Blog

  • CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    CAA: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই যে সিএএ (CAA) চালু হবে, বিভিন্ন সময় তা দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার জানা গেল, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই লাগু হয়ে যেতে পারে সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রেই এ খবর মিলেছে। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই চালু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। জানা গিয়েছে, তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জারি করতে পারে সিএএ নোটিফিকেশন।

    সিএএ

    সিএএ (CAA) আইনে পরিণত হয় ২০১৯ সালে। এতদিন তা লাগু হয়নি। তবে এবার লাগু হবে ওই আইন। এবং তা হবে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “শীঘ্রই জারি হতে পারে সিএএ বিধিগুলি। আইনটি কার্যকরের পাশাপাশি যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজও শুরু করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তা চালু করতে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।” তিনি বলেন, “সিএএ আইন প্রস্তুত। তৈরি অনলাইন পোর্টালও। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে।”

    কী বললেন শাহ?

    দিন কয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সিএএ দেশের আইন। এ ব্যাপারে অবশ্যই নোটিশ জারি হবে। নোটিশ জারি হবে নির্বাচনের আগেই। এনিয়ে কোনও দোটানা থাকার কথাই নয়।”

    দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সংসদে সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় সেটি পরিণত হয় আইনে। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলমান ধর্মাবলম্বী দেশগুলি থেকে যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে সে দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে নয়াদিল্লি। উনিশে পাশ হলেও, এখনও কার্যকর হয়নি সিএএ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই আইনই লাগু করতে নোটিফিকেশন করতে চলেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    সিএএ (CAA) নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে তড়িঘড়ি আন্দোলনে নেমে পড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বাংলায়ও ব্যাপক আন্দোলন হয়। সেসবে আমল না দিয়েই সিএএ আইন করে মোদি সরকার। যার সুফল কুড়োবেন ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা শরণার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলায় যেখানে যেখানে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে আছে আগামীদিনে তা বেরিয়ে আসবে। ১লা মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগে জনসভার আগে মঙ্গলবার আরামবাগে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আরও একবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।  তিনি বলেন,  হুগলি থেকেই আমি দাঁড়াচ্ছি। হুগলি ছেড়ে কোথাও যাব না। হুগলি থেকে জিতেই আবার সংসদে যাব।

    সন্দেশখালিতে নিয়ে সরব বিজেপি সাংসদ (Locket Chatterjee)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকা মানুষ একে একে মুখ খুলছেন। জনরোষ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। পার্টি অফিসে ডেকে সুন্দরী মহিলাদের পর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। সন্দেশখালির এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ (Locket Chatterjee) বলেন, সন্দেশখালির  ঘটনা খুব দুঃখজনক।‌ সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই জমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরানো শুরু হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণিত যে সন্দেশখালির ঘটনা সত্য। যা হয়েছে তা উস্কানি নয় এবং সত্য ঘটনাই  মহিলাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে।‌

    মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন লকেট

    লকেট (Locket Chatterjee) বলেন, বিগত ১২বছর ধরে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে মহিলাদের অত্যাচারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মহিলা পাচার পর্যন্ত হচ্ছে। খানাকুলে একজন মহিলাকে পুলিশ মেরেছে। এটা মেনে যাও সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মহিলা শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এই মহিলা শক্তিই পারবে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে আনতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) জয়রাম ঠাকুর। গত নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সুখবিন্দর সিং সুখু। সুখবিন্দরের নেতৃত্বে সরকারই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি বিজেপির।

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার

    বুধবার বাজেটে পেশ হবে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল বাজেট পেশ হবে। আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করব। তখনই আমরা পরিস্থিতি বিচার করব। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।” মঙ্গলবার রাজ্যসভার নির্বাচন হয় হিমাচল প্রদেশে। বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবেন বলে আশা কেন্দ্রের শাসক দলের। রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। তার মধ্যে ৬৭ জন বিধায়ক শিমলায় রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে (BJP) তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই ভোট দিতে আসেননি বিধায়ক কংগ্রেসের সুদর্শন সিং বাবলু।

    রাজ্যসভায় লড়াই

    হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভার প্রার্থী নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন হর্ষ মহাজন। হর্ষ কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়ে তিনবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন মন্ত্রীও। বাইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেস বধে রাজ্যসভায় তাঁকেই লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি। তিন নির্দলের সমর্থনও রয়েছে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে হিমাচল প্রদেশে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ২৫ জন। তাই কংগ্রেসকে হারানো সম্ভব নয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দলীয় প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে জেতাতে রবিবারই বিধায়কদের হুইপ জারি করে কংগ্রেস। হুইপ মেনে কংগ্রেসের প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁদের অথরাইজড এজেন্টকে ব্যালট দেখাতে হবে। কোনও বিধায়ক যদি ব্যালট প্রদর্শন করতে না চায়, তাহলে তাঁর ভোট অবৈধ বলে গণ্য হবে। সোমবারই বিজেপির প্রার্থী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে কংগ্রেসের জারি করা তিন লাইনের হুইপের বিষয়ে অভিযোগ জানান। বিজেপির মতে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে হুইপ জারি করাটা অনৈতিক। হর্ষ বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনতর হুইপ জারি করা যে কেবল অনৈতিক তা নয়, এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আচরণের বিরোধীও। কারণ হুইপ জারি করা হলে তা প্রভাব ফেলবে বিধায়কদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Hooghly: কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত মা শান্তা জেলে বিরিয়ানি খেতে চান

    Hooghly: কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত মা শান্তা জেলে বিরিয়ানি খেতে চান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বিরিয়ানি খেতে চান কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত শান্তা ও তার বান্ধবী। আর যদি তা না পান তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করবে না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত শান্তা শর্মাকে রাখা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। অপরে বান্ধবী ইফফাত পারভিন বন্দি রয়েছে শ্রীরামপুর (Hooghly) মহিলা থানায়। উল্লেখ্য জেরা করার সময় পারভিনকে উত্তরপাড়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলে বসে এই খাবারের আবদারে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    পুলিশ সূত্রে বক্তব্য (Hooghly)

    আট বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে মা এবং বান্ধবী। উল্লেখ্য যদিও কেউ এখনও পর্যন্ত খুনের বিষয় নিয়ে নিজের মুখে কিছুই স্বীকার করেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “দুজনেই জেলের (Hooghly) খাবার খাইতে চাইছে না। সন্তান খুনের গ্রেফতার হওয়া শান্তা চেয়েছে বিরিয়ানি খেতে। তার বান্ধবী ইফফাত আবার চায় চাইনিজ খাবার খেতে। যদিও কাউকেই তাদের পছন্দের খাবার দেওয়া হয়নি। খাবারের জন্য কেউ তদন্তে সহযোগিতা করছে না।” এই আজব দাবিতে অবাক সকলে। শিশুখুনে অভিযুক্ত শান্তা এবং পরভিন ৯ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। কিছু তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে। ধৃতদের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু দুজনে তদন্তে অসহযোগিতা করছে বলে বিষয় উঠে এসেছে।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কোন্নগর (Hooghly) হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “ধৃত দুই অভিযুক্ত মুখরোচক খাবার খেতে চাইছে। কেউ বিরিয়ানি আবার কেউ চাইনিজ খাবার। জেলের ডাল-ভাত বা রুটি কোনও পদই তাদের মুখে রোচে না। পছন্দের খাবার না পেয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছ দুই প্রধান অভিযুক্ত।”

    গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্র শ্রেয়াংশু শর্মার খুনের চারদিন পর তার মা এবং বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দাম্পত্য কলহ এবং শান্তা-পারভিনের সমকামী সম্পর্কের কারণ খুন হতে হয়েছে শিশুকে। তবে এখনও জেরায় কেউ হত্যার কথা শিকার করেনি। তার মধ্যেই অভিযুক্তদের আজব দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের পরিস্থিতি একদম আলাদা। আজ মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া এবং নবগ্রামের বাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হোক। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

    হরিহরপাড়ায় নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ (Murshidbad)

    নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িতলা মাঠ এলাকায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৪.২ কিলোমিটার রাস্তা, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে লোচনমাটি মাঠ থেকে স্বরুপপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছিল। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাথর যেখানে ৯ ইঞ্চি মোটা রাস্তার কথা, সেখানে করা হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি। আবার যেখানে ৩ ইঞ্চি হওয়ার কথা সেখানে দেড় ইঞ্চি হচ্ছে। এমনকী কাজের বোর্ড না টাঙিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।

    নবগ্রামে রাস্তার পিচ আঙুল দিয়ে তোলা যাচ্ছে

    এই জেলায় (Murshidbad) পথশ্রী প্রকল্পে নবগ্রাম ব্লকের ঘুরা-পাশ্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১.৪০ মিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ পেয়েছে এসএস এন্টারপ্রাইজ। ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫১ টাকার এই কাজ মিনারেলের বাড়ি থেকে দুর্গা মন্দির পর্যন্ত পিচ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শেষ হওয়ার পরেই এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে আর তাই নতুন রাস্তার প্রলেপকে সামান্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে উঠে যাচ্ছে পিচ। ঠিকাদার সংস্থা যেভাবে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে তা দু একদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসীরা। অপরে ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার নবগ্রামের বুড়া পাঁচলাই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির জেলা (Murshidbad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে টাকা লুট করছে। রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নওদার বিডিও অফিসে ইডি-সিবিআই তাল্লশি করতে গিয়েছিল। আগামী দিনে তৃণমূলের সব চোরদের জেলে ভরা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (Dubai Tourist Multiple Visa) দিচ্ছে দুবাই। এই ভিসায় ভারত ও গলফ দেশগুলিতে যাতায়াত করতে পারবেন তাঁরা। এ কথা জানিয়েছে দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনোমি অ্যান্ড ট্যুরিজম।

    প্রাক-করোনা পর্বের হিসেব

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২.৪৬ মিলিয়ন ভারতীয় দুবাই গিয়েছিলেন। প্রাক-করোনা পর্বের পর এবার এটা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। প্রতি বছরই দুবাই যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যাটাই ভারতের নম্বর ওয়ান সোর্স মার্কেট। ফি বছর যা বাড়ছে ৩৪ শতাংশ করে। এক বছর আগেও (Dubai Tourist Multiple Visa) ভারত থেকে দুবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন ১.৮৪ মিলিয়ন পর্যটক। অথচ উনিশ সালে করোনা অতিমারি পর্বের আগে এ শহরে পা রেখেছেন ১.৯৭ মিলিয়ন ভারতীয় পর্যটক। করোনা-পর্বে নানা নিষেধাজ্ঞার জেরে দুবাই ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা কমলেও, ফের তা বাড়তে শুরু করেছে।

    মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

    জানা গিয়েছে, এখন প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়রা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য দুবাই চলে যেতে পারবেন। প্রতিবার তাঁরা সেখানে থাকতে পারবেন টানা তিন মাস করে। এই ভিসার মেয়াদ আবারও তিন মাসের জন্য এক্সটেন্ড করা হবে। তবে সারা বছরে সব মিলিয়ে ১৮০ দিনের বেশি করা হবে না। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেতে গেলে আবেদনকারীকে কয়েকটি যোগ্যতামান পার হতে হবে। এরই একটি হল, ব্যাঙ্কে আবেদনকারীর অন্তত ৪ হাজার মার্কিন ডলার ব্যালেন্স থাকতে হবে। বিদেশি মুদ্রায় সম পরিমাণ অর্থ থাকলেও মিলবে ওই ভিসা।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    এর পাশাপাশি আবেদনকারীর থাকতে হবে স্বাস্থ্য বিমাও। যে বিমা কার্যকরী হবে সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে। এই ভিসার সাহায্যে আবেদনকারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা কাজে দুবাই যেতে-আসতে পারবেন। অবসর বিনোদনের জন্যও যেতে পারবেন ওই দেশে। দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমি অ্যান্ড ট্যুরিজমের রিজিয়নাল হেড অফ প্রক্সিমিটি বাদের আলি হাবিব বলেন, “দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ভারত আমাদের এই বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডি৩৩ এজেন্ডার লক্ষ্যে পৌঁছতেই ভারত এটা করবে। ক্রমেই দুবাই হবে উঠবে একটি বিজনেস হাব, লগ্নি ও ট্যুরিজম কেন্দ্র (Dubai Tourist Multiple Visa)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Fastest T20I Century: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি! জানেন দ্রুততম ১০০ করলেন কে?

    Fastest T20I Century: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি! জানেন দ্রুততম ১০০ করলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে কম বলে শতরান (Fastest T20I Century) করলেন নামিবিয়ার ২২ বছরের অল-রাউন্ডার নিকোল লফটি-ইটন। নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ বলে শতরান করেন নামিবিয়ার এই অলরাউন্ডার। ঠিক একবছর আগে এই দিনেই দুর্দান্ত এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন নেপালের কুশল মাল্লা। ঠিক এক বছর পরে এদিন তাঁর চোখের সামনে সেই বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিলেন ইটন। 

    ইটনের রেকর্ড

    মঙ্গলবার নেপালের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক শতরান (Fastest T20I Century) করার পথে জান নিকোল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। তিনি ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে। শেষমেশ ৩৬ বলে ১০১ রান করে আউট হন ইটন। ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ২০৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে নামিবিয়া। নিকোলের শতরান ছাড়া লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার মালান ক্রুগার। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচে ২০ রানের ব্যবধানে নেপালকে হারিয়ে দেয় নমিবিয়া। পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ১৮.৫ ওভারে ১৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়।

    কুশলের রেকর্ড

    এমন মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কুশল মাল্লা (Kushal Malla)। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর টি-২০ ফরম্যাটে দ্রুততম সেঞ্চুরি (Fastest T20I Century) করেছিলেন নেপালের (Nepal) ব্যাটার। তাঁর সেঞ্চুরি এসেছিল ৩৪ বলে। এবার সেই কুশলের সামনেই তাঁর রেকর্ড ভেঙে গেল। কারণ নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে সেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন জান নিকোল লফটি-ইটন। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে এশিয়ান গেমসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন কুশল। মাত্র ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তাঁর সেই ইনিংস ৮টি চার ও ১২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরান করার পথে নেপালের সেই ব্যাটার ভেঙে দিয়েছিলেন ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও চেক প্রজাতন্ত্রের সুদেশ বিক্রমাশেখরার নজির।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। তাতে অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বুধবার থেকে দু’দিনের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির নির্দেশ, সর্বাধিক দেড়শো জনের জমায়েত নিয়ে ধর্না করতে হবে। মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরই। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধর্না সাংবিধানিক অধিকার। একমাত্র উপযুক্ত (Sukanta Majumder) কারণ থাকলে তবেই এই অধিকার খর্ব করা যায়। বুধবার থেকে আগামী দু’দিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধর্নায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে তিন দিনের ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সে কথা জানিয়ে সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পদ্ম শিবির জানিয়ে দেয়, যে এলাকায় ধর্নায় বসা হবে, তার আশপাশে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি মিলেছে বলেও জানিয়ে দেয় বিজেপি। এর পরেই শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে বসার অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা! সন্দেশখালির পথে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

    রেশন বিলি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। তার পরেও কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান এই তৃণমূল নেতা। এর পরেই শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ওঠে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। তাঁদের আন্দোলন দমন করতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ-বিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির জেরে গাড়ি থেকে নীচে পড়ে যান সুকান্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। টানা তিন দিন বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এর পর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চান তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘অজুহাতে’ তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতে মিলল অনুমতি (Sukanta Majumder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Paschim Medinipur: এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি!

    Paschim Medinipur: এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের কোল্লা গ্রামে (Paschim Medinipur)। মঙ্গলবার সাত সকাল থেকেই দেখা যায় ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। গতকাল সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক ভাবে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল এলাকায়।

    প্রকশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের কোল্লা গ্রামে জলসাকে ঘরে বিরাট গোলমাল বাধে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষের দাবি, বোমা বাজি করে আমাদের জলসা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল ওরা। পালটা অপর পক্ষের দাবি, নির্বাচনী চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় এক নেতাকে। কিন্তু অপর পক্ষের পছন্দ না হওয়ায় আচমকা বোমা নিয়ে হামলা করে। ঘটনায় বিরাট উত্তেজনা শুরু হলে পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই ছিল উত্তাল

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এই কোল্লা গ্রাম (Paschim Medinipur) ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক বার নিজেদের মধ্যে তৃণমূলের অন্দরে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের টিকিট না পেয়ে কিছু তৃণমূল নেতা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জয় লাভ করেছিল। এরপর তাদের আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এলাকায় বুথ সভাপতি এবং ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে মূলত দ্বন্দ্ব বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচনে আম চিহ্নে জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যুক্ত হলে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।

    নির্দল-তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) বুথ তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমানের অনুগামী আব্বাস উদ্দিন খান বলেন, “আমি আম চিহ্নে জয়ী হলে বর্তমান তৃণমূলের কর্মীরা হামলা করে এবং এরপর বোমাবাজি করে।” অপর দিকে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, “জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share