Blog

  • Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে আবার দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই দিল্লি হাই কোর্টে উঠবে অনুব্রতের মামলা। গরু পাচার মামলা ও অর্থ তছরুপের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করে ইডি। তবে তা ঠেকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সেই মামলার শুনানিও ১ ডিসেম্বর।

    আবারও দিল্লি যাত্রা সুকন্যার

    চলতি মাসের শুরুতেই সুকন্যাকে পর পর তিন দিন দফায় দফায় দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। গত ৪ নভেম্বর শেষ বার ইডির দফতরে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও তদন্তকারীদের কাছে তিনি ঠিক কী বলেছেন, তা সবিস্তারে জানাননি তিনি। আবারও রাজধানীতে তাঁকে কেন তলব করা হল ইডি সূত্রে তা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে  তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের আগে সুকন্যার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকার মতো। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার আয় বেড়েছে তাঁর। গত দু’বছরে সুকন্যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বোলপুরে ‘ভোলে ব্যোম’ নামে একটি চালকলের যৌথ মালিকানা রয়েছে সুকন্যার। দু’টি সংস্থারই ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    লটারি দুর্নীতি

    সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে তদন্ত চলছে জোরকদমে।   তদন্ততে উঠে এসেছে, গত চার বছরে অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সুকন্যা, তাঁদের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। বীরভূমের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে  ইতিমধ্যেই তিন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। বুধবারও বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখার আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা একটি কুকুরকে লাঠি হাতে মারছে চার যুবক(Cruelty Against Animals)। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে এমনই অমানবিক দৃশ্য দেখল পুরো দেশ। গুরুতর ভাবে আহত ঐ সারমেয়টির মৃত্যু হয়েছে। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ। প্রায় ২৫ জন মিলে এই কুকুরটির উপর হামলা চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর(Cruelty Against Animals)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পশুপ্রেমীরা।নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে,কুকুরটি দিনরাত চিৎকার করত,এতে নাকি তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে,বেসবলের ব্যাট,লাঠি,লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে কুকুরটিকে আঘাত করছে অভিযুক্তরা। 

    পুলিশের এফআইআর কী বলছে

    পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, প্রায় ২৫ জন মিলে একটি গর্ভবতী কুকুরের উপর অত্যাচার চালিয়েছে(Cruelty Against Animals)। তারা সকলে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির ডন বস্কো টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া ও কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে একটি টিনের শেড দেওয়া ঘর রয়েছে। সেখানে ওই ভীত, সন্ত্রস্ত গর্ভবতী কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক ছাত্র রড হাতে ওই টিনের ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে থেকেই উল্লাস করছিল। সেখানে এক ব্যক্তিকে এও বলতে শোনা যায়, ‘মারো ওকে’(Cruelty Against Animals)।

    সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া

    তবে কুকুরটিকে মেরেই শান্ত হয়নি ওই ২৫ জনের দল। মৃত, রক্তাক্ত কুকুরের দেহ টেনে হেঁচড়াতে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে(Cruelty Against Animals)। এই গোটা ঘটনার ১৫ মিনিটের একটি  ভিডিয়ো শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।  সমাজকর্মীরা এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের জন্য সরব হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সব পড়ুয়াদের বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্মীরাও জড়িত থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

    পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক…

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নবান্ন” (Nabanna) শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। গ্রাম বাংলায় শব্দটি যে খুবই জনপ্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাইতো রাজ্য সরকার পরিচালনার ভবনের নাম নবান্ন। আবার বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের সৌজন্যে খবরের শিরোনামে প্রায়ই দেখা যায় নবান্ন অভিযান। গ্রাম বাংলার লোকাচার,  নবান্নতে (Nabanna) সাধারণত পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। হিন্দুশাস্ত্র তৈত্তিরীয়োপনিষদের ব্রহ্মানন্দবল্লীতে জীবদেহের পঞ্চকোষের উল্লেখ আছে। তার মধ্যে প্রধান হল অন্নময় কোষ। আমাদের এই স্থূল শরীরকেই বলা হয়েছে অন্নকোষ। বৃহদারণ্যকে বলা হচ্ছে, “অন্নে হীমানি সর্বাণি ভূতাণি বিষ্টানি”। সমস্ত চরাচর জগত এই অন্নেই প্রতিষ্ঠিত। অন্ন এবং প্রাণই ব্রহ্ম। আর ধান শুধু কৃষকের নয়, আপামর বাঙালির কাছে পূজিতা লক্ষ্মীর প্রতীক রূপে। কার্তিকের সংক্রান্তির দিন মাঠের ঈশান কোণ থেকে নতুন ধান মুঠো করে আনা হয় কৃষকের গৃহে, এই রীতি বহু প্রাচীন। অঘ্রাহায়ণের শুভদিনে ধান সম্পূর্ণ পেকে গেলে হয় নবান্ন উৎসব। এই দিন গৃহদেবতাকে নতুন ধানের চাল কুটে পায়েস বানিয়ে নিবেদন করা হয়। পিঠাপুলিও হয় কোথাও কোথাও। ধানের গোলা, মড়াই ঘিরে আলপনা দেওয়া হয়। তারপর সেই অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করা হয়। যে-কোনও শস্যই আগে ইষ্ট বা গৃহদেবতাকে নিবেদন করার রীতি আছে বাংলায়। আর ধান তো প্রধান শস্য আমাদের। যাইহোক, আগে নবান্নের (Nabanna) পরেই ধান কাটার রীতি ছিল। পৌষে পৌষলক্ষ্মী ভরা ধান্যে অধিষ্ঠান করেন, এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: শিব-পার্বতীর পুত্র কীভাবে হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক, জেনে নিন সেই গল্প

     গ্রাম বাংলায় কী কী হয় নবান্ন (Nabanna) উৎসবের দিন ? 

    এই সময়কালে গ্রামবাংলায় বড়ি দেওয়ার আচারও দেখা যায় কোথাও কোথাও। যেমন মেদিনীপুরের গয়না বড়ি খুবই বিখ্যাত। কর্তাবড়ি আর গিন্নিবড়ি বানিয়ে তেল-সিঁদুর, ধান-দুর্বা দিয়ে মায়েরা পূজা করেন। এছাড়াও আগেকার দিনে বিভিন্ন জিনিস ‘জিইয়ে’ রাখা হত এই সময়। কচি বাধাকপি, আমলকি, মাছ এবং আরও নানান জিনিস এই সময় নুন দিয়ে জারিয়ে জল বের করে শুকিয়ে শিকেয় তুলে রাখা হত। ভক্তদের বিশ্বাস,দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করলে কখনও অন্নের অভাব হয়না। নবান্ন উৎসবে নতুন গুড় সহ নতুন চালের তৈরি খাবার বানিয়ে কলাপাতায় করে খাওয়ার রীতি দেখা যায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয় এবং সেই সঙ্গে কাক-কে দেওয়া হয় ওই চাল মাখা। এটি একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোক বিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য পূর্ব-পুরুষদের কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে “কাকবলী”। 
    অগ্রহায়ণ মাস এলেই মাঠজুড়ে ধানকাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ধান ভাঙার গান ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে, এখন অবশ্য যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় ঢেঁকিতে ধান ভানার শব্দ খুব একটা শোনা যায় না। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ঢেঁকি ছাঁটা চাল দিয়েই হতো ভাত খাওয়া। খড়ের পালা, মাটির বাড়িতে গোবরের গোলা দিয়ে নিকানো উঠান,  তারমাঝে আল্পনা! নবান্ন (Nabanna) উৎসবে প্রতিটি গ্রামে এ যেন চেনা দৃশ্য। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছুই বদলেছে। তার পরও নতুন চালের ভাত নানা ব্যঞ্জনে মুখে দেয়া হয় আনন্দঘন পরিবেশ। তৈরি করা হয় ক্ষীর- পায়েসসহ নানা উপাদান।

    কবিতায় নবান্ন (Nabanna)

    নবান্ন নিয়ে অনেক কবিতা, গল্প,নাটক ইত্যাদি রয়েছে। বিভিন্ন সাহিত্যিকের লেখায় উঠে এসেছে বাংলার গ্রামীণ চিত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ”ঘ্রাণেভরা অঘ্রাণে শুভ নবান্ন (Nabanna)।” কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ভাবনায় “ক্ষমাকর সখা বন্ধ করিনু তুচ্ছ ধানের গল্প।”  কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছে এই “নবান্ন”,

    “আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে,এই বাংলায়

    মানুষ নয়, হয়তো বা শঙ্কচিল শালিখের বেশে,

    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের (Nabanna) দেশে”।

    নবান্ন উৎসবের সাথে মিশে আছে বাঙালিয়ানার হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির নানা বর্ণময় দিক। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। তৈরি হয় এক সামাজিক মেলবন্ধন। নবান্ন উৎসবে গ্রামগঞ্জে আয়োজন করা হয় অন্নপূর্ণা পুজো । শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সমস্ত বয়সের মানুষজন এই উৎসবে মাতে। এখন আর শুধু গ্রামেই নয়, শহরের মানুষও এখন নবান্নের স্বাদ নিয়ে থাকে। এই নবান্ন চাল বাটা, নারকেল কোরা, নলেন গুড়, ফলের কুচি, সন্দেশ মাখা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়। এসব উপকরণগুলিকে সামান্য দুধের সঙ্গে  ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি হয় নবান্ন । হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষরা অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুযায়ী নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়। বাঙালির আপন উৎসব নবান্ন (Nabanna)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসার’ একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।

    বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।

    চিনের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার কী বলছেন ?

    চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।

    মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির (Jamaat E Islami) ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওই সব সম্পত্তি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবারই ওই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকের অর্ডার পেয়ে স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সির অনুমোদন পাওয়ার পর দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলায় জামাত-ই-ইসলামির ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সি…

    স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সিই (SIA) প্রথম আবিষ্কার করে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, আজ অনন্তনাগ জেলার এগারোটি জায়গায় ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিন যেসব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বসত বাড়ি, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, ফলের বাগান এবং জমি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রোধে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জামাত-ই-ইসলামির এই সব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat E Islami) সংগঠনের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অনেকের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু ডজনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। মাস কয়েক আগে ভূস্বর্গে জামাত-ই-ইসলামির (Jamat-e-Islami) সঙ্গে সম্পর্কিত ফালাহ-ই-আম (Falah-e-Aam) ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত সব স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মুখ্য সচিব বি কে সিং বলেছিলেন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে সমস্ত শিক্ষাক্রম অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সরকারের তরফে তখন জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছিল, এই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পাঠরত সব শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য কাছাকাছি সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে হবে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২টি স্কুল ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। এসব ছাড়াও আরও ডজনখানেক প্রাথমিক ও মধ্যমস্তরের স্কুল ছিল তাদের। সব মিলিয়ে প্রায় ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DY Chandrachud: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?  

    DY Chandrachud: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার জুডিসিয়াল অফিসাররা সাব-অর্ডিনেট জাজ নন। সোমবার এমনই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    এটা আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন…

    দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দিন কয়েক শপথ নেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তাঁর আগে এই পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত (UU Lalit)। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতই সুপারিশ করে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম। পরে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর মেলায় প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার, ১৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। ওই অনুষ্ঠানেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, জেলার জুডিসিয়াল অফিসাররা সাব-অর্ডিনেট জাজ নন। ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন। হাইকোর্টের জাজরা উপস্থিত থাকলে সাধারণত জেলা কোর্টের জাজরা দাঁড়িয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই রীতিই চলে আসছে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন।  

    সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি মনে করি আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি সাব-অর্ডিনেশনের সংস্কৃতি লালন পালন করে আসছি। আমরা আমাদের ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারিকে সাব-অর্ডিনেট জুডিসিয়ারি বলে উল্লেখ করি। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি জেলা জাজদের আর আমরা সাব-অর্ডিনেট জাজ বলে ডাকব না। কারণ তাঁরা সাব-অর্ডিনেট নন। তাঁরা আসেন ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন বলেও জানান দেশের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, আমাদের যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে আমাদের সর্বাগ্রে পরিবর্তন করতে হবে ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারি। একটা বিরাট কাজ আমাদের করতে হবে শুধু ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারির পরিকাঠামো বদলানোর শর্তে নয়, এটা আমাদের করতে হবে মনোভাব বদলের মাধ্যমে। তাঁর কথায়, এটা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি এখানে কোনও মিরাক্যাল ঘটাতে আসিনি। আমার প্রতিদিনের লক্ষ্য হল, এটাই যদি আমার জীবনের শেষ দিন হয়, তাহলে যেন বিশ্বকে একটা ভাল জায়গা উপহার দিয়ে যেতে পারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Chile: ডাকাতির ঘটনা লাইভ করতে এসে ইয়ারফোন ছিনতাই সাংবাদিকের

    Chile: ডাকাতির ঘটনা লাইভ করতে এসে ইয়ারফোন ছিনতাই সাংবাদিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চ্যানেলে লাইভ করছিলেন এক সাংবাদিক। তবে এবার চুরি কোনও ডাকাতেরা করেনি। লাইভ চলাকালীনই সাংবাদিকটির ইয়ারফোন ছিনতাই করে পালিয়েছে এক টিয়া। মাঝপথেই ভেস্তে যেতে বসেছিল লাইভ। তবে হতভম্ব সাংবাদিক কোন মতে লাইভটি শেষ করেন।

    নিকোলাস ক্রাম নামের ওই সাংবাদিক চিলির স্থানীয় একটি চ্যানেলে কাজ করেন। সেদিন লাইভে তিনি জানাচ্ছিলেন, এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। তখনই এক টিয়া এসে বসে তার কাঁধে। তার কিছু বুঝে উঠবার আগেই কান থেকে ইয়ারফোন খুলে নিয়ে যায়। তখন অন্য কানে থাকা ইয়ারফোন দিয়েই কোনমতে লাইভটি শেষ করেন।
    চিত্রসাংবাদিক লাইভ চলাকালীনই ইয়ারফোন নেবার জন্য টিয়াটিকে ধরার চেষ্টা করলেও টিয়াটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ইয়ারফোনটি নিয়েই চম্পট দেয় টিয়া। সে কথা দর্শকদের জানান সাংবাদিক। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টিয়াপাখিটি পরে ওই ইয়ারফোনটি ফেলে চলে যায় গোটা ঘটনাটিকে উপভোগ করেছেন দর্শকেরা। অনেকেই ভিডিওটি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটি স্প্যানিশ ভাষায় হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ভিডিওটি বিপুল ভাবে শেয়ার করা হয়েছে। প্রথম সারির প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Reddit-এ এটি সম্পর্কে মজাদার পোস্ট করছেন একজন ব্যবহারকারী। হলিউড তারকা রায়ান গসলিংয়ের সাথে সাংবাদিকের তুলনা করে। একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন চিলির রায়ান গসলিং তার ইয়ারফোন হারিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Food and Moon Connection: শরীরকে সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত 

    Food and Moon Connection: শরীরকে সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনকে সুন্দর, সুখময় ও সার্থক করে তুলতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সুস্থ, সবল ও সতেজ দেহ। সেই কারণেই শরীরে চাই যথাযথ পুষ্টির। বর্তমানে অনেকেই সুস্থ থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই কম খাবার খায়। অনেকের মনে ধারণা রয়েছে যে সুস্থ থাকার মানে রোগা হওয়া। কিন্তু প্রকৃত অর্থে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে শরীরে যে যে উপাদান প্রয়োজন, সেই সব উপাদান গ্রহণ করা উচিত।

    এখানে প্রাথমিক ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে কিছু টিপস দেওয়া হল…

    ১) সবুজ শাকসব্জি

    সবুজ শাক সব্জিতে প্রচুর পরিমানে উপকারী উপাদান থাকে। থাকে প্রচুর নিউট্রিশন। তবে এতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম থাকে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শাক সব্জি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে, চোখ ভালো রাখতে, ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা কমাতে শাক সব্জির জুড়ি মেলা ভার। তাই সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সব্জি খান। তবে অবশ্যই খাবার আগে ভালো করে সব্জি ধুয়ে তবে খাবেন।

    ২) যব বা ওটস

    উচ্চ ফাইবারযুক্ত ওটস শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফাইবার সহজে হজম না হওয়ায় বারবার করে খিদে পায় না, ফলে ওজন বৃদ্ধি কম হয়।

    ৩) বীজ

    শরীরকে শক্তিশালী করতে বা শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বীজ জাতীয় খাবারের তুলনা হয় না। যে কোনও বীজ জাতীয় খাবারই শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ব্লাড সুগারের মতো রোগকে প্রতিরোধ করতে বীজ জাতীয় খাবার খুব উপকার দেয়।

    ৪) পেঁয়াজ

    মাটির নিচে যে সমস্ত সব্জিগুলি জন্মায় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা প্রভৃতি। এই সমস্ত খাবার যে শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায়, তা নয়। পেঁয়াজ রসুন খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। বিশেষ করে ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে এই সমস্ত সব্জি খেলে।

    ৫) মাশরুম

    মাশরুমকে সুপারফুড বলা হয়। এর কারণ, মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ভিটামিন। চিকিৎসকেরাও মাশরুম খেতে বলেন। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে মাশরুম খুবই উপকারী।

    ৬) বেরী জাতীয় ফল

    শরীরে এনার্জি বাড়ানোর জন্য বেরী সবথেকে উপযোগী ফল। স্ট্রবেরী, Blueberry এবং এছাড়া এই জাতীয় যে কোনও ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে এই বেরী।

    ৭) বাদাম

    ফ্যাট, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে ভরা থাকে বাদাম। তাই বাদাম খেলে আমাদের শরীরের যাবতীয় সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ওজন ঠিক রাখতে এবং ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে বাদাম খুব কাজে দেয়।

    তবে পূর্বেই বলেছি, এই টিপস গুলি মানার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
  • 7th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর! ১৮ মাসের ডিএ দেবে মোদি সরকার

    7th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর! ১৮ মাসের ডিএ দেবে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলীর আগে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য সুখবর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ও এইচ আর এ ভাতা বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    ১৮ মাস ডিএ বকেয়া (18 months DA arrears)

    কোভিডের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ মাস ডিএ বকেয়া পায়নি।দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ডিএ বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে আসছিল। অবশেষে কেন্দ্র সরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিন কিস্তিতে এই ডিএ বকেয়াটি মেটাবে।

    লেভেল ৩ এবং লেভেল ১৩ ও ১৪ গ্রেড পে এর মাইনে বৃদ্ধি (Level 3,Level 13,14 Grade Pay Salary Hiked)

    বিগত দু বছর ধরে ডিএ বকেয়া ইস্যুটি মন্ত্রিসভার আলোচনা সূচিতে রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লেভেল ৩ গ্রেড পে কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে ১১ হাজার ৮৮০ থেকে ৩৭ হাজার ৫৫৪ হতে পারে।
    এদিকে, লেভেল ১৩ ও ১৪ গ্রেড পে কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২২০ টাকা ও ২ লক্ষ ১৮ হাজার ২২০ টাকা হতে পারে। আলোচনা সাপেক্ষে তা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। 

    ডিএ ৪ শতাংশ(Dearness Allowance Hike 4 Percent)

    সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ৪ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।জানুয়ারি ২০২২ এর আগে কর্মীদের ডিএ ছিল ৩১ শতাংশ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে।
    এই ৪% ডিএ বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী প্রায় ৬১ লক্ষ অবসরপ্রাপ্তদের পাশাপাশি প্রায় ৫০ লক্ষের বেশী সরকারি কর্মচারী উপকৃত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে 

    পরবর্তী ডিএ কবে বাড়তে পারে?(When Next DA will be increase)

    সরকারী কর্মীরা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পরবর্তী বর্ধিত ডিএ টি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী বেতন কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্র ৩ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ বাড়াতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share