Blog

  • 2036 Olympics: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ভারত! কোথায় বসবে আসর? কী বললেন অমিত শাহ

    2036 Olympics: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ভারত! কোথায় বসবে আসর? কী বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বসতে চলেছে অলিম্পিক্সের (2036 Olympics) আসর। ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন করার। যদি ভারত সেই দায়িত্ব পায় তা হলে গুজরাটের সর্দার প্যাটেল কমপ্লেক্সে সেই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। রবিবার এ কথা জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    খেলাধুলোর জন্য বরাদ্দ

    গান্ধীনগর লোকসভা এলাকায় সংসদ খেল প্রতিযোগিতা নামক এক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের সব সাংসদকে অমিত শাহ (Amit Shah) আহ্বান করেছেন নিজেদের এলাকায় খেলাধুলোর প্রসার আরও বাড়ানোর জন্য। এখানেই এক অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স (2036 Olympics) আয়োজন করবে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “এখানেই ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স হবে (যদি ভারতের প্রস্তাব গৃহীত হয়)। সর্দার প্যাটেল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৪৬০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নবরঙ্গপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের (আমেদাবাদে) জন্য। এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস কমপ্লেক্স হবে।”

    আরও পড়ুন: আজ শহরে অমিত শাহ! যাবেন কালীঘাট মন্দিরে, দু’দিনে কী কী কর্মসূচি?

    কেন্দ্র সরকার অজস্র অর্থ ব্যয় করছে দেশের প্লেয়াদের উদ্বুদ্ধ করা এবং খেলার উন্নতির জন্য। অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন ভারতবর্ষে অলিম্পিক্স আয়োজন করার কথা। এবার একই সুর শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর গলায়। ‘সাংসদ খেল প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন যে ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স (2036 Olympics) আয়োজন করবে ভারত। এর সাথে তিনি যোগ করেন যে উদ্বোধনী খেলাটি হবে তৈরি হতে থাকা সর্দার প্যাটেল কমপ্লেক্সে। তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নতি করে তার জন্য কি না করেছে সরকার? মোদি সরকার সবরকমভাবে চেষ্টা করেছে দেশের খেলোয়াড়দের ভালোর জন্য। যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর অধীনেই শুরু হয়েছিল খেল মহাকুম্ভ। এর সুফল পেয়েছিল বহু খেলোয়াড়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prabrajika Amalaprana:  রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণার জীবনাবসান

    Prabrajika Amalaprana: রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণার জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (Nun Amalaprana Passes Away) মাতাজির জীবনাবসান হয়েছে। রবিবার দক্ষিণেশ্বর সারদা মঠে রাত ৮টা ১২ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে প্রায় দু’মাস ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 

    অমলপ্রাণা মাতাজিকে শেষ শ্রদ্ধা

    আজ, সোমবার সকাল সাতটা থেকে অমলপ্রাণা মাতাজির (Prabrajika Amalaprana) নশ্বর দেহ সারদা মঠের স্কুল ভবনে শায়িত। ভক্তরা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। গত ২২ অক্টোবর বুকে যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্টের জন্য মাতাজিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। চলছিল ডায়ালিসিসও। সূত্রের খবর, মাতাজির ইচ্ছানুসারে এ দিন সকালে তাঁকে ভেন্টিলেশন সার্পোটে হাসপাতাল থেকে দক্ষিণেশ্বরের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। তাঁর মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া।

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    অমলপ্রাণা মাতাজির কর্মজীবন

    এর পর সন্ধ্যায় জীবনাবসান।  ১৯৩১ সালে মহীশূরে জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। জ্যোতিশ্বরানন্দের কাছে দীক্ষা নেন অমলপ্রাণা মাতাজি। ১৯৫৭ সালে তিনি সারদা মঠে যোগ দেন। তার ঠিক আট বছর পর ১৯৬৫ সালে সন্ন্যাস নেন। ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যা ভবনের সহ-সম্পাদক এবং ১ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানেরই অধ্যক্ষা হন। ১৯৭৪-এর ১ এপ্রিল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিদ্যা ভবনের সম্পাদক ছিলেন মাতাজি। ১৯৮৩-তে শ্রী সারদা মঠের পরিচালন সমিতির সদস্য হন। ১৯৯৪-এর মে মাসে সঙ্ঘের সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৯৯ সালের অগস্টে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণের পরে ১৭ নভেম্বর থেকে সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন অমলপ্রাণা মাতাজি (Nun Amalaprana Passes Away) । 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: আজ শহরে অমিত শাহ! যাবেন কালীঘাট মন্দিরে, দু’দিনে কী কী কর্মসূচি?

    Amit Shah: আজ শহরে অমিত শাহ! যাবেন কালীঘাট মন্দিরে, দু’দিনে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর জুড়ে উৎসবের মেজাজ। বড়দিনে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দু-দিন শহরে থাকবেন তিনি। মূলত, ঠাসা দলীয় কর্মসূচি নিয়েই তাঁর এই সফর। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই তাঁর এই সফর। এরই মধ্যে কালীঘাটে পুজো দিতে যাবেন অমিত শাহ। যাবেন শহরের একটি গুরুদ্বারে।

    কালীঘাট দর্শনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যেতে পারেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউ টাউনের বিলাসবহুল হোটেলে যাবেন অমিত শাহ। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি গুরুদ্বারে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে যাবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে যেতে পারেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    দলীয় বৈঠকে শাহ

    বিজেপি সূত্রে খবর, কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে নিউটাউনের হোটেলে ফিরবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানে মধ্যাহ্নভোজের পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শাহ। তাঁর লক্ষ্য়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল চূড়ান্ত করা । রাজ্যের ৪২টি আসনেই কীভাবে দল লড়বে তা ঠিক করা। প্রত্যেকটা লোকসভা কেন্দ্রে কীরকম প্রার্থী দিতে হবে, সংগঠনকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কী ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে হবে, সেই নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর ফের নিউ টাউনের হোটেলে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ‘বিজেপির চাণক্য’। এই বৈঠকের পরই সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন এবং সরাসরি দিল্লির বিমান ধরবেন শাহ। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে অমিত শাহর পরপর দুটি বৈঠক নির্ধারিত থাকলেও কাদের সঙ্গে বৈঠক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    Ayodhya Ram Mandir: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর নামক্কাল জেলায় তৈরি করা হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য বিশেষ ঘণ্টা। এই ঘণ্টা অর্পণ করা হবে প্রভু শ্রী রামলালাকে। আগামী ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধনের জন্য মোট তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টাকে নিবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রামভক্তদের মধ্যে এই ঘণ্টাগুলিকে নিয়ে তীব্র উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    ঘণ্টা নির্মাণের শিল্পী কে (Ayodhya Ram Mandir)?

    বেঙ্গালুরুর নিবাসী এক রামভক্ত রাজেন্দ্র প্রসাদ হলেন এই বিশেষ ঘণ্টার শিল্পী। তাঁর বয়স ৬৯ বছর। তিনি তামিলনাড়ুর নামক্কালের মোহানুর রোডে অন্ডাল মোল্ডিং ওয়র্কাস থেকে এই ৪৮টি বৃহৎ ঘণ্টা তৈরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘণ্টাগুলির মোট ওজন প্রায় ১২০০ কেজি। এর মধ্যে আবার তৈরি করা ঘণ্টাগুলির ওজনের তারতম্য রয়েছে। ১২০ কেজি ওজনের ৫টি ঘণ্টা, ৭০ কেজি ওজনের ৫টি ঘণ্টা, ২৫ কেজি ওজনের একটি ঘণ্টা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ৩৬টি হাতে বাজানোর ঘণ্টা রয়েছে। উল্লেখ্য অন্ডাল মোল্ডিং ওয়র্কাস হল একটি সপ্তম প্রজন্মের সংস্থা। সারা দেশে তাঁদের সুখ্যাতি কেবলমাত্র ঘণ্টা উৎপাদনের জন্যই। অযোধ্যার রামলালার মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) নিবেদিত এই ঘণ্টাগুলিকে গত ১৪ ডিসেম্বরেই বেঙ্গালুরুর আঞ্জেনেয়া মন্দিরে পুজোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেগুলি অযোধ্যার রামমন্দিরে যাবে।

    কী বললেন শিল্পী

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য তৈরি করা ঘণ্টার প্রসঙ্গে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, “এই অযোধ্যার রামমন্দিরের চূড়া আমাদের জাতীয় গর্বের প্রতীক। আমি নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি এই ঘণ্টা নির্মাণ করে। এটা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের এবং শ্রীরামের কৃপায় বড় সুযোগ এসেছে। এই কাজে আমার ছেলে কালীদোস ওরফে এক্কা পুরুষোত্তম সহ আরও ২৫ জন নির্মাণ কাজ করেছেন। ঘণ্টাগুলি তৈরিতে নানা ধাতু যেমন তামা, রুপো এবং দস্তার ব্যবহার করা হয়েছে। তবে লোহা ব্যবহার করা হয়নি। এই ঘণ্টাগুলির শব্দ এবং তার কম্পন বেশ তীব্রতর হবে।”

    উল্লেখ্য অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য ১০৮টি ঘণ্টার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ৪৮টা ঘণ্টা প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই থুথুকুডি জেলার ইরাল থেকে ৬৫০ কেজির একটি সুবিশাল ঘণ্টা ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছে। রাম মন্দিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে সুউচ্চ মার্গ দিতে বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন রাম ভক্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে তার আগেই একবার অযোধ্যা সফরে যাচ্ছেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় রোড-শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন জনসভায়ও। এদিন তাঁর হাতেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরেরও। এর পরেই রোড-শো ও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আসছেন ৩০ ডিসেম্বর। প্রথম দফার কাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন।” তিনি জানান, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। পরে অযোধ্যা রেলস্টেশন থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে সূচনা করবেন ট্রেনযাত্রার। রোড-শো করে তিনি যাবেন বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ ১৫ কিলোমিটার। পরে একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রামলালার দর্শন কবে থেকে?

    কমিশনার জানান, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ আসবেন মন্দির দর্শনে। এই দর্শনার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন উদ্বোধনের আগে মন্দির দর্শন হবে না। ২১ এবং ২২ জানুয়ারি ভক্তরা রামলালাকে দর্শন করতে পারবেন না। দেবদর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে যাঁরা অযোধ্যায় আসবেন, তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হোটেলের ঘর নেওয়া হয়েছে। অনেক অতিথি চাটার্ড প্লেনে করে আসতে পারেন। তাই প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে সেই বিমানগুলি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। ঠিক কতগুলি চাটার্ড বিমান আসবে, তা জানা গেলে এভিয়েশন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তা জানাব।”

    আরও পড়ুুন: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ‘প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে দেশের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন বিজেপি  নেতা-কর্মীরা। অন্তত ১০ কোটি পরিবার যাতে এই কর্মসূচি পালন করেন, সেই জন্যই তাঁরা ঘুরবেন দোরে দোরে। নতুন (PM Modi) বছরের প্রথম দিন সোমবার থেকেই পথে নেমে পড়বেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • Ind-W vs Aus-W Test: ইতিহাস হরমনপ্রীতদের, টেস্টে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারতীয় মেয়েরা

    Ind-W vs Aus-W Test: ইতিহাস হরমনপ্রীতদের, টেস্টে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারতীয় মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়া-বধ। বাইশ গজে ইতিহাস রচনা করলেন হরমনপ্রীত কৌর, রিচা ঘোষরা। মহিলাদের ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে (Ind-W vs Aus-W Test) হারাল ভারত। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারত মহিলা বনাম অস্ট্রেলিয়া মহিলাদের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। এর ফলে টেস্ট সিরিজও জেতে হরমনপ্রীতরা। 

    ৪৬ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে জয়

    ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলছে ভারতের মহিলা দল। ৪৬ বছর পর প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে জয়ের স্বাদ পেল প্রমিলা-বাহিনী (Ind-W vs Aus-W Test)। মেয়েদের ক্রিকেটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। দু’দলের মধ্যে এর আগে পর্যন্ত পাঁচটি সিরিজ হয়েছিল। তিন বার জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দু’বার সিরিজ ড্র হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনও ম্যাচ ও সিরিজ জিতল ভারতের মেয়েরা।

    টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। যদিও পূজা ভাস্ত্রাকর, স্নেহ রাণা, দীপ্তি শর্মাদের দাপটে মাত্র ২১৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় অ্যালিসা হিলির দল। জবাবে প্রথম ইনিংসে ভারত তুলেছিল ৪০৬ রান। স্মৃতি মান্ধানা (৭৪), রিচা ঘোষ (৫২), জেমিমা রদ্রিগিস (৭৩), দীপ্তি শর্মারা (৭৮) ভারতকে বড় রানে পৌঁছে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা তোলে ২৬১ রান। অস্ট্রেলিয়ার শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ২৮ রানে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে স্নেহ রানা ৪টি এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও হরমনপ্রীত কৌর ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট যায় পূজার ঝুলিতে (Ind-W vs Aus-W Test)। 

    ১৯ ওভারেই লক্ষ্য পূরণ

    প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানের লিড থাকার সুবাদে ভারতের সামনে মাত্র ৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু, ওপেনার শেফালি ভার্মা মাত্র ৪ রান করেই প্রথম ওভারে কিম গ্যারেথের শিকার হন৷ ১৩ রানের মাথায় আউট হয়ে ফেরেন টেস্ট অভিষেক করা রিচা ঘোষ। তবে, এর পর আর বেগ পেতে হয়নি হরমনপ্রীতদের। বাকি কাজ করেন স্মৃতি মান্ধানা ও জেমাইমা রড্রিগেজ। ১৮.৪ ওভারেই ২ উইকেট খুইয়ে ম্যাচে জিতে যায় ভারত। ভারতের জয় দেখতে ছুটির দিন সকাল সকালই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভিড় করেছিলেন সমর্থকরা। বেশ কয়েক হাজার দর্শক চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছিলেন রিচাদের। জয়ের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন সকলে (Ind-W vs Aus-W Test)। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোষ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাবাস। কিন্তু সব জেনেও লাভের আশায় প্রতিবছর গাঁজার চাষ (Weed Farming) করেন কোচবিহারেরে চাষিরা। মামলা হয় অনেকের নামে, এমন কী পুলিশ গ্রেফতার করেও নিয়ে যায়। তারপরও বেশি পয়সার জন্য এই অবৈধ ভাবে রমরমিয়ে গাঁজার চাষ করতে বাধ্য হন চাষিরা। রীতিমতো দরমার বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে, কিছুটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় গাঁজা চাষের জমিকে। নিরুপায় কিন্তু পেট চালানোর জন্য এই ভাবেই কোচবিহারে চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ।

    চাষিদের বক্তব্য (Weed Farming)

    কোচবিহারেরে একচাষি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে আয় হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, আবার ওই জমিতেই গাঁজা চাষ (Weed Farming) করে আয় হয় সাত লক্ষ টাকা। এরপর এই গাঁজা চলে যায় অন্য রাজ্যে। রাজ্যে চাষের ফসলে সঠিক দাম না পাওয়ার জন্যই এইভাবে লুকিয়ে চাষ করে থাকি আমরা।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কোচবিহার আবগারি দফতরের জেলা জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট সাঙ্গে ডোমা ভুটিয়া বলেন, “অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেক চাষি গাঁজার (Weed Farming) চাষ করেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি বেআইনি। তাই পদক্ষেপ বেশ কড়া নিতে হয় আমাদের।” আবার কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, এখনও পর্যন্ত জেলায় তিন হাজার বিঘা গাঁজার চাষ নষ্ট করা হয়েছে।”

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই গাঁজা চাষের পিছনে চাষিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, এর পিছনে একটি বিরাট চক্র কাজ করে। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, গাছ পরিচর্যা ইত্যাদির জন্য আগে থেকে চাষিদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। এমনকি গাছ পরিণত হওয়ার আগেই লাভের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় ওই পাচারচক্রীদের কাছে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি থেকে পাইকারীরা গ্রামের চাষিদের টাকা দিয়ে গাঁজা কিনে নেয়। লাভের টাকা তেমন ভাবে চাষিরা পান না। তবে শাস্তির সম্মুখে পড়তে হয় কেবল চাষিদেরই।

    গাঁজা চাষ বছরের দুইবার হয়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা চাষ (Weed Farming) বছরে দুইবার হয়। একটি আষঢ়ি অপরটি হেমতি। ভালো মানের চাষ আষাঢ় মাসেই হয়ে থাকে। তবে এখন মণিপুরের এক রকমের দামে বেশি এক প্রকার গাঁজার চাষ হচ্ছে কোচবিহারে। কোচবিহারের তোর্সা, মানসাই, ধরলা, কালজানি নদীর দু’ধারের জমিতে চাষ হয় গাঁজা। তাই রাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “রাজ্য সরকারকে চাষিদের খাদ্যশষ্য চাষের দিকে উৎসাহী করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Bound Oil Tanker: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    India Bound Oil Tanker: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের পর এবার রবিবার। ভারত মহাসাগরের পর এবার লোহিত সাগর। রবিবার ভারতের দিকে আসা অপরিশোধিত একটি তেলের ট্যাঙ্কার (India Bound Oil Tanker) লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাল ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। ট্যাঙ্কারটি যখন লোহিত সাগরে ছিল, ঘটনাটি ঘটে তখন। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানিয়েছে আমেরিকা। ‘সাইবাবা’ নামের ওই ট্যাঙ্কারে ২৫ জন ভারতীয় ছিলেন। ড্রোন হানায় অবশ্য হতাহতের কোনও খবর নেই। হামলার পরে পরেই ট্যাঙ্কারে থাকা ভারতীয়রা যোগাযোগ করেন আমেরিকার একটি জাহাজের সঙ্গে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে খবরটি।

    হামলা শনিবারও

    শনিবারই ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের একটি জাহাজ লক্ষ্য করে। সেটিও আসছিল ভারতের দিকে। শনিবারের ঘটনার জন্য আমেরিকা দুষছিল ইরানকে। রবিবারের ঘটনায় আমেরিকার নিশানায় ইয়েমেনের হুথি। মার্কিন সেনার তরফে (India Bound Oil Tanker) জানানো হয়েছে, এদিন দক্ষিণ লোহিত সাগরে টহল দিচ্ছিল আমেরিকার একটি যুদ্ধ জাহাজ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুটি জাহাজ, জানায় আক্রান্ত হয়েছে তারা। এই দুটির মধ্যে নরওয়ের পতাকা লাগানো জাহাজটিতে ছিল রাসায়নিক। আর ভারতের পতাকা লাগানো জাহাজটি ছিল অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার। পরে অবশ্য ভারতীয় নৌবাহিনীর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ট্যাঙ্কারটিতে ভারতের পতাকা লাগানো ছিল না।

    আমেরিকার অভিযোগ

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ আমেরিকার। নেপথ্যে রয়েছে হুথি। আমেরিকার অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তা হুথির বক্তব্যেই স্পষ্ট। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বক্তব্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে তারা রয়েছে হামাসের পক্ষে। তাই ইজরায়েলের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তারা। আমেরিকার দাবি, রবিবারের আগে চারটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা। ড্রোনগুলি ওড়ানো হয়েছিল হুথি অধিকৃত এলাকা থেকে। বাইডেন প্রশসনের অভিযোগ, হুথিদের সাহায্য করছে ইরান। তার জেরেই লোহিত সাগরে বেড়েছে ড্রোন হামলা। মার্কিন অভিযোগের প্রত্যুত্তরে ইরানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা নাকদির হুমকি, আমেরিকা ও তার জোটসঙ্গীরা গাজায় অপরাধ বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে (India Bound Oil Tanker)।

    আরও পড়ুুন: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়ে আসেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ।

    প্রসঙ্গ: ২৬/১১ 

    বিদেশমন্ত্রীর মতে, স্বাধীনতার সময় থেকেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ভারত। এর মদত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ২৬/১১র মুম্বই হামলার ঘটনার কথা। ওই দিন মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল লক্সর-ই-তৈবা। সেটাকেই এদেশে সন্ত্রাসবাদের ‘পিভটাল মোমেন্ট’ বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ শুরু হয়েছিল সেই মুহূর্তে, যখন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তখন পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিল রেইডাররা।… আজ এ দেশে যা বদল হয়েছে, আমার মনে, হয় এর পটভূমিতে রয়েছে ২৬/১১-র মুম্বই হামলা।”

    প্রসঙ্গ: সীমান্তপারের সন্ত্রাস

    জয়শঙ্কর বলেন, “কেউ যদি নিরন্তর সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দিয়ে যায়, তাহলে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার দায় বর্তায় আমাদের ওপর।” তিনি বলেন, “২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদ দেখার আগে পর্যন্ত অনেকেই সন্ত্রাসবাদ রুখতে কী করা উচিত, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাই এখন আমাদের প্রথমেই যেটি করতে হবে, সেটি হল আমাদের প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমি জানি, সেই লোকগুলিকে যাঁরা বলেছিলেন, আমাদের একটা স্মার্ট স্ট্র্যাটেজি ছিল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায়। আমার মনে হয় না এর কোনও অর্থ হয়। আমার মনে হয় না যে এর কোনও কৌশলগত দিক আছে।” তার পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি লাগাতার সীমান্তপার সন্ত্রাসে মদত দেয়, তাহলে আপনাকে যোগ্য জবাব অবশ্যই দিতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

    গান্ধীনগরের লাভাড রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি (S Jaishankar) বলেছিলেন, “ভারতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা।” তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অন্যদের নিরাপত্তায় অবদান রাখতেও লড়তে হবে আমাদের। এটা হতে পারে আমাদের সব চেয়ে কাছের কোনও প্রতিবেশী দেশ কিংবা যাদের কাছে অর্থনৈতিক বা শক্তিগত সমর্থন পাই, তাদের প্রতি। অথবা এটা গ্লোবাল সাউথের মতো কোনও বৃহত্তর সম্পর্কের জন্য হতে পারে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাক বিতর্কে ফের শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলে। এই স্কুল শতাব্দীর পুরতান ইতিহাস বহন করে চলেছে। আগে স্কুলের পোশাকের রঙ ছিল সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট। এবার থেকে নতুন স্কুল পোশাকের রঙ হবে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট। স্কুলের এই পোশাক বদলে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই জেলা স্কুল।

    ১৮৭৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে মাসিক ২০০ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। নানা সময়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের বদল হলেও বদলায়নি পোশাকের রঙ। ফলে স্কুলের অভিভাবক, প্রাক্তনীরা তীব্র আপত্তি তুলেছেন পোশাকের রঙ বদলের সিদ্ধান্তে। আবার প্রাক্তনীদের কেউ কেউ বলছেন, “বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের রঙ নীল-সাদাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের উপর। তাই অনেক ছাত্রের অভিভাবকেরা এই নীল-সাদা রঙের পোশাক ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাতঃবিভাগে পড়ুয়াদের নীল-সাদা পোশাক দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট পরে আসতে হবে। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য মাত্র আর দুই বছর পরেই এই স্কুলের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করা হবে। ফলে সবকিছু নতুন করে সেজে উঠছে স্কুলের পরিকাঠামো। ঠিক এই মুহূর্তে স্কুলের পোশাক বদলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (Jalpaiguri) প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের পোশাকের রঙ ঠিক করা হয়েছে। স্কুলের সব রকম পরিকল্পনার জন্য সরকার ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেছে। তাই সরকারী স্কুলে সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে। তবে কেউ কেউ আপত্তি করছেন। এটা ঠিক নয়।”

    নীল-সাদা রঙ নিয়ে আপত্তি একাকধিক স্কুলে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলের পোশাকের নীল-সাদা রঙ নিয়ে যেমন আপত্তি উঠেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের একাকধিক ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলিতে নীল-সাদা রঙে আপত্তি জানিয়ে আগেও আন্দোলন হয়েছিল। যেমন- কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের পোশাকের রঙ বদল করে নীল-সাদা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়। আবার শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল ভবনের আগের রঙ লাল-হলুদকে বদল করে নীল-সাদা করতে চাইলে ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠে স্কুলে। এমনকি প্রতিবাদের কারণে রঙ বদলের সিদ্ধান্তও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share