Blog

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। আগে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে জানুয়ারিতে ভারতে আসতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তার পরেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মাক্রঁকে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

    এর আগে আরও পাঁচবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক। ১৯৮৮ সালেও এসেছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে এসেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি গিসকার্ড ডি’ইস্টাইং। ২০০৮ সালে প্রধান অতিথির সম্মান দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে। ২০১৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। মাক্রঁ এলে তিনি হবেন ফ্রান্সের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট, যিনি সম্মানিত হবেন প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করে।  

    ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’  

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। সম্ভবত সেই কারণেই ভারতে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।জুলাই মাসে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ‘বাস্তিল ডে প্যারেডে’ যোগ দিতে ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। ওই প্যারেডে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের সুর বাজানো হয়েছিল। এই প্যারাডে ভারতীয় বায়ুসেনার এক রাফাল যোদ্ধাও অংশ নিয়েছিলেন। ফ্রান্স সফরের পরে মাক্রঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বাস্তিল দিবসের পাশাপাশি এবছর ছিল ভারত-ফ্রান্স স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি। সেই সম্পর্ক উদযাপন করতেও ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ফ্রান্স থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অতি সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে পরেই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।

    জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতে এসেছিলেন মাক্রঁ। সেই সময় মোদির সঙ্গে মাক্রঁও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও না কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায় ভারত সরকার। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে। এ বছর, প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ (Visva-Bharati)। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক৷ ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। এখনও পর্যন্ত লিভিং কোনও কিছুর নাম কবি ও কবিপুত্রর নামে হয়নি। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)। কৃষিকাজকে সমৃদ্ধ করতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষি গবেষণার উপর জোর দিয়েছিলেন৷ তাই তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ এমনকী, নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কৃষিবিদ্যা পাঠ নিতে বিদেশেও পাঠিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য হন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর হাত ধরে শুরু হয় কৃষি গবেষণার নানা কাজ।

    কীভাবে সন্ধান মিলল? (Visva-Bharati)

    কৃষিক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। এই তিনটি উপাদানকে একত্রে বলে এনপিকে৷ মাটি থেকে উদ্ভিদ এই উপাদান সংগ্রহ করে৷ কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে মাটিতে এর জোগান কম থাকলে বাজার থেকে উপাদানগুলি কিনে দিতে হয় চাষিদের৷ বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ একটু নতুন প্রজাতির উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছে। নাম ‘প্যান্টোইয়া টেগোরী’ ( Pantoea Tagorei )। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অণুজীববিদ্যার অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম তাঁর ৫ পড়ুয়া রাজু বিশ্বাস, অভিজিৎ মিশ্র, অভিনব চক্রবর্তী, পূজা মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে এই ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন৷ মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক অণুজীব। এছাড়া, লঙ্কা ও মটর চাষের পক্ষেও উপকারী এই ব্যাকটেরিয়া। এটি মাটি থেকে অতি সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে৷ ৬ জনের এই দল গবেষণা করতে করতে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি, পরে ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি অঞ্চলের মাটি থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান৷ কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের ভাবনা, অবদানকে স্মরণ করে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)।

    কী বলছেন গবেষকরা? (Visva-Bharati)

    বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম বলেন, “এই ব্যাকটেরিয়া চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। আমরা আগে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে দেখেওছি৷ সদ্য শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তাই আমরা এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রেখেছি। লিভিং কোনও অর্গানিজমের নাম টেগরের নামে। আমার গবেষক পড়ুয়ারাও (Visva-Bharati) খুব মন দিয়ে কাজ করেছে এক্ষেত্রে।” গবেষক পড়ুয়াদের মধ্যে রাজু বিশ্বাস ও অভিজিৎ মিশ্র বলেন, “এটা বিশ্বভারতীর আবিষ্কার। এই ব্যাকটেরিয়া ব্যাবহারের ফলে চাষিরা উপকৃত হবে৷ সারের খরচ অনেকগুণ কমবে৷ এই ব্যাকটেরিয়া মাটি থেকে সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে৷ আমরা ঝরিয়ার কয়লা খনি অঞ্চল থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাদ নেই আমাদের দেশও। দৈনিক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। অন্তত পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ করোনা আক্রান্তের (Covid 19) মৃত্যু হয়েছে।

    দেশে অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২,৯৯৭

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বৃহস্পতিবারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত (Covid 19) হয়েছেন ৩২৮ জন। এ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বেশ কিছু রাজ্যে চালু হয়ে গেছে করোনা বিধি। এতেই ফিরে আসছে আড়াই-তিন বছর আগের সেই আতঙ্কের স্মৃতি। মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে ফের কি মাস্ক-যুগ শুরু হচ্ছে? তবে উদ্বেগ থাকলেও আশার কথা শোনা গিয়েছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে। বিজ্ঞানীমহল বলছে, নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ওষুধ ছাড়াই সেরে ওঠা যাবে জেএন-১ এর সংক্রমণ থেকে। অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে। যদিও কোমর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ফের ফিরছে মাস্ক-যুগ? কলকাতার তিন হাসপাতালে ভর্তি ৩ করোনা আক্রান্ত

    জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ

    নতুন সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক পজিটিভ করোনা নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসক রাজীব জয়দেবনের মতে, জেএন-১ সাধারণত প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এদিকে, কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত ৩২৮ জনের মধ্যে মধ্যে ২৬৫ জনই কেরলের বাসিন্দা। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০৬। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা।” ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের চেয়ে এ দেশে ভালো রয়েছেন মুসলিমরা। তাঁরা এখানে স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন। এদেশে সুখে-সমৃদ্ধিতে রয়েছেন। এর অর্থ হল, ভারতীয় সমাজ কোনও ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।”

    বৈষম্যমূলক আচরণ নেই

    এ প্রসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অতি সংখ্যালঘু পার্শিদের কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পার্শিরা এ দেশে আর্থিক সাফল্য পেয়েছেন। সুখে-শান্তিতে বাস করছেন।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান রয়েছেন। শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২৮। ভারতে যে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক কোনও আচরণ করা হচ্ছে না, তা জুন মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে বুক বাজিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে কী কী পদক্ষেপ তিনি করেছিলেন। তাঁদের বাক স্বাধীনতাও এদেশে রক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশে রয়েছে বাক স্বাধীনতা 

    গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গ উত্থাপন হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে তো বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কাগজে, টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিও, ট্যুইট-বার্তায় তাঁরা তো এসব নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতেই পারেন। তাঁদের এই অধিকার রয়েছে। তাঁদের মতো অন্যদেরও তো এমনই অধিকার রয়েছে।” তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় ব্রিটিশরা ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক ভবিদ্ব্যবাণী করেছিল। আমরা দেখেছি, সেসবই মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও মিথ্যে প্রমাণ করব।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সময় সে প্রসঙ্গও ওঠে। সে প্রসঙ্গ টেনেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ভারতের সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের মনোন্নয়ন হওয়ায় ধন্যবাদ সবাইকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হাতে ললিপপ ধরাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ ঘোষণার পর এমনই তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কর্মীদের হাতে ললিপপ?

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চার শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একেই নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলেনতা। এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “খুচরা মূল্যবৃদ্ধি সূচকের নিরিখে বছরে দু’বার কর্মীদের ডিএ পুনর্বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার। জানুয়ারি ও জুলাই মাস থেকে তার সুবিধা পেয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের মহার্ঘভাতার ফারাক বর্তমানে ৪০ শতাংশ। এই ফারাক কমা সম্পূর্ণ তাৎপর্যহীন। কারণ ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কেন্দ্রীয় ডিএ-ও বৃদ্ধি পাবে। ফলে ডিএর ফারাক সেই আগের জায়গায়ই চলে যাবে।” শুভেন্দু লিখেছেন, “এই সামান্য বৃদ্ধি আসলে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হাতে ললিপপ ধরানোর চেষ্টা ও বিচারালয়ের কঠোর প্রশ্নের মুখে পড়ার হাত থেকে বাঁচার ফিকির মাত্র। তার থেকে বেশি কিছু নয়।” 

    কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “মুখরক্ষার জন্য এসব করছেন। যেহেতু লোকসভা নির্বাচন আসছে। ৪ শতাংশ দিয়ে কী হবে। কেন্দ্রের সমান সমান করতে হবে। সমকাজে সমবেতন, রাজ্য সরকার কেন দিতে পারবে না।” তিনি বলেন, “বিরোধী নেত্রী থাকার সময় তিনি বলেছিলেন, যে সরকার নিজের কর্মীদের কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।”

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার অ্যালেন পার্কে রাজ্য সরকার আয়োজিত ১৩তম ক্রিসমাস উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণাকেই নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), সুকান্ত।

    আরও পড়ুুন: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। আবারও পুলওয়ামা ধাঁচে সেনা কনভয়ে হামলা চালালো জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। পুঞ্চে ডেরা কি গলি (Poonch Terror Attack) এলাকায় হওয়া এই হামলায় শহিদ হলেন সেনার ৫ জওয়ান। আহত হয়েছে চিকিৎসাধীন আরও কয়েকজন।

    ঠিক কী ঘটেছে? 

    জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল ডেরা কি গলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হচ্ছিল। পথেই, পৌনে ৫টা নাগাদ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের (Rashtriya Rifles) একটি জিপ এবং ট্রাকের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। জানা গিয়েছে, হামলায় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে জঙ্গিরা। সেনা সূত্রে খবর, সুরনকোট থানার অধীন বাফলিয়াজ থেকে রাজৌরির দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়ি দু’টি। বাফলিয়াজ এবং ডেরা কি গলির মাঝে ধতয়ার মোড়ে একটি পাহাড়ের উপরে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। এই অঞ্চলটি গভীর জঙ্গলে ঘেরা। কাছে টোপা পীর অঞ্চলের কাছে একটি সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি বাঁকের মুখে সেনার জিপ এবং ট্রাকের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা (Poonch Terror Attack)। 

    হামলার নেপথ্যে লস্কর?

    বিস্ফোরণের পাশাপাশি, সেনা লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর দুপক্ষের মধ্যে লড়াই হয়। গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিন জওয়ান (J-K Terror Attack)। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুঞ্চের জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক এবং সেনা আধিকারিকরা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এক জওয়ান সেখানে মারা যান। শুক্রবার সকালে আরও এক আহত জওয়ানের মৃত্যু হয়। হামলার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ)। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অনুমান, পুলিশ বুধবার ভোররাতে পুঞ্চেরই সুরানকোটে (Poonch Terror Attack) রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর শিবিরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই দলটিই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত থাকতে পারে। 

    পুলওয়ামা-ধাঁচে হামলা

    ২০০৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই অঞ্চলটি মূলত সন্ত্রাসবাদ মুক্ত ছিল। এরপর ঘনঘন সংঘর্ষ শুরু হয়। গত মাসে রাজৌরি জেলারই কালাকোটে সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক বিশেষ বাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছিল (J-K Terror Attack)। সেই ঘটনায় সেনার দুই ক্যাপ্টেন সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তার আগে, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে জোড়া হামলায় শহিদ হন ১০ জওয়ান। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল। সিআরপিএফের কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ওই নাশকতায় মৃত্যু হয় ৪০ জন জওয়ানের। ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণের ধাঁচেই এবারও নিশানা করা হয় সেনার ট্রাককে (Poonch Terror Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: শতরান সঞ্জুর, দুরন্ত অর্শদীপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজ জয় ভারতের

    India vs South Africa: শতরান সঞ্জুর, দুরন্ত অর্শদীপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাট হাতে সঞ্জু স্যামসন এবং বল হাতে অর্শদীপ-ওয়াশিংটনদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতল কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারত (India vs South Africa)। সেই সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে ৩ ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। এর ফলে, পাঁচ বছর পর প্রোটিয়াদের তাদেরই মাঠে হারিয়ে একদিনের সিরিজ জিতল মেন ইন ব্লু-রা। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি ভারতের দ্বিতীয় একদিনের সিরিজ জয় (India-SA ODI Series)।

    প্রথম শতরান সঞ্জুর

    জোহানেসবার্গে দাপট দেখিয়ে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। বেরহায় সিরিজে সমতা ফেরায় প্রোটিয়ারা। বৃহস্পতিবার পার্ল শহরে ছিল সিরিজের তৃতীয় তথা নির্ণায়ক ম্যাচ (India vs South Africa)। এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম শতরান করেন সঞ্জু স্যামসন। ১১৪ বলে ১০৮ রান করলেন সঞ্জু। তাঁর পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কি তিলক ভার্মা প্রথম ওডিআই হাফসেঞ্চুরি করেন। এই দুজন মিলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন। রিঙ্কু সিং করেন ৩৮ রান। অধিনায়ক কেএল রাহুলের ব্যাটে এসেছে ২১ রান। সব মিলিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া (India-SA ODI Series)।

    চার উইকেট অর্শদীপের

    রান তাড়া করতে নেমে মন্থর হলেও শুরুটা ভালো করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। রিজা হেন্ড্রিক্স ও টনি ডি জর্জির ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৯ রান। গত ম্যাচের নায়ক ডি জর্জি এবারও সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু, ৮১ রানেই থেমে যান তিনি। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম করেন ৩৬ রান। এর পরই ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার। ৪৫.৫ ওভারে ২১৮ রান তুলে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচ ভারত জিতে যায় ৭৮ রানে। সেই সঙ্গে পকেটে পুরে নেয় একদিনের সিরিজ (India-SA ODI Series)। ভারতের তরুণ তুর্কিরা চাপে ফেলে দেন মার্করাম, মিলারদের। ৪টি উইকেট নেন ভারতের তরুণ বোলার অর্শদীপ সিং। ২টি করে উইকেট আবেশ খান ও ওয়াশিংটন সুন্দর। আর ১টি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রবিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগামী লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি বৈঠক করতেই তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তিনি আসবেন এবং সোমবার সারাদিন থাকবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে তাঁর এই সফরসূচি পরিবর্তন হতে পারে, এমন আভাসও মিলেছে।

    দিল্লিতে শুরু বিজেপির বৈঠক (Amit Shah)

    আগামীকাল শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে বিজেপির বিশেষ বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠক মূলত সাংগঠনিক। এখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হবে প্রত্যেক রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই রণকৌশল ঠিক কী হবে, তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে কীভাবে বিজেপি প্রচার অভিযান করবে, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপরেই বঙ্গে অমিত শাহের (Amit Shah) সফরকে নির্বাচনী রণকৌশলের অঙ্গ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।

    রাজ্যে ফের অমিত শাহ

    সূত্রের খবর, রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা এবং প্রচার কাজের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। ফলে এবারও বিজেপি পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার কেন্দ্রকে। আগামী রবিবার তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ (Amit Shah) ফের কলকাতায় আসছেন। সোমবার দিনভর বৈঠক করবেন। দলের ঠিক কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে, সংগঠনের ভিতরে আরও কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন, দলের মধ্যে কোনও রদবদল দরকার কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, শুধু বঙ্গ নয়, আরও অনেক রাজ্যে লাগাতার যাবেন তিনি। পাশপাশি সময় অনুসারে বিজেপির দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন অনেক বৈঠক করবেন। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CEC-EC Bill: সংসদে ধ্বনিভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩

    CEC-EC Bill: সংসদে ধ্বনিভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার সংসদে পাশ হয়ে গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার্স বিল ২০২৩ (CEC-EC Bill)। গত ১৭ দিন ধরে চলা সংসদের অধিবেশনে আজ সাংসদরা এই বিলে সম্মতি দিয়েছেন। এদিন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল সংসদে এই বিল উপস্থাপন করেছিলেন। বিলে বিশেষ ভাবে সমর্থন করেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। এদিন রাজ্যসভায় এই বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়।

    কী বলা হয়েছে বিলে (CEC-EC Bill)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে এদিন বিলে (CEC-EC Bill) বলা হয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের একটি প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগ করতে হবে। কমিশনারের কাজের পরিধি, মেয়াদ, শর্তাবলি, দায়িত্ব এবং অফিসের মেয়াদ ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ম রয়েছে এই বিলে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় বিলে উল্লেখ আছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য আগে গত ১০ অগাস্ট সংসদের অধিবেশনে উত্থাপন করা হইয়েছিল এই বিলটি। কিন্তু ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী এতদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও ধারা ছিল না। সেই আইনের সংস্করণ করতেই এই বিলকে আরেকবার উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার থেকে এই বিলের তৈরি হওয়া আইনে এই বিষয়ে সরকার কাজ করবে।

    কী বলেন আইনমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানিয়েছেন, “আইনের (CEC-EC Bill) আগে দুর্বল ছিল। সেই জন্য নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা ছিল। উল্লেখ্য যে কোনও ভারতীয় নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন। এই পদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানো হয়েছে। আবার এই শীতকালীন অধিবেশনে জম্মু এবং কাশ্মীর সংক্রান্তও বিলপাশ হয়েছে। উল্লেখ্য এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ভিক্ষা চাইছি না’’! মমতার ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

    Mamata Banerjee: ‘‘ভিক্ষা চাইছি না’’! মমতার ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডিএ বৃদ্ধিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের সাফ জবাব, সরকারের থেকে তাঁরা ভিক্ষা চাইছেন না। একইসঙ্গে তাঁদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচি যে বহাল থাকবে, তাও জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা (Bengal DA Agitation)।

    ঘোষণায় কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সেখান থেকে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি নিয়ে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা মিলবে। ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিএ। এত দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর থেকে তাঁরা পাবেন ১০ শতাংশ হারে ডিএ। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণাকে তাঁর বড়দিন ও নতুন বছরের উপহার হিসেবেও উল্লেখ করেন।

     

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    ঘোষণা পত্রপাঠ খারিজ আন্দোলনকারীদের

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ঘোষণায় খুশি হওয়া তো দূর, উল্টে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে পত্রপাঠ বিদায় করেন ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত কর্মচারীরা (Bengal DA Agitation)। তাঁদের যুক্তি, এতে কিছুই লাভের লাভ হবে না। কারণ, বর্তমানে ৪৪ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অর্থাৎ, ডিএ-তে কেন্দ্র-রাজ্য ব‍্যবধান ৪০ শতাশ। এদিন ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে, ব্যবধান কমলেও তাও দাঁড়াবে ৩৬ শতাংশে!

    ‘‘আমরা ভিক্ষা চাইনি…’’

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ঘোষণাকে ‘ভিক্ষা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলি, এককের ঘরের শূন‍্যটা কোথায় গেল? শূন‍্যটাকে বাম দিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’’ একইসঙ্গে তাঁরা এও জানিয়ে দেন যে তাঁদের আন্দোলন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে প্রতিবাদ করতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা (Bengal DA Agitation)। এই মর্মে এদিনই আন্দোলনকারীদের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি বহাল থাকবে। আমরা ভিক্ষা চাইনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share