Blog

  • Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা এ দেশে কম। সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা দুইয়েরই অভাব যথেষ্ট। তাই অনেক সময়ই ঘটে বড় বিপদ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকলে, অনেক বড় সমস্যা এড়ানো যায়। চলছে সিজোফ্রেনিয়া অ্যাওয়ারনেস উইক। সপ্তাহ জুড়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা করছেন নানা কর্মশালা। কী বলছেন তাঁরা?

    সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) কী? 

    সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা নানা অবাস্তব ভাবনাচিন্তা করে আশঙ্কিত থাকেন। নানা ঘটনা তাঁরা ভাবেন ও সেগুলিই সত্যি হিসাবে বিশ্বাস করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভাবনাচিন্তা শুধু নিজের নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক (Schizophrenia) হয়ে ওঠে।

    ভারতে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তের সংখ্যা কত? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। ভারতে মোট মানসিক রোগীর ৭ শতাংশ রোগী সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরাই বেশি সিজোফ্রেনিয়ায় (Schizophrenia) ভোগেন। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা করেন।

    সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের উপসর্গ কী? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) মানসিক রোগ। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের ব্যবহারগত নানা পার্থক্য স্পষ্ট নজরে পড়বে। যেমন, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মেজাজ অকারণেই অনেক সময় খিটখিটে থাকে। পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে অকারণ ঝগড়া করা, দুর্ব্যবহার করা এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। একদম ঘর বন্ধ হয়ে দিনের পর দিন থাকেন। মেলামেশা বন্ধ করে দেন। আসলে, আচরণে মারাত্মক বৈপরীত্য সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কল্পনা করে নানা কথা বলার প্রবণতা থাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর। কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কিংবা কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে লাগাতার নানা আজগুবি কথাও বলে থাকেন। স্মৃতি হারানোর মতো ঘটনাও সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তের দেখা যায়। অনেক ঘটনা আক্রান্ত ভুলে যান। মানসিক অবসাদ, হ্যালোসিনেশন হল সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কী? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ সামান্য বোঝা গেলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। পরিবারের কেউ এই সমস্যায় ভুগলে, তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কারণ, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) রোগী শুধু নিজের নয়, অপরেরও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। কারণ, এই রোগীর মধ্যে যেমন আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে, তেমনি এই রোগী অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মারাত্মক রেগে যেতে পারেন। আর তখন অন্যকে মারধর করা বা বড় কোনও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। তাই রোগীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে বারবার কেউ মিথ্যা কথা বললে বা কল্পনা করে কোনও ঘটনা বললে, তাকে বকাবকি করা হয়। কেউ কাল্পনিক কোনও চরিত্রের কথা শুনতে পাচ্ছে, জানালে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। তাই তাদের অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। বরং তাদের মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। ধারাবাহিক চিকিৎসা করলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়ে পড়া না পারায় শিক্ষকের মার জুটেছিল ছাত্রের কপালে। বাড়িতে ফিরে বাবাকে সে কথা জানায় আক্রান্ত ছাত্র। এরপর কোচিংয়ের ওই শিক্ষককে পাল্টা পেটানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আরামবাগে। মার-পাল্টা মারে জখম হয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষক দু’জনেই। বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদুর এলাকায়। জখম শিক্ষকের নাম সামিম চৌধুরী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো ২৩ মে আরামবাগের (Arambagh) চাঁদুর এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে গিয়েছিলেন সামিম সাহেব। সেই সময় শেখ নাসিম নামে এক ছাত্রকে পড়া ধরেন তিনি। ওই ছাত্র পড়া বলতে পারেনি। উল্টে কোচিং ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল বলে অভিযোগ। অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় রেগে গিয়ে ছাত্রকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান সামিম, এমনটাই অভিযোগ। শিক্ষকের মারে ছাত্রটি মারাত্মকভাবে জখম হয় বলে দাবি পরিবারের। ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই জখম ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন কোচিং সেন্টারে রে রে করে ছুটে যান। কেন ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, তা  ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চান তাঁরা। তা নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি। এরপরই শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকও পাল্টা চড়াও হন অভিভাবকের উপর। ঘটনার জেরে উভয়কেই চিকিৎসা করাতে হয়েছে।

    কী বললেন অভিভাবক?

    ছাত্রের বাবার অভিযোগ, “আমার ছেলের শরীর এমনিতেই খারাপ ছিল। কিছুদিন আগেই নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছি। ওই  শিক্ষক আমার ছেলেকে এমন মেরেছে যে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। এই কোচিং সেন্টার যেন এখন বন্ধ থাকে।”

    কী বললেন আক্রান্ত শিক্ষকের পরিবারের লোকজন?

    শিক্ষকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, “ছাত্র দুষ্টুমি করলে শিক্ষকরা মারে। শিক্ষকদের তো শাসন করার অধিকার রয়েছে। তা বলে বাড়ির লোক এনে শিক্ষক পেটাবে, এ কোথায় হয়”?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফর শেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। এদিন বিমানবন্দরের পা রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের পর্যটকের কাশ্মীর দেখা উচিত”, বললেন জি২০-র প্রতিনিধিরা

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করতে দেখা যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘জনগণ আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি কোভিড ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে দিয়েছি। এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই, এই ভূমি হল গৌতম বুদ্ধের। এই ভূমি হল মহাত্মা গান্ধীর। আমরা আমাদের বিরোধীদেরও খেয়াল রাখি। আজকে সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যখন আমি আমার দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমি বিশ্বের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। আমার এই আত্মবিশ্বাস আসে। কারণ আমি জানি, আপনারা একটা সরকার গঠন করেছেন, যে সরকারের সঙ্গে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জনসমর্থন রয়েছে। আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য আসেননি, এসেছেন দেশের জন্য।’’

    অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণও টানেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী সিডনির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদাহরণ টানেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্য়ান্থনি আলবানিজই উপস্থিত ছিলেন না, দর্শকাসনে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও সমস্ত বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বার্থে। এটাই গণতন্ত্রের শক্তি।’’ অনেকে মনে করছেন, এভাবেই বিরোধীদের ঠুকলেন তিনি।

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন মোদি। প্রথমে তিনি জাপানে যান জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে পাপুয়া নিউগিনি ও শেষে অস্ট্রেলিয়া যান। প্রতিটি দেশেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। পাপুয়া নিউগিনি ও ফিজির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Student: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় বালুরঘাটের শ্রেয়া উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায়! কেন জানেন?

    HS Student: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় বালুরঘাটের শ্রেয়া উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায়! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাব, অনটন নিত্যসঙ্গী। শত প্রতিকূলতাকে জয় করে বালুরঘাট শহরের উত্তমাশার শ্রেয়া মল্লিক (HS Student) আজ স্টার। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যাবেন। কিন্তু, তাঁর এই স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। আগামীতে মেয়েকে পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শ্রেয়ার বাবা-মা।

    নিজের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন শ্রেয়া?

    শ্রেয়া (HS Student) বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ১০০, এডুকেশনে ৯৭, দর্শনে ৯১ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছেন। শ্রেয়া বলেন, “ভালো রেজাল্ট করব আশা করেছিলাম। কিন্তু, এত ভালো ফল আশা করিনি। আমার এই সাফল্যের পিছনে মা-বাবা, পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাইভেট টিউটরদের অবদান রয়েছে”। আর পড়াশোনার প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করার পক্ষপাতী আমি ছিলাম না। যখন ইচ্ছে হতো পড়তাম। তবে যতক্ষণ পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়তে ভালোবাসতাম। এছাড়াও গল্পের বই পড়তেও আমার ভালো লাগে। আগামীতে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই”।

    মেয়ের সাফল্য নিয়ে কী বললেন মা?

    শ্রেয়ার (HS Student) বাবা অধীর মল্লিক বালুরঘাট জেলা আদালতে মুহুরির কাজ করেন। মা তুলসী দে মল্লিক গৃহবধূ। তিনি বলেন, “এই সাফল্যে আমরা খুশি হলেও, মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় মেয়েকে কোনওরকমে পড়াতে পেরেছি। এবার কলকাতায় মেয়ের পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই আপাতত ঠিক করেছি বালুরঘাটেই মেয়েকে পড়াব। প্রাইভেট টিউটররা খুব কম টাকায় এতদিন মেয়েকে পড়িয়েছেন। প্রত্যেকের সহযোগিতায় মেয়ের এই সাফল্য। এখন মেয়েকে কীভাবে পড়াব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি”।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “শ্রেয়া খুব ভাল ছাত্রী (HS Student)। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁকে আমরা বরাবর সাহায্য করেছি। আগামীতেও করব। তাঁর এই সাফল্যে আমরা গর্বিত”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোনার দোকানে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, মালিকের ছেলের মৃত্যু, জখম ২

    Barrackpore: সোনার দোকানে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, মালিকের ছেলের মৃত্যু, জখম ২

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুটআউট! পড়়ন্ত বিকেলে জনবহুল এলাকায় সোনার দোকানে ঢুকে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে এলোপাথারি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের। গুলিতে জখম হন দোকানের মালিক নীলরতন সিনহা ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী শংকর। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) ১৪ নম্বর রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীলাদ্রি সিনহা (২৯)। দোকানের মালিকসহ দুজনকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

     বারাকপুর (Barrackpore) স্টেশন লাগোয়া ১৪ নম্বর রেলগেট থেকে আনন্দপুরী স্টেট ব্যাঙ্কের যাওয়ার রাস্তায় বাঁদিকে সোনার দোকানটি রয়েছে।  দোকানের নাম সিংহ জুয়েলার্স হাউস। দোকানটি ছোট্ট হলেও ভিতরটি অত্যন্ত সাজানো গোছানো রয়েছে। দোকানের ভিতরে ঢোকার জন্য কাচের দরজা রয়েছে। ফলে, ভিতরে কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতো নীলরতনবাবুর সঙ্গে তাঁর ছেলে ও দুজন কর্মচারী দোকানে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ দুটি বাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী আসে। ক্রেতা সেজেই তারা ভিতরে ঢোকে। তিনজনের মাথায় হেলমেট ছিল। একজনের মাথায় টুপি ছিল। ঘটনার সময় দোকানের ভিতরে অন্য ক্রেতা থাকার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। চারজন ঢোকার পরই প্রথমে সোনার দরদাম করতে করতেই আচমকা একজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার গয়না সব বের করে দিয়ে বলে। কিন্তু, দোকানের মালিক তাতে রাজি ছিলেন না। এরমধ্যে একজন দুষ্কৃতী জোর করে সোনার গয়না বের করার চেষ্টা করে। সেই সময় দোকানের মালিকের ছেলে নীলাদ্রি তাকে বাধা দেন। পিছনে থাকা এক দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কাঁদের কাছে গুলি লাগে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চোখের সামনে ছেলেকে গুলি করা দেখে নীলরতনবাবু দুষ্কৃতীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। ততক্ষণে গুলির আওয়াজে বাইরে জটলা শুরু হয়ে যায়। দোকানের নিরাপত্তারক্ষী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। তার পায়ে গুলি লাগে। বাইরে লোকজনের জমায়েত দেখে দুষ্কৃতীরা দোকানের বাইরে বেরিয়ে গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। ভয়ে কেউ সামনে আসতে চায়নি। এই সুযোগে বাইক নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস যান। তিনি বলেন, এলাকায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Rupee Notes: ব্যাঙ্ক নৈব নৈব চ! ২০০০ টাকার নোট বদলাতে আমে ভরসা আম-আদমির?

    2000 Rupee Notes: ব্যাঙ্ক নৈব নৈব চ! ২০০০ টাকার নোট বদলাতে আমে ভরসা আম-আদমির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করে দিয়েছে ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) বদল করতে হবে। কিন্তু সাধারণ জনগণকে ব্যাঙ্কে না গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই সেই টাকা খরচ করতে দেখা যাচ্ছে। গ্রীষ্মের সময়ে মরসুমি ফল হিসেবে আমের চাহিদা তুঙ্গে থাকে, ব্যাঙ্কে নোট বদল না করে সেই টাকা আম কিনতে খরচ করতে দেখা যাচ্ছে জনগণকে। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘ আমেই ভরসা আম আদমির। ’’ 

    মুম্বইয়ের জনৈক আম বিক্রেতা কী বলছেন?

    মুম্বইয়ের জনৈক আম বিক্রেতা মহম্মদ আজহার বলছেন, ‘‘প্রচুর সংখ্যক মানুষ দু হাজার টাকার নোট দিচ্ছেন আম কিনতে। প্রতিদিন আমি আট থেকে দশটি দু হাজার টাকার নোট পাচ্ছি। এগুলোকে আমি নিচ্ছি। কারণ আমার এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এটা আমার ব্যবসা এবং গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট রাখাই আমার কর্তব্য।’’ যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বর্তমান প্রজন্ম ক্যাশলেস লেনদেনের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। অনলাইন পেমেন্টই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই অর্থে সাধারণ মানুষের কাছে যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) অনেক মজুদ আছে, এমন নয়।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম

    একই কথা জানিয়েছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো

    তবে শুধুমাত্র আমের ক্ষেত্রেই নয়, দেখা যাচ্ছে খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রেও সাধারণ জনগণ ২০০০ টাকার নোট বেশি ব্যবহার করছেন। জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো জানিয়েছে যে ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৭২ শতাংশ গ্রাহকই তাদেরকে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) দিচ্ছেন। তবে সব সংস্থাই যে ২০০০ টাকার নিয়ে নিচ্ছে এমন নয়। যেমন মুম্বইয়ের এক রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, ‘‘গ্রাহকদের কাছে ২০০০ টাকার নোট নিলে, আবার তা বদলাতে আমাকে ব্যাঙ্কে ছুটতে হবে। তাই এই নোট আমি নিচ্ছি না।’’ একই চিত্র কমবেশি সব শহরেই ধরা পড়ছে।

    ২০১৬ সালে নোট বন্দির সময় বাজারে এসেছিল ২০০০ টাকার নোট

    প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি সরকার পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ নোট বাতিল বলে ঘোষণা করে। এবং সেই মতো বাজারে নোটের চাহিদা মেটাতে আনা হয় দু হাজার টাকার নোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: চুরুলিয়ার কবিতীর্থকে ধ্বংস করছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ অগ্নিমিত্রা পলের

    Asansol: চুরুলিয়ার কবিতীর্থকে ধ্বংস করছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ অগ্নিমিত্রা পলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়াতে তাঁর জন্মভিটা পরিদর্শন করে, কবির প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন বিজেপির বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। কবির স্মৃতি বিজড়িত স্থান ঘুরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কবিতীর্থের বিষয়টি তুলে ধরবেন।

    আসানসোলে (Asansol) বিদ্রোহী কবির জন্মস্থানে বিজেপির বিধায়িকা

    আজকের দিনেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম জামুড়িয়ার চুরুলিয়া (Asansol) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই উপলক্ষে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কবিতীর্থ চুরুলিয়ায় এসে কবি এবং কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরই সঙ্গে অ্যাকাডেমি ঘুরে দেখেন। কবির লেখা কবিতা, কবির পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, কবির ব্যবহৃত বিছানা দেখে একদিকে যেমন মুদ্ধ হন, তেমনি অন্যদিকে অবহেলা আর বেহাল দশা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এই বিধায়িকা।

    বিধায়িকার ঠিক কী অভিযোগ ?

    বিধায়িকা বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের জন্য আজ এই কবিতীর্থ (Asansol) ধ্বংস হতে চলেছে। আজ কবির জন্মদিন, অথচ রাজ্য সরকারের তরফে কবির প্রতি বিশেষ স্মরণে কোনও পদক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, শান্তিনিকেতনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কত সুন্দর পরিবেশ। অথচ কবিতীর্থ চুরুলিয়া আজ ধ্বংসের মুখে। রাজ্য সরকার এদিকে কোনও নজর দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে রাজ্যপালকে জানাব এবং সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথেও কথা বলব।

    তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া

    অপরদিকে বিজেপি নেতৃত্বের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস চ্যাটার্জি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই এটি হেরিটেজ হিসেবে যাতে স্বীকৃতি পায়, তার কাজ করা হবে। তিনি আরও বলেন, কিছু পদ্ধতি থাকে। সেগুলো মেনে মন্ত্রী মলয় ঘটকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিশ্চয়ই করা হবে। যদিও নজরুল ইসলামের জন্মভিটা চুরুলিয়া এখন নজরুল মেলা উপলক্ষে সেজে উঠতে শুরু করেছে। এলাকায় উৎসবের আমেজ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয়, আইআইটিতে গবেষণার স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে চন্দ্রবিন্দুর?

    HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয়, আইআইটিতে গবেষণার স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে চন্দ্রবিন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লড়াইয়ের আরেক নাম যেন চন্দ্রবিন্দু। দারিদ্রতা থামাতে পারেনি তাঁর লড়াই। বাবা-মায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দোকান সামলেছেন। একইসঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। সেই কষ্টই দেখাল সাফল্যের পথ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে তৃতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করলেন তমলুকের চন্দ্রবিন্দু মাইতি। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। ছেলের কৃতিত্বে খুশি তাঁর বাবা-মাও। ফুটপাথের ধারে সামান্য একটি দোকান রয়েছে তাঁদের। পড়াশোনার পাশাপাশি সেই দোকানে বাবা-মায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সাহায্য করেও এই নম্বর পেয়ে খুশি চন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এতবড় একটা খুশির খবর তাঁদের দুশ্চিন্তাই যেন বাড়িয়ে দিল। এরপর? এরপর পড়াশোনার খরচ জোগাবেন কী করে? যা ছিল, সবই তো শেষ।

    কষ্টের দাম (HS Rank) দিয়েছে ছেলে, বললেন মা

    তাঁর মা নীলিমা মাইতি জানিয়েছেন, গয়না, জমি বিক্রি করে ছেলেকে পড়িয়েছেন। কষ্টের দাম (HS Rank) দিয়েছে ছেলে। পরবর্তীতে আইআইটিতে গবেষণা করতে চান চন্দ্রবিন্দু। তার জন্য খরচ অনেক। সেই খরচ কীভাবে সামলাবেন, সেটাই এখন মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নীলিমাদেবী বললেন, সেই খরচ জোগানোর পয়সা আমাদের নেই। তাই সবার কাছেই আমরা সাহায্য প্রার্থী। আর্থিক অনটনের মাঝে পাশে পেয়েছেন কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে। কিন্তু তাঁরা যেটুকু সাহায্য করেছেন, সেটাও তো ফেরত দিতে হবে। আর কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। তাই নিজের জিনিস বলতে যা কিছু ছিল সবই বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কিন্তু এত সমস্যার কথা কোনওদিন ছেলেকে বুঝতে দিইনি। ছেলে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করত, তুমি সব কিছু এভাবে শেষ করে দেবে? আমি বলতাম, তাতে কী হয়েছে? তুই মাথা উঁচু করে দাঁড়ালে সেটাই আমার সব পাওয়া।

    কী বলছেন চন্দ্রবিন্দু?

    চন্দ্রবিন্দু জানিয়েছেন, দাদুর কিছু জমি রয়েছে। সেই জমি বিক্রি করেই হয়তো পড়াশোনার (HS Rank) খরচ চালাতে হবে তাঁকে। সেটাও কম পড়তে পারে। যদি কেউ পাশে দাঁড়ায়, এমনটাই আবেদন তাঁদের। চন্দ্রবিন্দু বলেন, যদি কেউ সাহায্য করে তো খুবই ভালো হয়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানাচ্ছি, যাতে কিছু সাহায্য পাই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result: অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা! টানাটানির সংসারে কি পূরণ হবে স্বপ্ন?

    Madhyamik Result: অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা! টানাটানির সংসারে কি পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাতলা গড়ন। সাধারণ খেটে খাওয়া ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। কিন্তু পড়াশোনার জগৎটা তার একেবারেই আলাদা। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী স্নেহা বিশ্বাস। মাধ্যমিকে ৬৪২ পেয়ে নজর কেড়েছে গরিব কৃষকের মেয়ে এই স্নেহা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের আউটিনা অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম খলসি। সেখান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে তিলন হাই স্কুল থেকে সেই সাফল্যের খবর (Madhyamik Result) তাই খুব সহজেই পৌঁছে যায় বালুরঘাটে।

    ছিল শুধু একজন গৃহশিক্ষক (Madhyamik Result)!

    উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বাবা হরেকৃষ্ণ বিশ্বাস তিন বিঘা জমিতে চাষ করেন। দুই ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানির সংসার। স্নেহা পরিবারের বড়। ছোট ভাই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। মা অর্চনার কাছেই স্নেহার পড়াশোনা। স্নেহা বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ৯৩, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯১, ইতিহাসে ৮৭ ও ভূগোলে ৯২ নম্বর (Madhyamik Result) পেয়েছে। মেয়েটাকে আরও সাহায্য করতে পারলে আরও ভাল করতো। আনন্দের মাঝেও যেন কিছুটা আক্ষেপ বাবা-মায়ের। এক গৃহশিক্ষক ছাড়া আর কারও কাছে পড়ার সুযোগ ছিল না স্নেহার। বালুরঘাটের ললিতমোহন আদর্শ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী স্নেহাকে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়ে সমস্ত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। কষ্ট হলেও বালুরঘাটে ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে মেয়ের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে ফের লড়াইয়ের জন্য তৈরি, জানান অর্চনা। আর স্নেহা জানায়, অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা রয়েছে।

    কেউ যদি সাহায্য করত (Madhyamik Result), আর্জি বাবার

    এই বিষয়ে স্নেহার বাবা হরেকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমি পেশায় কৃষক। আমার স্ত্রী, তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার। অতি কষ্টে আমাদের দিন চলে। আমার মেয়ের মাধ্যমিকে (Madhyamik Result) সাফল্য দেখে আমরা গর্বিত। আমার মেয়ে ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চায়। কিন্তু মাঝে আমার আর্থিক অবস্থা বাধা হয়ে পড়ছে। মেয়েটাকে কেউ যদি সাহায্য করত, তাহলে ভালো হতো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share