Blog

  • BJP: ফতোয়া না মানায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, আতঙ্কে ঘরছাড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফতোয়া না মানায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, আতঙ্কে ঘরছাড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রহড়া থানার রুইয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু তাঁরা তা না করায় তৃণমূলীদের হুমকির ভয়ে গোটা পরিবার ঘরছাড়া। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে।

    কেন হামলা?

    এলাকায় থাকতে হলে বিজেপি (BJP) করা যাবে না। তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি (BJP) কর্মীর। ফতোয়া না মানার কারণে বিজেপি কর্মীর প্রথমে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ করা হয়। তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। অভিযোগ না তোলায়  বিজেপি কর্মী ও তাঁর স্বামীকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শ্রীদাম বিশ্বাস, রিনা বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও মিতা বিশ্বাসরা ওই কর্মী ও তাঁর পরিবারকে বিজেপি করা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি কর্মীর। তিনি বলেন, “ফতোয়া না মানার কারণে কিছুদিন আগে এক তৃণমূল কর্মী আমার বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমরা অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করায় জামাইষষ্ঠীর দিন আমাদের উপর তারা চড়াও হয়। আমাকে এবং আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ওরা। আতঙ্কে আমরা বাড়িছাড়া। তৃণমূলীদের ভয়ে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না। পুলিশ-প্রশাসনকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। তবে, এখনও বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। আমরা চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। “

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা কিশোর বৈশ্য বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP) দুই পরিবারের লড়াই। পারিবারিক গণ্ডগোলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটোই বিজেপি পরিবার বলে আমরা তাদের পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যেতে বলেছি। আমরা তাদের পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। তারপরও ওরা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর  এবং ২ ব্যাক্তি

    Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর এবং ২ ব্যাক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলাহার নদীর মাটি কেটে পাচার করছে মাটি মাফিয়ারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহকুমা শাসকের নির্দেশে, শনিবার দিন হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) দু নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামায়ণপুর এলাকার ফুলাহার নদীতে অবৈধ মাটি কাটায়, ৭ টি ট্র্যাক্টর ও দুই জনকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    মালদার (Malda) ফুলাহার নদীতে কীভাবে চলছে মাটি পাচার?

    নদী ভাঙ্গন মালদায় (Malda) প্রতি বছরের সমস্যা। বর্ষাকালে ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ায় নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা জমি, বাড়ি, ফলের বাগান সর্বস্ব। জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে গঙ্গা এবং ফুলাহার এই দুটি নদীর ভাঙন প্রতি বছর সর্বস্বান্ত করে বহু মানুষকে। আর সেই ফুলহার নদী থেকে বেআইনিভাবে মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে, মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এলাকার স্থানীয়দের আশঙ্কা, এইভাবে মাটি কাটা হলে বর্ষাকালে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেবে ফুলাহার নদীতে।   

    কারা মাটি মাফিয়া?

    শাসকের মদতেই চলছে মাটি পাচারের কাজ, অভিযোগ বিজেপির। বেআইনি কাজ হলে প্রশাসন (Malda) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। আর প্রকাশ্য দিবালোকে এইভাবে মাটিকাটা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। বিজেপির উত্তর মালদার (Malda) সাংগঠনিক কমিটির সদস্য কৃষ্ণ কেডিয়া বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ মদতে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের কাজ চলছে। অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সামনে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোটের মাধ্যমে যোগ্য জবাব দেবেন বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রশাসন এবং তৃণমূলের বক্তব্য

    অবৈধ ভাবে নদীর মাটি কাটার অভিযোগে চাঁচল (Malda) মহকুমার মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, বিডিও এবং বিএলআরও-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের সভাপতি তবারক হোসেন বলেন, অবৈধ মাটি কাটাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্রয় দেয় না। আইন আইনের পথে চলবে, আইন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সামনেই রাজ্যে বর্ষা আসছে, ফুলাহার নদী থেকে মাটি কাটার ফলে এলাকায় ভাঙনরোধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    TMC: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায়-কলমে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। কিন্তু দলীয় হুইপকে অগ্রাহ্য করে পিতা-পুত্র রবিবার হাজির ছিলেন নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর পাল্টা প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহাকে খাড়া করে তৃণমূল। এবার সেই দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে সংসদ ভবন উদ্বোধন কেন করানো হবে না? এই প্রশ্নে নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা। তৃণমূলের (TMC) সমস্ত সাংসদ এদিন গরহাজির থাকলেও উপস্থিত ছিলেন কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল 

    মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পিতা ও পুত্র

    অন্দরের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তবে দলীয় হুইপ অমান্য করা এই প্রথম নয়, গত বছরের জুলাই মাসে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখনও দলের কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে ভোট দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে পিতা-পুত্র দুজনেই জগদীপ ধনকড়কে ভোট দিয়েছিলেন। আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অধিকাংশ সাংসদ এবং বিধায়ক যখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দিয়েছিলেন, তখন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে লোকসভায় ভোট দিয়ে এসেছিলেন।

    দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ২০২০ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের। একাধিকবার পুলিশ তলব করে দিব্যেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নেও সরব হতে দেখা যায় শিশির-দিব্যেন্দুকে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে শিশির অধিকারী কাঁথির সংসদ সদস্য। পরপর তিনবার তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে, দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৬ উপনির্বাচনে জিতে পরপর দুবার তমলুক থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবারই মণিপুর সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। রবিবার মণিপুরে সংঘর্ষের (Manipur Violence) ফলে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি

    রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশে দু’দিন আগে থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বীরেনের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের (Manipur Violence) মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর

    আজ, সোমবারই মণিপুরে (Manipur Violence) যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। ঠিক তার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মণিপুরে যান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় পাহারায় রয়েছে। একে ৪৭ এবং এম ১৬-এর মতো রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করছে জঙ্গিরা। বহু গ্রামের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    জনজাতি সংরক্ষণের নিয়মে বদল ঘিরে এপ্রিলের শেষভাগ থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছিল মণিপুরে (Manipur Violence)। মে মাসের গোড়াতেই সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। একটি মিছিল ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, ভাঙচুর-আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর-দোকানপাটে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার নতুন করে মণিপুরের সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, উত্তেজনা ছড়ায়। এরই মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞা থানার পাঁপরদহ গ্রামে। হামলাকারীও তৃণমূল করে বলে মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। গত কয়েকদিন ধরেই দু পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। রবিবার মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। আমির আলি শেখ (৫০) নামে ওই তৃণমূল কর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “আইসিডিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হিল্লাল নামে এক যুবক আমার গালে চড় মারে। এরপরই আমাদের পরিবারের লোকজন তার প্রতিবাদ করে। দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তবে, ঘটনার সময় দাদা মসজিদে ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বোমা মেরে আমার দাদাকে খুন করা হয়।” ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের সামনে তাঁরা ক্ষোভ জানান। কারণ, হামলাকারীদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসী। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সানির নেতৃত্বে এই হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। মুড়ি-মুড়কির মতো গ্ৰামে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পরে কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাগর রানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে চার বালতি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    তৃণমূলের বড়ঞা ব্লকের সহ সভাপতি মাহে আলম বলেন, তৃণমূল (TMC) কর্মী মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে তাঁকে খুন করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কোন্দল নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: বিজেপি শাসিত ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: বিজেপি শাসিত ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে মোট ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে কারা ছিলেন?

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গুজরাটের ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি, গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্ত, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান, ত্রিপুরার মানিক সাহাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদি। ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, নাগাল্যান্ডের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ইয়াংথুঙ্গো প্যাটোনও। বৈঠক শেষে মোদি ট্যুইট করে জানালেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের মানুষের উন্নয়নের কাজ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠকের বিষয়

    রবিবার, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের পরই এই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এই বৈঠক আয়োজিত হয়। মূলত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ও উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    রাজনৈতিক সূত্রের খবর, প্রধানত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদি। মুখ্যমন্ত্রীরা নিজের রাজ্যের বিগত তিন মাসের রিপোর্ট কার্ডও পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে জনসংযোগ আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে সেনা এনকাউন্টারে খতম ৪০ কুকি জঙ্গি! সোমবার পা রাখছেন অমিত শাহ

    Manipur: মণিপুরে সেনা এনকাউন্টারে খতম ৪০ কুকি জঙ্গি! সোমবার পা রাখছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে (Manipur) সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে বড়সড় সাফল্য মিলল। এদিন ৮ ঘণ্টার অপারেশনে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টারে খতম করা গেছে, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। অন্যদিকে, সোমবার মণিপুরে পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মেইতেই এবং কুকি এই দুই সম্প্রদায়কেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে শনিবারে দুদিনের সফরে মণিপুরে এসে পৌঁছেছেন।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং?

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘৪০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টারে খতম করতে পেরেছে সেনা এবং পুলিশ।’’ সূত্রের খবর ওই সন্ত্রাসীরা ak47, m16 এর মতো অত্যাধুনিক স্নাইপার বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় সাধারণ মানুষের উপর। গ্রামে গ্রামে তারা আগুন জ্বালাতে থাকে।’’ প্রসঙ্গত, কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি সারা মণিপুর জুড়েই। এপ্রসঙ্গে তাই মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমি ওদের কুকি যোদ্ধা বলতে চাই না। ওরা আসলে কুকি সন্ত্রাসবাদী ওরা নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলি চালিয়েছে। সশস্ত্র জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে। কোন নির্দিষ্ট দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়। আমি সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’ সূত্রের খবর এদিন দুপুর দুটো নাগাদ ইম্ফল উপত্যকায় হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। এদিন সন্ত্রাসবাদীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন কেনেডি নামের ২৭ বছরের এক তরুণ। 

    সংঘর্ষের কারণ……

    আসল ঘটনা হল রাজ্যের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী হল মেইতেই। কিন্তু উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়ায় রাজ্যের মাত্র দশ শতাংশ জমির উপর অধিকার পায় এই জনগোষ্ঠী। বাকি পাহাড়ে, জঙ্গলের সংরক্ষিত জমিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে একমাত্র আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের। ৩ মে এক মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুর জুড়ে। এখনও অবধি এই হিংসায় ৭০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভোজালির কোপে জখম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী

    Purba Bardhaman: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভোজালির কোপে জখম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মীর ভোজালির কোপে ক্ষতবিক্ষত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসির পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মীর আজমিরার স্বামী মীর জাকির হোসেন। এই ঘটনায় গলসি ১ নম্বর ব্লকে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জখম মীর জাকির হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে দশটার সময় মীর কওসার মদ্যপ অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করছিল। ওই সময় তিনি গালি দিতে নিষেধ করলে কওসার আচমকা একটি ভোজালি নিয়ে তাঁর বাঁ দিকের বগলের কাছে আঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথমে নিয়ে যান। তারপর সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে বর্ধমান (Purba Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি দলের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য

    এই হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ কমল বলেন, আমরা তৃণমূল করি, আমাদের নেতা হলেন জাকির হোসেন। অপর দিকে মীর কওসারের নেতা হলেন পার্থ মণ্ডল এবং জানার্দন চ্যাটার্জি। ওরা গলসি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি গোষ্ঠীর লোক। তিনি আরও বলেন, মূলত পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট কে পাবে, এই নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় কওসার প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যাকে গালিগালাজ করে। এরপর বাধা দিলে ভোজালি নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায় জাকির হোসেনের উপরে। তিনি আরও বলেন এই কওসারের কঠোর শাস্তি চাই। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যায় গলসি থানার পুলিশ। পুলিশ কওসারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুরের (Birbhum) নেতাকে৷ তৃণমূলের শুরু থেকেই দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন ভোলা মিত্র৷ রবিবার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্ব বীরভূম কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। ওখানে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে৷”

    বিজেপির দখলে এই বিধানসভায় ১৫ জনের কমিটি (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের ১১ টি বিধানসভার মধ্যে দুবরাজপুর (Birbhum) বিজেপির দখলে৷ তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল৷ পরিবর্তে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়৷ তারমধ্যে ২ জন আহ্বায়ক। এদিন বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা (Birbhum) সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ, বিশ্ববিজয় মাড্ডি৷ গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে পদে বহাল রেখে জেলার সাংগঠনিক কার্য পরিচালনার জন্য ৯ জনের কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বীরভূমের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে৷ পর্যবেক্ষক হওয়ার পর এই প্রথম তিনি বীরভূমের (Birbhum) কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে জেলা কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, পুর প্রধান সহ জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

    দলেই থাকব, বললেন ভোলা মিত্র

    পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূল নেতা (Birbhum) ভোলা মিত্র বলেন, “দল যা ভালো বুঝবে করবে৷ আমি দলে আছি, দলেই থাকব৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Drone: ফের পাঞ্জাব সীমান্তে মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ

    Pakistani Drone: ফের পাঞ্জাব সীমান্তে মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোনকে (Pakistani Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ পাঞ্জাবের অমৃতসরে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হেরোইন উদ্ধার হয়েছে ওই ড্রোন থেকে। অমৃতসরের খুর্দ জেলার ধনোয়ে গ্রামের কাছে মোতায়েন বিএসএফ কর্মীরা সন্দেহজনক ওই ড্রোনটিকে গুলি করে নামায়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    মাদক ভর্তি ড্রোন

    দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক এ দেশের পাচারের চেষ্টা চলে। কিন্তু সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তৎপরতায় প্রায়শই তা ভেস্তে যায়। বাংলার সীমান্তের পাশাপাশি মাদক পাচারের জন্য পাঞ্জাব সীমান্ত ব্যবহার করে পাচারকারীরা। পঞ্জাব সীমান্তকে ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে মাদক পাচারের চেষ্টা চলে ভারতে। এই ড্রোন নামানো নিয়ে পাঞ্জাব বিএসএফ-এর ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, “গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ড্রোন (Pakistani Drone) গুলি করে নামালো বিএসএফ। শনিবার একটি ড্রোন পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। বিএসএফের সতর্ক জওয়ানরা গুলি করে ওই ড্রোন নামিয়েছে। ড্রোনের মধ্যে থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে।” এই ঘটনার ছবি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে বিএসএফের ট্যুইটার হ্যান্ডলে।

    উড়তা পাঞ্জাব নামের এক বলিউড ছবিতে পাঞ্জাব সীমান্ত ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়টি উঠে এসেছিল। গত কয়েকদিনে পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। বারবার সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন চলে এসেছে। তবে প্রত্যেকবারেই সফলভাবে ড্রোনগুলি নামিয়ে ফেলতে পেরেছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    বিএসএফ জানিয়েছে, ধনোয়ে গ্রামের কাছে মোতায়েন করা সৈন্যরা তিন ব্যক্তিকে গ্রামের দিকে ছুটে আসতে দেখেছে। তখনই তাদের পিছু নেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে তিন কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।  একটি ব্যাগ সহ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share