Blog

  • Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাইকোর্টের। তার পরেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিজেপির তিন দাবি

    শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে এই মামলার। এই মামলায় প্রধানত তিনটি আর্জি জানানো হয়েছে। প্রথমত, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমান্ড হাসপাতালে করতে হবে ময়না তদন্ত। শেষত, আদালতে জমা দিতে হবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানর সিসিটিভি ফুটেজ। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। মৃতের নাম অশোক কুমার সিংহ। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলেজস্ট্রিট।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের দাবি, চুরির মোবাইল কেনার অভিযোগে (Calcutta High Court) থানায় ডেকে পাঠানো হয় অশোককে। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি। অপসারণের দাবি তোলা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “যদি রাজ্যের হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত হয়, তাহলে যেন চিকিৎসক আসেন কমান্ড হাসপাতাল থেকেই। আর যদি ভিডিওগ্রাফিও হয়, তাহলে তা কিন্তু সাধারণ মানুষ কিংবা জজ সাহেব কিছু বুঝবেন না, বুঝবেন একজন চিকিৎসকই। চিকিৎসক হোন কেন্দ্রের হাসপাতালেরই।”

    আরও পড়ুুন: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    পুলিশের দাবি, অশোককে মারধর করা হয়নি। অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। যদিও থানায় করা একটি ফেসবুক লাইভে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে থানার একটি ঘরের মেঝেয়। তাঁর দু চোখ খোলা। দেহ নিথর। রজনী সাউ নামে মৃতের এক আত্মীয়া বলেন, “একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কীভাবে থানায় ঢোকার দশ মিনিটের মধ্যেই মারা যেতে পারেন! পুলিশ না মেরে থাকলে ওঁর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল কেন (Calcutta High Court)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AUS vs SA: ইডেনের আকাশে কালো মেঘ! টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার

    AUS vs SA: ইডেনের আকাশে কালো মেঘ! টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। ইডেনের খটখটে ন্যাড়া উইকেট চটের কভার দিয়ে ঢাকা ছিল দুপুর পর্যন্ত। স্পিনাররা মারাত্মক সুবিধে পাবেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বেশ কষ্টকর। তাই টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে রোহিত শর্মার ভারতীয় দল। রবিবার ট্রফির লড়াইয়ে কারা তাঁদের প্রতিপক্ষ হবে, তা ঠিক হবে ইডেনের বাইশ গজে। 

    টস গুরুত্বপূর্ণ

    এই ম্যাচে টস যে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। উইকেট দেখে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘পরে যারা ব্যাট করবে, মহা চাপে পড়বে।’ কয়েক দিন আগে এই ইডেনেই ভারতের বিরুদ্ধে ৮৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবের স্পিন সামলাতে ডানদিক-বাঁদিক খুঁজে পাননি কুইন্টন ডি’ককরা। সে দিক থেকে দেখলে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পার হাতে আজ তৈরি হতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। সাহায্য পাবেন ম্যাক্সওয়েলও।

    ম্যাড-ম্যাক্স শো

    বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে রয়েছেন ম্যাড-ম্যাক্স শো দেখার জন্য। ইডেন গার্ডেন্সের পিচ ব্যাটারদের জন্য খুবই ভালো। তবে স্পিনারদের জন্যও এই পিচে সুবিধা রয়েছে। পেসাররা এখান থেকে খুব বেশি সাহায্য পাবেন না। ব্যাটাররা সেট হয়ে গেলে তাদের রান করা থেকে আটকানো সহজ হবে না। যে দল টসে জিতবে সেই দল প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

    দক্ষিণ আফ্রিকা কখনও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেনি। হ্যান্সি ক্রোনিয়ে থেকে গ্রেম স্মিথ – অসাধারণ সব অধিনায়ক দুরন্ত সমস্ত দল নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ১৯৯৯ সালের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল অন্য়তম ফেভারিট প্রোটিয়াদের। যদিও এবার গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ইডেনের সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে আজ পণ্ড হলে, শুক্রবার রিজার্ভ ডে রয়েছে। আর দু’দিনই কোনও ভাবে খেলা না হলে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা লিগ টেবলে অজিদের থেকে এক ধাপ উপরে দুই নম্বরে থাকার সুবাদে ফাইনালে চলে যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে জেলবন্দি, তা বোধহয় ভুলেই গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)! তাই বালিশ-চাদরের পর এবার মন্ত্রিমশাই বায়না করছেন মোবাইল ফোনের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতার মোবাইলের আবদারে অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের একাংশের মতে, বন্দি হলেও, তিনি যে মন্ত্রী, জ্যোতিপ্রিয় বোধহয় তাই বোঝাতে চাইছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।

    পার্থর সঙ্গে দেখা করতে রাজি নন

    এই প্রেসিডেন্সি জেলেই বন্দি রয়েছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন পার্থ। তবে দলীয় এই সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে শোয়ার জন্য খাট পেয়েছেন পার্থ। আর মেঝেতে ঘুমোতে হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick)। প্রথম প্রথম তো রাতে ঘুমোতেই পারছিলেন না মন্ত্রী। এখন অবশ্য মানিয়ে নিয়েছেন পরিস্থিতির সঙ্গে।

    জ্যোতিপ্রিয়র আবদার 

    প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের সুপার জানান, মন্ত্রী কখনও মোবাইল ফোন চাইছেন, কখনও আবার চাইছেন বালিশ-চাদর। গত রবিবার জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী এসব দাবি করলেও, চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, দিব্যি সুস্থ রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয় প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে  ঢুকতে। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁকে রাখা হয় ওই ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে। জেলে ঢোকানোর সময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, “আমি এই সেলে থাকব? আমি রাজ্যের মন্ত্রী। জেল রাজ্য সরকারের আওতায়। আমি এই সেলে থাকব না। আমার শরীরের বাঁদিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাকে এসএসকেএমে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    শেষমেশ অনেক বোঝানোর পর তিনি ঢুকে পড়েন সেলে। মোবাইল ফোন পেতে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর নাম নেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রভাব খাটাতেই তিনি এটা করছেন বলে জেল সূত্রের খবর। তবে মন্ত্রীর এসব ‘কৌশল’ কাজে লাগেনি। মন্ত্রিমশাইকে দিন কাটাতে হচ্ছে মোবাইল ছাড়াই। জেল সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে ফের একপ্রস্ত নাটক করতে দেখা যায় সাত নম্বর সেলের বন্দিকে। রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে বলা হয় খাবার খেয়ে নিতে। প্রথমে রাজি হননি মন্ত্রিমশাই। শেষমেশ রাত আড়াইটে নাগাদ খাবার এবং ওষুধ খান জোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: অতি গভীর নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Update: অতি গভীর নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই শহরের আকাশে কালো মেঘ। এক ধাক্কায় কমেছে দিনের তাপমাত্রা। ইডেনের আকাশে ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে নিম্নচাপের মেঘ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষিপ্ত এবং হালকা বৃষ্টি চলতে পারে কলকাতায়। কারণ বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ ঘনিয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। আজ, ইডেনে রয়েছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। বৃষ্টির ফলে ব্যহত হতে পারে সেই ম্যাচ।

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন বেলা যত বাড়বে বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা ততই বাড়বে। দফায় দফায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুধু তাই নয়, উপকূলের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শনিবার পর্যন্ত উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভানা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর তা গতি পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর সকালে এটি ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে। এরপর উপকূল বরাবর বাংলাদেশের দিকে এগোবে। শনিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যের দিকে এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার পাথরঘাটা মাথাবেড়িয়া দিয়ে বরিশালের অভিমুখে যাবে। এর প্রভাবে ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মৎস্যজীবীদের উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    শহরে বৃষ্টির সতর্কতা

    বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ২৪ পরগনা কলকাতা হাওড়া হুগলি পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার কিছু অংশে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া, মুর্শিদাবাদে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। শুক্রবারও মেঘলা আকাশ ও দু এক পশলা হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৬ থেকে ৯০ শতাংশ। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষায় চিনকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। বর্তমানে ভারতে স্কুলের সংখ্যা চিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি (Niti Aayog Report)। সরকারি নীতির কারণে চিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি স্কুল। সেগুলিকে সচল রাখতে একটিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যটির সঙ্গে। কেউ কেউ আবার পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাচ্ছে।

    পাততাড়ি গোটাচ্ছে স্কুল

    জিনপিং সরকারের কঠোর নিয়ম, অতিমারি-উত্তর কালে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় সে দেশের স্কুলগুলির দশা বেহাল। স্কুল শিক্ষার বিষয়ে নীতি আয়োগের সর্বশেষ রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে এসব তথ্য। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকেও জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এক লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনা শিক্ষা ব্যবস্থার এক তৃতীয়াংশই ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলি। প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনা করত ৫ কোটি ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এই স্কুলগুলির সিংহভাগই হয় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, নয়তো একটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যটিকে।

    হা-পড়ুয়া দশা 

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে চিন ছেড়েছেন বহু বিদেশি। চিন-তাইওয়ান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরেও জিনপিংয়ের দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে থিতু হয়েছেন অনেকে। এসব কারণেও চিনে কমেছে বিদেশির সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ড্রাগনের দেশের বেসরকারি স্কুলগুলিতে। কারণ এই স্কুলগুলিতেই পড়ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা (Niti Aayog Report)। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে চিনকে পিছনে ফেললেও, ভারতের বহু অঙ্গরাজ্যের স্কুলগুলিরও হা-পড়ুয়া দশা। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনেরও কম শিক্ষার্থী রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দুর্বল পরিকাঠামো, প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষের অভাব সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুলগুলি। সেই কারণেই কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সমস্যার সমাধানে স্কুলগুলির একটিকে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভাবে দূর করা যেতে পারে হা-পড়ুয়া দশা। জাতীয় শিক্ষা নীতির সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে বড় দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Niti Aayog Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: হতাশ উইলিয়ামসন! সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল, বললেন রোহিত

    ICC World Cup 2023: হতাশ উইলিয়ামসন! সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল, বললেন রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৯৭ রান তুলেও জয়ের কড়ি জোগাড় করতে গিয়ে অনেক কালঘাম ছুটল ভারতীয় দলের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে যদিও শেষ হাসি হাসল টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে ‘মেন ইন ব্লু’। স্বাভাবিকভাবেই চওড়া হাসি অধিনায়ক রোহিত শর্মার মুখে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই মাঠে খেলে বড় হয়েছি। এখানে কখনওই স্বস্তিতে থাকা যায় না। আমরা জানতাম চাপ আসবে। আর তা মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ কিছু করতেই হতো। পরিকল্পনা মাফিক আমরা নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলিকে সঠিক সময়ে ব্যবহার করেছি। দলের প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছে। মহম্মদ শামি অনবদ্য। শ্রেয়সও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকাল। শুভমান গিল সাহসের সঙ্গে ব্যাট করছে। ও ভালো খেলার ফলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ হচ্ছে। বিরাট কোহলিকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ও এরকম একটা ম্যাচে মাইলস্টোন স্পর্শ করল। সব মিলিয়ে আমি খুশি। তবে আমাদের উপর একটা সময় প্রবল চাপ ছিল। সেটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তবে নিজেদের উপর আস্থা ছিল। বাকি ন’টা ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলে জিতেছি, সেটা আজও করার চেষ্টা করেছি সকলে। এটা যথেষ্ট স্বস্তির যে, আমাদের পরিকল্পনা সফল হচ্ছে।’

    কী বললেন রোহিত

    গত বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে নিউজিলান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও হারতে হয়েছিল কিউইদের কাছে। তাই একটা আশঙ্কা ছিল ভারতীয় সমর্থকদের মনে। তবে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য টিম ইন্ডিয়াকে থামাতে পারেনি কেন উইলিয়ামসনের দল। তবে তাঁদের চোয়ালচাপা লড়াই প্রশংসীত হয়েছে সব মহলে। রোহিত বলেন, ‘মিচেল(ড্যারিল) এবং উইলিয়ামসন (কেন) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমরা ওই সময়টা ধৈর্য্য রেখেছি। দর্শকরাও সেই সময়ে কার্যত নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল। আর এটাই খেলাটার বৈশিষ্ট্য। আমরা জানতাম আমাদেরকে কিছু একটা স্পেশাল পারফরম্যান্স করতেই হবে। আমরা সবকিছু চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। তবে শামি এদিন অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছেন বল হাতে।’

    কী বললেন উইলিয়ামসন

    অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘প্রথমত, ভারতকে অভিনন্দন। তারা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে, এবং সম্ভবত তারা আজ রাতে তাদের সেরা খেলাটি খেলেছে। লড়াই করার জন্য ছেলেদের কৃতিত্ব দেব। সেমিতে হেরে ছিটকে যাওয়াটা হতাশাজনক, কিন্তু গত সাত সপ্তাহ ধরে যে প্রচেষ্টা চলছে তার জন্য অত্যন্ত গর্বিত আমরা। আমাদের দল এই প্রতিযোগিতায় ভাল খেলেছে।’

    শ্রেয়সের প্রশংসা

    ব্যাটারদের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, “আমাদের প্রথম ৫-৬ ব্যাটার বেশ ভালো খেলেছে। ফলে বড় রান করেছে ভারতীয় দল। এই টু্র্নামেন্টে আইয়ার (শ্রেয়স) তা খেলেছে তাতে আমি ভীষন খুশি। প্রথমদিকে গিল দারুন ব্যাট করেছে। এদিন স্বাভাবিকভাবেই অনবদ্য ব্যাটিং করেছে কোহলি। সে মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সবমিলিয়ে আমাদের ব্যাটিংটা খুব ভালো হয়েছে। ইংল্যান্ডের ম্যাচেও আমরা মাত্র ২৩০ রান করেছিলাম। আমাদের বোলাররা ওই ম্যাচে প্রথম থেকেই উইকেট তুলে নিয়ে আমাদেরকে ম্যাচ জিতিয়েছিল। এদিনও ওরা তাই করেছে। আমি এটা বলব না যে আজ আমাদের চাপ ছিল না। তবে চাপ সামলে ছেলেরা অনবদ্য খেলেছে। আগের নটা ম্যা চে আমরা যা করেছি এই ম্যাচেও এক কাজ করেছি। সৌভাগ্যবশত আজ সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হয়েছে।”

  • Amherst Street PS: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    Amherst Street PS: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশ লক-আপে মৃত্যু ঘিরে উত্তাল শহর কলকাতা। থানার মধ্যে পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার (Amherst Street PS) পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ওঠে সিবিআই তদন্তের দাবি। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করেছে বিজেপি। থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ঘটনার সময় থানায় কর্মরত পুলিশকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার।

    চোরাই ফোন কেনায় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। বুধবার, ফোন চুরির একটি তদন্তে ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি ২০০ টাকা দিয়ে একটি ফোন কিনেছিলেন অশোক। সেই নিয়ে থানা (Amherst Street PS) থেকে ফোন করা হয় তাঁকে। বলা হয়, ফোনটি চুরির ফোন। গতকাল থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। সেই সময় বছর বেয়াল্লিশের অশোকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, থানার ভেতরে অশেককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই ব্যক্তি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

    কী জানাচ্ছে মৃতের পরিবার?

    পরিবার সূত্রে খবর, বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানায় যান অশোক। কিছু ক্ষণ পরই থানায় পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে থানার মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর পরিবারের লোকজন। মৃতের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল বলেও অভিযোগ। পুলিশের তরফেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অশোককে মৃত (Death In Police Station) বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের প্রশ্ন, থানায় ঢোকার আগে পর্যন্ত দিব্যি সুস্থ ছিলেন অশোক। ভিতরে ঢুকে কী করে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি? অশোকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলে। তাঁদের দাবি, ঘটনার সিবিআই তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।

    ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানার ওসি সহ ডিউটিরত পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। রাতে থানার সমানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, মৃত অশোক কুমার সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারের কোনও হাসপাতালে না করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত যে কোনও হাসপাতালে করতে হবে৷ তাঁর দাবি কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

    রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে, নিউটাউনে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের কাজকর্ম ক্রমশ খুব বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই পুলিশকে নিয়ে চিন্তা আছে। সিপিএম আমলে পুলিশকে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন গোটাটাই পুলিশ করছে। তৃণমূল পার্টি বলে কিছু নেই। পুলিশ টাকা তুলে দিচ্ছে। বিরোধীদের ঠান্ডা করছে। ফলে তাদের ওপর কোনও কন্ট্রোল নেই। যেখানে গণপ্রহারে লোক মরছে সেখানে পুলিশের দেখা নেই। যেখানে গুলি চলছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছে, পুলিশ নির্বিকার।  আর এখানে, কার মোবাইল চুরি হয়েছে, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই লোককে ডেকে থানায় পিটিয়ে মেরে (Death In Police Station) ফেলা হচ্ছে। এর পিছনে কী রহস্য? তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মানুষ ভয়ে আছে। দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচতে মানুষ পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ যদি এরকম অত্যাচার করে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’’

    খতিয়ে দেখছে লালবাজার

    এদিকে, এই ঘটনায় খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক৷ এছাড়া ওই ঘটনার সময় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার (Amherst Street PS) অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ-সহ যে ক’জন পুলিশকর্মী থানায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার৷ তাঁদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করবেন পুলিশ কর্তারা৷ ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং থানায় ডাকার যে আইনি নিয়ম রয়েছে, তা এক্ষেত্রে মানা হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের তদন্তকারী আধিকারিকরা (Death In Police Station)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Cricket: অধিনায়কের পদ ছাড়লেন বাবর! টি-টোয়েন্টি, টেস্টে দুই নেতার নাম ঘোষণা পিসিবি-র

    Pakistan Cricket: অধিনায়কের পদ ছাড়লেন বাবর! টি-টোয়েন্টি, টেস্টে দুই নেতার নাম ঘোষণা পিসিবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়েই নেতৃত্ব ছাড়লেন পাকিস্তানের ক্রিকেট অধিনায়ক বাবর আজম। বাবরের সেই ঘোষণার ৯৩ মিনিট পর সমাজমাধ্যমেই নতুন অধিনায়কদের নাম জানিয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। টেস্টে অধিনায়ক করা হল শান মাসুদকে। এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়কের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর করা হয়েছে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মহম্মদ হাফিজকে। 

    কী বললেন বাবর

    সমাজমাধ্যমে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন বাবর। তিনি লিখেছিলেন, “তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলব। নতুন অধিনায়ককে সব রকম সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব তাঁর সঙ্গে।” বাবরের দেখানো পথেই চলার অঙ্গীকার নিলেন টিমে তাঁর বিপরীত মেরুতে থাকা বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি।

    আইসিসি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তান দলের সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ। ভারতের  মাটিতে লজ্জাজনক পরাজয়েরই খেসারত দিলেন বাবর। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল দুঃখ ভরা পোস্ট করেছেন তিনি৷

    বাবর আজম লিখেছেন, ‘‘আমার এখনও মনে আছে যখন আমি ২০১৯ সালে পিসিবি থেকে ডাক পেয়েছিলাম,  যে আপনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। আমি গত ৪ বছরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল সবসময় দলের জন্য আরও ভাল পারফর্ম করা এবং এটিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। ওডিআই ক্রিকেটে এক নম্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছানো পুরো দলের একটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা ছিল। এর পিছনে ছিল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের পুরো পরিশ্রম।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: বিরাট-মঞ্চে নায়ক শামি! সেঞ্চুরি ম্যাচে, রেকর্ডের বন্যা বাংলার পেসারের

    ICC World Cup 2023: বিরাট-মঞ্চে নায়ক শামি! সেঞ্চুরি ম্যাচে, রেকর্ডের বন্যা বাংলার পেসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঞ্চটা ছিল বিরাট কোহলির। হঠাতই স্পট-লাইট ঘুরে গেল মহম্মদ শামির দিকে। এদিনও বিরাট, শ্রেয়সকে টপকে তিনিই ম্যাচের সেরা হলেন। বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে ৪৮ বছরের পুরনো রেকর্ড এক লহমায় ভেঙে দিলেন বাংলার তারকা পেসার। ৯.৫ ওভার বল করে ৫৭ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট দখল করেন। আর কোনও ভারতীয় বোলার কখনও একটি ওয়ান ডে ম্যাচে ৭টি উইকেট নিতে পারেননি। সুতরাং, ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের হয়ে সর্বকালের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স মেলে ধরলেন শামি। শুধু দেশের ক্রিকেট ভক্তরা নন, অভিনন্দন বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    শামির একাধিক নজির

    দেশের হয়ে এদিন ছিল শামির ১০০তম এক দিনের ম্যাচ। এদিনই একাধিক নজির গড়লেন বাংলার জোরে বোলার। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জীবনের সেরা বোলিংও করলেন নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। নিজের দক্ষতায় স্মরণীয় করে রাখলেন শততম এক দিনের ম্যাচ। ভারতের প্রথম বোলার হিসাবে এক দিনের বিশ্বকাপে ৫০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন শামি। কেন উইলিয়ামসনকে আউট করে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে ১৭টি ম্যাচ লাগল শামির। এটিও একটি নজির। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে ৫০ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে শামিই দ্রুততম। এর আগে রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের দখলে। তিনি ১৯টি ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন। 

    এ বার বিশ্বকাপে ছ’টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এই নিয়ে বিশ্বকাপে চতুর্থ বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি। যা বিশ্বে আর কোনও বোলারের নেই। জাহির খান এবং জাভাগল শ্রীনাথকে টপকে বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন শামি। তাঁদের ৪৪টি করে উইকেট রয়েছে বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালের পর বিশ্বকাপে শামির উইকেট সংখ্যা হল ৫৪। 

    আরও পড়ুন: শামির সাত উইকেট, কোহলি-শ্রেয়সের শতরান! ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    কী বললেন শামি

    এদিন খেলা শেষ শামি বলেন, “আমি এই বিশ্বকাপে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। শুরুতে যখন বসেছিলাম, সেইসময় খারাপ লাগত। মনে মনে ভেবেছি সুযোগ এলে জান লড়িয়ে দেব। ঠিক তাই হয়েছে। আমি সবসময় বলি বোলিংয়ে সময়জ্ঞানটাই বড় কথা। যতই বলের কারিকুরি করো না কেন, সময়টাই বড় কথা। ওর ফাঁদে পড়েই আউট হয়ে যায় ব্যাটাররা।” দলের জয়ে নিজের অবদান রাখতে পেরে শামি বলেন, “কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করে এতটা খারাপ লাগছিল যে রোহিত ভাইকে বলেছিলাম বলে কিছু একটা করব। অধিনায়ক ভরসা রাখায় আমার কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: শামির সাত উইকেট, কোহলি-শ্রেয়সের শতরান! ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    ICC ODI World Cup 2023: শামির সাত উইকেট, কোহলি-শ্রেয়সের শতরান! ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ২০১১ সালের পর ২০২৩ সালে ফাইনাল খেলবে ভারত। ১২ বছর আগে যে মাঠে ট্রফি জিতেছিল ধোনির ভারত, সেখানেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল রোহিত ব্রিগেড। বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার শুরু করেছিলেন, শেষটা করলেন মহম্মদ শামি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার। তাদের ব্যাটে ভর করে ভারত করে ৩৯৭ রান। ম্যাচের একটা সময় নিউজিল্যান্ড সেই রান ভালই তাড়া করছিল। একা হাতে তা রুখে দিলেন শামি। একাই নিলেন ৭টা উইকেট। ৭ বল বাকি থাকতে ৭০ রানে জিতল টিম ইন্ডিয়া। ৩২৭ রানে গুটিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

    অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি

    কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ইতিহাসের হাতছানি রোহিতের সামনে। শেষবার নিউজিল্যান্ডের কাছেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। চার বছর আগের বদলা নিল ভারত। একই সঙ্গে দশে দশ। টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার নজির গড়ল রোহিতরা। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি রোহিতদের সামনে। এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। বিরাট ও শ্রেয়সের শতরানে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে ভারত।

    সেরা শামি

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ৩০ রানে প্রথম আউট ডেভন কনওয়ে। তিনি ১৩ রান করে ফেরেন। শামির বলে আউট হন তিনি। এরপর ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনিও করেন ১৩ রান। ইনিংসের হাল ধরেন ড্যারিল মিশেল ও কেন উইলিয়ামসন। এই জুটি করে ১৮১ রান। এটাই অনেকটা এগিয়ে দেয় কিউইদের। এই জুটিকে ভাঙেন শামি। তিনি ফেরান কেন উইলিয়ামসনকে। এই দুটো ঘণ্টা যেন উৎকণ্ঠার প্রহর গিয়েছে ভারতবাসীর মধ্যে। ভারতক ম্যাচে ফেরান শামি। বল হাতে বাংলার পেসার নেন সাতটা উইকেট। একটা করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব। ম্যাচের সেরা হন মহম্মদ শামি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share