Blog

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: ভিলেন হতে পারে বৃষ্টি! শনিবার ভারত-পাক ব্লকবাস্টার ম্যাচ কখন, কোথায় দেখতে পাবেন

    Asia Cup 2023: ভিলেন হতে পারে বৃষ্টি! শনিবার ভারত-পাক ব্লকবাস্টার ম্যাচ কখন, কোথায় দেখতে পাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে ভারত-পাক মহারণের অপেক্ষায় থাকা লক্ষ লক্ষ ভক্তের আশায় জল ঢালতে পারেন বরুণ দেব। গত দুই দিন ধরে পাল্লেকেলেতে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আবহাওয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে। শনিবারের আবহাওয়া অনুযায়ী সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের শতাংশ হল ৯১%। ফলে অনুমান, ভারত- পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টি হতে পারে।

    পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে

    শেষবার ভারত-পাক ওয়ানডে খেলা হয়েছিল ২০১৯-এ ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের মঞ্চে। যেখানে ভারত পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছিল ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। হেড টু হেড পরিসংখ্যানে ভারত শেষ পাঁচ ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। একমাত্র হার ২০১৭-য় ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। বুধবার ভারত ক্যান্ডিতে পৌঁছেছে। তবে বৃহস্পতিবার অনুশীলন করেনি টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার রাতে ভারতের অনুশীলন করার কথা। ক্যান্ডিতে আগামী চারদিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শনিবার ভারত-পাক ম্যাচ পুরোদমে হওয়া নিয়ে জোরালো সংশয় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে শেষ! বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট আর কি পাওয়া যাবে?

    হাওয়া অফিস কী বলছে

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ম্যাচের দিন বৃষ্টি হতে পারে। সেখানকার স্থানীয় আবহাওয়ার দফতর জানাচ্ছে যে, ম্যাচের দিন ৯০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী ঝোড়ো বৃষ্টিও হতে পারে। আর্দ্রতা হতে থাকতে পারে ৮৪ শতাংশ। এছাড়াও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। শোনাযাচ্ছ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের দিন অর্থাত্ শনিবারই ক্যান্ডির ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বালাগোল্লা ঝড়। আর তাতেই ম্যাচের দিন বৃষ্টির হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে উদ্বেগে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    ম্যাচ কখন শুরু, কোন চ্যানেলে

    ভারত বনাম পাকিস্তান গ্রুপ-এ’র ম্যাচ ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর-৩টায় শুরু হবে। টস হবে আধঘন্টা আগে, ২.৩০-এ।

    স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক এবং ডিজনি হটস্টার-এ ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার উপভোগ করা যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LPG Price Cut: ফের সস্তা রান্নার গ্যাস! ১৫৭ টাকা কমল সিলিন্ডারের দাম, কারা লাভবান হবেন?

    LPG Price Cut: ফের সস্তা রান্নার গ্যাস! ১৫৭ টাকা কমল সিলিন্ডারের দাম, কারা লাভবান হবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসের শুরুতেই  ফের দাম কমল এলপিজি গ্যাসের(LPG Cylinder)। শুক্রবার ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৭ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলি। দিন দু’য়েক আগেই গৃহস্থলী গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ২০০ টাকা কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। আর ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম (Commercial LPG cylinder prices) কমল দেড়শ টাকার বেশি।

    কোথায় কত গ্যাসের দাম

    কলকাতায় আজ , শুক্রবার থেকে ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হল ১৬৩৬ টাকা। গতমাসে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৮০২.৫০ টাকা।এদিকে দিল্লিতে ১৯ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম আজ থেকে হল ১৫২২.৫ টাকা। গতকাল পর্যন্ত এই সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৬৮০ টাকা। চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৬৯৫ টাকা। এর আগে গতমাসে চেন্নাইতে ১৯ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৮৫২.৫০। মুম্বইয়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৪৮২ টাকা। গতমাসে সেই দাম ছিল ১৬৪০.৫০ টাকা। এর আগে গত ১ এপ্রিল ও মে মাসেও বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমেছিল। মে মাসে ১৭১.৫০ টাকা দাম কমেছিল ১৯ কেজি ওজনের গ্যাসের। 

    আরও পড়ুন: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    সম্প্রতি রাখির দিনে দেশবাসীকে রান্নার গ্যাসের দামে প্রায় দুশো টাকা ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্র। সরকার জানিয়েছিল, প্রতি সিলিন্ডারে সরকার ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেবে। শুধু তাই নয়, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা পরিবারগুলির জন্য আরও বড় ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় সিলিন্ডার পিছু ৪০০ টাকা ভর্তুকি পাবেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন, রাখি এবং ওনাম উপলক্ষে রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এই উৎসবে মা-বোনেদের ‘স্নেহ উপহার’ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান তিনি। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, নতুন করে আরও ৭৫ লক্ষ মহিলাকে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবারের পর দিল্লিতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমে হয় ৯০৩ টাকা। উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা রান্নার গ্যাস কিনছেন, তাঁরা সিলিন্ডার প্রতি ৭০৩ টাকা করে দিচ্ছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতি কার্যকর করতে গড়া হয়েছে কমিটিও। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আজ, শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর পরেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। চলতি বছরেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আপাতত এই নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এগিয়ে আসতে পারে লোকসভা নির্বাচন। আর যদি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হয়, তবে দেশ ফিরবে ’৬৭ সালের আগের অবস্থায়।

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’

    ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’র পাশাপাশি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হবে বলে জল্পনা। সরকারি একটি সূত্রে খবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পেশ করা হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল পাশ হয়ে যায়, তাহলে ঘর গোছানোর সময় পাবেন না বিরোধীরা। বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা নির্বাচন হলে যে বিস্তর খরচ হতো, তাও বেঁচে যাবে। এমতাবস্থায় কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন নাড্ডা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে নির্বাচনের বিপুল খরচ কমবে। এক সঙ্গে দুটি নির্বাচন হলে সরকারি কর্মীদের কাজের চাপ কমবে। পৃথক ভোট হলে বারংবার আদর্শ আচরণবিধি লাগুর কারণে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। মোদি সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    তাঁদের মতে, এই নীতির সাহায্যে মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে দেশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গেই হতো লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন। পরে কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হওয়ায় ছেদ পড়ে এই ধারাবাহিকতায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর এ বিষয়ে (One Nation One Election) আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদি সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জমানায় ক্রমেই উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। দেশের জিডিপির (GDP) লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এহেন আবহে ফের এল সুখবর। জানা গেল, প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যে কোনও অর্থনীতির তুলনায় দ্রুততম।

    প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি

    বৃহস্পতিবার প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস। সেখানেই জানা গিয়েছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে উদার সরকারি ব্যয়, শক্তিশালী ভোক্তা চাহিদা এবং উচ্চ পরিষেবা খাতের কার্যকলাপের মতো কারণগুলি সাহায্য করেছে ভারতীয় অর্থনীতিকে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল কোর সেক্টরের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ৮ শতাংশে। অথচ তার ঠিক এক মাস আগে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ।

    উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার

    জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২২ ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.১ শতাংশ। সেই তুলনায় এবার বৃদ্ধির হার প্রভাবিত হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ, নির্মাণ খাতে বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৭ শতাংশে।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দেশের আর্থিক প্রগতি চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এখানেই সব চেয়ে বেশি হতে চলেছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি পূর্বাভাস ৭.৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। অর্থনৈতিক নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যা পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার সঙ্গেই মিলে যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার হবে ৬.৫ শতাংশের মতো। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, জানুয়ারি থেকে মার্চের যা জিডিপি, তার তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি থাকবে অনেকটাই বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার ২০২৩-এর জন্য অনুমান করেছিল ৫.৯ শতাংশ। পরে এটি সংশোধন করে জানায় ৬.১ শতাংশ।

    তামাম বিশ্বে বৃদ্ধির নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির দেশ। ভারতের তুলনায় ঢের পিছিয়ে রয়েছে ব্রিটেন। প্রথম ত্রৈমাসিকে সে দেশে বৃদ্ধির হার ০.৪, জার্মানির ০.২। আর এই সময়সীমায় জাপানের বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্টের ২৩ তারিখই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। গড়েছে নতুন ইতিহাস। প্রথম কোনও দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পেরেছে আমাদের ভারত। এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সূর্য অভিযানের। শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটি থেকে এই মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। সৌর মিশনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে ইসরোতে। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই সূর্যকে নিরীক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা (Aditya-L1) চালাবেন অনুসন্ধান এবং গবেষণা।

     

     

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিটে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১  

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা পিএসএলভি-এক্সএল রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। নজরদারি চালাবে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের আবরণের। এর ফলে সৃষ্টির আদিতে সূর্য কেমন ছিল! সূর্য (Aditya-L1) ভবিষ্যতে কিরকম হতে পারে! তার অনেক কিছুই জানা যাবে। এই অভিযানের মাধ্যমে। এই আবহে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘সফলভাবে উৎক্ষেপণের (Aditya-L1) মহড়া শেষ হয়েছে। এদিকে সব যন্ত্রাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, সেই পরীক্ষাও সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’’

    সৌরমিশনের আরও খুঁটিনাটি

    সূর্যের উপর গবেষণা চালানোর জন্য রয়েছে ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট। জানা যায়, গণিতবিদ জোসেফ লুইস ল্যাগ্রাঞ্জ এই পয়েন্টের আবিষ্কারক ছিলেন। এখান থেকে নিরাপদ ভাবে সূর্যকে নিরীক্ষণ (Aditya-L1) করা যায়। পর্যবেক্ষণ করা যায়। কোন রকমের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই। সব তথ্য এখান থেকে হাতে পাওয়া সম্ভব। ইসরোর মহাকাশযান এই ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট থেকে এই সূর্যকে গবেষণা চালাবে। জানা গিয়েছে, এই মহাকাশযান আগামী পাঁচ বছর ধরে সূর্যকে নিরীক্ষণ করবে। প্রসঙ্গত, সূর্যকে পর্যবেক্ষণ (Aditya-L1) করতেই প্রথম কোনও উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট সাতটি যন্ত্র। এই উপগ্রহের মূল পেলোডটি তৈরি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্র ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেবে ১২৫ দিন। যেখানে এই স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে সেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫ লাখ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ক্ষমতায় ফিরছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে একাধিক সমীক্ষা। এবার সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেও জানা গেল এনডিএকে সিংহাসনচ্যুত করা ‘ইন্ডিয়া’র ‘কম্ম’ নয়। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল।

    অঙ্কের হিসেব

    বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী এই জোটের তৃতীয় বৈঠক। সেই সময়ই প্রকাশ্যে এল অঙ্কের হিসেব। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করেই জানা গেল, কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৮.৫ শতাংশ ভোট। উল্টো দিকে ‘ইন্ডিয়া’র (তখন অবশ্য ‘ইন্ডিয়া’ নাম ছিল না) জোট সঙ্গীদের প্রাপ্ত ভোট ছিল শতাংশের হিসেবে ৩৮। সেবার ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছিল ১৫৮টি আসন। এনডিএ পেয়েছিল ২২৪টি আসন। শতাংশের হিসেবে ৫০।

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী সব দলগুলির ভোট ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে পড়লে এনডিএকে জোর লড়াই দেবে ইন্ডিয়া। তাঁদের মতে, ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হলে ভোট কাটাকুটির খেলায় এতদিন বেরিয়ে যেতেন এনডিএ প্রার্থী। এবার লড়াই হবে মুখোমুখি। একদিকে এনডিএ প্রার্থী। অন্যদিকে থাকবেন ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী। সেই কারণেই তাঁরা এনডিএ নয়, এগিয়ে রাখছেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তবে, সেটা ২-৩ শতাংশ আসনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    ইক্যুইটি ব্রোকার আইআইএফএল সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এরকম হতে পারে ১৭টি আসনে। তা হলেও, এনডিএ (BJP) পাবে অন্তত ম্যাজিক ফিগার ২৭২টিরও বেশি আসন। এদের মতে, যদি ২ শতাংশ ভোটও স্যুইং করে ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে যায়, তাহলেও এনডিএ পাবে ২৮৫টির মতো আসন। চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি এনডিএ-র ফল খারাপ হয়, তার একটা প্রভাব অবশ্য পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। আইআইএফএলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস ফিরতে পারে। তবে রাজস্থানের ক্ষমতার রাশ কংগ্রেসের হাত থেকে যেতে পারে বিজেপির হাতে। প্রসঙ্গত, সি-ভোটার এবং ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের সমীক্ষাও বলছে, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জয়ী হবে যথাক্রমে ৩০৬ ও ৩১৮টি আসনে।

    আরও পড়ুুন: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    এদিকে, ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ায় যে ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেখানে আলোচনা হয়েছে ‘কোরাপশনস ম্যাক্সিমাম প্রফিট’ নিয়ে। কারণ এই দলগুলির সম্মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটির বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তাকে আটকে দেওয়াই লক্ষ্য তাদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের ঠিক পরেই নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম (ফরাসি যুদ্ধবিমানের মেরিন বা নৌ-সংস্করণ) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র (Rafale-M Fighters)। উন্নতমানের এই যুদ্ধবিমানগুলোকে ভারতের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট-এ মোতায়েন করা হবে। এবার সেই চুক্তির বিষয়বস্তু (Navy Fighter Jet Deal) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ও তাকে বাস্তব রূপ দিতে সম্প্রতি ভারতে এসেছিল ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার নেতৃত্বাধীন দল। 

    চুক্তি মূল্য ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার!

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতে যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি প্রতিরক্ষা বিষয়ক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এশিয়া অঞ্চল) আধিকারিক। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন নৌসেনার উপ-প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জনক বেভলি। সূত্রের খবর, চুক্তি (Navy Fighter Jet Deal) সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপগুলোর আলোচনা করতেই ভারত সফরে আসা ওই প্রতিনিধি দলের। জানা যাচ্ছে, মোট চুক্তি মূল্য হতে পারে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দুপক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলবে এখন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনায় আসছে ২৬টি ‘রাফাল এম’ যুদ্ধবিমান! ট্যুইটে ঘোষণা দাসোর

    এফ-১৮ সুপার হর্নেটকে হারিয়ে বরাত জেতে রাফাল-এম

    নৌসেনার জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters) কিনতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে ভারত। সেই মোতাবেক, একাধিক সংস্থা ভারতের এই বরাত পাওয়ার দৌড়ে অবতীর্ণ হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে, দুই বিমানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। একটি ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম। অন্যটি, মার্কিন বোয়িং নির্মিত এফ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট। শেষমেশ, ফরাসি রাফাল নির্বাচিত করে ভারত। জুলাই মাসে এই মর্মে, প্রস্তাব পাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Navy Fighter Jet Deal)। 

    ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব ফ্রান্সের

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আলোচনায় ফরাসি দল জানিয়েছে, ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে তারা রাফাল (Rafale-M Fighters) উৎপাদনের সংখ্যা বর্তমানে বছরে ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ পর্যন্ত করতে পারে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন যুদ্ধবিমানগুলোতে দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ মাঝারি পাল্লার অস্ত্র মিসাইলকে যুক্ত করার সংস্থান থাকতে হবে। এই চুক্তি রূপায়িত হলে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লাফে কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    ভারত-ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দীর্ঘ

    এখানে বলে দেওয়া যাক, এর আগে, ২০১৫ সালে মোদির ফ্রান্স সফরে ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। একেবারে, দুই সরকারের মধ্যে ওই চুক্তি মোতাবেক ভারত ফ্রান্সের থেকে একেবারে তৈরি অবস্থায় (ফ্লাই-অ্যাওয়ে) ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার জন্য কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছে সেই যুদ্ধবিমানগুলি। এর অনেক আগে, ১৯৮০ সালে মিরজ বিমানও কিনেছিল ভারত। এখনও সেই যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন ভারতীয় বায়ুসেনার অংশ। ২০০৫ সালে ৬টি স্করপিন ক্লাস ডিজেল সাবমেরিন ফ্রান্স থেকে এসেছিল ভারতে। আরও ২টোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই সঙ্গে আসছে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share