Blog

  • Asia Cup 2023: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের আগেই ধাক্কা ভারতের অক্ষরের চোট! শেষ ম্যাচে জিতল বাংলাদেশ

    Asia Cup 2023: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের আগেই ধাক্কা ভারতের অক্ষরের চোট! শেষ ম্যাচে জিতল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে বড় ধাক্কা খেল ভারত। অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল চোট পেলেন। রবিবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে রোহিতরা। আইসিসি ট্রফির খরা কাটাতে মরিয়া ভারত। গত বছরের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়‌ন শ্রীলঙ্কা এইবারেও ঘরের মাঠে ট্রফি ধরে রাখতে মরিয়া। অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগে এই ট্রফি জিততে পারলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে‌ টিম ইন্ডিয়া। এদিন বাংলাদেশের কাছে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ৬ রানে হারে ভারত। ব্যাটে-বলে টানটান লড়াইয়ের পর শেষ রক্ষা করতে পারেননি রেহিতরা। বিফলে গেছে শুভমান গিলের অনবদ্য শতরান।

    অক্ষরের বদলে ওয়াশিংটন

    শুক্রবার সুপার ফোর পর্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচেই চোট পান অক্ষর। এই ম্যাচে অক্ষর ৪২ রান করেছিলেন এবং ১ উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতের বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার অক্ষর। যে কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর চোট নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইবে না। চোট পাওয়ার কারণে ফাইনালে অক্ষরের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায়, ওয়াশিংটন সুন্দরকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ওয়াশিংটনের অন্তর্ভুক্তি আশ্চর্যজনক নয়। কারণ শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইউনিটের টপ অর্ডারের শীর্ষে কয়েকজন বাঁ-হাতি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সুন্দরের অফ-ব্রেকগুলি কাজে আসবে এবং তাঁকে প্রথম পাওয়ারপ্লে ওভারগুলিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।  

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    চোটের কবলে থিকশানা

    অন্যদিকে ফাইনালের আগে স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কাও। সুপার ফোরের ম্যাচে দাসুন শনাকার দলের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে কাবু হয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মাহিশ থিকশানা। চেন্নাই সুপার কিংসের অফ স্পিনারকে ফাইনালে পাবে না শ্রীলঙ্কা। তাঁর ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে। শনিবার ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা এই খবর জানিয়েছে।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন থিকশানা। এশিয়া কাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ১০টি উইকেট পেয়েছেন থিকশানা। তিনিই এখন সাদা বলের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার প্রধান স্পিনার। স্বাভাবিক ভাবেই ফাইনালে তাঁকে না পাওয়া গত বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের জন্য বড় ক্ষতি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anantnag Encounter: বাক্সবন্দি বাবার দেহ! কর্নেল মনপ্রীত সিংকে ‘স্যালুট’ ৬ বছরের ছেলের, নকল করল বোন

    Anantnag Encounter: বাক্সবন্দি বাবার দেহ! কর্নেল মনপ্রীত সিংকে ‘স্যালুট’ ৬ বছরের ছেলের, নকল করল বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরনে জলপাই উর্দি। পাশে দাঁড়িয়ে ছোট বোন। দাদাকে নকলের চেষ্টা করছে। একজনের বয়স ৬, অন্যজনের ২। দাদা-বোন কারও বোঝার ক্ষমতা তেমন হয়নি। বাড়ির সামনে রাখা আছে তাদের বাবার দেহ! সবাই কাঁদছেন, কিন্তু দুই ছেলেমেয়ের চোখে কোনও জল নেই। তারা বুঝতেই পারছে না ‘বাবা নেই’! এত লোক দেখে কিছুটা ভয় চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল তাদের। তবে থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে ঠিক বাবার দেহের কাছে গিয়ে টানটান ‘স্যালুট’ জানাল ৬ বছরের ছেলে। জন্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে (Anantnag Encounter) সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির তুমুল লড়াইয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের যে  ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদেরই একজন কর্নেল মনপ্রীত সিং (Colonel Manpreet Singh)। শুক্রবার, পঞ্জাবের মোহালি জেলার মুল্লানপুরের গ্রামের বাড়িতে কর্নেল সিংয়ের দেহ এসে পৌঁছয়। ভিড়ে ভেঙে পড়ে এলাকা। 

    ‘শান্তিপূর্ণ’ জায়গায় পোস্টিং নেননি কর্নেল

    জঙ্গি দমনে বিভিন্ন অভিযানে যেতেই পছন্দ করতেন কর্নেল সিং। তাই এককথায় ‘পিস পোস্টিং’-এর সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। তাঁর একটাই কথা, সন্ত্রাসবাদীদের ধরে ধরে খতম করবেন। পদোন্নতি পেয়েও ‘শান্তিপূর্ণ’ জায়গায় পোস্টিং নিয়ে চলে যাননি কর্নেল সিং। ভারতীয় সেনার ১৯ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল ছিলেন মনপ্রীত। এই ব্যাটালিয়ন হিজবুল মুজাহিদিনের পোস্টার বয় বুরহান ওয়ানি সহ একাধিক হাই প্রোফাইল জঙ্গি নিধনের কান্ডারি। সেইসব অভিযানে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বছর চল্লিশের কর্নেল সিং। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন সেনা মেডেলও।

    আরও পড়ুন: এদেশেই গোপনে গড়ে উঠেছে আইসিস-এর প্রশিক্ষণ শিবির! ৩০টি জায়গায় হানা এনআইএ-র

    ছেলেকে দেখে রাখার আর্জি

    অনন্তনাগ এনকাউন্টারে জখম হয়েছিলেন ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট হুমায়ুন ভাট। এরপর তিনি নিজেই স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন বলে খবর। বলেন, “মনে হচ্ছে আর বাঁচব না। যদি আমি মারা যাই আমাদের ছেলেকে তুমি দেখ…। ” এই শেষ কথা। তারপর সব শেষ। স্ত্রী ফতিমার সঙ্গে গত বছরই বিয়ে হয়েছিল হুমায়ুন ভাটের। মাত্র ২৯ দিন আগে তাঁদের পুত্র সন্তান হয়েছিল। স্ত্রী, সন্তানকে বাড়িতে রেখে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন দেশ রক্ষায়। কর্তব্যের প্রতি অবিচল। গত ১০ সেপ্টেম্বর কোকেরনাগ এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান (Anantnag Encounter) চালানোর সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুড়েছিল মনপ্রীত সিং ও তাঁর বাহিনীর জওয়ানদের উপর। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় কর্নেল সিং ও তাঁর সঙ্গী মেজর আশিস ধনচাকেরও। পানিপথের বিনঝোল গ্রামের বাসিন্দা আশিসের দেহও এদিন এসে পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। হাজার হাজার শোকার্ত মানুষের ভিড় জমেছিল মেজরের বাড়ির সামনে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: এদেশেই গোপনে গড়ে উঠেছে আইসিস-এর প্রশিক্ষণ শিবির! ৩০টি জায়গায় হানা এনআইএ-র

    NIA Raid: এদেশেই গোপনে গড়ে উঠেছে আইসিস-এর প্রশিক্ষণ শিবির! ৩০টি জায়গায় হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবার অলক্ষ্যে ভারতের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ইসলামিক স্টেটের আস্তানা! সেখানে গোপন চালানো হচ্ছে প্রশিক্ষণ শিবির! নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল থেকেই বিশাল অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। একযোগে তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানার প্রায় ৩০টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল (NIA Raid)। 

    দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার আইএস-এর বড় মাথা!

    বৃহস্পতিবার, ওঁৎ পেতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর এক বড় মাথাকে। এনআইএ সূত্রের খবর, আরাফত আলি নামে ওই জঙ্গি ওইদিন বিকেলেই কেনিয়ার নাইরোবি থেকে ভারতে আসে। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অন্যতম চক্রী আরাফত আলি। এবারেও ভারতে নাশকতা করার পরিকল্পনা করে দিল্লিতে আসে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    ৩০ জায়গায় একসঙ্গে অভিযানে এনআইএ

    এনআইএ সূত্রে খবর, আরাফত আলিকে দফায় দফায় জেরা করে প্রচুর তথ্য পান গোয়েন্দারা। এনআইএ জানতে পারে, এদেশে গোপনে চলছে আইএস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। আরও জানা যায়, ওই শিবিরেই যাওয়ার কথা ছিল আরাফতের। এর পর সময় নষ্ট না করে অভিযানে নেমে পড়ে এনআইএ-র একাধিক টিম (NIA Raid)। 

    আরাফতের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ শিবিরের খোঁজে এদিন সকাল থেকে তামিলনাড়ুর চেন্নাই, কোয়েম্বত্তুরে হানা দেন এনআইএ আধিকারিকরা। এদিন তামিলনাড়ুর ২৫টি জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনআইএ দল। এর মধ্যে কোয়েম্বত্তুরের ২১টি জায়গা, চেন্নাইয়ের ৩টি, তেনকাসির একটি জায়গা রয়েছে। এর পাশাপাশি, তেলঙ্গানা রাজ্যের অন্তর্গত হায়গরাবাদের পাঁচচি জায়গাতেও হানা দেয় এনআইএ (NIA Raid)। 

    জোড়া বিস্ফোরণে যোগসাজস

    এর আগে, কোয়েম্বত্তুর বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চলতি মাসের গোড়ায় চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ নাবীল নামে আরও এক ব্যক্তিকে। এনআইএ-র অনুমান, আইএস-এর ত্রিশূর মডেলের সদস্য হল এই সৈয়দ। এর আগে, গত মার্চ মাসে ভয়েস অব খোরাসান নামে ওই সংগঠনের এক মুখপত্রে আইএস-এর তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল যে দক্ষিণ ভারতে আইএস জঙ্গির অস্তিত্ব রয়েছে। তারা এও দাবি করে, কোয়েম্বত্তুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে তাদের হাত রয়েছে। যে কারণে, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিকে খুঁজে বের করা খুবই জরুরি বলে মনে করছে এনআইএ (NIA Raid)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নারী সশক্তিকরণে জোর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে, দেশজুড়ে শুরু মহিলা সম্মেলন

    RSS: নারী সশক্তিকরণে জোর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে, দেশজুড়ে শুরু মহিলা সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী সশক্তিকরণে জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। শনিবার পুণেতে সমন্বয় বৈঠক শেষে  সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সঙ্ঘ নেতা মনমোহন বৈদ্য। প্রসঙ্গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক, এদিন তা শেষ হয়। মোট ৩৬টি শাখা সংগঠনের ২৬৬ জন নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বিজেপির তরফে বৈঠকে যোগ দেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। শনিবার সঙ্ঘের (RSS) সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন আরএসএস-এর দুই সর্বভারতীয় পদাধিকারী সুনীল আম্বেকর এবং মনমোহন বৈদ্য। সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্ঘের কাজের রিপোর্টও প্রকাশ করেন মনমোহন বৈদ্য। তিনি জানান, ফি বছর বাড়েছে সঙ্ঘের শাখা। ২০২০ সালে সারাদেশে শাখার সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৪১৯ বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫৫১ তে।

    নারী সশক্তিকরণে জোর

    ২০২৫ সালে সঙ্ঘ শতবর্ষে পদার্পণ করবে। সেই লক্ষ্যে সংগঠনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে জোর দিচ্ছে সঙ্ঘ (RSS)। ইতিমধ্যে শাখা সংগঠনগুলিও একাজে নেমে পড়েছে বলে জানান মনমোহন বৈদ্য। জানা গিয়েছে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা মহিলাদের ১১টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এনজিও-এর কর্ণধার, উকিল, ডাক্তার, প্রশাসনিক আধিকারিক, লেখিকা, গ্রামস্তরের রাজনীতিবিদ, জনজাতি সমাজের মধ্যে কার্যরত মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে। দেশজুড়ে এনিয়ে মহিলা সম্মেলনও শুরু করে দিয়েছে সঙ্ঘ (RSS)। অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনগুলি চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের নানা প্রান্তে মোট ৪১১টি মহিলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মনমোহন বৈদ্য জানান, ইতিমধ্যে ৭৩টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ সহকারে বিভিন্ন পেশার মহিলারা তাতে অংশগ্রহণ করেছেন। সঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১লাখ ২৩ হাজার মহিলা এই সম্মেলগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা ভারতেই দেখা যায়

    এদিন স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা আমাদের দেশের অন্যতম ভিত্তি। এখানে মনে করা হয় প্রতিটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের বাস। সনাতন ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য যাঁরা করেন, তাঁরা জানেন না ধর্ম কী? ভারতের ধর্ম পাশ্চাত্যের রিলিজিয়নের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সনাতন ধর্ম তো সর্বত্র বিরাজমান। তাইতো লোকসভায় দেখা যায়, লেখা রয়েছে ‘ধর্মচক্রপ্রবর্তন’ এবং সুপ্রিম কোর্টে ‘যথা ধর্ম তথা জয়’।’’ সঙ্ঘ (RSS) নেতা আরও জানিয়েছেন দেশের যুব সমাজের মধ্যে স্বয়ংসেবক হওয়ার বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। প্রতিবছর ১ লাখের বেশি যুবক অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল রান্না পুজো। শনিবার রান্না পুজোর বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান বাঙালির। বাজারে ইলিশ (Hilsa Fish) অমিল। যা গুটি-কয়েক রয়েছে, তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় উত্তাল সমুদ্র। যার জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে। ফলে রান্না পুজোর আগে বাজারে ইলিশ মিলছে না। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durgapuja) এবার জমিয়ে পেটপুজো করা যাবে ইলিশ (Hilsa) দিয়ে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী শুক্রবার জানিয়েছেন সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে ইলিশ রফতানি নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গকে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। 

    রান্না পুজোয় পাতে ইলিশ নেই

    ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে গিয়েছে। তবুও ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কমছে না। দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার থেকে ইলিশের জোগান নেহাতই কম। যেটুকু ইলিশ মিলছে বাজারে, তার দাম আকাশছোঁয়া।ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে যন্ত্রদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর রান্নাঘরে যাঁরা হাতা-খুন্তি নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন তাঁরা মাতেন রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসবে। এই উৎসবের মধ্যমণি অবশ্যই ইলিশ। তবে এবছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। 

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    পুজোর প্লেটে ইলিশ থাকার সম্ভাবনা

    বাঙালির এই প্রিয় মাছ নিয়ে রীতিমতো শঙ্কার মেঘ তৈরি হলেও শেষমেশ দরাজ মনে ইলিশ (Hilsa Fish) পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। পুজোর আগেই বাংলা তথা ভারতে ঢুকবে ৫ হাজার টন ইলিশ।  বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “গত বছর আমরা পাঁচ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠিয়েছিলাম। এই বছরও সেই পরিমাণ ইলিশই রফতানি করা হবে।” যদিও বাংলাদেশের বাজারে এর জন্য আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ইলিশ নিয়মিত দিই না। কিন্তু, দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি ইলিশ খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আমরা এই উৎসবে ইলিশ পাঠিয়ে থাকি। ঠিক যেমন আমের মরশুমে আম। উৎসবের সময় ১৫ দিনের জন্য তাই ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দেওয়া হচ্ছে।” বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকলে দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। শনিবার সকাল ৯:৫২ মিনিটে দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ঘটনাটি ঘটে। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোন খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার (Dumdum Train Derailed) সময় ট্রেনের গতিবেগ খুবই কম ছিল যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। তবে এটাই প্রথম নয় গত পাঁচ দিনে এনিয়ে, দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনের কাছে। মঙ্গলবারই মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদাগামী একটি ট্রেন। স্টেশনে ট্রেন না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারছিলে না যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে।

    লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন  

    জানা গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালে চার ও পাঁচ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। এক রেলযাত্রী বলেন, ‘‘আচমকাই একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা একে ওপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। তখন ব্যাপারটা সেভাবে বুঝতেই পারিনি। ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই লাইন দিয়ে নীচে নেমে আসেন। তারপর বুঝি লাইনচ্যুত (Dumdum Train Derailed) হয়েছে ট্রেন।’’

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    রেলের বিবৃতি 

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের (Dumdum Train Derailed) মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার ওসি, আইসি কিংবা বিডিও-কার্যত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের ভূমিকাও একইরকম। শাসকদলের ব্যাটন এখন দলের নেতাদের থেকে আমলাদের হাত বেশি। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ দলেরই কর্মীদের একাংশই একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নেতাকে পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ না হলে তার পদে ঠিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আনন্দবাজার পত্রিকার খড়গপুরের প্রতিনিধি দেবমাল্য বাগচীকে গ্রেফতার করার ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    নদিনের মাথায় দেবমাল্যের জামিন, শর্ত কী জানেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পরে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফশিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩৫৪বি, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয় দেবমাল্য এবং বাসন্তী দাসকে। বাসন্তীদেবী চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আর দেবমাল্য সেই খবর প্রকাশিত করেছিলেন। গ্রেফতারের ৯ দিন পর তিনি মুক্তি পান। জামিনের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, যে এলাকায় অভিযোগকারী থাকেন, আগামী ১৪ দিন সেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় (অর্থাৎ খড়্গপুরে) দেবমাল্য এবং বাসন্তী ঢুকতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

    দেবমাল্যকে গ্রেফতারের পিছনে আসল কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে জানেন?

    খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্যই এই রমরমা এবং কীভাবে বাড়িতে বসে বসেই চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে তা বিশদে তুলে ধরেন দেবমাল্য। গত ২৭ অগাস্ট আনন্দবাজার পত্রিকার খড়্গপুর সংস্করণে খবর প্রকাশের পরেই স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ ওই চোলাই ঠেকের কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু মূল অভিযুক্তরা পালায়। এই ঘটনার পর, বাসন্তী দাস নামে ওই মহিলা যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে চোলাই মদের কারবারিরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই চোলাই কারবারিদের থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয় পুলিশ। সেই মাসোহারা পুলিশের বিভিন্ন মহলে পৌঁছে যেত। এই মৌচাকেই ঢিল মেরেছিলেন দেবমাল্য। আর পুলিশের চেহারা জনগনের কাছে বেআব্রু করে দিয়েছিলেন। এবার পুলিশ যেটা বিরোধী দল বিজেপি ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে করছে, মিথ্যা কেস দিয়ে লকআপে ঢোকানো, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই বাহদুরি কাজ দেখিয়েছে পুলিশ। খোদ বিরোধী দলনেতা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

    দেবমাল্য গ্রেফতারি নিয়ে কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাটি টুইট করে লিখছেন, অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাস এবং এলাকার অন্যান্য মহিলারা ওইখানকার কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এই অবৈধ ব্যবসাকে আইনত বাধা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। ওই এলাকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল যে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে খবর হতেই শোরগোল পড়ে। সংবাদ সংস্থার বাধ্যতা তাঁর কাছে অজানা নয়। তাঁরা ‘নির্লজ্জভাবে নীরব’ কারণ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিজ্ঞাপন রাজস্বের উপর তাদের নির্ভর করে চলতে হয়। ছদ্ম উদারপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীরাও খানিক এই কারণেই চুপ।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দল থেকে আদিবাসী সংগঠন

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, এই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপির বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।

    কী বললেন দেবমাল্য?

    জামিনে মুক্তি পেয়ে দেবমাল্য বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই, এখনই এই ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে যা বলার তা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: মৃত্যুর হার করোনার থেকে বেশি! নিপা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর

    Nipah Virus: মৃত্যুর হার করোনার থেকে বেশি! নিপা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)। নিপার সংক্রমণে মৃত্যুর হার কোভিডের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সতর্কতা জারি করে এই বার্তা দিল কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’(ICMR)। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) রাজীব বহল শুক্রবার জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০-৭০ শতাংশ। অন্য দিকে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার নিপার তুলনায় অনেকটাই কম। মাত্র ২-৩ শতাংশ।

    আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি

    কেরলে নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ছ’জন নিপায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কেরলের কোঝিকোড়, কান্নুড়, ওয়েনাড় এবং মলপ্পুরমে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিপা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আরও অন্তত ২০টি ডোজ আনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এর আগে ২০১৮ সালে ওই অ্যান্টবডি আনা হয়েছিল। তার মধ্যে বর্তমানে যতটুকু আছে, তাতে ১০ জন রোগীর চিকিৎসা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একেবারে শুরুর দিকেই রোগীকে এই অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তবেই ফল পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ভারতে কাউকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজীব বাহল তথ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের বাইরে ১৪ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তবে এই অ্যান্টিবডি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কেরল সরকার, ডাক্তার এবং রোগীদের পরিবারের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে, বলেছেন রাজীব।

    আরও পড়ুন: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    সতর্কতা বিভিন্ন রাজ্যে

    শুক্রবার কেরলের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, যাঁরা ওই সব রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদেরও চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদেরও একান্তবাসে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কেরলের পাশাপাশি কর্নাটক এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান সরকার বৃহস্পতিবার নিপা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। একই সঙ্গে, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকেও নিপা ঠেকাতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Jammu Kashmir: বারামুল্লার উরিতে খতম ৩ জঙ্গি, এখনও চলছে অনন্তনাগের অভিযান

    Jammu Kashmir: বারামুল্লার উরিতে খতম ৩ জঙ্গি, এখনও চলছে অনন্তনাগের অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় ৩ অফিসার সহ চার জওয়ানের মৃত্যুর ২ দিন পর জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বারামুল্লায় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হল ৩ জঙ্গি (Baramulla Encounter)। 

    শনিবার সকালে উরিতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    শনিবার সকালে বারামুল্লা জেলার উরি অঞ্চলের হাতলাঙ্গায় বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই (Army-Militants Gunfight) শুরু হয়। জঙ্গিদমন অভিযানের নেতৃত্বে ছিল সেনা ও বারামুল্লা পুলিশকে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী (Baramulla Encounter)। এদিন নিজেদের ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা তা জানতে গোটা এলাকায় তল্লাশি চলছে। 

    ২ ঘণ্টা পর সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় জঙ্গিও খতম হয়েছে। কিন্তু, তার দেহ নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে পড়ে রয়েছে। দেহ আনতে গেলে, ভারতীয় বাহিনীর ওপর গুলি চালাতে শুরু করে পাক রেঞ্জার্স। যে কারণে, এখনও দেহ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। জঙ্গির দেহ হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    প্রায় ১০০-ঘণ্টা, এখনও চলছে অনন্তনাগের অভিযান

    এদিকে, প্রায় ১০০-ঘণ্টা হতে চলল, এখনও জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলার গাদোলে চলছে সেনা-জঙ্গি লড়াই (Army-Militants Gunfight)। শনিবার এই অভিযান চতুর্থ দিনে পড়ল। কোকেরনাগের ঘন জঙ্গলের মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছে ৩-৪ জঙ্গি। সকাল থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে চালানো হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি।

    বুধবার এই অভিযানে নেমে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচাক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। বৃহস্পতিবার থেকেই জঙ্গিদের কোণঠাসা করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী (Anantnag Encounter)। এর মধ্যেই শুক্রবার, আরও এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

    আরও পড়ুন: তেরঙায় মোড়া সন্তানদের নিথর দেহ, শোকে পাথর শহিদ জওয়ানদের পরিবার

    ‘‘জঙ্গি খতম না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে’’

    সেনা সূত্রে খবর, লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা সকলেই লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে উজেইর খান নামে এক জঙ্গি (Jammu Kashmir)। চিনার কোরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং ভিক্টর ফোর্সের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল বলবীর সিং এই অভিযানের তত্ত্বাবধান করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সবকটা জঙ্গি খতম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান (Army-Militants Gunfight) চলবে।

LinkedIn
Share