Blog

  • S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি। বহু পশ্চিমি দেশই দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক জার্মান দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে হইচই পড়ে যেত। অতীতের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেকে একটা সম্পর্ক তৈরি করে। আমি যদি স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব রাশিয়া কখনও আমাদের ক্ষতি করেনি। আমাদের সব সময় একটা স্থায়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিজ্ঞতার ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে মস্কোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।”

    পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত পশ্চিমি বিশ্ব?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “বহু পশ্চিমি দেশই ভারত নয়, পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত। তবে গত ১০-১৫ বছরে ব্যাপারটা বদলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমেরিকার কথা। আর রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইজরায়েল আমাদের প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।” প্রসঙ্গত, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। এটা যে যুদ্ধের সময় নয় পুতিনকে তা বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই আবহেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে ভারত। তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্নও। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনার যে কোনও বিকল্প নেই, তাও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি এও জানান, ইউরোপের দেশগুলি চড়া দরে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনে মধ্য এশিয়া থেকে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বিশ্ব বাজার থেকে বাজার দরেই তেল কিনেছে। কেউ যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কিনত, সবাই যদি অন্য দেশগুলি থেকে তেল কিনত, তাহলে তেলের বাজার দর কোথায় চড়ত (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান হচ্ছে রবিবার। বাংলার প্রথম এইমস হাসপাতালের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উনিশ সালে চালু হয়েছিল এই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ। এবার পুরোদমে চালু হতে চলেছে হাসপাতালটি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিনই তিনি উদ্বোধন করবেন রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাটিন্ডা, রায়বরেলি ও জম্মু এইমেসরও।

    কল্যাণী এইমস

    বর্তমানে কল্যাণীতে যে এইমস তৈরি হয়েছে, তা হওয়ার কথা ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। পরে সেই হাসপাতাল তৈরি হয় কল্যাণীতে। মোদি সরকার (PM Modi) অনুমোদন দেওয়ায় কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠে এইমস। এতদিন কয়েকটি বিভাগে আউটডোরে চিকিৎসা হচ্ছিল। এবার সেটাই চালু হবে পুরোদমে।

    কী কী রয়েছে এই এইমসে?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই অনুমোদন মেলে কল্যাণী এইমসের। পরের বছর ১ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ১৭৯ একর জমি দেয় রাজ্য সরকার। হাসপাতালটিতে শয্যা রয়েছে ৯৬০টি। ১২৫টি আসনের মেডিক্যাল কলেজ, ৬০ আসনের নার্সিং কলেজ, ৩০ শয্যার আয়ুষ ব্লক, অধ্যাপক ও কর্মীদের জন্য আবাসন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস, নৈশকালীন আশ্রয়স্থল, অতিথিনিবাস ও প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক আইসিইউ, ২৩টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার, একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    এতদিন সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের ওপিডি খোলা থাকত। সোম, বুধ ও শুক্র খোলা থাকত সিটিভিএস। সোম ও বুধবার থাকত কার্ডিওলজি, সোম ও শুক্র খোলা থাকত অপথেমোলজি, বৃহস্পতিবার থাকত ইএনটি এবং শুক্রবার থাকত সাইক্রিয়াট্রিক বিভাগ।

    আরও পড়ুুন: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা ছড়িয়ে দিতে চান গোটা দেশে। তাই দেশে ২২টি নতুন এইমস তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি অনুমোদন পেয়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। এই তালিকায় রয়েছে, গোরখপুর, নাগপুর, কল্যাণী, মঙ্গলগিরি, বিবিনগর, ভাতিন্ডা, দেওঘর, বিলাসপুর, রাজকোট, গুয়াহাটি, বিজয়পুর, মাদুরাই, অবন্তিপোরা, রেওয়াড়ি এবং দ্বারভাঙা (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধার জমি দখল করে খেলার মাঠ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই। পালটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওঁই কাউন্সিলর। বৃদ্ধা স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র আশ্রয় হল এই জমি। এবার এই জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ডানকুনিতে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    হুগলির কোথায় ঘটেছে ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি (Hooghly) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায় বৃদ্ধার চার কাঠা জমি রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। বৃদ্ধা মঞ্জুদেবীর স্বামী কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই ছেলে বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে একমাত্র থাকেন তিনিই। ফলে চাপ দিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    মঞ্জুদেবী অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “আমার নিজের জমি জোর করে দখল করে রেখেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Hooghly) শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীরা। জায়গা দখল করার জন্য একাধিকবার আমাকে হেনস্থা করা হয়। নিজের জায়গাকে সুরক্ষিত রাখতে পুরসভার অনুমতি নিয়ে পাঁচিল দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পাঁচিল ভেঙে দিয়েছিল ওঁই কাউন্সিলরের অনুগামীরা। একই ভাবে তা ভাঙার পর বসিয়েছে গাছ আর এরপর ফুটবল খেলার গোল পোস্ট পুঁতে দিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি এবং পুরসভা সহ স্থানীয় বিধায়কদের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন সাহায্য পাইনি।”

    অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “জায়গাটা আসলে খেলার মাঠ, পাড়ার সমস্যা কিন্তু আমার নাম কেন যুক্ত করা হল আমি বুঝতে পারলাম না। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। মঞ্জুদেবী আমাকে তো কিছু জানান নি।” আবার পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বলেন, “মঞ্জুরানী পুরসভার অনুমতি নিয়ে নিজের জমিতে পাঁচিল দিয়েছেন। নিজের সীমানায় নিজের কাজ করার অধিকার রয়েছে। যাঁরা দখল করার চেষ্টা করছেন এবং বৃদ্ধাকে হেনস্থা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সোমবার রাজভবনের তরফে বাংলার জনগণের কাছে রাজ্যপালের পঞ্চমতম রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট কার্ডে মিশন ‘সন্তোষ কালী’র বিষয়ে বলা হয়েছে। রাজ্যপালের মতে, “সন্দেশখালি অস্থিরতা, নৈরাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে হবে। সন্দেশখালির ব্যথিত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” তাঁর আর্জি, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকার থেকে জেগে উঠুক সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ৷

    মিশন সন্তোষ কালী কী

    সন্দেশখালির নারী-‘লাঞ্ছনা’র পটভূমিতে রাজ্যের তরুণীদের নিয়ে এ দিন ‘মিশন সন্তোষ কালী’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বোস। রাজ্যপাল জানান, এই কর্মসূচিতে নারী-শক্তি, নারীর মর্যাদার সচেতনতা ও প্রসার আরও বাড়াতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “এ বিষয়ে কেন্দ্র, রাজ্যের প্রকল্প এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উদ্যোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে মেয়েদের সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে হবে।” রাজভবনের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীর উপস্থিতিতে মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নারীদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। নারীদের স্বনির্ভর করে তোলার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাঁরা নারীদের নিয়ে কাজ করে তাঁদেরকে মিলিতভাবে কর্মসূচী নেওয়ার কথআও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড

    রাজ্যপাল রিপোর্ট কার্ডে স্পষ্ট লিখেছেন,”নারী শক্তিকে একত্রিত করতে হবে ৷ নারীদের মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে ৷ আত্মনির্ভর ভারত ও বিকশিত ভারতের লক্ষ্য নারীদের উন্নয়ন ৷ নারী শক্তিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টার পটভূমিতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার সন্দেশখালি থেকে পাওয়া রিপোর্ট বিরক্তিকর ৷ নারীর মর্যাদা ও সম্মানের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ হচ্ছে সেখানে । ঘটনাগুলি সমগ্র জাতির চোখ খুলে দিয়েছে । আমরা বৈদিক ধারণা নিয়ে গর্ব করি ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতা’ অর্থাৎ যেখানে নারীদের সম্মান করা হয়, সেখানে দেবতারাও আনন্দ করেন । কিন্তু সন্দেশখালিতে নারীদের শ্লীলতাহানি, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বা জমি দখল এবং এলাকার নারীদের অসহায়বোধের রিপোর্ট এসেছে । সন্দেশখালির ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে আমি মিশন সন্তোষ কালীকে ভারতের মহিলাদের মর্যাদা ও সম্মানের উপর ভবিষ্যতের আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসাবে প্রণয়ন করেছি ।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানের বড় আধুনিকীকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমানে যেমন যুক্ত হতে চলেছে নতুন রেডার, মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম। তেমনই এতে বাড়ানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা এবং আধুনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্রবহণের ক্ষমতা। 

    ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

    সূত্রের খবর, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) — যৌথভাবে এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হবে দেশের বেসরকারি সংস্থাও। 

    ২ পর্বে হবে আধুনিকীকরণ

    সম্প্রতি, দুদিকের শত্রু থেকে দেশের আকাশকে রক্ষা করতে এবং আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে দ্রুত সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। জানা গিয়েছে, মোট ২ পর্বে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে যুদ্ধবিমানের (Sukhoi-30 MKI) এভিয়োনিক্স ও রেডার সিস্টেম উন্নত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নত করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর

    প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর ফলে, দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র-সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের সিংহভাগে পুরনো সেকেলে রুশ সরঞ্জামকে সরিয়ে দেশীয় সিস্টেম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    দেশীয় রেডার ও ইডব্লু সিস্টেম

    যেমন, সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত রুশ রেডারের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম দেশীয় ‘উত্তম’ রেডার। এর পাল্লাও অনেকটাই বেশি। আধুনিকীকরণের প্রথম পর্যায়ে বিমানে নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লু) সিস্টেম বসানো হবে। এর ফলে, শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অকেজো করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল টার্গেট করতে বসানো হচ্ছে দেশে তৈরি অত্যাধুনিক মানের নতুন ইনফ্রা-রেড ট্র্যাক অ্যান্ড সার্চ সিস্টেম।

    দেশেই তৈরি হচ্ছে আরও সুখোই

    ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) ২৭০-এর বেশি সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা রাশিয়া থেকে কিনেছে ভারত। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯০টি বিমানের আধুনিকীকরণ হবে, যা শুরু হতে চলেছে চলতি বছরেই। পরের ধাপে ধীরে ধীরে সবকটি বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি, ১১ হাজার কোটি টাকায় আরও ১২টি যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি তৈরি হচ্ছে এদেশেই। হ্যাল-এর কারখানায় সেগুলি উৎপাদন হচ্ছে, যাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সংশোধনাগারে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant in Jail) হচ্ছেন মহিলারা! মহিলা বন্দিদের সঙ্গে এখন ১৯৬ শিশু রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। 

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই ধরনের অভিযোগের কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে তা আমরা জানি। এটা মহিলাদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ। এমনিতেই তাঁরা অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটা অভিযোগ যদি সামনে আনা হয় সেক্ষেত্রে তা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করতে পারে। এটা দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি করে মাথায় রাখা জরুরি।’ মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশপথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    গর্ভধারণের পরীক্ষা নিয়ে নিজে থেকে কোনও নির্দেশ দেবে না বলে আদালত জানায়। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এমন নির্দেশ আদালত একেবারেই দেবে না। কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় চাইলে বা কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিতে পারে। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার পরামর্শ দিন রাজ্যকে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের পথ আলাদা করা যায় কিনা।’’ এদিন বিচারপতি জানান, রাজ্যকে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। সেখানেই বাড়তি বন্দি ভিড়, মহিলা বন্দি, জেলে বন্দি মৃত্যু, জেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যু সহ নানা বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি রূপরেখা তৈরি করার পর আদালত শুনানি করবে সমস্যা ধরে ধরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই।” মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গে এদিন ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটের প্রেসিডেন্ট রণবীর রায়না।

    চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র

    অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না জম্মু-কাশ্মীরের মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে। এদিনের অনুষ্ঠানে দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ে স্কুলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে মেয়েদেরও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আমার সঙ্গে কথা বলছেন এবং যে উচ্চকিত কণ্ঠে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা নিঃসংকোচে আমায় বলছেন, তুলে ধরছেন তাঁদের সুখের কথা, এটা অভাবনীয়। আজ দেশের যে প্রান্তের মানুষই আমাদের এই কথোপকথন শুনছেন, তাঁর নৈতিকতা বোধ বৃদ্ধি পাবে, শক্তিশালী হবে বিশ্বাস।”

    মোদির গ্যারেন্টি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির গ্যারান্টি চলতেই থাকবে। দেশে উন্নতি হতে থাকবে। যেভাবে কংগ্রেস কাশ্মীরকে নিয়ে রাজনীতি করেছিল, তা থেকে কাশ্মীরবাসীকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিকশিত ভারতের টার্গেট বজায় রাখতে কাশ্মীরকে সঙ্গে নিয়েই চলবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গত ১০ বছরে যে হারে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, তা নজির সৃষ্টি করেছে।”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। বিজেপি সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি ঘটবে।” ৩৭০ ধারার ওপর একটি ফিল্ম বানিয়েছেন ইয়ামি গৌতম। সে প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি ৩৭০ ধারার ওপর একটি ছবি এই সপ্তাহেই মুক্তি পেতে চলেছে। এটা একটা ভালো বিষয়। চলচ্চিত্রটি দেখে মানুষ প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।” ভূস্বর্গে এদিন একটি ইলেকট্রিক ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Vs England: রাঁচিতে নেই বুমরা! সুযোগের অপেক্ষায় বাংলার দুই তারকা পেসার

    India Vs England: রাঁচিতে নেই বুমরা! সুযোগের অপেক্ষায় বাংলার দুই তারকা পেসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঁচি টেস্টে নেই বুমরা। বল হাতে টানা তিন টেস্টে ইংল্যান্ডের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। আপাতত তিনিই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। কিন্তু বুমরাকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য চতুর্থ টেস্টে রাঁচিতে বিশ্রাম দেওয়া হবে। তাঁর জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন মুকেশ কুমার। আবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে বাংলার পেসার আকাশদীপকেও। 

    সিরাজের সঙ্গী কে   

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে ভারত। রাঁচিতে চতুর্থ টেস্ট। প্রথম তিন ম্যাচেই খেলেছেন জসপ্রীত বুমরা। চতুর্থ টেস্টে বিশ্রামের সম্ভাবনা বুমরার। রাজকোটেই সেই সম্ভাবনা ছিল। যদিও দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝে ১০ দিনের বিরতি থাকায় বুমরাকে আর বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। প্রথম টেস্টে বুমরার সঙ্গে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। বিশাখাপত্তনমে বুমরার বোলিং সঙ্গী হন মুকেশ কুমার। তৃতীয় ম্যাচে দেখা যায় ফের বুমরা-সিরাজ জুটিকে। চতুর্থ টেস্টে এই জুটি ভাঙতে পারে। মুকেশের লড়াইটা বাংলার হয়ে খেলা পেসার, আকাশ দীপের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আকাশ দীপ। শুধু তাই নয়, ভারত এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধেও চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছেন। মুকেশের তুলনায় তাঁর বলের গতি বেশি। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকেও সুযোগ দিয়ে দেখতে পারে। হয়তো রাঁচিতেই বাংলা আরও এক টেস্ট ক্রিকেটার পেয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডের বোলিং ব্রিগেডকে তৃতীয় টেস্টে বেশ নিম্নমানের লেগেছে। জেমস অ্যান্ডারসনের মত তারকা পেসারকেও গলি স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ইংরেজ পেসারের এক ওভারে ২১ রান তুলেছিলেন যশস্বী।  রাজকোট টেস্টে একদিন বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। সেই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিশতরান করেছিলেন ভারতের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। যশস্বী জয়সওয়াল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ২০৯ রান এবং তৃতীয় টেস্টে ২১৪ রান করেছেন। জয়সওয়াল এখনও পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ১৩ টেস্ট ইনিংসে ৮৬১ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে যশস্বী যদি ১৩৯ রান করেন, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০০ রান পূর্ণ করবেন। অর্থাৎ ১৪তম ইনিংসে সহস্রাধিক টেস্ট রান পূর্ণ করতে পারবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share