Blog

  • Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল অযোধ্যা রেলস্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নাম। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই হবে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হবে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এদিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা রেলস্টশনেরও। বদলে যাচ্ছে এই স্টেশনের নামই।

    অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম বদল

    অযোধ্যা রেলস্টেশনটি আদতে একটি জংশন। যেহেতু মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হওয়ার পরে এই পুণ্যভূমিতে ঢল নামবে ভক্তের, তাই ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনটিকে। স্টেশনটির পরতে পরতে রয়েছে অত্যাধুনিকতার ছাপ। এহেন রেলস্টেশনের নাম বদলে যাওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অযোধ্যা স্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নতুন নাম হবে অযোধ্যা ধাম।” নবনির্মিত স্টেশনের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যা জংশন হল অযোধ্যা ধাম জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম জংশন করা হয়েছে।”

    বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের

    সাংসদের এই দাবির আগেই অবশ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়েছে রেল। রেলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার থেকে অযোধ্যা জংশনের নাম হল অযোধ্যা ধাম জংশন’। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের। রেলস্টেশনের নাম যেমন হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন, তেমনি বিমানবন্দরের নামেও রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। নবনির্মিত বিমানবন্দরটির নাম দেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন প্রথমে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ কিলোমিটার পথে করবেন রোড-শো। এভাবেই তিনি পৌঁছবেন রেলস্টেশনে। উদ্বোধন করবেন নবকলেবর-প্রাপ্ত এই স্টেশনেরও। পরে একটি জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে ২২ জানুয়ারি। দেবদর্শন শুরু হবে তার পরের দিন (Ayodhya Railway Station) থেকে। অযোধ্যা প্রশাসনের অনুমান, এদিন থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যায় আসবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরাও, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসু মানুষও। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রামজনমভূমিকে।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: রাহুলের সেঞ্চুরির পর এলগারের শতরান, চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা

    India vs South Africa: রাহুলের সেঞ্চুরির পর এলগারের শতরান, চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। ডিন এলগারের শতরানে ভর করে বুধবার খেলা শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা করল পাঁচ উইকেটে ২৫৬ রান। এর মধ্যে এলগারের একারই ১৪০ রান। ভারতের ইনিংসের হাল ধরেছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর শতরান দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। প্রোটিয়াদের ইনিংসে সেই কাজ করলেন এলগার।

    দুরন্ত এলগার

    ভারতের শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ডিন এলগার একা দলকে টেনে ছিলেন। এবারও সেটাই করলেন তিনি। এক সময় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এখন অবশ্য তিনি নেতা নন। তবে এদিন দলের ব্যাটিংকে নেতার মতোই সামলালেন এলগার। প্রথম টেস্টে তিনি দুর্দান্ত শুরু করলেন। সেঞ্চুরি করতে তিনি নিলেন মাত্র ১৪০ বল। ১৯টা চার মেরে তিনি সেঞ্চুরি করলেন। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে তিনি জ্বলে উঠলেন।  এদিন বল হাতে জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজ দারুণ ছন্দে ছিলেন। ডিন এলগার টার্গেট করলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও শার্দূল ঠাকুরকে। রানও করে গেলেন স্বছন্দে। এলগার ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫৬ রান করেছেন ডেভিড বেডিংহাম।

    রাহুলের শতরান

    ৮ উইকেটে ২০৮ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। সেই সময় ৭০ রানে ব্যাট করছিলেন রাহুল। সঙ্গে ছিলেন সিরাজ। মেঘলা আবহাওয়ায় দ্রুত রান তোলা সহজ ছিল না। কাগিসো রাবাডা প্রথম দিনের ছন্দেই বল করছিলেন। তাই বাকি বোলারদের বিরুদ্ধে রান করার পরিকল্পনা করেন রাহুল। সেই মতো খেলছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন সিরাজ। ৮৯ রান থেকে ছক্কা মেরে ৯৫ রানে পৌঁছন রাহুল। এরপর ছক্কা মেরে শতরান পূরণ করেন। টেস্টে এটি তাঁর অষ্টম শতরান। আগের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও এই মাঠেই শতরান করেছিলেন রাহুল। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন তিনি। ১০০ রানের মধ্যে ৮০ রানই এসেছে বাউন্ডারিতে। ১৪টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: স্বাগত নয় চিনা কোম্পানি! আইপিএলের স্পনসরশিপে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর

    বড় রানের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা

    এদিন বল হাতে শুরুটা ভালই করেছিলেন সিরাজ ও বুমরা। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ পেসার হিসাবে শার্দূল ঠাকুর ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দাগ কাটতে পারলেন না। মহম্মদ শামির অভাব টের পেল ভারত। দিনের শেষে আপাতত ভারতের থেকে ১১ রানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাতে রয়েছে আরও পাঁচ উইকেট। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত রান তুলে বড় লিড নেওয়াই হবে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দিব্যি অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে বন্দি (Prisoners Verification)। আত্মীয়ের ছদ্মবেশে যাঁরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের মাধ্যমেই হাসিল হয়ে যাচ্ছে কাজ। এই যেমন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। গারদে বসেই কানাডায় থাকা গোল্ড ব্রারের সঙ্গে শলা করে জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে খুন করা হয়।

    গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাণ্ড

    গত বছর ৯ মে পাঞ্জাবের ওই ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তদন্তে জানা গিয়েছিল, ওই সময় যারা জেল বন্দি লরেন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন, তাঁদের মারফতই যাবতীয় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল মুসেওয়ালাকে। জেল থেকে বসে এমন একজন নামজাদা ব্যক্তিত্বকে খুন করায় তাজ্জব বনে গিয়েছিল পুলিশও। মুম্বই সহ কয়েকটি রাজ্য থেকে জেলে বসেই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ নানারকম অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও ওঠে।  

    বন্দির সাক্ষাৎপ্রার্থীদের দেখাতে হবে আধার

    এই সব ঘটনার (Prisoners Verification) পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সংশোধনাগারে থাকা সব বন্দি ও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা লোকজনের আধার কার্ড যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে ওই নির্দেশিকা। নির্দেশ এসেছে এ রাজ্যের কারা দফতরের কাছেও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশোধনাগারে থাকা যে কোনও বন্দি বা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ব্যক্তিদের আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করতে হবে। সেসব তথ্য নথিভুক্ত করাতে হবে ‘দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে’। সেই তথ্য পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। ফলে নজরদারির ফোকর গলে আর দুষ্কর্ম চালানো অনায়াস হবে না।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    জেলে নতুন কেউ এলে, তার যাবতীয় পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন, তাঁদেরও পরিচয়পত্র দেখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দেখতে হবে আধার নম্বরও। এবং এসব তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে (Prisoners Verification)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯। সিবিআই হন্যে এক পুলিশ কর্তার খোঁজে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা শহরে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ভূ-ভারতে এমন নজির আর একটিও রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরাও।)

    কী বললেন শুভেন্দু?

    যে পুলিশ কর্তার জন্য এতকাণ্ড, সেই রাজীব কুমারকেই রাজ্যের ডিজি পদে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পরেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজীবকে ডিজি করে প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভালো করবেন না।”

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব। বাম আমলে তিনি বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। পালাবদলের পর বদলে যান রাজীবও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন তিনি। যার জেরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজীবের খোঁজে পুলিশ যখন হন্যে, তখন তাঁর ‘কবচ-কুণ্ডল’ হয়ে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এহেন রাজীবকে পুলিশের ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুলিশের বর্তমান জিজি মনোজ মালব্যের।

    মাঝ-এপ্রিলেই হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজীবকে পুলিশে নয়া পদ দেওয়ার নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অবশ্য একে প্রতিদান হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “সারদার প্রমাণ নষ্ট করে রাজীব কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি সিবিআইকে বলব, সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠছে না কেন? সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা পড়ে রয়েছে, তা তোলার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমরা, বাংলার মানুষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলার জন্য যা করার করব।”

    আরও পড়ুুন: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    রাজীবের পদপ্রাপ্তিতে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারকে এখন তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখেও অটল মুখ্যমন্ত্রী। তাই ডিজির পদ আলোকিত করবেন রাজীব।

    স্বাভাবিক। দুয়ারে যে লোকসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সাম্প্রতিককালে, একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে উপত্যকা। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণের বলি দিয়েছেন বহু সেনা জওয়ান। এই আবহে, সেনার মনোবল বাড়াতে কাশ্মীরে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    ‘সেনারা আমাদের পরিবারের সদস্য’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “প্রত্যেক সেনা সদস্যকে তাঁদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন ভারতীয় নাগরিকরা। প্রত্যেক ভারতীয় এটি অনুভবও করেন। কেউ যদি আপনার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেয়, তা কোনও ভারতীয় সহ্য করতে পারে না। এই ধরনের হামলা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। নজরদারি বাড়াতে যত রকমের সমর্থন প্রয়োজন, আমাদের সরকার তা দেবে।”

    তিনি বলেন, “আপনাদের জন্য সব সময় আমাদের কোষাগারের দরজা খোলা। আমি জানি, আপনারা সবাই সজাগ থাকেন। কিন্তু আমার মতে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সবার ওপরে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা কতটা মূল্যবান, তা আমায় আলাদা করে বলতে হবে না। কোনও জওয়ান শহিদ হলে তাঁর জন্য যত ভিড় হয়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতেও তত লোক হয় না।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    ‘‘মানুষেরও মন জয় করুন…’’

    এদিকে, গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনাবাহিনীর এক কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। ওই ঘটনায় শহিদ হন চার সেনাকর্মী। জখম হন দুজন। ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় কয়েকজনকে আটক করে সেনা। পরে দেহ উদ্ধার হয় তিনজনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, সেনা হেফাজতেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। শুরু হয়েছে তদন্ত। সেনাকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আপনারা দেশের রক্ষক। কিন্তু আমি আপনাদের বলব, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও রয়েছে আপনাদের। এমন কোনও ভুল করা উচিত নয়, যাতে কোনও ভারতীয় নাগরিকের ক্ষতি হয়। আমাদের যুদ্ধে জিততে হবে ঠিকই, সন্ত্রাসবাদীদেরও নির্মূল করতে হবে। তবে তার চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষের মন জয় করা। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও আপনাদের। আমরা যুদ্ধ জিতব, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হৃদয়ও জয় করতে হবে। আমি জানি, আপনারা এজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।”

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • MPhil Degree: এমফিল ‘স্বীকৃত’ নয়! বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই কোর্সে ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ ইউজিসি-র

    MPhil Degree: এমফিল ‘স্বীকৃত’ নয়! বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই কোর্সে ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ ইউজিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমফিল ডিগ্রির বৈধতা বাতিল করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আর বৈধ থাকবে না এমফিল (M Phil) ডিগ্রি, এমটাই জানিয়ে দিল ইউজিসি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হল, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আর যেন এই পাঠক্রমে পড়ুয়াদের ভর্তি না নেওয়া হয়।

    কী বলছে ইউজিসি

    নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, মাস্টার অফ ফিলোজফি, অর্থাৎ এমফিল ডিগ্রিকে আগেই অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই সংক্রান্ত সমস্ত পাঠক্রম বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশ মানেনি বলে অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের সমস্ত  বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবিলম্বে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দিল ইউজিসি। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিই নয়, এমফিলের কোনও কোর্সে ভর্তি না হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ ইউজিসি সেক্রেটারি মণীশ জোশী। তবে, ইউজিসির নয়া সিদ্ধান্তের ফলে যাঁরা এতদিন এমফিল করে রেখেছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ২ কোটি পার! বিশ্বের বড় বড় নেতাদের পিছনে ফেলে ইউটিউব ফলোয়ার সংখ্যায় শীর্ষে মোদি

    ইউজিসির নির্দেশিকা

    ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এমফিল ডিগ্রি কোনও স্বীকৃত ডিগ্রি নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখনও এমফিল কোর্সে পড়ুয়াদের ভর্তি করাচ্ছে। যা কখনওই বৈধ হবে না। এখন যে সব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে, তারা যেন অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে। একই সঙ্গে পড়ুয়াদেরও সতর্ক করা হয়েছে, তাঁরাও যেন ওই কোর্সে ভর্তি না হন। আসলে ইউজিসি (UGC) মনে করছে পিএইচডি আর এমফিল আলাদা করে করানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসর ২০২২-এর রেগুলেশন নং ১৪ (পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ন্যূনতম মান ও পদ্ধতি)-এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। এমন খবর সংবাদমাধ্যমের একাংশে মঙ্গলবার পরিবেশিত হয়েছিল। বুধবার, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এমন কোনও টিমই গঠন হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, “আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য রয়েছে। রাজ্যের নির্বাচনী কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে রাষ্ট্রীয় সভাপতির নাম থাকে না। এইটুকু কমন সেন্স আপানাদের থাকা উচিত।”

    কী বলছেন সুকান্ত?  

    মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই সংবাদমাধ্যম মারফৎ প্রকাশ্যে আসে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা। এও জানা যায়, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ অনেকেরই ঠাঁই হয়নি তালিকায়। ১৫ জনের ওই টিমে বাংলার ১০ জন থাকলেও, ৫ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও রাখা হয়েছিল। এদিন ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা অস্বীকার করে সুকান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও টিম গঠন হয়নি। তিনি বলেন, “নির্বাচনের যে কমিটি টিভিতে দেখানো হচ্ছে, মাননীয় অমিত শাহজি ও জেপি নাড্ডাজির নামও নাকি তাতে রয়েছে। রাজ্য নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার নাম থাকে না।” 

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    বৈঠকে শাহ-নাড্ডা

    আগামী লোকসভা ভোটের রোডম্যাপ এবং দলের পরিকল্পনা স্থির করে দিতে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। দিনভর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। নিউ টাউনের একটি হোটেলে হওয়া বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকেও। তবে (Sukanta Majumdar) বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলায় বৈঠকে ডাকা হয়নি অনুপম হাজরাকে। বৈঠক শেষে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা রওনা দেন কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, “২০২৪ কে সামনে রেখে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কীভাবে এগোবে, সেই রোডম্যাপ বলে গিয়েছেন তাঁরা। সেই রোডম্যাপের কথা আমি আপনাদের বলতে পারব না। তবে তাঁদের বাতলে দেওয়া সেই রোডম্যাপ অনুসারেই আমরা চলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share