Blog

  • RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ব্যাঙ্কের দফতরে বোমা মারার হুমকি। এই ব্যাঙ্ক তিনটির মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও (RBI)। মঙ্গলবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দফতরে মেইল পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে মেইল-আইডি থেকে হুমকিটি এসেছিল, সেটি হল ‘খিলাফত ডট ইন্ডিয়া অ্যাট জি-মেইল ডট কম’।

    মেইলে দুটি দাবি

    হুমকির পাশাপাশি ওই মেইলে দুটি দাবিও জানানো হয়েছে। এই দাবি না মানলেই অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই হুমকি-বার্তায়। এই বার্তায় যে দুটি দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকেও ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুই দাবি পূরণ না হলেই অ্যাকশন হবে বলেই জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১টি বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বার্তায়।

    ১১টি জায়গায় বোমা!

    মেইলটিতে বলা হয়েছে, “আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বোমা রেখে দিয়েছি। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে ভারতের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় জালিয়াতি করেছে আরবিআই।” মেইলটিতে দাবি করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলে আরবিআই যে জালিয়াতি করেছে, তাতে আরবিআইয়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কয়েকজন বিশিষ্ট কর্তা ও ভারত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী জড়িত রয়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী ও আরবিআইয়ের (RBI) গভর্নরকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই জালিয়াতির বিষয়ে সবটা জানিয়ে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুজন বাদে আরও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলের শাস্তিও দাবি করা হয়েছে।

    মুম্বইয়ে ওই তিন ব্যাঙ্কের কোথায় কোথায় হামলা হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মেইলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ বোমাগুলিতে বিস্ফোরণ হবে বলেও জানানো হয়েছিল হুমকি-মেইলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই তিন ব্যাঙ্কের দফতরগুলিতে তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশ। যদিও কিছুই মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যে মেইলটি থেকে হুমকি-বার্তা এসেছিল, সেই মেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে (RBI) এমআরএ মার্গ থানায়।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: ‘চৈতন্যের বংশধর, সার্থক উত্তরসূরী মমতা’! ব্রাত্যর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Purba Bardhaman: ‘চৈতন্যের বংশধর, সার্থক উত্তরসূরী মমতা’! ব্রাত্যর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈতন্যদেবের কোনও উত্তরাধিকারী বাংলায় যদি থেকে থাকেন তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্বস্থলী ১ নম্বর (Purba Bardhaman) ব্লকের খাল-বিল, চুনো মাছ, পিঠে-পুলি ও প্রাণীপালন উৎসবে এসে মঙ্গলবার বিকেলে এমনই বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন, চৈতন্যদেব কোনও দিন বিভাজনের রাজনীতি করেননি, চৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী যদি বাংলায় কেউ থেকে থাকেন তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী’। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৈষ্ণবভক্তারা বিষয়টি একদম ভালোভাবে নেননি বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বিজেপিও তীব্র কটাক্ষ করেছে।

    চৈতন্যের বংশধর (Purba Bardhaman)

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রীচৈতন্যের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “চৈতন্যের বংশধর সার্থক উত্তরসূরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈতন্যদেব একটি বিশেষ রাজনীতির কথা বলেছিলেন। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। কাউকেই আলাদা দেখেননা। আমি এখানে এসে খুব আনন্দ পেলাম।” উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আগেও এমন ভাবে মহাপুরুষের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ডাক্তার নির্মল মাজি সারদা মায়ের সঙ্গে মমতাকে তুলনা করে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে ছিলেন। আবার কেউ কেউ লতা মাঙ্গেসকার, সচিন তেন্দুলকার আবার ভগ্নী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা করছেন তৃণমূলের নেতারা।  জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য কটাক্ষ করে বলা হয়, ‘শ্রীচৈতন্যের সঙ্গে মমতার তুলনা মূর্খতার পরিচয়’। বৈষ্ণব ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে বলেন, “মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যকে অপমান করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।”

    আর কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    বর্ধমানে (Purba Bardhaman) গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এই মুহুর্তে সারা বিশ্বে যুদ্ধ চলছে ইজরায়েল, গাজা, ইউক্রেন, রাশিয়ায় ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। আমরা আজ থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার বছর আগে একটা বাঘ দেখলে নিজদের লুকিয়ে ফেলতাম গাছের আড়ালে, সামনে হাতি দেখলে মাটিতে শুয়ে আত্মগোপন করতাম। কিন্তু এখন আমরা বাঘকে খাঁচায় ধরতে শিখে ফেলেছি। কারণ আমরা মানুষ, তাই কল্পনা করে আমরা নিয়ম তৈরি করেছি। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের জীবনকে মিলিয়ে ফেলেছি। আমরা দেখেছি মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল কাব্যে পরিবেশের কথা বলা হয়েছে। কালকেতু প্রচুর খাওয়ার বিবরণ রয়েছে। এই ভাবে এই প্রকৃতির চিন্তা একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছেন। বাকি কোনও রাজনৈতিক দলের এমন একক ভাবনা নেই। বাংলার সরকারের এই কাজ মানুষ সামনের দিনে মনে রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও উৎসবেই মদ বিক্রিতে চরম রমরমা। এই মদ পাওয়া যায় যত্রতত্র। বিহার, গুজরাটের মদ বন্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন্ধ হয়নি মদ। উল্লেখ্য, জেলা আফগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রামে হয়েছে দুর্গাপুজোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রির পরিমাণ। আর এই মদ্যপান করার পরই ঘটে থাকে যত অসামজিক কাজকর্ম। গতকাল সোমবার বড়দিনে হাওড়ায় (Howrah) এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মদের আসর থেকেই চলল মহিলাকে কটূক্তি। প্রতিবাদ করতেই গ্রামবাসীদের জুটল উল্টে মার।

    ঘটনা হাওড়ার কোথায় ঘটেছে (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত বাড়লে রোজ বসে মদের আসর। সেই সঙ্গে চলে চিৎকার চেঁচামেঁচি, মদের বোতল ভাঙা এবং মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে গালিগালাজ। আর এই ঘটনা সংগঠিত করে খোদ পুলিশের কর্মীরাই। পালটা প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলে পুলিশেরাই আবার দৌরাত্ম্য চালায়। অভিযোগ আরও ওঠে  রীতিমতো লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল পুলিশ কর্মীরা। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) রাজাপুর থানার মল্লিকপোল জগদীশপুর এলাকায়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয়রা বলেন, রাজাপুর (Howrah) থানায় কনস্টেবল ধর্মা দাস এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে রোজ মদের আসর বসায় বাড়িতে। মদ খেতে খেতে নেশায় বুদ হয়ে শুরু করে উৎপাত। সেই সঙ্গে চলে তাণ্ডব। কাঁচের বোতল ভাঙা চলে। এমনকী এলাকার মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে তুমুল গালিগালাজ।

    গতকাল বড়দিনের রাতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মাতাল পুলিশদের উৎপাতের মাত্রা ছাড়ালে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু পালটা পুলিশ প্রতিবাদীদের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেই যেখানে অভিযোগ, সেখানে মানুষ নিজেদের কথা জানাবেন কোথায়? সরকার প্রশানের কাজ হল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করা। আর এখানে এই পুলিশই স্বয়ং কাঠগড়ায়। একই রকম ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চাকদহ পুলিশের বিরুদ্ধেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ারের মঞ্চ শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে, কখনওবা অন্য কোনও কারণে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইন্ডি জোটের কোন্দল।

    মমতার প্রস্তাবে জল পাওয়ারের

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার এনসিপি প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব।

    কী বললেন পাওয়ার?

    সচরাচর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁকে প্রজেক্ট করেই নির্বাচনে যায় রাজনৈতিক দলগুলি। কোনও কোনও দল আবার স্ব-দলের সুপ্রিমোকেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায়। ভোটাররাও মূলত তাঁকে দেখেই ভোট দেন সংশ্লিষ্ট পার্টির পক্ষে। এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। মঙ্গলবার যে প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করেনি কংগ্রেস বিরোধী দল। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী করা হয় মোরারজি দেশাইকে। তার আগে মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। বস্তুত, তার পরেই একটি নয়া দল প্রকাশ্যে এল (INDI Alliance)। তাই প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট না করেও নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে।” পাওয়ারের কথায়, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” পাওয়ার-বচনের নির্যাস হল, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন এনসিপি প্রধান।

    প্রসঙ্গত, মমতার প্রস্তাব শুনেই খাড়্গে জানিয়ে (INDI Alliance) দিয়েছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবের পর পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার প্রস্তাবের উল্টো সুর পাওয়ারের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা লেখেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। লোকসভা নির্বাচন হতে পারে মাঝ-এপ্রিলে। ইতিমধ্যেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির।

    প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কি তবে ইন্ডি জোটে শুরু হয়ে গেল মৌষলপর্ব?

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WBJEE 2024: প্রকাশিত ২০২৪-জয়েন্টের বুলেটিন! জানুন সম্ভাব্য পরীক্ষার দিন

    WBJEE 2024: প্রকাশিত ২০২৪-জয়েন্টের বুলেটিন! জানুন সম্ভাব্য পরীক্ষার দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০২৪-জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার বুলেটিন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ডের ( WBJEEB) এই বুলেটিনে জানানো হয়েছে আগামী বছর এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখ জয়েন্ট পরীক্ষা হবে। একই সঙ্গে, পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তকরণ-সহ অন্যান্য বিষয়ের নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে।

    পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন

    বোর্ডের তরফে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন হিসাবে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গণিত এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষা নেওয়া হবে। গণিতের পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন মিলিয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। wbjeeb.nic.in এই ওয়েবসাইট থেকে বুলেটিনটি পাওয়া যাবে। জেনারেল বিভাগে ছেলে পরীক্ষার্থীদের জন্য ফিজ ধার্য করা হয়েছে ৫০০ টাকা করে। জেনারেল ছাত্রীদের জন্য ফিজ ৪০০ টাকা করে। এই পরীক্ষায় বসার জন্য প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৭ বছর। প্রার্থীদের বয়স ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। 

    আরও পড়ুন: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    পরীক্ষার নিয়মাবলী

    প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রেও পূর্বনির্ধারিত কিছু নির্দেশিকা পেশ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা মাল্টিপ্‌ল চয়েস কোয়েশ্চন (এমসিকিউ)-এর মাধ্যমে উত্তর দিতে পারবেন। তাঁরা প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য সর্বাধিক ২ নম্বর পাবেন। ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে। তবে, পরীক্ষার্থীরা কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিলে নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিটে শুধু মাত্র কালো এবং নীল রঙের বল পয়েন্ট পেন দিয়েই পরীক্ষা দিতে পারবেন। পেনসিল কিংবা অন্য কোনও রঙের পেন দিয়ে উত্তর লিখলে সেই পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বাতিল করে দেওয়া হবে। ২০২৪-এর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। চলতি সপ্তাহ থেকে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মন্ত্রী, নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর আক্রমণ হামলার ঘটনার কথা বার বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্যে যে বিরোধীদের মত প্রকাশ এবং গণতন্ত্রর অধিকার নেই এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) পুলিশের কাছে মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্তনন মন্ত্রীপুত্র।

    ঘটনা কীভাবে ঘিটেছে (Cooch Behar)?

    গত শুক্রবার দিনহাটার (Cooch Behar) ঝুড়িপাড়ায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের একটি দল বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন সেখানে আচমকা হামলা করে তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর মণ্ডল সভাপতিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এই হামলার পিছনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন মন্ত্রীপুত্র। অবশ্য জেলা কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির তরফ থেকে জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন, “মন্ত্রীপুত্র সায়ন্তন এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। একই ভাবে আমাকেও মারধর করা হয়। ঈশ্বর দেবনাথের স্ত্রী তৃণমূলের মন্ত্রী পুত্র সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করে মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “আমাকে হেনস্থা করতেই এই অভিযোগ। ছেলেকে এলাকার প্রত্যেকেই চেনে। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।” আবার ঘটনায় বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল মন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন গুহ বলেন, “আমার বাবাকে নানা ভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এইভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটকে রাখা যাবনা। বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার নিউটাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন পদ্ম শিবিরের এই দুই কর্তা। সেখানেই তৈরি হয় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন শাহ ও নাড্ডা।

    ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম

    ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে’ রয়েছেন ১৫ জন। এঁদের মধ্যে ১০ জন বঙ্গ বিজেপির নেতা। বাকি পাঁচজন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির পাশাপাশি কোন কোন আসনে জোর দেওয়া হবে, মূলত তা-ই ঠিক করবে এই কমিটি। জানা গিয়েছে, বাংলার যে ১০ জনের ঠাঁই হয়েছে ওই কমিটিতে, তাঁরা হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রয়েছেন সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, মঙ্গল পাণ্ডে এবং সতীশ ধন্ড।

    কমিটিতে জায়গা হয়নি যাঁদের

    কমিটিতে (BJP) জায়গা হয়নি চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লার। ঠাঁই পাননি গেরুয়া শিবিরের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, মনোজ টিগ্গা এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ওই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি তাঁরও। এদিনের বৈঠকেও ডাকা হয়নি তাঁকে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে বঙ্গ সফরে এসে শাহ লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলার নেতারা কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই সোমবার ফের বাংলায় এসেছেন বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    এ রাজ্যে আক্ষরিক অর্থেই শূন্য থেকে শুরু করেছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যের ১৮টি আসনে জেতে। তার পর থেকে বাংলায় ক্রমেই শক্ত হয়েছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি। তাই বেড়েছে প্রত্যাশাও। সেই কারণেই এবার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩৫। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দেশজুড়ে ৪০০-র বেশি আসনে পদ্ম (BJP) ফোটাতে চায় তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার! তাতেই চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মাথায় কোটি কোটি টাকার মালিক। কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati Municipality) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে চোখ কপালে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকদের। গত ৫ অক্টোবর, তাঁর বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ মিলেছে। সেগুলি ছাড়াও, প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের আড়াই কেজি সোনা ও হিরের গয়না মিলেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি।

    বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন তমাল দত্ত। তারপর থেকে পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Municipality Jpb Scam) তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের এই বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তাঁর আয়ের উৎস কী, জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে,ওই ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১৩০০০ পাতার নথিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল অর্থ এবং গয়নার কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল। ফলে তা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই গয়না এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। 

    সাসপেন্ড তমাল

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কামারহাটি পুরসভার এই ইঞ্জিনিয়রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তমালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলি সম্প্রতি দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত এলে এই নথি আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও ইডি সূত্রের দাবি। হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর তাঁর ফ্ল্যাট এবং বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেই সময়ই পুরনিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে তমাল প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে।

    আরও পড়ুন: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    তমাল-অয়ন যোগ

    পুর নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে তমালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, গত কয়েক বছরে কামারহাটি পুরসভায় প্রায় ৩০০-র বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তে উঠে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তমালের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ইডি সূত্রের। ওই সূত্রের আরও দাবি, তমাল এবং অয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তমালের সঙ্গে একাধিক ‘প্রভাবশালী’রও যোগ রয়েছে বলে তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। ইডি এবং সিবিআই সূত্রের দাবি, শুধু কামারহাটি নয়, রাজ্যের প্রায় ৭০টি পুরসভার বেশ কয়েক জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, আধিকারিক পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! জঙ্গলে গর্জন করে জানিয়ে দিল দক্ষিণরায় এখন উপেন্দ্রনগর জঙ্গলে রয়েছে। আর এই বাঘের গর্জন শুনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) লোকালয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এডিএফও অনুরাগ চৌধুরির নেতৃত্বে বনদফতরের একটি বিশেষ দল পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানান, “নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল।” রামগঙ্গা, ধনচি ও রায়দিঘি রেঞ্জের অফিসারেরা উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।

    লোকালয়ে সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘ (South 24 Parganas)

    লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রকৃত বাঘ আসতে পারে এই এলাকায়। কিন্তু এবার এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ এবং বনদফতরের কর্মীদের কানে পৌঁছালো বাঘের গর্জন। ঠিক তারপরেই বাঘ তাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করল সুন্দরবন বনদফতর। এই প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে সারা রাত্রি বনদফতর কর্মীদের সঙ্গে এলাকার মানুষেরা নদী বাঁধে পাহারা দেন। আজ সকাল থেকে শুরু হল নদীর জঙ্গলে জাল ঘেরার কাজ। এলাকায় বাঘকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    দুমাস ধরে বাঘ ধরার প্রচেষ্টা

    উল্লেখ্য, দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে পাথরপ্রতিমা এলাকায়। কখনও শ্রীধরনগর, কখনও সীতারামপুর ইন্দ্রপুর, রাখালপুর আবার উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বনদফতরের কর্মীরা গত দুমাস ধরে ঘর ছেড়ে জঙ্গলে নৌকায় বসবাস শুরু করেছে, বাঘের খোঁজে চলছে প্রতিদিন তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত আজ উপেন্দ্রনগর ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের গর্জন শুনে দক্ষিণ রায় সেইখানেই আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরপর শুরু হয়েছে বাঘ ধরার প্রস্তুতি। এখন দেখার দুমাস ধরে যে বাঘ খাঁচায় ঢোকেনি, শ্রীধরনগর (South 24 Parganas) জঙ্গলে খাঁচায় ঢোকে কিনা! এবার যদি খাঁচায় ঢুকে বনদফতর যেমন খুশি হবে তেমনি এলাকাবাসীরও আতঙ্ক কাটবে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, “গতকাল থেকে আমরা বন দফতরের কর্মীর সঙ্গে রাতভর মশাল জ্বালিয়ে অভিযান করে তাল্লাশি চালিয়েছি। বাঘের গর্জনের শব্দ শুনতে পেয়েছি আমরা। আজ সকাল ৯ টা থেকে অভিযান চলছে। নদীর ধারে বনদফতরের সহযোগিতায় এলাকায় জাল দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করবো অযথা আতঙ্কিত হবেন না বনদফতরের কর্মীরা সুরক্ষার বিষয়ে কাজ করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share