Blog

  • Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকালই তিনি ভারতে এসে পৌঁছেছেন। জানা যাচ্ছে প্রথম কোনও প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। ভারতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মিশরের প্রেসিডেন্ট ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi) স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটে লিখেছেন, “ভারতে স্বাগত জানাই প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi)। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আপনার ঐতিহাসিক সফর দেশবাসীর জন্য খুবই খুশির বিষয়। আগামী কাল আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম”।

    কোন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি

    কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি, চারদিনের জন্য ভারত সফরে এসেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকাল সন্ধ্যায় নতুন দিল্লিতে তিনি পা রাখেন। তাঁকে ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর আজকে(বুধবার) রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবদেল ফতেহ আল-সিসির একান্তে বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় মিশরের প্রেসিডেন্টের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে বিশেষ আতিথেয়তার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন।

    আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আবদেল ফতেহ এল-সিসি। মিশরের প্রেসিডেন্ট তো থাকবেনই, তাঁর সঙ্গে মিশরীয় সেনাবাহিনীর একটি  ছোট দলও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

    আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি। এছাড়া ওই দিন ভারতের বেশ কিছু শিল্পপতির সঙ্গেও তাঁর একটি বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাঁর কায়রো ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Michael Madhusudan Dutta: মধুকবির জন্মদিনে তাঁর জীবনকথা জানুন

    Michael Madhusudan Dutta: মধুকবির জন্মদিনে তাঁর জীবনকথা জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মধু কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  আজকের দিনে ১৮২৪ সালে অধুনা বাংলাদেশের যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রাজনারায়ণ দত্ত ও তার প্রথমা পত্নী জাহ্নবী দেবীর একমাত্র সন্তান। কাজী নজরুল ইসলামের মতো তাঁকেও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্রোহী কবি বলা হয়ে থাকে। প্রহসন এবং নাটক লেখাতে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাঙলার নবজাগরণের সময়ে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য সাহিত্যিক।

    শিক্ষাজীবন

    শৈশবে মাতা জাহ্নবী দেবীর কাছেই তিনি রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতি গল্পের ছলে শুনতেন। সাগরদাঁড়িতেই মধুসূদন দত্তের বাল্যকাল অতিবাহিত হয় বলে জানা যায়। তেরো বছর বয়সে মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  যখন কলকাতায় আসেন, তখন তাঁর বয়স ১৩। এরপর তিনি হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। হিন্দু কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডিরোজিওর ভাবনাতেও তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক, প্যারীচরণ সরকার প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তীকালে নিজের নিজের ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিদেশে গিয়ে মহাকবি হওয়াকে তিনি জীবনের লক্ষ্য মেনে নেন। 

    খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ

    ১৮৪৩ সালে রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মধুসূদন (Michael Madhusudan Dutta)  খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এরপর ওই বছরেই ৯ ফেব্রুয়ারি মিশন রো-তে অবস্থিত ওল্ড মিশন চার্চ নামে এক অ্যাংলিক্যান চার্চে গিয়ে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁকে দীক্ষিত করেছিলেন পাদ্রী ডিলট্রি। তখন থেকে মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  পরিচিত হন “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” নামে। জানা যায় পুত্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণে রাজনারায়ণ দত্ত তাঁর বিধর্মী পুত্রকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন।

    কর্মজীবন

     পড়াশোনা শেষ করে মধুকবি (Michael Madhusudan Dutta)  তৎকালীন মাদ্রাজ বর্তমানে চেন্নাইতে চলে যান। কথিত আছে, নিজের পাঠ্যপুস্তক বিক্রি করে সেই টাকায় মাদ্রাজ গিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় খ্রিষ্টানদের সাহায্যে এখানে তিনি একটি স্কুলে ইংরেজি শিক্ষকের চাকরি পান। তখন থেকেই বিভিন্ন ইংরেজি পত্রিকায় লিখতে শুরু করেন মধুকবি। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি দ্য ক্যাপটিভ লেডি নামের প্রথম কাব্যটি রচনা করেন। লেখক হিসাবে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে কবির। 
    মাদ্রাজে থাকাকালীন তিনি রেবেকা ম্যাকটিভিস নামে এক ইংরেজ তরুণীকে বিবাহ করেন। মাদ্রাজ থেকে চলে যাওয়ার আগে রেবেকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর। এরপর কবি ইংল্যান্ডে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ১৮৬০ সালে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে চলে যান। এখানেই এমিলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়া নামে এক ফরাসি তরুণীকে বিবাহ করেন তিনি। বিদেশে গিয়ে নিদারুণ দারিদ্রে দিন কাটতে থাকে তাঁর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় তিনি আইন পড়া শেষ করে ভারতে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন । এমত অবস্থায় বন্ধু গৌরদাস বসাককে মধু কবি দ্য ক্যাপটিভ লেডি উপহার পাঠান, গৌরদাস সেটিকে বেথুন সাহেবের কাছে উপহার হিসেবে পাঠান। অভিভূত বেথুন সাহেব মধু কবিকে চিঠি লিখে দেশে ফিরে আসতে বলেন এবং বাংলায় সাহিত্য রচনা করতে পরামর্শ দেন। ১৮৫৬ সালে মধুসূদন (Michael Madhusudan Dutta)  কলকাতায় ফিরে আসেন। এইসময়ই তিনি লেখেন,

    হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;–
    তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
    পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
    পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
    কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি!
    অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ,
    মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;–
    কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!

    স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে, —
    “ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,
    এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
    যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যারে ফিরি ঘরে।”
    পালিলাম আজ্ঞা সুখে’ পাইলাম কালে
    মাতৃভাষা-রূপ খনি, পূর্ণ মণিজালে‍‍‍‍‍‍‍‍‍‌‌‌।। 

    উল্লেখযোগ্য রচনা

    ১৮৬০ সালে তিনি রচনা করেন দুটি প্রহসন, ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং একটি নাটক ‘পদ্মাবতী’। ওই বছরেই তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখেন ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্য। এরপর একে একে তিনি রচনা করেন ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ (১৮৬১) ‘ব্রজাঙ্গনা’ কাব্য (১৮৬১), ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক (১৮৬১), ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতা (১৮৬৬)।

    ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সমাধিস্থলে লেখা রয়েছে,

    ‘দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
    বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধি স্থলে
    (জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
    বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত
    দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!
    যশোরে সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ-তীরে
    জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
    রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • টাকা দেয়নি পাকিস্তান! তেল সরবরাহ বন্ধ করল সংস্থাগুলি  

    টাকা দেয়নি পাকিস্তান! তেল সরবরাহ বন্ধ করল সংস্থাগুলি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেল সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। রাজধানী ইসলামাবাদ সমেত বেশ কিছু শহরে পেট্রোল পাম্পগুলিতে বাইক এবং অন্যান্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একথা জানা যাচ্ছে সেদেশের কিছু জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার সূত্রে। যেমন ডন পত্রিকা জানাচ্ছে, তেল কোম্পানিগুলি হঠাৎ করেই তাদের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে যার ফলে শুরু হয়েছে এই সংকট।
    পাকিস্তানের (Pakistan) পেট্রোলপাম্পের মালিকরা বলছেন, তেল কোম্পানিগুলিকে টাকা দিতে দেরী হয় অনেকটাই, এর জন্য বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিই দায়ী।
    পেশোয়ারের গাড়ির চালকরা বলছেন, শহরের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প এদিন বন্ধ ছিল, ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে গাড়ির চালকদের। শুধুমাত্র পাকিস্তানের সরকারি পেট্রোল পাম্পগুলি খোলা ছিল, সেখানে অজস্র গাড়ি, বাইক, ডাম্পার সব কিছুর ভিড় করে। একইকথা বলেছেন অপর একজন মোটর বাইক চালক তাঁর মন্তব্য ছাপা হয়েছে ডন পত্রিকায়। ওই মোটর বাইক চালক বলছেন, ” আমাকে আধঘন্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আমার পিছনে ওই সময়ের মধ্যে ২০টিরও বেশি বাইক এসে দাঁড়িয়ে পড়ে”। ফকিরাবাদের কাছে  অপর একটি পেট্রোল পাম্পে অনেককে ১ ঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বাইক চালক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মানসেহরা জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলি সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পেট্রোল না থাকার কারণে।

    পেট্রোল পাম্প সংগঠনের চেয়ারম্যান কী বলছেন

    সরহদ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড কার্টেজ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদের ডন পত্রিকায় বলেছেন, “টাকা দিতে দেরী হওয়ার কারণেই তেল সংস্থাগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানি, এরফলে অনেক পেট্রোলপাম্পে তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তবে আশা করছি পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে”। পেট্রোল পাম্প সংগঠনের চেয়ারম্যান যাই বলুক অন্য কথা শোনাচ্ছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। এই সপ্তাহের রিপোর্টে তারা বলছে  যে পাকিস্তানে গ্যাস এবং তেল সংকট ফেব্রুয়ারিতে আরও খারাপ হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

     

  • RSS: নেতাজী স্মরণে শহীদ মিনারে কী বললেন সঙ্ঘপ্রধান 

    RSS: নেতাজী স্মরণে শহীদ মিনারে কী বললেন সঙ্ঘপ্রধান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে বক্তব্য রাখলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। বেশ কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে রয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় সঙ্ঘের (RSS) নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন শহীদ মিনারে নেতাজী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মোহন ভাগবত তাঁর ভাষণে বলেন, ” আমরা প্রত্যেকেই কারও না কারও হাত ধরে সঙ্ঘে এসেছি। সমাজ গঠনের একটা ব্রত পালন করতেই আমাদের সঙ্ঘে আসা। এই জীবন ব্রত পালন করার সময় সমাজের জন্য, দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণ করা এবং সেই আদর্শকে জীবনে পালন করা আমাদের কর্তব্য”। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নেতাজীর ভ্রাতুষ্পুত্র অর্ধেন্দু বসু। তিনি মুম্বই নিবাসী। জানা গেছে সকাল ৯ টা নাগাদ এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঙ্ঘের (RSS) প্রাত্যহিক শাখার মতোই সকল অনুষ্ঠান হয় এদিন শহীদ মিনারে। প্রত্যেক স্বয়ংসেবকই তাঁদের নিজেদের সংগঠনের পোশাকেই হাজির ছিলেন এদিন। সাদা জামা, খাকি প্যান্টে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। 
    সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এদিন আরও বলেন, “দেশগৌরব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করার কাজ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) প্রথম করছেনা। প্রতি বছরই কলকাতাতে সঙ্ঘ নেতাজীকে স্মরণ করতে নানা ছোটবড় অনুষ্ঠান করে থাকে। কোনওবছর শাখাতে ছোট করে হয় তো কোনওবছর সড়কে পদযাত্রা। কিন্তু নেতাজী স্মরণ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অন্যতম একটি প্রধান কর্মসূচী। এর আগেও নেতাজী জয়ন্তীতে কলকাতায় আমি হাজির থেকেছি”।
    সঙ্ঘ প্রধানের মতে, সঙ্ঘ (RSS) আজ সারা দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে, তাই সংগঠনের নানা কর্মসূচী আজ সমস্ত স্তরের মানুষ জানতে পারছে। কিন্তু যখন সঙ্ঘ ছোট আকারে ছিল তখনও এমন অনুষ্ঠান করা হত। যাঁদের ত্যাগ তপস্যার ওপর দেশ সমাজ দাঁড়িয়ে আছে, সঙ্ঘ (RSS) তাঁদের প্রণাম জানায়।

    সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন সঙ্ঘপ্রধান

    এদিন শহীদ মিনারে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন মোহন ভাগবত। তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ দিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে। সঙ্ঘ প্রধান বলেন, ” নেতাজী বলতেন নতুন ভারতের ভিত নির্মাণ করতে পারবে আদর্শবান ব্যক্তিরাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আদর্শবান ব্যক্তিরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তবেই গড়ে উঠবে নতুন ভারত। নেতাজীর এই কথাই তো সঙ্ঘ বলে আসছে এতদিন যাবৎ। সঙ্ঘের যে কোনও কর্মীকে জিজ্ঞাসা করুন, সঙ্ঘের কাজ সম্পর্কে , উত্তর পাবেন ব্যক্তি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ। অনেকে বলেন সঙ্ঘের শাখায় কী হয়? শাখা করে কী হবে? এভাবেই তো মানুষ তৈরি হবে। যেমনটা নেতাজী চেয়েছিলেন। শাখাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়, শারীরিক অনুশীলন করানো হয়। শাখার রীতিই হল একসঙ্গে চলা, একসঙ্গে বলা একসঙ্গে হাত ওপর নিচে করা। এতেই তো তৈরি হয় একতা। এটাই তো সামুহিকতা”। সঙ্ঘপ্রধান আরও বলেন, নেতাজী বলতেন এদেশে একা একা সাধনা অনেক হয়েছে, এবার দরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশমাতৃকার সাধনা। মাতৃভূমির সাধনা ছাড়া সবকিছুই বৃথা। সঙ্ঘপ্রধানের মতে, শুধুমাত্র নিজেদের সংগঠন মজবুত করতেই সঙ্ঘ কাজ করেনা। সঙ্ঘের কাজ হল পুরো সমাজকেই সংগঠিত করা। ঐক্যবদ্ধ করা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অভ্যাস তাই আমাদের শিখতে হবে।

     

      
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Netaji: নেতাজী জয়ন্তীতে জানুন তাঁর কিছু স্মরণীয় উক্তি 

    Netaji: নেতাজী জয়ন্তীতে জানুন তাঁর কিছু স্মরণীয় উক্তি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নেতাজী (Netaji) জয়ন্তী। ১৮৯৭ সালে আজকের দিনেই তিনি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইতিমধ্যে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji) জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসব নেতাজী সুভাষ বসুর (Netaji) জন্মদিন থেকেই আয়োজন করা হয়েছিল এবং পরপর তিনদিন তা চলেছিল।

    আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, কেন জানেন?

    ১৯৪০ সাল পর্যন্ত ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৭ই জানুয়ারি ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বের হন। এক কঠিন সংকল্প!যে কোনও মূল্যে মাতৃভূমির শৃঙ্খল মোচন করতেই হবে। বাইরে থেকে আঘাত করতে হবে অত্যাচারী ব্রিটিশকে। দেশের সীমানা ত্যাগ করেন ২৬ জানুয়ারি। তারপর জার্মানি সেখান থেকে সাবমেরিনে জাপান। দায়িত্ব নেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর। ১৯৪৩ সালে তৈরি করেন আজাদ হিন্দ সরকার। জাপান, জার্মানি , ইতালি সমেত মোট ৮টি দেশ স্বীকৃতি দেয় এই সরকারকে। তাঁর বাহিনীর ভারত ভূখন্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে নেতাজী (Netaji) ওই দ্বীপের নতুন নাম শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ।  
     

    নেতাজী সুভাষ বসুর (Netaji) কিছু স্মরণীয় উক্তি আজকে আমরা জানবো

     

    একজন আদর্শ সৈনিকের সামরিক প্রশিক্ষণ যেমন প্রয়োজন তেমনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।

    স্বাধীনতা কেউ কাউকে দেয় না তা ছিনিয়ে নিতে হয়।

    টাকা এবং যেকোনও সম্পদের দ্বারা কখনও স্বাধীনতা আসেনা। স্বাধীনতা আসে সাহসিকতা, শক্তি এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের মধ্য দিয়ে।

    জাতীয়তাবাদের আদর্শ হল তিনটি সত্যম, শিবম, সুন্দরম।

     রক্তমূল্য ছাড়া কখনও স্বাধীনতা আসে না, তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।

    আরও পড়ুন: ‘রিয়েল লাইফ হিরো’কে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর, ২১ দ্বীপের নামকরণ পরমবীর প্রাপকদের নামে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sital Sasthi: শীতল ষষ্ঠীর দিন গোটা সেদ্ধ কেন খেতে হয় জানেন?

    Sital Sasthi: শীতল ষষ্ঠীর দিন গোটা সেদ্ধ কেন খেতে হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর ১টা দিন বাকি, তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে সরস্বতী পুজোর আরাধনায়। অল্পবয়সী ছেলেদের দেখা যাবে পাঞ্জাবি পাজামার সাজে, মেয়েরা পড়বে শাড়ি। স্কুল, কলেজ সমেত যেকোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকলের সঙ্গে পাত পেড়ে খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহন! এটাইতো সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজো বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এর ঠিক পরের দিন হয় ষষ্ঠী। বাঙালি বাড়িতে এদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতি দেখা যায়। শীতল ষষ্ঠীর (Sital Sasthi) ব্রত পালন করেন বাঙালি মহিলারা। ব্রত পালনের পর সন্তানদের মঙ্গল কামনায় হলুদ আর দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে দেন মায়েরা। শীতল ষষ্ঠী গ্রাম বাংলার চলতি ভাষায় শেতলা ষষ্ঠী (Sital Sasthi) নামেও পরিচিত। বছরভর বাঙালি বাড়িতে বিভিন্ন ষষ্ঠী পুজোর মধ্যে অন্যতম হল শীতল ষষ্ঠী (Sital Sasthi)।

    এদিন গোটা সেদ্ধ কেন খাওয়া হয়

    শীতল ষষ্ঠীর (Sital Sasthi) দিন বাঙালি বাড়িতে উনুন জ্বলেনা। মানে এখনকার দিনে গ্যাস ওভেন। বাঙালি বাড়িতে এদিন অরন্ধন পালিত হয়। অনেকে মনে করেন, শীতল খাদ্য গ্রহণের রীতির পিছনে রয়েছে  বিজ্ঞানসম্মত এবং সামাজিক ব্যাখ্যা। বসন্ত পঞ্চমী সাধারণত হয় শীত ও বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে। এ সময় শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই এইদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতি রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। 

    এই গোটা সেদ্ধর মধ্যে কী কী থাকে ?

    গোটা মুগ, বকড়াই, গোটা শিম, গোটা আলু, রাঙা আলু, কুলিবেগুন, কড়াইশুঁটি, পালংশাক। এগুলি লবণ আর লঙ্কা দিয়ে সেদ্ধ করা হয়ে থাকে। অনেকে এর মধ্যে গোটা মশলা দেন তবে বেশিরভাগই কোনও মশলা না দিয়েই গোটাসেদ্ধ তৈরি করেন।  সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে  ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো হয়। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো করার পরে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়াতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

  • Chemptherapy: কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে আসছে নতুন ইঞ্জেকশন

    Chemptherapy: কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে আসছে নতুন ইঞ্জেকশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্লিনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল এর সৌজন্যে নতুন এক ইনজেকশন বাজারে আসতে চলেছে, এরফলে কেমোথেরাপির (Chemptherapy) যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন বমিবমি ভাব এইগুলি দূর হবে বলে দাবি ওই সংস্থার। ইনজেকশনটি বাজারে খুব তাড়াতাড়ি কেমোথেরাপি রোগীদের জন্য এবার থেকে উপলব্ধ হবে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে, এমনটাই জানা গেছে। এ বিষয়ে জানা গেছে গ্লিনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে একটি সুইস বায়োফার্ম কোম্পানির।

    আরও পড়ুন: নাক বন্ধ? হতে পারে করোনা! নতুন কোভিড উপসর্গগুলো জানেন?

    ইঞ্জেকশনটি কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি

    সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে Akynzeo নামের এই ইনজেকশনটি হল fosnetupitant (235 mg) এবং palonosetron (0.25 mg) এর কম্বিনেশন, এটি কেমোথেরাপির ঠিক ৩০ মিনিট আগে প্রয়োগ করা হবে। ইউরোপ মহাদেশে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে এবং অস্ট্রেলিয়াতে ভালোভাবেই প্রচলিত রয়েছে এই ইঞ্জেকশন।

    প্রস্তুতকারক সংস্থা কী বলছে

    গ্লিনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অলোক মালিক বলেন, আমাদের সংস্থা গ্লিনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল ক্যান্সারের রোগীদের যত্ন এবং ক্যান্সার চিকিৎসকদের সাহায্য করার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছে। কেমোথেরাপির (Chemptherapy)  বমি বমি ভাব সহ বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবার থেকে দূর হবে বলে আশা করছি  Akynzeo IV এর আগমনের ফলে। হলে একটি সুবিধা জনক ভালো ডোজ।

     অন্যদিকে যে সুইস বায়ো ফার্মা কোম্পানির সঙ্গে গ্লিনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালের চুক্তি হয়েছে, সেই হেলসিং গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জর্জিও ক্যালদেরারি বলেন, ভারতবর্ষের ক্যান্সারে চিকিৎসায় Akynzeo IV একটি বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। ক্যান্সার নিয়ে বাঁচছেন যাঁরা তাঁদের জন্য নতুন দিন আনবে এই ইঞ্জেকশন, এটাই আমাদের ধারণা। পৃথিবীব্যাপী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

    আমাদের দেশে সর্বশেষ ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের তরফ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে  তাতে দেখা যাচ্ছে দেশে ক্যান্সারের রোগী ২০২৫ সালের মধ্যে ১২.৮% বৃদ্ধি পাবে। 

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Polygamy: বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করল 

    Polygamy: বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের বহুবিবাহ প্রথা (Polygamy) এবং নিকাহ হালাল কী ভারতবর্ষের সংবিধান স্বীকৃত? আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ৫ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করার কথা জানান। জানা যাচ্ছে পূর্ববর্তী ৫ সদস্যের যে বেঞ্চ ছিল তাদের মধ্যে ২ সদস্য বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত অবসর গ্রহণ করেছেন। তাই শীর্ষ আদালতে নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বর্ষিয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। 

    গত বছরের ৩০ অগাস্ট ৫ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয়। বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া।

    পিটিশন দাখিল কারা করেছিল

    এই পিটিশন দাখিল করা করেছিলেন বেশ কয়েকজন মুসলিম মহিলা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন নায়েসা হাসান, শবনম, ফারজানা, সামিনা বেগম সমেত বাকিরা। এগিয়ে এসেছিল কিছু এনজিও এবং সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।

    পিটিশনে কী বলা হয়েছে

    এই পিটিশন অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বা শরীয়তের ২ নম্বর ধারাকে, মুসলিম পার্সোনাল ল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭ অনুযায়ী এখানে বহুবিবাহের কথা বলা হয়েছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় তখন দাবি জানিয়েছিলেন যে তিন তালাকের মতোই শরীয়ত আইনের ২ নম্বর ধারাকে অসংবিধানিক ঘোষণা করা হোক। কারণ এগুলি ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ নম্বর ধারায় যথাক্রমে, সমতার অধিকার, কোনও রকম বৈষম্য না করার অধিকার এবং জীবন ও মর্যাদার অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় আরও বলেছেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এরকম বহুবিবাহ অবৈধ, ৭ বছর অবধি জেল পর্যন্ত হতে পারে এই অপরাধে। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল যে তিন তালাক অসাংবিধানিক কারণ এটি মুসলিম মহিলাদের অধিকারের বিপক্ষে যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Mauni Amavasya: মৌনি অমাবস্যার পুণ্যস্নানে রেকর্ড ভিড় প্রয়াগরাজে   

    Mauni Amavasya: মৌনি অমাবস্যার পুণ্যস্নানে রেকর্ড ভিড় প্রয়াগরাজে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনি অমাবস্যায় (Mauni Amavasya) প্রয়াগরাজে রেকর্ড সংখ্যক ভক্তের ভিড় দেখা গেল শনিবার। উত্তরপ্রদেশের সরকার সূত্রে জানা গেছে এদিন প্রায় ২ কোটি পুণার্থী মোক্ষপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন। এদিন তাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে সমস্ত খুঁটিনাটি ব্যবস্থাই করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।  একমাস ব্যাপী মাঘ মেলা চলে প্রয়াগরাজে। মৌনি অমাবস্যার (Mauni Amavasya) দিনে পবিত্র এই স্নান প্রতিবছরই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। পুণ্য স্নানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এদিন হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশাসন। 

    দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কী বললেন

    মাঘ মেলার দায়িত্বে থাকা অন্যতম প্রশাসনিক আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহান এদিন বলেন মৌনি অমাবস্যার (Mauni Amavasya) এই বিশেষ তিথিতে ২কোটির বেশি ভক্ত পবিত্র স্নান করেছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে ভক্তদের উপর ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করা হয়েছে দর্শনার্থীদের ওপর। পুণ্যস্নান যাঁরা করতে এসেছিলেন তাঁদের সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন প্রত্যেকটি ঘাটে জলের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল এবং সমগ্র মেলাতেও চলছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি।

    মৌনি অমাবস্যা (Mauni Amavasya) কেন এত পবিত্র

     মৌনি অমাবস্যা (Mauni Amavasya) হিন্দু ধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র দিন মানা হয়, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এটি মাঘ মাসে পড়ে। এই দিনে মৌনব্রত পালন করে আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগ স্থাপন করতে চান ভক্তরা। তাঁদের বিশ্বাস রয়েছে এই পবিত্র দিনে নদীর জল অমৃতে পরিণত হয়। তাই ভক্তরা পুণ্যস্নান করে জীবনে অমৃতের সংস্পর্শ পেতে চান।

    হিন্দু বিভিন্ন পুরাণ অনুযায়ী এই মৌনি অমাবস্যাতে (Mauni Amavasya) ঋষি মনুর জন্ম হয়েছিল। এবং এদিন থেকেই দ্বাপর যুগের শুরু হয়েছিল। এদিন নিঃশব্দ থাকার বিধান রয়েছে হিন্দু ধর্মে এবং সারাদিন উপবাস রেখে পুণ্যস্নান করে ভক্তরা ধ্যানে বসেন। বিশ্বাসমতে, পবিত্র এই তিথিতে দান ধ্যান করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে। ভক্তদের আরও বিশ্বাস রয়েছে এই দিন সমস্ত নদীসহ গঙ্গার জল বিশেষ পবিত্র হয়ে ওঠে এবং তা অমৃতসম হয়ে ওঠে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেতে চলেছে অসম পিরামিড

    Assam: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেতে চলেছে অসম পিরামিড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় যেতে পিছনে ফেলতে হত দেশের ৫২টি প্রস্তাবকে। শেষমেষ অবধি সবকিছুকে পিছনে ফেলে জিতল অসমের (Assam) পিরামিড। জানা গেছে চলতি বছরে ইউনেস্কোর সামনে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের,  তালিকায় নাম তোলার জন্য ভারত থেকে একমাত্র নাম যাচ্ছে চরাইদেও-য়ে থাকা মৈদামের, একথা জানিয়েছেন অসমের (Assam)  মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং বেছেছেন অসমের পিরামিডকে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আসার কথা রয়েছে ইউনেস্কোর টিমের এবং আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ ঘোষণা করা হবে এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে।

    অসম (Assam)  পিরামিড কী

     আহোম রাজত্বে রাজাদের মৃত্যু হলে প্রাচীন মিশরীয় পিরামিডের ধাঁচে তাঁদের প্রিয় জিনিসপত্রকে সঙ্গে দিয়ে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত এরপর সমাধির উপরে তৈরি করা হত পাথর-মাটির ঢিপি, এগুলিকেই বলা হয় অসম (Assam)  পিরামিড। পিরামিডের ভিতরে ঢোকার সুড়ঙ্গও থাকত। এগুলিকে বলা হত মৈদাম। জানা যাচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৯০০ সাল অবধি চলেছিল আহোম রাজত্ব। এই আমলের ৩৮৬টি মৈদাম এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ৯০টির রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। 

    অসম পিরামিডকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় আনতে ২০১৪ সাল থেকেই চলছে প্রচেষ্টা

    ২০১৪ সাল থেকেই মৈদামগুলিকে ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলছিল বলে জানিয়েছেন অসমের (Assam)  মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, ” শেষ পর্যন্ত আমাদের এতদিনের প্রচেষ্টা সফল হল। দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে একথা জানিয়েছেন। এর পরে ইউনেস্কোর সদস্যেরা মৈদাম দেখতে আসবেন।  চড়াইদেও সরাসরি স্বীকৃতি পাবে অথবা ইউনেস্কো নতুন কিছু সুপারিশ বা শর্ত দিতে পারে। প্রসঙ্গত  মৈদাম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে প্রবেশ করলে হলে কাজিরাঙা, মানসের পরে এটি  অসমের (Assam)  তৃতীয় হেরিটেজ সাইট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share