Blog

  • Lok Sabha Election: ভোটের ওয়েব কাস্টিংয়ে এআই প্রযুক্তি! নির্বাচনে নোডাল অফিসার চান বিরোধীরা

    Lok Sabha Election: ভোটের ওয়েব কাস্টিংয়ে এআই প্রযুক্তি! নির্বাচনে নোডাল অফিসার চান বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে (Lok Sabha Election) সবদিক থেকে ত্রুটিহীন এবং অভিযোগ-মুক্ত করে তুলতে এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করার দাবি জানালেন বিরোধী নেতারা। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এলেও জেলা প্রশাসন তাদের হয় বসিয়ে রেখেছে, না হয় আসল জায়গায় না নিয়ে গিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। তাই প্রতি পুলিশ জেলায় কেন্দ্রীয় স্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ জরুরি।

    কমিশনের নোডাল অফিসার

    প্রাথমিক ভাবে, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৭ মার্চের মধ্যে রুট মার্চ করে এলাকায় মানুষের ভয় কাটাতে ৪ কোম্পানি (প্রায় ৪০০ জওয়ান) কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে কমিশন সূত্রে জেলায় বার্তা এসেছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৫টি থানা। ৬টি বিধানসভা। এর মধ্যে শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা বিধানসভা দু’টি মালদহ দক্ষিণ লোকসভার অধীনে। বাকি ৪টি সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার লালগোলা, নবগ্রাম ও খড়গ্রাম বিধানসভা মিলে জঙ্গিপুর লোকসভা (Lok Sabha Election) কেন্দ্র। বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষের দাবি, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ সত্বেও এখনও গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাতেই বহু পুলিশ অফিসার রয়ে গেছেন যারা মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫ থেকে ১২ বছর আছেন। এরা কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভাবে পরিচালিত করবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে। সবার নাম কমিশনকে পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচনে এআই

    ইতিমধ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনও (Lok Sabha Election) তার ব্যতিক্রম নয়। কমিশন সূত্রে খবর, এআই ব্যাবহার করা হবে মূলত ওয়েব কাস্টিং-এর জন্য। যাতে নির্বাচনে কোথাও কোনওরকম কারচুপির সুযোগ না থাকে তাই এই ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে কমিশন। ইতিমধ্যেই দরপত্র চাওয়া হয়েছে। একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথাও চলছে কমিশনের৷ একই সঙ্গে, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ওয়েব কাস্টিং-এ এআই ব্যাবহারের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হল এখনও ১০০ শতাংশ বুথে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি৷  তবে সেই দিকে কাজ চলছে বলেও জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ২ দিনের বঙ্গ সফরে ২২ হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা মোদির

    PM Modi: ২ দিনের বঙ্গ সফরে ২২ হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফর মাত্র দু’দিনের। তার মধ্যেই বাংলার জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মাঝে মধ্যেই হাওয়া গরম করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগ যে নেহাতই ভোট কুড়নোর খেলা, তার প্রমাণ মিলল শুক্র ও শনিবারে। প্রথম দিন এ রাজ্যে ৭ হাজার কোটি টাকার ও পরের দিন আরও ১৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কোন কোন প্রকল্প?

    শুক্রবার, প্রথম দিন হুগলির আরামবাগে রেল, বন্দর, তেলের পাইপলাইন, গ্যাস সরবরাহ এবং জল পরিশোধন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। উদ্বোধন করেন হলদিয়া-বারাওনি তেলের পাইপলাইনের। এই পাইপলাইন যাবে বিহার-ঝাড়খণ্ড হয়ে। এ জন্য খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি, বাল্টিকুরি রেলের একাধিক লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরে। খড়্গপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। হাওড়া, বালি, কামারহাটি ও বরাহনগরে প্রস্তাবিত জল প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এর মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটও। তিনি বলেন, “রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।” ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত চার লেনের জাতীয় সড়কের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন রামপুরহাট, আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ নয়া রেললাইনেরও। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। রামপুরহাট-মুরারই থার্ড লাইনের উদ্বোধনও করেছেন।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আরামবাগে সাত হাজার কোটি টাকার বিকাশ যোজনার প্রকল্পের শিলান্যাস ও সূচনা করেছি, আজও ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও সূচনা করছি। এর ফলে রোজগারের নতুন পথ খুলবে। বাংলার যুবক-যুবতীদের সহায়তা করবে। রাজ্যকে বিকশিত ভারতের অংশ করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় খুন হলেন বীরভূমের নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer)। ঘটনা কীভাবে ঘটল এবং সত্যতা জানতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ঘোষ পরিবার। নাচের শিক্ষক হিসাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতেন তিনি (Amar Nath Ghosh)। সম্প্রতি তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ফোনে জানতে পারেন যে তিনি খুন হয়েছেন। এরপর থেকেই পরিবারের ছেলেকে নিয়ে তীব্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সকলে।

    গুলি করে হত্যা করা হয়েছে (Indian Dancer Amarnath Ghosh)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়িতে বাড়ি ছিল অমরনাথের (Amarnath Ghosh)। তাঁর নিজের পেশা ছিল নাচ শেখানো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের বন্ধু বলে পরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, “অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকার রাস্তায় খুন হয়েছেন। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।” এরপর একই ভাবে টিভি অভিনেত্রী দেবোলিনা ভট্টাচার্য শুক্রবার এই খুনের সম্পর্কে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। পরিবার এবং আত্মীয়রা দারুণ আশঙ্কায় দিনপাত করছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    খুনের সংবাদ পেয়ে অমরনাথের (Amarnath Ghosh) কাকিমা ভাগবতী ঘোষ বলেন, “দুই বছর আগে অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকায় যান। তবে অমরনাথের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত বেশ কিছু দিন ধরে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের এক বন্ধু প্রবীণ পাউল ওরফে ক্রিস আমাদের এক আত্মীয়কে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। তবে কী ভাবে হল, এখনও আমরা জানতে পারিনি।” ঘটনায় পরিবার অত্যন্ত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বীরভূম জেলা শাসক এবং পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। আবার অমরনাথের ছোট কাকা শ্যামাল ঘোষ বলেন, “ফোনে অমরনাথের সঙ্গে আমার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আসে ওঁকে খুন করা হয়েছে। তাই পুলিশ–প্রশাসনের কাছে সত্যতা জানতে আসলাম।”

    কে ছিলেন অমরনাথ? (Indian Dancer)

    অমরনাথ (Amarnath Ghosh) নিজে একটা সময়ে কলকাতায় থাকতেন। তিনি একজন পেশাদার ভরতনাট্যম এবং কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে নৃত্য বিষয়ে এমএফএ-তে পড়াশুনা করছিলেন। একই ভাবে চেন্নাইয়ের কলাক্ষেত্র একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কুচিপুড়ি নৃত্যের জন্য জাতীয় বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি ববিতা দে সরকার, শ্রী এম ভি নরসিংহচারী এবং পদ্মশ্রী আদ্যার কে লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছিলেন। দেবোলিনা ভট্টাচার্যের নিজের এক্স হ্যন্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer) পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাঁর মা মারা গেছেন তিন বছর আগে। আবার শৈশবে তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি।”

    দূতাবাসের বক্তব্য

    শিকাগোতে ভারতীয় কনস্যুলেট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, “মৃত অমরনাথ (Amarnath Ghosh) ঘোষের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা ফরেনসিক পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুসরণ করছি। পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহায়তা প্রদান করছি। বন্দুক হামলায় মৃত্যুর তদন্তের জন্য সেন্ট লুইস পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মামলাটি জোরালো ভাবে তুলে ধরেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: রবিবারই রাজ্যে আসছে ফুল বেঞ্চ, কমিশনের চিন্তায় জামিন-অযোগ্য মামলা

    Loksabha Vote: রবিবারই রাজ্যে আসছে ফুল বেঞ্চ, কমিশনের চিন্তায় জামিন-অযোগ্য মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই, দেশে বেজে যাবে নির্বাচনের দামামা। তার আগে, রবিবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এসবের মধ্যেই বকেয়া জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোনায়াই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিশনের।

    রবিবার রাজ্যে কমিশনের ১৩ সদস্যের টিম

    রাত পোহালেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, ৩ মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতায় আসছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে দুপুর নাগাদ রাজ্যে পা রাখবেন ইসি, ডেপুটি ইসি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সহ মোট ১৩ জন সদস্য। রবিবার দুপুর আড়াইটে থেকে চারটের মধ্যে তাঁরা কলকাতায় আসবেন বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে (Loksabha Vote)। ফুল বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে থাকছেন অরুণ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র শর্মা, নীতেশ ব্যাস প্রমুখ। সেক্ষেত্রে ৩ মার্চের বৈঠক রাজীব কুমারের অনুপস্থিতিতেই হতে পারে। তবে, পরের দিনের যে বৈঠক, তার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকছে বলেই জানা গিয়েছে।

    আগামী ২ দিন পর পর বৈঠক কমিশনের

    সূত্রের খবর, সোমবার ৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে কমিশন। এই বৈঠকের পরেই হবে জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আলাদা বৈঠকে বসবে কমিশন। পুলিশ কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনার, আইজি-রা থাকবেন সেই বৈঠকে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কমিশন পৃথক বৈঠক করবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে (Loksabha Vote)।

    কমিশনের চিন্তায় জামিন-অযোগ্য মামলা

    এই পরিস্থিতিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনকে। তার কারণ, এক সপ্তাহ আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছিল ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে যেন অতি অবশ্যই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে পৌঁছে দেওয়া হয়। অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে গ্রেফতার করা (Loksabha Vote)। সেই মোতাবেক গত সপ্তাহের শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত নির্দেশকে কার্যকর করতে বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। যখন এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন সংখ্যাটা ছিল লক্ষাধিক যা এই মুহূর্তে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি বলেই জানা গিয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এক্সিকিউটেড জামিন অযোগ্য মামলার সংখ্যা ৭৩ হাজার ৩৬৬।

    গতকালই রাজ্যে চলে এসেছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    এদিকে, গতকালই রাজ্যে চলে এসেছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটারদের (Loksabha Vote) মধ্যে ভয় দূর করতে এবং সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোট ঘোষণার আগে কমিশনের এমন পদক্ষেপ কার্যত নজিরবিহীন। কমিশনের সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক কতটা উদ্বেগজনক। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সূত্রের খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার সংখ্যা কমানোর বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাতে ভোটাররা ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন এবং নিজেদের ভোট দিতে পারেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলেই কড়া পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলেই কড়া পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। তার আগে নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, প্রত্যক্ষ তো বটেই, পরোক্ষভাবেও যদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করবে কমিশন।

    আট আচরণ বিধি

    সব মিলিয়ে আটটি আচরণ বিধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। এগুলি হল—

    ১. নির্বাচনী (Lok Sabha Elections 2024) প্রচার চলাকালীন এমন কোনও মন্তব্য বা আচরণ করা যাবে না, যার ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বা হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    ২. কোনও ধর্মীয় স্থানকে প্রচারের মঞ্চ বানানো যাবে না। ভোট আদায়ের জন্য জাত বা ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানো যাবে না।

    ৩. কারও সমালোচনা করতে হলে কার্যকলাপ ও নীতির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।

    ৪. ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে ভুয়ো কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না ভাষণে। কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা যাবে না।

    ৫. রাজনৈতিক দলের প্রচারে (Lok Sabha Elections 2024) যাতে কোনওভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করা না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে।

    ৬. ভিত্তিহীন বা ভুয়ো বিজ্ঞাপন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

    ৭. খবরের মোড়কে কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।

    ৮. সমাজমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না, যা আপত্তিকর ও রুচিহীন।

    কমিশনের ফুল বেঞ্চ

    রবিবারই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এদিন সন্ধে ছ’টায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বেঞ্চের সদস্যদের। বৈঠকে থাকবেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আসবেন রবিবার রাতে। ফুল বেঞ্চের সদস্য সংখ্যা ১৩। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অরুণ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র শর্মা, নীতেশ ব্যাসও। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। তাদের কার, কী অভিযোগ, তা শুনবেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা। এই বৈঠকের পরেই জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের নিয়ে হবে পৃথক বৈঠক। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গেও বৈঠক করবে কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: কল্যাণীর এইমস আটকাতে চেয়েছিল তৃণমূল সরকার, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কল্যাণীর এইমস আটকাতে চেয়েছিল তৃণমূল সরকার, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। শনিবার ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন কৃষ্ণনগরের সভায় তাঁর ভাষণে উঠে আসে কল্যাণীর এইমস হাসপাতাল। তিনি জানান, কল্যাণীতে এইমস যাতে না হয় তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষায়, ‘‘এখানে তৃণমূল সরকার বাংলাকে নিরাশ করছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা, দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গকে প্রথম এইমস দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও বাধা দিতে চেয়েছিল। মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হওয়ার গ্যারান্টি। পশ্চিমবঙ্গে বদল চাই। বাংলার বিকাশ হলে দেশের বিকাশ হবে।’’ মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার লোককে গরিব বানিয়ে রাখতে চায়।’’

    গত ১০ বছরে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘তৃণমূল গুন্ডামি, তোলাবাজির অনুমতি দেয়। কিন্তু কল্যাণীতে এইমসের জন্য ছাড়পত্র দিতে চায় না। কমিশন না দিলে তৃণমূল সরকার পারমিশন দেয় না।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও জানান যে আয়ুষ্মান প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য আটকে রেখেছে তৃণমূল সরকারই। পশ্চিমবঙ্গে আগে ১৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। বিজেপির আমলে তা গত ১০ বছরে বেড়ে ২৬টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    তৃণমূলের অর্থ

    এদিন তৃণমূলের নয়া অর্থও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (Krishna Nagar Meeting of PM Modi) বলেন, “এখন তৃণমূলের অর্থ হল, তু, ম্যায় আউর করাপশন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে বাংলার মায়েদের ভোট নিয়েছে। কিন্তু আজ মা-মাটি-মানুষ কাঁদছে। সন্দেশখালির মায়েদের কথা তৃণমূল শোনেনি। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে কখন গ্রেফতার হবে।” প্রসঙ্গত, শুক্রবারই আরামবাগের সভা থেকে রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি, রেশন দুর্নীতি, গরু পাচার সহ নানা দুর্নীতির বিষয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যথা হল না কৃষ্ণনগরের সভায়ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: খেলাকেই ‘অগ্রাধিকার’, লোকসভা নির্বাচনের আগে কী বললেন গম্ভীর, যুবরাজ?

    Gautam Gambhir: খেলাকেই ‘অগ্রাধিকার’, লোকসভা নির্বাচনের আগে কী বললেন গম্ভীর, যুবরাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শুরু হতে চলেছে ক্রিকেট ও বিনোদনের ককটেল আইপিএল। এই আবহে খেলাতেই মন দিতে চাইছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) ও গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ২০১৪, ২০১৯ দুটো লোকসভা নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এবার জিতলে হ্যাটট্রিক হবে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার খেলাধুলো, অভিনয় বিভিন্ন জগতের তারকাদের ভোটের ময়দানে নামাতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এই সময়ে রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে থাকার কথা ঘোষণা করলেন যুবি ও গোতি।

    আইপিএল-এ নজর গম্ভীরের

    লোকসভা ভোটে প্রার্থী না হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা পোস্ট করে এই কথা জানান প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গৌতম লেখেন, ‘আমি দলের মাননীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে অনুরোধ করেছি যাতে আমাকে আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ক্রিকেট বিষয়ক আমার কমিটমেন্ট যাতে আমি রক্ষা করতে পারি এবং সেগুলির ওপরে যাতে আমি ফোকাস করতে পারি, তার জন্যেই এই অনুরোধ। আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জয় হিন্দ!’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে গৌতম গম্ভীরকে পূর্ব দিল্লি আসন থেকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। গতবার এই আসন থেকে প্রায় ৪ লাখের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। 

    যুবরাজের ভাবনা

    নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেলে যুবরাজও (Yuvraj Singh) জানিয়েছেন, ”আমি গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমার আবেগ বিভিন্ন ক্ষমতার লোকেদের সমর্থন করা এবং সাহায্য করা। আমি আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এটা করব। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করি আমরা।”

    উল্লেখ্য, শুধু যুবরাজই নয়, ভোটে ঝড় তুলতে এবার বীরেন্দ্র সহবাগ, অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউতের মত তারকাদেরও টিকিট দিতে পারে বিজেপি, এমনটাই নাকি শোনা যাচ্ছে।  যুবরাজকে যে গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিল, সেই এলাকা থেকে এর আগে প্রয়াত বিনোদ খান্না জিতেছিলেন ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০১৪ সালের ভোটে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এরপর সানি দেওল যেতেন এখান থেকে। তবে পরবর্তীতে নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তারকা অভিনেতা। ফলে সেই জায়গাতেই যুবিকে টিকিট দেওয়ার ভাবনা ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Krishnanagar Rally: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi Krishnanagar Rally: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে।” শনিবার কৃষ্ণনগরের জনসভায় বঙ্গ বিজেপিকে এই লক্ষ্যমাত্রাই বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Krishnanagar Rally)। বাংলায় লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন ৩৫টি আসন। আর আজ প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ৪২-এ ৪২-ই চাই।

    তৃণমূলের অর্থ

    এদিন তৃণমূলের নয়া অর্থও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (Modi Krishnanagar Rally) বলেন, “এখন তৃণমূলের অর্থ হল, তু, ম্যায় আউর করাপশন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে বাংলার মায়েদের ভোট নিয়েছে। কিন্তু আজ মা-মাটি-মানুষ কাঁদছে। সন্দেশখালির মায়েদের কথা তৃণমূল শোনেনি। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে কখন গ্রেফতার হবে।”

    ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা

    গতবারের চেয়ে এবার যে আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফিরতে হবে, তা ঢের আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন তিনি ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন। পরে অন্য এক জনসভায় জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পাবে ৩৭০টি আসন। আর বাকি ৩০টি আসন পাবে এনডিএ জোটের শরিকদলগুলি।”

    বাংলায় ৪২-এ ৪২-ই

    এর পরেই বাংলায় এসে বিজেপি কর্মীদের সামনে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রী (Modi Krishnanagar Rally) জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রয়োজন ৪২-এ ৪২টি আসনই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেভাবে রাজ্য সরকার চলছে, তা বাংলাকে নিরাশ করে দিয়েছে। এই সরকার বারংবার এত সমর্থন পেলেও, তাঁরা অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকের দ্বিতীয় নাম হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন নয়, শাসক দলের কাছে পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি অগ্রাধিকার পেয়েছে। তৃণমূল বাংলার লোককে গরিব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওরা ওদের খেলা চালিয়ে যেতে পারে।”

    আরও পড়ুুন: “টিএমসি মানেই তু, ম্যায় অউর করাপশান”, জনসভায় তোপ মোদির

    শুক্রবারই আরামবাগের সভা থেকে রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi Krishnanagar Rally)। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি, রেশন দুর্নীতি, গরু পাচার সহ নানা দুর্নীতির বিষয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যথা হল না কৃষ্ণনগরের সভায়ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু জেলায় জেলায়

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু জেলায় জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও সরকারিভাবে বাজেনি লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) দামামা। কিন্তু, তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। ইতিমধ্যেই বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায়। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী। ইতিমধ্যে দুই কোম্পানি বর্ধমানের শক্তিগড় এবং দেওয়ানদিঘি থানা এলাকায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত মানুষের বাড়িতেও বাহিনী যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    বাহিনীর নজরে সন্দেশখালি (Lok Sabha Election 2024)

    লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা এখন কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই বিশেষ ভাবে তৎপর। কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যের পরিস্থিতিকে খতিয়ে দেখতে বঙ্গে আসছে। তাই নির্বাচন কমিশন আসার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জেলায় জেলায়। দুই ২৪ পরগনার মধ্যে সংবেদনশীল জায়গাগুলির মধ্যে বিশেষ করে সন্দেশখালি এবং তৎসংলগ্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে বিশেষ বৈঠক করা হয়েছে। নির্বাচনে সিআরপিএফ রাজ্যে মোতায়েন বিষয়ে নোডাল সংস্থা স্থাপনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি আসবে

    সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি আসবে রাজ্যে। এরপরে আরও ৫০ কোম্পানির ফোর্স নামতে পারে রাজ্যে। যদিও এখন নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের প্রতি জেলায় ৫ কোম্পানি করে রাখতে চাইছে কমিশন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশ সুপারের অধীনে কাজ করবে। কমিশনের বক্তব্য, “ভোটের আগে মূলত মানুষের মনকে সন্ত্রাসের ভয় থেকে মুক্ত করতে এই বাহিনীর মোতায়েন করা হবে।” একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল রুটমার্চ করেছে আজ। ভোটারদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে আগেরবার ভোট দিতে পেরেছিলেন কিনা। সবটা মিলিয়ে কমিশন, লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে থেকেই এই রাজ্যের প্রেক্ষাপটে বেশ সাক্রিয় এবং তৎপর।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের পরে কৃষ্ণনগরেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। নিজের ভাষণে সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তৃণমূলের নতুন নামকরণও নমো। একইসঙ্গে বাংলার মাটিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘‘বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছে’’

    তৃণমূল নেতারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছে বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অপরাধী গ্রেফতার হোক।  কিন্তু বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়ানোয় এবং বিজেপির নেতারা তাদের পাশে থাকায় রাজ্য সরকার মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আরও সংযোজন, ‘‘এখন মা মাটি-মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে।  সন্দেশখালির বোনেরা ইনসাফ চাইছে, তৃণমূল সরকার কর্ণপাতও করেনি। বাংলার এমন অবস্থা যে, পুলিশ নয়, এখানে অপরাধী ঠিক করে সে কবে আত্মসমর্পণ করবে, কখন তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’

    টিএমসি সরকার কেলেঙ্কারির মাস্টার

    রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে বাধা দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য, নারী বিকাশের মতো একাধিক প্রকল্প আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। ঘরে ঘরে জল প্রকল্পেও তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ মোদির (PM Modi)। রাজ্যে ২৫ লক্ষ ভুয়ো মনরেগা কার্ড তৈরি হয়েছে। যার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার টিএমসি সরকারকে কেলেঙ্কারির মাস্টার বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।

    গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী

    মোদির ভাষণে এদিন উঠে আসে রেশন কেলেঙ্কারির কথাও। তিনি বলেন, ‘‘এরা গরিবদের রেশন লুট করতেও পিছপা হয় না।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, এটা মোদির গ্যারান্টি। বিজেপি কর্মীদের আগামী কয়েকদিনের কর্মসূচিও ঠিক করে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে আগামী ১০০ দিন ধরে বলতে বলেন, মোদিজী এসেছিলেন আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share