Blog

  • BJP Dharmatala Rally: ‘‘২১ জুলাইও বাতিল করে দিই তাহলে’’! রাজ্যের যুক্তি উড়িয়ে বিজেপির সভাকে অনুমতি হাইকোর্টের

    BJP Dharmatala Rally: ‘‘২১ জুলাইও বাতিল করে দিই তাহলে’’! রাজ্যের যুক্তি উড়িয়ে বিজেপির সভাকে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধোপে টিকলো না রাজ্যের আপত্তি। ধর্মতলায় বিজেপির সভাকে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন নির্দেশ দেওয়ার সময় যুগান্তকারী মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।  এই রায়ের ফলে, ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাইয়ের সভার জায়গাতেই গেরুয়া শিবিরের সমাবেশে কোনও বাধা রইল না। 

    আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। সেই সভায় অনুমতি দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আজ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের আগের নির্দেশই বহাল রাখল। একক বেঞ্চের নির্দেশ মতো বিধিনিষেধ মেনে হবে বিজেপির সভা (BJP Dharmatala Rally)। নির্দেশে জানাল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২৯ নভেম্বরের সভা পাখির চোখ বিজেপির

    এই সমাবেশ (BJP Dharmatala Rally) নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতিও শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। জানা যাচ্ছে, সেই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকেও আনার পরিকল্পনা আছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। এধরনের বড় সভা বা সমাবেশের ক্ষেত্রে অন্তত ২ সপ্তাহ আগে পুলিশের কাছে আবেদন করতে হয়। নিয়ম মেনে, তা করেওছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ২ বার সভার জন্য লালবাজারের অনুতি চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গেরুয়া দলের আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।  এদিন শুনানিতে (Calcutta High Court) সভার অনুমতি বাতিল চেয়ে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি ছিল, ওই জায়গা শহরের প্রাণকেন্দ্র। সেখানে সভা হলে শহর স্তব্ধ হবে। বিজেপির তরফে পাল্টা তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার কথা তোলা হয়। যার উত্তরে, রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, ওখানে ২১ জুলাই ছাড়া অন্য কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হয় না। 

    ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর, রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে সভার (BJP Dharmatala Rally) অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Calcutta High Court)। ২১ জুলাইয়ের সভা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “২১ জুলাই বাতিল করে দিচ্ছি। আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কোনও মিটিং, মিছিল, সভা নয়। একটাই সমাধান, সবার জন্য সব কর্মসূচি বন্ধ করেছি। সেটা করলে কী ভাল হবে?” পুলিশের কাছে যথাযথভাবে আবেদন করা সত্ত্বেও তা খারিজ করা হয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক ভাবে অযথা সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। ২ সপ্তাহ আগে আবেদন করা যথেষ্ট। প্রধান বিচারপতির সংযোজন, “এত আগেও আবেদন করার পরেও আপনারা এটাকে যদি অনুমতি না দেন তা হলে তো রাজ্যে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। আমরা বলে দিচ্ছি, রাজ্যের কোথাও কোনও কর্মসূচি হবে না।”

    এদিন বেঞ্চ জানায়, সকলের সমান অধিকার রয়েছে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত সভা শহরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে রাজ্যের আপিল মামলার আবেদন বিবেচনা করবে আদালত। বেঞ্চের নির্দেশ, বিধিনিষেধ মেনে হবে সভা। তবে অতিরিক্ত কোনও শর্ত যে সভার আয়োজকদের উপর চাপানো যাবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননার মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থিত হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলের উত্তর দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে রাজীবকে। তবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এ-ও জানান যে, আদালত প্রয়োজন মনে করলে আবার ডেকে পাঠাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বলল আদালত

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় গত শুনানিতে হাইকোর্ট রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজীব। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে পৌঁছে যান তিনি। এদিন, তাঁকে রুলের উত্তর দিতে সময় দিয়েছে আদালত। 

    কেন রুল জারি করে আদালত

    কোনওপ্রকার অসাংবিধানিক বা বেআইনি ঘটনা ঘটলে হাইকোর্ট নিজে অথবা কারও দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। একেই রুল জারি বলা হয়। রাজীবা সিনহার ক্ষেত্রে আজ শুক্রবার সেই রুলের শুনানি ছিল। রুল অনুযায়ী, জবাব দেওয়ার জন্য ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া হোক, শুক্রবার সেই আর্জি জানান কমিশনার। এরপর প্রধান বিচারপতি রুলের শুনানির দিন স্থির করেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছ রাজীবা সিনহাকে। তার মধ্যে উত্তর দিতে হবে তাঁকে। ৮ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন প্রচারসভা থেকেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra row: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    Mahua Moitra row: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া বিতর্কের মধ্যেই সংসদীয় পোর্টালের গোপনীয়তা নিয়ে সচিবালয় থেকে দেওয়া হল একটি নয়া নির্দেশিকা। গত ১০ নভেম্বর জারি করা নির্দেশিকাটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদরা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে প্রশ্ন করতে পারেন। এর জন্য, তাঁদের আগে থেকে সংসদীয় ওয়েবসাইটে প্রশ্নগুলি আপলোড করতে হয়। এই প্রশ্নগুলি সংসদে করা এবং সেগুলির উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত, এই প্রশ্নগুলির উত্তর ‘অত্যন্ত গোপনীয়’। এমনই মত লোকসভার সচিবালয়ের।

    কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়

    সংসদের নানা নিয়ম নিয়ে  ১০ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকসভা সচিবালয়ের সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যদি বরাদ্দ সময়ে কোনও প্রশ্ন সংসদের অভ্যন্তরে জিজ্ঞাসা না করা হয় বা তার উত্তর না দেওয়া হয়, তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত, সেই প্রশ্নের উত্তরও প্রকাশ করা উচিত নয়। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, সাংসদরা দুই ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন। কয়েকটি প্রশ্ন থাকে স্টার মার্ক দেওয়া, আর কতগুলি নয়। স্টার মার্ক দেওয়া প্রশ্নগুলির মৌখিক উত্তর দেওয়া হয়। আর যেগুলি নয়, সেগুলি লিখিত আকারে দেওয়া হয়ে থাকে। জানা গেছে, স্টার মার্ক করা প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নোত্তর পর্বের দিন সকাল ৯টার মধ্যে আপলোড করা হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যে উত্তরের প্রেক্ষিতে আরও প্রশ্ন যাতে সংশ্লিষ্ট সাংসদ করতে পারেন, তারজন্য এই ব্যবস্থা। আর এই উত্তরগুলি সংশ্লিষ্ট সাংসদের অ্যাকাউন্টেই করা হয় পোস্ট। 

    আরও পড়ুন: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি ভারতের

    কেন এই নির্দেশিকা

    লোকসভার সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এই উত্তরগুলি যাতে শুধুমাত্র সাংসদরাই ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য এগুলি লগইন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সংসদীয় পোর্টালে সুরক্ষিত রাখা হয়। তাই, সাংসদদের এই উত্তরগুলির গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের সঙ্গে সেগুলি ভাগ না করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। মৌখিক এবং লিখিত দুই ধরণের প্রশ্নের উত্তরই একটি নির্দিষ্ট দিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত গোপনীয় বলে বিবেচনা করতে হবে।” তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে সরকার বিরোধী প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে তাঁকে। মহুয়া মৈত্র সংসদের ওয়েবসাইটে তাঁর অ্যাকাউন্টের লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য হিরানন্দানিকে দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: হারল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা! টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই জয় ভারতের

    India vs Australia: হারল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা! টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচেই হার বিশ্বজয়ীদের। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারত। ফর্মে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদবও। টি-টোয়েন্টির ময়দানে যে তাঁর অবাধ বিচরণ তা ফের প্রমাণ করলেন সূর্য। এদিন প্রথমে ব্যাট করে জশ ইংলিসের আগ্রাসী শতরানের সুবাদে ম্যাথু ওয়েডের দল করে ৩ উইকেটে ২০৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ২০৯ রান তুলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। 

    ইংলিশের শতরান

    এদিন  টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে, বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি ভারতের বোলারেরাও। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শুরু করেন স্টিভ স্মিথ এবং শর্ট। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন অসি ওপেনারেরা। শর্ট আউট হতেই তিন নম্বরে নামা ইংলিসএবং স্মিথ দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তুললেন ১৩০ রান। যা কার্যত চালকের আসনে বসিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। ক্রিকেটজীবনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেলেন ইংলিস।  ৫০ বলে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১টি চার এবং ৮টি ছক্কা। স্মিথ করলেন ৪১ বলে ৫২ রান। 

    দুরন্ত ব্যাটিং

    ব্যাট করতে নেমে বিশ্বকাপে রান না পাওয়া সূর্যকুমারকে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল ২০ ওভারের ক্রিকেটে। ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন ঈশান কিশন এবং সূর্যকুমার যাদব। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ওঠে ১১২ রান। ইশান খেললেন ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। সূর্যকুমার করলেন ৪২ বলে ৮০ রান। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৯টি চার এবং ৪টি ছয়। তিনিই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান। ছয় নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন কলকাতার রিঙ্কু সিং। শেষ বলে ঠান্ডা মাথায় জয় এনে দিলেন নাইট শিবিরের তারকা। ১৪ বলে ২২ রান করলেন। মারলেন ৪টি চার। শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতালেন তিনি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India’s mobile exports: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি ভারতের

    India’s mobile exports: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল রফতানির (India’s mobile exports) দিক থেকে বড়সড় সাফল্য পেল নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত এক বছরে মোবাইল রফতানি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ সালের আর্থিক বর্ষের প্রথম সাত মাসে ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি করেছে ভারত।  জানা গিয়েছে, মোবাইল রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

    আইফোনের মার্কেট শেয়ার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে

    প্রসঙ্গত, ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭৯ কোটি। ভারতের বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকে নামীদামী মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলি। পিএলআই স্কিমের আওতায় ভারতেও উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে অ্যাপেল। যার ফলে আইফোনের মার্কেট শেয়ার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। তাইওয়ানের কোম্পানি ফক্সকন, পেগাট্রন এবং ভিস্টোন ভারতে চুক্তির ভিত্তিতে আইফোন তৈরি করে (India’s mobile exports)। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভিস্টোনকে কিনে নিয়েছে টাটা ইলেকট্রনিক্স। iPhone 11, iPhone 12, iPhone 13, iPhone 14 এবং iPhone 15 ভারতে তৈরি হয়। গত আর্থিক বছরের সাপেক্ষে চলতি আর্থিক বছরে অনেকটাই আইফোন রফতানি বাড়িয়েছে অ্যাপেল।

    ইলেকট্রনিক্স জিনিসের রফতানি বেড়েছে ২৭.৭ শতাংশ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের প্রথম ৭ মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫০০ কোটি ডলারের আইফোন রফতানি (India’s mobile exports) করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ট্যুইট করে জানান যে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ কোটি ডলারের মোবাইল ফোন রফতানি করছে আমাদের দেশ। ক্ষমতায় আসার পরেই ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি গ্রহণ করেন ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে মোবাইল ফোন থেকে ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের উৎপাদন ও ব্যবহার। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে ডেটা জলের দরে কেনা যায়। ইলেকট্রনিক্স জিনিসের রফতানি কতটা বেড়েছে? পরিসংখ্যান বলছে, গত আর্থিক বছরে তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের সাত মাসে ইলেকট্রনিক্স জিনিসের রফতানি বেড়েছে ২৭.৭ শতাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বালুর জন্য রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড অথচ বেড অমিল সাধারণ মানুষের, বাড়ছে ক্ষোভ

    Ration Scam: বালুর জন্য রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড অথচ বেড অমিল সাধারণ মানুষের, বাড়ছে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্টের সমস্যা না থাকার পরেও এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই চাপে পড়ে রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে রাখা হয় কার্ডিওলজিস্টকে। অসুস্থতার কথা বলতেই এসএসকেএম-এ বেড পেয়ে যান বালু এবং কালীঘাটের কাকু। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই এই এসএসকেএম-এর চত্বরে অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে। জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী কিন্তু বেড নেই। এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ। সরকারি হাসপাতাল তো অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্যই। কিন্তু সেখানে এমন দ্বিচারিতা কেন? বালুর চিকিৎসার (Ration Scam) জন্য ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে পারে এসএসকেএম। প্রায় সমস্ত বিভাগের ডাক্তাররাই রয়েছেন বোর্ডে। বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের পরে তিন মাস বেডে শুয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই বারবার অবহেলার অভিযোগ উঠছে এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। আর এতেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে রোগী এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে।

    এসএসকেএম-এর খণ্ড চিত্র

    একটি চিত্র দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা। এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় এক রোগীকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস হয় এই রোগীর। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পেটে এবং বুকে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা শুধুমাত্র যন্ত্রণা কমানোর ইনজেকশন দিয়েই দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। সুমিতা দেবীকে শুয়ে থাকতে দেখা যায় স্ট্রেচারের উপরেই। জরুরি বিভাগের ভিতরেও জায়গা মেলেনি। অসুস্থ এই রোগী তাই বলেই ফেলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে, ‘‘আমরা তো গরু-ছাগল।’’ এরপরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে কোনও রকমে বেড পান তিনি। সেটি এসএসকেএম-এর সহযোগী শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে, নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে। এমন আরও অসংখ্য চিত্র দেখা যায় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ‘‘বালু কেমন আছেন?’’ প্রশ্ন শুনে হাসছেন ডাক্তাররা

    এদিকে, মন্ত্রীমশাই কেমন আছেন? বা কোন কোন রোগের উপসর্গ রয়েছে তাঁর? এসব প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলছেন চিকিৎসকরা। হাসি যেন তাঁদের থামছেই না। প্রশ্ন হল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো ভাবছে গুরুতর অসুস্থ বালু। তাইতো তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হল কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে (Ration Scam)। সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চিকিৎসক বলেই ফেলেন, ‘‘আমরা কিছু বলবো না।’’ এরপরে এক সংবাদমাধ্যম চিকিৎসকদের প্রশ্ন করেন, ‘‘আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে?’’,  তখন এক চিকিৎসক তাঁর সহকর্মীকে আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করলেন। আর সেই চিকিৎসক বললেন, ‘‘আমাদের কিছু বলার নেই’’,  অর্থাৎ বালু কেমন রয়েছেন তা জানা গেল না যেটা পাওয়া গেল সেটা চিকিৎসকদের হাসি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে গারদে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ‘পার্থ-মানিক-বালু জেলে’

    গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের বৈঠকে তাঁদের পাশেও দাঁড়ান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, “আমি শুনেছি যারা সব চেয়ে বেশি গরু আর কয়লার টাকা খায়, বিএসএফ যারা সীমান্ত পাহারা দেয়, তারা। কয়লা কাদের নিয়ন্ত্রণে? সিআইএসএফ থাকে ওখানে। গরু আসে ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে। তখন টাকা খায় না। তখন কি লজেন্স খাও? যা বলছি শুনে রাখুন, এলাকায় গিয়ে প্রচার করবেন। আজ আমাদের অনেকে জেলে। তাই নিয়ে খুব হাসছেন? পার্থ-মানিক-বালু জেলে। যখন আপনারা থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন? সেলে না কোলে?  

    আরও পড়ুুন: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ছিল একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে ফের আন্দোলনের কর্মসূচিও। এজন্য আবারও ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, “দিল্লি যান না। রাজঘাটে আবার যান। দৌড় করাব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তোপ, “যারা বিরোধী, তাঁদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। বেছে বেছে তৃণমূলকে যারা ভোট দেয় না, তাদের বাড়ি-ই পোড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা। যন্ত্রণার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।” বিরোধী দলনেতা জানান, ওঁর বক্তব্যের কপি নেব। দু’ এক দিনের মধ্যেই এফআইআর করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে হাইজ্যাক করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেকের দড়ি টানাটানি চলছে বলেও দাবি করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    ‘ভাইপো হাফপোস্ট’

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না দলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এখন দুজনের মধ্যে একটু টানাটানি চলছে। নতুনরা সামলাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সৈনিকরা সামলাবেন, তা নিয়ে দল ও পরিবারের মধ্যে টানাটানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন দলটাকে ফিরে পাওয়ার, কিন্তু ভাইপো তো দলটাকে হাইজ্যাক করে নিয়েছেন! এখন দল দুই ভাগে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে কে প্রার্থী হবেন, সেটা আইপ্যাক ঠিক করে দেবে।” তিনি বলেন, “এখানে আবার বৈঠক কীসের! ওই দলে তো একটাই পোস্ট, আর ভাইপো হাফপোস্ট। বাকি সব তো ল্যাম্প পোস্ট।”

    ‘পুলিশের বর্বরোচিত আচরণ’

    এদিকে, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চা আয়োজিত নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুকান্ত জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের পর জানানো হয়েছে, ওই দিন একাধিক কর্মীর ওপর পুলিশ বর্বরোচিত আচরণ করেছিল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে।” এদিন তারও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি যদি তাঁর ভাইপোকে শিল্পপতি বলে মনে করেন, তাহলে তো চোর শিল্পপতির গলা টিপে ধরবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ তারা করছে। ভারতের অন্য কোনও অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো এ রকম কোনও কথা বলছেন না। কোথাও তো বিনিয়োগের অভাব নেই। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমনটা মনে হচ্ছে, কারণ তাঁর পরিবারের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। তাঁর পরিবার যদি চুরি না করে, তাহলে তো তাঁর কোনও ভয় নেই (Sukanta Majumdar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Patna High Court: জোর করে কপালে সিঁদুর পরালেই বিয়ে হয় না! মত পাটনা হাইকোর্টের

    Patna High Court: জোর করে কপালে সিঁদুর পরালেই বিয়ে হয় না! মত পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে কোনও মেয়ের কপালে সিঁদুর পরালেই তা বিয়ে হয়ে যায় না। হিন্দু  বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যকর কথা বলল পাটনা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত ১০ নভেম্বর এক ব্যক্তির মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি পিবি বাজনাথ্রি এবং বিচারপতি অরুণ কুমার ঝা তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন যে বিয়ের সময় কপালে সিঁদুর পরানো যদি স্বেচ্ছায় হয়, তবেই সেই বিয়ে বৈধ বলে গণ্য হয়। 

    কী ঘটেছিল

    ঘটনার শুরু আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে।  ২০১৩ সালে ৩০ জুন, পেশায় সেনাবাহিনীর সিগন্যালম্যান রবি কান্ত তাঁর কাকাকে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীসরাইয়ের একটি মন্দিরে। সেখানে প্রার্থনা সেরে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ কয়েকজন তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। কাকা সহ তাঁকে অপরহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণকারীরা রবিকে জোর করে এক মহিলার কপালে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। এই ঘটনায় বিয়ে বাতিলের দাবিতে রবির কাকা জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি আবেদনকারীও বিয়ে বাতিলের দাবিতে লক্ষ্মীসরাইয়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অপরহণ এবং খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সওয়াল জবারের পর ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি রবির আবেদন খারিজ করে দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    কী বলল আদালত

    নিম্ন আদালতে মামলা খারিজ হয়ে গেলে রবি ফের পাটনা হাইকোর্টে মামলা করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেয় জোর করে স্বেচ্ছায় কপালে সিঁদুর পরালে, বিয়ে বলে গণ্য হয় না। হাইকোর্ট জানায়, বিয়ের সময় দুই পরিবার ও পাত্র-পাত্রীর মত থাকা জরুরি। শুধু সিঁদুর পরানো নয় মানতে হবে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানও। পবিত্র আগুনের চারপাশে বর ও কনের সাত পাক প্রদক্ষিণ প্রয়োজন। বিহারে অপরহণ করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর বহু যুবককে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panauti Jibe: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    Panauti Jibe: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘পনৌতি’ (অপয়া) ইস্যুতে (Panauti Jibe) রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে রাহুলকে তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য

    বিশ্বকাপের সবক’টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। কাপ হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই দলের সদস্যরা। ড্রেসিংরুমে গিয়ে তাঁদের সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাজস্থানের জালোরে এক জনসভায় ভারতের হার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল। বিশ্বকাপও জিতে যেত। কিন্তু এই অপয়া (পনৌতি) সব শেষ করে দিল।” রাহুলের নিশানায় যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার আখ্যা!

    ওই সভায় রাহুল এও বলেছিলেন, “পকেটমাররা একা একা আসে না। সেখানে তিনজন থাকে। একজন সামনে থাকে, অন্যজন থাকে পিছনে। অন্য একজন থাকেন একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজটা হল আপনার মনযোগটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। তিনি টিভিতে আসেন, সামনে থাকেন। হিন্দু-মুসলিম, জিএসটি এবং নোটবন্দির মতো (Panauti Jibe) বিষয় তুলে তিনি জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেন। এই সময়ের মধ্যে পিছন থেকে চলে আসেন আদানি, টাকা নিয়ে নেন।

    আরও পড়ুুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    রাহুলের এহেন মন্তব্যে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিজেপি লিখেছে, “একজন প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার ও পনৌতি বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা রাজনৈতিক সৌজন্যের অবনমন। কাউকে পকেটমার বলাটা নিছক গালাগালি দেওয়া নয়, তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা। যাঁর সম্পর্কে এই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাঁকে সমাজের চোখে হেয় করা (Panauti Jibe)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share