Blog

  • Murshidabad:  লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    Murshidabad: লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল বহরমপুর আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগের দিন আজ বৃহস্পতিবার বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে বেলডাঙার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাপুটে নেতা ভরত ঝাওর এবং তাঁর অনুগামীর দলবল বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের হাত থেকে দলের পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ধাক্কা খেল তৃণমূল এবং বিজেপি আরও শক্তিশালী বলে দাবি করল জেলা বিজেপি।

    ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে (Murshidabad)

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বেলডাঙা (Murshidabad) পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ভরত ঝাওর ভেবেছিলেন যে তৃণমূলের টিকিট বিধানসভায় পাবেন। কিন্তু কার্যত তাঁকে টিকিট না দিয়ে কালীগঞ্জের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখকে সেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ভরত ঝাওর নির্বাচন নিয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করলেন। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রত্যেক ওয়ার্ডেও প্রার্থী দেয় তৃণমূল। পুরসভার টিকিট না পেয়ে সেবারও রুষ্ট হন ভরত ঝাওর। এমনকী তাঁর ভাই সন্তোষ ঝাওরের নাম তালিকাতে থাকলেও সেই নাম পরবর্তীকালে পরিবর্তন করা হয়। এরপরই ভরত ঝাওরের নেতৃত্বে বেলডাঙায় পাঁচটি ওয়ার্ডে মই চিহ্নে ভরতপন্থীরা নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করে ভরত অনুগামীরা। অনেক ডামাডোলের পর আজ বহরমপুর বিজেপি অফিসে শাখারভ সরকারের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন তিনি।

    যোগদানের পর কী বলেন?

    বেলডাঙার (Murshidabad) তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা ভরত ঝাওর বলেন, “আমি তৃণমূলের হয়ে একবারের চেয়ারম্যান ছিলাম এবং চার বারের কাউন্সিলর ছিলাম। তৃণমূলে বারবার অপমানিত হয়েছি। এই দল দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। আগামী দিনে আরও অনেক তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলর যোগদান করবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির যোগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর দলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “আমি এর আগেও বলেছিলাম যে তৃণমূলের কাউন্সিলর যোগদান করবে, আজ সেটা আপনারা দেখলেন। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলের দুজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবে। এতে জেলায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? (Burdwan)

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।

    কার্জন গেট তৈরির ইতিহাস কী?

    বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।

    বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে?

    আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: দিল্লির ঘরও হারাচ্ছেন মহুয়া! বাংলো খালির নির্দেশে স্থগিতাদেশ নয় হাইকোর্টের

    Mahua Moitra: দিল্লির ঘরও হারাচ্ছেন মহুয়া! বাংলো খালির নির্দেশে স্থগিতাদেশ নয় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়। লোকসভা সচিবালয়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। দায়ের করেছিলেন মামলা। কিন্তু বৃহস্পতিবার মহুয়ার আবেদন শুনেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে আবেদন করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে। আদালত কিছু করতে পারবে না। এর পরে মহুয়ার আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

    কী বলল আদালত

    টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদপদ খারিজ হয়। তার পর ৭ জানুয়ারির মধ্যে মহুয়াকে ৯বি টেলিগ্রাফ লেনের সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। জানান, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বাংলো খালি করা সম্ভব নয়। নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানান। বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের এজলাসে দায়ের হয়েছিল সেই মামলা।  সরকার পক্ষের আইনজীবী মহুয়ার আবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাংসদ পদ খারিজের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাহলে কোন যুক্তিতে সরকারি বাংলোয় থাকতে চাইছেন মহুয়া?” এর পরই আদালত জানিয়ে দেয়, বাংলো ছাড়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেবে না তারা। মহুয়া চাইলে সরাসরি ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। সরকারকেও আইন মেনেই বাংলো খালি করতে হবে বলেও মন্তব্য করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ করে মহুয়া (Mahua Moitra) সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বুধবারই শুনানি হয়। আদালত বুধবার লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস দিয়েছে। দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সচিবালয়কে। এর মধ্যে মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বক্তব্য জানাতে হবে তাদের। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ মার্চ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Election 2024: কাড়া হল প্রতীক! তাও জনমত সমীক্ষায় পাক জনতার পছন্দ ইমরানের দলই

    Pakistan Election 2024: কাড়া হল প্রতীক! তাও জনমত সমীক্ষায় পাক জনতার পছন্দ ইমরানের দলই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান নির্বাচন (Pakistan Election 2024) কমিশন মনোনয়ন বাতিল করায় পার্লামেন্টের আসন্ন নির্বাচনে লড়তে পারবেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকী পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী ক্রিকেট অধিনায়কের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে ভোটের আগে জনমত সমীক্ষায় এখনও এগিয়ে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দল  পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। 

    পছন্দের দল পিটিআই

    কয়েক মাস আগে আমেরিকার একটি জনমত সমীক্ষা সংস্থা পাকিস্তানের (Pakistan Election 2024) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল। তার ফল বলছে, ৩৮ শতাংশ পাকিস্তানি ভোটদাতার পছন্দের দল পিটিআই। প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ ও শাহবাজ শরিফের দল ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১৮ শতাংশ পাক ভোটদাতা। এ ছাড়া নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি’ (পিপিপি) ১৫ শতাংশ, তেহরিক-ই-লব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) ১০ শতাংশ, জামাতে ইসলামি (জেআই) ৯ শতাংশ এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)-র প্রতি ৬ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে বলে ওই জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। ওই সমীক্ষায় ‘পছন্দের প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে ৬০ শতাংশ ভোটার ইমরানের (Imran Khan) নাম করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়তে পারবেন না ইমরান! প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন বাতিল কমিশনের

    পিটিআই-এর প্রতীক নিয়ে সমস্যা

    ওএসএ মামলার কারণে  ইমরান জেলে থাকলেও তাঁর দল পিটিআই ভোটে অংশ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নভেম্বরে। কিন্তু  পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বিধি মেনে ইমরানের উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। এই যুক্তি দেখিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’ (ইসিপি) যে পদক্ষেপ করেছিল, বুধবার পেশোয়ার হাইকোর্ট তা পুনর্বহাল করেছে। এর ফলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ira Khan Wedding: কনের সাজে আমির-কন্যা ইরা, জগিংয়ের পোশাকে বিয়ের আসরে বর নূপুর

    Ira Khan Wedding: কনের সাজে আমির-কন্যা ইরা, জগিংয়ের পোশাকে বিয়ের আসরে বর নূপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে করলেন অভিনেতা আমির খানের মেয়ে ইরা খান ও তাঁর জিম ট্রেনার প্রেমিক নূপুর শিখর। কোভিডের সময় দেখা, সেখান থেকে প্রেম। প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক নূপুর শিখর ও ইরা খানের। গত বছর নভেম্বর মাসে বাগ্‌দান সারেন আমির-কন্যা। অবশেষে মুম্বইতে আমিরের প্রথম স্ত্রী রিনার বাড়িতেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে চার হাত এক হল। 

    দৌড়ে বিয়ের আসরে

    ইরার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে মরাঠি সাজে দেখা গিয়েছিল আমিরের প্রাক্তন দুই স্ত্রী রিনা ও কিরণকে। ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনের উপস্থিতিতে আইনি মতে বিয়ে সম্পন্ন হল ইরা-নূপুরের। আগেই জানা গিয়েছিল বিয়েতে অতিথিদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করতে নারাজ ইরা। বিয়ের দিন সকালেও সাদামাটা সাজেই মুম্বইয়ের এক সাঁলোর বাইরে দেখা যায় ইরাকে। প্রায় আট কিলোমিটার দৌড়ে ইরাকে বিয়ে করতে পৌঁছন নুপূর। প্রথমে কালো স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বর বিয়ে করতে এলেও, পরে বদলে নেন পোশাক।

    রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ের আসর

    বিয়ে সেরে বাড়ির বাইরে এসে উপস্থিত পাপারাজ্জিদের উদ্দেশে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গেল নব দম্পতিকে। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বন্দি হলেন আমির খানও। শ্বশুরের খুব ঘনিষ্ঠ নূপুর। দীর্ঘদিন ছিলেন তিনি আমিরেরই জিম ট্রেনার। এছাড়াও বহু বলিউড তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্টের জামাই। ৭টা নাগাদ সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।

    আইনি মতে সইসাবুদ করে বিয়ে সারেন ইরা ও নূপুর। রীতি মেনে বিয়ে না করলেও সঙ্গীত, মেহেন্দির মতো অনুষ্ঠান হয়েছে তাঁদের। মুম্বইতে আইনি বিয়ে সারলেও ৮ জানুয়ারি রাজস্থানের উদয়পুরে রয়েছে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান। তার পরর ১৩ জানুয়ারি মুম্বইতে রয়েছে বউভাতের অনুষ্ঠান। ওই দিনই আমান্ত্রিত বলিউডের খ্যাতনামী তারকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জানুয়ারি, রবিবার সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে (Bangladesh Election)। নির্বাচনী ময়দানে দেশের শাসক দল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ হাজির থাকলেও, খালেদা জিয়ার দল ডাক দিয়েছে ভোট বয়কটের। দেশের অন্য দলগুলি অবশ্য যথারীতি রয়েছে ভোট-ময়দানে। যেহেতু জিয়ার দল বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না অশান্তির আশঙ্কা। এহেন প্রেক্ষিতেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটাই কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই কারণে গুচ্ছ পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বুধবার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

    সেনা থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত    

    নির্বাচনোত্তর (Bangladesh Election) অশান্তি এড়াতে বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, কী কী দায়িত্ব পালন করবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এই সশস্ত্র বাহিনী। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনীর সদস্যদের। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতেই মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

    কী বলছে কমিশন?

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গির আলম বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনা। প্রতিটি আসনের বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে থাকবে তারা। কোনও ধরনের অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তারা যাবে ঘটনাস্থলে। কাজ করবে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো।” তিনি জানান, কোন কেন্দ্রের কোথায়, কতগুলি নোডাল পয়েন্ট থাকবে, তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন। আর সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ৩৮৮টি উপজেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার নিয়োগ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি। জানা গিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়াতে পারবেন রিটার্নিং অফিসাররা (Bangladesh Election)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দেশব্যাপী ৩০ লক্ষ মানুষকে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে। এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৫০০ বছর ধরে রাম মন্দির আন্দোলনের সফল বাস্তবায়ন হতে চলেছে। দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ রাম ভক্তদের মধ্যে। মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। লোকসভার আগে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযানকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা লোকসভা ভোটের বিশেষ প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন।

    কবে থেকে মন্দির দর্শনের অভিযান চলবে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দুই মাস ধরে সকল রাজ্য থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে বিজেপি। দৈনিক ৫০ হাজার করে মানুষ যাতে মন্দির পরিদর্শন করতে পারেন সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।’ ইতিমধ্যে সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাম মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার সময় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। আসন্ন লোকসভাকে ঘিরে ‘তিসরি বার মোদি সরকার’ এবং ‘আব কি বার ৪০০ পার’- দুটি স্লোগানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ ট্রেন থাকবে ব্যবস্থায়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার দলের মধ্যে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন জেপি নাড্ডা। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে,  প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক ব্লক স্তর থেকে কর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং রামভক্তদের ধাপে ধাপে এনে মন্দির দর্শন করানো হবে। এই কাজের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। এই মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শনের জন্য করা হবে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।

    ভোটের আগে বিরাট প্রস্তুতি

    সামনেই লোকসভার ভোট তাই দেশে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরাট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উৎসাহী করতে দলের তরফ থেকে ব্যাপক অভিযান নেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৩০টি জায়গা থেকে অযোধ্যার দিকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির দর্শনের জন্য যাতে প্রত্যকে দিন ৩৫টি করে ট্রেন চালানো হয় তার জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিজপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় যাতায়াত করার জন্য ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে। বিজেপি কর্মীরা শুধুমাত্র দেখাশোনার কাজ করবেন। মন্দির দর্শনের কর্মসূচিকে বিজেপির ‘মেগা প্ল্যান’ বলেছে রাজনৈতিক মহল। এই রাজ্যের তরফ থেকে বিজেপি অবশ্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ‘অক্ষত চাল’ নিয়ে গিয়ে রাম মন্দির দর্শনের আমন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) তৃতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরা একপ্রকার নিশ্চিত। এবার প্রয়োজন অন্তত ৪০০ আসন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই লক্ষ্যমাত্রা। সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে জানপ্রাণ বাজি রেখে লড়ছে পদ্ম শিবির। দেশে উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। সেই কাজ শেষ করতে হলে প্রয়োজন বিপুল জনসমর্থন। যাতে উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে না পারেন বিরোধীরা।

    স্ক্রিনিং কমিটি

    প্রতিবার নির্বাচনের আগে দলবদলের ঘটনাও ঘটে। যেহেতু বিভিন্ন সমীক্ষায় বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে, তাই নির্বাচনের আগে আগে পদ্ম শিবিরে ভিড়বে হাওয়া মোরগের দল। এই দলের সঙ্গেই যাতে বেনোজলও ঢুকে না পড়ে, সেজন্য স্ক্রিনিং কমিটি গড়েছে বিজেপি। এই কমিটিরই প্রথম বৈঠক হবে ৬ জানুয়ারি, শনিবার। যাঁরা অন্য দল ছেড়ে পদ্ম-খাতায় নাম লেখাতে চান, তাঁদের প্রথমে বাছাই করবে স্ক্রিনিং কমিটি। যাঁদের ছাড়পত্র দেবে এই কমিটি, তাঁদের নাম পাঠানো হবে ওপরতলার নেতাদের কাছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল মিললে তবেই গেরুয়া ঝান্ডা ধরতে পারবেন বিজেপিতে যোগদানেচ্ছু নেতা-কর্মীরা।

    পরিশ্রুত হওয়ার পরেই যোগ ‘শাহি’ দলে

    নির্বাচনের আগে স্বদলে প্রতীক না পেয়ে অনেকেই ভিড় করেন যে দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা বেশি, সেই দলে। যেহেতু এবারও বিজেপির (BJP) জয় একপ্রকার নিশ্চিত, তাই ক্ষমতালোভীরা ভিড় করবেন বিজেপিতে। স্ক্রিনিং কমিটির ফিল্টারে পরিশ্রুত হওয়ার পরেই তাঁরা যোগ দিতে পারবেন ‘শাহি’ দলে। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এঁদের মধ্যে যেমন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছিলেন, তেমনি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবও। ছিলেন মনসুখ মাণ্ডব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারাও। এই বৈঠকেই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে কমিটির প্রথম বৈঠকটি হবে ৬ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুুন: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    ইতিমধ্যেই জনসভা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতাদের। প্রচারের অভিমুখ হবে দুটি। একটি মুখে ফিরিস্তি দেওয়া হবে গত দশ বছরে বিজেপি সরকার কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে। আর অন্য মুখে বলা হবে কী কী কাজের শিলান্যাস করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার মাসের অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) ভয়েস স্যাম্পল হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা? তদন্তেই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই কণ্ঠস্বর নমুনা?

    অগাস্ট থেকে এসএসকেএমেই ঠিকানা ‘কাকু’র

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা গত বছরের অগাস্ট মাস। সেই মাসেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর ২২ অগাস্ট থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঠিকানা হয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতাল। কখনও তাঁর ঠাঁই হয় হাসপাতালের আইসিসিইউ বেডে তো কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে। সেই থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস ওই বিভাগের একটি শয্যা দখল করে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। 

    ‘কাকু’-র কণ্ঠ পেতে মরিয়া ছিল ইডি

    সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানতেন, তদন্তের স্বার্থে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইডি-কে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এতদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা এতদিন সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি৷ কারণ, শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইডিকে। এমনকী, ডিসেম্বরের শুরুতে জোকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়েও ফিরে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম!

    এই প্রেক্ষিতে, ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’-কে আড়াল করছে এসএসকেএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে বার বার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ৷ ইচ্ছে করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। ২ জানুয়ারি কণ্ঠস্বরের নমুনার উপর ফের জোর দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, বুধবার মধ্যরাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে হয় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। যা তদন্তের (Recruitment Scam) গতিপ্রকৃতি স্থির করতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট ভীষণই বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। তাঁরা জানান, ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস-এর মতোই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট।  সূত্রের খবর, এবার সুজয়কৃষ্ণর এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যার ফলাফলের উপর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের (Recruitment Scam) ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহল মহলের মত৷ তদন্তকারীদের ধারণা, সেখান থেকেই অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে (Kalighater Kaku)। 

    কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে…

    ইডি সূত্রর দাবি, নিয়োগ মামলার তদন্তে (Recruitment Scam) এই পরীক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিশ্বাস। গোয়েন্দাদের মতে, এই নমুনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে যেদিন সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেদিনই বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত ‘কাকু’-র ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার মধ্য়ে ছিল একটি কথোপকথন। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। ইডি-র দাবি, বক্তা আর কেউ নন, ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই জন্যই এই কণ্ঠস্বর পাওয়া এত জরুরি ছিল ইডি-র কাছে, চ্যালেঞ্জও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দু’ লক্ষের বেশি মহিলার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, রোড-শোয়ে ঠাঁই নাই রব  

    PM Modi: দু’ লক্ষের বেশি মহিলার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, রোড-শোয়ে ঠাঁই নাই রব  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠের যতদূর চোখ যায়, কেবলই কালো মাথার সারি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখবেন বলে এসেছেন, তাঁদের অনেকেরই খোঁপায় জড়ানো ফুলের মালা। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যখন এই ললনা সম্মেলনে যোগ দিতে মঞ্চে উঠলেন, তখন সেই মাথার সারিই সমস্বরে চিৎকার করে উঠল, মো-ও-দি, মো-ও-দি। বুধবার দু’ লক্ষেরও বেশি মহিলা যোগ দিয়েছিলেন কেরলের ত্রিশূরের এই সম্মেলনে।

    মানুষ আর মানুষ

    দু’ দিনের দক্ষিণ ভারত সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার, দ্বিতীয় দিনে তিনি গিয়েছিলেন ত্রিশূরে। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো। এই সময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’ ধারে ভিড় করেছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রোড শো শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান ত্রিশূরের জনসভার মাঠে। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দু’ লক্ষেরও ঢের বেশি মানুষ। এঁরা সবাই সমাজের সর্বস্তর থেকে উঠে আসা। এঁদের মধ্যে যেমন ছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, তেমনি ছিলেন স্কুল-কলেজের শিক্ষিকারাও। ছিলেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পীর পাশাপাশি মহিলা উদ্যোগপতিও। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে যায় এক প্রস্ত হাততালি। তার পরেই দক্ষিণের এই রাজ্যে মহিলাদের কর্মোদ্যাগ এবং সাহসিকতার প্রশস্তি গাইতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘স্ত্রী শক্তি সমাগম’

    সভার নাম ছিল ‘স্ত্রী শক্তি সমাগম’। ঠিক ছিল সমাজের সর্বস্তরের লাখ দুয়েক মহিলা যোগ দেবেন সভায়। যদিও সভা শুরুর পর দেখা গেল, মাঠটির সর্বত্র ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রব। গত দশ বছরে তাঁর সরকার মহিলাদের সম্মান দিতে যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, এদিন তার ফিরিস্তি দেন প্রধানমন্ত্রী। মুসলমান মহিলাদের তিন তালাকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার কথাও তিনি বলেন। দরিদ্র, কৃষক এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নই যে তাঁর সরকারের পাখির চোখ, তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কেরলের এই সভায়ও প্রধানমন্ত্রীর মুখে অবধারিতভাবে উঠে আসে ইন্ডি জোটের প্রসঙ্গও। তিনি (PM Modi) বলেন, “ইন্ডি জোট কেবল একটা জিনিসই জানে। তারা কেবল আমাদের বিশ্বাসে আঘাত হানে। তারা আমাদের মন্দির এবং উৎসবগুলিকে লুঠ করবে বলেই যেন তৈরি হয়েছিল। ‘ত্রিশূর পুরম’ নিয়ে রাজনীতি করাটা দুর্ভাগ্যজনক। শবরীমালা মন্দিরে দেবভক্তরা যে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। এটা রাজ্য সরকারেরই ব্যর্থতা।”

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
LinkedIn
Share