Blog

  • Nina Singh:  সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি নিনা সিং, কাজ করেছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে  

    Nina Singh: সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি নিনা সিং, কাজ করেছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের নারী শক্তির জয়। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি হলেন নিনা সিং। রাজস্থান ক্যাডারের ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার নিনা। তিনি এতদিন সিআইএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি পদে ছিলেন। এর আগে সিবিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ পদেও থেকেছেন তিনি। 

    নতুন পদে কে কে

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষপদে বড়সড় পরিবর্তন আনল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহর মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিআরপিএফ, আইটিবিপি ও সিআইএসএফ-এর নতুন ডিজি নিয়োগ করা হয়েছে। আইপিএস নিনা সিংকে সিআইএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি পদ থেকে নিয়ে আসা হল ডিজি পদে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইবি আধিকারিক রাহুল রাসগোত্রকে আইটিবিপি প্রধান পদে বসানো হয়েছে। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রাহুল বর্তমানে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর স্পেশাল ডিরেক্টর পদে আছেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে আইবি-তে আছেন। এদিকে অনীশ দয়াল সিংকে সিআরপিএফ-এর ডিজি করা হয়েছে। এদিকে অনীশ আইটিবিপি প্রধান ছিলেন। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সিআরপিএফ-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারকে এবার সিআরপিএফ-এর পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    গবেষণার কাজে নিনা

    নিনা সিং হলেন দেশের প্রথম মহিলা, যিনি সিআইএসএফ-এর সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব সামলাবেন। অতীতে সিবিআই-এর সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। শীনা বোরা হত্যা মামলা, জিয়া খান আত্মহত্যা মামলার মতো হাই প্রোফাইল তদন্তের দায়িত্ব সামলেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর করা এই আইপিএস অফিসার। পড়ুশানো ও গবেষণার দিকেও ঝোঁক রয়েছে তাঁর। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসথার ডুফলোর সঙ্গে দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন নিনা সিং। দিল্লি মেট্রো-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিআইএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে এই আধা সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীরই প্রধান হয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন নিনা।  ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই অবসরের আগে পর্যন্ত এই পদে থাকবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19 Death: বছর শেষে ফিরল আতঙ্ক, কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু কলকাতায়

    Covid-19 Death: বছর শেষে ফিরল আতঙ্ক, কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে কলকাতায় ফিরল কোভিড আতঙ্ক। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু (Covid-19 Death) হল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে।

    বেশ কিছু দিন ধরেই কলকাতায় কোভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। শহরের একাধিক হাসপাতালে বাড়ছিল কোভিড রোগীর সংখ্যাও। এবার মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলেই ওই ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে ভর্তি করানো হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয় (Covid-19 Death)। হাসপাতাল সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির কো-মর্বিডিটি ছিল। হৃদরোগ-সহ অন্য অসুখ‌ও ছিল তাঁর। 

    শহরবাসীর মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ

    এমনিতেই, দেশে কোভিডের নয়া জেএন.১ উপ-প্রজাতির (Corona Sub-variant JN.1) বাড়বাড়ন্তে নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন শহরবাসী। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮। প্রথমে ৩ হাসপাতালে ৩ কোভিড আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার খোঁজ মেলে আরও ৫ জনের। প্রত্যেককে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হাসপাতালে। ৩ জন আইসিইউতে। তার মধ্যেই এই মৃত্যুর (Covid-19 Death) ঘটনায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। উদ্বেগ বাড়ছে নাগরিকদের মধ্যে। বিশেষ করে প্রবীণরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। যদিও, স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গে এখনও একজনের শরীরেও জেএন.১ উপ-প্রজাতির (Corona Sub-variant JN.1) অস্তিত্ব মেলেনি। 

    কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী

    দেশেও কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ৬ জনের মৃত্যু (Covid-19 Death) হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কেরলের। বাকি ৪ জন পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,০৯১। উদ্বেগের বিষয় হল, গতকাল পর্যন্ত দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর (Corona Sub-variant JN.1) সন্ধান মিলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির সংলগ্ন ৮৪-কোশী পরিক্রমা অঞ্চল ‘মদবিহীন এলাকা’ হিসাবে ঘোষিত করা হল। ওই এলাকায় মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা বা প্রস্তুত করা যাবে না। এমনকি, এলাকায় আগে থেকে যে মদের দোকান রয়েছে,  সেগুলিকেও তুলে দেওয়া হবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এমনই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। 

    ‘মদবিহীন’ অঞ্চল

    আগামী ২২ জানুযারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। সূচনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র অযোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এখন থেকে আর মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা- কোনওকিছুই করা যাবে না। জারি করা নির্দেশিকার জেরে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকে থাকা সরকারি মদ দোকানগুলিও সরতে চলেছে। সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনও মদ ব্যবসায়ী দোকান সরাতে না চাইলে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পৎ রাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল। তার পরেই মন্দির সংলগ্ন এলাকা ‘মদবিহীন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কে? চিনে নিন

    নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

    রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সরযূ নদীর তীরে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তার মাঝেই নতুন নিয়মের কথা জানাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সিদ্ধান্ত, ৮৪ কোশী পরিক্রমা মার্গে মদ বিক্রি বন্ধ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সঙ্গে আলোচনা করেই এলাকাকে মদ-বিহীন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ওখানে অবস্থিত দোকানগুলি সরিয়ে দিয়েছি। ১৫০-১৭৫ কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তায় সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মদ বিক্রি। নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনে জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব।” বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Polls) হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করে শেখ হাসিনার দল। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক

    হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা নির্ধারণ ও ছিটমহল বিনিময়ের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে।” বিদেশনীতি প্রসঙ্গে ইস্তাহারে (Bangladesh Polls) বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

    ‘যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী’

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামি লিগ সরকার সমগ্র অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিকে নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্ক ফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ নয়, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা নির্দেশিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এই নীতিকে ধারণ করে আওয়ামি লিগের সফল বিদেশনীতির কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্তিশালী ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে।”

    আরও পড়ুুন: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের

    আওয়ামি লিগের ইস্তেহারে মোট ১১টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু স্বার্থেও কিছু ঘোষণা। এই ঘোষণায় খুশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বৃহত্তম সংগঠন ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’। এই পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যেহেতু গত পাঁচ বছরে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি এবং এবারও সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাই এটি মন্দের ভাল। তবে এই প্রতিশ্রুতি যেদিন বাস্তবায়িত হবে, সেদিন (Bangladesh Polls) আমরা আন্তরিকভাবে খুশি হব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের হতাশা! এক ইনিংস ও ৩২ রানে লজ্জার হার ভারতের

    India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের হতাশা! এক ইনিংস ও ৩২ রানে লজ্জার হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনেই শেষ ভারত -দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) প্রথম টেস্ট। অসহায় আত্মসমর্পণ রোহিতদের। টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমে  সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম টেস্টে এক ইনিংস এবং ৩২ রানে হারল ভারত। শেষ হয়ে গেল ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের আশা করেছিল ভারতবাসী। এক লহমায় ভেঙে গেল সেই আশা। বিশ্বকাপ ফাইনালে যেমনভাবে মাথা নীচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন, সেভাবেই হতাশাকে সঙ্গী করে বৃহস্পতিবারও মাঠ ছাড়লেন রোহিতরা।

    ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা

    দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। প্রথম ইনিংসে ভারত তোলে ২৪৫ রান। সেবারে কেএল রাহুলের শতরানের সৌজন্যে খানিকটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছিল ভারতের। জবাবে ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এলগার করেন ১৮৫ রান। অন্যদিকে শেষবেলায় জানসেনের ৮৪ রানের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৪০৮ রানে। ভারতের হয়ে চারটি উইকেট নেন বুমরাহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। যদিও এদিন দিনের সেরা বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। একমাত্র বিরাট কোহলি ছাড়া কেউই তেমনভাবে রান করতে পারেননি। বিরাট করেন ৭৬ রান। শুভমান করেন ২৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বার্গার নেন চারটি উইকেট। 

    প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কার্যত আত্মসমর্পণ করে বসল ভারতীয় ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রানের ঘাটতি নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গেল ভারতের ব্যাটিং। সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে তিনদিনের মধ্যে ভারতকে ইনিংস ও ৩২ রানে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাও ১০ জন ক্রিকেটার নিয়ে। চোটের জন্য তাদের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা মাঠেই নামতে পারেননি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ এগিয়ে গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

    হাফিজের মাথার দাম

    হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

    সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

    আরও পড়ুুন: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

    পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বন্দে ভারতের পর আসছে নয়া ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express)। এই ট্রেনের বর্ণ হবে গেরুয়া। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক এই ট্রেন বেশ আশাব্যঞ্জক এবং ফলপ্রসূ হবে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই ট্রেনের উদ্বোধন হবে। উল্লেখ্য অমৃত ভারত একপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

    শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এই ট্রেনের এর আগে নামকরণ করা হয়েছিল বন্দে সাধারণ। যা আদতে নন-এসি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরে নাম বদল করে ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express) রাখা হয়। ট্রেনের রঙ ধূসর ও গেরুয়ার সংমিশ্রণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যা থেকে উদ্বোধন করতে পারেন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। প্রথম ট্রেন যাবে অযোধ্যা থেকে বিহারের দ্বারভাঙা পর্যন্ত। দ্বিতীয় ট্রেনটি সম্ভবত চলবে মালদা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত। যদিও, একনও রেলের তরফে সরকারি স্তরে কোনও ঘোষণা হয়নি।

    সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনেও পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ট্রেনের দুদিকের ইঞ্জিন সমানতালে কাজ করবে। সামনের ইঞ্জিন পুল করবে, শেষেরটি পুশ। ট্রেনের উভয় প্রান্তেই ডাব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিন যুক্ত থাকছে।  এই ট্রেনের গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। অমৃত ভারত ট্রেনে (Amrit Bharat Express) মোট ২২টি কোচ থাকবে। ৮টি সাধারণ (জেনেরাল) কোচ, ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির থ্রি টিয়ার স্লিপার কোচ ছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এতে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তায় জোর

    সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্রেনের লোকো পাইলটদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সিটগুলিকে আরামদায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কামরার উপরে সিটে গদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক সিটের সঙ্গে থাকবে উন্নতমানের মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট। পাশাপাশি, রাখা হয়েছে এলইডি লাইট, বেসিন, পাখা, মেট্রোর মতো ঘোষণার সুবিধাও। ট্রেনে যাতে জলের অপচয় কম রাখা হয় তার জন্য সেন্সর ওয়াটার ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। ট্রেনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি কোচে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। 

    ২ ঘণ্টা কম সময় লাগবে

    এই ট্রেনের ট্রায়াল ও অন্যান্য সুবিধাগুলিকে প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব রুটে এই ট্রেনগুলি চলবে সেখানে যাত্রাপথে গন্তব্যে পৌঁছাতে ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।  প্রবীণ বা বয়স্ক নাগরিক কিংবা বিশেষ সক্ষমরা যাতে উঠতে পারেন তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দরজা থাকবে বেশ চওড়া, জানালা থাকবে বেশ বড়বড়। দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং নতুন প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। দিল্লি থেকে কলকাতায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express) ট্রেনে আসত ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এই ট্রেন হল অমৃত কালের অমৃত ভারত ট্রেন।”

    কেমন হবে ভাড়া?

    অনেকে বলছেন, এই ট্রেন বন্দে ভারতের ছোট ভাই। তবে এর ভাড়া বন্দে ভারতের মতো হবে না। তুলনায় অনেক কম হবে ভাড়া। রেল জানিয়েছে, সাধারণ মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় মাত্র ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি ভাড়া হবে এই ট্রেনে। অন্যান্য মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এক থেকে ৫০ কিলোমিটারের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রার ন্যূনতম টিকিটের দাম ৩০ টাকা (রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়া)। সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) এক থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ন্যূনতম খরচ ৩৫ টাকা। রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়াই যাত্রীদের দিতে হবে এই অর্থ। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছাড়ের টিকিট এবং বিনামূল্যে পাসের জন্য টিকিট এই ট্রেনগুলিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High court: বাড়িতে সারাক্ষণ কাজ করলে গৃহবধূরাও বেতন পাওয়ার যোগ্য! মত হাইকোর্টের

    Calcutta High court: বাড়িতে সারাক্ষণ কাজ করলে গৃহবধূরাও বেতন পাওয়ার যোগ্য! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের কাজ করেই কেটে যাচ্ছে দিন রাত। তবু শুনতে হয় ‘ঘরেই তো বসে থাক! কোনও কাজ তো নেই…’। এমন কথা প্রায়শই অনেকে বলে থাকেন। কিন্তু আইন বলছে অন্য কথা। আইনের চোখে গৃহবধূর শ্রম পারিশ্রমিকের যোগ্য। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court) বলল, গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁরাও স্বোপার্জনকারী। সংসারে তাঁরা দিবারাত্রি যে কাজ করেন, তার মূল্য রয়েছে।

    কী বলল আদালত

    ৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চে। মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘কে বলেছে, গৃহবধূরা বেকার? সংসারে গৃহবধূদের অবদান অনেক বড়। তাঁরা কোনও ছুটি না নিয়ে ৩৬৫ দিন সংসারের যাবতীয় কাজ করেন। একই কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করালে যে খরচ হত, তা ব্যয় করতে হয় না ওঁদের দৌলতেই। তাই সংসারে ওঁদের কাজের আর্থিক মূল্যও রয়েছে। আর সেই জন্যই গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁদেরকেও উপার্জনকারী হিসাবেই দেখতে হবে।’’  এক্ষেত্রে হাইকোর্ট (Calcutta High court) মনে করে দিয়েছে ২০০৮ সালে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের কথা। সর্বোচ্চ আদালত ব্যাখা করেছিল, যাঁরা বাড়িতে থাকেন তাঁদের বেকার বলে গণ্য করলে হবে না। প্রত্যেকদিন ১০০ টাকা করে ধার্য্য করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    কোন প্রসঙ্গে এই মত

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বর্ধমানের বাসিন্দা লুফতা বেগম। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ছেলে মীর শামিম আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইব্যুনাল থেকে ক্ষতিপূরণের যথেষ্ট অর্থ তাঁরা পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন মৃতের ছেলে। কারণ যে গাড়িটির দ্বারা দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই গাড়িটির বিমা করা ছিল। এই মামলারই শুনানিতে বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা গৃহবধূ তাঁদের বেকার ভাবলে চলবে না। তাঁদের শ্রমের মূল্য তা গণ্য করতে হবে। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High court) ওই বিমা সংস্থাকে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, ওই মহিলার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে তাঁকে দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনীতির (India Qatar Relations) ময়দানে বড় জয় মোদি সরকারের। কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হল বৃহস্পতিবার (Qatar Death Penalty)। 

    অক্টোবরে মৃত্যুর সাজা 

    চরবৃত্তির অপরাধে অক্টোবর মাসে ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল কাতার (Qatar Death Penalty)। এই ৮ জন হলেন— ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে, কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি কূটনৈতিক (India Qatar Relations) স্তরেও আলোচনা চালাচ্ছিল বিদেশমন্ত্রক। আজ মৃত্যুদণ্ড রদ করে হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত।

    কোর্ট অফ আপিলে জয়

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আজ কোর্ট অফ আপিল অফ কাতারের রায় অনুযায়ী, দাহরা গ্লোবান কেসে মৃত্যু দণ্ডের সাজা মকুব করা হয়েছে৷ তবে বিস্তারিত রায় এখনও আসেনি৷ আমরা এ বিষয়ে কাতারের আদালতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতীক্ষা করছি। কাতারে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং অন্য আধিকারিকরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ৮ জনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন৷ এই বিষয়ের প্রথম থেকেই আমরা নৌ-আধিকারিকদের পাশে রয়েছি৷ আমরা তাঁদের আইনি সব সাহায্য করে যাব৷’’

    চরবৃত্তির অভিযোগে গত বছর গ্রেফতার 

    গত বছর অগাস্ট মাসে নৌসেনার এই ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, প্রথমে তা দোহার ভারতীয় দূতাবাসকেও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরের এপ্রিলে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পর অক্টোবর মাসে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় কাতারের নিম্ন আদালত (Qatar Death Penalty)। 

    কাতার আদালতের নির্দেশে কার্যতই স্তম্ভিত হয়ে যায় দিল্লি। এর পরই কেন্দ্রের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। নভেম্বরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের (India Qatar Relations) ছাড়িয়ে আনতে সব রকম আইনি সাহায্য করবে ভারত সরকার৷ গত মাসেই ভারত কাতারের কোর্ট অফ আপিলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায়৷ তারপর আজ মৃত্যুদণ্ড রদ হওয়ার খবর এল (Qatar Death Penalty)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Electra Wicket: কাজ কমল আম্পায়ারদের! ক্রিকেটে নতুন প্রযুক্তি ‘ইলেকট্রা’ উইকেট 

    Electra Wicket: কাজ কমল আম্পায়ারদের! ক্রিকেটে নতুন প্রযুক্তি ‘ইলেকট্রা’ উইকেট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে আনা হল নতুন প্রযুক্তি ইলেক্ট্রা স্টাম্প। এই নতুন ধরনের স্টাম্পগুলিতে ম্যাচের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রঙের আলো জ্বলে উঠবে। নতুন এই স্টাম্পগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইলেকট্রা’। বিগ ব্যাশ লিগে এই স্টাম্পের উদ্বোধন করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন এবং প্রাক্তন অসি ক্রিকেটার মার্ক ওয়। 

    কেমন এই নতুন স্টাম্প

    ইতিপূর্বে রঙিন আলো ঝলমলে ইলেক্ট্রা উইকেট স্টাম্প মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগে ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার পুরুষদের ক্রিকেট লিগে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্টাম্পের প্রধান আকর্ষণ এই স্টাম্পে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আলাদা আলাদা আলো জ্বলতে থাকে। ওয়াইড বল কিংবা নো-বলে বদলে যাবে উইকেটের রং। বাউন্ডারি কিংবা টাইম আউটের সময়ও বদলে যাবে স্টাম্পের রং। এই বিশেষ স্টাম্পে আলাদা আলাদা ডিসপ্লে দেখতে পাওয়া যায়। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন এই স্টাম্পগুলি দর্শকদের আরও বেশি করে আকৃষ্ট করবে এবং ম্যাচের মাঝে কী হচ্ছে সেটা সম্পর্কে আরও বেশি করে তাঁদের জানাবে।

    ক্রিকেটকে আরও দর্শনীয় করে তুলতেই এই ব্যবস্থা। কোনও ব্যাটার আউট হলে স্টাম্পের রং লাল হয়ে যাবে। চার বা ছয় হলে স্টাম্পে একাধিক আলোর খেলা দেখা যাবে। দর্শকদের আনন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের খেলা দেখানো হবে। তেমন ভাবে নো বল হলে লাল এবং সাদা রং মিশিয়ে আলোর খেলা দেখানো হবে। আম্পায়ারদেরও এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, দু’টি ইনিংসের বিরতির মাঝেও বেগুনি এবং নীল রঙের আলোর কারিকুরি থাকছে। সিডনি সিক্সার্স বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ম্যাচে প্রথম বার এই ধরনের স্টাম্প দেখা যায়। বিবিএলে এটি নতুন ইতিহাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share