Blog

  • Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের পর ফের ২০২৪। আবারও পথে নেমেছেন কৃষকরা। ডাক দিয়েছেন দিল্লি চলো অভিযানের (Farmers Delhi Chalo Protest)। চার বছর আগে কৃষকরা পথে নেমেছিলেন তিন কৃষি আইন বাতিল ও কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে। এবার তাঁদের আন্দোলনের প্রস্তুতি লখিমপুর খেড়িতে কৃষক খুনের তদন্ত সহ একগুচ্ছ দাবিতে।

    কৃষকদের দাবি

    বিদ্যুৎ আইন, কৃষিঋণ মকুব, লখিমপুর খেড়িতে কৃষক হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির শাস্তিরও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। ২০২০ সালে আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকজন কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো (Farmers Delhi Chalo Protest) হয়েছে।

    অশান্তির আশঙ্কায় কড়া প্রহরা

    এদিকে, কৃষক বিক্ষোভের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি সীমানায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া প্রহরার। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা বলেন, “একমাস ধরে রাজধানীতে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যে কোনও বড় জমায়েতে। ট্রাক্টর নিয়েও প্রবেশ করা যাবে না দিল্লিতে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করলেই করা হবে গ্রেফতার।”

    আরও পড়ুুন: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    কৃষকদের আন্দোলন থেকে বিরত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি সরকার। সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তার পরেও আন্দোলনে অনড় কৃষকরা। মঙ্গলবার সাত সকালে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুশোটিরও বেশি কৃষক সংগঠন রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। অন্তত ২০ হাজার কৃষক শামিল হয়েছেন এই অভিযানে।

    আন্দোলনকারীরা যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে পুলিশের তরফে। গাজিপুর, সিংগু, টিকরি সহ পুরো সীমানা রূপান্তরিত করা হয়েছে সেনানিবাসে। গাজিপুর সীমানায় যানবাহন চলছে শ্লথ গতিতে। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ ও সিরসায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত (Farmers Delhi Chalo Protest)। এদিকে, পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী সীমানায় কৃষকদের গতি রুদ্ধ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ ও প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। 

       

  • ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার মঙ্গলবার ফের একবার তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি (ED Raid in Kolkata)। সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে ফিরে এল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্রিয়াকলাপের প্রতিচ্ছবি। গত বছরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দেয়। সে সময়ই নিজের মোবাইল ফোনটি পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। তা উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আসছেন এ খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন কৈখালির জনৈক ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ছিল কি ফোনে?

    কৈখালির ওই ব্যবসায়ী ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। আপাতত ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীরা পৌঁছে যান সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা (ED Raid in Kolkata) দিয়েছেন জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, এই বিশ্বজিৎ রেশনকাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রেশনকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা নয়-ছয় হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগীরথ হয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছে অসমের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রাজ্যে যে বাজেট অধিবেশন হবে, তখনই পেশ করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। পাশ হয়েছে অসম মন্ত্রিসভায়ও। এবার সেটি পেশ করা হবে বিধানসভায় অনুমোদনের জন্য।

    মন্ত্রিসভায় পাশ

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বহুবিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দুটি বিলই পাশ হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এবার এই দুটি বিলকে আইনে পরিণত করতে বিধানসভায় পাশ করানো হবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে বহু বিবাহকারী ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লঙ্ঘনকারীকে সিভিল অফেন্স হিসেবে গণ্য করা হবে। হিমন্ত বলেন, “দেশের প্রয়োজন একটিই নীতি। তাই আমরা বিধানসভা বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করাব। বহু বিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মধ্যে ঐক্যসাধন করতে অসম সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিল দুটি চূড়ান্ত করলে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই তা পেশ করা হবে। তা না হলে এই বিল দুটি পেশ করা হবে পরবর্তী অধিবেশনে।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেছিলেন, “সব মুসলমান মহিলাদের ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য এই আইন প্রবর্তন করা প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি মুসলিম মহিলা চান অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হোক। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আমার কোনও ইস্যু নয়, এটা মুসলমান মহিলাদের চাহিদা। কারণ কোনও মুসলমান মহিলাই চাইবেন না যে তাঁর স্বামী ঘরে আরও তিনটি স্ত্রী নিয়ে আসুক।” তিনি বলেন, ‘যদি তাঁদের ন্যায় বিচার দিতে হয়, তাহলে তিন তালাক বাতিল করার পরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগেই অসমের মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে আরও একটি বিল। এটি হল, ম্যাজিক্যাল হিলিং প্র্যাকটিসেস। এই পদ্ধতিতে রোগ সারানোর নামে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মান্তরিত করেন বলে অভিযোগ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand CM: বনভুলাপুরার অবৈধ মাদ্রাসার স্থানে হবে পুলিশ স্টেশন, ঘোষণা ধামির

    Uttarakhand CM: বনভুলাপুরার অবৈধ মাদ্রাসার স্থানে হবে পুলিশ স্টেশন, ঘোষণা ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে যে স্থানে অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ায়, সেই স্থানে পুলিশ স্টেশন নির্মাণের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Uttarakhand CM)। এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি পুলিশ স্টেশন নির্মাণ করা হবে বনভুলাপুরার সেই স্থানে যেখানে অবৈধ নির্মাণকে সরানো হয়েছে।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও ঘোষণা, ‘‘এটা সেই দাঙ্গাকারীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হবে যারা দেবভূমির শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। আমাদের সরকারের তরফ থেকে এই বার্তা খুবই স্পষ্ট। যারা এই ধরনের কাজে জড়িত রয়েছে এবং শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা করছে, সারা দেবভূমিকে অশান্ত করতে চাইছে। তাদের কোনও জায়গা নেই উত্তরাখণ্ডে।’’

    সম্প্রতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি

    সম্প্রতি হলদোয়ানিতে একটি মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পৌর প্রশাসন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কার্ফু জারি করতে হয় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারকে। দশ হাজার মানুষের বাস রয়েছে ওই স্থানে এবং তা পুরোটাই মুসলিম অধ্যুষিত। সরকার বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙতে যাওয়া মাত্রই ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর পাথর ছুড়তে থাকে। এই ঘটনায় অসংখ্য পুলিশ কর্মী, সাংবাদিক এবং সাধারণ নাগরিক গুরুতরভাবে জখম হন। প্রশাসনের অসংখ্য গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ হাজার ব্যক্তির নামে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে (Uttarakhand CM)। যাদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    জরিমানা করা হল দাঙ্গাকারীদের 

    এর পাশাপাশি যে সমস্ত ট্রাক্টর, পণ্যবাহী যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত কিছুর উপরেও ক্ষতিপূরণ চাপিয়েছে সরকার (Uttarakhand CM)। আগামী তিন দিনের মধ্যে সেই ক্ষতিপূরণ জমা দিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় পৌরসভা থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে আব্দুল মালেকের কাছে। যিনি ওই বেআইনি মাদ্রাসার জমির মালিক বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে আড়াই কোটি টাকা ফাইন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    PM Modi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে আবু ধাবির সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দিরের। বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিন এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মন্দিরের মাধ্যমেই আমিরশাহী ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও দুদেশের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে, বলে মনে করছে আবুধাবির প্রবাসী ভারতীয়রা।    

    মোদির হাতেই উদ্বোধন

    ২ দিনের সফরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরকারি সফরে রওনা দিচ্ছেন৷ ২০১৫ সাল থেকে এই নিয়ে তাঁর সপ্তম এবং গত আট মাসে তৃতীয় সফর৷ আগামী কাল, ১৪ তারিখ এই মন্দির উদ্বোধন করা হবে। তার আগে, আজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ অল নাহয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট করার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কবে থেকে খুলবে মন্দির

    ১৪ তারিখ রাজধানীতে বিএপিএস হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার নতুন মন্দির। চলতি মাসে উদ্বোধন হয়ে গেলেও ১ মার্চ থেকে জনসাধারণের জন্য দরজা খোলা হবে এই মন্দিরের। কমপ্লেক্সের ভিতর দর্শনার্থীদের জন্য জায়গা, প্রার্থনা করার জায়গা, প্রদর্শনীর জায়গা, বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার জায়গা, বাগান, ফুড কোর্ট, বইয়ের দোকান এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে ভারতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রদূত আবদুল নাসির অল শালী বলেন, ‘এই মন্দিরের উদ্বোধন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। ভারত এবং আরব আমিরশাহী সহিষ্ণুতা এবং স্বকীয়তার মূল্য নিয়ে চলে। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এই দুই দেশ। এই মন্দির সেই সম্পর্ক আরও অটুট করে তুলবে।’

    মধ্যপ্রাচ্যের ভারতীয় সম্প্রদায়ের স্বপ্ন

    আবু মুরেই খা অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটি মধ্যপ্রাচ্যে হিন্দুদের প্রথম উপাসনাস্থল। এই ধর্মীয়স্থানটি সাজিয়ে তুলতে বহু হিন্দু স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।  এই উপসনাস্থলটি মধ্যপ্রাচ্যের ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটা স্বপ্ন। যা পূরণ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আবু ধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০১৫ এই মন্দির নির্মাণের জন্য ১৩.৫ একর জমি দান করেছিলেন। এর পর ২০১৯ সালে আরও ১৩.৫ একর জমি দেওয়া হয় মন্দিরের জন্য। সব মিলিয়ে মোট ২৭ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই উপাসনাস্থলটি। গত মাসেই আমিরশাহীতে নিযুক্ত ভারত রাষ্ট্রদূত মন্দিরটি পরিদর্শনে যান। নির্মাণকাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে ন। মোট ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল আকারের মন্দিরটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid in Kolkata)। মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে ‘অ্যাকশন’ ইডি-র। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। 

    সাত-সকালে দুয়ারে ইডি

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid)। একটি দল সল্টলেক আইবি ব্লকে পৌঁছেছে। নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা। এছাড়া— পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিট, বন্দর এলাকা, বাগুইহাটি-কৈখালি এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। এদিন ২টি মামলায় মূলত তল্লাশি চলছে। একটি রেশন দুর্নীতি, অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে।

    শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ!

    ইডি (ED Raid in Kolkata) সূত্রের খবর, শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রেশনকাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি-র আরও দাবি, এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। রেশনকাণ্ডের (Ration Scam) এই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিশ্বজিতের। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি ।

    এছাড়া, এদিন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি। আবাসনটি হানিস তসরিওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata) চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: রোহিতদের জন্য রাজকোটে রাজকীয় আয়োজন! অভিষেক হতে পারে ধ্রুব জুরেলের

    India vs England: রোহিতদের জন্য রাজকোটে রাজকীয় আয়োজন! অভিষেক হতে পারে ধ্রুব জুরেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১। রাজকোটে সিরিজে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য ভারতের। কোনওরকম ফাঁক রাখতে নারাজ রোহিতরা। ইতিমধ্যেই রাজকোটে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। তাঁদের জন্য রাজকোটে রাজকীয় ব্যবস্থা করেছে গুজরাট ক্রিকেট কর্তারা। রাজকোটে চোটের কারণে খেলবেন না লোকেশ রাহুল। অভিষেক হতে পারে ধ্রুব জুরেলের।

    রোহিতদের জন্য গুজরাটি খানা

    রাজকোটে যে হোটেলে রয়েছেন রোহিতরা সেখানে তাঁদের জন্য বিশেষ গুজরাটি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের পছন্দের খাবার পরিবেশনের পরিকল্পনা করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দলের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে গুজরাটি খাদ্য উৎসব। পরিবেশন করা হবে গুজরাটি এবং কাথিয়াওয়াড়ি খাবার। প্রাতরাশে থাকছে ফাফরা জিলিপি, খাখরা, গাঠিয়া, থেপলা, খমন। নৈশভোজে থাকছে কাথিয়াওয়াড়ির দই টিকারি, দই এবং রসুন দিয়ে ভাজা বাজরার রুটি, খিচুড়ি, চিংড়ি। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটারেরা কাথিয়াওয়াড়ি খাবার খুব পছন্দ করেন। লোকেশ রাহুল, হার্দিক পাণ্ড্যদের প্রিয় খাবার খিচুড়ি। মহেন্দ্র সিং ধোনিও রাজকোটে এলে কাথিয়াওয়াড়ি খিচুড়ির খোঁজ করেন। ক্রিকেটারদের পছন্দের খাবারগুলোই রাখা হবে খাদ্যতালিকায়।

    দলে রদবদল

    হায়দ্রাবাদ টেস্টে পিঠে চোট লাগায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ভাইজাগে খেলতে পারেননি ভারতের তারকা ব্যাটার লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। কিন্তু কেএল রাহুলকে সিরিজের বাকি তিনটি টেস্টের জন্য স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। তবে শুক্রবার থেকে রাজকোটে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের আগে চোট না সারায় খেলতে পারবেন না কেএল রাহুল। তাঁর চোট সারতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। রাহুলের পরিবর্তে রাজকোটে স্কোয়াডে নেওয়া হচ্ছে কর্ণাটকের প্রতিশ্রুতিমান ব্যাটার দেবদূত পাদিকাল-কে। শ্রেয়স আইয়ার স্কোয়াডে না থাকায় রাজকোটে জাতীয় দলে অভিষেক হতে পারে সরফরাজ খানের। রাজকোট টেস্টে (Test Cricket) ডেবিউ ক্যাপ পেতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের ২৩ বছরের উইকেটকিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel)। সূত্রের খবর, তিনি জায়গা নিতে চলেছেন কেএস ভরতের (KS Bharat)। দেশের হয়ে এখনও অবধি বিশাখাপত্তনমের উইকেটকিপার ব্যাটার খেলেছেন ৭টি টেস্ট। তাতে আহামরি পারফর্ম করতে পারেননি। ভরতে ভরসা রাখতে পারছে না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে তাঁর জায়গায় ধ্রুবকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার কাছে হেরে প্যারিস অলিম্পিকে যেতে পারল না ব্রাজিল

    রাজকোট টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, শুবমন গিল, রজত পাতিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্য়াটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ।

    রিজার্ভ বেঞ্চ: কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দর, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলাকারীদের বক্তব্য, “গোটা সন্দেশখালি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে রয়েছে। মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও, হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”

    শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা

    আইনজীবীদের যাতে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।

    সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল

    এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কড়া শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর মহিলারা তাঁর হাতে পরিয়ে দেন রাখি। এদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন (Calcutta High Court) রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ইডির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাহিনী। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের তাজা নেতা শাহজাহান। শাহজাহান পগার পার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি শাহজাহান ও শিবুর। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে খবর (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভর্ৎসনা করা হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। মূলত বসিরহাট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃতদের শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। সকলের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকতে রীতিমতো বিচারক ধমক দেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তদন্তকারী আধিকারিককে কী বললেন বিচারক? (Sandeshkhali)

    রবিবার নিরাপদ সর্দারদের বসিরহাট আদালতে তোলার কথা ছিল। সেইমতো ধৃতদের আদালতে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখতে হয়। কারণ, আদালতে পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে পারেনি। সেই একই ঘটনা ঘটল সোমবারও। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালির শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে এদিন ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। ‘অপদার্থের মত কাজ’ বলে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। ‘বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত’। সন্দেশখালির পারদ তো চড়েই আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের তরফে রবিবারের ঘটনার রেশ টেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারকের। তাতে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। ধৃতদের আদালতে পেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয় সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। সোমবারও শুনানি স্থগিত রাখা হয়। বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দেন, আজকের মধ্যেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত সমস্ত কেস ডায়েরি ও গ্রেফতারের যে কাগজপত্র তা জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সম্পূর্ণ শুনানি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলা বাজারে রেশনের চাল-ডাল বিক্রির অভিযোগ। এবার রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ইডির কাছে অভিযোগ করে চিঠি করলেন বঞ্চিত গ্রাহকেরা। অবৈধ ভাবে ওই রেশনের ডিলার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য। উদ্ধার হয়েছে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হিসেব। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। এরপর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা রাজনৈতিক ভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এবার এই রেশন দুর্নীতির কথা বলে সরব হয়েছে গ্রাহকেরেই।

    মূল অভিযোগ কী(Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলের সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকেরা কলকাতার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরকে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, সমাসেরগঞ্জের গোরুরহাটের সিতারা বেগম এমআর ডিসট্রিবিউটার। মূলত তাঁর কাজ দেখা শোনা করেন দুই ভাইপো ওয়াসিম হোসেন এবং হোসেন মহম্মদ কাইজার। তাঁদের কাছে মোট বরাদ্দ রেশনের ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য, চাল, গম এবং আটা, রঘুনাথগঞ্জের একটি চালকলে বিক্রির করে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক মাসে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো যে রেশন সাধারণ মানুষের প্রাপ্য সামগ্রী, সেই রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি অবৈধ কালো টাকা আয় করেছে ডিলার। ঘটনায় সরব এলাকাবাসী।

    মোট রেশন সামগ্রীর পরিমাণ

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে মোট রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার পরিমাণ জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ফুড কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে এমআর ডিস্ট্রিবিউটর প্রতি মাসে ৬০০টি লরিতে ৬০ হাজার কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী তুলে থাকে। প্রতি লরিতে ১০০ কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী থাকে। এর মধ্যে ২০০ লরি খাদ্য সামগ্রী চালকলে বিক্রি করে আয় করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। রেশনের সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে-মিলের খাদ্যও খোলা বাজারে বিক্রি করার কাজ চলছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিরাট পরিমাণ বেআইনি এবং দুর্নীতির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলতেই এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share