Blog

  • PM Modi: “লাল ডায়েরিতে ধরা পড়ে গিয়েছে জাদুকরের জাদুকরি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    PM Modi: “লাল ডায়েরিতে ধরা পড়ে গিয়েছে জাদুকরের জাদুকরি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লাল ডায়েরিতে ধরা পড়ে গিয়েছে জাদুকরের জাদুকরি।” রবিবার এই ভাষায়ই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন চুরু জেলায় বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    গেহলটের লাল ডায়েরি

    গেহলটের লাল ডায়েরিতে কংগ্রেসের লুট করার লাইসেন্স নথিভুক্ত রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। মাসখানেক আগে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয় রাজেন্দ্র সিং গুধাকে। তার পরেই তিনি দাবি করেন, গেহলটের লাল ডায়েরিতে রয়েছে তাঁর সরকারের বেআইনি আর্থিক আদানপ্রদানের যাবতীয় হিসেব। গুধা বলেছিলেন, “কয়েকদিন আগে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা ধর্মেন্দ্র রাঠোরের বাড়িতে রেড করে ইডি। সেখানে পাওয়া একটি লাল ডায়েরি যে কোনও মূল্যে আমাকে উদ্ধার করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আমি না থাকলে তিনি জেলে যেতেন।”

    ‘জাদুকরের জাদুকরি’

    ২৫ নভেম্বর রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। জোর কদমে প্রচারে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের লুট করার লাইসেন্সের পুরো গল্প লাল ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এখন ধীরে ধীরে সেই লাল ডায়েরির পাতা খুলতে শুরু করেছে। লাল ডায়েরির একটি করে পৃষ্ঠা খোলে আর গেহলটজি একবার করে ফিউজ হয়ে যান। জাদুকরের জাদুকরি এবার লাল ডায়েরিতে দেখা যাচ্ছে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আপনারা যদি বিজেপিকে জিতিয়ে আনেন, আমরা রাজস্থান থেকে দুর্নীতিবাজের দলকে সরিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশ রক্ষায় রাজস্থানের সেনা সদস্যদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। কংগ্রেস রাজস্থানবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যদি আপনি বিজেপিকে বেছে নেন, তাহলে আমরা রাজস্থান থেকে দুর্নীতিবাজদের দলকে তাড়িয়ে দেব। বিজেপি দ্রুত উন্নয়ন করবে এবং রাজস্থানের জয় হবে। জয় হবে রাজস্থানের মা-বোন-যুবক-কৃষকদের।”

    এর আগেও রাজস্থানের একাধিক সভায় কংগ্রেসের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “গত পাঁচ বছরে রাজ্যের কোনও উন্নয়নই হয়নি। দুর্নীতি, হিংসা ও অপরাধের ক্ষেত্র বানিয়েছে অশোক গেহলট সরকার। যেখানেই কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেখানেই সন্ত্রাসবাদী, অপরাধী ও দাঙ্গাবাজদের রমরমা বৃদ্ধি পায়।” ক্ষমতায় এলে বিজেপি সরকার যে গেহলটের লাল ডায়েরির রহস্য ফাঁস করবে, তাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: গ্যালারিতে শাহরুখ, রণবীর, দীপিকা! ফাইনালের আগে কোহলিকে উপহার সচিনের

    ICC World Cup 2023: গ্যালারিতে শাহরুখ, রণবীর, দীপিকা! ফাইনালের আগে কোহলিকে উপহার সচিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলের নজর আটকে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। প্রথম থেকেই মাঠে ছিলেন ক্রিকেট অনুরাগী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর পাশেই ছিলেন লিজেন্ডারি গায়িকা আশা ভোঁসলে। ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকার। বলিউড ও দক্ষিণী ছবির ইন্ডাস্ট্রির নামীদামিরা গিয়েছেন খেলা দেখতে। বোর্ড সভাপতি জয় শাহ ও স্ত্রী গৌরী খানের পাশে বসে খেলা দেখেন শাহরুখ খান। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে আরিয়ান, আব্রাম ও কন্যা সুহানা খান। ছিলেন রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোনও। 

    বিরাটকে জার্সি 

    এদিন ম্যাচ শুরুর আগে নিজের আদর্শ তথা ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিনের কাছে থেকে বিশেষ উপহার পান বিরাট। যে জার্সি পরে সচিন নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন, সেটিই ফাইনালের আগে তুলে দেন কোহলির হাতে। সেই জার্সিতে রয়েছে সচিনের সই। সঙ্গে কিছু ছবিও। হাসতে হাসতে সেই জার্সি নিয়ে পোজ দেন কোহলি। সচিনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল বিশেষ এই পুরস্কার পেয়ে কোহলি কতটা আপ্লুত। বোর্ডের তরফে লেখা হয়েছে, “একটা বিশেষ ম্যাচ এবং ফাইনালের আগে একটা বিশেষ মুহূর্ত। শেষ এক দিনের ম্যাচে খেলা জার্সি কোহলিকে উপহার দিলেন সচিন।”

    বায়ুসেনার এয়ার শো

    রবিবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতীয় বায়ুসেনার সূর্যকিরণ অ্যারোব্যাটিক দলের এয়ার শো শুরু হয়। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে  ১০ মিনিটের জন্য বায়ুসেনার পক্ষ থেকে এয়ার শো আয়োজন করা হয়। সূর্যকিরণ অ্যাক্রোব্যাটিক টিমের (Suryakiran Acrobatic Team) এয়ারশোর মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা ফাইনালকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। 

    ফ্লাইট কমান্ডার ও ডেপুটি টিম লিডার উইং কমান্ডার সিধেশ কার্তিকের (Sidhesh Kartik) নেতৃত্বে নয়টি হকের একটি দল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ইনিংস বিরতিতে ছিল সুরকার প্রীতম চক্রবর্তীর সঙ্গীত অনুষ্ঠান। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India’s GDP: ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাল মোদির ভারত, এর আগে রয়েছে কারা?

    India’s GDP: ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাল মোদির ভারত, এর আগে রয়েছে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের অর্থনীতিকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় এই প্রত্যয় ঝরে পড়তে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস যে নিছক স্বপ্ন নয়, ঘোর বাস্তব, তার প্রমাণ মিলল আজ, রবিবার। এদিন ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য 

    জিডিপির (India’s GDP) নিরিখে আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানির পরেই ঠাঁই করে নিল মোদির ভারত। ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপিকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে মোদি সরকার। এদিন মিলল তারই প্রমাণ। প্রসঙ্গত, আইএমএফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইনে রিয়েল টাইমে বিভিন্ন দেশের জিডিপি দেখানো হয়। সেখানেই দেখা গেল ভারত রয়েছে পাঁচ নম্বরে।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) বৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশ।

    ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পরিমাণ 

    যদিও এই বৃদ্ধির পরিমাণ দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হবে বলেই জানা গিয়েছে বহু সংস্থার অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিবেগ দেখে আমি আশা করছি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি আমাদের অবাক করে দিতে পারে।” প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি ঘটেছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আইএমএফের জিডিপির তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী জিডিপির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তৃতীয় স্থানটি দখল করেছে এশিয়ার দেশ, জাপান। চার নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। পাঁচ নম্বরে ফের এশিয়ার দেশ ভারত। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। সেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। এবার জিডিপির তালিকায়ও পাঁচ নম্বরে চলে এল মোদির দেশ।

    আরও পড়ুুন: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    ভারতীয় অর্থনীতির এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নেট নাগরিকরাও। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, ভারতীয় অর্থনীতির ৪ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছে যাওয়া ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতিকে ৫ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার পথে একটি মাইলফলক (India’s GDP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ICC CWC 2023 Final: মোতেরার মন্থর পিচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত

    ICC CWC 2023 Final: মোতেরার মন্থর পিচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনালে (ICC CWC 2023 Final) অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত (India vs Australia World Cup Final)। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নির্ধারিত সময়ে মাত্র ২৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত বাহিনী। এদিন ভারতের হয়ে ব্যাটে অবদান রেখেছেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। বিরাট করেন ৫৪ রান। রাহুল করেন ৬৬ রান। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অবদান বলতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৪৭। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিন উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। দুটি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। যত সময় গড়াচ্ছে, পিচ মন্থর হচ্ছে। এই পুঁজি নিয়ে কি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে ভারত? গোটা টুর্নামেন্টের মতো, আজও কি জ্বলে উঠবেন শামি-বুমরারা? পিচে কি ভেলকি দেখাতে পারবেন কুলদীপ-জাডেজা?

    এদিন শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল (ICC CWC 2023 Final)। ৪ ওভারে ৩০ রান উঠে গিয়েছিল। কিন্তু, তার পরেই ঘটে ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ৪ রান করে আউট হন শুভমান। গুজরাট তাঁর দ্বিতীয় ঘর। কারণ, আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে খেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন যুবরাজ। তবে, এদিন তিনি ব্যর্থ হন। এরপর এক অবিশ্বাস্য ক্যাচে ম্যান্ডাটরি পাওয়ার প্লে-র শেষ লগ্নে ফেরেন রোহিত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে সময়ের হেরফের ঘটে রোহিতের শটে। বল কভার অঞ্চলের ওপর উঠে যায়। পিছনে দৌড়ে দুরস্ত ক্যাচ ধরেন ট্র্যাভিস হেড।

    ৪৭ রান কের রোহিত আউট হন দশম ওভারে। তাঁর জায়গায় আসেন শ্রেয়স আইয়ার। গত ২ ম্যাচে দুরন্ত ছন্দ দেখান শ্রেয়স। পর পর ২ ম্যাচে শতরান করলেও তিনিও এদিন ব্যর্থ হন। মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান শ্রেয়স। ৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ব্যাকফুটে। সেখান থেকে ইনিংস পুনর্গঠন করার কাজে মন দেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। পিচ ধীরগতির ছিল। ব্যাটে বল আসছিল না। এই সময় ভারতের রানের গতিও অনেকটাই স্লথ হয়ে গিয়েছিল। তবে, দুই ব্যাটারের লক্ষ্য ছিল, একটা সময় পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকা। এক-দুই করে রান নিয়ে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখার কাজটাই করেছিলেন কোহলি ও রাহুল (India vs Australia World Cup Final)। পরের ১৮ ওভারে ধরে ধরে খেলেন দুই ব্যাটার। এই সময় ওঠে ৬৩ রান।

    কিন্তু, ২৯ ওভারে ফের ছন্দপতন। ১ লক্ষ ৩০ হাজার নীল ঢেউ তোলা গোটা স্টেডিয়ামকে (ICC CWC 2023 Final) স্তব্ধ করে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে ফিরে যান কোহলি। কামিন্সের বল তাঁর ব্যাটে ছুঁয়ে উইকেট গিয়ে লাগে। বিশ্বাস করতে পারেননি কোহলিও। খানিক থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।  বিরাট ফেরত যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাডেজা। সূর্যকুমার যাদবের আগে জাডেজাকে পাঠানো হয়। কিন্তু, তিনিও রাহুলকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন। ৯ রান করেই ফিরে যান তিনি। রাহুল-জাডেজার পঞ্চম উইকেটে ওঠে ৩০ রান (India vs Australia World Cup Final)। অনেকেই মনে করেছিলেন রাহুল আজ পরের দিকে ধুন্ধুমার খেলবেন। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া বোলাররা ক্রমাগত গতির তারতম্য ঘটাচ্ছিলেন। অবেশেষে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে ৪২ ওভারে আউট হন রাহুল। এর পর ভারতের ব্যাটিংয়ের শেষ ভরসা ছিলেন সূর্যকুমার। কিন্তু, তিনি কিছু করে উঠতে পারেননি। রান করার তাড়ায় শেষ লগ্নে তিনিও মাত্র ১৮ রান করেই আউট হন। এর বাইরে আর ভারতের ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুই উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।

    এখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করছে ভারতীয় বোলারদের ওপর। ব্যাটাররা অর্ধেক কাজ করেছেন। বাকি অর্ধেক দায়িত্ব পালন করতে হবে শামি-বুমরা-সিরাজ পেস ত্রয়ীকে। মোতেরার মন্থর পিচে স্পিনের ভেলকি কি দেখাতে পারবেন কুলদীপ-জাডেজা? সেটাই দেখার অপেক্ষায় তামাম ভারতবাসী। শুধু মাঠে উপস্থিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার নয়, গোটা দেশের ১৪০ কোটি ভারতবাসীও তাঁদের হয়ে প্রার্থনা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Norse Atlantic Airways: আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে নামল অতিকায় বিমান, কী বলছে সংস্থা?

    Norse Atlantic Airways: আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে নামল অতিকায় বিমান, কী বলছে সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করল আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে। নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি অবতরণ করেছে প্রায় দু’ মাইল দীর্ঘ ওই রানওয়েতে। এর আগেও একবার একটি যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করেছিল আন্টার্কটিকায়।

    অবতরণ অতিকায় বিমানের 

    বছর দুই আগে আন্টার্কটিকার ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়েতে অবতরণ করেছিল ছোট ওই বিমানটি। এবার অবতরণ করল বড় বিমান। গত বুধবার সেটি ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়ে ছোঁয়। বিমানটি ৩৩০জন যাত্রী পরিবহণ করতে পারে। গত সোমবার বিমানটি অসলো থেকে আন্টার্কটিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে কিছুক্ষণের জন্য থামে। বুধবার অবতরণ করে ব্লু আইস রানওয়েতে। রানওয়েটি চওড়ায় ৬০ মিটার।

    মাইলফলক আখ্যা সংস্থার 

    নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) তরফে ব্লু আইস রানওয়েতে অতিকায় যাত্রিবাহী বিমানের অবতরণকে মাইলফলক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই এয়ারওয়েজের সিইও বজর্ন টোরে লারসেন বলেন, “আমাদের এই সাফল্যের নেপথ্যে সংস্থার প্রতিটি কর্মীর অবদান রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বোয়িংয়ের পাইলট ও অন্য ক্রু-দের।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের গোটা টিমের পক্ষে একই সঙ্গে সম্মানের ও উত্তেজনার। কারণ আমরাই প্রথম ব্লু আইসে বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করাতে পেরেছি। আবিষ্কারের স্পিরিট নিয়ে আমরা এ কাজ করেছি। আমরা এজন্য গর্বিত। এটি আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ পাইলট ও ক্রু-দের প্রকৃত পরীক্ষার জীবন্ত দলিল।”

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও পণ্য যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে একজন নরওয়ের পোলার ইনসস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। ছিল গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ১২ টন সরঞ্জামও। ঐতিহাসিক এই ঘটনার প্রমাণ স্বরূপ সংস্থার (Norse Atlantic Airways) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Meenakshi Lekhi: দিল্লি জলবোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি! টাকার অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    Meenakshi Lekhi: দিল্লি জলবোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি! টাকার অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করছে আপ।” শনিবার এই ভাষায়ই দিল্লির আপ সরকারকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির মীনাক্ষি লেখি (Meenakshi Lekhi)। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির সরকারকে একহাত নেন মীনাক্ষি।

    জল বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ

    জল বোর্ডের প্রসঙ্গ টেনে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দিল্লি জল বোর্ড ও ব্যাঙ্কের আর্থিক বিবৃতির মধ্যে ১৬৬ কোটি টাকার পার্থক্য রয়েছে। ওরা দাবি করছে যে ওরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের সঙ্গে ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্টের মিল নেই। দিল্লি জল বোর্ড বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বর্ষ থেকে ’২২-’২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে ওরা যা কাজ করেছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি হল, হায় তোবা, হায় আল্লা। কেজরিওয়াল নে কিঁয়া এক নয়া ঘোটলা।”

    আপকে নিশানা মীনাক্ষির 

    মীনাক্ষি (Meenakshi Lekhi) বলেন, “আম আদমি পার্টি সব দুর্নীতিবাজকে যেখানে খুশি লুট করার স্বাধীনতা দিয়েছে। ফল স্বরূপ দিল্লির জনগণ ক্রমাগত প্রতারিত হচ্ছেন। এবারের এই কেলেঙ্কারিতে জল বোর্ডের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জল বোর্ডের উপভোক্তাদের সংখ্যা বেড়েছে। মিটার বেড়েছে, খরচও বেড়েছে। কিন্তু আয় কমে গিয়েছে। এফডিআরও উধাও। তাহলে টাকা গেল কোথায়? যখন শীলা দীক্ষিতের সরকার ছিল, তখন আপ ট্যাঙ্কার মাফিয়া বলে চিৎকার করে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই ট্যাঙ্কার মাফিয়া আজও কাজ করছে। কারণ তারা যেখানে জলের পাইপলাইন বসানো হয়নি, সেখানে ট্যাঙ্কার থেকে জল সরবরাহ করার জন্য জনগণের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। এরকম বেশ কিছু এলাকা আছে যেখানে ট্যাঙ্কার মাফিয়াদের শক্তি বেড়েছে বই কমেনি।” অভিযোগ অস্বীকার করে আপ জানিয়েছে, দিল্লিবাসীর উন্নয়ন থমকে দিতে এসব বলছে বিজেপি (Meenakshi Lekhi)।

    আরও পড়ুুন: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

     

     

  • Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Hamas War) জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন নেতানিয়াহুকে। তাঁকেই অপরাধী ঠাওরেছেন উন্নিথান। যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা উচিত বলেও দাবি করেন কেরলের ওই কংগ্রেস সাংসদ। উন্নিথানের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

    শনিবার কেরলের কাসারাগোদে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ ও প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল সমাবেশের। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্নিথান দোষী সাব্যস্ত করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নুরেমবার্গে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নুরেমবার্গ মডেল লাগু করার সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষের জন্য বিশ্বের মানুষ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ি বলে মনে করছেন। তাই নেতানিয়াহুর ওপর নরেমবার্গ মডেল প্রয়োগ করা উচিত।” উন্নিথান বলেন, “প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা নিয়ে জেনেভা কনভেনশনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি যারা ভঙ্গ করছে, তাদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।” হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে কংগ্রেস যে প্যালেস্তাইনের পাশেই, সেই বার্তাও দিয়েছে কংগ্রেস। ২৩ নভেম্বর কোঝিকোড়ে এনিয়ে একটি সমাবেশ করতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, শুক্রবারই তা প্রকাশ পেয়েছে দিল্লিতে আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আবেদনও জানান প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর প্রথমে হামলা চালায় হামাস। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলেকে নিশানা করে ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। তারা নৃশংসভাবে খুন করে ইজরায়েলের (Israel Hamas War) নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে নেতানিয়াহুর দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক যাতে কংগ্রেসের পাশে থাকে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধীর দলের ভোট ম্যানেজাররা। উন্নিথানের বক্তব্য সেই পথের দিশারী বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapsed: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা, জানুন বিশদে

    Uttarkashi Tunnel Collapsed: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। বয়ে যাচ্ছে সময়। দুর্ঘটনার ছ’ দিন পরেও এখনও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapsed) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এবার উলম্বভাবে গর্ত খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

    শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা

    বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের মেজর নমন নারুলা বলেন, “সুড়ঙ্গের ওপর থেকে আমরা উলম্বভাবে একটি গর্ত খোঁড়ার চেষ্টা করছি। এজন্য একটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। অবিলম্বে শুরু হবে গর্ত খোঁড়ার কাজ। ট্র্যাকটি হাজার থেকে এগারোশো মিটার দীর্ঘ। গর্ত খুঁড়তে কত সময় লাগবে, তা নিয়েও আমরা একটা সমীক্ষা করছি। আমাদের হিসেব বলছে রবিবার দুপুরের মধ্যে ট্র্যাক তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।” শনিবারই গুজরাট থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে নয়া মেশিন। সেই মেশিনটিকেও কাজে লাগানো হয়েছে।

    পিএমও দলের বক্তব্য

    এদিনই উদ্ধারকাজ খতিয়ে (Uttarkashi Tunnel Collapsed) দেখতে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি দল। এই দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে। তিনি বলেন, “উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরা কেবল একটা মাত্র পন্থা অবলম্বন করে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন না। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আমরা এক সঙ্গে পাঁচটি পন্থা অবলম্বন করছি।” তিনি বলেন, “চার-পাঁচদিনের মধ্যেই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে ভগবান সদয় হলে আরও আগেই উদ্ধার করা যেতে পারে আটকে পড়া শ্রমিকদের।”

    আরও পড়ুুন: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    গত রবিবার দুপুরে উত্তরকাশীতে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। সেই সময় সুড়ঙ্গটিতে কাজ করছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। আচমকা সুড়ঙ্গ মুখে ধস নামায় বের হতে পারেননি তাঁরা। ওই শ্রমিকদের জন্য সুড়ঙ্গে রয়েছে ৪০ মিটার ফাঁকা জায়গা। সেখানেই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আটকে পড়া শ্রমিকরা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সাইকোলজিস্টরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে দেশের পাশাপাশি নরওয়ে থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষজ্ঞ দল। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনও। সুড়ঙ্গ মুখে পুজো-অর্চনাও শুরু হয়েছে। তার পরেও শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapsed) নিকষ কালো অন্ধকারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2023) ঘিরে উৎসবমুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায়–একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ। সুসজ্জিত মণ্ডপ, দুর্দান্ত আলোকসজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয়? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন কীভাবে হল?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয় বলে জানা যায়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা। এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে (Jagadhatri Puja 2023) সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: আজ দেশজুড়ে একটাই প্রার্থনা, বিশ্বকাপ যেন ভারতের হাতেই ওঠে…

    ICC World Cup 2023: আজ দেশজুড়ে একটাই প্রার্থনা, বিশ্বকাপ যেন ভারতের হাতেই ওঠে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা! কার হাতে উঠবে সোনার কাপ, তা জানতে আগ্রহী গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। আয়োজক দেশ, অপরাজিত থেকে ফাইনালে পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। রোহিতদের নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই আমেদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন শচীন-কন্যা সারা, বিরাট কোহলির স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। সবার চোখে একটাই স্বপ্ন বিশ্বকাপ। কোথাও পুজোপাঠ, কোথাও নমাজ, টিম ইন্ডিয়ার কাপ জয়ের প্রার্থনায় মগ্ন সারা ভারত। ক্রিকেটের প্রতি সাধারণ মানুষের আবেগ উপচে পড়ছে। এই সংক্রান্ত ভিডিও ও ছবিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

    মথুরায় যজ্ঞ, বারাণসীতে প্রার্থনা

    রবিবার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের আগে মথুরার বৃন্দাবনে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এই সময় ক্রিকেটপ্রেমীরা অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ছবি নিয়ে চলে বিশেষ যজ্ঞ। এমনকি উত্তর প্রদেশের বারাণসীতেও ভারতের কাপ জয়ের প্রার্থনা করেছেন মহিলারা। ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে তারা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘যেভাবে দল এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ জিতে ফাইনাল ম্যাচে পৌঁছেছে, ঠিক একইভাবে ফাইনাল ম্যাচ জিতে দল তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতবে। এই উপলক্ষ্যে আমাদের শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা টিম ইন্ডিয়াকে’।

    এছাড়া দিল্লি, কলকাতা, আহমেদাবাদেও একাধিক জায়গায় যজ্ঞ করা হয়। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির মুথু মারিয়াম্মান মন্দিরে ক্রিকেট ভক্তরা আয়োজন করেন বিশেষ পূজাপাঠের।  পাঞ্জাবের অমৃতসরেও শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা টিম ইন্ডিয়ার কাপ জয়ের  প্রার্থনা করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাপ জয় এবং টিম ইণ্ডিয়ার ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা পূর্ণ আচার মেনে আয়োজন করেন বিশেষ এক যজ্ঞের।  পূজার সময় শুভমান গিল, অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং পুরো দলের ছবি এবং একটি বিশেষ ক্রিকেট ব্যাট নিবেদন করা হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share