Blog

  • DY Chandrachud: ছেলেকে অন্যায় ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়! অভিযোগ খারিজ বার কাউন্সিলের

    DY Chandrachud: ছেলেকে অন্যায় ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়! অভিযোগ খারিজ বার কাউন্সিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার লাইনে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে তিনিই প্রবীণতম বিচারপতি। রীতি ও প্রথা অনুযায়ী তিনিই হতে পারেন দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি। সেই ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। রশিদ খান পাঠান নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, চন্দ্রচূড় অবৈধভাবে তাঁর ছেলের ক্লায়েন্টকে অন্যায়ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও পাঠানের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।

    একটি চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড হাইকোর্ট লিটিগেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ্রচূড় কয়েকটি অর্ডার পাশ করেছিলেন, যেখানে তাঁর ছেলে অভিনব চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেছিলেন। পাঠানের দাবি, পরিবেশ প্রতিকূল আঁচ করে এবং তাঁদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে বুঝতে পেরে অ্যাডভোকেট অভিনব চন্দ্রচূ়ড় ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) সহ অন্য অভিযুক্তরা অন্যান্য পিটিশনকারী ও হাইকোর্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আরও একটি পরিকল্পনা করেছিল।

    অভিযোগপত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচাপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)  বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে মামলায় তাঁর ছেলে কোনও এক মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করছেন, সেই মামলা থেকে চন্দ্রচূড়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বার্থের সংঘাত হওয়া সত্ত্বেও তিনি ওই মামলা শুনেছেন এবং ছেলের ক্লায়েন্টকে সুবিধা পাইয়ে দিতে অর্ডার পাশ করেছেন। এটি ভারতীয় পিনাল কোডের ১৬৬, ২১৯, ৪০৯, ১২০ (বি), ৩৪ এবং ৫২ নম্বর ধারার পরিপন্থী। অভিযোগকারী রশিদ খান পাঠান দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতকে দেশের পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব না করতেও অনুরোধ করেছেন।

    আরও পড়ুন : “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    তবে রশিদ খান পাঠানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বার অ্যান্ড বেঞ্চ। তাদের দাবি, বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যে। বিবৃতি জারি করে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও জানিয়েছে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, কিছু লোক নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব করছে। ঘটনাটিকে বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের  কুৎসিত প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে তারা। এই জাতীয় প্রবণতা দেশের পক্ষে খুবই উদ্বেগের। এবং একে যেনতেন প্রকারে বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছে বার কাউন্সিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Uttarkashi Uttarakhand: উত্তরকাশীতে ভূমি ধসে মৃত্যু মিছিল! মিলল আরও পাঁচজনের দেহ

    Uttarkashi Uttarakhand: উত্তরকাশীতে ভূমি ধসে মৃত্যু মিছিল! মিলল আরও পাঁচজনের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবমীর দিনে উত্তর কাশীতে তুষার ধসের (Uttarkashi Avalanche) ঘটনায় মৃত আরও পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হল (Five More Bodies Discovered)৷ আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার কাজে সময় লাগছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার এই পাঁচটি দেহ মতলির (Matli) আইটিবিপি ক্য়াম্পে (ITBP Camp) নিয়ে আসা হয় ৷ এর আগে ২৬টি দেহ মিলেছিল।

    আরও পড়ুন: যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম…   

    গত মঙ্গলবার, প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ‘দ্বিতীয় দ্রৌপদী কা দন্ড’ শিখরে আছড়ে পড়ে ওই তুষারধস। নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-র ৬১ জন শিক্ষানবিশের একটি দল তখন তাঁদের ক্যাম্পে ফিরছিলেন। বিপর্যয়ের ধাক্কায় ৩৪ জন শিক্ষানবিশ ও তাঁদের ৭ প্রশিক্ষক আটকে পড়েন বলে ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছিল। বিপর্যয়ের মধ্যেই তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা, সেনা ও আইটিবিপির সদস্যরা। 

    আরও পড়ুন: “কোমর্বিডিটি থাকলে…”, চারধাম পুণ্যার্থীদের বিশেষ পরামর্শ উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের

    উত্তর কাশীর জেলাশাসক অভিষেক রুহেলা জানিয়েছেন, সামিট ক্যাম্প ও তার আশপাশেই দেহগুলি খুঁজে পান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ৷ তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের কাছে খবর রয়েছে ৷ কিন্তু, সেই ব্যক্তির দেহ এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ এছাড়াও তুষার ধসের পর থেকে আরও দু’জনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না ৷ গত ৪ অক্টোবর থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও এখনও তা চলছে ৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন, তুষার ধসের পরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে তুষারপাত হয় ৷ ফলে দুর্গতরা সকলেই বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যান ৷ উপরন্তু, গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া অনুকূলে নেই ৷ অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। যখনই আবহাওয়া অনুকূলে এসেছে তখনই উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনও দুই পর্বতারোহীর জীবিত থাকার আশা ছাড়তে নারাজ উদ্ধারকারীরা ৷ নিখোঁজদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি, আরও একটি মৃতদেহের খোঁজও চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ৷ দ্রুত এই অভিযান সম্পন্ন হবে বলে জানান জেলাশাসক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্যে চার্জশিটে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy as Witness) নাম উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। গত শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে  সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, সাক্ষী হিসেবে ওই চার্জশিটে মোট ৯৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে তারকা সাংসদের। চার্জশিট জমা করার একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য নথিভূক্ত করা হয়। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সাংসদ। 

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের তিক্ততা কারও অজানা নয়। যদিও, অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করার পর, অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে কথা বলেছিলেন শতাব্দী ৷ শতাব্দী রায় ছাড়াও চার্জশিটে মলয় পিঠের নামও উল্লেখ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মীদের নামও সাক্ষী তালিকায় রয়েছে ৷

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার  

    এবার প্রশ্ন উঠছে, যে শতাব্দী অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন, সেই শতাব্দীই নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন? এই বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা বলছেন, “চার্জশিটে যে কাউকেই সাক্ষী করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারকের সামনে ওই সাক্ষী কী বলছেন, সেটাই বড় কথা।” শতাব্দী এজলাসে দাঁড়িয়ে কী বলেন, এবার সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে বহু টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট অনুব্রতের পরিবারের বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যে সিজার লিস্টে যে সকল ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মী সই করেছিলেন, তাঁদের নাম সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (Mominpur Violence) কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভাঙচুর চালানো হয় ইকবালপুর থানা এলাকায়। রাতে এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা ধিক্কার জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার খিদিরপুর এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতার মোমিনপুর, ইকবালপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন রাত থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। একটি বিশেষ ধর্মের পতাকা লাগানো হয় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ওই বাড়ির আবাসিকরা সেই পতাকা খুলে দেন। তাঁদের কথায়, ওই পতাকা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। । কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর এক মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায়। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই চিন্তিত। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে?’এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hindi as official language: শিক্ষাদান, সরকারি কাজের ভাষা হোক হিন্দি, প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির

    Hindi as official language: শিক্ষাদান, সরকারি কাজের ভাষা হোক হিন্দি, প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহর নেতৃত্বাধীন সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি (Parliament Panel) সম্প্রতি সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বা আইআইটি, এমনকী হিন্দিভাষী রাজ্যের হাই কোর্ট, সর্বত্র ইংরাজির বদলে হিন্দি (Hindi as official language) ভাষা ব্যবহার করা হোক। এমনকী রাষ্ট্রসংঘেও হিন্দিকে ভারতের সরকারি ভাষা করার প্রস্তাব দিয়েছে এই কমিটি। 

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কমিটির ওই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সরকারি ভাষা হোক হিন্দি (Hindi as official language)। আবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে আইআইটি ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শিক্ষাদানের ভাষাও হিন্দিই হোক। পাশাপাশি হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হাই কোর্টের কাজের ভাষাও করা হোক হিন্দিকে। এছাড়াও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ইংরাজির জায়গায় এবার থেকে হিন্দি রাখতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার 

    শিক্ষার ক্ষেত্রে কমিটির বক্তব্য, “শিক্ষাদানের ভাষা হিন্দি (Hindi as official language) হওয়াই উচিৎ। ইংরেজির ভাষা ঐচ্ছিক হতে পারে। প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রেও একই নীতি।” সরকারি কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হিন্দির জ্ঞান অন্যতম মাপকাঠি যেন হয়, সে দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

    সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, যে সব সরকারি আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে হিন্দিতে (Hindi as official language) কাজকর্ম এড়িয়ে যান, তাঁদের থেকে ব্যাখ্যা চাইতে হবে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে বার্ষিক পারফরম্যান্স রিপোর্টে সেটার উল্লেখ করতে হবে বলেও কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে। গত মাসেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কমিটির আরও প্রস্তাব, সরকারি বিজ্ঞাপনে ৫০ শতাংশেরও বেশি হোক হিন্দি (Hindi as official language) বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষাতে বিজ্ঞাপনেও জোর দেওয়ার কথাও সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, হিন্দি ভাষায় বিশেষ পারদর্শিতা থাকা প্রয়োজন এমন কোনও সরকারি পদ যদি তিন বছরের বেশি সময় ধরে শূন্য হয়ে থাকলে, সেই সংস্থার প্রধানকে দায়ী করা হবে। এবং তাঁর বার্ষিক পারফরম্যান্স রিপোর্টেও বিষয়টির উল্লেখ থাকতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে রহস্যজনক দুই নাম। দুটি নামই সংক্ষেপে। একটি আরকে (RK), অন্যটি ডিডি (DD)। এই দুই রহস্যজনক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। প্রশ্ন হল, কে এই আরকে? ডিডি-ই বা কে?

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, টেটে সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি মেধাতালিকাও। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকা সত্ত্বেও সকলের নম্বর বাড়ানো হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মানিককে। স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে।

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) মানিককে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মোবাইল ঘাঁটতেই বেরিয়ে এসেছে রহস্যজনক দুই নাম। আরকে এবং ডিডি। এই দুজনের সঙ্গেই চ্যাট করেছেন মানিক। একটি চ্যাটে এও বলা হয়েছে, ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ইডি দেখেও নিয়েছে। এখানেই ঘনিয়েছে রহস্য। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই যে আরকে কিংবা ডিডি নতুবা ইডি এঁরা কে? এঁরা কি পার্টির কেউ নাকি শিক্ষা দফতরের কর্তা? যদি দলের কেউ হন, তাহলে তিনি কে? শিক্ষা দফতরের হলেও, প্রশ্ন এঁরা কে?

    আরও পড়ুন : মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    মানিক যে টাকা নিয়েছিলেন, সে অভিযোগ সংক্রান্ত মেসেজ আগেই পেয়েছে ইডি। চার্জশিটে তারা উল্লেখ করেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ঘেঁটে একটি মেসেজ পেয়েছে তারা। ওই মেসেজে পার্থকে কেউ বলছেন, মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে। অন্য একটি মেসেজে লেখা হয়েছিল, আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ, এটা দেখুন, লাভ। সেই মেসেজ মানিককেই ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। যদিও মানিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি পার্থ। অথচ ওই সময় পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। কোনও এক ব্যক্তির সতর্কতা সত্ত্বেও পার্থ কেন মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, সে প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ekbalpur_Mominpur: মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ! যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন মোমিনপুরের বাসিন্দারা

    Ekbalpur_Mominpur: মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ! যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন মোমিনপুরের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  থমথমে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল (Mominpore)। আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে নিজেদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। ভয়ে এখনও কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তাঁদের। কেউ বা লন্ডভন্ড দোকানে বসে যেটুকু রক্ষা পেয়েছে তা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেউ ভাবছেন ভাঙা বাইক, পানের দোকানটা কীভাবে মেরামত করবেন। আতঙ্কে বাড়ির এক কোণে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা। বাড়িতে ঢুকে ঢুকে মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে বোমা ছোড়া হয়েছে, পুড়ে গিয়েছে সমস্ত জিনিস। দমকল থেকে পুলিশ কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। ঘটনার ৪ ঘণ্টা পরে ইকবালপুর থানার পুলিশ ঘটলাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন আক্রান্তেরা।

    উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিরও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধ্যায় আবার উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force)। নামানো হয়েছে র‍্যাফ  (RAF)।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সেই ঘটনার পর একবালপুর থানা এলাকায় পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। সোমবার থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কেউ এলাকার শান্তি ভঙ্গ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumder) ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোমিনপুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয় এই অঞ্চল। এখানেই মানুষের নিরাপত্তা নেই। জনজীবন ব্যাহত। স্তব্ধ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। তাহলে রাজ্যের অন্যত্র কী পরিস্থিতি?

  • Kerala’s vegetarian crocodile died: কেরালার পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের নিরামিষভোজী কুমিরের মৃত্যু

    Kerala’s vegetarian crocodile died: কেরালার পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের নিরামিষভোজী কুমিরের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমির মানেই আমাদের কাছে তা হিংস্র জীব। আর কুমিরকে ভয় পান না এমন বীরপুরুষ হাতেগোনা। কিন্তু সেই কুমীরই যদি নিরামিষাশী হয় আর মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে বেঁচে থাকে। বিশেষ করে পুরোহিত যদি তাঁকে নিজের হাতে প্রসাদ খাইয়ে দেন বা সকলের সামনে কুমিরটির চোয়ালে চুমু খান, সেক্ষেত্রে বিস্ময় তৈরি হতে বাধ্য।

    এমনই বিস্ময়কর ঘটনার নিত্যদিন সাক্ষী থেকেছেন কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের দর্শনার্থীরা। মন্দিরের পূজারীর থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শনার্থীরা ঈশ্বর রুপে দেখেন এই কুমিরটিকে।কেরলের এই পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে বিষ্ণু পূজিত হন। মন্দিরের পুরোহিতদের দাবি এই কুমিরটি স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অবতার তাই সে মন্দিরের প্রসাদান্নে তুষ্ট থাকত।

    বাবিয়া নামে এই কুমিরটি গতকাল রবিবার মারা গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৭৫ বছর বয়সী এই কুমিরটি বেশ কিছু দিন ধরে ভালো করে খেতে পারত না। রবিবার মন্দিরের কাছে পুকুর থেকে কুমিরটির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিরটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে মন্দিরে।

    [tw]


    [/tw] 

    আরও পড়ুন: হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের 

    মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কবে ওই কুমিরটি মন্দির চত্বরের পুকুরে এসেছিল, বা কে নামকরণ করেছিল তার, সে বিষয়ে কেউই জানেন না। পূজারীদের মতে, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মন্দিরে বাস করছিল কুমিরটি। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, বাবিয়া খুবই নিরীহ ছিল। প্রত্যহ তাঁর সাথে পুকুরে নেমে দু’বার স্নান করতেন প্রধান পুরোহিত। প্রসাদান্নের থালা হাতে মন্দিরের লাগোয়া পুকুর ঘাটে নেমে নিজে হাতে বাবিয়াকে ভাত খাওয়াতেন তিনি।

    তবে, কুমির বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক। যে কুমিরটিকে নিরামিষাশী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেটি আসলে মিষ্টি জলের কুমির (মগর)। মাছ এদের স্বাভাবিক খাদ্য। তবে হরিণ, বন্য শূকরের মতো প্রাণীর মাংসও খায় এরা।’’তবে অনির্বাণের কথায়, ‘‘কুমিরের বেঁচে থাকার তাগিদ অন্যান্য জীবজন্তুর থেকে অনেক বেশি। এরা যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। তবে বিকল্প থাকলে এরা সব সময় স্বাভাবিক খাবার বেছে নেয়। সে ক্ষেত্রে মাছ পেয়েও তা না খাওয়ার বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    Sukanta Majumdar: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP WB President Sukanta Majumdar) নিউটাউন থেকে মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গার্ড দিয়ে পথ আটকানো হয় সাংসদের। কেন এভাবে আটক করা হল তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। এরপরই সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে চিংড়িঘাটা থেকে লালবাজার, বিক্ষোভে সামিল বিজেপি কর্মীরা। 

    লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (Mominpur Violence) কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভাঙচুর চালানো হয় ইকবালপুর থানা এলাকায়। রাতে এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)।

    সোমবার সকালে মোমিনপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু তাঁকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। সুকান্ত প্রশ্ন তোলেন মোমিনপুরে ১৪৪ ধারা নেই। তাও বাধা কেন? কিন্তু পুলিশ কোনও কথাই না শুনে তাঁকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। সুকান্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি আদালতে তুলবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে মোমিনপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সাংসদ। চিংড়িঘাটায় পৌঁছতেই সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটক করে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয়ে যায় যানজট। যানজটের সমস্যা মেটাতে পুলিশ অন্যান্য গাড়ি ছাড়লেও সুকান্তর গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ২০-২৫ মিনিট পরে গাড়ি থেকে  নেমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁকে পুলিশ জানায়, মোমিনপুরে যেতে পারবেন না তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় তিনি গেলে অশান্তি আরও বাড়বে। কোন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাংসদকে, পুলিশের তরফ থেকে তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। গ্রেফতার করে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে সেখানে ভিড় করছেন বিজেপি কর্মীরা। 

    লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন রাত থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। একটি বিশেষ ধর্মের পতাকা লাগানো হয় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ওই বাড়ির আবাসিকরা সেই পতাকা খুলে দেন। তাঁদের কথায়, ওই পতাকা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর এক মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আজ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে সেই অঞ্চলে যাচ্ছিলেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WWE Wrestler died: মাত্র ৩০ বছরেই মৃত্যু প্রাক্তন ডব্লুডব্লুই চ্যাম্পিয়ন সারা লি-র

    WWE Wrestler died: মাত্র ৩০ বছরেই মৃত্যু প্রাক্তন ডব্লুডব্লুই চ্যাম্পিয়ন সারা লি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়া বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মৃত্যু হল ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লুডব্লুই) এর প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন সারা লির। সারার মৃত্যুর খবর দেন তাঁর মা টেরি লি। ডব্লুডব্লুইর জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম সারার মৃত্যুতে শোকের ছায়া। সারা লির মা টেরি লি  সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই, আমাদের খুব প্রিয় সারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমরা বেদনাহত। এই শোকের মুহূর্তে আমাদের পরিবারের পাশে থাকুন।

    কিন্তু ঠিক কী কারণে সারার মৃত্যু হল, তা জানা যায়নি। তাঁর কি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হল? প্রশ্ন উঠছে।সারার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে টুইট করেছে ডব্লুডব্লুইও।ডব্লুডব্লুই এর অফিসিয়্যাল সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন ‘সারা লির মৃত্যুর খবরে ডব্লুডব্লুই শোকাহত। ‘টাফ এনাফ’-এর প্রাক্তন বিজয়ী হিসেবে লি ক্রীড়া বিনোদন দুনিয়ার সবার কাছেই অনুপ্রেরণা। সারা, তোমার অভাব অনুভূত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    ২০১৫-য় সারা জিতেছিলেন ডব্লুডব্লুই রিয়্যালিটি প্রতিযোগিতার সিরিজ ‘টাফ এনাফ’। এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার পরেই সারার নাম ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা।আচমকা সারার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়মহলে। সারা পরিচিত ছিলেন তাঁর অত্যন্ত হাসিখুশি মেজাজের কারণেও। অন্যের বিপদে সারাকে সব সময়ই পাশে পাওয়া যেত বলেও বলছেন তাঁর গুণমুগ্ধরা।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    ২০১৫-য় সারা ‘টাফ এনাফ’-এর ষষ্ঠ সিজনে চ্যাম্পিয়ন হন। তার পরের বছর, ২০১৬-য় সারা কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন। অগস্টে ডাবলস ম্যাচেও নেমেছিলেন রিংয়ে। সঙ্গী ছিলেন লিভ মর্গান। তাঁদের মোকাবিলা ছিল আলিয়া ও বিলির বিরুদ্ধে।

    শুধু রিংয়েই নয়, সারার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমের পাতায় পাতায়। তাঁর দেওয়া যে কোনও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ত চার দিকে। তা নিয়ে চলত আলোচনা, চর্চা। ২০১৭-এর ৩০ ডিসেম্বর বিয়ে করেন সারা। বিয়ে করেন অনেক দিনের সঙ্গী কুস্তিগির ওয়েস্টিন ব্লেক। দু’জনের তিনটি সন্তান আছে। 

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sara Lee (@saraann_lee)

    সারা নিজের সাম্প্রতিক সমাজমাধ্যম পোস্টটি করেছিলেন মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগে। সেখানে সারা লিখেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে পর পর দু’দিন জিমে ফিরে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। প্রথম সাইনাস সংক্রমণ আমার জীবনকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছিল।’

    [insta]

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sara Lee (@saraann_lee)


    [/insta]

    জানা গিয়েছে, মিশিগানের আদি বাসিন্দা সারার সঙ্গে ‘টাফ এনাফ’ প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ডব্লুডব্লুইর সঙ্গে আড়াই লক্ষ ডলারের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পরের বছরই সেই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসেন সারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share