Blog

  • Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে তাঁর অন্য দফতর চলবে না। এদিকে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাতা-দান-খয়রাতি করেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ধাক্কা খেতে খেতে ক্লান্ত আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হিসেবে নিজের বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    সম্প্রতি মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে সকলের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বকেয়া টাকা না দিয়ে মন্ত্রী, বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বর্ধিত ওই টাকা নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সরকারি নিয়মেই অন্যদের মতো শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বর্ধিত ওই বেতন। বেতন বৃদ্ধির ওই টাকা সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চকে (joint platform) দেওয়ার ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করতে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারীদের আইনি লড়াই করতে হচ্ছে। এজন্য অর্থও ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানাতেই বর্ধিত বেতন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।”

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    শুভেন্দুর সহযোগিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীদের যে ভাতা বাড়ানো হয়েছে তার বিরোধিতা আমরা করছি না। আমরা শুধু আমাদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকারটুকু চাই। রাজ্যে কোষাগার শূন্য, সরকারের তরফে আর্থিক কোনও রিপোর্টে সেকথা বলা হচ্ছে না। তবে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে এই সরকারের কোনও ডিসিপ্লিন নেই, আমরা চাই রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরানো হোক।” 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    শুভেন্দুর তোপ

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “ডিএ মামলা এখনও বিচারাধীন। আগেও কয়েকবার এই মঞ্চে এসেছি। কিন্তু কোনওদিন এঁদের বলিনি, আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক প্রচার করে সাহায্য করতে হবে। আমরা মনে করি, এই সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার বিষয়টি অন্য রাজ্য মেনে নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সেটা বুঝতে পারছে না। ‌এই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। শিক্ষা শেষ। আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অর্থ লাগে। এই রাজ্যে চাকরি নেই। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে এখানকার ছেলেমেয়েদের। পুরোটাই দোলাচল।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই প্রথম সিবিআই মামলায় পার্থর নামে এল চার্জশিটের অনুমোদন। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থর নামে চার্জশিটের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার আদালতে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    মন্ত্রীর ক্ষেত্রে চার্জশিট দেওয়ার নিয়ম

    এতদিন পর্যন্ত রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন পার্থ। মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তাই কোনও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কিংবা চার্জশিটে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের অনুমতির। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ওই চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের নাম রয়েছে। তাঁদের জন্য প্রয়োজন রাজ্য সরকারের অনুমোদন। সেই অনুমোদন চাওয়াও হয়েছে। যদিও মেলেনি। তাই ওই চার্জশিট আদালত গ্রহণ করবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে।

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডির গ্রেফতারির মাস কয়েক পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের। সেটা আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার দিলেন চার্জশিটে নাম দেওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমোদনও।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম যে হেভিওয়েট গ্রেফতার হন, তিনি হলেন পার্থ। তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সবান্ধব পার্থকে। প্রেসিডেন্সি জেলের আলাদা আলাদা সেলে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    কিছু দিন আগেই আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। তাঁর নাকতলার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। সেখানে অবাধে যাতায়াত করতেন দালালরা। গ্রুপ সি-র নিয়োগ তালিকা তৈরি হত সেখানেই। পরে তা চলে যেত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। যাঁরা টাকা দিতেন, তালিকাভুক্ত হত তাঁদের নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C-295 Airlifter: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?

    C-295 Airlifter: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতে পৌঁছল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার (C-295 Airlifter)। এধরনের ৫৬টি বিমান কিনছে ভারত। এর ফলে, এক ধাক্কায় ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ধার ও ভার অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এবার চিন-সীমান্তের মতো দুর্গম জায়গায় অতি সহজেই অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা। 

    চিন-সীমান্তে নিমেষেই পৌঁছে যাবে বাহিনী, অস্ত্র-রসদ

    দীর্ঘদিন ধরেই বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এবার ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) চলে আসায় অবশেষে বায়ুসেনার সেই সমস্যা আর থাকবে না। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

    ভদোদরায় পৌঁছল ‘সি-২৯৫’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, বুধবার গুজরাটের ভদোদরার বায়ুসেনাঘাঁটিতে স্পেন থেকে প্রথম বিমানটি এসে পৌঁছেছে। বাহরিন থেকে বিমানটি চালিয়ে নিয়ে এসেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন পিএস নেগি। গত ১৩ তারিখ, স্পেনের সেভিয়া শহরে একটি অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এবং স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ পট্টনায়েকের উপস্থিতিতে প্রথম ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) বিমানটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিয়েছিল বিমান নির্মাতা সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’। বায়ুসেনার (Indian Air Force) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির কাছে হিন্ডন বায়ুসেনাঘাঁটিতে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানটিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন।

    ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ কিনেছে বায়ুসেনা

    জানা গিয়েছে, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়।

    ‘সি-২৯৫’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্য

    বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার (C-295 Airlifter)। টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ বিমানের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছালো। কানাডা (Canada) থেকে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করল মোদি সরকার। যা জাস্টিন ট্রুডোর দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই খালিস্থানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এমন অবস্থায় সে দেশে ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা, পাল্টা এদেশে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশে ফিরিয়ে দেয় ভারত।

    ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, খালিস্থানি জঙ্গির হত্যা নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ করেছেন তারই জের এখন চলছে। আবার অন্য একটি মহলের মতে, কানাডা (Canada) খালিস্থানি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এবং সে দেশে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নানা নীল-নকশাও তৈরিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় সে দেশ থেকে খলিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। অথবা, কানাডার গোয়েন্দাদের সাধারণ বেশে ভারত আসার তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    এদিকে, কানাডা থেকে এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসার কথা ছিল। এই পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে। গতকাল কানাডার নাগরিকদের জন্য বিশেষ যাত্রা নির্দেশিকা জারি করে ট্রুডো প্রশাসন। সেখানে বলা হয়, ভারতে সন্ত্রাস হামলার শঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই ভারত যাত্রা এড়িয়ে চলুন। ভারতের এই পদক্ষেপ সেই নির্দেশিকার প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। 

    বন্ধ ভিসা পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, এই ভিসা পরিষেবা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে বন্ধ হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএলএস ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন কেন্দ্র তার ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    সোমবার ঠিক কী বলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?

    কানাডার (Canada) মাটিতে ভারত বিরোধী খালিস্থানে জঙ্গি নিজ্জার হত্যা নিয়ে  কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ট্রুডো বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে বিষয়টি উত্থাপিত করি আমি। কানাডার মাটিতে, কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুর নেপথ্যে বহির্দেশের যোগসূত্র পাওয়া গেলে, তাতে আমাদের সার্বভৌমিকতা লঙ্ঘিত হয়, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ প্রসঙ্গত, নিজ্জা ছিল ভারতের নিষিদ্ধ জঙ্গি। কানাডায় (Canada) তাকে খুন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও, ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিকের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল ইডি। এই মামলায় সিনেমা জগতের একজনের নামও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    কজন চিত্রতারকার নাম?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত চিত্রতারকাদের নাম ও তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই খতিয়ান জমা দেয় ইডি। একটি মুখবন্ধ খামে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “এতদিনে মাত্র একজনের নাম পেলেন?” ইডির আইনজীবী জানান, আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আরও একটু সময় দেওয়া হোক। 

    অভিষেক ও তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির হিসেব

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র নাম। এই কোম্পানির পদাধিকারীদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন ওই কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    এদিনের শুনানিতে ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইলের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে (Calcutta High Court) ইডির দাবি, হাইকোর্টে ১৬টি ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অফিসারদের বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে। তখনই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, “জিডি কেন করেছেন? এটা কোনও ক্রিমিনাল কেস নয়। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না আপনারা।” সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইডির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেবল একটা স্ক্যামের তদন্ত করছে পুলিশ। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “আশা করব আপনার অফিসাররা রাজ্যের সব কেসেই এমন সুপার অ্যাকটিভ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে এত উৎসাহী হওয়ার কারণ আছে কি?” ইডির আইনজীবী মন্তব্য, “আসলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিল!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    Dengue Update: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের শিশুকে রেখে চলে গেলেন মা। ডেঙ্গি (Dengue Update) কাড়ল জীবন। নাম পায়েল নন্দী। বয়স ৩৩। স্কুল শিক্ষিকা ওই তরুণী সদ্য মা হয়েছিলেন। খুশির আমেজ মধ্যেই জানা যায় ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, সন্তান প্রসবের তিন দিনের মাথায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হন তিনি। যাদবপুর থানা এলাকার ওই বাসিন্দাকে প্রথমে ভর্তি করা হয় মাতৃভবন হাসপাতালে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শহরের একটি বড় হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবারই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েকদিন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে মতিঝিল গার্লস হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। 

    তথ্য গোপন করছে সরকার

    রাজ্যে ডেঙ্গির  (WB Dengue Case) বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত। পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে এডিস ইজিপ্টাই। গত ৮ দিনে শহরে মৃত্যু হয়েছে ৫ ডেঙ্গি আক্রান্তের। সূত্রের খবর, এই নিয়ে চলতি বছরে ৩৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এল। যদিও সরকারি মতে, ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৩। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট কত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, সেই পরিসংখ্যান কিছুতেই সামনে আনছে না প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে, তথ্য গোপন করাই এখন এরাজ্যের জনস্বাস্থ্যের প্রোটোকল। চলতি বছরে রাজ্যে কোনও ভাবেই ডেঙ্গির প্রকৃত চিত্র জানানো হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, তথ্য গোপন করার প্রবণতাও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। ডেথ সার্টিফিকেটে বা বেসরকারি পরীক্ষাগারে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি না লেখার জন্য বহু জায়গায় অলিখিত নির্দেশ রয়েছে বলেও অভিযোগ। কোভিডের মতো কোমর্বিডিটির তত্ত্ব দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গি

    জুন মাসে রাজ্যে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৪, তা একলাফে বেড়ে ৩ হাজার ৭৭৮ হয় জুলাই মাসে। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত তা আরও বেড়ে হয় ২৪ হাজার ৭০৯। তার মধ্যে ১৭ হাজার নমুনা পজিটিভ বলে ধরা পড়ে সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে। বাকি ৭ হাজার ধরা পড়ে বেসরকারি ল্যাবে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৪০০ জন। চলতি বছরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০০। 

    আরও পড়ুন: উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস! শরতের শুরুতে কেন বৃষ্টি?

    ডেঙ্গি প্রবণ জেলা 

    ডেঙ্গি প্রবণ (Dengue Update) জেলা হিসাবে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। বেসরকারি মতে,  গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৯২৫ জন, নদিয়ায় ৩৯৬৯ জন, কলকাতায় ৩৪১৬ জন, মুর্শিদাবাদে ৩৪০৭ জন, হুগলিতে ২৬০০ জন, হাওড়ায় ১৪৬৮ জন, ঝাড়গ্রামে ১১১৭ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০১০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি জেলাগুলিতেও কম-বেশি আক্রান্ত রয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই ৩ থেকে ৫ হাজার করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর প্রশাসন নিরুত্তর। কেন? এত রাখঢাক কিসের? স্বাস্থ্যকর্তারাও মুখ খুলতে নারাজ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Medical Graduates: মোদি সরকারের বড় সাফল্য, ভারতের এমবিবিএস ডিগ্রি এবার বিদেশেও স্বীকৃত

    Medical Graduates: মোদি সরকারের বড় সাফল্য, ভারতের এমবিবিএস ডিগ্রি এবার বিদেশেও স্বীকৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়েই এবার আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে চিকিৎসা করতে পারবেন এদেশের ডাক্তাররা। মোদি জমানাতে এদেশের মেডিক্যাল ডিগ্রি (Medical Graduates) এভাবেই কার্যত আন্তর্জাতিকভাবে মান্যতা পেল। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান আন্তর্জাতিক মান্যতা পাওয়াতে এদেশের ডাক্তারি মহলে খুশির হাওয়া। জানা গিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনকে ১০ বছরের জন্য এই ছাড়পত্র দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশন। এক প্রেস বিবৃতিতে এই ছাড়পত্রের কথা জানিয়েছে মোদি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশে রয়েছে ৭০৬টি মেডিক্যাল কলেজ (Medical Graduates)। প্রতিটি কলেজই এই সুবিধা পাবে বলে জানা গিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক মান্যতা পেল ভারতের এমবিবিএস ডিগ্রি

    শুধুমাত্র ভারতীয় চিকিৎসকরা যে বিভিন্ন দেশে গিয়ে চিকিৎসা করতে পারবেন তাই নয়, এদেশে পাঠরত বিদেশি ডাক্তারি পড়ুয়ারাও (Medical Graduates) ভারতের ডিগ্রি নিয়ে তাদের নিজেদের দেশে চিকিৎসা করাতে পারবেন। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, আন্তর্জাতিকভাবে এমবিবিএস ডিগ্রির মান্যতা পাওয়াতে দেশের ডাক্তাররা যেমন অনেক সুবিধা পাবেন ঠিকই, একইভাবে এদেশের চিকিৎসা শিক্ষার (Medical Graduates) আরও মানোন্নয়ন হবে। বিদেশের চিকিৎসাশাস্ত্রের  বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় এবং ভারতের চিকিৎসা পদ্ধতিরও নানাদিকের মেলবন্ধন ঘটবে সহজেই।

    মোদি জমানায় নয়া উচ্চতায় দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় চিকিৎসা বিজ্ঞান এক নতুন উচ্চতা পৌঁছেছে। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ যেমন চালু হয়েছে তেমনি বেড়েছে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যখন কোনও দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medical Graduates) একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায় তখনই মেলে এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। অর্থাৎ এতেই বোঝা যাচ্ছে মোদি সরকারের আমলে বিপুল উন্নতি হয়েছে এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। উন্নতমানের চিকিৎসা শিক্ষা দেওয়াই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশনের মূল উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের এক আধিকারিক বলেন “ভারতে ডাক্তারি (Medical Graduates) শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে দেশের ডাক্তারি পড়ুয়ারা এখন থেকে বিদেশে গিয়েও উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসাও করাতে পারবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলির উর্দি গায়ে, মাথায় মোট নিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের ভরকেন্দ্র গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরিকে এই পোশাকে দেখে দিল্লির আনন্দ বিহার রেলস্টেশনের যাত্রীরা ভেবেছিলেন রাজনীতিতে পানি না পেয়ে এবার হয়তো সিনেমায় নামলেন রাহুল! তাঁদের সেই ভুল ভাঙল অচিরেই। যখন শুনলেন কুলিদের সমস্যার কথা শুনতে কুলি সেজেছেন রাহুল।

    ভোট কুড়োতে নানা রূপে রাহুল

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে চেষ্টার কসুর করছেন না রাহুল। নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে কখনও বাইক সারানোর কাজে লাগিয়েছেন হাত। কখনও আবার ট্রাক-চালকের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ভোট-বৈতরণী পার হতে হরিয়ানার সোনেপতে আবার খেতে নেমে চাষিদের সঙ্গে রুইয়েছিলেন ধানের চারাও। তাঁদেরই একজনের বাড়িতে সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজও। এসবের আগে করেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রা। এক কথায়, নির্বাচনের আগে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

    মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তায় সব ম্লান! 

    তবে এসব করে যে আদতে লাভের লাভ কিছু হবে, তা মানতে রাজি নয় কংগ্রেসেই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির পর্বত-প্রমাণ জনপ্রিয়তার কাছে এসবই বড্ড বেশি ম্লান। এই সস্তা রাজনীতি দিয়ে আর যাই হোক, নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা যে করা যায় না, তা বিলক্ষণ মানছেন তাঁরাও। এদিন সকালে ব্যস্ত রেল স্টেশনে কুলির পোশাকে রাহুলকে মোট বইতে দেখে খানিক হকচকিয়ে যান নিত্যযাত্রীরা। পরে ওঠে রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ ধ্বনি।

    এরকম শুটিং-মার্কা দৃশ্যে রাহুলকে অভিনয় করতে দেখে যারপরনাই খুশি কংগ্রেস। তবে নির্বাচনের আগে এতে যে আদতে ভোটারদের মন ভিজবে না, তা ভালোই জানে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, রাজধানীর বুকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জাঁক চমকে দিয়েছে বিশ্বনেতাদেরও। তার ঠিক আগে আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে মোদির ভারত। রচনা করেছে ইতিহাস। তার পর থেকে আরও বেশি করে ভারতকে সমীহ করতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশও। ভারতীয় অর্থনীতির রকেট-সম উত্থানেও চোখ কপালে উঠেছে তাদের। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার দশম স্থানে থাকা ভারত মোদি জমানায় জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চমে। এর ওপর রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল।

    আরও পড়ুুন: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    লোকসভায় পাশ হওয়া এই বিল সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক রদ সহ একাধিক সাফল্যও রয়েছে মোদির ঝুলিতে। সম্প্রতি জাস্টিন ট্রুডোর কানাডাকে পাটকেল ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আদতেই সিংহপুরুষ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এসবেরই প্রতিফলন পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। রাহুলের (Rahul Gandhi) সস্তা প্রচার নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rain Forecast: উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস! শরতের শুরুতে কেন বৃষ্টি?

    Rain Forecast: উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস! শরতের শুরুতে কেন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জোড়া ফলা কী কারণে এত বৃষ্টি ? শরতের শুরুতে কেন এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা? বর্ষাকালে সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। পুজোর আগে শেষ লগ্নে বর্ষার ঝড়ো স্পেলে ব্যহত জীবনযাত্রা। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মুষলধারায় বৃষ্টির জন্য খানাখন্দ ভরা শহরের রাস্তার হাল খারাপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টাও টানা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতেও।

    কেন অসময়ে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে এর বর্তমান অবস্থান। এটি এরপর ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে স্থলভাগের মধ্যে দিয়ে ঝাড়খন্ড অতিক্রম করবে। অন্যদিকে, মৌসুমী অক্ষরেখা রাঁচির উপর দিয়ে বাংলা ওড়িশা উপকূলের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরেই প্রবল বর্ষণের সম্ভাবন বঙ্গের একাংশে।

    ব্যহত জীবনযাত্রা

    পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই।  তার আগে বৃষ্টির ফলে বিঘ্ন ঘটছে পুজোর বাজারেও। মাসের শুরুতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠতে শুরু করেছিল পুজোর বাজার। কলকাতাতেও পুজোর বাজার নিয়ে দোকানদারদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। তার মধ্যে নিম্নচাপ হওয়ায় তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিক্রেতাদের কপালে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি না থামলে শনি, রবিবারও পুজোর বাজারে মন্দা দেখা দেবে মত হাতিবাগান-গড়িয়াহাটের ছোট ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টির ফলে  নীচু জায়গায় জমতে পারে জল।  দিনভর বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা বাসিন্দাদের মনে। রাস্তায়ও যানজট চোখে পড়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    কবে থেকে কমবে বৃষ্টি

    আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ২০, ২১ ও ২২ তারিখ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হলেও, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আজ ও আগামীকাল মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। আজ ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা  ৮৫ শতাংশ।

    উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত এরকমই থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির দাপট চলতে পারে সোমবার পর্যন্ত। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LIC: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    LIC: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিন্দকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি (LIC)! কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে মোদি সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে বলে নানা সময় বাজার গরম করার চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা। সস্তা জনপ্রিয়তায় ভর করে ভোট-বৈতরণী পার হতে লাভজনক এই সংস্থাকেই ধুঁকছে বলে দেগেও দিয়েছেন তাঁরা। এহেন এলআইসি লাভের কড়ির একটা অংশ তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের হাতে। এলআইসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি বৃহস্পতিবার ওই চেক তুলে দেন। যার অর্থমূল্য, ১,৮৩১.০৯ কোটি টাকা।

    ৬৭ পূর্ণ এলআইসির

    চলতি বছর ৬৭ পূর্ণ করল এলআইসি। ১৯৫৬ সালে মাত্র ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই সংস্থা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ এলআইসির সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৪০.৮১ লাখ কোটি টাকার লাইফ ফান্ডও। দু’দশক আগে ইন্স্যুরেন্স সেক্টর খোলে এলআইসি। তার পর থেকে ইন্স্যুরেন্সের সিংহভাগ বাজার রয়েছে এলআইসির পকেটে।

    এখনও দেশের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের জন্য ভরসা করেন এলআইসির ওপর। লাভের কড়ি সরকারকে দেওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি, নিজেদের হাতে থাকা সান ফার্মার দু’ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে এলআইসি। এজন্য এলআইসির হাতে এসেছে ৪,৬৯৯ কোটি টাকা।

    এলআইসি কর্মীদের জন্য সুখবর 

    এলআইসির (LIC) বাড়বাড়ন্তে খুশি কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এলআইসি এজেন্টদের গ্র্যাচুইটির সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে। এলআইসি কর্মীদের ৩০ শতাংশ হারে ফ্যামিলি পেনশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। পুনরায় নিযুক্ত হওয়া এলআইসি এজেন্টরা রিনিউয়াল কমিশনের সুবিধাও পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

    সংসদে নানা সময় এলআইসির প্রশংসা শোনা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। তিনি নিজেও টাকা রেখেছেন এলআইসিতে। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন দু’টি পলিসিতে। ২০১০ সালে তিনি একক প্রিমিয়াম বাবদ দিয়েছিলেন ৪৯,৬৬৫ টাকা। ২০১৩ সালে অন্য একটি পলিসিতে একক প্রিমিয়াম (LIC) বাবদ তিনি দিয়েছেন ১,৪০,৬৮২ টাকা।

    আরও পড়ুুন: স্পেনের পর ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share