Blog

  • MS Dhoni: আইপিএল শুরুর আগের দিন চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি, দায়িত্বে কে এলেন?

    MS Dhoni: আইপিএল শুরুর আগের দিন চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি, দায়িত্বে কে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ১৭তম আইপিএল। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অগণিত ক্রিকেট ভক্তের চেন্নাই সুপার কিংস-কে সমর্থনের একটাই কারণ, তা মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এ বার আর অধিনায়ক থাকছেন না চেন্নাইয়ের। তাঁর বদলে নতুন অধিনায়ক হলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আইপিএল শুরু হওয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই এমন ঘোষণা করল চেন্নাই। বৃহস্পতিবার, চেন্নাইয়ে আইপিএল অধিনায়কদের যে ফটোশুট হয়েছে, সেখানেও ধোনির বদলে দেখা গিয়েছে রুতুরাজকে।

    ২০২২ সালেও বদল হয়েছিল চেন্নাইয়ের অধিনায়ক

    প্রসঙ্গত, আইপিএলে ধোনি (MS Dhoni) বেশি দিন অধিনায়ক থাকছেন না, এটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়েও জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল পরবর্তী অধিনায়ক রূপে রুতুরাজের নাম। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২৭ বছর বয়সি রুতুরাজ এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। তবে এবারই প্রথম নয়। ২ বছর আগে, ২০২২ সালের প্রতিযোগিতা শুরুর ঠিক আগেই এ ভাবে রবীন্দ্র জাডেজাকে আচমকা অধিনায়ক করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের। তবে পরিকল্পনা সফল হয়নি। জাডেজার নেতৃত্বে চেন্নাই একের পর এক ম্যাচে হারতে থাকে। মাত্র আটটি ম্যাচের পরেই জাডেজাকে সরিয়ে ফের দায়িত্বে ফেরেন ধোনি (MS Dhoni)। প্রসঙ্গত, সেবার ধোনি নিজেই জাডেজাকে অধিনায়ক করেছিলেন বলে জানা যায়।

    ২০২৩ সালে ফের ধোনির নেতৃত্বে দাপট দেখায় চেন্নাই

    গত বছর ২০২৩ সালে ফের ধোনির (MS Dhoni) অধিনায়কত্বে দাপট দেখাতে থাকে চেন্নাই। ১৬তম আইপিএল-র ফাইনালে ওঠে তারা এবং গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে পঞ্চম ট্রফি জিতে নেয়। সম্প্রতি অনুশীলনে ধোনিকে দেখা যাচ্ছিল বড় চুলে। ক্রিকেট ভক্তদের মনে ভাসছিল ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ বিশ্বকাপের স্মৃতি। বড় চুলের ধোনিকে ঘিরে যে নস্ট্যালজিয়া, সেটাই যেন ফিরে আসছিল সমর্থকদের মনে। ২০২৪ আইপিএল-র কাপ হাতে ধোনি, ভাবতে শুরু করেছিলেন অনেকেই। তবে তা আর হল না। ধোনি যেভাবে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন, সেভাবেই কি পরের মরসুমে আইপিএল-ও ছেড়ে দেবেন? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মাহি ভক্তদের মনে। সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ এদিন সরাসরি প্রশাসনকেই এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলল হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে- এবিষয়ে রিপোর্টও চেয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং

    গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মামলাকারী রাকেশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে যাওয়ার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন রাকেশ। এ বিষয়ে আদালতের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘শুনলাম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর উদ্ধারকার্য বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে থাকলে কী হবে? প্রতিটি পঞ্চায়েত, পুরসভার একটি করে নজরদারি কমিটি থাকা দরকার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই পাঁচ তলা বহুতল গড়ে উঠেছে বলে মনে হয় না।’’

    গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ!

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইন থাকলেই হবে না, তা বলবৎ করার মতো পরিকাঠামোও থাকতে হবে। গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ?’’ প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, তারা যখন স্কুটার বা জিপে করে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে? মনে করুন, আপনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অর্ধেক লরি ভর্তি বালি, এক লরি ভর্তি ইট নিয়ে এসে নির্মাণস্থলের সামনে রাখলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলরের গুপ্তচর চলে আসবেন। আর অনুমতি না থাকলে অনেক সময় কেউ আসেও না।’’

    যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট

    সরকারের উদ্দেশে আদালত (Calcutta High Court) এদিন আরও পরামর্শ দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত কয়েক দিন খাবার সরবরাহ, রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি, যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে, প্রতিটি পঞ্চায়েত সহ সব জায়গায় মনিটরিং সেল থাকা দরকার। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, সেখানে জলাভূমি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fact Check Unit: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রতিরোধে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Fact Check Unit: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রতিরোধে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো খবরের রমরমা থামাতে এবং ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধিনস্থ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র  নিজস্ব ফ্যাক্ট চেক ইউনিট (এফসিইউ)-কে সরকারি ফ্যাক্ট চেক সংস্থা (Fact Check Unit) হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করল মোদি সরকার। এই মর্মে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে। 

    বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে (Fact Check Unit)

    ২০ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতা নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল) এর নিয়ম ৩ এর উপ-ধারা (১)-এর উপ-ধারা (৫) এর বিধানের অধীনে পিআইবি এফসিইউ-কে সরকারি ফ্যাক্ট চেক ইউনিট হিসেবে কার্যকর করা হয়েছে। ভুয়ো খবর প্রতিরোধের লক্ষ্যে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবেই সমন্বয় রেখে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। 

    এফসিইউ কীভবে কাজ করে?

    ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পিআইবি অধীনস্থ ফ্যাক্ট চেক ইউনিট (Fact Check Unit)। ভুয়ো খবর, ভুল তথ্যের সৃষ্টিকর্তা এবং প্রচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করাই মূল লক্ষ্য এই সংস্থার। ভারত সরকারকে নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সন্দেহজনক এবং ভুয়ো তথ্য সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য পরিষেবা প্রদান করে থাকে। সরকারী নীতি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প সম্পর্কিত কোনও ভুয়ো তথ্য থেকে থাকলে, তার বিরুদ্ধে যাতে সরকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা যায় বা সেই বিষয়ে যাতে সরকারের গোচরে আনা যায়, সেই মঞ্চ প্রদান করে ফ্যাক্ট চেক ইউনিট। একইভাবে, এফসিইউ সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ, শনাক্ত করে এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করে দেয় যে, সরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দ্রুততার সঙ্গে সংশোধন করা হয়েছে।

    বিভিন্ন মোডের মাধ্যমে চেক করে এফসিইউ (Fact Check Unit)

    নাগরিকরা হোয়াটসঅ্যাপ (+918799711259), ইমেল (pibfactcheck@gmail.com), Twitter (@PIBFactCheck) এবং PIB-এর ওয়েবসাইট (https://factcheck) সহ বিভিন্ন মোডের মাধ্যমে পিবিআই ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের (Fact Check Unit) সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে গত শনিবার। ৭ দফায় ভোট হবে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ তিন সদস্য-বিশিষ্ট। তাতে থাকেন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু গত মাসে আচমকা নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। অন্যদিকে, অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ার কয়েক দিন আগেই অবসর নেন অন্য এক নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) অনুপ পাণ্ডে। তার ফলে নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে, দুই আমলাকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা

    নির্বাচন কমিশনারের পদে আনা হয় সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে। এই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সমেত বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, সামনে নির্বাচন রয়েছে। এমন সময় এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক নয়। আর যাঁদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও নেই।

    নিয়োগ কমিটি 

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, নবনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনারকে তাঁদের পদ থেকে সরানোর কোনও কারণ আদালত দেখছে না। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন আরও জানিয়েছে, ভোটের মুখে কমিশনারদের (Election Commission) সরিয়ে দিলে তার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। প্রসঙ্গত, নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (চেয়ারপার্সন) একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (মেম্বার) এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা (মেম্বার)। আগের আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিও থাকতেন। বর্তমান আইনে সেটা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বেগের কারণ নেই”, বললেন শাহও

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বেগের কারণ নেই”, বললেন শাহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে অকারণ ভয়ের কোনও কারণ নেই। সিএএ তৈরি হয়েছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ চালুর পরে পরেই কথাগুলি বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার ‘রাইজিং ভারত সামিটে’ অংশ নিয়ে তিনি ফের একবার জানিয়ে দিলেন, “সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই ভারতীয় মুসলমানদের।” ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই যে বিরোধীরা সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, আইনটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    সিএএ আইন (Amit Shah)

    ২০১৯ সালে সংসদে পাশ করানো হয় সিএএ বিল। রাষ্ট্রপতি সই করায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। করোনা হানা দেওয়ায় আইনটি লাগু করেনি মোদি সরকার। শেষমেশ চলতি বছরের ১১ মার্চ সন্ধেয় লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইনের বলে ভারতের তিন মুসলিম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন (হিন্দু-সহ ৬টি ধর্মের মানুষ), তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছ’টি ধর্মের মধ্যে মুসলিম নেই। এটাকেই বিরোধীরা ‘ক্যাশ’ করছেন বলে অভিযোগ।

    ‘ভারতীয় মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই’

    ভারতীয় মুসলমানদের ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। সে প্রসঙ্গেই ভারতীয় মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এদিন আবারও শাহ বলেন, “সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আমি আবারও বলছি যে, এ দেশের মুসলমানদের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বাধীনতার সময়ই এই প্রতিশ্রুতি (সিএএ) দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেবল লিয়াকত-নেহরু চুক্তি ইমপ্লিমেন্ট করেছি।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতে বর্তমানে ১৮ কোটি মুসলমান রয়েছেন। তাঁদের এ দেশে বসবাসের সেই অধিকার রয়েছে, যা রয়েছে তাঁদের সহনাগরিক হিন্দুদেরও। তাই সিএএ নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হবেন না।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “সিএএ সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি আইন। এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্কই নেই।” বিরোধীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মুসলমানদের ভয় দেখানো (সিএএ নিয়ে) বন্ধ করুন। সিএএ নিয়ে বহিঃশক্তির কোনও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন শাহ (Amit Shah)।”

    আরও পড়ুুন: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বর্তমানে জনসংখ্যা সংকটের (China Population Crisis) মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণ বহু মহিলা ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তে তাঁদের পেশাগত জীবনের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করছেন। পরিবার শুরু করার জায়গায় কেরিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে জনসংখ্যা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে এবং জনসংকট একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিশেষ পরিকল্পনা চালিয়েছে চিন। জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতি বাতিল করেছিল চিন। এর পর ২০২১ সালে সন্তান প্রসবের ঊর্ধ্বসীমাকেও বাতিল করে ড্রাগনের দেশ। তা সত্ত্বেও দম্পতিদের সন্তান প্রসব কম হচ্ছে। এবার গবেষণায় এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান কী বলছে (China Population Crisis)?

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু ঝেং বলেছেন, “চিনে (China Population Crisis) বিবাহিত দম্পতিরা কম সন্তান ধারণ করছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একেবারেই সন্তান না থাকা পছন্দ করছেন। কোভিড এখনও তার অনেক নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতের দিকে অনিশ্চয়তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও একটি অসহায়তার অনুভূতি রয়েছে যা অনেক মহিলাকে সন্তান ধারণ করতে নিষেধ করছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় পরিবার প্রসারিত করতে চাওয়া থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।” চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস রিপোর্ট করেছে যে জনসংখ্যা ২০২১ সালে ১.৪১৩ বিলিয়ন থেকে গত বছর ১.৪১২ বিলিয়ন হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক বৃদ্ধির হার নেতিবাচক ছিল ড্রাগনের দেশে।

     কেরিয়ারকে গুরুত্ব চিনা মহিলাদের

    পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় চিনের (China Population Crisis) কর্মশক্তিতে মেয়দের সংখ্যা বেশি। একজন অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডি জি বলেছেন, “চিনে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা আছে মহিলাদের মধ্যে। বাড়িতে থেকে মা হওয়া কখনই লক্ষ্য নয় তাঁদের। বহু মহিলা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে পদে উন্নতি করেছেন। ফলে তাঁরা আশা করেন যে, তাঁদের স্বামীরা তাঁদের থেকে বেশি উপার্জন করবে। ২০২০ সালে মহিলা পড়ুয়াদের ডক্টরেট ডিগ্রি নথিভুক্তিকরণ প্রায় ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষদের তুলনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক মহিলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।”

    সন্তানধারণ করতে উৎসাহ

    বেশি মহিলাকে সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার কাজ করছে ট্রিপ ডট কম হল একটি চিনা কোম্পানি। চিনে (China Population Crisis)  এই সংস্থায় ৩০,০০০ কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি কোম্পানি মহিলা কর্মীদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়ে থাকে৷ আবার এই সংস্থার সিইও জেন সান গত মাসে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদের সংস্থায় মহিলাদের একটি কেরিয়ার, একটি পরিবার এবং সন্তান ধারণের জন্য শুধুমাত্র সাত থেকে আট বছর সময় দেওয়া হয়। গর্ভবতী কর্মচারীদের কর্মস্থলে এবং সেখানে বিনামূল্যে ট্যাক্সি চড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকে। তাঁদের সন্তানের জন্ম ও স্কুল শুরু হলে নগদ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়।

    বিয়ে না করে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা

    এনইউএইচ-এর সহকারি অধ্যাপক মু বলেছেন, “চিনের (China Population Crisis) কিছু মহিলা সন্তান চান, কিন্তু তাঁরা বিয়ে বা বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রস্তুত নন। মহিলারা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন। তাই তাঁদের অনেকের কাছে বিয়ে তেমন আকর্ষণীয় বিকল্প নয়।” সিএআইসি-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ৭৬.৪ লক্ষ মহিলা বিয়ে করেছে। তুলনায় ২০২০ সালের ৮১.৪ লক্ষ থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।

    কী বলছেন সন্তানের মায়েরা

    যে মহিলাদের সন্তান ধারণের পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাঁরা সামাজিক কলঙ্কের সম্মুখীন হন এবং একা সন্তান লালন-পালন করার সময় তাঁদের কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। চিনে একজন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা এক সন্তানের মা বলেন, “আমি বিয়ে না করে একক ভাবে মা হওয়া লজ্জাজনক বলে মনে করি না। তবে আমি আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম কারণ আমি চাই না যে সকলে আমাকে অন্যভাবে দেখুক।” সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে বছরের শুরুতে ঘোষণা করেছে যে অবিবাহিত বাসিন্দারা বিবাহিত দম্পতিদের মতো একই সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপ যা আশা করছে চিনের (China Population Crisis) দেশটির জন্মহার বৃদ্ধি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। অবিলম্বে নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের ছোটা উদয়পুর ও আমেদাবাদ গ্রামীণের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে।

    বদল হয়েছে ডিজিপি-ও (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৮ মার্চ বাংলায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিজিপি রাজীব কুমারকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বিবেক সহায়। পরের দিনই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকেও। তাঁর জায়গায় বসানো হয় (Lok Sabha Elections 2024) আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায়। আর বীরভূমের ডিএম ছিলেন পূর্ণেন্দ মাজি। এই চারজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।

    তিন রাজ্যের ডিএম-এসপি বদল

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাট, পাঞ্জাব ও ওড়িশার বিভিন্ন ডিএম ও এসপিদের বদলির নির্দেশও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের পাঠানকোট, জলন্ধর গ্রামীণ ও মালেরকোটলা জেলার এসপিদের। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওড়িশার ঢেঙ্কানলের জেলাশাসক, দেওঘর ও কটক গ্রামীণের এসপিদেরও। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের ভাটিন্ডার এসএসপি, অসমের শোনিতপুরের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকের শেষেই জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে রয়েছেন তিনজন। জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু।

    আরও পড়ুুন: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    গত সপ্তাহেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন ভোট হবে দেশের ১০২টি আসনে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। তখন আর সরকার নয়, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশন। সেই কমিশনের নির্দেশেই সরিয়ে দেওয়া হল বাংলার চার ডিএমকে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

  • PM Modi: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি। তৃতীয়বাবের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্ল্যানও করা রয়েছে।” ‘রাইজিং ভারত সামিট ২০২৪’-এ যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ (PM Modi)

    তিনি বলেন, “সরকার দশ বছরে কী কাজ করেছে, তার রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছে। আরও কাজ করতে বদ্ধপরিকর সরকার। আগামী পঁচিশ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছে। তৃতীয়বারের জন্য একশো দিনের কাজের প্ল্যানও করা রয়েছে।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টিরও বেশি আসনে জয়ী হবে বলে এক প্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি নানা জনসভায় তা বলেওছেন। তাই নয়া সরকারের রোডম্যাপ তৈরি বলে জানান তিনি (PM Modi)।

    নেশন ফার্স্ট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিজের জন্যই শুধু করলে তো সরকার হয় না। দেশের জন্য বাঁচতে হবে। নেশন ফার্স্ট। আমরা যুব দেশ…আমাদের দেশের সব করার সম্ভাবনা রয়েছে। রাইজিং ভারতের ভিত্তিই হল নেশন ফার্স্ট। দেশের জন্যই বাঁচব, দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করব।” এদিনের সামিটে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই নয়া ভারত কখনওই সন্ত্রাসবাদকে কোনও স্থান দেয় না। বরং এটি জঙ্গিদের ধ্বংস অনেক বড় ক্ষতি করেছে। যাঁরা আমাদের দেশকে আতঙ্কে রাখত, সন্ত্রাসের সামনে রাখত, তারা এখন কোথাও নেই। এই নতুন ভারত সন্ত্রাসের জখমকে কখনওই সহ্য করে না। সন্ত্রাসের ক্ষত যারা উপহার দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”

    ‘ঘাম ছুটে যাচ্ছে অনেক নেতার’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি পরিষেবা। দুর্নীতি রোখা গিয়েছে। সরকারি পরিষেবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১০ কোটি ভুয়ো নাম।” তিনি বলেন, “একটা সময় দেশে দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। আজও বিরোধী দলের একাধিক নেতার বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। তাই ইডি, সিবিআইয়ের নাম শুনলেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে অনেক নেতার।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সরকারি দফতরগুলো একটা সময় পাওয়ার হাউজ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সেগুলিকে সেবা কেন্দ্র করেছি। যাতে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পান। আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি, একটা ফাইল যেন এই টেবিল থেকে ওই টেবিলে ঘুরে না বেড়ায় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) ২ দিনের ভুটান যাওয়ার কথা ছিল। তবে বুধবার রাতেই এই সফর বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে ভুটানের পারো বিমানবন্দর এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কেন্দ্রের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল করা হয়েছে, দুই দেশের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। নতুনভাবে দিনক্ষণ স্থির করা হবে আলোচনার মাধ্যমে।’’ প্রসঙ্গত, ২১-২২ মার্চ ভুটান সফরে থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।

    কেন হঠাৎ ভুটান সফর?

    চলতি মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন ভুটানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ১৪-১৫ মার্চ দিল্লি সহ একাধিক শহরে সফর করেন তিনি। নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও ভুটান সফরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারদের কথায়, ‘‘এই জাতীয় নিমন্ত্রণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News) দ্রুত নিমন্ত্রণ রক্ষার সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’’ প্রসঙ্গত, বুধবারই দেশে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। আর একমাসও বাকি নেই,  ১৯ এপ্রিল দেশের ১২০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই সময়ে নিজের তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী পড়শি দেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিষ্টাচারের কারণেই।

    কূটনৈতিক দিক থেকে ভুটান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    যদিও, প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi News) সফরে, দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি সম্পাদনের কর্মসূচি ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে রাজা জিগমে খেসার নামগায়েল ওয়াংচুক এবং প্রাক্তন রাজা জিগমে সিংঙে ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কয়েক দফা কথা হত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোটের ব্যস্ততার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরের অন্যতম কারণ ছিল, পাহাড়ি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতার বার্তা দেওয়া। সেই কারণেই দ্রুত সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে সফরের সিদ্ধান্ত নেন মোদি। অন্যদিকে, ভুটানের সঙ্গে চিনের দীর্ঘ সীমা রয়েছে। কূটনৈতিক দিক থেকে ভুটান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই সুসম্পর্কে আগ্রহী। তাই প্রধানমন্ত্রী এই সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হওয়ার পরেও সরানো হয়নি রাজনৈতিক দলের এমন পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং, দেওয়াল লিখন দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলবও করেছে কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনের যাবতীয় পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য রাজ্যগুলিকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রচারমূলক পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি

    বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। সেই বিধি অনুযায়ী, কোথাও কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন থাকতে পারে না। অভিযোগ, পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখনের আকারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট ঘোষণা হওয়ার চার দিন পরেও থেকে গিয়েছে সরকারি বিজ্ঞাপন। তা নিয়ে কমিশনের কাছে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও জমা পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর, জাতীয় সড়ক থেকে অবিলম্বে এই ধরনের অননুমোদিত সমস্ত পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখন সরিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় কত বেআইনি নির্মাণ? কী করছে পুরসভা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, ঠুকলেন আরটিআই

    কমিশনের বার্তা

    গোটা দেশে এবার সাত দফায় হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। তবে সব রাজ্যে সাত দফায় হবে এমনটা নয়। বাংলা, বিহার, উত্তর প্রদেশে হবে সাত দফায়। লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হচ্ছে ১ জুন। ফল প্রকাশ ৪ জুন। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। দিকে দিকে চলছে টহল। কমিশনের (Election Commission) স্পষ্ট বার্তা, এই আবহে কোনও সরকারি প্রকল্পের প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন বা দেওয়াল লিখন যেন না দেখা যায়।  সমস্ত পোস্টার, ব্যানার যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে হবে। ওই কাজ শেষ হয়েছে এই মর্মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। কমিশনের ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share