Blog

  • Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির সময় মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। মাকে কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু  জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি ফেরা হল না ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তর। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন শুভম। বুধবার থেকে হওয়া ওই গুলির লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই লড়াইয়ে বুধবারই সেনার দুই ক্যাপ্টেন-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জন। সেই লড়াইয়ে আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার।

    স্কুলের ‘টপার’ থেকে সেনায়

    মাস ছয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের আগরায় বাড়িতে ২৬তম জন্মদিন পালন করেছিলেন ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। আগরার তাজ নগরীর বাসিন্দা শুভম। তাঁর বাবা বসন্ত কুমার গুপ্ত আগরার ডিস্ট্রিক্ট গভর্নমেন্ট কাউন্সেল (অপরাধ)। ২০১৫ সালে সেনায় যোগ দেন শুভম। ২০১৮ সালে সেনার বিশেষ বাহিনী ৯ প্যারা এসএফ-এ সুযোগ পান। ক্যাপ্টেনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, শুভম বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিল তাঁর পরিবার। বিয়ের তোড়জোড়ও চলছিল। শুভমের ভাই ঋষভ জানান, ফোনে তাঁদের জানানো হয় যে, একটি অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শুভম। দীপাবলির সময় পরিবারের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর। সেই সময় মাকে ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা।” কিন্তু তা হল না আক্ষেপ শুভমের ভাই-এর। স্কুলের ‘টপার’ ছিলেন শুভম। সেনায় যোগদানের জন্য প্রথমে তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং পরে দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেন। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    খতম দুই জঙ্গি

    সেনা সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টা ধরে লড়াইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। নিহতদের মধ্যে এক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার কারি। পাকিস্তানের নাগরিক লস্করের এই কমান্ডার গত এক বছর ধরে রাজৌরি-পুঞ্চে সক্রিয় ছিল। কারি, ডাংরি এবং কান্দিতে হামলার মূলচক্রী বলেও মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, কারি ছাড়াও আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ের। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Netherlands Elections: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    Netherlands Elections: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বে তাঁর পরিচিতি উগ্র দক্ষিণপন্থী ও ইসলাম বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে। ইসলামের কড়া সমালোচনা ও কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন এই ডাচ রাজনীতিবিদ। এহেন গির্ট ওয়াইল্ডার্সই হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের (Netherlands Elections) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    কী বলছে এক্সিট পোল?

    সে দেশের সবকটি এক্সিট পোল বলছে, ওয়াইল্ডার্সের ‘পার্টি ফর ফ্রিডম’ই ডাচ পার্লামেন্ট নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি আসন পেতে পারে। নেদারল্যান্ডস পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ১৫০। এর মধ্যে ওয়াইল্ডার্সের দল এবার ৩৫টি আসন পেতে পারে। যেহেতু তাঁর দলই হতে চলেছে একক বৃহত্তম দল, তাই ওয়াইল্ডার্সের নেতৃত্বেই হতে পারে জোট সরকার। ওয়াইল্ডার্স বলেন, “ফ্রিডম পার্টিকে এখন আর অবহেলা করা যাবে না। এখন আমরা দেশ চালাব। আমরা দেশ শাসন করতে চাই। ৩৫টি আসন দিয়েই আমরা দেশ শাসন করব। ৩৫টি আসন অনেক বড় বিষয় এবং অনেক বড় দায়িত্বও।” তিনি বলেন, ডাচ (Netherlands Elections) ভোটাররা তাঁদের আশার পূরণের পক্ষে কথা বলেছেন।”

    দ্বিতীয় স্থানে বামপন্থী জোট

    ওয়াইল্ডার্সের দলের পরেই থাকতে পারে বামপন্থী জোট। তারা পেতে পারে ২৫টি আসন। তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে দিলান ইয়েলিসগোজের নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থী দল। আর চতুর্থ স্থানটি পেতে চলেছে পিটার ওমটজিগটের নয়া রাজনৈতিক দল। এই তৃতীয় ও চতুর্থ দলের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়তে পারেন ওয়াইল্ডার্স। কারণ বামপন্থী জোটের নেতা ফ্রাঁ টিমারম্যানস সাফ জানিয়েছেন, ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যাব না।

    ওয়াইল্ডার্স ঘোরতর ইসলাম বিরোধী হিসেবে পরিচিত। নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী মরক্কোর নাগরিকদের নিয়ে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করায় ২০১৬ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরানকে তিনি হিটলারের ‘মাইন কাম্ফ’ গ্রন্থের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচিত হন। ২০১৮ সালে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও মসজিদ এবং মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ওয়াইল্ডার্স।

    আরও পড়ুুন: “স্বার্থসিদ্ধি করতেই আদানিদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল রাজ্যের”, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    তিনি অবশ্য এও বলেছিলেন, “নেদারল্যান্ডসে ইসলাম নিষিদ্ধ করার চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামনে রয়েছে। জীবনযাপনের উচ্চ ব্যয় মোকাবিলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার পর যখন ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নূপুর, তখন তাঁকে সমর্থন করেছিলেন এই ডাচ রাজনীতিবিদ (Netherlands Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ICC: ফের ক্রিকেট দুর্নীতি! ৬ বছরের জন্য নির্বাসিত ইডেনে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

    ICC: ফের ক্রিকেট দুর্নীতি! ৬ বছরের জন্য নির্বাসিত ইডেনে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) রেশ কাটতে না কাটতেই ক্রিকেটে ফের দুর্নীতির ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার মার্লন স্যামুয়েলসকে (Marlon Samuels) ৬ বছরের জন্য নির্বাসিত করল আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে স্যামুয়েলসের। ২০১২ এবং ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটে ৩০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন স্যামুয়েলস। ১৮ বছর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। 

    ইডেনে খেলেছিলেন স্যামুয়েলস

    ২০২১ সালে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়। অবশেষে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার। ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে খেলেছিলেন স্যামুয়েলস। কার্লোস ব্রেথওয়েটের চার ছক্কা সত্ত্বেও স্যামুয়েলসের অবদান ভোলার নয়। ওই খেলায় তিনি ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

    কী অপরাধ করেছিলেন স্যামুয়েলস

    চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে। জুয়াড়িদের থেকে উপহার, অর্থ এবং অন্যান্য ,সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তিনি। সেই তথ্য আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী আধিকারিকদের কাছে লুকিয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়া ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের আর্থিক সুবিধা পেয়েও তা জানাননি।সবশেষে আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করেননি তিনি।  প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্য লোপাট করে  তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের দাবি, স্যামুয়েলস সব নিয়ম জানা সত্ত্বেও দুর্নীতিতে মদত দিয়ে গিয়েছেন। অপরাধ করলেও তা লুকিয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁকে ৬ বছরের জন্য় নির্বাসিত করেছে আইসিসি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajouri Encounter: রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযানে শহিদ ২ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান, খতম লস্কর কমান্ডার

    Rajouri Encounter: রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযানে শহিদ ২ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান, খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনে পড়ল রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযান। বুধবার থেকে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri Encounter) জেলার কালাকোট মহকুমার অন্তর্গত জঙ্গলে ঘেরা বাজিমাল অঞ্চলে চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই (Army Terrorist Gunfight)। গতকাল ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। এর মধ্যে সেনার ২ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। রয়েছেন ২ জওয়ানও। অন্যদিকে, বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে লস্করের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারও।

    কী জানিয়েছে সেনা?

    সেনার ১৬ কোরের (হোয়াইট নাইট) তরফে এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার কালাকোট এলাকার গুলাবগড় জঙ্গলে চিরুনি-তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ-কে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী (Rajouri Encounter)। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় বুধবার। সেই থেকে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলি বিনিময় হচ্ছে। জঙ্গিদের ঘিরে ফেলা হয়েছে (Army Terrorist Gunfight)। মহিলা ও শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আমাদের সেনা জওয়ানরা শহিদ দিয়েছেন। তাঁদের এই সাহসিকতা ও চরম বলিদানের ফলে অনেকের প্রাণ বেঁচেছে।

    শহিদ চার সেনা কর্মী

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেনার চার জন শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার এবং বাকি ২ জন হাভিলদার পদমর্যাদার। ২ অফিসারের মধ্যে একজন হলেন ৬৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল। অপরজন ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। ২ জওয়ানের মধ্যে একজনের নাম হাভিলদার মাজিদ। তিনও ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটে অঙ্গ ছিলেন (Rajouri Encounter)। দ্বিতীয় জওয়ানের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এছাড়া, ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার আহত হয়েছেন। তাঁকে উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    খতম লস্কর কমান্ডার

    সেনা সূত্রে খবর, বাহিনীর গুলিতে এক পাক জঙ্গি-নেতা খতম হয়েছে। যা জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গির নাম কুয়ারি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা কুয়ারি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার। সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গি-নেতা দীর্ঘদিন রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় (Rajouri Encounter) আত্মগোপন করেছিল। তার আগে, পাক-আফগান সীমান্তে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এই নিহত জঙ্গি (Army Terrorist Gunfight)। আইইডি তৈরিতে পারদর্শী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ধাংরি ও কান্দি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই কুয়ারি। ওই হামলায় ৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ১৪ জন আহত হয়েছিলেন। সেনা সূত্রে দাবি, এখনও ওই এলাকায় ২-৩ জন জঙ্গি রয়েছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে তারা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। 

    এখনও ফিকে হয়নি অনন্তনাগ…

    অনন্তনাগ অভিযানের কথা এখনও টাটকা। প্রায় ২ মাস আগে, অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ অঞ্চলে সেনা-জঙ্গির ভয়াবহ গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন ২ সেনা অফিসার— ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মনপ্রীত, সেনা মেজর আশিস ধনচোক এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার হুমায়ুন ভাট। খতম হয়েছিল ২ জঙ্গিও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর করা শিল্প সম্মেলন নিয়ে এবার কটাক্ষ শোনা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এর আগে যে ৭ বার সম্মেলন হয়েছে, তার নিট ফল তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। উনি দুটি কুমির ছানা বারবার দেখান। তাজপুর বন্দর এবং দেউচা পাঁচামি। এখনও টেন্ডার পাল্টানো হচ্ছে। আদানি হাত তুলে নিয়েছে। আর কি কেউ করবে?’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা একেবারেই নেই।’’

    শিক্ষা থেকে শিল্প, কোনও পরিবেশই নেই রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বুধবারই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দু’দিনের বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এখানেও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির (Dilip Ghosh) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মতে, ‘‘বাণিজ্য সম্মেলনে কোন শিল্পপতি কত টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা অবিলম্বে প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘তৃণমূলের জমানায় রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে, শিক্ষা থেকে শিল্প কোনও পরিবেশই নেই এই রাজ্যে।’’ রাজ্যের শিল্পের পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘এ রাজ্যে জীবন ও সম্পত্তির কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেখানে শিল্প সম্মলেন করে কী হবে? কে আসবে রাজ্যে? আগে ইমেজ ঠিক করুক সরকার।’’

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কী বললেন দিলীপ?

    অন্যদিকে আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতাতে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের শাসক দল। সেই বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়েই ২৯ নভেম্বর সমাবেশ বিজেপির। এতে থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ইতিমধ্যে সভার অনুমতি নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। কলকাতা পুলিশকে অনুমতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করতে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভাবছে সভা আটকে, বিজেপিকে আটকে দেবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। এভাবে গণতান্ত্রিক দেশে কাউকে আটকানো যায় না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “স্বার্থসিদ্ধি করতেই আদানিদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল রাজ্যের”, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্বার্থসিদ্ধি করতেই আদানিদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল রাজ্যের”, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে আদৌ রাজি ছিল না আদানিরা। মন্দারমণিতে স্থলবন্দর গড়তে চেয়েছিল তারা। বুধ-সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এর পর ফের বোমা ফাটাল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তাজপুরের জন্য আদানিদের আদৌ কোনও আগ্রহই ছিল না। অন্য স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য রাজ্য সরকার ও আদানিদের সমঝোতা হয়েছিল।”

    শুভেন্দুর তোপ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর দাবি, আদানিদের একটি সংস্থা এপিজেএল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে তা পাঠানোর জন্য চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল, ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে গেলে খুঁটি ও তার নিয়ে যেতে হত মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা এলাকা দিয়ে। সেখানে বহু বছরের আম ও লিচু বাগান থাকায় কৃষকরা বেঁকে বসেছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে আদানির সমঝোতা হয় এবং বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মেলনে এসে আদানি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার পরে রাজ্য সরকারের পুলিশ নৃশংসভাবে আম ও লিচু চাষিদের প্রতিবাদ দমনে নেমেছিল বলে অভিযোগ।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আদানিরা কখনওই তাজপুরের প্রকল্প নিয়ে উৎসাহিত ছিল না। এখন স্বার্থ পূরণ এবং সেই সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে আদানিরা মনে হচ্ছে তাজপুর বন্দর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রকল্পের জন্য নতুন উৎসাহী খুঁজতে নেমেছেন। প্রায় এক দশক ধরে এই তাজপুর নিয়ে তিনি বড় গলা করে প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে এক বর্গ ইঞ্চির পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, জগন্নাথও প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্য সরকার কি নিজের জমি অধিগ্রহণ নীতি বদলে ফেলেছে? মন্দারমণিতে স্থলবন্দরের জন্য আলাদা করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে? নাকি পুরনো দরপত্রেই এই প্রকল্পের কাজ চলছে? এক প্রকল্পের দরপত্রে অন্য প্রকল্প কী করে হয়? প্রসঙ্গত, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (Suvendu Adhikari) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজপুরে বন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার বেফাঁস মন্তব্য করে খুইয়েছিলেন সাংসদ পদ। দলকে ফেলেছিলেন বিপাকে। ছোটাছুটি করেছিলেন এক আদালত থেকে অন্য আদালতে। পরে অনেক কষ্টে ফিরে পেয়েছেন সাংসদ পদ। তবে তার পরেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যে নিজেকে এতটুকুও সংশোধন করেননি, তার প্রমাণ মিলেছে প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ বলায়। রাহুলের এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছে বিজেপি (BJP)। এবার তারা দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। বুধবারই এ ব্যাপারে কমিশনে নালিশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য

    টানা ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কাপ হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই দলের সদস্যরা। ড্রেসিংরুমে গিয়ে তাঁদের সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজস্থানের জালোরে এক জনসভায় ভারতের হার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল। বিশ্বকাপও জিতে যেত। কিন্তু এই অপয়া (পনৌতি) সব শেষ করে দিল।” রাহুলের নিশানায় যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা বিজেপির 

    রাহুলের একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “তাহলে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে পনৌতি বলছেন রাহুল। এখানে ভণ্ডামিরও বেশি কিছু আছে। ৫৫ বছরের যে ব্যক্তি নিজে জীবনে একটা দিনও কাজ করেননি, যাঁর পরিবার দুর্নীতির মাধ্যমে পরজীবীর মতো দশকের পর দশক ধরে দেশকে শোষণ করেছে এবং যাঁদের সরকার আর্থিক দিক থেকে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে যে এরকম কথা বলছেন, তা হতাশা ও মানসিক অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘শিল্পের নামে চলছে মোচ্ছব’’! বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ ডিএ আন্দোলনকারীদের

    রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিজেপি লিখেছে, “একজন প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার ও পনৌতি বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা রাজনৈতিক সৌজন্যের অবনমন। কাউকে পকেটমার বলাটা নিছক গালাগালি দেওয়া নয়, তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা। যাঁর সম্পর্কে এই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাঁকে সমাজের চোখে (BJP) হেয় করা।” প্রসঙ্গত, ‘মোদি’ পদবি নিয়ে কটাক্ষ করায় মাস কয়েকের জন্য সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন রাহুল।

    কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Dravid: চুক্তি বাড়াতে আগ্রহী নন দ্রাবিড়! হেড কোচের পদে কি এবার লক্ষ্মণ?

    Rahul Dravid: চুক্তি বাড়াতে আগ্রহী নন দ্রাবিড়! হেড কোচের পদে কি এবার লক্ষ্মণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে আর থাকতে চাইছেন না রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে মেয়াদ শেষ হয়েছে মিস্টার ডিপেন্ডবলের। আর সেই চুক্তি বাড়াতে নারাজ তিনি। বিসিসিআই’-র একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচটি হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের শেষ ম্যাচ এবং প্রাক্তন হেড কোচ নিজের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ডকে। তাঁর পরিবর্তে এবার এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন তাঁর সতীর্থ, প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman)। 

    আগ্রহী লক্ষ্মণ

    দ্রাবিড় (Rahul Dravid) কোচ থাকাকালীনও মাঝে মধ্যে ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছেন লক্ষ্মণ। তিনি এখন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান। দ্রাবিড়ও ভারতের কোচ হওয়ার আগে সেই দায়িত্বেই ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের ভারপ্রাপ্ত কোচ লক্ষ্মণ। এর আগে আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং নিউ জিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অন্তর্বর্তিকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার বিষয়ে চরম আগ্রহ দেখিয়েছেন লক্ষ্মণ (VVS Laxman)। বিশ্বকাপ চলাকালীন তিনি আমেদাবাদে গিয়ে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করেছিলেন। খুব শীঘ্রই উনি একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করবেন এবং দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন স্থায়ী কোচ হিসেবে।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর নয়! বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনায় রোহিত

    দ্রাবিড়ের ইচ্ছা

    বিশ্বকাপের পরেই তাঁর সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্রাবিড় (Rahul Dravid) সেই চুক্তি আর বাড়াতে আগ্রহী নন বলেই জানা গিয়েছে। দ্রাবিড় বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তিনি ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধানের দায়িত্ব পালনে অবশ্য আগ্রহী বলেই জানা যাচ্ছে। এর আগেও তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন। এনসিএ প্রধান হিসাবে কাজ করলে নিজের শহর বেঙ্গালুরুতেই থাকতে পারবেন রাহুল। তাঁর ইচ্ছা, মাঝেমধ্যে দলকে কোচিং করাবেন তবে ফুল-টাইম কোচ আর থাকবেন না। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধু দ্রাবিড়ের বদলে লক্ষ্মণ নন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাকি কোচদেরও বদল করা হয়েছে। ভারতের ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় বিক্রম রাঠৌরের জায়গায় আনা হয়েছে সীতাংশু কোটককে। তিনি ভারতের হয়ে ১৩০টি প্রথম শ্রেণি ও ৮৯টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। পরশ মামব্রের জায়গায় বোলিং কোচ করা হয়েছে সাইরাজ বাহুতুলেকে। টি দিলীপের বদলে ফিল্ডিং কোচ হয়েছেন মুনীশ বালি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর কোনও মহামারি কি ফের একবার থাবা বসাতে চলেছে? এমনই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, চিনে ছড়িয়ে পড়েছে এক রহস্যময় সংক্রমণ (Mysterious Pneumonia)। নিউমেনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে চিনের স্কুল পড়ুয়ারা। ভাইরাসের প্রকোপ এতটাই বেশি যে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে। চিনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এই রহস্যময় নিউমোনিয়া (Mysterious Pneumonia) রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেই ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকরাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি ওই চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির।

    রহস্যময় নিউমোনিয়ার লক্ষণ

    চিনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রহস্যময় এই নিউমোনিয়ার (Mysterious Pneumonia) লক্ষণগুলি হল— প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে প্রদাহ এবং গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা। অর্থাৎ কিনা করোনার সঙ্গে উপসর্গগুলির বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ খানিকটা কম বলেই জানা যাচ্ছে। স্কুলছাত্রদের মধ্যে সংক্রমণের প্রকোপ এতটাই বেশি হয়েছে যে একাধিক জায়গায় ক্লাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    সংক্রমণের ওপর রিপোর্ট তৈরি করা সংস্থা কী বলছে?

    প্রোমেড নামের একটি সংস্থা রয়েছে। যারা বিশ্বের বিভিন্ন সংক্রমণগুলির ওপরে রিপোর্ট তৈরি করে এবং নজরদারি চালায়। এই সংস্থা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসকে ‘অজানা নিউমোনিয়া’ (Mysterious Pneumonia) নাম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থা করোনা ভাইরাস মহামারি রূপ ধারণ করার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই কোভিড ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, অজানা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত শিশুদের শরীরের জ্বর হচ্ছে এবং তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অজানা রোগের বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে৷ হু চিনের কাছে এই অজানা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রমণের বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে৷

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: ‘তুমি আমার সব থেকে বেশি কাছের’! অসুস্থ মাকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা শামির

    Mohammed Shami: ‘তুমি আমার সব থেকে বেশি কাছের’! অসুস্থ মাকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা শামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় মাকে নিয়ে ছোট্ট আবেগঘন বার্তা পোস্ট করলেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতে উদ্বেগ এবং জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভারতের তারকা বোলারের মা। এখন অবশ্য তিনি স্থিতিশীল। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে শামি লেখেন, ‘তুমি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় মা। আশা করি তুমি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।’ 

    মা-কে আবেগ-ঘন বার্তা

    বিশ্বকাপে আগুন ঝরিয়েছেন মহম্মদ শামি। প্রতিযোগিতার সর্বাধিক উইকেটের মালিক তিনি। রবিবার, ১৯ নভেম্বর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আশায় আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বল করছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), ঠিক তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। হঠাৎই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শামির মাকে আরও উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য ভাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তাঁর পরিস্থিতির উন্নতিও হয়। 

    ব্যাক্তিগত সমস্যা

    বুধবার, ২২ নভেম্বর  ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়েছেন শামি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছেলের বুকে মাথা রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শামির মা অঞ্জুম। সেই ছবি দিয়ে শামি লিখেছেন, ‘‘তুমি আমার সব থেকে বেশি কাছের। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।’’ ‘বিচ্ছিন্না’ স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে শামির সম্পর্কের তিক্ততা অবশ্য বেড়েই চলেছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন শামির সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন হাসিন। বিশ্বকাপের পর এক সাক্ষাৎকারে হাসিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠতেই গর্জে উঠেছেন শামি। হাসিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে শামির। সেই ঘটনা তাঁর জীবনে যে বড় ছাপ ফেলে গিয়েছে, সেটাও জানালেন ভারতীয় পেসার।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের সাফল্য ওদের সহ্য হয় না’’, পাকিস্তানকে তোপ মহম্মদ শামির

    শামি বলেন, “কেউ যদি সত্যি কথা না বলে, তাহলে সে পালাবে। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে না। আমি জানি সত্যিটা এক দিন ঠিক সামনে আসবে। যখন যেখানে যেতে বলা হয়েছে আমি গিয়েছি। ৪-৬ দিন একটু মানসিক সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু পরিবার আমার পাশে ছিল। তখন নিজেকে বোঝালাম যে, আমার নতুন করে শুরু করা উচিত। আমি তো আর কাউকে খুন করিনি যে পালিয়ে যাব। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটাও সত্যি নয়। তাহলে আমি কেন থেমে থাকব।”

    চোট-প্রসঙ্গ

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শামি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সময় চোট নিয়ে নিজের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন শামি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপের আগে আমার হাঁটু ফুলে ছিল। অন্য কেউ হলে ওই ব্যথা নিয়ে খেলত না হয়তো। তবে আমার ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। আমায় দুইটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল, হয় তখনই আমায় অস্ত্রোপ্রচার করাতে হত নয়তো টুর্নামেন্ট খেলার পর। ম্যাচের পর প্রতিদিন গোটা দল হোটেলে ফিরলেও, আমি যেতাম হাসপাতালে, ইঞ্জেকশন নিতে। দেশের জন্য খেলার সময় বাকি সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share