Blog

  • Nobel Prize 2023: করোনার টিকা তৈরিতে বিশেষ অবদান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জয় ২ বিজ্ঞানীর

    Nobel Prize 2023: করোনার টিকা তৈরিতে বিশেষ অবদান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জয় ২ বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের গবেষণা সাহায্য করেছে কোভিডের এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে। তার জেরে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণার জন্যই এবার নোবেল পুরস্কার (Nobel prize 2023) পেলেন কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইসম্যান।

    কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইসম্যান

    কাতালিন কারিকো হাঙ্গেরির সেজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপকও। আর ড্রু ওয়াইসম্যান ভাকসিন গবেষণার অধ্যাপক ও পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনের ডিরেক্টর। এই টিকা নিয়ে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালান কাতালিয়া কারিকো এবং ড্রু ওয়াইসম্যান।

    চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদান

    সোমবার নোবেল (Nobel Prize 2023) কমিটির তরফে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে এমআরএনএ কীভাবে সাড়া দেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করেছে তাঁদের যুগান্তকারী অনুসন্ধান। বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি টিকা তৈরিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।

    নোবেল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, “পুরস্কার ঘোষণার আগে যখন আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন দুই বিজ্ঞানীই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে অভিভূত হন।” গত বছর মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো। ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা বাবা সুনে বার্গস্ট্রমও।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    নোবেল (Nobel Prize 2023) অ্যাসেম্বলির তরফে জানানো হয়েছে, কাতালিন ও ড্রুয়ের গবেষণার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে এমআরএনএর ঠিক কী সম্পর্ক, সেই ধারণাটিই বদলে গিয়েছে। ২০০৫ সালে এই দুই বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে তাঁদের গবেষণার ওপর নির্ভর করে তৈরি দুটি এমআরএনএ টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Virat Kohli: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মাঝপথে ছেড়ে আচমকা মুম্বই ফিরলেন বিরাট কোহলি! কেন?

    Virat Kohli: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মাঝপথে ছেড়ে আচমকা মুম্বই ফিরলেন বিরাট কোহলি! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পুরুষদের এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তার আগে রয়েছে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গুয়াহাটি উড়ে গিয়েছিল ভারতের বিশ্বকাপ দল। সেখানেই খবর আসে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অনুষ্কা অসুস্থ। তার পরেই জরুরি বিমানে মুম্বই উড়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম তারকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। অসুস্থ স্ত্রীর পাশে থাকতেই তিনি মুম্বই উড়ে গিয়েছেন বলে ভারতীয় টিম সূত্রে খবর।

    আসছে ভামিকার খেলার সঙ্গী!

    ২০১৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও অনুষ্কা শর্মা। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জন্ম হয় বিরাট ও অনুষ্কার মেয়ে ভামিকার। এখন ভামিকার বয়স আড়াই বছর। গত মাসেই শোনা গিয়েছিল অচিরেই আসছে ভামিকার খেলার সঙ্গী। সম্প্রতি একটি ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের বাইরেও দেখা যায় অনুষ্কাকে। তারপরেই জল্পনা জোরালো হয়। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই নাকি তিনি মুম্বই উড়ে গিয়েছেন বলে খবর।

    কবে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কোহলি?

    ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে শুধু টস হয়েছিল। বৃষ্টির জন্য খেলা হয়নি। এর পরেই গুয়াহাটি থেকে চাটার্ড ফ্লাইটে করে তিরুবনন্তপুরমে পৌঁছেছে ভারতীয় টিম। যদিও কোহলি যাননি। ভারতীয় টিম সূত্রে খবর, শীঘ্রই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কোহলি (Virat Kohli)।

    এদিকে, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আর একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। ২০১১ সালের পর আর বিশ্বকাপ জিততে পারনে ভারত। এবার ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে দল। তাই কোমর কষে মাঠে নামছেন রোহিত শর্মারা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। তার পর মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডস।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়! একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা পেতে দিল্লিতে বাস ভর্তি করে লোক নিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে সোমবার বিক্ষোভও দেখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই দাবিতে মঙ্গলবারও দিল্লিতে ধর্না দেবে তৃণমূল।

    সিবিআই চান গিরিরাজ

    এদিনই কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেকের। এহেন আবহে একশো দিনের কাজে টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ খোদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের। এজন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলায় একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা নিয়ে যখন অনুসন্ধান করা হয়, তখন অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করা হয়নি। তাঁর দাবি, এর পর যখন আধারের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হল, তখন দেখা গিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ জবকার্ডে হেরফের রয়েছে।

    ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু

    গিরিরাজ বলেন, “২৫ লাখ শ্রমিকের নামে টাকা ঘোরানো হয়েছে। এটা শুধু চুরিই নয়, গা জোয়ারিও। এখন তো মনে হচ্ছে, সময় এসে গিয়েছে এটার তদন্তভার আমাকে সিবিআইয়ের ওপর দিয়ে দিতে হবে। যেভাবে অনুসন্ধানে অসহযোগিতা মিলেছে, তার ওপর ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু… এটা অবশ্যই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও এদিন একহাত নিয়েছেন গিরিরাজ। বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, গরিবের লুট করা টাকা গরিবদের ফেরত দিন। ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়।” এতদসত্ত্বেও যে কেন্দ্র বার্ধক্য পেনশন, বিধবা পেনশন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রাখেনি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গিরিরাজ।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    তিনি বলেন, “গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সরকার ইউপিএর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি তহবিল (MGNREGA) বিনিয়োগ বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, সরকারের অন্যতম দারিদ্র মোচন কৌশল ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। মমতা সরকার এটি পছন্দ করছে না। সম্ভবত তাঁর রাজনীতি বাংলাকে দরিদ্র রাখতে চায়।” তিনি বলেন, “এটি একটি লুট, হত্যার সরকার। বাংলার মানুষের সামনে ওঁদের কোনও জবাবদিহিতা নেই। এঁরা আর্বান নকশালদের মতো ব্যবহার করেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mangalyaan 2: ১০ বছর পর ফের লাল গ্রহে যাচ্ছে ভারত, কবে পাড়ি দেবে ‘মঙ্গলযান ২’?

    Mangalyaan 2: ১০ বছর পর ফের লাল গ্রহে যাচ্ছে ভারত, কবে পাড়ি দেবে ‘মঙ্গলযান ২’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে ভারত। প্রথম অভিযানের প্রায় ১০ বছর পর লালগ্রহে পাঠানো হবে দ্বিতীয় মঙ্গলযান। জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। স্বভাবতই, এই মিশন তথা মহাকাশযানের নাম ‘মঙ্গলযান ২’ (Mangalyaan 2) রাখা হয়েছে। 

    ফের লাল গ্রহে অভিযান ভারতের

    চন্দ্রাভিযান, সূর্যাভিযানের পর শুক্রে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল ইসরো। এবার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফের একবার মঙ্গল অভিযানে (ISRO Mars Mission) যাচ্ছে ভারত। নয় বছর আগে প্রথমবার মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে অরবাইটার পাঠিয়েছিল ইসরো। জানা গিয়েছে, এবারও অরবাইটার (Mangalyaan 2) পাঠানো হবে। 

    চারটি পে-লোড থাকবে এবার

    ইসরোকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই অভিযানে ইসরো তাদের মহাকাশযানে (ISRO Mars Mission) মোট ৪টি পে-লোড পাঠাবে। এই পে-লোড মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা করবে। প্রথম পে-লোডের নাম মার্স অরবিট ডাস্ট এক্সপেরিমেন্ট (মডেক্স)। দ্বিতীয় পে-লোডের নাম রেডিয়ো অকালটেশন (আরও)। তৃতীয় পেলোড এনার্জেটিক আয়ন স্পেকট্রোমিটার (ইআইএস)। চতুর্থ পে-লোডটির নাম ল্যাংমিওর প্রোব অ্যান্ড ইলেকট্রিক ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট (এলপেক্স)।

    কী কাজ করবে ‘মঙ্গলযান ২’  (Mangalyaan 2)

    ইসরো সূত্রে খবর, একদিকে যেমন ধূলিকণা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। তেমনই লাল গ্রহের আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, প্রথম পে-লোডটি মঙ্গলের মাটি থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ধুলোর উৎপত্তি, ঘনত্ব, গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয় পেলোডের মাধ্যমে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ইলেকট্রন, নিউট্রনের ঘনত্ব পরিমাপ, বায়ুমণ্ডলের সার্বিক চরিত্র বিশ্লেষণ করা যাবে। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে সৌরশক্তি কণা এবং সুপার থার্মাল সৌরবায়ু কণা চিহ্নিত করার কাজ করবে তৃতীয় পে-লোড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্লাজমার পরিবেশ পর্যবেক্ষণের কাজ করবে চতুর্থ পে-লোড।

    দশম বর্ষপূর্তিতেই যাত্রা শুরু…! 

    ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইসরো মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে অরবাইটার পাঠিয়েছিল। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি মার্চের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। ছয় মাসের আয়ু থাকলেও টানা ৭ বছর অর্থাৎ, ২০২১ সাল অবধি মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরেছিল ওই অরবাইটার। এর পর জ্বালানি ফুরিয়ে যায় ‘মার্স অরবিটার মিশন’-এর (ISRO Mars Mission)। স্যাটেলাইটের ব্যাটারির শক্তিও শেষ হয়ে যায়। নিজের কর্মজীবনে মঙ্গলের কয়েক হাজার ছবি পাঠিয়েছিল প্রথম মঙ্গলযান। এবার ১০ বছর পর আবারও একটা মঙ্গলাভিযান (Mangalyaan 2) ভারতের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবারই দিল্লিতে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। এহেন আবহে শুভেন্দুর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দু উবাচ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ। ১০০ দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইউপিএ-এনডিএ আমলের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে মোদি সরকারের আমলে বাংলার জন্য বরাদ্দ অনেক বেশি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিংহকে।

    এমজিএনআরইজিএ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর জন্য। যদি ইউপিএ এবং এনডিএ শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া তহবিলের তুলনা করা হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট হবে যে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়িয়েছে। শুধু যদি এই টাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও প্রশাসন বাংলার গ্রামের মানুষের কাজে ঠিক মতো ব্যবহার করত…।”

    বঞ্চনা করেছেন মমতা 

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) দাবি, বাংলার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ বঞ্চনা করে থাকে তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই করেছে। শুভেন্দু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “ইউপিএ জমানায় এমজিএনআরইজিএতে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সেখানে এনডিএ সরকার এই প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াইতে ইউপিএ সরকার বরাদ্দ করেছিল ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা।” এদিকে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সুকান্ত দেখান খরচ করতে না পারায় কীভাবে দিল্লিতে ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ (Suvendu Adhikari)। মোদি জমানায় যে আগের চেয়ে বাংলার জন্য বরাদ্দ বেড়েছে, তাও দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত নাটক দিল্লিতে! ঘাসফুলের ব্যানারে এ (কু)নাট্যরঙ্গের কুশীলব অবশ্যই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সোমবার শুরু হওয়া এই নাট্যানুষ্ঠান (TMC Agitation) চলবে দু দিন ধরে। তৃণমূলের দাবি, একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশ্ন হল, কেন দিচ্ছে না? এক কথায় এর পাল্টা উত্তর পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বলা হয়েছে, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি পালন করলেই মিলবে টাকা!

    টাকা পাওয়ার শর্ত

    একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দেওয়ার আগে একটি শর্ত দিয়েছিল। সেটি হল, একশো দিনের যে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তার প্রতিটি পাই-পয়সা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা তো হচ্ছেই না, অথচ নেপোয় মারছে দই। এই নেপোদের ধরে ধরে জেলে ভরতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ, কেন্দ্রের সেই শর্ত না মেনে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে দিল্লি অভিযানে গিয়েছে তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের এই ঝাঁকের কইয়ের মাঝে রয়েছেন সেই কালপ্রিটরাও, যাঁরা জনগণের অর্থ ভোগ করছেন নির্লজ্জের মতো। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা জবাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

    কী অভিযোগ বিজেপির?

    বিজেপির অভিযোগ, গত বছর সেন্ট্রাল টিমের ভিজিটে (TMC Agitation) যে দুর্নীতিগুলো উঠে এসেছিল, তার রিকভারি অ্যামাউন্ট তারা ঠিক করে দিয়েছিল। কোনও পঞ্চায়েত এখনও সেই অর্থ জমা করেনি। আর্থমুভার দিয়ে পুকুর কাটিয়ে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে একশো দিনের কাজে। দলের পেটোয়া কর্মীদের নামে বানানো ওই মাস্টাররোল থেকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নামেই একশো দিনের কাজ। অভিযোগ, জবকার্ড হোল্ডারদের সিংহভাগই কাজ পেয়েছেন, কেউ ১০ দিন, কেউবা ২০ দিন, কেউ আবার ৩০ দিন। হাতে গোণা দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাঁরা একশো দিনই কাজ পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা। আধার জবকার্ড সিডিং হওয়ার আগে একই শ্রমিককে বিভিন্ন জব কার্ডে ঢুকিয়েও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পরিবারের একটি মাত্র জব কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে জবকার্ড তৈরি করে লুটে নেওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি হয়েছে টাকা। যেখানে কাজ (TMC Agitation) হয়েছে, সেখানে স্থায়ী ডিসপ্লে বোর্ড নেই। সেন্ট্রাল টিম রাজ্যে এলেই তড়িঘড়ি লাগানো হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। চাষযোগ্য জমিকে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে একশো দিনের কাজে। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জমির চরিত্র বদল করা হয়নি। একশো দিনের আইবিএস স্কিমগুলি কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভায় আলোচনা কিংবা বেনিফিশিয়ারি কমিটি তৈরি না করেই দলীয় কর্মীদের জায়গায় স্কিমগুলি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে যে কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কাররা কাজ করেন, তাঁদের কন্ট্রাক্ট পরের বছর পুনর্নবিকরণ না করার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন স্কিমে দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়। সর্বোপরি, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ডেভেলপমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের অপমান, মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, চোখ রাঙানি ইত্যাদি হাতিয়ার ব্যবহার করে তৈরি করতে বলেছেন শ্রম দিবস। এঁদের দিয়েই ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে এবং কর্মদিবস সৃষ্টি করে লুটে নেওয়া হয়েছে সরকারি অর্থ।

    এত অভিযোগ সত্ত্বেও (TMC Agitation) দলীয় কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসিয়ে ভোটের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর ফিকির কতটা কাজে দেবে, তা বলবে সময়। তবে দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর যে ফন্দি তৃণমূল কর্তারা এঁটেছেন, তাতে চমক আছে বইকি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার খোদ মৌচাকেই ঢিল মারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)! ‘মন্ত্রী এবং মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?’ প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এমতাবস্থায় রাজ্যপালের এহেন প্রশ্ন-বাণে বিব্রত রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃত অনেকের পরিবার পুরসভায় ফোন করেও মেয়রের খোঁজ পাচ্ছেন না।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “পুরসভায় ফোন করলে তাঁদের বলা হচ্ছে মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে খোঁজ নিলে বলা হচ্ছে, পুরমন্ত্রী কলকাতা পুরসভায় রয়েছেন। …রাজভবনের পিস রুমে এনিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। কলকাতায় মেয়র নিখোঁজ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন অনেকে।”

    কোন অঙ্কে মন্ত্রী-মেয়র পদে ফিরহাদ?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ। তৃণমূল নেত্রীর খুব কাছের (CV Ananda Bose) মানুষ হিসেবে পরিচিত। মুসলমান ভোট যাতে ঘাসফুলের ঝুলিতেই পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ফিরহাদকে করা হয় মন্ত্রী। আবার কলকাতা পুরসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজারের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। অতএব, ভোট কুড়োতে প্রয়োজন সংখ্যালঘু মুখের। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, সেই কারণেই ফিরহাদকে একই সঙ্গে বসানো হয়েছে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে।

    রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন একজন ব্যক্তি কীভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সামলাচ্ছেন? রাজ্যপালের প্রশ্ন, “এখানে কি অফিস অফ প্রফিটের কোনও বিষয় আছে?”  রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। যদিও ফিরহাদ জানান, তিনি এখন দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন। তিনি বলেন, “আমি কীভাবে মেয়র এবং মন্ত্রী তা আমার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেই হবে।”

    আরও পড়ুুন: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    শেষ বর্ষায় রাজ্যে (CV Ananda Bose) ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকাও। কলকাতায়ও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় মেয়র-মন্ত্রী গিয়েছেন তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে।

    জনসেবার চেয়ে পার্টিসেবাই অগ্রাধিকারের তালিকায় ঠাঁই পেল ফিরহাদের!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারদের জন্য সুখবর। যেসমস্ত চিকিৎসকরা কল্যাণী এইমসে সরকারি চাকরি করতে চান, তাঁরা খুব দ্রুত নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কল্যাণী এইমসে (AIIMS Kalyani) চিকিৎসক শূন্যপদ পূরণে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

    নিয়োগে যোগ্যতা

    এই শূন্য পদে যোগ্যতা (AIIMS Kalyani) হিসাবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোস্ট গ্রেজুয়েশন মেডিক্যাল ডিগ্রি হিসাবে এমডি, এমএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমডি, এমবিবিবিএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্নরাও আবেদন করতে পারবেন।

    কোন কোন বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে

    কল্যাণী এইমস (AIIMS Kalyani) বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গিয়েছে, এইমসের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পদে বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ করা হবে। তবে এই পদগুলি সব নন-অ্যাকাডেমিক পদ। যেসব বিভাগগুলোতে নিয়োগ করা হবে সেগুলো হল— রেডিওলজি, পালমোনারি মেডিসিন, ফিজিওলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিন, ডার্মাটোলজি, ইএনটি, ফরেন্সিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি, জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাইক্রোবায়োলজি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নোকোলজি, অপথ্যালমোলজি, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক্স, প্যাথোলজি, ফার্মাকোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন অ্যান্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক, ট্রমা অ্যান্ড এমারজেন্সি মেডিসিন, অ্যানাস্থেসিয়া এবং অ্যানাটমি। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি হলেও যোগ্যতা অনুসারে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

    বয়সসীমা এবং বেতন

    এই বিজ্ঞপ্তিতে (AIIMS Kalyani) বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। পদপ্রার্থীদের বেতনের ক্রম হবে ১৫৬০০ থেকে ৩৯১০০ প্রতি মাসে। সেই সঙ্গে গ্রেস পে হিসাবে অতিরিক্ত মিলবে আরও ৬৬০০ টাকা। একই ভাবে থাকবে অতিরিক্ত সুবিধা।

    আবেদন ফি এবং নিয়োগ পদ্ধিত

    এইমস কল্যাণীতে (AIIMS Kalyani) এনইএফটি-র মাধ্যমে ফি জমা করতে হবে। আবেদনের মূল্য ১০০০ টাকা। আবেদন করার পর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। আরও বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনে যে প্রার্থীদের আবেদন পত্রে উল্লিখিত বয়স, শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শংসাপত্র, ডকুমেন্ট সেলফ-অ্যাটেস্টেড কপি আনতে হবে সাক্ষাৎকারের দিন।

    কিভাবে আবেদন করবেন

    প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ একটি সিস্টেম জেনারেটেড হবে। এই রেজিস্ট্রেশনকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। নিয়োগ সাক্ষাৎকারের দিন ১৩ অক্টোবর এবং ১৪ অক্টোবর ২০২৩। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে  এবং আবেদনের শেষ তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৩।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share