Blog

  • Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলার হাইভোল্টের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভা ভোটে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে শাসক দল চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শাসকদলের দুর্নীতি এবং লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ইস্যু নিয়ে বিধানসভা থেকে আরম্ভ করে রাজ্যের বিভিন্ন জনসভাতে সরব হতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবার অমিত শাহের জনসভায়, আগামী লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন।

    বিধানসভায় সাসপেন্ড শুভেন্দু, বিরোধী দলনেতার পাশে অমিত শাহ

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদি আপনি শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছেন কিন্তু বাংলার জনগণের আওয়াজকে আটকাতে পারবেন না।’’ শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করেছেন  যে তৃণমূলের লোকজনেরাই তাঁকে জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে এই সাসপেন্ড।

    ভাঙা গলাতেই তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    বিজেপির এই হাইভোল্টেজ জনসভাকে সফল করতে গত কয়েক দিনে রাজ্য চষে বেরিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ ও স্লোগান দিতে দিতে তাঁর গলাও ভেঙে গিয়েছে। এদিন সেই ভাঙা গলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত কর্মীদের স্লোগানও দিতে বলেন শুভেন্দু। সভার অনুমতি প্রথমে দেয়নি পুলিশ। এরপর গেরুয়া শিবিরকে যেতে হয় উচ্চ আদালতে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে শুভেন্দুর ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘২ বার হাইকোর্টে যেতে হয়েছে। তারপর এখানে সভা হয়েছে। বিজেপ পরিবর্তন আনবে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে হবে যেতে হবে যেতে হবে।’’ শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, ‘‘বাংলা থেকে চোরের রানিকে উৎখাত করবেন অমিত শাহ। পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপরও লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ (CAA) আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।” বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ভরা সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এত অনুপ্রবেশ কোনও রাজ্যে হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন।” এর পরেই শাহ বলেন, “আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।”  

    সিএএ-র পথে অন্তরায় তৃণমূল!

    রাজ্যে সিএএ চালুর পথে যে তৃণমূল সরকারই অন্তরায়, এদিন তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আগাগোড়া নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড দিচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “দেশে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে (Amit Shah)।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় সিএএ। সিএএ-তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা সেইসব দেশের ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

    এদিনের সভায় শাহ বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও বিজেপি এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে। আদালত রায় না দিলে সরকার এটা কার্যকর করতে পারে (Amit Shah) না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের পর কেক কাটল এনডিআরএফ, কী উদযাপন হল?

    Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের পর কেক কাটল এনডিআরএফ, কী উদযাপন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের কাছে গতকাল পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উত্তরাখণ্ডের (Uttarkashi Tunnel Collapse) সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে মঙ্গলবার রাতে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। টানেল থেকে উদ্ধারের পর সব শ্রমিককে চিনিয়ালিসাউর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রাখা হয়েছিল। যেখানে সব শ্রমিকদের ডাক্তারি পরীক্ষা চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের নজরে থাকার পর তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন।  ১৭ দিনের কঠোর পরিশ্রমের পরে সমস্ত কর্মীকে টানেল থেকে বাইরে বের করে আনতে পেরে খুশি এনডিআরএফ সহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। ওই উদ্ধারকারী দলের এক সদস্যের গতকাল জন্মদিন ছিল। শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে কেক কেটে সহকর্মীর জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিলেন তাঁরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল।

    আবেগাপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী

    গত ১২ নভেম্বর দিওয়ালির রাতে টানেলের একটি অংশ ধসে ৪১জন শ্রমিক টানেলের ভিতরেই আটকা পড়েছিলেন। এর পরে এনডিআরএফ সহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দল তাদের বাঁচাতে কোনরকম চেষ্টা বাকি রাখেনি। এই কয়েকদিন ধরেই উদ্ধারকারী কর্মীদের সঙ্গে লাগাতার কথাবার্তা চালিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এমনকি তাঁবু গেড়ে তিনি সেখানেই ছিলেন। ৭ মিটার টানেল খোঁড়ার কাজ সম্পূর্ণ হতেই প্রার্থনা করতে থাকেন তিনি। টানেলের ভিতর থেকে শ্রমিকদের বাইরে আনা হলে খুশিতে ভাসেন সকলে। 

    অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই টানেলের বাইরে বেরোন শ্রমিকরা। তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। অস্থায়ী হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয় তাঁদের। বুধবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুকে চাপিয়ে শ্রমিকদের হৃষীকেশ এমসে ভর্তি করানো হয়। দ্রুত যাতে ৪১ জনের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলার মঞ্চ (BJP Dharmatala Rally) থেকেই একই সুরে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন ও ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত জনস্রোতের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে।’’

    দুর্নীতি ইস্যুতে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ

    এদিন মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, “২ কোটি ৩০ লাখ ভোট বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি দ্বিতীয়বার বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। আমি বলছি, দিদি কান খুলে শুনে নিন শুভেন্দুকে আপনি বিধানসভার বাইরে বের করতে পারেন। কিন্তু, বাংলার জনতাকে চুপ করাতে পারবেন না। বাংলার মানুষ বলছে, দিদি আপনার সময় এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। (BJP Dharmatala Rally)”  দুর্নীতি ইস্যুতে এদিন মমতা প্রশাসনকে খোলা চ্যালেঞ্জ করেন শাহ (Amit Shah)। বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। সাহস থাকে তো জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। যাতে ভাইপোর নাম না আসে সেইজন্য রোজ দুর্গা নাম জপছেন দিদি। যে বাংলা সাহিত্য-বিজ্ঞান-কলা-স্বাধীনতা আন্দোলনে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত সেই বাংলাকে আজ সবথেকে পিছনে আনার কাজ দিদি করেছেন। দিদিকে বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছেন।’’

    ভোট-হিংসা নিয়ে হুঁশিয়ারি

    ভোট-হিংসায় (BJP Dharmatala Rally) রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন, সেই বিষয়টিও উঠে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী হিংসা গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বাংলায় সবথেকে বেশি হয়। অনুপ্রবেশকারীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার আটকাতে পারে না। এখন ওদের প্রকাশেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ২১২ জন বিজেপির কর্মীকে খুন করা হয়েছে। দিদিকে বলে যাচ্ছি, আমরা বিজেপি। আমাদের কাছে কর্মীরা ভাইয়ের মতো। গোটা বিজেপির প্রতিটি কর্মী এর বদলা নিতে প্রস্তুত রয়েছেন। ’’

    ২৪-এ প্রত্যাবর্তন ও ২৬-এ পালাবদল

    রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল এবং একইসঙ্গে কেন্দ্রে মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তনের ডাক দিয়ে গেলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বলেছেন, “২৬ সালে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে চব্বিশ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীকে জেতাতে হবে। দেখুন গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন। গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওনাদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনাকে গোটা দেশে টিকা লাগানোর কাজও মোদিজি করেছেন। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদকে দমন করেছেন মোদিজি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার উন্নয়ন করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই বলছি, বাংলায় বিজেপির সরকার তৈরির সুযোগ করে দিন। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলায় এমন ভাবে জেতান যাতে শপথ নেওয়ার সময়ে মোদিজি বলেন, আমি তো শুধু বাংলার জন্যই জিতেছি।’’ 

    অনুপ্রবেশ নিয়ে এদিন সরব হন শাহ। বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় ভোটার কার্ড দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণে মমতা দিদি নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন হল দেশের আইন। তা বাস্তবায়িত হবেই। ছাব্বিশে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে চব্বিশ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে হবে।’’ একইসঙ্গে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘‘গত ভোটে রিগিং করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি। তার পরেও ৭৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি। আমি দেখতে পাচ্ছি, ২০২৬ সালে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গড়বে (BJP Dharmatala Rally)।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারত যে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, বিশ্বমঞ্চে ফের একবার তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রুচিরা। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ সলিডারিটি উইথ প্যালেস্তাইন পিপল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    ‘তামাম বিশ্বে মানবতার সঙ্কট’

    তিনি বলেন, “প্যালেস্তাইনে নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সম্পর্ক রয়েছে। প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা যাতে রাষ্ট্র ও শান্তি-সমৃদ্ধি পান, সেজন্য তাঁদের পাশে রয়েছে ভারত।” এর পরেই রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন সকলেরই মেনে চলা উচিত।” বর্তমান বিশ্বে যে মানবতার সঙ্কট চলছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রুচিরা। তিনি বলেন, “মানবতার এই সঙ্কটের দিনে মানবতা রক্ষায় চূড়ান্ত দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন বিশ্বের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই।”

    গাজার অসহায়দের পাশে ভারত

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে বিপর্যস্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা। এই গাজা স্ট্রিপেই ঘাঁটি গেড়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনই প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েলে। প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। এই যুদ্ধের জেরেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা স্ট্রিপ। গাজার অসহায় নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ত্রাণ পাঠায় ভারত। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে রুচিরা বলেন, “গাজা স্ট্রিপে ৭০ টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ১৬.৫ টন ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “৭ অক্টোবর, প্রথম যেদিন ইজরায়েলের ওপর হামলা হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমরা জানি। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কোনও যুক্তিই খাড়া করা যায় না। আবার গাজায় যেসব নিরীহ মানুষ যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন।” রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত বরাবরই আলোচনার পক্ষে। প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক, ভারত তা চায়। দুই দেশের সীমান্তেই বজায় থাকুক কাঙ্খিত শান্তি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’ বছর পর কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগে শাহ যখন এখানে সভা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। আর আজ, বুধবার যখন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁর পরিচয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দীর্ঘ এই ন’ বছরের ব্যবধানে গঙ্গা দিয়েছে গড়িয়েছে কিউসেক কিউসেক জল।

    শাহি-বার্তা

    তবে ন’ বছর আগের মতোই এবারও শাহের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। কলকাতার এই সভায় যোগ দিতে তিনি যে মুখিয়ে রয়েছেন, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তা জানিয়েছেন শাহ স্বয়ং। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি এখন বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছি।”

    শাহের তুণীরে কোন শর? 

    জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ২টো নাগাদ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর এই সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে রাজ্য বিজেপিকে। ন’ বছর আগে যখন এই ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ হয়েছিল, তখন এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি তেমন শক্ত ছিল না। আর আজ, ন’ বছর পরে এ রাজ্যে বিজেপির বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত। কেলেঙ্কারির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। এহেন আবহে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাই তাঁর তুণীরে কোন শর রাখা আছে, তা জানতে মুখিয়ে বঙ্গ বিজেপিও।

    এদিকে, বেলা ১২টা বাজতেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই সভায় হাজির হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকেও সভাস্থলের দিকে আসছে ‘বঞ্চিত’ জনতার মিছিল। অন্যান্যবার বিজেপির সমাবেশে আসার পথে কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে কলকাতায় আসছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে আমাদের কর্মীরাও উচিত শিক্ষা দেবে। আজ এই কলকাতা থেকে ট্রেলার শুরু। তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)।”

    সবে ট্রেলর! পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়?

    আরও পড়ুুন: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ১৭ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক, কেমন ছিল সেই লড়াই

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ১৭ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক, কেমন ছিল সেই লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তির আলো দেখলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন পর, নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে, সুড়ঙ্গ থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪১ জনকে। ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে ওই অন্ধকার কূপে তাঁরা কী করেছেন, কেমন ছিলেন। বেরিয়ে এসে সেই কথা জানালেন তাঁরা। তাঁদের বিপদের দিনের কথা শোনালেন চিকিৎসকরাও। উৎকণ্ঠা আর আতঙ্ক ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় আবশ্যিক জিনিস কোনওভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছনো গিয়েছিল। শ্রমিকদের উদ্ধারে সবরকম প্রয়াস করেছে সরকারও। তাই সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন শ্রমিকরা।

    জিওটেক্সটাইল শিটের বান্ডিল বিছানা

    সুড়ঙ্গের বাইরে এসে শ্রমিকরা জানান, “যখন ধস নামল, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম আমরা আটকে গিয়েছি। প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টা আমাদের পরিস্থিতি কঠিন ছিল। কিন্তু পরে একটা পাইপের মাধ্যমে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো ফল পাঠানো হয়। একটা মাইকও লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতাম।” তাঁরা জানান, যেখানে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন, সেখানে জিওটেক্সটাইল শিটের বান্ডিল পড়েছিল। শ্রমিকরা সেটাকেই বিছানার মতো করে বানিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। টানেলের ভিতরে কর্মীদের খুব একটা ঠান্ডা লাগেনি। সেখানে তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আটকে পড়া শ্রমিকরা সুড়ঙ্গেই যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করছিলেন। সকাল-সন্ধ্যা টানেলের ভেতরে হেঁটছেন। যে অংশে শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন, তার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২ কিলোমিটারের মতো। ফলে, হাঁটাচলায় অসুবিধে হয়নি।

    টানেলে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল

    শ্রমিকদের উদ্ধাকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক আধিকারিক জানান, তিনি বলেন, ওঁরা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছেন। ধ্বংসাবশেষের কারণে বিদ্যুতের সরবরাহের কোনও ক্ষতি হয়নি। নির্মাণের সময়, সুড়ঙ্গের দেওয়াল বরাবর বৈদ্যুতিক তারগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেগুলি ভাল অবস্থাতেই ছিল। ফলে অন্তত একটু আলোর ব্যবস্থা ছিল অন্ধকার সুড়ঙ্গে। সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, তোয়ালে, জামাকাপড়, অন্তর্বাস ইত্যাদি শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মোবাইল ফোনও দেওয়া হয়েছিল। তাতে সিনেমা এবং ভিডিও গেমও ছিল।

    পাঠানো হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার

    সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের প্রথমে তরল খাবার দেওয়া হলেও কয়েকদিন পর থেকে সলিড খাবার দেওয়া শুরু হয়। শ্রমিকদের দেখার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানান, “আমরা সকালে তাদের কাছে ডিম, চা এবং পোরিজ(ওটস, সুজি জাতীয়) পাঠাচ্ছিলাম। দুপুর ও রাতের খাবারে ডাল, ভাত, রুটি এবং সবজি খাচ্ছিলেন। তাঁদের খাওয়ার জন্য ডিসপোজেবল প্লেটও পাঠানো হচ্ছিল।” চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রমিকরা যাতে পর্যাপ্ত জল খান, তা নিশ্চিত করতে বোতলের মধ্যে ভরে পাইপের মাধ্যমে ওআরএস পাউডার পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া চোখের ড্রপ, ভিটামিন পিল এবং অন্যান্য এনার্জি ড্রিংকও পাঠানো হয়েছে। শুকনো ফল ও বিস্কুটও শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়।

    আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    সুড়ঙ্গ থেকে বেরনোর পর রাতেই শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টানেলের মুখের সামনে তৈরি মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। আপাতত চিনিয়ালিসৌরের হাসপাতালে রয়েছেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁদের কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হয়নি। সকালে তাঁদের হালকা খাবার দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখবে কলকাতা। মঙ্গলবার কথাগুলি বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। বুধবার আক্ষরিক অর্থেই গেরুয়া সুনামি (BJP Rally) দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী। বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে আদালতের নির্দেশে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে হচ্ছে বিজেপির সভা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ‘কলকাতা চলো’

    ইতিমধ্যেই সভাস্থলের দিকে আসতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদা স্টেশনে ঠায় বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। হাওড়া ও শিয়ালদা দুই এলাকাতেই সভায় আগত লোকজনের জন্য ব্যবস্থা হয়েছে খাওয়া-দাওয়ার। বিজেপি কর্মীদের দুপুরের মেনুতে থাকছে, ভাত , সবজি দিয়ে ডাল এবং চাটনি। খাওয়া-দাওয়া সেরেই কর্মী-সমর্থকরা রওনা দেবেন ধর্মতলার দিকে। যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে সভাস্থলের দিকে আসবেন, তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করবেন হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম সংলগ্ন মাঠে। সেখানেই পাতা হয়েছে চেয়ার-টেবিল। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে শিয়ালদা স্টেশনেও। অন্যদিকে, হাইকোর্ট থেকে সভাস্থলের দিকে রওনা দেবেন বিজেপি লিগ্যাল সেলের সদস্যরা।

    ধর্মতলামুখী ‘বঞ্চিত’ জনতা

    বিজেপি (BJP Rally) নেতাদের দাবি, যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে শাসক দলের, তাই সভাস্থলের দিকে আসা লোকজনকে বাধা দেবে না তৃণমূল। দলের বিধায়ক শঙ্কর বলেন, “আদালতে থাপ্পড় খেয়েছে সরকার। তাই বিজেপি কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দিতে গেলে অন্তত দু’বার ভাববে তৃণমূল কংগ্রেস।” ধর্মতলার এই ‘শাহি’ সমাবেশে বঞ্চিতদের হাজির করতে চেষ্টার কসুর করেননি বিজেপি নেতারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন সভা করেছেন দক্ষিণবঙ্গে, তেমনি কলকাতায় কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার ফলও মিলতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুুন: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    কোন পথে আসছে মিছিল?

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই অনেকে চলে এসেছেন সভাস্থলে। বিজেপি সূত্রে খবর, যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে যাবেন, তাঁরা হাওড়া ব্রিজ ধরে পোদ্দার কোর্টের পাশ দিয়ে টি বোর্ড, বেঙ্কিক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে পৌঁছবেন সভাস্থলে। আর যাঁরা শিয়ালদহ স্টেশনে নামবেন, তাঁরা মৌলালি, হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে ধরবেন এসএন ব্যানার্জি রোড। সেখান থেকে পৌঁছবেন সভাস্থলে।

    শাহি-মঞ্চের পাশে রাখা ‘ড্রপবক্স’

    এদিকে, শাহি সমাবেশে অমিত শাহের মঞ্চের পাশে রাখা হয়েছে ‘ড্রপবক্স’। কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা তাঁদের অভিযোগপত্র জমা দেবেন এই অভিযোগ বাক্সে। প্রসঙ্গত, সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষের জন্য নানাবিধ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। অভিযোগ, সেই সব প্রকল্পের কণামাত্র সুবিধাও পাননি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাও যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান, তাই বঞ্চিতদের নিয়ে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। যে সভার মধ্যমণি খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (BJP Rally)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • India Vs Australia: ফের ম্যাক্স-ম্যাজিক! বড় স্কোর করেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ভারতের

    India Vs Australia: ফের ম্যাক্স-ম্যাজিক! বড় স্কোর করেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরে এল ওয়াংখেড়ের স্মৃতি। ফের ম্যাক্স -ম্যাজিক দেখলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার (India Vs Australia) দরকার ছিল ৫০ বলে ১৪০ রান। সেখান থেকেই ৪৮ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করে ভারতের জয়ের গ্রাস কেড়ে নিয়ে গেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। জলে গেল ঋতুরাজের অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস। অধরা রইল দু-ম্যাচ বাকি থাকতেই ভারতের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।  অজিদের জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ভারত এগিয়ে ২-১। 

    দুরন্ত শতরান ঋতুরাজের

    এদিন, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। ম্যাচের শুরুতেই ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল ও ঈশান কিষাণ। এরপর দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক সূর্য ও ঋতুরাজ। দুর্দান্ত খেলে দলের স্কোরকার্ড দ্রুত পরিবর্তন করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তবে সেটি বেশিদূর এগোয়নি। দলীয় ৮১ রানের মাথায় ২৯ বলে ৩৯ করা সূর্যকে ফেরান অ্যারন হার্ডি। সূর্য ফিরলেও দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান ঋতুরাজ। শেষ পর্যন্ত ১৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১২৩ রানের দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি পেলেন ঋতু।

    ম্যাক্স-ম্যানিয়া

    ঋতুরাজ দুরন্ত শতরান করলেও চাপের মুখে ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসের কাছে কিছুই না। ভারতের দেওয়া ২২৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাক্সওয়েল অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন। শেষ তিন ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। শেষ তিন ওভারে একাধিক ভুলের খেসারত দিল ভারত। শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে  ৪৮ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাক্সি। ২০ ওভারে ২২৫/৫ করে ম্যাচ জিতে যায় ব্যাগি গ্রিনরা। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। পঞ্চম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সি। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল। বাউন্ডারিতে ম্যাচ ফিনিশ করেন ম্যাক্সি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    Uttarkashi Tunnel Collapse: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাওয়া-খাওয়া ভুলে পাথর কেটেছেন। প্রতি মুহূর্তে ছিল ঝলসে যাওয়ার ভয়। তবু পাথর কেটে চলেছেন ১২ জন র‍্যাট হোল মাইনার্স। বিদেশি যন্ত্র যেখানে হার মেনে গিয়েছিল, সেখানে এই ১২ জনের মনের জোরেই উদ্ধার করে আনা গেল উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Collapse) সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে। উদ্ধারকাজ সফল হওয়ার পরে ওই ১২জন শ্রমিকের মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। এদিন তাঁরা রিয়েল-হিরো। 

    কী এই র‍্যাট হোল মাইনিং

    র‍্যাট হোল মাইনিং বা ইঁদুরের গর্ত খনন একটি বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। খুব ছোট গর্ত (৪ ফুটের বেশি চওড়া নয়) খনন করে কয়লা তোলার একটি অভিনব পদ্ধতি। খনি শ্রমিকরা কয়লা সীমায় পৌঁছে গেলে, কয়লা উত্তোলনের জন্য পাশে টানেল তৈরি করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কাছাকাছি ডাম্প করা হয় এবং পরে উত্থিত করা হয়। এই পদ্ধতিকেই বলে র‍্যাট হোল মাইনিং। এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব সরু গর্ত করে নীচের দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় গর্ত এতটাই সরু হয় যে একজন মাত্র সেই গর্তে নামতে পারেন। 

    নিষিদ্ধ পদ্ধতিতেই সাফল্য

    মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে পড়ার পর উত্তরকাশীর টানেলে আটক ৪১ শ্রমিকদের উদ্ধারে র‍্যাট হোল মাইনার্সদের উপরেই ভরসা করতে হয়। দিল্লি ও ঝাঁসি থেকে উড়িয়ে আনা হয় র‌্যাট হোল মাইনার-দের। তারাই কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সরু পাইপের মধ্যে বসে সরিয়ে ফেলেন ১৫ মিটার ধস। প্রায় ৪০০ ঘণ্টার পর এক ঝটকায় টানেলে আটক শ্রমিকদের সামনে খুলে যায় সব বাধা। মোট ১২ জন বিশেষজ্ঞ র‍্যাট হোল মাইনার দলে দলে ভাগ হয়ে এই কাজ শুরু করেন৷ উদ্ধার অভিযান শেষে সেই র‍্যাট হোল মাইনার্স নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের উদ্ধার করার অদম্য জেদই তাঁদের শক্তি জুগিয়েছে৷ সেই কারণে গতকাল তিনটে থেকে পাথর ভাঙার কাজ শুরু করে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন৷  

    আরও পড়ুন: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই

    র‍্যাট হোল মাইনার্স-দের প্রশংসা

    ১২ জনের র‌্যাট হোল মাইনার টিমের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াকিল হাসান। তাঁর কথায়, ” মনে হল দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম। খুব কঠিন কাজ। সরু জায়গায় কাজ করতে হয়েছিল। ৪১ জনের প্রাণ বাঁচাব ভেবেই মনে জেদ চেপে গিয়েছিল। আমার সঙ্গীরা খুব পরিশ্রম করেছে। জীবনে এমন চ্যালেঞ্জিং কাজ আগে কখনও করিনি। টিমের কর্মীরা টানা ২৪ ঘণ্টা বিরামহীন কাজ করেছে।”

    অপর এক র‌্যাট হোল মাইনার-এর কথায়, “আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করতেই হবে৷ তাই তো না খেয়েই আজ সকাল থেকে পাথর ভেঙে গিয়েছি৷ পাথর কাটতে কাটতে কখনও কখনও সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে স্টিলের টুকরোও চলে এসেছে৷ আমরা সেসবও কেটে ফেলেছি৷ এখন এত আনন্দ হচ্ছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না৷” উদ্ধার অভিযান শেষে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে এই র‍্যাট হোল মাইনার্স-দের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি৷ ১২ জন উদ্ধারকারীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share