Blog

  • Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার (Recruitment Scam) হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালান বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা, প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম ‘মিডলম্যান’। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি করে দেওয়া হতো তাঁর অফিসের মাধ্যমে। সেই টাকা তারপর পৌঁছে যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীকেও

    তদন্তের শেষে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে যায় ইডি। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে। গতকাল রাতে সস্ত্রীক প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। তদন্তে (Recruitment Scam) নেমে ইডি আধিকারিকরা প্রসন্ন রায়ের অফিসের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    সাত সকালেই হাজির হয় ইডি 

    জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহারও ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এর আগে প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানায় সিবিআই তল্লাশি চালালেও এই প্রথম অভিযানে নামে ইডি। গতকাল সকালেই ইডি আধিকারিকরা নিউটাউনে অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের অফিসে প্রথমে পৌঁছান। তবে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চাবি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিত ঝা-এর বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Centre Guidelines: ১৬ বছরের কম বয়সিদের কোচিংয়ে ভর্তি নয়, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    Centre Guidelines: ১৬ বছরের কম বয়সিদের কোচিংয়ে ভর্তি নয়, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছেলে-মেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠান অভিভাবকরা। রাজস্থান, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা-সহ সারা দেশ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে বেসরকারি কোচিং সেন্টার (Coaching Centres Rules)। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা সর্বভারতীয় জয়েন্ট, নেট, সেট-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ভিড় করে। তবে সম্প্রতি নানা জায়গায় কোচিং সেন্টারগুলিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত চাপ না নিতে পেরে নিজের জীবনও শেষ করে দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। তাই এবার কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার (Centre Guidelines)। কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীর বয়স বেঁধে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    কী বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়

    নতুন নির্দেশিকা (Centre Guidelines) অনুযায়ী, ১৬ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি করা চলবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি নেওয়া যাবে। কোনও কোচিং সেন্টার পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলে বা অন্য কোনও অসদাচরণে করলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। প্রয়োজনে ওই কোচিং সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন বাতিলও করা হতে পারে। কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এমন কোনও শিক্ষককে কোচিং সেন্টারগুলি নিয়োগ করতে পারবে না বলেও নির্দেশিকাতে বলা রয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, কোচিং সেন্টারগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা না থাকলে সেই সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন হবে না। পড়াশোনার পাশাপাশি জোর দিতে হবে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর এল চাকরির চিঠি! ষাটোর্ধ্ব ৬২ জনকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    কড়া পদক্ষেপ

    এর আগে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা, কোচিংয়ের Coaching Centres Rules) মধ্যে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং সেখানে শিক্ষার পদ্ধতি নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল সরকার। শিক্ষামন্ত্রকের ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, স্কুলের সঙ্গে কোচিংয়ের সময় যেন আলাদা হয়। এছাড়া প্রতিদিন কোচিংয়ের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা, সাপ্তাহিক ছুটি রাখা, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে সহ-পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা করার কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। কোচিং সেন্টারের সমস্ত ব্যবস্থার কথা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং পুরো বিষয়টিকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও সেন্টার এই নির্দেশ (Centre Guidelines) না মানলে তাদের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে জীবন শেষ। মৃত্যুর পর ব্যাক্তির নামে ইস্যু হল প্রাথমিকে চাকরির নিয়োগপত্র। একজন নয়, এমন চারজন রয়েছেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং এতদিন পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছে। হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই নিয়োগ পত্র ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবিপিটিএ এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। বিজেপির অভিযোগ অকর্মণ্যদের দিয়ে কাজ চললে এমনই হয়।

    প্রবীণদের নিয়োগপত্র

    সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন ৬৬ জনের নিয়োগপত্র দেন, যাঁদের সকলেরই বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছে। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। একদিকে যখন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণরা, তখন অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রবীণ-বৃদ্ধদের হাতে এল চাকরির নিয়োগপত্র। এই বয়সে নিয়োগপত্র কী জন্য হাতে এল, তাও স্পষ্ট নয় প্রবীণদের অনেকের কাছে। এদিকে নিয়োগপত্রে স্কুলের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে কেউ ছুটছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলে। আবার কেউ ছুটছেন সার্কেল অফিসে। 

    কী বলছেন প্রবীণরা

    নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন একজন হলেন পান্ডুয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি পান্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল, আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলাম। আমারা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছি। কী করে হল জানি না।’ আবার ৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, ‘আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে, কী করে দিল জানি না। ষাট বছরে তো অবসর হয়, আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব?’

    তদন্তের দাবি

    এবিটিএ কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহন পণ্ডিতের কথায়, ‘সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ঘটনা হয়নি। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে তারা এফেক্ট পাবেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই চাকরি চলে যাবে। এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা করে পাবে। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আমরা তদন্ত চাই বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক।’ বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘মারা গিয়েছেন এমন লোককেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কারোরই চাকরির বয়স নেই। এমন একটা অকর্মণ্য সরকার চলছে যাদের কাছে কোনও খবরই নেই কে মারা গেল কে জীবিত আছে। হাইকোর্টে শিক্ষা সংসদের আইনজীবী ছিলেন সেখানে কেন আপডেটেড তথ্য দেওয়া হয়নি? জনগনের টাকা এই ভাবে অপচয় হচ্ছে।’ 

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    প্রবীণ ষাটোর্ধ্ব চাকরি-প্রাপকরা বলছেন, নিয়োগপত্রে সই রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীর। বিষয়টি নিয়ে তাই যোগাযোগ করা হয়েছিল শিল্পা নন্দীর সঙ্গেও। কিন্তু তিনি কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চুপ শিক্ষা সংসদও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তাঁকে চেনে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি বিশ্বনেতা (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ‘বাবা’র ভূমিকায়। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সফরে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দির দর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী। পালন করছেন তাঁর বিশেষ ব্রত। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন কেরালার ত্রিশূরের গুরুভায়ুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানেই পুজো দেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি যোগ দেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে কন্যাদানও করতে দেখা যায়।

    কার হয়ে কন্যাদান করলেন মোদি?

    দক্ষিণের সুপারস্টার সুরেশ গোপীর কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সুরেশ এক জন খ্যাতনামা দক্ষিণী অভিনেতা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদও তিনি। একাধিকাবার নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। এবার নিজের কন্যাদানের গুরু দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতেই তুলে দিলেন সুরেশ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণামও করেন, ঠিক যেভাবে কোনও কন্যার পিতাকে নিজের মেয়ের বিবাহে দেখা যায়।

    হিন্দু রীতি অনুযায়ী কন্যাদান

    হিন্দু রীতি অনুসারে, কন্যাদানের দায়িত্ব অর্পিত থাকে পিতা বা পিতার অবর্তমানে পিতৃস্থানীয় কারও। পরিবারের জ্যাঠা, কাকা বা মামারাও এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে পিতার ভূমিকায় দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্টজনই।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও হার মানল ভারত। এশিয়ান কাপে জয়ে ফিরতে পারল না সুনীলরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াকু ফুটবলের পর উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়াই করল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণের কিছু ভুলে ৩-০ গোলে ম্যাচ হারতে হল ভারতকে। 

    রক্ষণের ভুল চোখে পড়ল

    ভারতের রক্ষণকে থিতু হওয়ার সময় দিলে তা ভাঙতে সমস্যা হবে, বুঝে গিয়েছিল উজবেকিস্তান। তাই খেলার শুরুতেই গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করল তারা। ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোল করলেন আব্বোসবেক ফাইজুলায়েভ। বক্সের মাথা থেকে বল বাড়ান শেরজদ নাসরুল্লায়েভ। দৈহিক উচ্চতা কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করেন ফয়জুল্লায়েভ। এগিয়ে যায় উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি উজবেকিস্তানকে। ১৮ মিনিটে ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ফয়জুল্লায়েভ বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেই শট আকাশ মিশ্রর গায়ে লেগে বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষণের কেউ না থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল। সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোল করে। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খায় ভারত। নাসরুল্লায়েভের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।

    সিরিয়াকে হারাতেই হবে

    দ্বিতীয়ার্ধে, ভারতীয় দল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। কিন্তু কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় সুনীলরা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিল না উজবেকিস্তান। নিজেদের মধ্যে বল ধরে রাখার খেলা খেলছিল তারা। তাগিদ দেখাচ্ছিল ভারত। গোলের জন্য ওঠায় কোনও কোনও সময়ে রক্ষণে ফাঁক তৈরি হচ্ছিল। সেখান থেকে প্রতিআক্রমণে উঠছিল উজবেকিস্তান। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল ভারতের। এশিয়ান কাপের নক আউটে যেতে হলে পরের ম্যাচে সিরিয়াকে হারাতেই হবে ভারতকে। তারপর নির্ভর করতে হবে নানা অঙ্কের উপর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hockey Olympic Qualifiers: হতাশ ধোনি! জার্মানির কাছে হার মহিলা হকি দলের, অলিম্পিক্স ছাড়পত্র মিলবে?

    Hockey Olympic Qualifiers: হতাশ ধোনি! জার্মানির কাছে হার মহিলা হকি দলের, অলিম্পিক্স ছাড়পত্র মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানিকে (Germany) হারাতে পারলেই প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics) টিকিট পেয়ে যেত ভারতীয় মহিলা হকি দল। কিন্তু তা হল না। সাডেন ডেথে হেরে গেলেন সবিতা পুনিয়ারা। সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-২ গোলে। যার ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর সাডেন ডেথ। এদিন মাঠে বসে ভারতের খেলা দেখলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। 

    দুরন্ত লড়াই

    বৃহস্পতিবার জার্মানির বিরুদ্ধে জিতে ফাইনালে উঠলেই অলিম্পিক্সের টিকিট পাকা হয়ে যেত ভারতের মেয়েদের। সেই ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারের শেষ পর্বে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন দীপিকা। পরের কোয়ার্টারে সেই গোল শোধ করে জার্মানি। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে খেলার যখন ৩ মিনিট বাকি, সেই সময় গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন স্টেপেনহার্স্ট। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে সমতা ফেরান ভারতের ইশাকা। ফাইনালের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে ২-২ গোলে। খেলা গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানে ভারত প্রথমে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও জার্মানি ৩-৩ করে ফেলে। দুই দলের পাঁচটি করে টাই ব্রেকার শট হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় সাডেন ডেথের খেলা। 

    মাঠে মাহি

    এদিন খেলা দেখতে মাঠ ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সাডেন ডেথ-এর খেলার সময় ক্যাপ্টেন কুলও নড়ে চড়ে বসেন। সেখানে প্রথম সুযোগে দুই দলের কোনও প্লেয়াররা গোল করতে পারেননি। দ্বিতীয় সুযোগে ভারতের সোনিকা গোল করতে ব্যর্থ হন। জার্মানির লিজা নলতে গোল করে দলকে জেতান। শেষ পর্বে এসে ভারতের হারে হতাশ ধোনিও। তবে হারলেও অবশ্য, ভারতের কাছে অলিম্পিক টিকিট জোগাড় করার সুযোগ থাকছে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে। ওই ম্যাচ খেলবে ভারত এবং জাপান। যে জিতবে, তারা যাবে অলিম্পিক্সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ তারিখে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে পারেন, তাই ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধদিবস ছুটি।

    অর্ধদিবস ছুটি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেও রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটি। উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন মদের দোকান বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, অসম এবং হরিয়ানা সরকারও। স্কুল ও সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

    বার কাউন্সিলের আর্জি

    মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছে বার কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র রাম মন্দির উদ্বোধনের তাৎপর্য, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর নানা প্রভাবের উল্লেখ করেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ডিডি নিউজ ও ডিডি ন্যাশনালে। ইউটিউবে দূরদর্শনের চ্যানেলেও লাইভ দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    সোমবারের অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব গোটা দেশে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার আমন্ত্রিত। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার জন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। অতিথিদের থাকার জন্য বুক করা হয়ে গিয়েছে হোটেল। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকে। তৈরি করা হয়েছে নয়া বিমানবন্দরও। যেহেতু ২২ তারিখে ভিভিআইপির ভিড়ে ঠাসা থাকবে অযোধ্যা, তাই আমজনতা দেব দর্শন করতে পারবে তার পরের দিন থেকে। মন্দির কমিটির আশা, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন দেব (Ram Mandir) দর্শনে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি বাংলা বলতে চাই। আপনারাও বাংলায় সওয়াল করুন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মঙ্গলবারই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টে কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না?’  

    ‘আমি বাংলায় বলতে চাই’

    বৃহস্পতিবার এজলাসে ঢুকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তরও দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।” আইনজীবী শীর্ষন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের সমস্ত বিষয় ইংরেজিতেই হয়ে থাকে। বাংলায় সওয়াল করলে কীভাবে চলবে? সওয়াল পর্ব কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

    ‘২১ ফেব্রুয়ারি অর্থহীন হয়ে পড়বে’

    প্রত্যুত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি তা বলিনি। আদালত চত্বরে যাঁরা আসেন, আদালত কক্ষে কী হচ্ছে তাঁরা যাতে তা বুঝতে পারেন, সেকথা ভেবেই সওয়ালটা বাংলায় করা হোক। কারও বাংলায় সমস্যা থাকলে ইংরেজিতে বলতে পারবেন। আমি বাংলায় বলতে চাই। অন্য দিনও বাংলায় শুনানি করব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কাটছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয়, সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।” আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভারতের বিভিন্ন আদালতে সেখানকার মাতৃভাষায় কথোপকথন হয়।”

    আরও পড়ুুন: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    এই সময় বিচারপতি আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “এই শুরুটা আপনি করুন। ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন।” এই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলা নিয়ে কেউ আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার উত্তর দেব।” এর পরেই বাংলায় কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি বলেন, “তালিকায় থাকা পরের মামলাটি ডাকা হোক।” দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আদালতের গা থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গন্ধ মোছার ‘ভগীরথ’ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝিলের জলদূষণ, ক্রমাগত মাথা তুলতে থাকা বহুতল আর জলে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়া  মূলত এইসব কারণেই এক ধাক্কায় প্রায় দু’হাজার কম পাখি এবছর হাওড়ার সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে এসেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এছাড়াও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রশাসনিক উদাসীনতা রয়েছেই। ট্রান্স-হিমালয়ান বিদশী পাখিদের মধ্যে শুধুমাত্র গ্যাডওয়াল এসেছে, তাও গননার দিন গত শনিবার ৪টি পাখি পাওয়া গেলেও পরবিন মাত্র তিনটির দেখা মিলল।

    ২০১৪ সালে পাখি ছিল ৭ হাজার (Howrah)

    ২০১৪ সালে যেখানে সওয়া সাত হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এই ঝিলে এসেছিল, সেখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে কমতে এখন সাড়ে চার হাজারে ঠেকেছে। প্রকৃতি সংসদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, “এভাবে পাখি আসা কমতে থাকলে বছর তিনেক পরে সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে আদৌ পরিযায়ী পাখি আসবে কিনা সন্দেহ। এজন্য তিনি আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পশাপাশি দূষণ ও প্রশাসনিক উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “বছর দশ এর আগে পর্যন্ত অন্তত ৫-৬ টি প্রজাতির একশোর কাছাকাছি বিদেশি ট্রান্স হিমালয়ান পাখি আসতো। গত বছর মাত্র চারটি এসেছিল। বিদেশি পাখির সংখ্যা একেবারে কমে গেছে।”

    কবে থেকে আসে পরিযায়ী পাখি?

    নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে সাধারণত পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হয়। তাদের উপযোগী করে তোলার জন্য ঝিলের (Howrah) মাঝে ‘দ্বীপ’ বানানো হয়। কচুরিপানা সরানো হয়, প্রয়োজনে ওয়াটার-ট্রিটমেন্ট করে জলও কিছুটা শোধনও করা হয়। মোটামুটি ভাবে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাখি আসা শুরু হয়। শীত যত বাড়ে পাখির আসাও তত বাড়ে। কিন্তু এবার পরিযায়ী পাখি আসার মরসুমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায়, সেটি তাদের আসার পথে অন্তরায় তৈরি করেছে।

    পাখি দেখতে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা

    এই ঝিলের (Howrah) পরিযায়ী পাখিরা বেশিরভাগ আসে হিমালয়ের প্রাচীর টপকে অথবা হিমালয় পাদদেশ থেকে। লেসার হুইসলিং ডাক, গাডোয়াল, ফেরুজিনাস পোচার্ড, নর্দান পিনটেল, কমন টিল এবং গার্গানি প্রজাতির হাঁসেরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এখানে আসে। তারা সারাদিন কচুরিপানা ভর্তি ঝিলের জলে খেলে বেড়ায়। দেশ-বিদেশের হরেকরকম পাখির কলতানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আকাশের দিকে চোখ মেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের ওড়া নজরে আসে। আর ৩৩ একর রেলের এই ঝিলে পাখি দেখতে ভিড় করেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পক্ষীপ্রেমীরা। গোটা শীতে হাতে বায়নোকুলার, বুকে ক্যামেরা আবার কারোর হাতে দামি মোবাইল সেট নিয়ে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা। যে যেমন পারে মনের আনন্দে পাখি দেখেন এবং ছবি তোলেন। সেই সঙ্গে আসে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।

    ঝিলে পাখি গণনায় অশনি সংকেত

    সম্প্রতি প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা ঝিলে (Howrah) পাখি গণনার কাজটি শেষ করেন। তাতেই বিপদের ইঙ্গিত পেয়েছেন। এবছর ঝিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা মাত্র ৪৮১৪। প্রজাতির সংখ্যা  ১৪ রকম। ট্রান্স হিমালয়ান বার্ড অর্থাৎ যারা মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া এবং উত্তর চীন থেকে আসে তাদের সংখ্যাও মাত্র হাতেগোনা। অথচ গত বছরেও ১৪ ধরনের প্রজাতির মোট ৬৭৪২টি পাখি এসেছিল। তার আগের বছরে ১৩ টি প্রজাতির ৫৬৫১ টি পাখি এসেছিল। আর বছর নয় দশেক আগের যদি হিসাব নেওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে ২০ টি প্রজাতির ৭০০০ বেশি পাখি ভিড় করেছিল।

    প্রকৃতি সংসদের বক্তব্য

    প্রকৃতি সংসদের (Howrah) সদস্য এবং প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দা জানিয়েছেন, “যেখান থেকে পাখিরা আসছে সেখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন, খাদ্যাভাব এবং শিকার কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তবে সাঁতরাগাছি ঝিলে এখনই যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে আগামী তিন-চার বছর পরে পাখিরা এখানে না আসতেও পারে।” ঝিল বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিষ্কার করার জন্য যতটা পরিকল্পনা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে না এবং যত টাকা দরকার তাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা।

    পাখির পরিসংখ্যান কত?

    সাঁতরাগাছির ঝিলে পাখির সংখ্যা কমতে কমতে ২০১৮ সালে তা আটশোয় এসে দাঁড়ায়। পরের বছর তা ২৮৮৯ এবং করোনার সময় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২০২০ সালে তা হয় ৫৬৯৪, পরের বছর ৫৬৫১। ২০২২ সালেও এই ধারা বজায় থাকলেও ২০২৩ সালে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৭৪২। কিন্তু এবছর আবার কমেছে পাখির সংখ্যা। আর এবছর এসেছে ৪৮১৪টি পাখি। প্রকৃতি সংসদ থেকে এই সংখ্যা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে এবছর সবচেয়ে বেশি এসেছে লেজার হুইসলিং ডাক (৪৬৬৮)। এছাড়াও অল্প সংখ্যায় এসেছে গ্যাডওয়াল (৪), সিনামম বিটার্ন (১), ইয়োলে বিটার্ন (২), ব্ল্যাক উইংড স্টিল্ট (২), লিটল করমোর‌্যান্ট (৬), কমন মুরহেন (২৩), হোয়াইট ব্রেস্টেড ওয়াটারহেন (১), ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন (১৩), ক্যাটেল এগ্রেট (৫৮), ব্রোঞ্জ উইংগড জাকানা (৯), বার্ন সোয়ালো (২৩), পার্পল হেরন (১), হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার (৩)। আবহাওয়ার কারণে এবছর অবশ্য সারা পশ্চিমবঙ্গেই পাখির সংখ্যা কমে গেছে।

    গত কয়েক বছরে (Howrah) সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখির পরিসংখান হল ২০১৪-(২০ প্রজাতির)-৭৩১৭, ২০১৫-(২০ প্রজাতির)-৭২৯৭, ২০১৬-(১৮ প্রজাতির)-৫৪৭৪, ২০১৭-(১৪ প্রজাতির)-৩১১৮, ২০১৮-(১৪ প্রজাতির)-৮০০, ২০১৯-(১৬ প্রজাতির)-২৮৮৯, ২০২০-(১৬ প্রজাতির)-৫৬৯৪, ২০২১-(১৩ টি প্রজাতির)-৫৬৫১, ২০২২-( ১৩ টি প্রজাতির) -৫৬৫১, ২০২৩- ( ১৪ টি প্রজাতির) -৬৭৪২, ২০২৪ – ( ১৪ টি প্রজাতির) – ৪৮১৪

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে তীব্র শোরগোল। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার ফের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে করা হয়েছে অনিয়ম। এই নিয়োগের অভিযোগের কথা বলে কটাক্ষ করলেন আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অবশ্য পশ্চিম বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বহুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য রয়েছে। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্যরা।

    কী বলেন অগ্নিমিত্রা পল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “সরকারের নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে না। শিক্ষকদের কাউন্সিলিংয়ের সময় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকছেন। শিক্ষকদের পছন্দের মতো স্কুল বেছে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক নেতারাই জোর করে তাঁদের পছন্দ করা স্কুলে নিয়োগ করাচ্ছেন।”

    কীভাবে অনিয়ম হচ্ছে?

    আসানসোলের (Asansol) বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ পাল জানিয়েছেন, “নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী নিয়ম হল শিক্ষকদের সিনিয়রিটি উপর ভিত্তি করে একটা প্রথমে তালিকা করা হয়। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। তারপরে তালিকায় অনুযায়ী শিক্ষকদের লিখিত চিঠি পাঠিয়ে ডাকার কথা থাকে। কিন্তু তা না করে, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা নিজেদের পছন্দের লোককেই ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শেষ করার কাজ করার চেষ্টা করছেন।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Asansol) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, “সরকার নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের কাজ চলছে। না জেনে অনিয়মের অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা (Asansol) সভাপতি হিমাদ্রি সরকার বলেন, “বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপির কোনও কাজ নেই তাই এইরকম অনিয়ম বেনিয়মের কথা বলে মিডিয়ার কাছে জনপ্রিয়তা চাইছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share