Blog

  • Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে (Mizoram Bridge Collapse) মৃত ১৭ জন। ভাঙা সেতুর নিচে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। মূলত মাটি ধসে যাওয়ার জন্য নির্মীয়মাণ রেলের সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে মুখ্যসচিবকে খোঁজ নিতে বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন উদ্ধারকাজে তৎপর।

    কোথায় ঘটল বিপত্তি (Mizoram Bridge Collapse)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টায় রেলের সেতু (Mizoram Bridge Collapse) তৈরির কাজ চলছিল। সেই সময় মাটি ধসে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল হল সাইরাং। এখানে কুরুং নদীর উপর একটি রেলের সেতু তৈরি হচ্ছিল। এলাকায় সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১৭ জন। সেই সঙ্গে ভাঙা সেতুর নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন মানুষ।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামাথাঙ্গা এই সেতু বিপর্যয়ের (Mizoram Bridge Collapse) ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ছে। আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধর করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার করতে সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রে আরও জানা গেছে এই সেতুর উচ্চতা ছিল ১০৪ মিটার। এই সেতুপথেই মিজোরামকে দেশের রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিশেষ প্রকল্পে কাজ চলছিল।

    থাকতে পারেন মালদার শ্রমিকরা

    আইজলের এই সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার (Mizoram Bridge Collapse) জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মালদা থেকে বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গেছেন। তাঁদের অবস্থা জানার জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • GST: পণ্য কেনার সময় পাকা রসিদ নিন আর পেয়ে যান ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটির পুরস্কার, কীভাবে?

    GST: পণ্য কেনার সময় পাকা রসিদ নিন আর পেয়ে যান ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটির পুরস্কার, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিনিসপত্র কেনার পর বিল যত্ন করে না রাখার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। যে সামগ্রীতে ওয়ার‍্যান্টি থাকে, সেই বিলগুলোই সাধারণভাবে আমরা এক বছর পর্যন্ত রেখে দিই। বাকি বিলগুলো ডাস্টবিনেই চলে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, পণ্যসামগ্রী (GST) কেনার বিল যদি বাড়িতে আপনি রেখে দেন, তাহলে এবার জিততে পারবেন নগদ ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত পুরস্কার (GST)। এই পুরস্কার দিতে চলেছে স্বয়ং কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার উপভোক্তাদের জন্য এই পুরস্কার নিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে একটি অ্যাপও চালু করতে চলেছে সরকার, যার নাম হবে ‘মেরা দিল মেরা অধিকার’ (GST)। এই অ্যাপটির মাধ্যমে গ্রাহকরা তাঁদের পণ্যের কেনাকাটার বিল আপলোড করে নগদ ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত জিততে পারবেন। কিন্তু হঠাৎ পণ্যের বিল আপলোড করে কেন প্রাইজ জেতা যাবে (GST)?

    ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জেতার সুযোগ

    বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, জিএসটি’র (GST) ফাঁকি ঠেকাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার জিএসটি বিল তৈরির প্রচার করছে। অর্থাৎ জিএসটি সহ পাকা বিল নিয়েই পণ্য কেনার উপর জোর দিচ্ছে সরকার। সাধারণভাবে দেখা যায় জিএসটি ছাড়াই এখনও পর্যন্ত স্থানীয় প্রচুর দোকানদার জিনিস বিক্রি করেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রতি মাসে ৫০০টি লাকি ড্র করা হবে (GST)। ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’ এই পোর্টালে বিল আপলোড করা যাবে। এর ফলে কর ফাঁকি কমবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। সম্প্রতি, সম্পন্ন হয় ৫০ তম বৈঠক জিএসটি কাউন্সিলের। সেখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। এই কর ফাঁকি রুখতেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।

    কীভাবে আপলোড করা যাবে ওই বিল (GST)?

    ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’ এই অ্যাপটি যে কোনও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে সেখানে তাঁদের পণ্যের বিল আপলোড করতে পারবেন গ্রাহকরা। বিল নম্বর, টাকার অঙ্ক, করের পরিমাণ এ সমস্ত কিছুই দিতে হবে। জানা গিয়েছে ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’-এর অধীনে একজন গ্রাহক মাসে সর্বাধিক ২৫টি বিল ওই পোর্টালে আপলোড করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ২০০ টাকার কেনাকাটা করলেই ওই বিল (GST) আপলোড করা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে মুগ্ধ, তা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আসছেন ভারত সফরে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। গত এক বছর ধরে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। নভেম্বরেই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। তার আগে সেপ্টেম্বরেই হবে জি-২০ লিডার্স সামিট। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই নয়াদিল্লিতে আসছেন বাইডেন।

    জি-২০ সম্মেলন

    এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন, বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্ক গঠন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, জি-২০-র আয়োজক দেশের দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন (Joe Biden)। জি-২০ লিডার্স সামিটে যোগ দিতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন বাইডেন। থাকবেন ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মোদি জমানায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেভাবে মজবুত হয়েছে, তাতে বাইডেনের এই সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মহলের।

    নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসা

    জুন মাসে বাইডেনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” ভারত ও আমেরিকার এক যৌথ বিবৃতিতে বাইডেনের তরফে জি-২০-তে নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসাও করা হয়। এহেন প্রেক্ষাপটে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Joe Biden)।

    দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট লু-ও বাইডেনের ভারত সফরের কথা জানান। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বছর হতে চলেছে। জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত, আমেরিকা আয়োজন করছে এপিইসি, অন্যদিকে জাপান জি-৭। আমাদের অনেক কোয়াড (QUAD) সদস্যই রয়েছে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর ফলে দেশগুলি সব এক জায়গায় আসবে।”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, “জি-২০ সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আর্থিক সাহায্য ও বেশ কিছু পরিবর্তনের আর্জি জানাবেন, যা জি-২০ ভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদাকে আরও ভালভাবে পূরণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষনিকের অপেক্ষা! কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়েই অরবিটারে বার্তা পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর কিছু অপেক্ষা। ল্যান্ডার-এর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে অবতরণের কিছুক্ষণ পরে, বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র‌্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র‌্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুধাবন করতে থাকবে।

    কীভাবে কাজ করবে সাতটি পে-লোড

    সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের চারপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসেবে) সময় পাবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাতটি পেলোড রয়েছে – চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে এবং একটি প্রপালশন মডিউলে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছেন, “আমরা জানি চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ এর থেকে গ্যাস বের হয়। বরং তারা আয়নিত হয় এবং পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকে। এটি দিন এবং রাতের সাথে পরিবর্তিত হয়।” 

    বিক্রমের পে-লোড

    বিক্রমের চারটি পে-লোড হল মুখ্য। রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

    রম্ভা (RAMBHA)- রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার বা রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে।
    চ্যাস্টে (ChaSTE)- চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। 
    ইলসা (ILSA)- অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা বা ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি।
    এলআরএ (LRA)- ‘লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

    রোভারের পে-লোড

    আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS)- রোভারের ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। 
    লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)-রোভারের ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’ যন্ত্রের কাজ হল অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে প্রথম যন্ত্রের থেকে আলাদা পদ্ধতিতে। 

    প্রপালশন মডিউলের পে-লোড

    প্রপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করবে। এই কাজে তাকে সাহায্য করবে তার একমাত্র পেলোড, বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি (শেপ)। এটি কয়েক মাস (বা বছর) চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের উপর স্পেকট্রোস্কোপি এবং পোলারাইজেশন অধ্যয়ন করবে, বায়োসিগনেচার সংগ্রহ করবে যা বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, চৌম্বকক্ষেত্রও নেই। তবে বিপুল জলের খোঁজ পেলে, (H2O)সেখান থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। এই অক্সিজেন শ্বাসপ্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখবে। আর হাইড্রজেন ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। চাঁদের ওই মেরুতে আবার বরফ থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। চাঁদের আধাঁর পিঠের ঠিক কোথায় বরফ জমে আছে তার খোঁজ চালাবে প্রজ্ঞান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নিয়েছে ভারত।” মঙ্গলবার ‘ব্রিকস’ সম্মলনের মঞ্চে কথাগুলি বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত যে অচিরেই বিশ্বে উন্নয়নের  চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে, এদিন প্রত্যয়ের সঙ্গে সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। উন্নয়নের স্বপ্ন পূরণ করতে ভারত যেসব পদক্ষেপ করেছে, এদিন সেকথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ব্রিকস সম্মেলন

    দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হয়েছে ব্রিকস সম্মেলন। ২২ অগাস্ট শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে চলতি মাসেরই ২৪ তারিখ পর্যন্ত। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এবারের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশও। এই সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলের দশম বর্ষপূর্তিতে অনেক অনেক অভিনন্দন।

    ব্রিকসের গুরুত্ব 

    গত দশ বছরে আমাদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল। ২০০৯ সালে যখন প্রথম ব্রিকস সম্মেলন হয়েছিল, তখন বিশ্ব সবে মাত্র এক বিশাল আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসছিল। সেই সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে আশার আলো হয়ে উঠেছিল ব্রিকস। বর্তমান সময়েও করোনা অতিমারি ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেও বিশ্ব ই-অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়ছে। তাই এই সময়ও ব্রিকস সদস্য দেশগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির সময়েও ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। শীঘ্রই ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বিশ্বের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে ভারত। এর কারণ হল, ভারত সঙ্কট ও প্রতিবন্ধকতাকে আর্থিক উন্নয়নের সুযোগে পরিণত করেছে। ভারতের মানুষ শপথ নিয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করবে।”

    আরও পড়ুুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত কয়েক বছরে আমরা মিশন মোডে বিভিন্ন পরিবর্তন করেছি এবং এগুলি ভারতে বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ক্রমাগত উন্নত করেছে। আমরা সম্মতির বোঝা কমিয়েছি এবং রেড টেপ সারিয়েছি। জিএসটির সূচনাও বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমরা জনসেবা প্রদান ও সুশাসনকে গুরুত্ব দিয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে আছে বিশ্বের তৃতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। ইউনিকর্ন রয়েছে শতাধিক। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সফল করতে রয়েছে টেলিকম, এআই, ফিনটেক এবং আইটি সেক্টরের মতো ক্ষেত্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই আসতে চলেছে বহুকাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আজ। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) ও তার মধ্যে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

    দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশই মহাকাশযান পাঠায়নি। ফলে ভারত আজ সফল হলে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের কৃতিত্ব অর্জন করবে। চাঁদের বুকে অবতরণের সেই দৃশ্য বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে।

    আরও পড়ুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    তবে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদিও আত্মবিশ্বাসী, যে এবার তাঁরা সফল হবেনই। ইসরোর দাবি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে।

    তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় অন্য আরেকটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, চাঁদের মাটি। অবতরণের সময় ল্যান্ডার স্পর্শ করার সময় চারদিকে ধুলোর আস্তরণ উড়বে। কার্যত প্রায় ঢাকা পড়ে যাবে ল্যান্ডার। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধুলো পুরো থিতিয়ে বসে যাচ্ছে, ততক্ষণ ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে ‘প্রজ্ঞান’-কে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? 

    বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে ‘রেগোলিথ’, কী এটা?

    চাঁদের ধুলোকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। এই ধুলো চার্জড পার্টিকলে ভরপুর, খনিজ উপাদানও আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরঝড় সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো উত্তেজিত থাকে সারাক্ষণ। 

    মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধুলোকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয় যাতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর তৈরি করে। 

    প্রজ্ঞানকে বাঁচাতে এখন কী করণীয়?

    সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3) ঠিকঠাক ভাবে করতে হলে রেট্রো-রকেট চালাতে হতে পারে ল্যান্ডারকে (Lander Vikram)। ইসরো জানিয়েছে, অবতরণের সময় যদি চাঁদের মাটির ধুলো ওড়ে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে রোভারের। ধুলোর আয়নিক কণারা রোভারের যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে। ধুলোকণা যন্ত্রের উপর গিয়ে পড়লে বেতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক‘ (DSN)-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে না রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল ইঞ্জিন কাজ করবে। তাও সতর্ক ভাবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heath Streak : মৃত্যু নিয়ে গুজব! হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে হিথ স্ট্রিক জানালেন তিনি জীবিত

    Heath Streak : মৃত্যু নিয়ে গুজব! হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে হিথ স্ট্রিক জানালেন তিনি জীবিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ রোগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হার মানলেন হিথ স্ট্রিক (Heath Streak)। বুধবার সকালে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার হেনরি ওলোঙ্গা ট্যুইটারে জানান, এটা ভুয়ো খবর। হিথ সিট্রকত জীবিত। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে চ্যাট করার স্ক্রিন শট তিনি পোস্ট করেন। তবে মজার ব্যাপার হল, ওলোঙ্গাই কিন্তু হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন ট্যুইটারে। 

    জীবিত  হিথ স্ট্রিক

    বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওলোঙ্গা একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন টুইটারে। সেটি স্ট্রিকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত ভাবে জানাতে চাই যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। আমি নিজেই ওর মুখ থেকে শুনেছি যে ও এখনও জীবিত। তৃতীয় আম্পায়ার আবার ওকে ফিরিয়ে এনেছে। ও বেঁচে রয়েছে।” পরে তাঁর মেয়েও বেঁচে থাকা খবর নিশ্চিত করেছেন।

    হিথ স্ট্রিকের রেকর্ড

    ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল হিথ স্ট্রিকের। ১৮৯টি ওয়ান ডে এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সফল হয়েছিলেন স্ট্রিক (Heath Streak)। টেস্ট তাঁর ব্যাটে এসেছিল ১৯৯০ রান। ঝুলিতে রয়েছে ২১৬টি উইকেট। সাদা বলের ক্রিকেটেও তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। ২৯৪৩ রানের পাশাপাশি ২৩৯টি উইকেটের মালিক তিনি। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানান জিম্বাবোয়ের এই প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার। তিনি অধিনাকত্ব করেন ২১টি টেস্ট ও ৬৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে। তবে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে তিনি নির্বাসিত হন। ২০২১ সালে তাঁকে আট বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। তবে হিথ স্ট্রিক বরাবরই দাবি করেছিলেন, তিনি কোনওভাবেই গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত নন। 

    আরও পড়ুন: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    হিথ স্ট্রিক চিকিৎসাধীন

    গত বছর মে মাসে স্ট্রিক (Heath Streak) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানা যায়, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। কোলন ও যকৃতের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি চিকাৎসাধীন। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকে হিথ স্ট্রিকের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কম। তবুও হাল ছাড়েননি প্রাক্তন অলরাউন্ডার। বাইশ গজে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের তিনি কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন তাঁর গতি ও সুইয়ে। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাটসম্যান স্ট্রিকের নজরকাড়া বিধ্বংসী ইনিংস আজও চোখের সামনে ভাসে ক্রিকেট জনতার। তাই হাল ছেড়ো না বন্ধু বলে এখনও জীবনের পিচে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছন স্ট্রিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাশিয়া। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। মিশন সফল হলে ইতিহাস রচনা করবে আর্যভট্টের দেশ। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সফল অবতরণের কামনায় দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে পুজো-পাঠ, হোম-যজ্ঞ, নমাজ পাঠ।

    বিশেষ পুজোপাঠ

    চন্দ্রযানের সফল অবতরণের কামনায় বিশেষ পুজো এবং যজ্ঞ হয়েছে বারাণসীর কামাখ্যা মন্দিরে। পুজো হয়েছে আগ্রার বিশেষ মন্দিরেও। মুম্বইয়ের চন্দ্রমৌলেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিলেন শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা আনন্দ দুবে। এখানেও আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ যজ্ঞের। এদিন বিশেষ পুজো হয়েছে দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর মন্দিরেও। রামেশ্বরম অগ্নি তীর্থে আয়োজন করা হয় বিশেষ যজ্ঞের। বিশেষ ভস্মারতি অনুষ্ঠিত হয় উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে।

    এনসিপি (Chandrayaan 3) কর্মী-সমর্থকরা পুজো দিয়েছেন শ্রী গণেশ মন্দিরে। বিশেষ প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে ছতরপুরের বাগেশ্বর ধামে। কেবল দেশেই নয়, পুজোআচ্চা হয়েছে বিদেশেও। আমেরিকার নিউ জার্সিতে শ্রী সাই বালাজি মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজো। বিশেষ যজ্ঞ হয়েছে ভার্জিনিয়ার মন্দিরেও।

    নমাজ পাঠ

    পুজোর পাশাপাশি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠও। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মসজিদে নমাজ পাঠ করেন মুসলমানেরা। ভারতের ‘চাঁদমারি’ যাতে সফল হয়, তাই লখনউয়ের ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ায়ও হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠ। রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফেও হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। লখনউয়ের হজরত শাহ মীনা শাহ দরগায় বিশেষ প্রার্থনা করেন বিজেপি নেতা মহসিন রাজা।

    এদিকে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণের সাক্ষী হতে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। উত্তরপ্রদেশ সরকার সমস্ত স্কুলকে এই ঘটনার বিশেষ স্ক্রিনিং করার নির্দেশ দিয়েছে। যোগী সরকার জানিয়েছে, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অবতরণ একটি স্মরণীয় সুযোগ, যা কেবল কৌতূহলকে উসকে দেবে তাই নয়, তরুণদের মধ্যেও প্রশ্ন করার উৎসাহ জাগিয়ে তুলবে।  

    এদিন সায়েন্স পার্টির আয়োজন করেছে বাংলার সংস্কৃতি মন্ত্রক। লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে চন্দ্রযান অবতরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতায়।

    গুজরাটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল দু হাজারেরও বেশি স্কুল পড়ুয়াকে বড় পর্দায় এই ঐতিহাসিক (Chandrayaan 3) মুহূর্তটি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হবে গুজরাটের ৩৩টি জেলা কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টারে।

    আরও পড়ুুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া ভূমিকায় ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তবে ক্রিকেট মাঠে নয়, তিনি এবার দূত হলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। মাস্টার ব্লাস্টারকে কমিশনের ‘ন্যাশনাল আইকন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিংবদন্তী ক্রিকেটারের সঙ্গে বুধবার এই মর্মে একটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হবে। মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে সচিনকে সামনে রেখে প্রচার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সকলে যাতে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহ পায়, সেই কারণেই সচিনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ট্যুইট-বার্তা

    ভারতীয় ক্রিকেটে তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) অবদান অনস্বীকার্য। সচিনের অবসরের পর কেটে গিয়েছে এক দশক। কিন্তু এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অবসরের পর নানা সামাজিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছেন। ভারতরত্নও পেয়েছেন। এবার তাঁকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।

    বুধবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ হিসাবে কাজ করবেন সচিন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখপত্রের ট্যুইটারে এই খবর জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    তরুণ প্রজন্মকে প্রেরণা দেবেন সচিন

    বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাজধানী নয়াদিল্লির রং ভবন অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই সচিনকে (Sachin Tendulkar) জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করবেন। তিন বছরের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা যাবে সচিনকে। এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান শ্রী রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে এবং শ্রী অরুণ গোয়েল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “তরুণদের উপর সচিনের প্রভাব দেশের ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে তরুণদের ভোট দেওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    Chandrayaan 3: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করতে চলেছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’। দেশের মহাকাশ গবেষণার এই মাহেন্দ্রক্ষণে ইসরোর সদর দফতরে বসে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দান করতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, সরকারি সূত্রে খবর, ব্রিকস’ (BRICS SUMMIT 2023) শীর্ষবৈঠক উপলক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে হলেও ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3 Mission) সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় ‘ভার্চুয়ালি’ উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীও

    সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ল্যান্ডিং উপভোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে তিনি ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছেন। মঙ্গলবারই তিনি পৌঁছেছেন জোহানেসবার্গে। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধের আগেই ইসরোর (ISRO) সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কানেক্ট করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সঙ্গে তিনিও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন। প্রসঙ্গত, ‘চন্দ্রযান ৩’ উৎক্ষেপণের দিনও ভারতে ছিলেন না তিনি। থাকবেন না অবতরণেও। উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই যখন শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযানের তখন বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তাঁর তরফে রকেট উৎক্ষেপণের প্রাক্কালে এসেছিল বড় বার্তা।

    আরও পড়ুন: ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী বরণ, উঠল ‘হর হর মোদি’ ধ্বনি

    প্রধানমন্ত্রীর মন পড়ে রয়েছে চাঁদে

    এবারও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করতে জোহানেসবার্গে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর মন পড়ে রয়েছে চাঁদে। প্রতি মুহূর্তে ইসরোর প্রস্তুতি এবং ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবস্থানের আপডেট নিচ্ছেন মোদি। আর তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও বুধবার সন্ধে ঠিক ৬টা বেজে ৪ মিনিটে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বরেও ‘চন্দ্রযান ২’-এর ‘টাচডাউন’ দেখবেন বলে বেঙ্গালুরু উড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর জানা যায়, ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে। তৎকালীন ইসরো ডিরেক্টর কে শিবনকে দেখা গিয়েছিল চোখের জল ফেলতে। তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু আশ্বাস নয়, ৩০ মিনিট ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আজ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে গেল। সেরা সময় এবার আসবে।’ আজ, বুধবার গোধূলি বেলায় সেই সময় আসতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share