Blog

  • Lunar Eclipse 2023: আজ কোজাগরী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে, কতক্ষণ চলবে?

    Lunar Eclipse 2023: আজ কোজাগরী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে, কতক্ষণ চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কোজাগরী পুজোর দিন হতে চলেছে বছরের দ্বিতীয় তথা শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023)। বছরের আজ পূর্ণিমা, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। সূর্যগ্রহণের পর ঠিক ১৪ দিনের মাথায়, আজকের দিনেই হতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ যেখানে দিগন্ত রেখার উপরে থাকবে, সেখানেই এই গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলা সহ কলকাতা থেকেও দেখা যাবে চাঁদের এই গ্রহণ। 

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে (Lunar Eclipse 2023)?

    এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ, ওশেনিয়া, আন্টার্কটিকা এবং রাশিয়ায় এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের বেশিরভাগ শহর থেকেই লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে, চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023) দৃশ্যের দেখা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে এবছর সবথেকে বড় গ্রহণের সময়। এখানে চাঁদ, দিগন্তের প্রায় ৬২ ডিগ্রি উপরে থাকবে।

    কোন সময়ে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে?

    ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব (Lunar Eclipse 2023) শুরু হবে শনিবার রাত ১১টা বেজে ২৯ মিনিটে এবং গ্রহণ চলবে ২টো ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ভারতে চন্দ্রগ্রহণের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে রাত ১টা ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময়ে। এই সময় চাঁদের ১২ শতাংশ, পৃথিবীর ছায়ার দ্বারা ঢাকা পড়বে।

    কেন হয় চন্দ্রগ্রহণ?

    পূর্ণিমার তিথিতে হয় চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023)। পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে, ঠিক তেমনিই চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। এই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একটি সরল রেখায় অবস্থান করে। ফলে, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছালেও, চাঁদে পৌঁছায় না। আবার সূর্যের আলোতেই চাঁদ এবং পৃথিবী আলোকিত হয়। সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত না পৌঁছে, পৃথিবীর দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়লে, চাঁদ সাময়িক ভাবে ঢাকা পড়ে যায়। জ্যোর্তিবিজ্ঞানে একেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে ২৮ শে অক্টোবর পূর্ণগ্রহণ নয়, চাঁদের আংশিক গ্রহণ হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Puja: হিন্দুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই লক্ষ্মীপুজোয় সামিল হন মুসলিমরাও, কোথায় জানেন?

    Lakshmi Puja: হিন্দুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই লক্ষ্মীপুজোয় সামিল হন মুসলিমরাও, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো। তাই গ্রামের মানুষ অপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja) জন্য। আর এই লক্ষ্মী পুজোতে আত্মীয়-স্বজনের ভরে ওঠে প্রতিটি বাড়ি। লক্ষ্মীপুজোয় সামিল হন হিন্দু-মুসলিম সকলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুরের সোদিয়াল গ্রামের বাসিন্দারা এই পুজোকে কেন্দ্র করে সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছেন। হিন্দু মুসলিম উভয় পাড়ার মানুষরা মিলিয়ে লক্ষ্মীপুজো করেন সুন্দরবনের এই গ্রামে।

    লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা (Lakshmi Puja)

    এই গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, বেড়ে ওঠা। গ্রামে সেভাবে দুর্গাপুজো হয় না। তাই গ্রামের মানুষ একসাথে মিলে লক্ষ্মী পুজো (Lakshmi Puja) করেন। এবারের লক্ষ্মীপুজোয় লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। আর এই প্রতিমাকে ঘিরে গ্রামের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে পুজো কটা দিন আনন্দ করেন। পুজোর মণ্ডপ সজ্জা,মণ্ডপ তৈরি করা, চাঁদা তোলা উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে হাত রেখে কাজ করেন, তাই পুজোর সময় উভয় সম্প্রদায়ের বাড়িতে আত্মীয়রা আসেন, এই পুজো উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানও হয়। এমনই সম্প্রীতির পুজো নিয়ে গর্বিত এলাকাবাসী।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    পুজো কমিটির সভাপতি  বাপি হালদার বলেন, আমাদের গ্রামে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja) এবার ১৭ বছরে পা রাখল। এখানে কোনও দুর্গা পুজো সে ভাবে হয় না। তাই লক্ষ্মী পুজো জাঁকজমকভাবে করা হয়। এবারের পুজোয় প্রতিমাতে বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সেই সঙ্গে হোগলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মণের শক্তিশেল। মণ্ডপের চারিদিকে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে উড়িষ্যার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা তাম্বিচ আহমেদ বলেন, এই গ্রামের ঐতিহ্য হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে থাকেন। পুজোকে ঘিরে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। আত্মীয়স্বজন সমস্ত বাড়ি আসে পুজোর দিন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষার জন্য এই পুজো বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Para Asian Games 2023: এশিয়াডের মঞ্চে ফের পদকের সেঞ্চুরি! ভারতীয় অ্যাথলিটদের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    Para Asian Games 2023: এশিয়াডের মঞ্চে ফের পদকের সেঞ্চুরি! ভারতীয় অ্যাথলিটদের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারা এশিয়ান গেমসেও নতুন নজির সৃষ্টি করলেন বিশেষভাবে সক্ষম ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এশিয়াডের মঞ্চে আবারও সেঞ্চুরি ভারতের।  শনিবার সকালেই পদক তালিকায় শতক স্পর্শ করে ফেলল ভারত। ভারতীয় অ্যাথলিটদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। । প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে ভারতীয় অ্যাথলিটদের এই সাফল্য প্রশংসা পেয়েছে সব মহলে। 

    শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    ভারতের ১০০টি পদকের তালিকায় রয়েছে ২৬টি সোনা, ২৯টি রুপো ও ৪৫টি ব্রোঞ্জ। ভারত এই মুহূর্তে পদক তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। শততম পদক জয়ের পরই ভারতীয় অ্যাথলিটদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল সাইটে তিনি লিখেছেন, “এশিয়ান প্যারা গেমসে ১০০ পদক! আমাদের কাছে দারুন আনন্দের মুহূর্ত। এই সাফল্য আমাদের ক্রীড়াবিদদের মেধা, কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের ফল। এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য আমাদের হৃদয়কে গর্বিত করেছে।’ একইসঙ্গে মোদি লিখেছেন, “আমি আমাদের অবিশ্বাস্য অ্যাথলিট, কোচ এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা পুরো সাপোর্ট স্টাফদের আমার গভীর প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সাফল্য দেশের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। এগুলি প্রমাণ করে দেয় যে, আমাদের যুবসম্প্রদায়ের জন্য কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।”

    ভারত ১০০টি পদক পাওয়ায় শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এবারের প্যারা এশিয়ান গেমস নতুন উচ্চতায় উঠছে! ১০০টি পদক, সাহসিকতা এবং সেরা পারফরম্যান্সের প্রমাণ। অভিনন্দন জানাই প্রত্যেক চ্যাম্পিয়নকে যারা এই ঐতিহাসিক পদক অর্জন করতে সম্ভব হয়েছে।’ শেষবার ২০১৮ সালে ভারত প্যারা এশিয়ান গেমস থেকে ৭২টি পদক জিতেছি‌ল। এবার নতুন ইতিহাসও সৃষ্টি করলেন ভারতীয়রা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Bharat: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Bharat: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হয়েছে পঁচাত্তর বছর আগে। এখনও গায়ে লেগে রয়েছে ঔপনিবেসিকতার তকমা। দেশের নাম রয়ে গিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। দেশের গা থেকে ঔপনিবেসিকতার তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিচয় হিসেবে লেখা ছিল ‘ভারত’ (Bharat)। শুধু তাই নয়, ওই সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেজন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রণপত্র। সেখানেও ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছিল ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।  

    ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেশের নাম ‘ভারত’

    এসব নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে মোদি সরকার যে দেশের নাম ‘ভারত’ই (Bharat) চাইছেন, তার প্রমাণ মিলেছিল সেদিনই। আগামিদিনেও যে দেশের নাম ‘ভারত’ চাইছে মোদি সরকার, ফের প্রমাণ মিলল তার। রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবের ওপর সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দিন কয়েক আগে রেলের তরফে সরকারের কাছে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার তাতেই সিলমোহর দেয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, এভাবেই ধাপে ধাপে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    সরকার পক্ষের যুক্তি 

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই কারণেই দেশের নাম ‘ভারত’ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিরোধীদের মতে, এটা মোদি সরকারের কাছে শাঁখের করাতের মতো। কারণ দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’, আবার বিরোধী জোটের নামও ‘ইন্ডিয়া’। তাই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ করার তোড়জোড়। তাঁদের কটাক্ষ, জোটের নাম ‘ভারত’ করা হলে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ করা হবে। যদিও সরকার পক্ষের পাল্টা যুক্তি, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ একই। তাই মন্ত্রিসভায় পেশ করা প্রস্তাবনার ইংরেজি নথিতে ‘ভারত’ থাকায় কোনও ত্রুটি নেই।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    বাদ-বিসম্বাদের এই আবহে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’কে মুছে ফেলে তার জায়গায় ‘ভারত’ (Bharat) করার সুপারিশ করেছে এনসিইআরটি। সেই চর্চা চলতে চলতেই রেলের নথি থেকে থেকে মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’। নয়া নাম হল ‘ভারত’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Scam: রাত ১২টার পর ঘোরে খেলা, তার জেরেই কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বালু!

    Ration Distribution Scam: রাত ১২টার পর ঘোরে খেলা, তার জেরেই কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বালু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে চলেছিল তল্লাশি। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নাগাড়ে জেরাও করেছিলেন ইডির তদন্তকারী (Ration Distribution Scam) আধিকারিকরা। ইডির জেরায় উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা বারবার অসলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন বলে ইডি সূত্রে খরব। তার পরেও রাজ্যের বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ইডির আধিকারিকরা।

    জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি

    এভাবেই মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যায়। তখনও ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এর আগে অবশ্য মন্ত্রীমশাইয়ের আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানেই মেলে বেশ কিছু তথ্য। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ফের শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। ইডি আধিকারিকদের দাবি, এই পর্বেও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হলে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী কখনও জানান তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনতেন না, কখনও আবার বলেন, চিনতেন, তবে ঘনিষ্ঠ নন। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়ে এই পয়েন্টেই জোর দেন তদন্তকারীরা।

    কাকভোরে গ্রেফতার

    তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন, বাকিবুরের এই সম্পত্তি থেকে শুরু করে এই দুর্নীতির সমস্ত কাজ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানতেন এবং তাঁকেই সমস্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেনেবুঝেই। যদিও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জানান, এ রকম কোনও বিষয় (Ration Distribution Scam) নেই। এর পরেই জ্যোতিপ্রিয় যে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন, তা জানানো হয় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলায় গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। ততক্ষণে ডেকে উঠেছে ভোরের কাক। প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। এদিনই আদালতে তোলা হলে জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের অন্তত ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে নামে-বেনামে-আত্মীয়দের নামে। তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা সাদা করতেই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। নিউ টাউন, রাজারহাট মায় পার্কস্ট্রিটেও তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে একাধিক পানশালা, হোটেল। সম্পত্তি রয়েছে বিদেশেও (Ration Distribution Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: বালুর স্ত্রীর বিদেশযাত্রার টিকিট কাটেন বাকিবুর! দাবি ইডির

    Jyotipriya Mallick: বালুর স্ত্রীর বিদেশযাত্রার টিকিট কাটেন বাকিবুর! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) পরিবারের বিদেশ সফরের টিকিট কেটেছিলেন বাকিবুর রহমান। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রীয়ের মরিশাস, আমেরিকা ঘোরার টিকিটের খরচ দিয়েছেন বাকিবুর। সূত্রের খবর, বাকিবুর ও ট্রাভেল এজেন্টের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও ইডির হাতে এসেছে। বাকিবুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। 

    ইডির হাতে গুরুত্বপূর্ণ নথি

    রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় পুজোর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তথা চালকল-আটাকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে। বাকিবুরের গ্রেফতারির পর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিদেশ সফরের খরচ দিয়েছিলেন বাকিবুর রহমান। গ্রেফতার ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। এদিন ইডি আদালতে দাবি করে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা ও বাকিবুরের স্ত্রীর একসঙ্গে মরিসাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো টিকিটও কাটা হয়। টিকিট কাটেন বাকিবুর রহমান। সেই নথি রয়েছে ইডির হাতে। এমনকী ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে বাকিবুরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি ইডির। টিকিট যে কাটা হয়েছিল তা মেনে নেন জ্যোতিপ্রিয়। 

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়ের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩টি ভুয়ো সংস্থায় জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সদস্য ছিলেন। ইডি জানিয়েছে যে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick)  স্ত্রী ও মেয়ে প্রথমে স্বীকার করতে চাননি যে গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমি়টেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড ও শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এর পরই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই তিন কোম্পানির স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। ইডির দাবি তখন আর তাঁদের অস্বীকার করার উপায় ছিল না। তবে মনিদীপা মল্লিক ও প্রিয়দর্শিনী গোটা দায় জ্যোতিপ্রিয়র কনফিডেনশিয়াল অ্যাসিসট্যান্ট অজয় দে-র উপর চাপিয়ে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Scam: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    Ration Distribution Scam: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গো-খাদ্য খেল লালু, আর মানুষের খাদ্য খেল বালু।” রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আশঙ্কা, “যেহেতু ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের, তাই এঁদের হত্যাও করা হতে পারে।”

    দিলীপের আশঙ্কা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, এই বাকিবুরের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের। জ্যোতিপ্রিয়কে বাকিবুরের মুখোমুখি বসিয়ে ইডি জেরা করতে পারে বলেও সূত্রের খবর। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। তার পরেই উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতাকে নিশানা করলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “যেটা আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের, সেই জন্য এঁদের হত্যাও করা হতে পারে।”

    ‘দিল্লিতে ভাল থাকবেন’

    মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জেল সুরক্ষিত নয়, হাসপাতালও সুরক্ষিত নয়। সেজন্য আমরা বারবার বলেছিলাম, আর তার জন্য আনা হয়েছে একজনকে, পার্থবাবুকেও নিয়ে আসা হোক, ওঁকেও নিয়ে (Ration Distribution Scam) আসা হোক, সকলকেই এখানে ভাল ব্যবস্থায় থাকুন, সুস্থ থাকবেন। দিল্লির আবহাওয়া ভাল।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “যে ধরনের জীবনযাপন করতেন (জ্যোতিপ্রিয়), সেইভাবে তো আর হবে না। তবে যে একটা স্লোগান ছিল, এখন পাল্টে গিয়েছে। যব তক সিঙাড়া মে আলু হ্যায়, তব তক বিহার মে লালু হ্যায়। আমাদের এখানে এখন পাল্টে হয়েছে, গো-খাদ্য খেল লালু, আর মানুষের খাদ্য খেল বালু।”

    আরও পড়ুুন: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়ের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়র পিএকেও তলব করেছে ইডি। তাঁর বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশিও। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “এখন অনেক কিছু দেখতে হবে। কত পিএ, কত চামচা, কত টাকা, কীভাবে লুঠ (Ration Distribution Scam) হয়েছে। যে মুরগি কাটতো, সে এখন ডেলিভারি বয়, যে কয়লা বিক্রি করতো, সে এখন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। যে মাগুর মাছ বিক্রি করতো, সে এখন ৫৫০ কোটি টাকার মালিক। এরাই তো আজ পশ্চিমবঙ্গের নেতা। পশ্চিমবাংলাকে এই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    Jyotipriya Mallick: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটবন্দির সময়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু মল্লিকের স্ত্রী মনিদীপা ও তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্যাশ জমা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। শুক্রবার আদালতে এই দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ, ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার মালিক। তার স্ত্রী মণিদীপা ২ কোটি ৩০ লাখ ৭১ হাজার ৭০৮ টাকার মালিক। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আয়

    ইলেকশন কমিশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আয় ছিল বার্ষিক ২ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ টাকা। পরবর্তী অর্থ বর্ষ অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তার বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লাখ ৯৮ হাজার ১৪৮ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪০ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় ছিল ৪০ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টাকা।জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপার ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১১ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৬০ টাকা। এক্ষেত্রেও তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৫৫ টাকা।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী ও মেয়ের অ্যাকাউন্ট 

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়ের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেল আদালতে পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুটি অ্যাকাউন্টই রয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কে। একটি অ্যাকাউন্ট মনিদীপা মল্লিকের নামে। অন্য অ্যাকাউন্টটি প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের নামে। নোটবন্দি হয়েছিল ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। ইডি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর আইডিবিআই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্যাশ তথা নগদ জমা হয়েছে ৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক মাসেই জমা পড়েছে নগদ ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। নভেম্বর মাসে নোটবন্দি হয়েছিল। ওই এক মাসেই প্রিয়দর্শিনীর অ্যাকাউন্টে ক্যাশে এই টাকা জমা পড়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • ICC ODI World Cup 2023: শীর্ষে প্রোটিয়ারা! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    ICC ODI World Cup 2023: শীর্ষে প্রোটিয়ারা! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই এই ম্যাচে ১ উইকেটে হেরে পাকিস্তানের সামনে সেমিফাইনালের (ICC ODI World Cup 2023) দরজা যে বন্ধ হয়ে গেল, তা বলা যেই পারে। পাকিস্তানের হাতে আর লিগ পর্বে তিনটে ম্য়াচ পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তাদের শেষ চারে উঠতে হয়, তাহলে বিশাল রান রেটে শুধুমাত্র এই তিনটে ম্যাচ জিতলেই হবে না, বাকী দলগুলোর জয়-পরাজয়ের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।

    কারা শেষ চারে

    আপাতত পয়েন্ট টেবিলের পরিস্থিতি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং নিউ জিল্যান্ড খুব সহজেই সেমিফাইনালের জায়গা পাকা করে ফেলতে পারবে। বাকী থাকল চতুর্থ স্থান। এই জায়গাটার জন্যই প্রত্যেকটা দল লড়াই করছে। পাকিস্তানকে এখন যদি সেমিতে উঠতে হয়, তাহলে বাকী ম্যাচগুলো বড় রান রেটে জেতার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার ফলাফলের দিকে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। 

    ম্যাচের সেরা শামসি

    এ দিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। এদিনও ব্যর্থ পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। ৩৮ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে। হাল ধরেন বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু দুজনেই শুরুটা ভাল করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। অর্ধশতরান করেন বাবর। পাকিস্তানের রান আড়াইশোর গণ্ডি পেরল,সাউদ শাকিল এবং শাদাব খানের জন্য। ষষ্ঠ উইকেটে শাকিলের সঙ্গে শাদাবের ৮৪ রানের জুটি পাকিস্তানকে মোটামুটি একটা ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেয়। শাকিল অর্ধশতরান করেন। 

    পাকিস্তানের ২৭১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৫ রানের দরকার ছিল মার্কব়্যামদের। আর শেষ উইকেটের আশায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। তবে শেষ হাসি হাসলেন শামসিরাই। যখন ৯ উইকেট হারিয়ে চড়চড়িয়ে বাড়ছে প্রোটিয়াদের স্নায়ুর চাপের পারদ, তখন ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ জেতালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেশব মহারাজ ও শামসি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শামসির শিকার বাবর আজম, ইফতিকার আহমেদ, শাউদ শাকিল ও শাহিন আফ্রিদি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। দলকে সাফল্য় এনে দিতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি শামসি। ম্য়াচ শেষে  তিনি বলেন, “আমাকে এটা করতেই হত। অনেকসময় আমাদের হাতে কিছু থাকে না। আজকে ভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে আমার। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চার রান করলাম। দলকে জেতাতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। ”

    আরও পড়ুন: ছুঁয়ে দেখছেন না মাছ-মাংস! বিশ্বকাপে নিজেকে ফিট রাখতে কী খাচ্ছেন বিরাট?

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে

    এই জয়ের ফলে ভারতকে টপকে এখন পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মতোই তাদের ১০ পয়েন্ট হলেও রান রেট ২.০৩২। ভারতের থেকে অনেকটাই বেশি। এই জয়ের পিছনে কাণ্ডারি একজনই। তিনি কেশব মহারাজ। ৪১তম ওভারে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন এডেন মার্করাম ৯১ রানে ফিরে গেলেন, তখন কার্যত খাদের কিনারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর কোনও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার ক্রিজে ছিলেন না। হাতে প্রচুর বল ছিল, কিন্তু বাকি ২১টি রান তোলার মতো ব্যাটারের অভাব ছিল। সেখান থেকে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন মহারাজ, লুনগি এনগিডি এবং তাবরেইজ শামসি। দলকে শেষ হাসি হাসালেন তাঁরাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mullick: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    Jyotipriya Mullick: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Distribution Scam) মামলায় শুক্রবার বিচারক ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশের পরই আদলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mullick) । বর্তমান বনমন্ত্রী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তবে, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হবে হাসপাতাল থেকে মন্ত্রীমশাই ছাড়া পাওয়ার পর থেকে। যে কারণে, জ্যোতিপ্রিয়র অসুস্থতা ও চিকিৎসার ওপর কড়া নজর রেখেছে ইডি।

    নির্দেশ শুনেই অসুস্থ বালু

    রেশন বণ্টন দুর্নীতির (Ration Distribution Scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mullick) ওরফে বালুর বাড়ির দুয়ারে হাজির হয়েছিল ইডি। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোর পৌনে তিনটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। পরে, শুক্রবার বেলায় শারীরিক পরীক্ষার পর দুপুরে মন্ত্রীমশাইকে পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। আদালত জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। তবে এর মধ্যেই আচমকা অসুস্থ বোধ করায় জ্যোতিপ্রিয়কে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় কিছুক্ষণের জন্য শুনানিতে ছেদ পড়ে। এদিকে, বিচারকের কাছে ইডি আবেদন করে যাতে হাসপাতালে মন্ত্রীর থাকার সময় যাতে হেফাজতের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তা মেনে, আদালত জানিয়ে দেয় যে, হাসপাতালে যতদিন মন্ত্রী থাকবেন, সেটা হেফাজতের মধ্যে ধরা হবে না। অর্থাৎ, হেফাজতের মেয়াদ শুরু হবে মন্ত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই।

    স্থিতিশীল জ্যোতিপ্রিয়

    বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mullick)। সিসিইউ-তে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। হাসপাতালে ভর্তির পরই জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ইন্টারনাল মেডিসিন, নিউরোলজি, কার্ডিওলজি এবং নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁর সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং রক্তের বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর তাঁর সিটি স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে। তবে, এখনও কিছুদিন সেখানে থাকতে হবে মন্ত্রীকে। 

    ইডি-র পছন্দ কমান্ড হাসপাতাল

    গতকাল আদালতে শুনানির সময় জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mullick) কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানোর আবেদন করেছিল ইডি। পরিবারের তরফে পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার আবেদন জানানো হয়। পরিবারের আবেদনই মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে, আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর অভিযুক্ত সুস্থ বোধ করলে তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাবে ইডি। সেই মুহূর্তেই কমান্ড হাসপাতালকে জ্যোতিপ্রিয়র জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। ঠিক এই কারণে, জ্যোতিপ্রিয়র অসুস্থতা ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ওপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মন্ত্রী একটু সুস্থ হলেই তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চাইছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share