Blog

  • Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে এদিন থেকেই কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA)। রবিবার একথা জানালেন পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল, হেডকোয়ার্টার সুখচেইন সিংহ। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওয়ারিস দে পঞ্জাবের নেতা অমৃতপাল সিংহকে। তারপর বেলার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখচেইন। তিনি বলেন, অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছিল। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর থেকেই সেই আইন কার্যকর হয়েছে।

    অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    এদিন ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পঞ্জাবের ভিলেজ রোড এলাকায় গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। অমৃতপাল স্বঘোষিত ধর্মগুরু। খালিস্তানের দাবিতে সম্প্রতি সুর চড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে ধরতে যৌথভাবে তল্লাশি চালায় পঞ্জাব পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা। তিনি বলেন, অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড়ে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, যাঁরা দেশের শান্তি ও ঐক্য বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অমৃতসর পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার যৌথে উদ্যোগে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরেই এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে (Amritpal Singh)।

    আরও পড়ুুন: কার্গিল যুদ্ধে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন বাবা, এবার শহিদ হলেন ছেলে কুলওয়ান্ত

    পবিত্রতা বজায় রাখতে এদিন পুলিশ গুরুদ্বার সাহিবে প্রবেশ করেনি। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিব্রুগড়ে। অমৃতপালকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভাতিন্ডায় বায়ুসেনা স্টেশনে। সেখান থেকেই বিমানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিব্রুগড়ে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল অমৃতপালের সঙ্গী পাপালপ্রীত সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। অমৃতপালকে গ্রেফতারের পরে পরেই পঞ্জাব পুলিশের তরফে মোগার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানানো হয় শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকেও তাঁদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অমৃতপালের (Amritpal Singh) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এক সময় তিনি মুক্তভাবে সর্বত্র ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু এখন আর তিনি ওই সব কাজ করতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল আছে, জল নেই। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল (Drinking Water) প্রকল্পে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খিদিরপুর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করতে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি বাড়িতে একটি করে ট্যাপও লাগানো হয়েছে। কিন্তু ট্যাপকল থাকলেও, জলের দেখা নেই। প্রথম প্রথম জল এলেও দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপে জল আসে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

    সমস্যা নিয়ে কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে প্রতিটি বাড়িতে ট্যাপ লাগানো হয়েছে। ট্যাপ লাগানোর পর কিছুদিন জল (Drinking Water) আসত। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন ধরে আর জল আসে না। পঞ্চায়েতকে জানালে পঞ্চায়েত বলে, আমাদের হাতে এটা নেই, এটাপিএইচই-র হাতে। এলাকাবাসী পিএইচই দফতরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ট্যাপে জল না আসায়, পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেও (পি এইচ ই) এলাকার বাসিন্দারা মাস পিটিশন দিয়েছেন। তবুও কোন সুরাহা হয়নি।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির যুব সভাপতি শুভ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Drinking Water) ট্যাপ দিলেও, জল আসে না। এই দাবদাহে মানুষকে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পিএইচইকে জানানো হয়েছে। একে অন্যের অপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা তো জানি এটা পঞ্চেয়েতেরই কাজ।

    তৃণমূলের কী বক্তব্য?

    এলাকার তৃণমূল সদস্য দীপা উপাধ্যায় জানান, জলস্তর কমে যাওয়ায় জল (Drinking Water) আসছে না। বিষয়টি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পিএইচই দফতরে জানানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, এই সমস্যা তাঁর নিজের বাড়িতেও। এলাকার মানুষের ক্ষোভের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে তো সব সমস্যা মেটানো সম্ভব হয় না। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mann ki Baat: ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বে ১০০ টাকার স্মারক মুদ্রা আনতে চলেছে মোদি সরকার

    Mann ki Baat: ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বে ১০০ টাকার স্মারক মুদ্রা আনতে চলেছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আসতে চলেছে নতুন ১০০ টাকার কয়েন। জানা গিয়েছে, এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) ১০০তম পর্ব পূর্ণ করছে আগামী ৩০ এপ্রিল। এই পর্বটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ১০০ টাকার একটি স্মারক কয়েন আনা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া মন কি বাত-এর ১০০তম পর্বকে বিশেষ করে তুলতে আরও একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে। এক লাখেরও বেশি বুথে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানের পর্ব সম্প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এই ১০০ টাকার কয়েন দেখতে কেমন হবে

    জানা গিয়েছে, ১০০ টাকার এই কয়েনটি দেখতে হবে গোলাকার। আয়তন ৪৪ মিলিমিটার। চারটি ধাতু রুপো, তামা, নিকেল এবং দস্তা দিয়ে তৈরি হবে এই কয়েনটি। অশোক স্তম্ভের সিংহ থাকবে কয়েনের উল্টোদিকে ঠিক মাঝ বরাবর। তার নিচে লেখা থাকবে ‘সত্যমেব জয়তে’। দেবনাগরী লিপিতে ‘ভারত’ শব্দটি বাম পেরিফেরিতে এবং ইংরেজিতে ‘ইন্ডিয়া’ ডান পেরিফেরিতে লেখা থাকবে।

    এছাড়া মুদ্রার উলটো দিকে থাকবে ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat)-এর ১০০তম পর্বের প্রতীক। শব্দতরঙ্গ সহ একটি মাইক্রোফোনের ছবি থাকবে প্রতীক হিসেবে। মাইক্রোফোনের ছবির উপরে ২০২৩ লেখা থাকবে এবং এই ছবির উপরে দেবনাগরী লিপিতে এবং ইংরেজিতে ‘মন কি বাত ১০০’ লেখা থাকবে। জানা যাচ্ছে, এক একটি কয়েনের ওজন হবে ৩৫ গ্রাম।

    পূর্বে ১০০ টাকার কয়েনের ইতিহাস

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০০ টাকার কয়েন প্রকাশ করেছিলেন।
       

    রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রা আনা হয়েছিল।

    এআইএডিএমকে-এর প্রতিষ্ঠাতা এমজি রামচন্দ্রনের শতবর্ষে ১০০ টাকার একটি মুদ্রা জারি করা হয়েছিল।

    মহারানা প্রতাপের ৪৭৬তম জন্মবার্ষিকীতে ১০০ টাকার একটি কয়েন আনা হয়েছিল।
        
    এর আগে ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ সালেও ১০০ টাকার কয়েন সামনে আনা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Kulwant Singh: কার্গিল যুদ্ধে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন বাবা, এবার শহিদ হলেন ছেলে কুলওয়ান্ত

    Kulwant Singh: কার্গিল যুদ্ধে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন বাবা, এবার শহিদ হলেন ছেলে কুলওয়ান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন বাবা। এবার সেই একই কারণে প্রাণ বলি দিলেন ছেলে। বাবা ও ছেলের আত্মবলিদানের মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ২৪টা বছর। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে পুঞ্চে নিহত ল্যান্স নায়েক কুলওয়ান্ত সিংহ (Kulwant Singh) প্রসঙ্গে। ১৯৯৯ সালে হয়েছিল কার্গিল (Kargil) যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন কুলওয়ান্ত সিংহের বাবা। দিন দুই আগে পুঞ্চে সেনাবাহিনীর ট্রাকে যে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ ভারতীয় জওয়ান, তাতে প্রাণ হারিয়েছেন কুলওয়ান্ত স্বয়ং।

    কুলওয়ান্ত সিংহ (Kulwant Singh) কী বলেছিলেন?

    বাবার আত্মবলিদানের ১১ বছর পরে, ২০১০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ল্যান্স নায়েক কুলওয়ান্ত। বাড়ি ছাড়ার আগে মাকে তিনি বলেছিলেন, উদ্বিগ্ন হয়ো না, আমি ভালই থাকব। সেই ভাল থাকা আর হল না, আক্ষেপ কুলওয়ান্তের মায়ের। পঞ্জাবের মোগার ছাদিক গ্রামে রয়েছে কুলওয়ান্তের পরিবার। মা এবং স্ত্রী ছাড়াও পরিবারে রয়েছে বছর দেড়েকের শিশুকন্যা এবং মাস তিনেকের শিশুপুত্র। গ্রামের সরপঞ্চ জানান, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন কুলওয়ান্ত। তিনি বলেন, কুলওয়ান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসা উচিত সরকারের।

    পুঞ্চের রাজৌরি সেক্টরে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে গ্রেনেড হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলার আগে তারা ওই ট্রাক লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। গ্রেনেডের (Kulwant Singh) ঘায়ে আগুন ধরে যায় ট্রাকটিতে। জীবন্ত দগ্ধ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পাঁচ জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ওই ঘটনার পরে পরেই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয় জঙ্গিদের খোঁজে। যদিও এখনও গ্রেফতার করা যায়নি কাউকে।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    সেনা সূত্রে খবর, সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী জানতে পেরেছে ঘটনার সময় রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় দুটি দলে ভাগ হয়ে হামলা চালায় ৬-৭ জন জঙ্গি। তার জেরেই শহিদ হয়েছেন পাঁচ জওয়ান। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী, সেনা, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা। নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনও। প্রসঙ্গত, পুঞ্চে যে পাঁচ জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা (Kulwant Singh)। একজন পুরীর। পঞ্জাবের যে চারজন প্রাণ বলি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কুলওয়ান্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত এবং ভোরে ভিজল কলকাতা। তবে হল না স্বস্তির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার রাতেই বৃষ্টি নামে কলকাতা এবং আশপাশের বেশ কিছু জেলায়। যদিও বৃষ্টি হয়েছে নামমাত্র। পাশাপাশি বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও । আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) আশায় বুক বেঁধেছিলেন শহরের মানুষ। ভ্যাপসা গরম থেকে খানিক রেহাই দিল এই নামমাত্র বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার সকালেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় সকাল থেকেই মুখ ভার করে ছিল আকাশ। প্রসঙ্গত, হালেই তারা জানিয়েছিল, টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। চৈত্র-শেষেই কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছিল। সব নিয়ে দুর্ভোগ ছিল চরমে। রবিবারের বৃষ্টি ঝলসে যাওয়া শহরের বুকে শান্তির আমেজ ফিরিয়েছে। 

    আজকে কেমন থাকবে আবহাওয়া

    এদিন রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে গোটা রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর তাপপ্রবাহ থাকবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ দিনভর মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামিকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। 

    তাপমাত্রার হেরফেরে সতর্ক থাকতে হবে

    তীব্র গরম থেকে হঠাৎই একধাক্কায় তাপমাত্রা পড়ে যাওয়াতে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার (Weather Report) এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদান (Sudan Crisis) থেকে ভারতীয়দের (India) উদ্ধার কাজ শুরু হল। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রপ্রসাদ জয়সওয়াল, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। তার পরেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২টি দেশের ৬৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও রয়েছেন।

    দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে (Sudan Crisis) উদ্ধার কাজ…

    সৌদি আরব মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ জন সৌদি নাগরিক নিরাপদে পৌঁছেছেন। কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, কানাডা এবং বুরকিনার ৬৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদানে (Sudan Crisis) যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের আকস্মিকভাবে সরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। সেনাবাহিনী ও আধাসেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। দু পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০০ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের জেরেই সুদানে (Sudan Crisis) শাসন ক্ষমতা হাত বদল হয়েছিল। সেবার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। ডাগলো ছিলেন সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর আরএসএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ ও ডাগলো কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রশি, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানা গিয়েছে, সুদানে বিপন্ন ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে তৎপর প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে সুদানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala: তিলজলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! সাবান তৈরির কারখানায় নিমতেলের ট্যাঙ্কারে ডুবে মৃত ২ শ্রমিক

    Tiljala: তিলজলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! সাবান তৈরির কারখানায় নিমতেলের ট্যাঙ্কারে ডুবে মৃত ২ শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলায় (Tiljala) সাবান তৈরির কারখানায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। নিম তেলের ট্যাঙ্কারে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক খালাসি ও একজন শ্রমিকের। এঁদের মধ্যে খালাসি দক্ষিণ ভারতীয়। জানা গিয়েছে, লোগাননাথন (৩৩) তিলজলার সেই সাবান কারখানায় ট্যাঙ্কারে করে দক্ষিণ ভারত থেকে নিম তেল নিয়ে এসেছিলেন। অন্যদিকে অপর শ্রমিক কার্তিক হালদারের (৪৩) বাড়ি সোনারপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশ।

    ট্যাঙ্কারের ভিতর নিম তেলের পরিমাপ করতে গিয়েই দুর্ঘটনা

    পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ তিলজলার ওই সাবান কারখানায় দক্ষিণ ভারত থেকে একটি ট্যাঙ্কার এসে পৌঁছয়। তাতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের সাবান তৈরির উপকরণ, নিম তেল ভরা ছিল। প্রায় ২৪ হাজার লিটারের ওই ট্যাঙ্কারের পেটে ছ’টি ঢাকনা রয়েছে। সেগুলি দিয়ে ট্যাঙ্কারে তরল ভরা এবং বার করা যায়। ট্যাঙ্কার খালি করার আগে একটি ঢাকনার সামনে ঝুঁকে তরলের উচ্চতা মাপতে যান লোগাননাথন। তখনই হঠাৎ ট্যাঙ্কারের তরলের মধ্যে পড়ে যান তিনি। তা দেখে অন্যেরা চিৎকার শুরু করলে ছুটে যান কার্তিক। কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্কারের তরলে পড়ে যান। এর পরে আর কেউ এগোতে সাহস করেননি।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল

    ভিতরে নিম তেল ভর্তি থাকার কারণে দু’জনের দেহ উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ভিতর থেকে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য খালাসি ও শ্রমিকের মৃতদেহ পাঠানো হয় হাসপাতালে। পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দু’জনের বাড়িতেই খবর পাঠানো হয়েছে।

    কী বলল পুলিশ

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের পরে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা-ও দেখা হবে।’’ তবে ওই সাবান কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে  দাবি পুলিশ সুপারের

    Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়ে দিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে  মৃত্যুর কারণ হিসেবে  বিষক্রিয়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন মূল অভিযুক্ত সহ মোট দুজনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের ৩০২ ও ৬ পকসো এবং এসসি-এসটি অ্যাক্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এদিন আরও বলেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব (Raiganj Rape) ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। এগুলোয় কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিদিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    কী অভিযোগ উঠেছিল?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়ায় এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Raiganj Rape) করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর (Raiganj Rape) বাড়িতে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশকর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Live Together: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস!  অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তে মহিলা কমিশন

    Live Together: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস! অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস (Live Together) এবং দিনের পর দিন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। আর এমন গুরুতর অভিযোগ যার-তার বিরুদ্ধে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও, মামলার ধারা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যার ফলে অনায়াসে জামিনে মুক্ত হয়ে যান অভিযুক্ত অধ্যাপক। চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ নির্যাতিতা। শনিবার ঘটনার তদন্তে দুর্গাপুরে সরকারি হস্টেলে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করল রাজ্য মহিলা কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ঘটনায় জানা গেছে, বাংলাদেশের ওই অভিযোগকারিণী আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আজাজুল আলি খান নামে অধ্যাপকের প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকমাস সহবাস (Live Together) ও শারীরিক নিগ্রহ করেন। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু করেন অধ্যাপক। এবং অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বলে ছাত্রীটিকে জানিয়ে দেন। আর তাতেই ভেঙে পড়েন ছাত্রীটি। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ওই নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল মহিলা থানার পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বিচারের জন্য ছাত্রীটি বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ হন। এবং দুর্গাপুর মহিলা থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা হয় এবং অভিযুক্ত অধ্যাপক গ্রেফতারও হয়। 

    ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা

    কিন্তু, গ্রেফতার হয়েও জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এদিকে শনিবার ঘটনার (Live Together) তদন্তে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে হস্টেলে ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মহিলা কমিশনের পক্ষে দেবযানী চক্রবর্তী জানান, “মেয়েটির সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযোগ শুনেছি। ঘটনায় মেয়েটি প্রমাণস্বরূপ যা কিছু  জমা করেছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কোন ধারায় মামলা করেছে, কোন ধারায় গ্রেফতার হল, জামিনে কেন ছাড়া পেল সবই রিপোর্ট চেয়েছি। আরও কোন ধারায় মামলা দেওয়া ও গ্রেফতার করা যায়, সেসব দেখা হচ্ছে। পুলিশ সর্বক্ষণ নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযুক্ত যাতে শাস্তি পায়,  মেয়েটি যাতে বিচার পায় তার চেষ্টা চলছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hinduphobia in Britain: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    Hinduphobia in Britain: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে মুসলিম ছাত্ররা হিন্দু ছাত্রদের লাগাতার উত্যক্ত করছে। এই ঘটনাকে হিন্দুফোবিয়া (Hinduphobia in Britain) আখ্যা দিয়ে সেদেশে রিপোর্ট প্রকাশ করল একটি সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৫১ শতাংশ হিন্দু অভিভাবকই উদ্বিগ্ন এবং এই হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে কীভাবে হিন্দুদের সঙ্গে ভেদাভেদ করা হচ্ছে তা এই রিপোর্ট সামনে আনল।

    আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পদ বিক্রি! নাম জড়াল বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের

    কী বলছেন অভিভাবকরা    

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ধর্মীয় শিক্ষা আবশ্যিক। সেদেশের স্কুলগুলিতে ১৬ বছর বয়স অবধি ছাত্রদের ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে হয়। অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বলা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের হাজারের বেশি স্কুলে ৯৮৮ জন অভিভাবকের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামের ওই সংস্থা। রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর অনেক অভিভাবকই নিজের মতামত রেখেছেন। এক অভিভাবকের মতে, এই রিপোর্ট অনেক কিছুই সামনে আনল। আমাদের ছেলেরা স্কুলে হিন্দু বিরোধী পরিবেশে যেতে ভয় করছে। এটা হওয়া উচিত নয়। জানা যাচ্ছে, নিরামিষভোজী হিন্দু ছাত্রদের বিভিন্নভাবে তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে উত্যক্ত করা হয়। হিন্দু দেবদেবীদের অবজ্ঞা করা হয়। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে তৈরি হয়েছে হিন্দু বিরোধী পরিবেশ।

    আরও পড়ুন: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    শার্লট লিটলউড নামের জনৈক মহিলা এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্কুলগুলিতে এমন হিন্দুফোবিয়ার ঘটনা লেস্টারে হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক অশান্তির পর থেকেই বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে দুবাইয়ে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে এই গণ্ডগোল বেধেছিল।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share