Blog

  • Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সমস্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে (Interim Budget 2024) এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। পাশাপাশি জরায়ু ক্যান্সার ঠেকাতে টিকাকরণের কথাও বলেছেন তিনি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতে হু-র প্রতিনিধি ড: রডরিকো অফরিন জানান, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা একদম নীচু তলায় কাজ করেন, তাই তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অভূতপূর্ব।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সকলে আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতেন না। এবার তাঁদের সবাইকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে এই প্রকল্পে পরিবার পিছু বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ দিয়ে থাকে কেন্দ্র। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ কোটি পরিবারের ৫৫ কোটি সদস্য আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকার। রডরিকো বলেন, “হু-র লক্ষ্য হল সর্বত্র সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারত সরকার সকলের জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে কাজ করছে। সেই সঙ্গে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও সক্রিয় ও সচল করে তোলার জন্য বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় হু। “

    আরও পড়ুন: সারভাইক্যাল ক্যানসার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প

    অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্প। আয়ুষ্মান কার্ড থাকলে কেউ প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা পেতে পারেন বিনামূল্যে। এই বিমার সুবিধা পেতে হলে যে কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এটি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সারভাইক্যাল ক্যান্সার  (Cervical Cancer) প্রতিরোধে উদ্যোগী কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, ‘‘সারভাইক্যাল ক্যান্সার  প্রতিরোধের জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।’’ তাঁর এই ঘোষণায় খুশি চিকিৎসক মহল। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাও। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? দেশে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার বা সারভাইক্যাল ক্যান্সার একটা চিন্তার কারণ। মেয়েরা সবচেয়ে বেশি এই রোগের শিকার হন। তাই এর প্রতিরোধে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

    সারভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা

    দেশের নারীশক্তির উন্নয়নের জন্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী একাধিক ঘোষণা করেন। তার মধ্যেই সারভাইক্যাল ক্যান্সারের  (Cervical Cancer) কথা উল্লেখ করেন নির্মলা সীতারামন। টিকা নিলে এই বিশেষ ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। মেয়েদের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে সেই টিকা দিলে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। বাজেটে নির্মলা বলেন, সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকাকরণে উৎসাহ দেবে কেন্দ্র। তবে কীভাবে সেই উৎসাহ দেওয়া হবে, কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, সে নিয়ে এখনই কিছু বলা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সময় এ নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে। 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা

    এই ঘোষণায় খুশি বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, এটি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। এরকম একটি পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল। কারণ তরুণীদের মধ্য়ে সারভাইক্যাল ক্যান্সারের (Cervical Cancer) সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের কথায়, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই টিকা খুবই কার্যকরী। সারভাইক্যাল ক্যান্সারের প্রতিরোধে এটি খুব উপকারী টিকা। এই টিকা প্রাথমিকভাবে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সারভাইক্যাল ক্যান্সার এইচপিভি ভাইরাসের জন্য হয়। টিকাটি নিলে ভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে যায়। বয়ঃসন্ধিক্ষণের সময় এই টিকা দেওয়া হলে তা সবচেয়ে কার্যকরী হয়। এই সময় দুটো ডোজ নিতে হয়।

    সারভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা কেন জরুরি

    ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যান্সার (Cervical Cancer) বেশি হয়, তার মধ্যে এই জরায়ু-মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা বলেন, অল্প বয়সেই টিকা দিলে এই ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমানো যায়। সেই কারণেই টিকা কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিন বছরের জন্য তিন দফায় এই কর্মসূচি চালানো হবে। অন্তত সাত কোটি টিকার জোগাড় হলেই কর্মসূচি শুরু হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যানসার হয়। এই ভাইরাসকে আটকানোর টিকা নিলে এবং প্রতিরোধবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই রোগটিকে নির্মূলও করা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: শাহি-সাক্ষাত! ইডির উপর হামলা, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক

    CV Ananda Bose: শাহি-সাক্ষাত! ইডির উপর হামলা, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিসেব দিতে পারলেই কেন্দ্র সব বকেয়া মিটিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ বঞ্চিত হন তা প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনওই চান না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্পষ্টভাবে একথা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। একইসঙ্গে রাজ্য অরাজকতা, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলা সব বিষয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের সর্বময় প্রধান।

    রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গ

    রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “আমাদের দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। তবে রাজ্যের যা প্রাপ্য আছে সেটা অবশ্যই রাজ্য পাবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়া হবে। আমি মানুষের উদ্বেগের কথা বুঝি। আমিও নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার কাছে এই বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলার মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন, সেটা প্রধানমন্ত্রী দেখছেন।”

    আরও পড়ুন: আজই শপথ চম্পাই সোরেনের, ১০ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা

    ইডির উপর হামলা প্রসঙ্গ

    এখন দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয়েছে। যদিও প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। পরে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন বোস। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এর পর ভিডিয়ো বার্তায় বোস বলেন, ‘‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নির্দিষ্ট অপরাধের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি এটুকু বলতে পারি, আইন আইনের পথেই চলবে। যে সব কড়া পদক্ষেপ বিগত দিনে দেখা গিয়েছে, তা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা করার শীঘ্রই তা আপনারা দেখতে পাবেন। ইডিকে নিজের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডি কাজ করেছে। আগামী দিনেও করে চলবে।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও যান রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেন বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Primary Teacher Recruitment Case: ফের জটিলতা! প্রাথমিকে প্যানেল প্রকাশের পরই মামলা হাইকোর্টে

    Primary Teacher Recruitment Case: ফের জটিলতা! প্রাথমিকে প্যানেল প্রকাশের পরই মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বুধবার প্যানেল প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই প্যানেল সংক্রান্ত নোটিফিকেশনকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেন ফের মামলা

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সাড়ে ন’হাজার পদে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুমন্ত কোলে-সহ ১০ জন চাকরিপ্রার্থী সেই মামলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, বিএড ডিগ্রি নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য না হলেও ডিএলএড ডিগ্রি থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রি থাকা চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দারস্থ হয়েছে। বিএড গ্রহণ না করা হলেও ডিএলএড ডিগ্রিকে গুরুত্ব দিয়ে কেন তাদের প্যানেলে যুক্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুুন: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, যখন ২০২২ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, তখন জানানো হয়েছিল যে, ডিএলএডের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন। মামলাকারী ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর বিএড এবং ডিএলএড, উভয় ডিগ্রিই রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিএড-এ প্রাপ্ত নম্বর বেশি হওয়ায়, তাঁরা সেই নম্বর ব্যবহার করে ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। আর সেই কারণেই প্যানেলে তাঁদের নাম নেই। অথচ তাঁদের কাছে ডিএলএডের ডিগ্রিও রয়েছে। তাই তাঁদের নামও প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    Hemant Soren: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিল স্পেশাল পিএমএলএ আদালত। বুধবারই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে তোলা হয় আদালতে। সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি

    যদিও হেমন্তকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজীব রঞ্জন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে (হেমন্ত) বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। যখন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটা অবৈধ।”

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে গঠিত হয়েছিল মহাগটবন্ধন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং এনসিপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক।  বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতেই এসব করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, যা হয়েছে, তা আইন মেনেই (Hemant Soren)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: লখনউ থেকে ৬ দিন হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছে রাম মন্দির দর্শন ৩৫০ মুসলিমের

    Ram Temple: লখনউ থেকে ৬ দিন হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছে রাম মন্দির দর্শন ৩৫০ মুসলিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লখনউ থেকে ৬ দিনের পদযাত্রা করে অযোধ্যায় পৌঁছে বালক রামের দর্শন করলেন ৩৫০ জন মুসলিম। তাঁরা রাম মন্দিরে (Ram Temple) পৌঁছে প্রার্থনা করলেন প্রভু রামলালার কাছে। রাষ্ট্রবাদী মুসলিম সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের (এমআরএম) পক্ষ থেকে এই যাত্রার সূচনা করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে এই যাত্রা ছিল দেশের সম্প্রীতি, অখণ্ডতা এবং একতার প্রতীক। একইভাবে, মুম্বই থেকে শবনম শেখ নামের এক মুসলমান ছাত্রী ১৪০০ কিমি পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় পৌঁছান। তিনিও দেন রাম নামের বার্তা।

    কী জানাল মুসলিম সংগঠন (Ram Temple)?

    গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Temple) উদ্বোধন এবং প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গোটা দেশ এখন রাম নামে মেতে উঠেছে। হিন্দু রাম ভক্তদের পাশপাশি মুসলমান রাম ভক্তরাও বালক রামের দর্শনের জন্য অযোধ্যা যাচ্ছেন। আরএসএসের রাষ্ট্রবাদী মুসলিম সংগঠন এমআরএম-এর পক্ষ থেকে মিডিয়া ইনচার্জ শাহিদ সঈদ বলেছেন, “রাষ্ট্রবাদী মুসলমান সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩৫০ জন মুসলমান রাম ভক্ত গত জানুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে পায়ে হেঁটে লখনউ থেকে অযোধ্যায় যাত্রা সম্পূর্ণ করেছেন। মুখে রাম নাম ‘জয় শ্রী রাম’ নিয়ে এই প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে প্রায় ১৫০ কিমি হেঁটে রাম মন্দিরে পৌঁছান তাঁরা। এই দীর্ঘ যাত্রায় প্রতি ২৫ কিমি রাস্তা অতিক্রম করার পর একবার করে বিশ্রাম নিয়েছেন তাঁরা। অত্যন্ত পরিশ্রম করে এই ভগবান রামলালার মন্দির দর্শন এক অনন্য কৃতিত্ব। মুসলমান রাম ভক্তদের এই যাত্রা ছিল সম্প্রীতির যাত্রা। কোনও ধর্ম অপর ধর্মকে হিংসার কথা বলে না। শ্রীরাম হলেন দেশের একাত্মা, একতা, সার্বভৌম এবং সৌহার্দ্য সম্পর্কের প্রতীক।” অপরদিকে মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে কটাক্ষও করেন তিনি। তাঁর মতে, মুসলিমদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী এই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মতো নেতারা।

    মুসলিম মহিলা ভক্ত কী বললেন?

    ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শবনম শেখ নামক এক মুসলমান ছাত্রীও রামলালার মন্দিরে (Ram Temple) পৌঁছান। মুম্বই থেকে তিনি প্রায় ১ মাস পদযাত্রা করে রাম মন্দিরে পৌঁছেছেন। প্রথমে হনুমানগড়িতে পুজো দেন। মুখে ছিল তাঁর ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রী রাম’, ‘এক হি নাড়া এক হি নাম, জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান। এরপর যান রামলালার দর্শনে। তিনি বলেন, “প্রভু রামের মন্দিরের ৩৫০ জন মুসলমানের উপস্থিতি সারা দেশের মানুষের কাছে বিশেষ বার্তা দিয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: বিশাখাপত্তনমে জয়ের লক্ষ্যে রণনীতি তৈরি ভারতের, দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের

    India vs England: বিশাখাপত্তনমে জয়ের লক্ষ্যে রণনীতি তৈরি ভারতের, দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম টেস্টে মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড (India vs England)। একটা ম্যাচ বলা ভাল একটা ইনিংস ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছে রোহিত শর্মার ভারতীয় দলকে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবার থেকে বিশাখাপত্তনমে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে ব্যস্ত ভারত। তারই মধ্যে ম্যাচের একদিন আগেই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। রোহিতদের চাপে রাখতেই ম্যাকলাম-স্টোকস জুটির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল।

    ভারতের কৌশল

    দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রিটিশ স্পিনাররা যাতে কোনওভাবেই মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে তাই অনুশীলনে (India vs England) বাড়িত সুইপ ও রিভার সুইপ মারতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ব্যাটারদের। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ব্যাটারদের খুব একটা সুইপ বা রিভার সুইপ মারতে দেখা যায় না। তবে বিশাখাপত্তনমে নামার আগে দেখা গেল লাগাতার সুইপ এবং রিভার্স সুইপ খেলছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল থেকে শ্রেয়স আইয়ার সহ অন্যান্য ব্যাটাররাও ঝালিয়ে নেন এই শট। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিলদের নেটে স্পিন বোলিং করতেও দেখা গেছে। 

    ইংল্যান্ডের কৌশল

    পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটা জিততে পারলে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে ইংল্যান্ড (India vs England)। তাই প্রথম ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তারা দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে। প্রত্যাশামতোই এই ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে শোয়েব বশিরের। ম্যাচের একদিন আগেই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিল ব্রিটিশরা। এই ম্যাচে সবথেকে বড় চমক হচ্ছে জেমস অ্যান্ডারসন। মার্ক উডের জায়গায় তিনি এবার প্রথম একাদশে খেলতে নামবেন। তবে স্পিনার জ্যাক লিচ খেলবেন না। প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ার পর তিনি এই ম্যাচে খেলছেন না। তাঁর জায়গায় খেলবেন শোয়েব বশির। এই ম্যাচেও স্পিন আক্রমণে ভরসা রাখছে ইংল্যান্ড। ভারত অবশ্য পুরনো নিয়ম মেনে টসের পরেই দল ঘোষণা করবে। 

    ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, বেন ফোকস, রেহান আহমেদ, টম হার্টলি, শোয়েব বশির, জেমস অ্যান্ডারসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি বিলিকে ঘিরে ব্যাপক গোলমালের চিত্র দেখ লক্ষ্য করা গেল আজ বৃহস্পতিবার। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষণের সময় টিফিন বিলিকে ঘিরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সভা খালি করে খাবারের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়লেন। এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাপক হট্টগোল। আর এরপর এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে। ঘটনায় দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।

    সভায় ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি (Purba Medinipur)

    এদিন কাঁথি (Purba Medinipur) সভাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভর্তি। ঠিক ১ টায় চন্দ্রিমা ওঠেন মঞ্চে। তাঁকে মঞ্চে বরণ করা নিয়েও একপ্রকার বিশৃঙ্খলা হয়। এরপর হলে  চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অপর দিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীয়ূষকান্তি পন্ডা সকলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চন্দ্রিমা ভাষণ দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত হল রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর নকল। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। আর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।” এরপরই টিফিনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। যদিও মাইকে বলা হয় সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খা আরও চরমে উঠে যায়। এরপর ভাষণের মাঝ পথেই রেগেমেগে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিজেপি কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সভায় ভাষণ শোনায় মন নেই। টাকা দিয়ে টিফিনের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের মহিলা সভায় লোক ভরার কাজ করছে।” পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজিয়া বিবি বলেন, “আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। তবে অনেকে বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক বাজেট (Budget 2024) পেশ করায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বাজেটকে “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট” বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রাক-নির্বাচন পর্বের এই বাজেটকে অভিনবও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    উদ্ভাবনের বাজেট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য। এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্ট-আপগুলির জন্য কর ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে।” এই বাজেট আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে আরও এক কদম বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। নির্মলার বাজেটের (Budget 2024) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে বাজেট সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন অর্জনের একটি রোডম্যাপ।”

    বিকশিত ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের ভিত্তি পোক্ত করার গ্যারেন্টি দিচ্ছে এই বাজেট। আমি নির্মলাজি ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। তরুণ ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন এই বাজেট। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতায়ন এবং নয়া আয়ের দিশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এক কোটি পরিবারকে নিখরচায় বিদ্যুৎ পেতে সাহায্য করবে রুফটপ সোলার স্কিম।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেট তরুণদের জন্য অসংখ্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের উপযোগী আধুনিক পরিকাঠামোও তৈরি করবে এই বাজেট। ২০ মিলিয়ন মহিলাকে লাখপতি দিদি করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি আমরা। এটা এখন বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন করা হয়েছে। গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষকে আমরা ৪০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ২০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও আজকের বাজেট কৃষক কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাজেট বিকশিত ভারতের চারটে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তরুণ, দরিদ্র, মহিলা এবং কৃষককে শক্তিশালী করবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে উন্নত ভারত হবে, তার ভিত্তি শক্তিশালীর করার গ্যারেন্টিও দিচ্ছে এই বাজেট (Budget 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share