Blog

  • EC issues Guidelines: কল্যাণকাণ্ডের পর রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশিকা কমিশনের, কী লেখা তাতে?

    EC issues Guidelines: কল্যাণকাণ্ডের পর রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশিকা কমিশনের, কী লেখা তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা ব্যক্তিদের প্রতি সদয় ও সম্মান প্রদান করতে প্রকাশিত নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন (EC issues Guidelines)। কল্যাণকাণ্ডের পর কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়ে জোর চর্চা রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।

    কল্যাণকাণ্ডে জোর চর্চা

    সম্প্রতি, সংসদের বাইরে প্রতিবাদ চলাকালীন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে মিমিক করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের সেই মিমিক্রির ভিডিও নিজের ফোনে বন্দি করতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই ঘটনায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। কল্যাণের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ধনখড়কে ফোন করে সমবেদনা জানান খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কল্যাণের উদ্দেশে ধেয়ে আসে কটাক্ষের বন্যা। 

    এই প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন (EC issues Guidelines)। ওই নির্দেশিকায় সরাসরি কল্যাণকাণ্ডের উল্লেখ না করা হলেও, নির্দেশিকার সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ঠিক কী বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়?

    কী আছে নির্দেশিকায়?

    কমিশনের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে— প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে ও সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে তুলতে কোনও প্রকার আপস করে না নির্বাচন কমিশন। সফল গণতন্ত্রের ভিতে রয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ। কমিশন আরও জানিয়েছে (EC issues Guidelines), সকলের সমান অংশগ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য হল প্রতিবন্ধী ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা ও তাঁদের যোগ্য সম্মান প্রদান করা। যে কোনও জনসমাবেশ, লেখা, রাজনৈতির প্রচারের সময় রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রতিনিধিদের উচিত শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দুর্বলতা সংক্রান্ত ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য বা কটাক্ষ করা থেকে বিরত থাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কমবয়সি শিশুদের জন্য সর্দি-কাশি কম করার জন্য নানা ধরনের সিরাপকে (Cough Syrup) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের ওষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা— সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কাশির সিরাপে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে মোট ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই ভারতে সতর্কতা জারি করে বেশ কিছু কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ, তাকেও এক নির্দেশিকায় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন সিরাপ নিষিদ্ধ (Cough Syrup)?

    শীতের সময় ঠান্ডা লাগলেই থাকে সাধারণ ভাবে। আর তাই ঠান্ডা আর কাশি (Cough Syrup) থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপের ব্যবাহার ব্যাপাক ভাবে বেড়ে যায়। তবে সব সিরাপ ব্যবহার যোগ্য এমনটাও নয়। শিশুদের জন্য ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন বা এফডিসি-র অন্তর্গত কোনও সিরাপ ঠান্ডায় ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ক্লোরোফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন— এই দুই ধরনের উপাদান মিশ্রিত ওষধ বন্ধ করতে হবে। এমনকী, নিজের উৎপাদনের উপর সতর্কতা জ্ঞাপক কথা হিসাবে “৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এফডিসি ব্যবহার করা উচিত নয়” লিখতে হবে বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ওষধ প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়েছে সিডিএসসিও। 

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের বক্তব্য

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, “২১০৪টি পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ১২৮টি সংস্থার মধ্যে ৫৪টি ওষধ কাশি (Cough Syrup) নিরাময়ে সাফল্য লাভ করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ওষধের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা গিয়েছে নিম্নমানের ওষধ খাওয়ার কারণেই। এর পরে পরেই আমেরিকা এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে কাশির সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপর থেকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশি সিরাপ ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভায় রংবোমা-কাণ্ডের জের! সংসদ নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার সিআইএসএফ?

    Parliament Security Breach: লোকসভায় রংবোমা-কাণ্ডের জের! সংসদ নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার সিআইএসএফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদ ভবনের নিরাপত্তার (Parliament Security Breach) দায়িত্ব কি দিল্লি পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে নিচ্ছে মোদি সরকার? এমন একটা সম্ভাবনার কথা রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।

    সংসদের নিরাপত্তায় একাধিক পদক্ষেপ

    হানাকাণ্ডের জেরে (Parliament Security Breach) সংসদে প্রবেশ করার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও শর্তাবলি চাপানো হয়েছে। সংসদের ভেতর নিরাপত্তাকে আরও কঠোর করা হয়েছে। পাশাপাশি, নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও। এবার সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের বদলে শীঘ্রই এই দায়িত্বে দেখা যেতে পারে হাই-সিকিউরিটি ইনস্টলেশনের নিরাপত্তা প্রদানে সিদ্ধহস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা সিআইএসএফ (CISF to secure Parliament)।

    আরও পড়ুন: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    সরছে দিল্লি পুলিশ?

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের পাঠানো একটি চিঠি পেয়েছে সিআইএসএফ। তাতে বলা হয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জরিপ, পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠাতে। সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে সংসদের নিরাপত্তার ভার এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার হাতেই তুলে দেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে, একবার সংসদের নিরাপত্তা প্রদানের অনুমতি দেওয়া হলে, পুরো দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে সিআইএসএফ (CISF to secure Parliament)। যার মধ্যে যাঁরা প্রবেশ করবেন, তাঁদেরকে তল্লাশি করার ক্ষমতাও সামিল থাকবে। তবে, সংসদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব আগের মতো লোকসভা সচিবালয়ের হাতেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

    সংসদে হানাকাণ্ডে গ্রেফতার ৮

    গত ১৩ ডিসেম্বর, সংসদে ২০০১ জঙ্গি হামলার ২২ তম বর্ষপূর্তির দিনেই সংসদে হানা দেয় কয়েকজন যুবক-যুবতী (Parliament Security Breach)। সংসদের ভেতর ও বাইরে রং-বোমা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধিয়ে দেয় তারা। অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে দুজন। স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়, রং বোমার ক্যানিস্টার খুলে দেয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: ১০৮ ফুট! ভদোদরা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিশাল ধূপকাঠি

    Ayodhya Ram Mandir: ১০৮ ফুট! ভদোদরা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিশাল ধূপকাঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য ১০৮ ফুট লম্বা এবং সাড়ে ৩ ফুট চওড়া একটি ধূপকাঠি তৈরি করা হয়েছে। এই ধূপকাঠি তৈরি হয়েছে গুজরাটের ভাদোদরায়। এই বিশাল মাপের ধূপকাঠি অর্পণ করা হবে ২২ জানুয়রি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই। প্রভু শ্রীরাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই ৩৫০০ গ্রাম ওজনের এই ধূপকাঠিকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ধূপকাঠি বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামানায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী। ভক্ত মহলে এই অভিনব ধূপকাঠিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা।

    এই ধূপকাঠির নির্মাতা কে?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশাল আকৃতির ধূপকাঠি নির্মাণের শিল্পী হলেন গুজরাটের ভাদোদরা তালশালি এলাকার ভিহাভাই ভারওয়াদ নামের এক ব্যক্তি। আরও জানা গিয়েছে, তিনি গত ছয় মাস ধরে পরিশ্রম করে এই ধূপকাঠি তৈরি করেছেন। তবে এই মাসের শেষেই এর কাজ সম্পন্ন হবে। রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য নিবেদন করা হবে এই ধূপকাঠি। এর আগেও তিনি ১১১ ফুটের আরও একটি বিশাল ধূপকাঠি তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by DeshGujarat (@deshgujaratinsta)

    নির্মাণে কী কী ব্যবহার করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে এই বৃহৎ ধূপকাঠি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৩০০ কেজি গোবর, ৯১ কেজি গব্য ঘি, ২৮০ কেজি দেবদারু গাছের কাঠ, ৩৭৬ কেজি গুগল, ২৮০ কেজি তেল, ২৮০ কেজি জাব, ৩৭০ কেজি কোপারা গুঁড়ো এবং ৪২৫ কেজি হবন বা আহুতির মশলা। এই কাজে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সাংসদ সদস্য রঞ্জাবেন ভট্ট। তিনি প্রত্যেক দিন এই কাজে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধূপকাঠিকে নিয়ে মন্দিরের প্রচার করা হবে।

    কেমন হবে যাত্রা পথ?

    ভাদোদরা থেকে অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir) প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব। এই বিশাল আকৃতির ধূপ কাঠি লম্বা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যায়। ধুপকাঠি নিয়ে যাওয়ার যাত্রাপথ হবে, ভাদোদরা হয়ে হালোল, কালোল, গোধরা, শহেরা, আরাবল্লি, মোদাসা, শামলাজি, খেরওয়াদা, উদয়পুর, মালভাদা, সাভারিয়া শেঠ মন্দির, চিত্তোর, ভিলওয়ারা, দাদিয়া, কিষাণগড়, জয়পুর, ঘোসা মেহেন্দিপুর, বালাজি চোরায়া হয়ে ভরতপুর। এরপর আবার আগরা থেকে লখনউ, ইটাভা, কানপুর, উনাও, বরাবাঁকি হয়ে পৌঁছাবে অযোধ্যায়। ভক্ত মহলে এই নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হানার (Parliament Security Breach) ঘটনায় দিল্লি পুলিশ আরও দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন কর্নাটকের বিদ্যাগিরির বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাই কৃষ্ণ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাই কৃষ্ণের বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি। অন্যদিকে, অপর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের জালাউন জেলা থেকে। জানা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সি এই ব্যক্তির নাম অতুল কুলক্ষেত্র।

    মনোরঞ্জনের রুমমেট ছিলেন সাইকৃষ্ণ

    প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বরই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় মনোরঞ্জন ডি নামের এক অভিযুক্তকে। ধৃতের বাড়ি কর্নাটকের মাইসুরুতে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির রুমমেট ছিল সাই কৃষ্ণ। এটা অবশ্য এখনকার কথা নয়, যখন তারা একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং (Parliament Security Breach) পড়ত তখনকারই কথা। সাই কৃষ্ণের নাম উঠে আসে পুলিশি তদন্তে। মনোরঞ্জনকে আটক করার পরেই তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেখানেই উঠে আসে সাই কৃষ্ণের নাম। পুলিশ বুঝতে পারে যে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল মাইসুরুতে মনোরঞ্জনের (Parliament Security Breach) বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে। টানা তিনদিন ধরে চলেছে এই জিজ্ঞাসাবাদ।

    ধৃত চারজনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে 

    অন্যদিকে, বুধবারই গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের স্মোক কাণ্ডের অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তারপর তাদের তুলে দেওয়া হয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের হাতে।  ছয় অভিযুক্তের মধ্যে মনোরঞ্জন আনমোল এবং সাগর এবং নীলমের পুলিশি হেফাজত বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই কলকাতায় তদন্তের জন্য পৌঁছেছিলেন ৩ সদস্যের দিল্লি-পুলিশের তিন সদস্যের দল। ধৃত ললিত ঝা যেখানে যেখানে থাকতো সব জায়গাতেই তল্লাশি (Parliament Security Breach) চালায় পুলিশ কথা বলে স্থানীয়দের সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: বছর শেষে ফিরল করোনা আতঙ্ক! কেরলে মৃত ৩, দেশজুড়ে আক্রান্ত ২ হাজার পার

    Corona Update: বছর শেষে ফিরল করোনা আতঙ্ক! কেরলে মৃত ৩, দেশজুড়ে আক্রান্ত ২ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষে ফের করোনার (Corona Update) আতঙ্ক দেশে। যার জেরে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য একাধিক রাজ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে কেরলে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে, এরাজ্যেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা এবং জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনার কথা ভেবেই আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। রোগীদের নমুনা সংগ্রহে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মতো বিষয়গুলির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    আবার সক্রিয় করোনা (Corona Update)

    বছরের শেষেই আবার করোনা (Corona Update) চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বুঝেই রাজ্যগুলি সতর্ক মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার নতুন উপপ্রজাতি জেএন ওয়ান-এর (JN.1) প্রাদুর্ভাব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের উপর বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। আরটিপিসি টেস্টে বিশেষ খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। টেস্ট পজেটিভ হলেই রোগীর নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে করোনার (Corona Update) প্রভাব বিষয়ে সতর্কতার বার্তা পেয়েই বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে জেলার হাসপাতালগুলিকে করোনার জন্য বেশ কিছু বেড সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধেই রোগীদের জন্য সতর্কতা এবং বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এমআর বাঙুর হাসপাতালের বেশ কিছু বেড কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আইসিইউ বেডও রয়েছে।

    কেরলে আক্রান্তের মৃত্যু সব থেকে বেশি

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যার অনুযায়ী, কেরলে গত এক দিনে ২৯২ জন করোনায় (Corona Update) আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ এবং মহারাষ্ট্রে ১১। এছাড়াও তেলঙ্গানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, গোয়া এবং গুজরাট মিলিয়ে মোট ৩৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দেশে সব মিলিয়ে মোট সক্রিয় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০,৩১১।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর দফতরে হানা ইডি-র, উদ্ধার ১০ কোটির এফডি, ৮০০ ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প-পেপার!

    Jyotipriya Mallick: বালুর দফতরে হানা ইডি-র, উদ্ধার ১০ কোটির এফডি, ৮০০ ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প-পেপার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে বড় সাফল্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED on Ration Scam)। এবার অরণ্য ভবন থেকে উদ্ধার হলো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি-নথি। খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) চেম্বারে হানা দিয়ে সেখান থেকে ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও জীবন বিমার নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প-পেপার। সব নথি খতিয়ে দেখছে ইডি।

    আশঙ্কা ছিলই ইডি-র

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে (ED on Ration Scam) নেমে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী অধুনা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালুর আরও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্পত্তির খোঁজে খানা-তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেই সূত্রে, ইডির নজরে ছিল সল্টলেকে অবস্থিত বনমন্ত্রীর দফতর। তদন্তকারীদের আশঙ্কা ছিল, এখানেও অনেক সম্পত্তির হদিশ মিলতে পারে। তল্লাশি চালালে হয়ত তা উঠে আসতে পারে। সেই সব ভেবেই বুধবার, সল্টলেকের অরণ্য ভবনে হানা দেয় ইডি-র দল। আর তাতে যা উঠে আসে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ! 

    কী কী উদ্ধার হলো?

    জানা গিয়েছে, অরণ্য ভবনের ন’তলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) চেম্বার থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল সম্পত্তির নথি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর চেম্বার থেকে বালু ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে থাকা ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও এলআইসি পলিসির বন্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও দুটি সম্পত্তির নথি হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এখানেই শেষ নয়। সম্পত্তি কেনার কাজে ব্যবহৃত ৮০০টি ‘ব্যাকডেটেড’ স্ট্যাম্প পেপার উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এছাড়া, উদ্ধার হয়েছে ধান কেনাবেচার নথিও।

    চার্জশিটে কী ছিল?
     
    এর আগে, রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ রেশন ডিলার তথা আটা ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৬২ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। তাতেও বালুর বিপুল সম্পত্তির দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। ইডির দাবি ছিল, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়র লাভ হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি পাওয়া গিয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা বাবদ রাজ্য সরকারের ৪৫০ কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পকেটে গিয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

    তদন্তে নতুন মোড়?

    এবার ইডির দাবি, নতুন সম্পত্তির খোঁজ মেলায় গোটা তদন্ত-প্রক্রিয়া মায় মামলায় নতুন মোড় আসবে (ED on Ration Scam)। উদ্ধার হওয়া নথি নিয়ে বালুকে (Jyotipriya Mallick) ফের প্রশ্ন করার ভাবনা রয়েছে ইডির। কী কারণে ওই বিপুল সংখ্যক ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প পেপার জড়ো করা হয়েছিল? এর সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা, খতিয়ে দেখছেন তদনম্তকারীরা। সূত্রের খবর, বুধবারেও মন্ত্রীর আপ্ত-সহায়ককে ডেকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। পাশাপাশ, মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (Criminal Law Bills) তিনটি বিল। কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিলগুলির বিষয়ে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। পরিমার্জন করে এই বিলগুলিই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। বুধবার সংসদে পাশও হয়ে গেল বিল তিনটি।

    ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত ৩ বিল

    এদিন যে তিনটি বিল পাশ হল, সেগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। আইপিসির পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাঁড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।” তিনি জানান, মোদি সরকারের তরফে এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮টি বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

    যৌন নিপীড়নের জন্য সাজা

    নয়া বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৩ (অনুমতি ছাড়াই আদালতে কার্যক্রম প্রকাশ), ৮৬ (নিষ্ঠুরতা) ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারা ৭৩-এ অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন বিলগুলিতে পুরানো ফৌজদারি আইনে ‘মানসিক অসুস্থতা’র মতো শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ‘অস্থির মন’।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা (Criminal Law Bills) ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানায় রাজদ্রোহ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে দেশদ্রোহ আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে দিতে চলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তরকালে নরেন্দ্র মোদির সরকারই এক মাত্র নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে।” তিনি জানান, সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩১টি। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ৯টি নয়া অনুচ্ছেদ। যোগ হয়েছে ৩৯টি উপধারাও। নয়া ধারা নিয়ে আসা হয়েছে ৪৪টি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    শাহ বলেন, “গণপিটুনি একটি জঘন্য অপরাধ। এই আইনে আমরা এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছি। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “নয়া তিনটি বিলে পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি দেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা ও নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও (Criminal Law Bills)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির শিকার শিলিগুড়ির (Siliguri) এনজেপির কাছে ঠাকুরনগরে প্রস্তাবিত রেল উড়ালপুল। রাজ্য সরকার এনওসি না দেওয়ায় রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে এখানে উড়ালপুল তৈরি করতে পারছে না। ফলে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন। রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেলগেটে আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই উড়ালপুল তৈরির জন্য এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের পাশে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠাকুরনগরে কেন রেল উড়ালপুল দরকার? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটে এলাকার মানুষ নিত্যদিন নাকাল হন। এনজেপি দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন এই গেট বন্ধ হয়। দুপারে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাহুডাঙ্গি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সহজে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই রেলগেটই ভরসা। এই রেলগেট দিয়ে পাঁচটি জেলার মানুষের শিলিগুড়িতে যাতায়াত। সেই সব মানুষদের সঙ্গে পর্যটকরাও এই রেলগেটে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। আজও এখানে রেল উড়ালপুল না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।

    উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ

    সাংসদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মানুষের এই দুর্ভোগ বন্ধ করতে  উদ্যোগ নেন বিজেপির ডাঃ জয়ন্ত রায়। বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রীর নজরে আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে রেলের পক্ষ থেকে ঠাকুরনগরে সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর আগে রেল মন্ত্রক থেকে এনওসি চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। অজানা কারণে জেলাশাসক তথা রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না বলে জানান সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    এনওসির দাবিতে বিজেপি বিধায়কের বিক্ষোভ অবস্থান

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। তিনি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে আমরা একাধিকবার দেখা করেছি। রেলের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও তিনি এনওসি কেন দিচ্ছেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। কেননা এখানকার সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সব বিজেপির। সেই রাগেই তৃণমূল উড়ালপুল তৈরি করতে দিতে চাইছে না। এবার এনওসি আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, এখানে রেল উড়ালপুলের দরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরাও এনজেপিতে রেল আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক এনওসি দিচ্ছেন না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share