। এই কমিশনারেটের কাজ শুধু বিজেপিকে বাধা দেওয়া। এর আগে ব্যবসায়ীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিল। পুলিশের কোনও বাধা নেই। আর আমাদের জন্য ১০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড। আমাদের কর্মীদের উপর যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করা হল। এই ঘটনায় পাঁচ কর্মী জখম হয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি হাই স্কুল হল একটি সরকারি বিদ্যালয়। অথচ সেই স্কুলের ভিতরেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা, চারদিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তীর ছবিতে ছয়লাপ। এই ঘটনা দেখে বিরোধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কী ঘটেছে স্কুলে?

    দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের ১৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই ‘বিশাল পান্তা ভাত উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। সরকারি স্কুল ভরে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনাতে। বেনাচিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতর পান্তা ভাত উৎসব করে বিতর্কের শিরোনামে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেতৃত্ব। আর একেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল, কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং লাগানো যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। অথচ ‘বিশাল পান্তা উৎসব’-এর আয়োজন বিদ্যালয়ের ভিতরেই। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, আলুভাজা, পেঁয়াজি, পোস্তর বড়া, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপর, সব শেষে মিষ্টি। স্কুলে কয়েকশো অতিথি আমন্ত্রিত ছিল এদিন। পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসিমা চক্রবর্তী এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    বেসরকারি হোটেল বা লজে না করে সরকারি বিদ্যালয়ে (Durgapur) এই উৎসব করে বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় এভাবেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনগুলি রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।

    জেলার (Durgapur) তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    বিরোধীদের সমালোচনাকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। বিদ্যালয়  (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই অনুষ্ঠান করছেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি হোটেল বা লজে অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ের ভিতর এই অনুষ্ঠান করেছেন। সরকারি স্কুল প্রাঙ্গণকে এভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষেত্র কীভাবে বানানো যায়? সেই বিষয়ে শিক্ষাবিদরাও প্রশ্ন তুলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। সোমবার মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হল দেশীয় অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনএভিএস-০১ (ISRO NVS-01)। নাবিক শ্রেণির এই উপগ্রহের ফলে দেশে যোগাযোগ ও ম্যাপিং ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, ভীষণভাবে উপকৃত হবে দেশের সামরিক বাহিনী বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

    জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত

    এদিন ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ২ হাজার ৪২০ টন ওজনের বিশাল জিএসএলভি এফ-১২ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় নতুন প্রজন্মের ২৩২ কেজির উপগ্রহটি। ১৯ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় লোয়ার আর্থ অরবিট বা নিম্ন কক্ষপথে উপগ্রহটিকে পৌঁছে দেয় রকেটটি। এর পর সেখান থেকে নিজে যাত্রা করে ৩৬ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত হয় এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরবে এই স্যাটেলাইট। 

    কতটা উন্নত হবে নেভিগেশন ব্যবস্থা?

    ইসরোর এই পদক্ষেপ দেশীয় নেভিগেশন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এটি আদতে ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা (ISRO NVS-01)। এতদিন সকলে যেমন মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবহার করে এসেছেন, এবার তার পরিবর্তে ভারতে তৈরি ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থায় বজায় থাকবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, এটি সাতটি উপগ্রহের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ, যা সশস্ত্র বাহিনী-সহ অসামরিক যানকে নেভিগেশন পরিষেবা প্রদান করবে। 

    এর আগে ভারতীয় আঞ্চলিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম (IRNSS)-এর অধীনে সাতটি NavIC উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল আইআরএনএস-১এ, আইআরএনএস-১বি, আইআরএনএস-১সি, আইআরএনএস-১ডি, আইআরএনএস-১ই, আইআরএনএস-১এফ ও আইআরএনএস-১জি স্যাটেলাইট। এদিন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, পুরনো সাতটির মধ্যে তিনটে অকেজো হয়ে গিয়েছে। যে কারণে, এবার নতুন পাঁচটি পরবর্তী প্রজন্মের নাবিক স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    উপগ্রহে রয়েছে পারমাণবিক ঘড়ি

    ইসরোর দাবি, নতুন প্রজন্মের এই উপগ্রহের কাজ হল মোবাইলে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা করা। স্যাটেলাইটের জন্য কক্ষপথ নির্ধারণ করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পাওয়ার গ্রিড এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলির জন্য সময় পরিষেবা করা। রিয়েল টাইম পজিশনিং বা ঠিক সেই মুহূর্তের অবস্থান বলতে সক্ষম এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ, এই উপগ্রহে ব্যবহার করা হয়েছে রুবিডিয়াম পারমাণবিক ঘড়ি। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। 

    কতটা লাভবান হবে সেনা?

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপগ্রহের ফলে সামরিক বাহিনী ভীষণভাবে উপকৃত হবে। তাঁরা জানান, এবার জঙ্গিদের সঠিক পজিশন জানতে কষ্ট করতে হবে না বাহিনীকে। জঙ্গিদের সেই মুহূর্তের সঠিক অবস্থান একেবারে হাতের মুঠোয় থাকবে। ফলে, যে কোনও অভিযানে এটি দারুন কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়, পাক অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য জানতে জিপিএস পজিশনিং ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ভারত। ওয়াশিংটন তা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন থেকেই নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

  • TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে (TMC) ধরাশায়ী করে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছিলেন। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়েই এই বাজিমাত হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সাগরদিঘিকে রোল মডেল করেই কংগ্রেস সামনের পঞ্চায়েত, লোকসভা ভোটে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছিল। উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণার তিনমাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেকের নবজোয়ারের দলীয় ক্যাম্পে হাজির হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস?

    মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। আর সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ সাহা। ২ মার্চ ফল ঘোষণা হয়। সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হন। এদিন ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বাইরন বলেন, “আরও বেশি করে উন্নয়ন করতেই আমি তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছি। সাগরদিঘির মানুষের কথা ভেবেই আমি দল বদলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গিয়েছি। আর তৃণমূলের লোকজন ভোট দিয়েছে বলেই এত বিপুল ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।” তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, সাগরদিঘি তথা রাজ্যজুড়েই তাঁকে নিয়ে এই চর্চা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকলে সেটা সময় বলবে। আমার বিশ্বাস, পরে আবার ভোট হলে আমি বেশি ভোটে জিতব। আর কংগ্রেসে থেকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। আমি তো কংগ্রেসের ভোটে জয়ী হইনি। আগে মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাঁদের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।”

    কী বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেস দল বাইরন বিশ্বাসকে চিনিয়েছে। আগে তৃণমূল (TMC) তোমার কাছে যায়নি। তোমার বাজারদর তৈরি করার পর তোমাকে নিয়ে বেচাকেনা হয়েছে। তাই, তুমি কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছ। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে, কংগ্রেসকে গালিগালাজ কোরো না। আর বাইরনের মতো এই জেলা তথা রাজ্যের অনেক বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছে, তাতে কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। তৃণমূলের নগ্ন চেহারা আরও প্রকট হয়ে গেল। আর এতে আমাদের আরও বেশি জেদ চেপে গেল। কংগ্রেসের অবস্থা এখন অনেক ভালো। আমাদের এখন আর কেউ থামাতে পারবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: টোটোই তাঁর অ্যাম্বুলেন্স!  বিনামূল্যে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন মালদার জিতেন

    Malda: টোটোই তাঁর অ্যাম্বুলেন্স! বিনামূল্যে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন মালদার জিতেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোটো-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীদের মেডিক্যাল কলেজ হোক অথবা নার্সিংহোম, অতি সহজেই পৌঁছে দিচ্ছেন মালদার (Malda) যুবক জিতেন চৌধুরী। তাই এখন অনেক মানুষের কাছে তিনি ‘অ্যাম্বুলেন্স জিতেন’ বলে পরিচিত হতে শুরু করেছেন। সেবামূলক কাজে এলাকায় তিনি বেশ চর্চার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মালদায় (Malda) কীভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়?

    মালদা (Malda) শহরের বাগবাড়ি বাঁধ এলাকার বাসিন্দা জিতেন চৌধুরী, বয়স ২২ বছর। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন নিয়ে সংসার। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা বাবলু চৌধুরী পেশায় একজন ট্রাক চালক। কোনও রকমে ধার-দেনা করে টোটো কিনেছেন জিতেন। আর সেই টোটোকে এখন অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ১৭ জন রোগীকে অত্যন্ত জরুরি অবস্থার মধ্যে থেকে নিজের অ্যাম্বুলেন্স টোটোতে করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। টোটোর সামনে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। টোটোতেই দেওয়া রয়েছে জিতেন চৌধুরীর মোবাইল নম্বর ৮৪৩৬৯১৯৩৬৬। জিতেনের এই পরিষেবা দেখে স্থানীয় অনেক মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    জিতেনের বক্তব্য

    মালদার (Malda) টোটো অ্যাম্বুলেন্স চালক জিতেন বলেন, কয়েক মাস আগে পরিবারের এক আত্মীয়কে নিয়ে শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছাতে পারেননি। সঠিক সময়ের মধ্যে বাগবাড়ি থেকে টোটো করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে পারেননি। আর এর ফলেই জিতেনের এক নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছিল। মনে মনে তখন থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল একটা টোটো কিনে, সাধারণ রোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরিষেবা দেবেন। জিতেন বলেন, এই টোটোটি অনেক কষ্ট করে কিনেছি। এখন এই টোটোকেই অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে পরিষেবা দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি এই পরিষেবা বিনা খরচেই দিচ্ছি। টোটো চালানোর পাশাপাশি এই পরিষেবা দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত নিজের এলাকায় ৫ থেকে ৬ কিমির মধ্যে এই পরিষেবা চলবে বলে জানিয়েছেন। প্রায় দেড় মাস হল এই পরিষেবা শুরু করেছেন তিনি। রোগীদের পরিষেবা দিতে পেরে খুব খুশি জিতেন। জিতেনের এই রোগী পরিষেবা সমাজসেবীদের নজর কেড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Accident: ধানবাদ ডিভিশনে রেলের ওভারহেড তারে ঝলসে মৃত্যু ৬ জনের!

    Accident: ধানবাদ ডিভিশনে রেলের ওভারহেড তারে ঝলসে মৃত্যু ৬ জনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলের ওভারহেড তারে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৬ জনের (Accident)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, ধানবাদ ডিভিশনের নিচিতপুর রেল গেটের কাছে। হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটের ধানবাদ এবং গোমোর মাঝামাঝি জায়গা হল নিচিতপুর গেট। এই ঘটনার জেরে হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, এদিন ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে সকাল থেকেই কাজ চলছিল। বিদ্যুৎ কর্মীরা এই কাজ করছিলেন। সেই সময় ওভারহেডে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত (Accident) হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন ওই বিদ্যুৎ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ৬ জন। রেল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এর জেরে শুধুমাত্র হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটের রেল পরিষেবাই বন্ধ রাখা হয়নি, বিভিন্ন লোকাল ট্রেনও বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মৃতদের পরিচয়

    জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১১ টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন পোল লাগানোর কাজ করছিলেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। তখনই ২৫ হাজার ভোল্টের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন (Accident) তাঁরা এবং ৬ জনের তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটে। নিহতরা হলেন সঞ্জয় ভুঁইয়া, গোবিন্দ সিং, সুরেশ মিস্ত্রি, শ্যাম সিং। অন্য দুজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

    কী বলছে রেল?

    ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওভারহেড তারে কাজ চলাকালীন এই দুর্ঘটনা (Accident) ঘটেছে এবং তাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ ওই আধিকারিক আরও জানান, এই তদন্ত তিন ভাবে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে, আরপিএফ তদন্ত করছে এবং বিভাগীয় তদন্তও চলছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ধানবাদ ডিভিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং রেলের চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধানবাদ থেকে মেডিক্যাল ভ্যানও নিয়ে আসা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলতলিতে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী, মুক্তিপণ দাবি ৫০ লক্ষ টাকা

    South 24 Parganas: কুলতলিতে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী, মুক্তিপণ দাবি ৫০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোন করে চেয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। আর তা পেলে, তবেই ছাড়া পাবে ব্যবসায়ী। এরপর থেকেই ফোন সুইচড অফ, বারো দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিখোঁজ ব্যবসায়ীর।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলিতে নিখোঁজ ব্যবসায়ী বিজয়কৃষ্ণ কয়াল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় তাঁর শেষ ফোন এসেছিল পরিবারের কাছে। ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর ১২ দিন কেটে গেলেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খোঁজ মেলেনি। বিজয়কৃষ্ণবাবুর বাড়িঘর নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ১৭ মে বিজয়কৃষ্ণ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তারপর দোকানে গিয়েছিলেন। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বিজয়কৃষ্ণ দোকান বন্ধ করে একাই বের হচ্ছেন। সেই তাঁকে শেষ দেখা, তারপর রাত হয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং এরপর বারে বারে ফোন করতে থাকলেও তাঁকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর প্রায় ১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি তাঁর কোন হদিশ।

    পরিবারের বক্তব্য

    নিখোঁজ ব্যবসায়ী (South 24 Parganas) বিজয়কৃষ্ণের বাবা শ্যামাপদ কয়াল বলেন, গত ১৭ তারিখ রাত দশটা নাগাদ বিজয় কৃষ্ণের ফোন ধরেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জানান, ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁদের, আর তা দিলে তবেই বিজয়কৃষ্ণ বাড়ি ফিরবে। পুলিশ প্রশাসনকে কোনও ভাবেই যেন না জানানো হয় বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বন্ধ বিজয়কৃষ্ণের ফোন।

    পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের

    ঘটনার পর ওই দিন রাতেই কুলতলি (South 24 Parganas) থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ীর। বিজয় কৃষ্ণের বাবা শ্যামাপদ কয়ালের দাবি, তাঁর ছেলেকে হয়তো কোনও ভাবে প্রথমে ডেকেছে, আর তারপরেই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, নিখোঁজ ব্যবসায়ী হলেন কুলতলির বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণ কয়াল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ বিজয়কৃষ্ণ কয়াল এখন কবে বাড়িতে আসেন, সেই আশায় দিন গুনছে পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে (High Uric Acid) যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের  স্বাভাবিক মাত্রা হল ৬.৮ mg/dl’’ এর থেকে যখন মাত্রা বেড়ে যায় তখন নানা রকমের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। রয়েছে ক্যান্সারে ঝুঁকিও। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। এছাড়া কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব এমন পাঁচটি খাবার নিয়ে যা আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য রক্ষায়

    ১) নিয়মিত কলা খেলে কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিড (High Uric Acid) 

    প্রথমেই আসে কলা। চিকিৎসকদের মতে, কলা হল এক ধরনের কম পিউরাইন ফুড। এছাড়াও কলাতে ভরপুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে।

    ২) কম ফ্যাটের দুধ রাখুন ডায়েটে

    এরপরে আসে কম ফ্যাটের দুধ। যা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মোক্ষম ঔষধ, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। টক দইও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে ঠিকঠাক রাখে শরীরে।

    ৩) নিয়মিত কফি খান 

    কাজ করতে করতে কফির নেশা তো অনেকেরই আছে। সকালে তরতাজা থাকতেও কফি অনেকেই খান। চিকিৎসকরা বলছেন কফির মধ্যে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) উৎপাদনকে শরীরে কম করে দেয়।

    ৪) সাইট্রাস জাতীয় ফল খান

    সাইট্রাস জাতীয় যেকোনও ফল যেমন, আমলা,পাতিলেবু, কমলালেবু এই ফলগুলি ভিটামিন সি এ ভরপুর। চিকিৎসকরা বলছেন, এই জাতীয় ফলগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে শরীরে।

    ৫) ফাইবার জাতীয় খাবার খান

     ফাইবারে ভরপুর থাকে যেমন ওটস, চেরি, আপেল, স্ট্রবেরি ব্লুবেরী, শসা, বার্লি। এই জাতীয় খাবারগুলি শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share