Blog

  • Voter ID-Aadhaar Link: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়ল! জানুন বিস্তারিত

    Voter ID-Aadhaar Link: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়ল! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও অবধি অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ভোটার এবং আধার কার্ড লিঙ্ক (Voter ID-Aadhaar Link) করিয়ে উঠতে পারেননি। সেইসকল মানুষদের কথা মাথায় রেখে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড লিঙ্ক করার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিল ২০২৩ অবধি সময়সীমা ছিল দুই কার্ড লিঙ্ক করানোর। এবার এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২৪ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    বর্তমানে আধার কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID-Aadhaar Link) এই দুই নথিই ভীষণ প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। প্রায় সব রকম কাজেই দরকার পড়ে নথিগুলির। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, এবার থেকে দুই নথি সংযুক্ত করতে হবে নাগরিকদের। এই মর্মে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আধার কার্ড ও ভোটার আইডি লিঙ্কের কাজ অনেকদিন ধরেই চলছে দেশে।

    কীভাবে করাবেন আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার আইডি লিঙ্ক (Voter and Aadhar link)

    ১. প্রথমে NVSP.in ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। এখানে ফর্ম অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    ২. আপনি যদি আগে থেকেই রেজিস্টার করে থাকেন তাহলে ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে লগইন করতে হবে।

    ৩. আর যদি রেজিস্টার না থাকেন তার জন্য ‘ডোন্ট হ্যাভ অ্যাকাউন্টে’ ক্লিক করুন। এখানে দুটি অপশন থাকবে – প্রথম ‘আই হ্যাভ এপিক নম্বর’ অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর এবং দ্বিতীয় ‘আই ডোন্ট হ্যাভ এপিক নম্বর’

    ৪. প্রথম অপশনের ক্ষেত্রে এপিক নম্বর, ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড (নিজের পছন্দ মতো) দিতে হবে। দ্বিতীয় অপশনে ইমেইল, ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্টার বাটনে ট্যাপ করতে হবে।

    ৫. লগ ইন হওয়ার পর ফর্ম অপশনে ক্লিক করে ‘ফর্ম বি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর রাজ্য এবং আপনার বিধানসভা/সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা সিলেক্ট করতে হবে।

    ৬. পরবর্তী ধাপে মোবাইল নম্বর, ওটিপি এবং আধার নম্বর দিয়ে প্রিভিউ অপশনে ক্লিক করে দেখে নিন সব তথ্য ঠিক দেওয়া হয়েছে কিনা।

    খেয়াল রাখার বিষয়, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্ক করার জন্য ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ, ভোটার কার্ড অথবা এপিক নম্বর এবং আধার নম্বর থাকতে হবে। এর জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখলে ভাল হবে। কোনও রকম সমস্যায় পড়লে ইউআইডিএআই (UIDAI) অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে সোদপুরের বিটি রোডে বিলাসবহুল গাড়িতে গরু পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পাচার হওয়া গরুসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এবার কলকাতার (Salt Lake Kolkata) দুটি জায়গায় গাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে (Salt Lake Kolkata) দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে পাওয়া গেল কয়েক কোটি টাকার মাদক। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে বড় প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজারের বেশি ছোট ছোট প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। সেগুলো শহরেরই নানা জায়গায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে নওডাঙার  অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ মেলে। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন রাখা ছিল। কিছুদিন আগে বিধাননগরের নাওডাঙায় তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোমিন খান ও মেহতাব বিবি নামে ওই দম্পতি ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে বহুমূল্য মাদকের কারবার চালাত। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হত। হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। এই মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর অবধি বিস্তৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃত দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পশুপালনের আড়ালে মাদক তৈরি ও বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাদের কাছ থেকে  প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার শহরে, কোথায় জানেন? Salt Lake Kolkata

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ইএম বাইপাসে (Salt Lake Kolkata) একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে ১২৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের চোখে ধূলো দিতে গাড়ির সিটের নীচে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইমরান বলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্য থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনার একটি জায়গায় গাঁজা পাচার করার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে ধরল পড়ল পাচারকারী। ধৃত ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hindu Navabarsa: আজ হিন্দু নববর্ষের পয়লা! রাজ্যজুড়ে পালন করবে আরএসএস 

    Hindu Navabarsa: আজ হিন্দু নববর্ষের পয়লা! রাজ্যজুড়ে পালন করবে আরএসএস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বা হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, নব সংবতসর অর্থাৎ নববর্ষ শুরু হয় চৈত্রমাসের শুক্লা প্রতিপদ থেকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই তিথির গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অনেক বেশি। বিশ্বাসমতে, আজকের দিনেই সনাতনী সৃষ্টির রচনা হয়েছিল। পুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার প্রকট হয়েছিলেন এই তিথিতেই। আজ মহর্ষি গৌতমের জন্ম জয়ন্তীও বটে। বিশ্বাসমতে, যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেকের দিনও হল চৈত্রমাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি। ঐতিহাসিক দিক থেকে রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজ্য অভিষেকের সূচনা হয়েছিল এই তিথিতেই। বিশ্বাস মতে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের শেষে যে যুগাব্দ গণনা শুরু হয়েছিল তা এই দিনটি থেকেই। এ বার শুরু হতে চলেছে ৫১২৫ যুগাব্দ। আবার ব্রহ্মপুরাণ অনুযায়ী এই দিনেই প্রজাপতি ব্রহ্মা জগৎ সৃষ্টি করেন।

    আরও পড়ুন: ওমান থেকে আটক করে ভারতে আনা হবে মৌলবাদী প্রচারক জাকির নায়েককে

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বাৎসরিক ছ’টি উৎসবের মধ্যে একটি হল হিন্দু নববর্ষ (Hindu Navabarsa)  

     সঙ্ঘ সারা বছরে মোট ছ’টি উৎসব পালন করে। তার মধ্যে অন্যতম এই দিনটি। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের সর্বত্র ‘বর্ষ প্রতিপদ’ উৎসব পালন করবে তারা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মতে , অনেক কারণেই এই বিশেষ তিথি ভারতীয়দের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের জাতীয় পঞ্জিকা অনুসারে বর্ষপ্রতিপদ ভারতীয় নববর্ষের (Hindu Navabarsa) প্রথমদিন হিসাবে মানা হয়। ভারতীয় কালগণনা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। বসন্ত ঋতু প্রাকৃতিক কারণে নবজীবনের বার্তা বয়ে আনে। এই সময় প্রকৃতিও নবরূপ ধারণ করে। তাই এই দিনটিকে সমগ্র মানবজাতির নতুন বছরের প্রথম দিন বলে মনে করা হয়। গোটা দেশেই এই সময়টায় নানা নামে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসাবে পালিত হয়।

    আরও পড়ুন: ‘ছোট কেষ্টগুলোর অন্য ব্যবস্থা করবো, বগটুইতে শহীদ স্মরণে বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Amritpal Singh: রয়েছে আইএসআই যোগ! ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন অমৃতপাল, বলছে পাঞ্জাব পুলিশ

    Amritpal Singh: রয়েছে আইএসআই যোগ! ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন অমৃতপাল, বলছে পাঞ্জাব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গত দু’দিন ধরে পলাতক খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। দুবাই এর ট্রাক চালক, বছর তিরিশের অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) পাঞ্জাবে পাঠানো হয়েছে খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য। তাঁর পিছনে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদত। এমনটাই অভিযোগ রয়েছে এদেশের শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকদের। এরমধ্যেই অমৃতপাল (Amritpal Singh) এবং হরবিন্দর সিং রিন্দার মধ্যে সংযোগ খুঁজে পেয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। সূত্রের খবর, এই হরবিন্দর সিং রিন্দাকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে রয়েছেন বলে খবর। পাঞ্জাব পুলিশের একজন শীর্ষ আধিকারিকের মতে, অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh) বর্তমানে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

    কী বলছেন গোয়েন্দারা?

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh) অন্যান্য খালিস্তানি নেতা এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গেও সংযোগ বজায় রেখে চলছেন। কারণ পাঞ্জাবের কালোদিন ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য আইএসআই-এর। গত কয়েকদিন ধরেই পাঞ্জাব পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। রবিবার তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। বাইকে চেপে তিনি পালিয়ে গেছেন, এমনই অভিযোগ পুলিশের।

    ছদ্মবেশ ধারণ করেছে অমৃতপাল (Amritpal Sing), বক্তব্য পুলিশের

    গত দু’দিন ধরে অমৃতপালকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পাঞ্জাব পুলিশ। তাই তাঁরা মনে করছেন, আত্মগোপন করার জন্য নিশ্চয়ই নিজের চেহারায় কোনও পরিবর্তন এনেছেন তিনি। অর্থাৎ অমৃতপাল ছদ্মবেশ ধারণ করে পালাতে চাইছেন বলেই ধারণা পুলিশের। আর তাই মঙ্গলবার পাঞ্জাব পুলিশ সাতরকম বেশের সাতটি ছবি প্রকাশ করেছেন।

    সেখানে তাঁর পরিচিত চেহারা যেমন রয়েছে, তেমন সম্ভাব্য অন্যান্য রূপও আছে। কোনওটায় অমৃতপালের দাড়ি-গোঁফ কামানো, কোনওটায় আবার পাগড়ি নেই। কোনও বেশে আবার সুন্দর করে দাড়ি-গোঁফ ছাটা। পাঞ্জাব পুলিশ মনে করছে, এধরনেরই কোনও ছদ্মবেশ নিয়ে এখন গা ঢাকা দিয়ে আছেন এই খলিস্তানি নেতা। তাই সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের চোখে সে যাতে ধুলো দিয়ে পালাতে না পারে, তাই চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় এই সাতটি সম্ভাব্য রূপের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ থরে থরে সাজানো ওএমআর (OMR Sheet) শিট! নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে এক গাদা ওএমআর শিট (OMR Sheet)  উদ্ধার করেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই ওএমআর শিটগুলিকে সাজিয়ে ছবি তুলে তা টুইটারে প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, অয়নের বাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও অয়ন শীলের সংস্থার এক ডিরেক্টেরের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট থেকে যে ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet)  পাওয়া গিয়েছে এবং বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত যে নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি অবৈধ নয়। সরকারিভাবে পুরসভার নিয়োগের কাজ করত অয়ন শীলের কোম্পানি। এমনই দাবি ওই ডিরেক্টরের। উল্লেখ্য, যে ওএমআর শিটগুলি পাওয়া গিয়েছে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে, সেগুলি অব্যবহৃত নয়। ইডির টুইট করা ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বরের তথ্যের জায়গা এবং উত্তর মার্ক করার জায়গা, উভয় জায়গাতেই পেনের কালি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিত প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে এত গাদা গাদা ওএমআর শিট কী করছে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অয়ন তদন্তকারী আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছে,  তার সংস্থাকে ওএমআর শিট (OMR Sheet)  তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে।

    অয়নের বাড়িতে কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট ছিল? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,  প্রত্যেকটি ওএমআর শিটই (OMR Sheet)  আসল। অধিকাংশই পুরসভার বিভিন্ন পদের পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) । কোনওটি পিয়ন পদের জন্য। কোনওটি ক্লার্ক অথবা শ্রমিকের চাকরি পরীক্ষার জন্য। প্রত্যেকটিতেই পরীক্ষার্থীদের সই রয়েছে। তবে, সেই সব উত্তরপত্র পরীক্ষার হল থেকে হুগলির প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে কোন পথে এল তা-ই আপাতত খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারাঅয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির এক সম্পূর্ণ অন্য দিক ইডির সামনে উন্মোচিত হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিল ইডি। সোমবার নগর দায়রা আদালতে অয়নের ইডি হেফাজত চেয়ে ইডির আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, এত দিন তাঁরা ভেবে আসছিলেন শুধু স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। তবে, এখন দেখা যাচ্ছে পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম দুর্নীতি হয়েছে।

    অয়নের হাত ধরে রাজ্যে কত পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি তাঁদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট অয়ন টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভার চাকরি ‘বিক্রি’ করতেন।  ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টি পুরসভার নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অয়ন। পরীক্ষার্থীরা শুধু তাঁকে চাহিদা মতো টাকা ধরে দিলেই কাজ হয়ে যেত। কোনও না কোনও ভাবে বদলে যেত ওএমআর শিট। ইডির ধারণা বদলে যাওয়া ওএমআর শিট  (OMR Sheet) পৌঁছে যেত যথাস্থানে। আর আসল ওএমআর শিটগুলিই সম্ভবত চলে আসত অয়নের কাছে। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি থেকে পুরসভার পিওন পদের পরীক্ষার ৫টি আসল ওএমআর শিট, সহকারী পদের দু’টি, শ্রমিক পদের ৬৯টি এবং আরও নানা পদের দু’টি উত্তরপত্র পাওয়া গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে  আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ (Agitation) অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছাড়িয়ে শহরের রাজপথে নেমে তাঁরা আন্দোলনে (Agitation)  সামিল হলেন। সোমবার আসানসোলের রাজপথে ভলভো বাস স্ট্যান্ড থেকে বি এন আর মোড় পর্যন্ত কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন,ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ লেখা পোস্টার নিয়ে রাজপথে বসে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।  এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভিতরের দেওয়ালে উপাচার্য গো ব্যাক লেখা হয়েছিল। এখন প্রশাসনিক ভবনের বাইরের দেওয়ালে তা লেখা হয়েছে। উপাচার্যের চেম্বার বা তাঁর সচিবালয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চরম অচলাবস্থা চলছে।

    উপাচার্যের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর কাজ এখনও অনেক বাকী রয়েছে।  এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকায় উপাচার্য ২৯ লক্ষ টাকা খরচ করে দামী গাড়ি কিনেছেন। ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে টিভি কেনা হয়েছে। এমনকী রেজিস্ট্রারকে শো কজ না করেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। এসব নিয়ে অধ্যাপকরা সরব হন। রেজিস্ট্রারকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করা হয়। কিন্তু, উপাচার্য নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এরপরই অধ্যাপকরা আন্দোলন (Agitation)  শুরু করেন। শুধু তাই নয় দুদিন আগেই অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে ২৪ জন বিভিন্ন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগ পত্র মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনকারী অধ্যাপকদের বক্তব্য, উপাচার্য স্বৈরাচারী। তিনি নিজের মতো করে চলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে তিনি নষ্ট করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে নজর না দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গাড়ি, টিভি কিনতে ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গাছ তিনি বিক্রি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে উপাচার্য কী করেছেন তার কোনও হদিশ নেই। দুটি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যার কোনও তথ্য ফিনান্স অফিসারের কাছে নেই। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। একজন উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য এভাবে অধ্যাপক ও কর্মীদের আন্দোলনের (Agitation)  ঘটনা নিয়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার ভোরে শান্তনু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করেছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED)  তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভা ও দমকলের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তাঁর কাছে থেকে হাজার হাজার প্রার্থীর তথ্য মিলেছে। চাকরি দেওয়ার নামে অয়ন ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ । সোমবারই তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, দুর্নীতি এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই বাঁচাতে পারে বাংলাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য তারা অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে পেয়েছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এত তথ্য মিলেছিল, যাকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার পর ইডির (ED)  বক্তব্য, আমরা সোনার খনির খোঁজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই ব্যক্তির হাত গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। পুরসভার পরীক্ষায় প্রভাব খাটানো হত প্রভাবশালীদের দিয়ে, এমনটাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডির (ED)  তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি এতটা নীচে নেমেছে যে মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের ৬০ টির বেশি পুরসভার নিয়োগে অয়নের ক্ষমতা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি নয়, রাজ্যু জুড়ে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ।

    এদিন আদালতে কী বলেছে ইডি ? ED

     এটা শুধু এসএসসি বা টেটে নিয়োগের দুর্নীতির বিষয় নয়। এই দুর্নীতি রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান খোলা আদালতেই বলে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় অন্তত পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার জন্য ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই অয়ন শীল। ইডি এও বলেছে, সবটা এখানে বলা যাচ্ছে না। কেস ডায়েরিতে সবটা রয়েছে। বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী বলেন, সবটা দেখলে আপনি শিউরে উঠবেন। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে কৃষ্ণনামও শোনা গিয়েছে। আদালত কক্ষে ইডি বলে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমন এখানেও শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ পথ দেখাতে পারবেন না। এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলেছিল ইডি। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, সেই ফোন থেকেই শান্তনু ও অয়নের চ্যাটের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এও জানানো হয়, সেই খনি থেকে দুর্নীতি যোগের মাত্র ১০ শতাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯০ শতাংশ এখনও বাকি।

    কী বলেছেন অয়নের আইনজীবী?

    অয়নের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একজন অভিযুক্তের কথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁক মক্কেলকে, কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল, সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত।  ইডি-র (ED)  পাল্টা প্রশ্ন, স্যর ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ওএমআর শিটে দাগ দেওয়ার অনুমতি ছিল? সরকারের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী । সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে কংগ্রেসের (Congress)  ওই নেতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।  পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য ছিল, কোনও নোটিস না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ কৌস্তভের বাড়ি গেল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি সিআরপিএফের কাছে বিচারক জানতে চান, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আজ, সোমবার সমস্ত রিপোর্টই জমা পড়ে। সেখানেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সিআরপিএফ-নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়।

    কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র? Congress

    কংগ্রেস নেতার বাড়ি সিআরপিএফ মোতায়েন নিয়ে আদালতে শুনানি ছিল। সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়,কৌস্তভের বাড়িতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সিআরপিএফ-এর অফিস থেকে কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির দূরত্ব বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত বলে আদালতে জানায় কেন্দ্র। অন্যদিকে, এদিন আদালতে রিপোর্টও পেশ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পরামর্শ দেন, এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী। মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার।

    গত ৩ মার্চ মধ্যরাতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস (Congress)  নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে কোনওরকম নোটিস ছাড়াই হানা দেয় পুলিশ। ৪ মার্চ সকালে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিনও পেয়ে যান তিনি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা কৌস্তভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Deer: বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল শতাধিক হরিণ! কেন জানেন?

    Deer: বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল শতাধিক হরিণ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গল পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন। ফি বছরই হাজার হাজার পর্যটক এই জঙ্গলে ঘুরতে আসেন। এই জঙ্গলে সাফারি করতে পর্যটকরা অত্যন্ত ভালোবাসেন। এবার জঙ্গলকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতেই উদ্যোগী হয়েছে বন দপ্তর। সোমবারই জঙ্গলে ১০৪টি চিতল হরিণ (Deer) ছাড়া হল। তবে, বন দপ্তরের উদ্যোগে এই জঙ্গলে হরিণ ছাড়ার উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। গত ১৭ ই মার্চ ৮৬ টি চিতল হরিণ (Deer)  ছাড়া হয়েছিল বক্সার জঙ্গলে। বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে হরিণগুলি (Deer)  আনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় ১৯০ টি হরিণ বক্সারের গভীর জঙ্গলে ছাড়ার ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বক্সারকে আরও পর্যটকমুখী করতে চাইছে বন দপ্তর। বক্সার টাইগার রিজার্ভের ডি এফ ডি (ওয়েস্ট) পারভিন কাশোয়ান বলেন, চারটি বড় গাড়িতে করে বল্লভপুর থেকে হরিণগুলি (Deer)  এনে এদিন বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বক্সার।

    বক্সার জঙ্গলে বাঘ ছাড়া নিয়ে জল্পনা কেন? Deer

    বক্সার জঙ্গলে এসে পর্যটকরা গাড়ি করে ঘুরে বেড়ান। ফলে, নানা ধরনের জন্তু, জানোয়ার দেখতে পেলেই তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা। জঙ্গলে হাতি, বাইসন, শুয়োর, শেয়াল, লেপার্ড, ব্ল্যাক প্যান্থার, ভল্লুকের দেখা মিললেও হরিণের (Deer)  খুব বেশি দেখা মিলত না। বলা ভালো, আগে হাতে গোনা কয়েকটি হরিণ ছিল। যা পর্যটকদের কাছে খুব বেশি ধরা দিত না। ফলে, গত তিন বছর ধরে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জঙ্গলে হরিণের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় ৫০০টি  হরিণ এই জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। আর এই এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে আর ১৯০টি হরিণ (Deer)  ছাড়া হল। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি হরিণ (Deer)  জঙ্গলে ছাড়া হল। জঙ্গল জুড়ে তারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যান্য জন্তু, জানোয়ারের সঙ্গে হরিণও এবার পর্যটকদের কাছে আরও বেশি করে ধরা দেবে বলে বন দপ্তরের আধিকারিকদের আশা। তবে, এই জঙ্গলে হরিণসহ অন্যান্য জন্তু থাকলেও গত কয়েক দশক বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়নি। যদিও দুবছর আগে বন দপ্তরের ট্যাপ ক্যামেরায় একটি বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তবে, পরে আর সেই বাঘের কোনও হদিশ মেলেনি। পরবর্তীকালে আসাম থেকে বাঘ নিয়ে এসে এই জঙ্গলে বাঘ ছাড়ার ভাবনাচিন্তা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। যারজন্য গভীর জঙ্গলে কয়েকটি বনবস্তিকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাঘ ছাড়লেই তো হবে না, পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাঘের প্রিয় খাবার হরিণ (Deer) । জঙ্গলে পর্যাপ্ত হরিণ (Deer)  থাকলে বাঘেরাও এই জঙ্গলকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিতে পারে। তবে, কী খুব শীঘ্রই বক্সার জঙ্গলে বাঘ আনা হবে? তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর বারাকপুর। মঙ্গল পান্ডের হাত ধরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়েছিল এই পূন্যভূমিতে। এই সিপাহী বিদ্রোহ ছিল প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন। ঐতিহাসিক শহর বারাকপুরের নিজস্ব কোনও আইকোণ নেই। গত বছরই আগস্ট মাসে বারাকপুর স্টেশনের সামনে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার নিউ টাউনের আদলে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্ববাংলা গেট (Gate) । একইসঙ্গে সেখানে ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বারাকপুর শহরে এসে জায়গা পরিদর্শন করে যান রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কর্তা শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, বারাকপুর ঐতিহাসিক শহর। তাই, এই শহরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে কোথায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে তা খতিয়ে দেখা হয়।

    বারাকপুরের ইতিহাস তুলে ধরতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? Gate

    কয়েক বছর আগে বারাকপুর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje) উত্স্যধারা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে বারাকপুর স্টেশনের সামনে থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত ঘোষ পাড়া রোডের ধারে রেলের যে পাঁচিল রয়েছে, সেই পাঁচিলের দেওয়ালে বারাকপুরের ইতিহাস সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে। রং দিয়ে ছবি এঁকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বিধায়ক কোটার টাকায় এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।  এমনিতেই বারাকপুর স্টেশন থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যেত। যানবাহন চলাচলে চরম সমস্যা হত। কয়েক মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তাটি ঢেলে সংস্কার করা হয়েছে। সঙ্গে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এবার পাঁচিলের দেওয়ালে সুন্দর ছবি এঁকে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হবে। বাইরে থেকে আসা মানুষ এই ছবি দেখেই বারাকপুরের ইতিহাস সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে নিউ টাউনের বিশ্ববাংলার আদলে একটি বিশাল গেট(Gate)  তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে থাকবে ঝুলন্ত রেষ্টুরেন্ট। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের টাকায় এই কাজ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share