Blog

  • Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক বাহিনী এবং প্যারামিলিটারি ফোর্স অর্থাৎ আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে সুদান (Sudan Clash)। রাজধানী খার্তুম এবং আশপাশের এলাকায় অহরহ চলছে গোলাগুলি। রবিবার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখমের সংখ্যা ৫৯৫। তবে অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ রাজধানীর খবর যেভাবে আসছে, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ‘এমন ভয়াবহ দৃশ্য তাঁরা আগে কখনও দেখেননি’

    এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সর্বত্র গোলাগুলি চলছে, বাদ যাচ্ছে না ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাও। এমন ভয়াবহ দৃশ্য (Sudan Clash) তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান, আরব লিগের প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান সহ শীর্ষ কূটনীতিবিদরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিলেও লড়াই কিন্তু এখনও জারি রয়েছে। আক্রমণ চালানো হয়েছে বিমানবন্দরেও। সেখানে বিমান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মৃত্যুও হয়েছে দুই সাধারণ নাগরিকের। 

    প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও

    দুই বিবদমানের প্রকাশ্য লড়াইয়ে (Sudan Clash) প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। ডক্টর এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহত ভারতীয়ের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার জন্য দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে। খার্তুমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ওই ব্যক্তি সুদানের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রকাশ্য রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। 

    দাবি-পাল্টা দাবি অব্যাহত

    প্যারামিলিটারির সাপোর্ট ফোর্সেস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, সেনাবাহিনীর প্রধানের বাড়ি, স্টেট টেলিভিশন স্টেশন এবং বিমানবন্দর তারা দখল করে নিয়েছে। যদিও সেনার পক্ষ থেকে এইসব দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সেনার পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাজধানীর কাছে প্যারামিলিটারির ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সুদানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে কয়েক মাস ধরেই ক্ষমতা দখলের দড়ি টানাটানি (Sudan Clash) চলছে। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতি এই যুদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে যেমন যাবতীয় সমঝোতার পথ বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি আধাসেনার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘ক্রিমিনাল’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, যুদ্ধ এখনই থামার নয়।

    নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে

    অন্তর্ন্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সুদান। উত্তর আফ্রিকার এই রাষ্ট্রটি নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে। একদিকে অনগ্রসর এবং অন্যদিকে মুসলিম অধ্যুষিত এই রাষ্ট্রে শুরু হয়েছে সেনা এবং আধা সেনাবাহিনীর লড়াই (Sudan Clash)। ২০২২ সালের অক্টোবরে ভয়ংকর জাতিসংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল এই সুদান। জমি নিয়ে বিবাদে জাতিসংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ১৭০ জনের। এবার প্রকাশ্য লড়াইয়ে সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সময় যে আধাসেনা ছিল তাদের সাহায্যকারী, আজ তারাই লড়েইয়ের ময়দানে তাদের প্রতিপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Schools: সোমবার থেকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাতদিনের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    West Bengal Schools: সোমবার থেকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাতদিনের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সমেত গোটা দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। বেলা গড়াতেই তাপপ্রবাহ চলছে। চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। চল্লিশ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে বাতাসের উষ্ণতা। এহেন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ  (West Bengal Schools)পড়ুয়াদের রেহাই দিতে সোমবার থেকে সাত দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল সরকার।

    সাতদিনের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    রবিবার দুপুরে সাতদিন স্কুল কলেজের (West Bengal Schools) ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এই সাত দিন বন্ধ থাকবে। শুধুই কী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক সময়ে সরকারের পরামর্শ মানতে চায় না। তাদেরও বলা হচ্ছে, ছেলেমেয়েদের কথা মাথায় রেখে যেন এই সাত দিন স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখে। কারণ যা গরম পড়েছে, কিছু একটা ভালমন্দ হয়ে যেতেই পারে। হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা তো থাকছেই।

    গরমের ছুটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২ মে থেকে ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে রবিবার বিকেলের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, দাবদাহের কথা মাথায় রেখে সরকার ভেবেছিল ২ মে থেকে গরমের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করা হবে। কিন্তু হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ-সাতদিন তাপপ্রবাহ চলবে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত বদল করল।

    মমতার কথায়, আসলে আমাকে বাচ্চারাই তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছে। কয়েক জন বাচ্চা আমাকে বলেছে, দিদি এত গরম যে স্কুলে গিয়ে মাথা যন্ত্রণা করছে। খুব কষ্ট হচ্ছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কিছু দিন তাপের দাপট সামান্য কমলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং গরম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই রকম পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজের (West Bengal Schools) ছুটি প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন অনেক অভিভাবক। তবে এই ছুটি শুধু সামনের সপ্তাহ, নাকি তার পরেও বাড়বে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আবহাওয়ার মতিগতি দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সঞ্জয় দাস। বাড়ি রানাঘাট। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়েছিল সে। তারপর আর পড়াশুনা করতে পারেনি। তাতে কী হয়েছে? রীতিমতো গ্যাং তৈরি করে অনলাইনে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতে বসে সে। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই চাকরির টোপ দিয়ে মগজধোলাই করে চলত প্রতারণা (Fraud)। এইভাবে তার রোজগার হত লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু, এই প্রতারকদের হাতে প্রতারিত (Fraud) হয়ে এক যুবক মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস।

    কী ভাবে চলত প্রতারণা (Fraud)?

    প্রতারণার জন্য সঞ্জয় দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করত। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিত সে। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার (Fraud) শিকার হতে হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ফর্ম ফিলআপের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হত। তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে বলে আরও কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হত। সে সব মিটলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ লক্ষ  টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। তাদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ১৪ এপ্রিল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    কী বললেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?

    হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ত্রিবেণীর মনোজিৎ সাউ নামে এক যুবক এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন বলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। এরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dubai: বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত অন্তত ১৬, জখম ৯, এলাকায় আতঙ্ক

    Dubai: বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত অন্তত ১৬, জখম ৯, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে বিকট শব্দ। তারপরেই আশপাশের বাসিন্দারা দেখতে পেলেন, বহুতলের জানালা দিয়ে গল গল করে বাইরে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া ও আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। শনিবার দুপুরে দুবাইয়ের (Dubai) বহুতল আবাসনের একটি তলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল অন্ততপক্ষে ১৬ জনের। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ৯ জন। তাঁরা সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুন পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে রবিবার সকাল হয়ে যায়। 

    কী জানালেন সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র?

    সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল হল আল রাসের (Dubai) একটি আবাসন। আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যান দমকলকর্মী এবং পুলিশের কর্মকর্তারা। কিন্তু ধোঁয়ায় চারদিক এমনভাবে ঢেকে গিয়েছিল যে কাজ করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ চারপাশের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। 
    ওদিকে বহুতলে আটকে পড়া বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কী করবেন। ধোঁয়ার দাপট কিছুটা কমতে কর্মীরা ক্রেন দিয়ে মানুষকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আবাসনটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিল করে দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে সিভিল ডিফেন্স জানতে পেরেছে, নিরাপত্তার গাফিলতির কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ নিয়ে শুরু হয়েছে আরও তদন্ত। 

    আশপাশের বাসিন্দারা কী জানালেন?

    দুবাইয়ের (Dubai) ওই আবাসনের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চতুর্থ তলে আগুনের বলের মতো কিছু দেখতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন এয়ারকন্ডিশন মেশিন থেকে হয়তো কিছু হয়েছে। তারপরেই ভুল ভাঙে বিকট শব্দে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেন তাঁরা। ওই আবাসনেরই এক আবাসিক জানালেন, শুরুতে তাঁরা পোড়া গন্ধ পেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের হলকা তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে। তখনই তাঁরা আতঙ্কে ব্যালকনিতে দৌড়ে যান এবং সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার শুরু করে দেন। যদিও ব্যালকনিতে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, নিচের রাস্তায় মানুষের ভিড়।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয়ও

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজন ভারতীয় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে আবার দুজন কেরলের এক দম্পতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সাংসদ হত্যার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাকা

    CBI: সাংসদ হত্যার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাকাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। প্রাক্তন সাংসদ বিবেকানন্দ রেড্ডি খুনের মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলায় এবার ভাস্কর রেড্ডিকে নিজেদের হেফাজতে নিলেন গোয়েন্দারা।

    কোন কোন ধারায় অভিযোগ দায়ের

    এদিন সকালেই কাডাপায় মুখ্যমন্ত্রীর কাকা ভাস্কর রেড্ডির বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (চক্রান্ত), ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজই হায়দরাবাদে নিয়ে আসা হবে ভাস্কর রেড্ডিকে। বিকেলে ম্য়াজিস্ট্রেটের সামনে তাঁকে পেশ করা হবে।

    ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে খুন হন বিবেকানন্দ রেড্ডি

    ২০১৯ সালের ১৫ মার্চের রাতে পুলিভেন্দুলায় নিজের বাসভবনে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রাক্তন সাংসদ বিবেকানন্দ রেড্ডিকে। যেদিন বিবেকানন্দ খুন হন তার এক সপ্তাহ পরেই ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই খুনের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল।

    ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে (CBI)

    এই ঘটনার তদন্ত প্রথমে শুরু করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি জোরকদমে ঘটনার তদন্ত চালায়।
    সিবিআই তদন্তে নেমে এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে বিবেকানন্দ রেড্ডি ও তাঁর বাবা অবিনাশ রেড্ডির যোগ খুঁজে পায়। চার্জশিটে সেই কথা উল্লেখও করে। চার্জশিটে বলা হয়, কাদাপা লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট নিয়ে বচসার জেরেই এই খুন হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিহত বিবেকানন্দ রেড্ডি চেয়েছিলেন, কাডাপা লোকসভা কেন্দ্র থেকে বর্তমান সাংসদ অবিনাশ রেড্ডির বদলে তাঁকে যেন প্রার্থী করা হয়। যদি তাঁকে প্রার্থী না করা হয়, তবে যেন ওয়াইএস শর্মিলা (মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বোন) বা ওয়াইএস বিজয়াম্মা (মুখ্যমন্ত্রীর মা)-কে প্রার্থী করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed Murder: সবথেকে বড় ডন হওয়াই ছিল লক্ষ্য! পুলিশি জেরায় দাবি আতিক হত্যাকারীদের

    Atiq Ahmed Murder: সবথেকে বড় ডন হওয়াই ছিল লক্ষ্য! পুলিশি জেরায় দাবি আতিক হত্যাকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের হাসপাতাল চত্বরে শনিবার রাতে ক্যামেরার সামনেই খুন করা হয় আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed Murder) এবং তাঁর ভাই আশরফকে। পুলিশি নিরাপত্তায় গ্যাংস্টার দুই ভাইকে এদিন হাসপাতালে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে এসেছিল পুলিশ।  খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের প্রশাসন। ধৃতেরা হলেন, উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা সানি সিং, কাসগঞ্জের বাসিন্দা অরুণ মৌর্য এবং বান্দার বাসিন্দা লবলেশ তেওয়ারি। আতিক এবং আশরফকে খুনের পরই তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরে  তিনজনেই পালানোর চেষ্টা করেনি।

    তিনজন আততায়ী জেলে থাকাকালীন বন্ধু হয়ে ওঠেন

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ এবং ডাকাতি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। যোগী রাজ্যের প্রশাসনের একাংশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন যে, জেলে থাকাকালীন তিন জন পরস্পরের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সেই থেকেই একসঙ্গে যাবতীয় অপরাধ সংঘটিত করতেন তাঁরা। অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে এ-ও দাবি করেছেন যে, উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় ‘ডন’ হওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁদের। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, জেরায় অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই সেই সুযোগ খুঁজছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তাঁরা জানতে পেরেছিলেন ‘গ্যাংস্টার’ আতিক (Atiq Ahmed Murder) এবং তার ভাই আশরফকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন তাঁরা পরিকল্পনা করেন যে, যদি এই সুযোগে আতিক এবং তার ভাইকে খুন করা যায়, তা হলে উত্তরপ্রদেশে তাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়বে। শুধু তাই-ই নয়, এত দিন ধরে যাঁরা আতিক এবং তার গ্যাংকে ভয় পেতেন, এখন থেকে তাঁদের ভয়ে কাঁপবেন সেই সব মানুষ। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আতিককে খুনের পরিকল্পনা করার পরই শুক্রবার হাসপাতালের রেকি করে গিয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত।

    তিন অভিযুক্তের পরিবার কী বলছে

    জানা গেছে অভিযুক্ত লবলেশ তেওয়ারি বাড়ির সঙ্গে সে অর্থে কোনও যোগাযোগ রাখতেন না। তাঁর বাবা বলেন, পাঁচ ছ’ দিন আগে একবার এসেছিল বাড়িতে, তারপর আবার চলে যায়। কোনও কাজও করত না উপরন্তু ছিল নেশাগ্রস্ত। আমরা ঘটনাটা টিভিতে দেখেছি। তার নামে আগেও কেস রয়েছে, সেই কেসে জেলও খেটেছে লবলেশ।

    অন্য অভিযুক্ত সানি সিং-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের ১৪টা কেস রয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ তারও ছিলনা, এমনটাই দাবি পরিবারের। সানির মা এবং এক ভাই থাকেন তাঁর পৈতৃক বাড়িতে। ভাই বর্তমানে চা এর দোকান চালায়।

    আরেক জন অরুণ মৌর্যর বিরুদ্ধে ২০১০ সালে ট্রেনে এক পুলিশ কর্মীকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল। বর্তমানে সে দিল্লির এক কারখানায় কাজ করতো বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলের বেহাল টাওয়ার ক্লক (Clock Tower) সরিয়ে নতুন ক্লক বসানো হল বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ডে। যার খরচ নাকি ৯ লক্ষ টাকা। পুরসভার বসানো ঘড়ির খরচ শুনে চক্ষু চড়কগাছ শহরবাসীর। যা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের গলায়। বাম ও বিজেপির অভিযোগ, টাওয়ার তো আগেই ছিল। শুধুমাত্র ঘড়ির খরচ কেন এত টাকা? পুরবোর্ড অবশ্য দাবি করেছে, সম্পূর্ণ নতুন ঘড়ি এনে লাগানো হয়েছে। তবে বাম আমলে এর চেয়ে বেশি খরচ করা হয়েছে। যুক্তি যাই দেখানো হোক, এই ঘড়ির বিষয়টি নিয়ে শহরের চায়ের দোকানগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।  

    নতুন কি না, সন্দেহ প্রকাশ আরএসপি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের

    আরএসপির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, সঠিক খরচ মনে না পড়লেও আমরা লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করে ওই ঘড়ি বসিয়েছিলাম। তাই বলে এই বোর্ডের মতো ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়নি। আর আমাদের সময়কালের টাওয়ারই (Clock Tower) তো রয়েছে। নতুন করে শুধু ঘড়ি বসানো হয়েছে। ওই ঘড়িটি নতুন কিনা, তাও সন্দেহ রয়েছে। 

    এটা কি লন্ডন থেকে আনা? প্রশ্ন বিজেপি-র

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, বামেদের আমলে এই ঘড়ি (Clock Tower) বসানো হয়েছিল। সেই ঘড়িই বিগত তৃণমূল বোর্ড সংস্কারের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। এখন নতুন পুরবোর্ড আবার একই ঘড়ি সংস্কার করে ৯ লক্ষ টাকা খরচ দেখাচ্ছে। এটা কি লন্ডন থেকে আনা? 

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দত্ত বলেন, এই ঘড়ি (Clock Tower) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। নতুন করে লাগানো হয়েছে। খুব ভালো কথা। কিন্তু এই ঘড়ির জন্য এত খরচ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘড়ির খরচ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের মূল কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চৌমাথা মোড়ে এই টাওয়ার ঘড়ির অবস্থান। ২০১৩ সালের আগে বাম আমলে এই ঘড়িটি লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই টাওয়ার ঘড়িই শহর চেনার মূল আকর্ষণ হয়। ২০১৩ সালে পালাবদলের পরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর তা নষ্ট হলে ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়৷ পরে ফের নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ বছর এই ঘড়ি খারাপ থাকায় নতুন পুরবোর্ড ঘড়ি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে। নববর্ষের উপহার স্বরূপ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই ঘড়ি উদ্বোধন করেন। যাকে ঘিরেই বিতর্ক।

    কী জবাব দিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বামেদের আমলে ওই ঘড়ি (Clock Tower) বসাতে আমাদের চেয়ে বেশি টাকা লেগেছে। আর ওরা যেভাবে ঘড়িটি বসিয়েছিল, তা সংস্কারও করা হত না। যে ঘড়িটি বসানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন। এটি উন্নতমানের জিপিআরএস সিস্টেমে বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যের জন্যই এই উদ্যোগ। যা বিরোধীরা এতদিন করতে পারেনি বলেই এই ধরনের কথা বলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সেই পুকুরের দিকে শুধু এলাকাবাসী নয়, রাজ্যের মানুষের নজর ছিল। ওই পুকুরের জল তুলে মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে শনিবার দিনভর চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী। দুদিন ধরে টানা কাজ করার পর রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও একটি মোবাইল পুকুরে রয়েছে বলে সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন। সেই মোবাইলের খোঁজে এদিন সকাল থেকে পুকুরে তল্লাশি চলছে।

    মোবাইল উদ্ধারের পর কী করল সিবিআই (CBI Raid)?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আচমকা হানা দেয়। বাড়িতে চলে তল্লাশি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ককে। আর সিবিআইয়ের (CBI Raid) নজর এড়িয়ে কীভাবে কৌশলে নিজের দুটি মোবাইল পুকুরে তৃণমূল বিধায়ক ফেলেছিলেন? কীভাবে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন? এদিন তৃণমূল বিধায়ককে বাড়ির ছাদে তুলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই (CBI Raid)। এমনকী পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি বিধায়ককে দেখিয়ে সনাক্ত করেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।  আর পুনর্নির্মাণের সমস্ত কিছু সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখেন। সেই সংক্রান্ত নথিতে তৃণমূল বিধায়ককে স্বাক্ষর করানো হয়।

    পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কী বললেন?

    প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলে হার্ডওয়্যার যদি ঠিকঠাক থাকে, তথ্য পেতে কোনও সমস্যা হবে না। আর মোবাইল চালু অবস্থায় কাদায় ফেলা হলে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মোবাইলে একাধিক আইসি ও ইন্টার্নাল স্টোরেজ নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা বেশ কষ্টকর। তবে, জানা গিয়েছে, মোবাইল জলে ডুবে থাকলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার হওয়া মোবাইল খতিয়ে দেখছেন। আরও একটি মোবাইল কখন উদ্ধার হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed: ১৭ বছরেই হাত পাকিয়েছিলেন খুনে, কেমন ছিল গ্যাংস্টার আতিকের জীবন?

    Atiq Ahmed: ১৭ বছরেই হাত পাকিয়েছিলেন খুনে, কেমন ছিল গ্যাংস্টার আতিকের জীবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সে হাত পাকিয়েছিলেন খুনে। বাবা টানতেন ঘোড়ার গাড়ি, অমনোযোগী ছেলে উচ্চ বিদ্যালয়ে বারবার অকৃতকার্য হওয়ার পরেই ইতি টানেন পড়াশোনায়। পা রাখেন অপরাধ জগতে। প্রথম জীবনে ট্রেন থেকে কয়লা চুরি করতেন। ১৯৬২ সালে তৎকালীন এলাহাবাদে, বর্তমানের প্রয়াগরাজে জন্ম হয় কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed)।

    ২৭ বছর বয়সে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় প্রবেশ করেন আতিক (Atiq Ahmed)

    অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই, ১৯৮৯ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে রাজনীতির আঙিনায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে আসেন বাহুবলী আতিক (Atiqe Ahamed)। তখন এলাহাবাদ অঞ্চলে একচ্ছত্র অধিপতি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। ১৯৮৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কখনও নির্দল প্রার্থী হিসেবে, আবার কখনও সমাজবাদী প্রার্থী হিসেবে আতিকের বিজয়রথ ছিল অপ্রতিরোধ্য। ২০০৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন আতিক আহমেদ (Atiqe Ahamed)। সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ফুলপুর আসন থেকে জয়ী হন তিনি। আতিকের ছেড়ে আসা এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হন বিএসপি নেতা রাজু পাল। এই রাজু পাল খুনের ঘটনা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় গ্যাংস্টারকে।

    ২০০৫ সালে খুন হন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল

    ২০০৫ সালে খুন হন বিএসপি বিধায়ক। সেই খুনেও আতিকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিন বছরের মাথায় জামিন পান। বিএসপি বিধায়ক খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। আতিক চেয়েছিলেন, উমেশ এই মামলা থেকে সরে যাক। আদালতে গিয়ে বলুক, রাজু পাল খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিল না উমেশ। কিন্তু সরে না দাঁড়ানোয়, ২০০৬ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আতিক ও তাঁর সঙ্গীরা উমেশকে অপহরণ করে।

    চলতি বছরেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় আতিককে (Atiq Ahmed)

    সেই অপরহণ মামলায় গ্যাংস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আতিকের (Atiq Ahmed)। গত চার দশকে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ সহ প্রায় ১০০টি বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষী উমেশ পালকে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এখানে প্রধান অভিযুক্ত ছিল আতিকপুত্র আসাদ। তাঁকে দুদিন আগেই ঝাঁসিতে এনকাউন্টার করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। আসাদের শেষকৃত্যের দিনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হল আতিকের দেহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Ghost:  অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    The Ghost: অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূত (The Ghost) ! “নেই, নেই” হাজার বার বলার পরেও দিব্যি চলে আসে অদ্ভূত সব ভূতের (The Ghost) গল্প। মামদো ভূত, মেছো ভূত, গেছো ভূত, গলাকাটা ভূত ইত্যাদি কতোই না তার রকমফের। পেত্নি, শাকচুন্নি, ডাইনি ইত্যাদি স্ত্রী ভূতও নাকি আছে বলা হয়। গল্প শুনলেই গা ছমছমে করে। আর দুর্বল মনের মানুষ হলে তো কথাই নেই। “ভূতে ধরেছে” রটতে না রটতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। তারপর সেই ভূত (The Ghost) তাড়াতে ওঝা ডাকা হয়। ওঝার কেরামতি নিয়েও ঘটে যায় আরও কত কাণ্ড। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন ভূতের পুজোর কথা? তাও আবার যে সে ভূত (The Ghost) নয়, ভয়ংকর ও বিশাল চেহারার ‘গলাকাটা’ ভূতের পুজোর কথা? এ হেন ভূতবাবাজিকে তুষ্ট করতে তাঁকে রীতিমতো সম্মান, শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো করা হল এবারও।

    কেমন চেহারা এ ভূতের (The Ghost)?

    প্রায় পনেরো ফুট লম্বা হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা এক ভূত (The Ghost)। ডান হাতটা কিছুটা ওপরের দিকে তোলা। আর বাঁ পা যেন একটু বেশি প্রসারিত। মুখ তার আকাশপানে। তবে মাথা নেই। ধড় অংশের শুরুতেই সাদা-কালোয় মায়াবী দুটো চোখ দু পাশে। বাম, ডান যেদিক থেকেই আপনি তাঁকে দেখুন না কেন, মনে হবে যেন আপনার দিকেই তাকিয়ে। বুক ও পেটের অংশে উন্নত নাক, লকলকে জিভ, ধবধবে সাদা দাঁতের পাটি। গায়ের রং কুচকুচে কালো। শরীরের নিচের অংশ মেয়েলি ‘ঘের’ জাতীয় লাল টুকটুকে বস্ত্রে ঢাকা। আলতা রাঙানো হাত ও পা। আর বুকের ওপর থেকে ঝোলানো লাল রঙের কাগজের মালা।

    কোথায় হয় এমন গলাকাটা ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া তালতলায় বৈশাখের পয়লাতে এবারও হল এমন ভয়াল চেহারার ভূতের (The Ghost) আরাধনা। হ্যাঁ, বাংলার বিখ্যাত তাঁতশাড়ির আঁতুরঘর যেখানে, সেই ফুলিয়ায়। তবে কোনও তান্ত্রিক বাড়ির নিভৃত কোণে নয়। ভূতের পুজো হল একদম খোলা আকাশের নিচে, হাজার হাজার লোকের মাঝে। কিন্তু, হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রের নিত্যদিনের খটাখট শব্দের মাঝে কী করে সেখানে পৌঁছাল এমন ভূত? গল্পটা শোনা যাক ভূতপুজোর আয়োজক বাড়ির অন্যতম কর্তা প্রকাশ বসাকের মুখে। প্রকাশ বললেন, প্রতি বছর আমাদের পরিবারের শরিকি সদস্যদের উদ্যোগে ভূতের (The Ghost) পুজোর আয়োজন করা হয় ঠিকই। কিন্তু, এ পুজো এখন গ্রামের বহু মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সেই অর্থে বলা যায় সর্বজনীন। গ্রামের কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক সদস্য, এমনকি গ্রামের মহিলারাও এ পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। প্রকাশ আরও বলেন, ওপার বাংলার টাঙ্গাইল জেলার বামুন কুইচা গ্রামে বাড়ি ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষের। ফি বছর বাংলা নববর্ষের দিনে এমন ভূতের (The Ghost) পুজো করতেন আমাদের ঠাকুরদাদা বা তাঁর বাবারা। স্বাধীনতার পর আমাদের বাবা-জেঠারা পরিবার নিয়ে এপার বাংলার ফুলিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। খুব সম্ভবত ষাটের দশকে ওপার বাংলার পারিবারিক সেই ভূতের পুজো এখানকার বাড়িতেও শুরু করেছিলেন আমার জেঠু দুলাল বসাক। এরপর আমাদের শরিকি পরিবারের সব সদস্য তো বটেই, দেখতে দেখতে গ্রামের লোকজনও আমাদের এই পুজো আয়োজনের শরিক হয়ে গিয়েছেন। আমাদের এখানকার বাড়ির গায়ে নিজস্ব শিবমন্দির আছে। সেই শিবের গাজনে আমরা যাঁরা সন্ন্যাসী হই, তাঁরাই গলাকাটা ভূতের মূল সেবক।

    কেন এমন ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    প্রকাশের বক্তব্য, “বাড়ির বয়স্কদের কাছে শুনেছি, বাড়ির কচিকাঁচারা যাতে ভূতের (The Ghost) ভয় না পায় এবং পরিবারের সবার যাতে মঙ্গল হয়, সেজন্য বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এই পুজো শুরু করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব হরিপদ বসাক বলেন, আমরা এই দেবতাকে কেউ বলি ‘বড় দেবতা’, আবার কেউ বলি ‘কবন্ধ ভূত’। প্রকাশদের পরিবারের গৃহ দেবতা মহাদেব। তাই চৈত্র শেষের দু দিনে ওদের বাড়ির মন্দিরে ঘটা করে নীল পুজো হয় আর গাজনের সন্ন্যাসীরা প্রথা মেনে দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করেন। মহাদেবের সঙ্গে ভূতও (The Ghost) থাকেন বলে গাজনের সন্ন্যাসীরা ভূতকেও সন্তুষ্ট করা শুরু করেছিলেন। রামায়ণেও এমন কবন্ধ ভূতের (The Ghost) পুজোর কথা উল্লেখ আছে বলে দাবি জানান হরিপদবাবু।

    ভূত (The Ghost) দেবতা থাকেন কতক্ষণ ?

    মূলত একদিনের পুজো। পুজো ঘিরে বসে মেলাও। তবে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত তো বেটেই, গোটা বৈশাখ মাস জুড়েই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ উঁকি দেন এই লৌকিক দেবতাকে প্রণাম জানাতে। খোলা আকাশের নিচে দেবতা শুয়ে থাকেন বলে বৃষ্টি নামলেই মৃন্ময় এ দেবতার  অঙ্গহানি শুরু হয়। তবে, অনেক ঝড়বৃষ্টির পরে বছর শেষেও ওই জায়গায় থেকে যায় মাটির স্তুপ। পরের বছর সেই মাটির ঢিবিতে আবারও মাটি লাগিয়ে এবং রং করে ফের গড়া হয় বড় দেবতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share