Blog

  • Primary TET: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র করুণাময়ী

    Primary TET: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র করুণাময়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির দাবিতে (Primary TET) বিক্ষোভ, আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সল্টলেকের করুণাময়ী। মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। টেনে-হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কয়েক জনকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে তোলাও হয় এদিন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক জন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন বলে খবর।

    বলপ্রয়োগ পুলিশের…

    মঙ্গলবার করুণাময়ী মোড়ে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে বসে পড়ে বিক্ষোোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের (Primary TET) দাবি, ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ হলেও, এখনও কোনওরকম ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তাই নিয়োগের দাবিতে এই বিক্ষোভ। এই আন্দোলনের জেরে যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ী মোড়ে। আটকে পড়ে যায় বহু গাড়ি। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বললেও, তাঁরা কোনওভাবেই রাজি হননি। এর পরই বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। জোর করে সরানোর চেষ্টা করলে দুই পক্ষের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি 

    বিক্ষোভকারীরা দাবি জানায়, ২০২৩ সালের টেটের ফলপ্রকাশের আগে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ ছ’জন বঞ্চিতদের সুযোগ দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলি হল- সকল জেলার শূন্যপদে নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে পর্ষদকে দিতে হবে, শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় সব প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করতে হবে, ছাত্র-শিক্ষকদের অনুপাত অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তাঁরা আরও দাবি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণদের নাম, ক্রমিক সংখ্যা, কোন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, টেটে প্রাপ্ত নম্বর, জাতি শংসাপত্র-সহ সব তথ্য পিডিএফ আকারে অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। ঠিক এই আবহে সামনে এসেছে, নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ‘এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ’-এর কড়া বার্তা। আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে তাঁরা আত্মহত্যার পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পরে দ্রুত দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhruv Jurel: বাবা সৈনিক, লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই সফল ভারতের ‘নতুন ধোনি’ জুরেল

    Dhruv Jurel: বাবা সৈনিক, লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই সফল ভারতের ‘নতুন ধোনি’ জুরেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে রাঁচীতে জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন ধ্রুব জুরেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে দু’টি ইনিংসেই তাঁর লড়াই নজর কেড়ে নিয়েছে। সেই ধ্রুব জুরেল ম্যাচের পরেই একটি বার্তা পোস্ট করেছেন রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়ের উদ্দেশে। তাঁর উপরে আস্থা রাখার জন্য অধিনায়ক এবং কোচকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার। 

    ধ্রুবের জেদ

    উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহর থেকে উঠে এসেছেন জুরেল। বাবা নেম চাঁদ ছিলেন ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সেনা। ছোটবেলার জেদই তাঁকে ক্রিকেটে নিয়ে এসেছে। ছোটবেলায় বাবা-মা চাইতেন না ধ্রুব ক্রিকেটে আসুক। তাঁরা চাইতেন সেনা অফিসার করতে। কিন্তু নিজের জেদেই ক্রিকেটে আসেন জুরেল। রাঁচি টেস্টেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে বাবাকে সাফল্য উৎসর্গ করেছিলেন। বাবাকে স্যালুট জানিয়ে তাঁকে সম্মানও জানান জুরেল। 

    কী বললেন জুরেল

    ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে  জুরেল বলেন, “আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। প্রথম ইনিংসে আমাদের রান দরকার ছিল। আমি জানতাম, যতটা বেশি রান করতে পারব, তত ভাল। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে আমাদেরই ব্যাট করতে হত। সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেছি।” ৯০ রানের পথে নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন জুরেল। সেই কারণে শুধু নিজেকে নয়, বাকিদেরও সমান কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। জুরেল বলেন, “শেষ দিকে কয়েকটা জুটি হয়েছিল। তাই ওদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। আমি শুধু বল দেখে সেই অনুযায়ী খেলছিলাম। খুব বেশি কিছু ভাবার চেষ্টা করিনি।”

    জুরেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোহিত

    ‘‘ধ্রুব জুরেল ওর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলছে। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ও। ইনিংস চলাকালীন ও নিজের ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। উইকেটের চারপাশে শট খেলেছে ও। প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের ইনিংস খেলেছিল। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমন গিলের সঙ্গে দারুণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করে ও। চাপটা ভালোই সামলেছে।’’

    তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে রোহিত বাড়তি উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘‘তরুণ খেলোয়াড়রা জাতীয় দল পর্যন্ত পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এবং সেই পারফরম্যান্স দিয়ে এখানে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ওদের থেকে যে সাড়াটা আমি পেয়েছি, তা উৎসাহজনক। আমার আর রাহুল (দ্রাবিড়) ভাইয়ের কাজ হল, ওদের খেলার জন্য আদর্শ পরিবেশ দেওয়া। যে পরিবেশে ওরা নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে পারবে। ওরা প্রত্যেকেই খুব ভালো। কী করতে চায়, সেটা ওদের কাছে পরিষ্কার। ওরা তৈরি হয়ে নেমেছে। প্রত্যেকের সামনেই উজ্জ্বল কেরিয়ার রয়েছে। তবে তার জন্য পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবে এখন যে ভারতে এত ভালো ভালো ক্রিকেটার উঠে আসছে, তাতে আমি খুব খুশি।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

    Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। এই হামলায় মোট মৃত্যু হয়েছিল মোট ২৩ জন সেনাকর্মীর। জামিনে থাকা ৯ জন সহ মোট ২২ জনকে আজ মঙ্গলবার মেদিনীপুর (Medinipur) আদালতে তোলা হয়েছিল। একজন অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদলাতের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে রাখা হয়েছিল।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Medinipur)

    মেদিনীপুরের (Medinipur) শিলাদার এই মাওবাদী হামলার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মাওবাদী নেতা ছিলেন সুদীপ চোংদার। বর্তমানে তার অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে আইনজীবী দেবাশিষ মাইতি বলেন, “ওই ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছিল। তার মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। ৯ জন জামিনে মুক্ত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার মোট ২৩ জনকেই আদলাতে তোলা হয়। বিচারক সালিম শাহি সকলকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জামিনে থাকা ৯ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারক বুধবার দোষীদের বক্তব্য শুনবেন, এরপর সাজা ঘোষণা করবেন।”

    অপরাধীদের নাম

    সূত্রে জানা গিয়েছে এই মামলা প্রথমে ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছিল। এরপর মামলা মেদিনীপুর (Medinipur) আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলায় দোষীদের নাম হল, লোচন সিংহ সর্দার, চুনারাম বাস্কে, রমসাই হাঁসদা, আশিস মাহাত, ধৃতিরঞ্জন মাহাত, অর্ণব দাম, বিষ্ণু সারেন, বুদ্ধেশ্বর মাহাত এবং প্রশান্ত পাত্র। এরা প্রত্যকে জামিনে মুক্ত ছিল। অপরে জেলা হেফাজতে ছিল শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা, শুকলাল সরেন, রাজেশ মুন্ডা, মানস মাহাত, কানাই হাঁসদা, কল্পনা মাইতি, সনাতন সরেন, মনসারাম হেমব্রম, ঠাকুরমনি হেমব্রম, ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কাজল মাহাত, রঞ্জন মুন্ডা এবং মঙ্গল সরেন।

    প্রথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা হয়েছিল

    ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শিলদা (Medinipur) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই হামলায় ২৪ জন ইএফআর সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই ক্যাম্পের কাছেই ছিল পুলিশের স্ট্রোক ক্যাম্প। হামলায় জওয়ানদের গুলি করে খুন করা হয়। এরপর ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । সেই সঙ্গে চালানো হয় অস্ত্র ভাণ্ডারের লুটপাট।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের রাম ধাক্কায় লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবেন বিরোধীরা! সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়ই এই তথ্য উঠে এসেছে। আর উত্তরপ্রদেশের রাশ মুঠোয় এসে গেলে বিজেপি যে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম

    কথায় বলে, উত্তরপ্রদেশের রশি যার হাতে থাকবে, কেন্দ্রের কুর্সিতেও বসবে সেই দল। সম্প্রতি প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা করেছিল ফেডেরাল পুথিয়াথালাইমুরাই অ্যাপ্ট ২০২৪ নামে একটি সংস্থা। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, গেরুয়া ঝড়ে উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম শিবির। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমেও বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল করবে বলে প্রকাশ সমীক্ষায়। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরই অ্যাডভান্টেজ পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

    গেরুয়া ঝুলিতে কত আসন?

    প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় (Lok Sabha Elections 2024) জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮টিতে ফুটবে পদ্ম। শতাংশের হিসেবে এ রাজ্যে বিজেপি পাবে ৫৪.৩৩ শতাংশ ভোট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যোগী রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। সেবার গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৪৯.৯৮ শতাংশ ভোট। উনিশের আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পেয়েছিল ৭১টি আসন। সমীক্ষায় প্রকাশ, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির হাতে যাবে ৭৮টি আসনের রশি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    এ রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে একটি আসনে। আর একটি আসন দখল করতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অখিলেশের দল পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন, কংগ্রেস একটি। এ রাজ্যের মাত্র ২০ শতাংশ ভোটার মনে করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির চেয়ে ভালো অখিলেশ। এই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট।

    বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) চোখ ধাঁধানো ফল করবে অসমেও। উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ভোটারদের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ১০টি জিততে পারে বিজেপি। বাকি চারটি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: এক মাসেই রাম মন্দিরের দানবাক্সে  জমা পড়েছে ১০ কেজি সোনা, ২৫ কেজি রুপো

    Ram Temple: এক মাসেই রাম মন্দিরের দানবাক্সে জমা পড়েছে ১০ কেজি সোনা, ২৫ কেজি রুপো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫০০ বছরের এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির(Ram Temple)। গত ২২ জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রভু বালক রামের  প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর কেটে গিয়েছে একটা মাস। দেশের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ রামভক্ত বালক রামকে দর্শন করতে মন্দিরে যাচ্ছেন। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে উপচে পড়েছে মন্দির চত্বর। আগত ভক্তরা মন্দিরে রামলালার শ্রীচরণে দান করছেন প্রচুর উপহার। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এক মাসের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত মোট ১০ কেজি সোনা এবং ২৫ কেজি রুপো দানবাক্সে জমা পড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে গুণে শেষ করা যাচ্ছে না তাই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শরণাপন্ন হয়েছে মন্দির ট্রাস্ট।

    কী জানিয়েছে ট্রাস্ট (Ram Temple)

    মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রকাশ গুপ্তা বলেছেন, “মন্দির (Ram Temple) চত্বরে চারটি স্বয়ংক্রিয় টাকা গোনার যন্ত্র বাসিয়েছে এসবিআই। ১০ কেজি সোনা ও ২৫ কেজি রুপোর অলঙ্কার, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ দান হিসাবে পাওয়া গিয়েছে। ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন অনেক ভক্ত। সবটা এখনও গোনা হয়নি। ভক্তদের ভক্তির কথা বিবেচনা করে, মন্দিরে সোনা-রুপোর তৈরি এই জিনিসগুলি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে, এগুলি বিক্রি করে নগদে পরিণত করা হবে। এসবিআই এবং ট্রাস্টের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।”

    ৬২ লাখ দর্শনার্থী মন্দির দর্শন করেছে

    জানা গিয়েছে, রামমন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের পর থেকেই মন্দিরে বিরাট ভিড় উপচে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষ বালক রামকে দর্শন করেছেন। আগত দর্শনার্থীরা মন্দিরের জন্য মুক্ত হস্তে দান করছেন। ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা দনাবাক্সে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর সোনা এবং রুপো। মন্দিরে মোট ছয়টি দানপাত্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চারটি আরও দানপাত্র। এখনও পর্যন্ত মোট জমা পড়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রত্যেক দিন গড়ে দেড় কোটি টাকা জমা পড়ছে। এরমধ্যে রয়েছে নগদ এবং চেক। প্রতিদিন ব্যাঙ্কের দশজন এবং মন্দিরের চার জন কর্মী টাকা পয়সা গোনার কাজ করছেন।

    বৃন্দাবন-পুরী-তিরুপতি-কামাখ্যার তুলনায় অনেক ভিড়

    রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ জানিয়েছে, দেশের আর কোনও মন্দিরে এক মাসে এত বিপুল সংখ্যায় ভক্ত সমাগম হয়নি। রাম মন্দির নিয়ে দেশের সকল মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভক্তদের অবিরাম প্রবাহ চলছে। বারাণসী, মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী, তিরুপতি, কামাখ্যার তুলনায় অযোধ্যার ভিড় অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। আবার মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, মন্দির ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাঝে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশ্রামের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাম জন্মভূমি দর্শনের জন্য আস্থা ট্রেন চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার ৷ সোমবার গোথা হাইস্কুল মামলায় তদন্তকারী সিটের সদস্যরা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন। কিন্তু সকল ডিআই-দের রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    শিক্ষকের নিয়োগে (Recruitment Scam) বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে তদন্ত করছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, “সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। সুতি সহ আরও যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেফতার হয়েছেন?” উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রুদ্র নন্দী জানান, “সিটের সদস্যদের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করছে। গোথা হাই স্কুলে বাবা ও ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আব্দুল রাকিবকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই এই স্কুলের শিক্ষক ও ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও জাসমিনা খাতুন নামে আর একজন গ্রেফতার হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    বিচারপতি বসু বলেন, “সমস্ত জেলার ডিআইদের রিপোর্ট কোথায়? আদালত জানতে চায় তারা কী তথ্য দিচ্ছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট তৈরি হলেও এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরও সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কী অদ্ভুত! আমি কীভাবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আমার প্রশ্নগুলো করব? আজ সেই রিপোর্ট নিয়ে এলে মামলাটা এগিয়ে যেত। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এত উদাসীন! হচ্ছেটা কী?” এরপর রাজ্যকে সতর্ক করে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন ডিআই-দের রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। করছে তদন্তও। তবে এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষপ করছে না কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত কয়েক মাসে কানাডা ও আমেরিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলা চালানো হয়েছে হিন্দু মন্দিরেও। তার পরেই বাইডেন সরকার পদক্ষেপ করলেও, করেনি ট্রুডো সরকার। সোমবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্ক এবং খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য ভিসা দেওয়া ব্যবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে কূটনীতিকদের ভয় দেখানো যায় না।” তিনি বলেন, “এটা বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলে আমি মনে করি।  হাইকমিশনারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, এটাকে কী বাক স্বাধীনতা বলা যায়?”

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমেরিকায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেই দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কানাডা কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেটাকে একটা বার্তা হিসেবেই পড়তে হবে। যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটিয়েছে, সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আশা করি, সানফ্রান্সিসকোয় যেসব কালপ্রিট আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। আমরা আশা করি লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এও আশা করি, কানাডায় যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ মার্চ লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই বছরেরই জুলাই মাসে সান সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল (S Jaishankar) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISL 2023-24: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়, আইএসএলে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

    ISL 2023-24: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়, আইএসএলে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার ঘরের মাঠে তারা হারিয়ে দিল চেন্নাইয়িন এফসি-কে। ১-০ ব্যবধানে জিতে আইএসএলে প্লে-অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন চেন্নাইয়েরই ভূমিপুত্র নন্দকুমার। আইএসএলের প্রথম ছয়ে থাকাই লক্ষ্য কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের। এই ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল তালিকায় আটে চলে এল বেঙ্গালুরুকে টপকে।

    আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ

    শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৮১ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ২-১ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে প্লে অফে যাওযার পথে জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দলকে। সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুটা ঘুড়ে দাঁড়াল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলে খেলা। ম্যাচর শুরুতেই ফ্রি কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ক্লেইটন গোলের মুখ খুলতে পারেননি। এরপরও ক্লেইটন, নন্দকুমার, ফোর্বসরা কয়েকবার গোলের কাছে চলে গিয়েছিল। সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণে ওঠে ফারুক-সাংওয়ানরা। কিন্তু লাল-হলুদ রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।

    জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে

    দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি বদল ইস্টবেঙ্গলের খেলায় পরিবর্তন আনে। কোচ নামান নিশু কুমারের বদলে মন্দার রাও দেশাইকে। ফেলিসিও ব্রাউনের জায়গায় নামলেন বিষ্ণু। রাকিপের পরিবর্তে নবাগত প্যান্টিচ। তাতেই আরও আক্রমণ করেছে নন্দকুমার, সিলভারা। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে একাধিক গোলে জিতলে কোচ ও ফুটবলাররাও আরও খুশিতে থাকতেন। কিন্তু গোল মিস করার প্রবণতা ও আসল সময়ে রক্ষণে কাঁপন কোচকে বাকি ম্যাচেও চিন্তায় রাখবে। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে এই ম্যাচে জিততেই হত। কারণ এর পরে টানা চারটি কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছে তারা। ওড়িশা, গোয়া, মোহনবাগান এবং কেরলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। লিগের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে রয়েছে সবক’টি দল। এর মধ্যে মোহনবাগান বাদে বাকি সবক’টি বাইরের মাঠে খেলতে হবে লাল-হলুদকে। ফলে সবই কঠিন লড়াই। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় কিছুটা হলেও উদ্বুদ্ধ করবে লাল-হলুদ শিবিরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election 2024: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    Rajya Sabha Election 2024: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে রাজ্যসভার ১৫টি আসনের জন্য আজ মঙ্গলবার হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে, ১০টি আসনে লড়াই হবে উত্তরপ্রদেশে। পাশাপাশি নির্বাচন হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকেও। উত্তরপ্রদেশে ১০টির মধ্য ৭টি আসনে বিজেপি প্রার্তীর জয় নিশ্চিত। অষ্টম আসনেও অঙ্কের বিচারে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে পদ্ম শিবির। কর্নাটকেও লড়াই চলছে। হিমাচলের একটি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সেখানে ক্রস ভোটিং হতে পারে বলে অনুমান রাজনীতির কারবারিদের। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৫টা থেকে শুরু হবে গণনা।

    উত্তরপ্রদেশের সমীকরণ

    সংখ্যার হিসাবে উত্তরপ্রদেশের সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) শিবিরের তিন প্রার্থীর জয় চলতি মাসের গোড়া পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় লোক দলের এনডিএ-তে যোগদান এবং দু’জন এসপি বিধায়কের প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণার পরে ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। বিজেপি প্রথমে সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, বিরোধী শিবিরের দোলাচল দেখে অষ্টম আসনেও প্রার্থী দিয়েছে। বতর্মানে ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় চারটি আসন খালি। ভোট দেবেন ৩৯৯ জন বিধায়ক। রাজ্যসভায় এক জন প্রার্থীকে জিততে পেতে হবে ৩৭টি ভোট। আট প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির প্রয়োজন ২৯৬টি ভোট। তাঁদের পক্ষে ২৮৬টি ভোট নিশ্চিত। এছাড়াও বাকি ১০টি ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রেও আশাবাদী গেরুয়া শিবির। এসপি-র দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।  এই পরিস্থিতিতে চাপে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। নিজেদের তিন প্রার্থীকে জেতাতে সমাজবাদী পার্টির প্রয়োজন ১১১টি ভোট। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮ হলেও অনেকে দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বিজেপিকে ভোট দেবে বলে জানিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে ধাক্কা কংগ্রেসে, ঝাড়খণ্ডের একমাত্র সাংসদ গীতা কোড়া গেলেন বিজেপিতে

    কর্নাটকেও ভোট

    চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছে পদ্মশিবির। কংগ্রেসের অজয় মাকেন, সৈয়দ নাসির হুসেন এবং জি সি চন্দ্রশেখর ভোটে লড়ছেন। বিজেপি-র প্রার্থী নারায়ণসা ভেন্ডেজ। কর্নাটকে ২২৪ জন বিধায়ক। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১৩৫ জন। বিজেপি-র ৬৬ এবং জেডিএসের ১৯ জন। তিনজন প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করতে গেলে ১৩৫ জনেরই ভোট প্রয়োজন কংগ্রেসের। একটি ভোটও বিরোধী শিবিরের দিকে ঝুঁকলে কপাল পুড়বে কংগ্রেসের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share