Blog

  • Kurmi Agitation: আন্দোলনকে হাইকোর্ট বেআইনি বলতেই রেল অবরোধ স্থগিত কুড়মি সমাজের

    Kurmi Agitation: আন্দোলনকে হাইকোর্ট বেআইনি বলতেই রেল অবরোধ স্থগিত কুড়মি সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার রেল ও রাস্তা রোকো আন্দোলনকে (Kurmi Agitation)  বেআইনি ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই আন্দোলনের নামে জনজীবন স্তব্ধ করা আটকাতে পুরুলিয়া চেম্বার অব কমার্স-এর জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই আন্দোলনকে বেআইনি বলে জানায়। আদালতের নির্দেশ মিলতেই আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করে কুড়মি সমাজ।

    কুড়মি আন্দোলন (Kurmi Agitation) নিয়ে আদালত কী জানাল?

    আদালতের নির্দেশ, এই রেল ও রাস্তা রোকো কোনওভাবে সাংবিধানিক নয়। আন্দোলনের (Kurmi Agitation) নামে এভাবে রেল, রাস্তা বন্ধ করা যায় না। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে প্রয়োজনে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে পারবে রাজ্য। একই সঙ্গে, প্রয়োজনে প্রতিবেশী রাজ্যের থেকেও এলাকার নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপারে সাহায্য নেওয়া যাবে। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, আরপিএফ ও জিআরপিকে প্রয়োজনে ওই রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। জেলাগুলির গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আরও বাহিনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনওভাবে নাগরিকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না। এই রেল ও রাস্তা অবরোধ শুধু রাজ্যের পুরুলিয়া সহ চার-পাঁচটা জেলায় নয়, দুর্ভোগ বাড়ে প্রতিবেশী রাজ্যেরও। কোনও ভাবে এই নির্দেশ অমান্য করে রেল ও রাস্তা বন্ধের চেষ্টা হলে বা কোনও আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার পরিস্থিতি হলে সামাল দেওয়ার জন্য বাহিনী রাখতে হবে রাজ্যকে। তবে বল প্রয়োগ না করে কীভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেই ‘চেষ্টা করতে হবে রাজ্যকে।

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের চার জেলায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন (Kurmi Agitation) করতাম। অথচ জলকামান, বিশাল বাহিনী দিয়ে যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ। আমরা আপাতত অবরোধ কর্মসূচি এই রাজ্য থেকে তুলে নিচ্ছি। কিন্তু, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় যথারীতি কর্মসূচি পালন করব। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মানবাজারে কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

    দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে কী জানা গেল?

    কুড়মিদের আন্দোলন (Kurmi Agitation) হবে ধরে নিয়ে বুধবার ৭১টি ট্রেন বাতিল করার কথা জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। একইসঙ্গে পাঁচটি ট্রেন ঘুরপথে চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও কুড়মিদের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, যেসব ট্রেন বাতিল বা যাত্রা সংক্ষেপের কথা জানানো হয়েছিল, সেগুলি নির্ধারিত রুটে চলাচল করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: বধূ নির্যাতনের মামলায় মিলল জামিন, বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি পেলেন মহম্মদ শামি

    Mohammed Shami: বধূ নির্যাতনের মামলায় মিলল জামিন, বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি পেলেন মহম্মদ শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগেই মিলল স্বস্তি। মঙ্গলবার জামিন পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। জামিন পেয়েছেন তাঁর দাদা মহম্মদ হাসিমও। এদিন দাদাকে নিয়ে আলিপুর আদালতে হাজির হন শামি। আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের জামিন দেন বিচারক।

    জামিন পেলেন শামি

    ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। শামির আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, “শামি ও তাঁর দাদা হাসিম আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। ওঁরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।” ২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন হাসিন জাহান। সেই মামলাই চলছে। জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হওয়ায় শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেনি আদালত। তবে আদালত এও নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে সশরীরে আলাদতে আত্মসমর্পণ করে তিনি যেন জামিনের আবেদন করেন। সেই মতো এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শামি (Mohammed Shami)।

    চার্জশিট জমা পড়ার পর করণীয় 

    শামির আইনজীবী বলেন, “বধূ নির্যাতনের মামলায় চার্জশিট জমা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই মিথ্যা অভিযোগ ছিল। পুলিশ তদন্ত করে বাকি সব অভিযোগ বাদ দিয়ে কেবল বধূ নির্যাতনের ওপরে শামি ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা পড়লে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিন নিতে হয়। আজ আদালত শামিকে জামিন দিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সাথে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ শামি (Mohammed Shami) ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন হাসিন। পরের বছর ২৯ অগাস্ট শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আলিপুরের এসিজেএম কোর্ট। ওই বছরই ৯ সেপ্টেম্বর ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় আলিপুর জেলা দায়রা আদালত। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হাসিন। বিচারপতি শম্পা সরকার নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখলে হাসিন যান সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এক মাসের মধ্যে (Mohammed Shami) সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে দায়রা বিচারককে। তার পর থেকে চলছে শুনানি।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে বক্তব্য জমা দিতে আরও তিনদিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মঙ্গলবার বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, “আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। বুধবারের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে অভিষেককে।”

    বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি

    এদিন অবশ্য আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় হবে এই মামলার শুনানি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। তাই নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন তাঁর নেই।

    কী বলেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী? 

    প্রসঙ্গত, আদালতে (Calcutta High Court) অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে ইডি। বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এর আগেও একবার সমন পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কীভাবে ইডি নতুন করে সমন পাঠাতে পারে? সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। কেবল লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সওয়ালে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়, সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? ওই দিনই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পক্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে। তখনই সময় চান অভিষেক। যে সময় তাঁকে দেননি বিচারপতি (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। নাম না করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা, মাটি পাচারের টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূলে যোগদান করার জন্য জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল আর থাকবে না। যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। তৃণমূল বলে কিছুই থাকবে না। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা সব পাচার হচ্ছে। পাচারের টাকা যাচ্ছে কয়লা ভাইপোর কাছে। গত দেড় বছরে আমি এই জেলায় ১৭ বার এসেছি। তৃণমূলের কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা জেলের বাইরে থাকবে না। এই জেলায় কেষ্ট মণ্ডল নেই বটে, কিন্তু সবটাই পরিচালিত হচ্ছে কাজল শেখের মাধ্যমে। আর কাজল শেখের গুরু হলেন কয়লা ভাইপো। মানুষ বদলে গেলেও সিস্টেমটা একই রয়েছে। সরকারের ব্যবস্থা একই রকম ভাবে দুর্নীতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলায়। শাসক দলের নেতারা বারবার বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছে। শাসক দলের সঙ্গে রাজনীতির মতভেদ হলে, তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করছে বাড়িতে গিয়ে। তবে আমি সকলকে বলব, ব্যবস্থার বদল অবশ্যই ঘটবে।”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্যের শাসক দলের তীব্র হিংসার মধ্যেও আমরা আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা সিউড়িতে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন করছি, এটাও আমাদের বড় সাফল্য। আমাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে। চোখে চোখ রেখে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই জেলার সনাতনী হিন্দুদের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা বীরভূমের জেলা পরিষদের দফতরে যান, দেখবেন সেটা সরকারি দফতর না হজ হাউস, কিছুই বুঝতে পারবেন না।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: শেষ হল ৭ দিনের গুলির লড়াই, অনন্তনাগে খতম লস্কর কমান্ডার উজেইর খান

    Anantnag Encounter: শেষ হল ৭ দিনের গুলির লড়াই, অনন্তনাগে খতম লস্কর কমান্ডার উজেইর খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ (Anantnag Encounter)। ৭ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী গুলির লড়াইয়ের শেষে সাফল্য পেল ভারতীয় বাহিনী। অনন্তপুরে তিন অফিসার সহ চার জওয়ানের হত্যার বদলা নিল সেনা। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি-নেতা উজেইর খান। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার উজির খানকে নিকেশ করেছে সেনা। 

    শেষ গুলির লড়াই, তবে চলবে অভিযান

    এদিন সকালে কাশ্মীরের অনন্তনাগে ওই কুখ্যাত জঙ্গি নেতাকে খতম করা হয়েছে (Anantnag Encounter)। এর পাশাপাশি আরও এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে। যদিও তার দেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “লস্কর কমান্ডার উজেইরকে খতম করা হয়েছে। তার দেহ এবং বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তল্লাশি এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না। জঙ্গিরা সংখ্যায় ২-৩ জন ছিল মনে করা হচ্ছে। সব জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে কি না বা কোনও জঙ্গি ওই জঙ্গলে এখনও লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কিছু গোপন ডেরার হদিস মিলেছে ওই পাহাড়ে। সেগুলি ধ্বংস করার কাজ চলছে। ফলে, সংঘর্ষ শেষ হলেও তল্লাশি অভিযান চলবে।”

    গত বুধবার শুরু লড়াই, শহিদ চার জওয়ান

    অনন্তনাগে ভারতীয় সেনার এই অভিযান শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহের বুধবার। অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকার গাডোল অঞ্চলে কিছু জঙ্গি লুকিয়ে ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পান সেনা জওয়ানরা। সেই মতো শুরু হয় জঙ্গি নিধন অভিযান (Anantnag Encounter)। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াই শুরু হয়। এর মধ্যে, এই সংঘর্ষে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচাক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। পরে শুক্রবার, আরও এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। 

    অভিযানে নামানো হয়েছিল ড্রোন

    এর পরই, ব্যাপক অভিযানে নামে বাহিনী (Anantnag Encounter)। জঙ্গিদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযানে ড্রোনের সাহায্যও নেওয়া হয়েছিল। সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যতক্ষণ না সবকটা জঙ্গি খতম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান চলবে। এর সপ্তাহ শেষে মঙ্গলবার কুখ্যাত জঙ্গি নেতাকে খতম করলেন জওয়ানরা। এদিন এডিজি বলেন, ‘‘এখনও অনেকটা জায়গা তল্লাশি করা বাকি আছে। বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরক রাখা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেগুলিকে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হবে।’’ সাধারণ মানুষ যাতে ওই এলাকা থেকে আপাতত দূরে থাকেন, সেই পরামর্শও দিচ্ছেন অ্যাডিশনাল ডিজিপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যর কয়েকজন অনুগামী এখনও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার ওএমআর শিট দুর্নীতি নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জমিদারি ছিল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এখনও তাঁর অনুগামীরা হস্তক্ষেপ করছেন। ” তাঁরা সিবিআই-ইডির নজরদারিতে আছে বলে মত বিচারপতির।

    সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন

    এখনও ওএমআর শিট দুর্নীতির কেস ডায়েরি আনতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবারও সময় চায় তারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তদন্তকারীদের কাছে কেস ডায়েরি চান। কীভাবে ওএমআরশিট ডিজিটালাইজেশন হয় এ সম্পর্কে রিপোর্ট চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তদন্তকারীদের কাছে এটাও জানতে চান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তার ফল কী? মানিক ভট্টাচার্যের কথা রেকর্ড রাখা হয়েছে কি না, তাও জানতে চায় আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    সময় চায় সিবিআই

    উত্তরে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসেটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “যেহেতু এই মামলায় ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অন্য বিচারপতির (বিচারপতি অমৃতা সিনহা) এজলাসে চলে গিয়েছে।” তাই কেস ডায়েরি তারা কীভাবে দেবেন জানতে চায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতির মূল মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্য এজলাসে বিচারাধীন।  ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় কেস ডায়রি দেখতে সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি, মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই এফআইআর নম্বর আরসি সিক্সের অন্তর্ভুক্ত, জানায় সিবিআই। তখন বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নতুন নির্দেশ দিতে পারে। সিবিআই-এর এই দুশ্চিন্তা হতে পারে। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলায় তো কোন নির্দেশ নেই। তাহলে কেন এই মামলার কেস ডায়েরি তৈরি নেই?” এরপরই সিবিআই আদালতের কাছে একটু সময় চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
     

  • Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন চাঁদে যাচ্ছে, তখন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান।” কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি এক সময় শাসন করেছেন পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) আরও বলেন, “ভারত চাঁদে যাচ্ছে। ভারতে হয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। অথচ পাকিস্তান এক বিলিয়ন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে।”

    ‘পাকিস্তান ধার মেটাতে পারছে না’

    দেউলিয়া হতে বসা দশা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে বন্ধু দেশগুলির দোরে দোরে ঘুরছে পাক সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে নওয়াজ বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেজিং গিয়েছিলেন। আরব দেশগুলিতে গিয়েছিলেন। ভিক্ষের বাটি নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। ফান্ডের জন্য তিনি ভিক্ষে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান তার ধার মেটাতে পারছে না, এটা অত্যন্ত হতাশার।” পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ (Nawaz Sharif) ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে লন্ডনে নির্বাসিত রয়েছেন। সেখান থেকেই তোপ দাগেন পাক সরকারকে।

    শরিফের নিশানায় আর কারা?

    প্রাক্তন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআইয়ের তৎকালীন ডিজি তথা গুপ্তচরদের মাথা ফৈয়জ হামিদকেও আক্রমণ শানিয়েছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তানের মসনদে বসিয়েছিলেন এঁরাই।

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে চলতি বছরই। সে দেশের তদারকি সরকার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে সেনাবাহিনীর শিলমোহর মিললেই হবে নির্বাচন। সূত্রের খবর, এহেন পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন নওয়াজ। মাস কয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায়, দেশে ফিরতে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন নওয়াজ (Nawaz Sharif)। জল্পনার কারণ ছিল, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর লন্ডনে গিয়ে দেখা করেন নওয়াজের সঙ্গে। পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় দু’ জনের।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরের বছর ডিসেম্বরে আচমকাই লাহোরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বাড়িতে হাজির হন মোদি। মোদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও, পাকিস্তান অটল থাকে স্বধর্মে। মোদি পাকিস্তান ছেড়ে দেশের ফেরার দিন কয়েক পরেই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টিপাত (Weather Update)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,  বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবার রাঁচি থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হয়েছে। এই জোড়া নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার মিলিত ফলেই আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি (Weather Update) হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার বর্তমান অবস্থান ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছেই। অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতও যেমন হবে তেমন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতও দেখা যাবে। শুক্রবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিগত কয়েক দিনে নিম্নচাপের জেরেই বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দপফতর এরই মধ্যে জানিয়ে দিল আপাতত ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ। চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পূজা ও গণেশ পূজোটা বাঙালির বৃষ্টিতেই কেটে গেল।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এই সমস্ত জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং এ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গল ও বুধবার উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাত হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Reservation Bill: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Women’s Reservation Bill: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভগবান হয়তো নারীদের অধিকার দেওয়া ও ক্ষমতা দেওয়ার মতো পবিত্র কাজের জন্য আমাকে বেছে নিয়েছেন।” মঙ্গলবার নয়া সংসদ ভবনে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill) করতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিলটির নাম ‘নারী শক্তি বন্দন’। লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

    ‘ঈশ্বর আমাকে সুযোগ দিয়েছেন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদে আগেও আলোচনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ও প্রথম এবং তারপরেও কয়েকবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছে। কিন্তু তা পাশ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না। তাই বিষয়টি অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল। আজ ঈশ্বর আমাকে সুযোগ দিয়েছেন বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”

    তিনি বলেন, “আবারও আমাদের সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। গতকালই (সোমবার) মন্ত্রিসভা নারী সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে। নারী শক্তিকে নীতি প্রণয়নের সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। এর উদ্দেশ্য হল, লোকসভা ও বিধানসভায় নারীদের অংশগ্রহণ সম্প্রসারণ করা। এই বিল বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মহিলা জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই এই বিল (Women’s Reservation Bill)।”

    ‘একটি পবিত্র সূচনা’

    তিনি বলেন, “একটি পবিত্র সূচনা হচ্ছে, তারপর সর্বসম্মতিক্রমে আইন তৈরি হলে এর শক্তি বহুগুণ বেড়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খেলা থেকে স্বনির্ভর প্রকল্প বা স্টার্টআপ – বিশ্বের সব ক্ষেত্রেই দুনিয়া মহিলাদের অবদান দেখছে। দেশের বিকাশযাত্রায় নয়া স্বপ্ন ছুঁতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি। মহিলাদের নেতৃত্বেই উন্নয়নে জোর দিতে হবে। সব দেশের বিকাশযাত্রায় এমন এক মুহূর্ত আসে, যখন ওই দেশ গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, আজকের দিনে আমরা সবাই গর্বের ইতিহাস রচনা করেছি। নতুন ভবনের প্রথম অধিবেশনের প্রথম ভাষণে আমি গর্বের সঙ্গে বলছি, আজকের এই মুহূর্ত ইতিহাসে স্মরণীয় মুহূর্ত। আমাদের সবার কাছে এটা গর্বের।”

    তিনি বলেন, “আজ যখন মহিলারা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন, নেতৃত্বেই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? নীতি নির্ধারণে আমাদের দেশের মহিলা সমাজ আরও বেশি যোগদান করুন। এই বিল (Women’s Reservation Bill) আইনে পরিণত হলে আমাদের গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে।

  • Women’s Reservation Bill: লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, কী আছে এই বিলে? কবে থেকে কার্যকর?

    Women’s Reservation Bill: লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, কী আছে এই বিলে? কবে থেকে কার্যকর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনার পর নতুন সংসদ ভবনে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন। গত ২৭ বছর ধরে মহিলা সংরক্ষণ বিল আলোচনা হলেও, তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করার পক্ষে সওয়াল করেছে বিরোধী দলগুলি। এদিন লোকসভায় (Lok Sabha) মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ (Women’s Reservation Bill) করার পর বিজেপির মহিলা কর্মীরা আনন্দে মাতেন৷ 

    মহিলা সংরক্ষণ বিলে কী বলা হয়েছে 

    মহিলা সংরক্ষণ বিলের (Women’s Reservation Bill) অধীনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। বর্তমানে লোকসভায় ১৫ শতাংশ আসনে মহিলা সাংসদ রয়েছেন। এই বিলটি  সংসদে প্রথম পেশ হয় ১৯৯৬ সালে  ১২ সেপ্টেম্বর। পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে লোকসভায় ৭৮ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন।  ১৯৯৬ সালে এইচডি দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলা সংরক্ষণ বিল বাস্তবায়নের দাবি ওঠে। বিলটি সংসদে পেশ করার ব্যাপারে সহমতেও পৌঁছায় সরকার ও বিরোধী দলগুলি। কিন্তু বিলটি পেশ করার আগেই পতন হয় দেবগৌড়া সরকারের। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেও মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে পেশ নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা আটকে যায়। 

    আরও পড়ুন: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মহিলা সংরক্ষণ বিলে আসন সংখ্যা 

    যদি পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হয়, তাহলে লোকসভায় আসনসংখ্যা হল ৪২। অন্যদিকে বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৯৪। এই অবস্থায় এই বিল পাশ হলে, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন মহিলাদের (Women’s Reservation Bill) জন্য সংরক্ষিত হবে। আর বিধানসভার কথা ধরলে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ৯৮টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। যদি সারা দেশের কথা ধরা হয়, তাহলে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১৭৯টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। আর রাজ্য বিধানসভাগুলিতে ৪১২৩টি আসনের মধ্যে ১৩৬১টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

    মহিলা সংরক্ষণ বিল কবে থেকে কার্যকর

    মহিলা সংরক্ষণ বিলটি ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। ১৮০টি লোকসভা আসনে দ্বৈত সদস্যপদ থাকবে। এই আসনগুলির এক তৃতীয়াংশ তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ২০২৭-এর সীমানা নির্ধারণের পরে একই সংখ্যক আসন বৃদ্ধি করা হবে এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। সূত্রের খবর, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা করা হলেও, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনে বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share