Blog

  • Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি আদানিদের। আদানি-হিন্ডেনবার্গ (Adani-Hindenburg Case) মামলার রায় আপতত সংরক্ষিত রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মতো একটি বাজার সমীক্ষা সংস্থায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আদানিদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করবে এমনটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। 

    কী বলছে শীর্ষ আদালত

    আদানি গোষ্ঠীর (Adani-Hindenburg Case) বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি অভিযোগে তদন্ত করছে সেবি। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলোর উপর আস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রকের ‘দুর্নাম’ করার কারণ নেই। আগামী দিনে বাজারে অস্থিরতার কারণে লগ্নিকারীদের যাতে সম্পদ খোয়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সেবি কী করার কথা ভাবছে তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়তে বলা ঠিক হবে না। কারণ সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনও তথ্য আদালতের কাছে নেই। রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই মত কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আদানি গোষ্ঠীকে।

    কোন মামলার শুনানি

    এই বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেবির বিধিকে ফাঁকি দিতে ভুঁইফোঁড় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কিনিয়েছে তারা। যার ভিত্তিতে দুটি মামলা গৃহিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গত মার্চে একটি কমিটি গঠন করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, শেয়ার বাজারে ‘অনিয়মের’ অভিযোগটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় সেবিকে। তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।

    আরও পড়ুন: ১৯৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী! শুরু রাজস্থানে ভোটগ্রহণ

    সেবিকে ছাড় 

    শুনানি চলাকালীন এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেছিলেন, আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির দুই সদস্যের ‘স্বার্থের সংঘাত’ রয়েছে। এই আবহে আদালত বলে, ‘আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। অভিযোগ করা খুবই সহজ। আমরা এখানে চরিত্রের সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। কিন্তু সমানভাবে আমাদের ন্যায়ের মৌলিক নীতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’ এদিকে সেবি কমিটিতে থাকা আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেসন আদানির আইনজীবী বলে অভিযোগ করেছিলেন আবেদনকারীরা। সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ২০০৬ সালে একটি মামলায় সোমশেখর আদানির হয়ে সওয়াল করেছিলেন। তিনি আদানির ইন-হাউজ আইনজীবী নন। এই আবহে সোমশেখর নিয়ে ওঠা আপত্তি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত (Supreme Court)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠিত অপরাধী, বন্দুকবাজ, সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বিষয়ে ভারতকে তথ্য দিল আমেরিকা। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ভারত ও আমেরিকা। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকেই ভারতের হাতে নানা তথ্য তুলে দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেশের প্রতিনিধি। এই বৈঠকে দুই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও হয়েছে আলোচনা।

    কী বললেন অরিন্দম বাগচি?

    ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমেরিকার দেওয়া এই তথ্যগুলিকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যেহেতু এর সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়গুলি যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তথ্যগুলি দুই দেশের পক্ষেই উদ্বেগের কারণ। এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলিকে ভারত সিরিয়াসলি নিচ্ছে। যেহেতু এগুলি ভারতের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলি সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাচাই করেও দেখেছে।”

    ২+২ বৈঠক

    নভেম্বরের ১০ তারিখে ২+২ বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও সে দেশের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক (MEA) বাণিজ্য, নিরাপত্তা, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ সহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। কানাডায় বৃদ্ধি পাওয়া সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত হিন্দু কংগ্রেসে

    গত জুন মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। সেই সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসন সাফ জানিয়েছিল, কানাডার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। আমেরিকার এমন অবস্থান ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার বুকে দাঁড়িয়েই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কানাডা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের উচিত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ভারত সব সময় এর বিরোধিতা করবে। আমেরিকা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলে তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গী অন্যরকম থাকে। আমরা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলি, তখন আমরা অনেক কিছু খুঁজে পাই। এনিয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক (MEA) দৃঢ়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • World Hindu Congress: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে

    World Hindu Congress: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে বোঝাতে এবার থেকে ‘হিন্দুইজম’ নয়, ‘হিন্দুত্ব’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হবে। দু’দিনের বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে যোগ দিতে তাইল্যান্ড গিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, “হিন্দুইজম এই শব্দবন্ধটি পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ এই শব্দবন্ধটি অত্যাচার ও বৈষম্যকে প্রতিফলিত করে।”

    তৃতীয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন

    ব্যাংককে শুক্রবারই শুরু হয়েছে তৃতীয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন। এদিনই গৃহীত হয় ব্যাংকক ঘোষণাপত্র। তাতে বলা হয়েছে, ‘হিন্দুইজম’-এর প্রথম শব্দটি ‘হিন্দু’। এটি সীমাহীন একটি শব্দ। যা কিছু সনাতন, এটি তাকে প্রতীকায়িত করে। তার পরে আসে ধর্ম। যার অর্থ হল যা কিছু ধরে রাখে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘হিন্দু’ আর ‘হিন্দুইজম’ সম্পূর্ণ আলাদা। সেই কারণে আমাদের অনেক প্রবীণই ‘হিন্দুইজমে’র বদলে ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটিকে বেশি পছন্দ করেন। কারণ ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি অনেক বেশি যথাযথ। এর মধ্যে ‘হিন্দু’ শব্দের যাবতীয় অর্থ নিহিত। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহমত। আমাদেরও তাই করা উচিত।

    ‘হিন্দুত্ব’ কোনও জটিল শব্দ নয়

    ঘোষণাপত্রে (World Hindu Congress) আরও বলা হয়েছে, ‘হিন্দুত্ব’ কোনও জটিল শব্দ নয়। এর সরলার্থ ‘হিন্দু’ শব্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্যরা এর পরিবর্তে ‘সনাতন ধর্ম’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে। সংক্ষেপে একে ‘সনাতন’ বলা হয়। এখানে ‘সনাতন’ শব্দটি অ্যাডজেকটিভ, এটি ‘হিন্দুইজমে’র শাশ্বত চরিত্রকে নির্দেশ করে। রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা ও ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্বের জন্য অনেক রাজনৈতিক নেতা সনতন ধর্মের সমালোচনা করে চলেছে। বিশ্বহিন্দু সম্মলেনে এরকম সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের। তামাম বিশ্বের হিন্দুদের একজোটও হতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে। এর প্রতিটিই হল ধর্মের উদাহরণ।” তিনি বলেছিলেন, “সমগ্র বিশ্ব হল একটি পরিবার। প্রত্যেককে আর্য তৈরি করতে হবে আমাদের। আমরা সর্বত্র যাব, আমরা প্রত্যেকের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহমত হতেও পারেন, নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ রাখব (World Hindu Congress)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারত হেরে গেলে বাংলাদেশের একাংশ মানুষকে ব্যাপক নিম্নরুচির উল্লাস বিনিময় করে সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমের একাধিক হোটেলে বাংলাদেশিদের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের একাধিক হোটেলে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও হোটেল মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে। একই রকম ভাবে রায়গঞ্জের হোটেলেও প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন বন্ধ হোটেল (Darjeeling)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯ নভেম্বর। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। টসে অস্ট্রেলিয়া জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভারতকে ব্যাট করতে হয়। পরে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারিয়ে দেয়। আর এরপর থেকেই ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক উল্লাসের চিত্র সামজিক মাধ্যমে দেখা যায়। ভারতের ক্রিকেটকে অপমানের পাশাপাশি ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে নিয়ে নিম্নরুচির মিম বানানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতেও ক্ষোভের চিত্র দেখা যায়। প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling), সিকিমের বেশ কিছু হোটেলে বাংলাদেশের পর্যটকদের বুকিং বন্ধ করে হোটেল মালিকেরা।

    হোটলে মালিকদের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ টি হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। হোটেল চেনের মালিক বর্ধমানের এক বাসিন্দা রাম সরকার বলেন, “এটা কোনও সংগঠিত সিদ্ধান্ত নয়, ব্যক্তিগত ভাবে আমার সিদ্ধান্ত। আমরা ৪ টি হোটেল বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বুকিং বাতিল ঘোষণা করেছি। যে ভাবে ভারতকে বাংলাদেশিরা অপমান করছেন, তাতে আমরা খুব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তাছাড়া বাংলাদেশিরা ভিসার ছবি পাঠিয়ে বুকিং করলেও অনেক সময় আসেন না। তাই প্রবেশ নিষিদ্ধ করছি।”

    উল্লেখ্য হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও তেমন নিষিদ্ধের কথা ঘোষণা করা হয়নি। ব্যক্তিগত হোটেল মালিকের সিদ্ধান্ত।”

    রায়গঞ্জে বন্ধ হল হোটেল

    দার্জিলিং-এর পর এবারে রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ শহরের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী অরিন্দম সিংহ রায় বলেন, “সবার আগে দেশ। তাই বাংলাদেশি সমর্থকদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমার দুটো হোটেলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কোনও বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেবো না। তাতে ব্যবসায় ক্ষতি হয় হোক।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার হওয়া শাহরুল জানিয়েছিল সে গুলি করেনি। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে নতুন মোড় নিচ্ছে হত্যাকাণ্ডে। পুলিশের দাবি, গুলি শাহরুল করেছে। গত ১৩ নভেম্বর সকালে তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিনের হত্যার পর একবারও খুনে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে ফোন করেনি শাহারুল। পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গুলি করেছিল শাহরুল (Joynagar Murder)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা খুনের (Joynagar Murder) ঘটনায় বাইকে করে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। এদের মধ্যে শাহরুল গুলি করেছিল। খুনের পরে শাহরুল ধরা পড়ে যায়।। ঘটনায় অভিযুক্তের মধ্যে আরও তিনজন এখনও পালাতক। অপর দিকে আনিসুরকে হরিণঘাটা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার শাহরুলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের পর, পুলিশ শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের বক্তব্য, “শাহরুলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে খুনের ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটা মানিব্যাগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে বন্দুকে ব্যবহার করা কার্তুজ এবং মৃত তৃণমূল নেতার ছবি। সঙ্গে ছিল আধার এবং প্যান কার্ড।” পুলিশের আরও অনুমান, “টার্গেট যাতে মিস না হয় তাই তাঁকে ছবি দেওয়া হয়েছিল। গুলি শাহরুল করেছে।”

    পরিকল্পনা করে খুন করা হয়

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় কেউ কেউ আর্থিক মদত করেছে। সইফুদ্দিনকে হত্যা (Joynagar Murder) করার জন্য শাহরুল রীতিমতো নজরদারি করেছিল। শাহরুলকে খুনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল আনিসুর এবং কামরুল। এই ঘটনায় আরও দুই থেকে তিনজন আর্থিক সহায়তা করেছিল বলে পুলিশের অনুমান। বারুইপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে আরও ১১ জন পুলিশ রয়েছেন। খুনের জন্য মোট ৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের চারজনকে জেলে ঢোকালে, বিজেপির আটজনকে জেলে ঢোকানার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন হুঁশিয়ারির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তার আগে তিনি ই-মেইল করলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

    কী লিখেছেন শুভেন্দু? 

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছি। বিজেপির আটজনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দলের হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার মধ্যে পড়ে, সেখানেই ই-মেইলে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হুমকি নিয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। পুলিশ যদি এফআইআর না করে, এসিজেএমের দ্বারস্থ হব।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “দম থাকলে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে শুরু করুন। সুকান্ত মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, আমার বাবা-মা, স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব নিন। আপনার পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও বের করুন।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দেন, কার বিরুদ্ধে, আদালত-আইনের বিরুদ্ধে…কে গ্রেফতার হয়েছে, কেন গ্রেফতার হয়েছে, তাতে বিজেপির কী হাত রয়েছে প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। বাড়িতে হানা দিলেই সম্পত্তি, টাকা-পয়সা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরেও উনি প্রতিহিংসার কথা বলছেন! আর কত নীচে নামবেন উনি। একজন শাসকের এমন (Suvendu Adhikari) আচরণ শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hindu Nation: ‘হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা ফেরাও’, দাবিতে উদ্বেল নেপালি জনতা

    Hindu Nation: ‘হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা ফেরাও’, দাবিতে উদ্বেল নেপালি জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা (Hindu Nation) ফেরাও। ফেরাও রাজতন্ত্রও। এই দুই দাবিতে শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে মিছিল করলেন কয়েক লাখ মানুষ। জাতীয় ঐক্য ও দেশের মানুষের ভালর জন্যই যে হিন্দুরাষ্ট্র ও রাজতন্ত্রের প্রয়োজন, তা জানিয়েছে পথে নামা জনতা।

    ওলির শাসন

    তামাম বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল নেপাল। ২৪০ বছর ধরে ছিল রাজতন্ত্রও। অবসান ঘটে ২০০৮ সালে। এর পরেই বুদ্ধের দেশ পরিণত হয় প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে। ২০১৫ সালে গৃহীত হয় নয়া সংবিধান। প্রথম সাধারণ নির্বাচন হয় এর ঠিক দু বছর পর। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে সিপিএম-ইউএনএল ও সিপিএন (মাওবাদী) জোট। বর্তমানে নেপালের ক্ষমতায় রয়েছে এই জোটই। প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। সংবিধান প্রণয়ন, সুশাসন ও গণতন্ত্র মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ওলি। যদিও (Hindu Nation) কোনও প্রতিশ্রুতিই তিনি পূরণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ। ওলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অবনতি ঘটে ভারত-নেপাল সম্পর্কে। তাঁর আমলেই নেপালের ভূখণ্ডে থাবা বসিয়েছে চিন। এই সব কারণেই ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে নেপালের ওলি সরকারের বিরুদ্ধে।

    হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি

    দেশের পরিস্থিতি যখন এরকম, সেই সময়ই উঠল নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি। নেপালের বাসিন্দারা সোচ্চার হলেন রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে। শুক্রবারের মিছিলে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি আধুনিক নেপালের জনক হিসেবে পরিচিত পৃথ্বী নারায়ণ শাহের ছবিও দেখা গিয়েছে। মিছিলের আয়োজন করেছিল রাষ্ট্রীয় নাগরিক আন্দোলন সমিতি ২০৭৭। এই প্রথম নয়, ১০ নভেম্বরও সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও নেপালকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে হয়েছে মিছিল। সেদিন মিছিল হয়েছিল জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের ব্যানারে। ১২ নভেম্বর বিরাট মিছিল হয় বিরাটনগরে। ওলির শহর ঝাপায়ও হয়েছে মিছিল। সেদিনও মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    নেপাল যখন হিন্দুরাষ্ট্র ছিল, সেই সময় সে দেশে নিষিদ্ধ ছিল গোহত্যা। দেশবাসীর মাত্র ১০ শতাংশ ছিলেন মুসলমান। হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ঘুঁচে যেতেই বাড়তে থাকে মুসলমান অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা। চলছে গোহত্যা। এসবেরই বিরুদ্ধে ক্রমেই সোচ্চার হচ্ছেন নেপালিরা। তাঁরা চাইছেন, দেশ (Hindu Nation) ফিরে যাক হিন্দুরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়। ফিরুক রাজতন্ত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
          

            

  • Narendra Modi: পাইলটের জাম্পস্যুট পরে দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমানে চেপে আকাশে উড়লেন মোদি

    Narendra Modi: পাইলটের জাম্পস্যুট পরে দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমানে চেপে আকাশে উড়লেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর কথা এর আগে তাঁর মুখ দিয়ে বহুবার শুনেছে দেশবাসী। তিনি যা বলেন, তাতে যে বিশ্বাসও করেন, তা করে দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভারতে তৈরি প্রথম দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস-এ চেপে একেবারে পাড়ি দিলেন আকাশে (PM Modi Flies In Tejas)। ফিরে এসে বললেন, ‘‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। আমার আত্মবিশ্বাস আরও মজবুত হলো।’’

    হ্যালের দফতরে প্রধানমন্ত্রী

    শনিবার, বেঙ্গালুরুতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi)। তেজসের উৎপাদনের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেন। এরপর দেশীয় যুদ্ধবিমানে চড়ে আকাশে এক চক্কর কাটেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রায় ৪৫ মিনিট আকাশে ছিলেন মোদি। পরে, নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে একাধিক ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘তেজসে চেপে সফল উড়ান সম্পন্ন করলাম (PM Modi Flies In Tejas)। অভিজ্ঞতাটি অবিশ্বাস্যভাবে সমৃদ্ধ করেছে, উল্লেখযোগ্যভাবে আমাদের দেশের সক্ষমতার প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস আরও মজবুত হলো। আমাদের দেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে নতুন করে গর্ব ও আশাবাদী।’’

    আরেকটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) লেখেন, ‘‘আজ তেজসে উড়ে এসে আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে আমাদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার কারণে আমরা স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে বিশ্বের কারও চেয়ে কম নই। ভারতীয় বায়ুসেনা, ডিআরডিও এবং হ্যাল-এর পাশাপাশি সমস্ত ভারতীয়কে আন্তরিক অভিনন্দন।’’

     

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Utarkashi Tunnel: অকেজো ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, উত্তরকাশীর শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার ভরসা ‘মান্ধাতা’ আমলের হাতিয়ার!

    Utarkashi Tunnel: অকেজো ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, উত্তরকাশীর শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার ভরসা ‘মান্ধাতা’ আমলের হাতিয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অকেজো। তাই এবার মান্ধাতা আমলের পথেই ফিরতে চাইছেন উত্তরকাশীর উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। দু সপ্তাহ হতে চলল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Utarkashi Tunnel) আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও উদ্ধার করা যায়নি তাঁদের। তাই এবার শাবল, গাঁইতি, কোদালের সাহায্য নিতে চাইছেন উদ্ধারকারীরা।

    শ্রমিকদের উদ্ধারে ‘সেকেলে’ পদ্ধতি

    উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, যেহেতু বারংবার বাধা পাওয়ায় থমকে যাচ্ছে উদ্ধার অভিযান, তাই ‘সেকেলে’ পদ্ধতিতেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে চাইছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সাবেকি এই পদ্ধতিতে শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হলে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অগার মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। মেশিনটি যে জায়গায় রেখে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল, সেখানেও দেখা গিয়েছে ফাটল। মেশিনটি বারবার গরম হয়ে যাচ্ছিল বলেও আগেই জানিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। উদ্ধারকারী সংস্থাগুলির দাবি, সুড়ঙ্গের (Utarkashi Tunnel) অনেকটা অংশেই ধসের বাধা সরিয়েছে অগার মেশিন। বাকি মাত্রই কয়েক মিটার। সেইটুকু ধ্বংসস্তূপ সরাতে পারলেই উদ্ধার করা যাবে আটকে থাকা শ্রমিকদের। তবে সেইটুকু কাজই শেষ করা যাচ্ছে না অগার মেশিনের সাহায্যে। সেই কারণেই শরণাপন্ন হতে হচ্ছে সাবেকি প্রথার।

    লুডো খেলছেন শ্রমিকরা

    এদিকে, সুড়ঙ্গের মধ্যে শ্রমিকরা রয়েছেন সুস্থই। খাবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। ইদানিং তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে বেরি ও অন্যান্য ফল। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মনোবিদরাও। সুড়ঙ্গের মাত্র ৪১ মিটার ফাঁকা জায়গায় আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁরা যাতে মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, তাই সুড়ঙ্গে পাঠানো হয়েছে লুডো, দাবা এবং তাস। শ্রমিকরা সেখানে চোর-পুলিশও খেলছেন বলে খবর।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাতের মধ্যে সুড়ঙ্গের ধসের বাধা পেরিয়ে বের করে আনা যাবে শ্রমিকদের। পরে অবশ্য তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। শেষ পর্যায়ে অনেক বেশি সাবধান হতে হবে। অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।” প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর ধস নামে উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওয়ের মধ্যে। আটকে (Utarkashi Tunnel) পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে তিনজন বাংলার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় সাময়িক (Gaza Temporary Ceasefire) যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস (Hamas) বাহিনী। প্রায় দু-মাস পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ১২ জন থাইল্যান্ডের ও ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের (Red Cross) তরফে খবরটি জানানো হয়। পরে ট্যুইট করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের আধিকারিকেরা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাল্টা হিসাবে ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদেরও একটি অংশকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তেল আভিভ।

    রেড ক্রসের সদস্যদের হাতে পণবন্দিরা

    রেড ক্রসের যে কনভয়ে মুক্ত পণবন্দিদের আনা হচ্ছে, তাতে খানচারেক গাড়ি রয়েছে বলে খবর। এক একটি গাড়িতে অন্তত ছ’জন রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সদ্যমুক্তদের  ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করা হতে পারে। সেই মতো তৈরি হচ্ছে হাসপাতালটি। পণবন্দিদের মধ্যে কোনও শিশু থাকলে, কী ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে সে ব্যাপারে আইডিএফ সদস্যদের আগেই বিশদ নির্দেশিকা দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু প্রশাসন। বিনা শর্তেই পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। তারপর রেড ক্রসের সদস্যরা পণবন্দিদের নিয়ে গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর রাফার দিকে রওনা দেন। অন্যদিকে, দু-মাস টানা পণবন্দি থাকার ফলে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ সপ্তাহের বন্দিদশা কাটিয়ে মিশরে পৌঁছেও গিয়েছেন ১৩ জন ইজরায়েলি। 

    আরও পড়ুন: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    যুদ্ধ বিরতির নানা শর্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস (Hamas-Israel Conflict) বাহিনীকে শিক্ষা দিতে নানা দিক থেকে হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেয় ইজরায়েল সরকার। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতির অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপে জ্বালানি এবং রসদ সরবরাহের পথও খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আগামী চার দিন ধরে ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেবে। আর হামাস মুক্তি দেবে ৫০ জন পণবন্দিকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share